রূপগঞ্জ উপজেলার গোয়ালপাড়া এলাকার শাহিন মিয়ার ছেলে সিয়াম মিয়া। সিয়ামের বাবা শুধু কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব নেই। সিয়ামের যখন জন্ম হয় তখন বাবা শাহিন মিয়া তাকে ও তার মা মায়শারা বেগমকে ফেলে অন্যত্র চলে যায়। তারপর থেকে শাহিন ছেলে ও স্ত্রীর কোন খোঁজ খবর নেয়নি। কিছুদিন পর সিয়ামের মায়েরও বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্র। এরপর থেকেই শাহীন বড় হয় তার নানা-নানীর কাছে। নানা-নানীর অভাবের সংসারে পেরোনো হয়নি প্রাথমিকের গন্ডি। নানা নানীর বয়স হয়ে যাওয়ায় তাদের পক্ষে সংসারের খরচ চালানো সম্ভব হয় না। সংসারের হাল ধরেন সিয়াম। তাইতো কয়েক মাস আগে জীবিকার জন্য স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি ইজিবাইক কেনেন সিয়াম। ইজিবাইক চালিয়ে এনজিওর ঋণের কিস্তি দিয়ে তাদের তিনজনের সংসার ভালই চলছিল। কথায় আছে অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়। একমাস যেতে না যেতেই ইজিবাইকটি দূর্ঘটনায় পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়। একদিকে এনজিও’র ঋণের টাকা আরএকদিকে সংসারের খরচ চালাতে দিশেহারা যখন সিয়াম ও তার নানা নানী তখনই অসহায় সিয়ামের এই দূর্দশা জানতে পেরে পাশে দাড়িয়েছেন আনছর আলী নামে স্থানীয় এক সমাজসেবক। সিয়ামকে নতুন একটি ইজিবাইক কিনে দিয়ে পূনরায় তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।
ইজিবাইক পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে সিয়াম মিয়া বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ইজিবাইকটি কিনেছিলাম। এক্সিডেন্ট করে আমার ইজিবাইকটি নষ্ট হয়ে যায়। আমিও অনেক ব্যাথা পেয়েছি। কিস্তির টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো সেটা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। তাছাড়া সামনে ঈদ। এখনো কিছুই কিনিনি। আনছর আলী কাকা আমার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক আমাকে একটি নতুন ইজিবাইক কিনে দিয়েছেন। অটো দিয়ে আমি এখন ঋণের টাকাও পরিশাধ করতে পারবো ও সংসার চালানো যাবে।
সিয়ামের নানা সিদ্দিক মিয়া বলেন, 'আমার নাতীডারে আমরা অনেক কষ্ট কইরা মানুষ করছি। কয়দিন আগে নাতীডায় এক্সিডেন্ট কইরা অটো ভাইঙ্গা গেছে। কিস্তির টাকাও দিতে পারতাছিল না। তহন আনছর আলী বাপজানে আমার নাতিরে একটা অটো কিন্না দিছে। আল্লাহ তারে আরো বড় করুক।'
আনছর আলী বলেন, আমি যখন শুনেছি সিয়াম ছেলেটি অসহায়। তাৎক্ষনিক তার কর্মসংস্থ্যানের জpন্য নতুন একটি ইজিবাইক কিনে দিয়েছি। যাতে সারা বছর এটা দিয়ে সে সংসার চালাতে পারে আর কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারে।
মাদারীপুরে বেপরোয়া গতিতে চলা দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও দু’জন।
আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে শিবচর-জাজিরা সীমান্তবর্তী কুতুবপুর ইউনিয়নের সাহেব বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, শিবচর উপজেলার কুতুবপুর সাহেব বাজার এলাকার শাজাহান তালুকদারের ছেলে মিঠু তালুকদার, জাজিরার কলম ঢালীর কান্দি গ্রামের বাবুল ঢালীর ছেলে হৃদয় ঢালী। অপর দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা গোলচত্বর থেকে কুতুবপুরের সাহেববাজারগামী সার্ভিস রোডে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর দুই আরোহী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চারজনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
যশোরে ঈদের রাতে বাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে অলিদ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ জন।
গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বিরামপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অলিদ (২০) যশোর সদর, উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওদা গ্রামের সেনা সদস্য হৃদয় হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে বিরামপুর ব্রিজের ওপর আপন, রাশেদুল ও শামীম বাজি ফোটাচ্ছিল। এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন অলিদ, পিয়াল, আরিফ ও মেহেদী। তারা দাবি করেন, বাজি তাদের গায়ে পড়েছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এর মধ্যে অলিদসহ অন্যরা আপন, রাশেদুল ও শামীমকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করেন।
খবর পেয়ে আপনের বাবা রিপন আলী সেখানে গেলে তাকেও ছুরি মেরে আহত করেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অলিদ গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত আপন, তার বাবা রিপন আলী, শামীম, অলিদ ও রাশেদুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় মারা যান অলিদ। আহতদের মধ্যে রাশেদুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর আপন, রিপন আলী ও শামীম যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, বাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
সূত্র: ইউএনবি
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) বিকালে উপজেলার আগরপুর–পোড়াদিয়া সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শামীম মিয়া (২৫) কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া নামাকান্দা গ্রামের কৃষক নোহাজ উদ্দিনের ছেলে এবং আল আমিন (২৭) লক্ষ্মীপুর কাছারীপাড়া গ্রামের কৃষক তারা মিয়ার ছেলে। তারা দুজনই পেশায় কাঠমিস্ত্রী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের দিন বিকালে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বের হন দুই বন্ধু শামীম ও আল আমিন। বিকাল ৩টার দিকে আগরপুর–পোড়াদিয়া সড়কের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া নামক স্থানে তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অপর একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান শামীম মিয়া।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আল আমিন। অজ্ঞাত অপর মোটরসাইকেলের আরোহী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঈদের আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হলো ফুলবাড়ীয়া উপজেলায়। ঈদের দিন বিকেলে ঘাটাইল উপজেলার জোড়দিঘী বাজারের কাছে মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই কিশোর বন্ধু।
নিহতরা হলেন ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কাহালগাঁও বাজারপাড়ার আজাহারুল ইসলামের ছেলে আশিক (১৬) এবং কাহালগাঁও মক্তবপাড়া গ্রামের আকরামের ছেলে মিনহাজ (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন আশিক ও মিনহাজ। জোড়দিঘী বাজারের কাছে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই আশিক ও মিনহাজের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা স্বজনহারা হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। ঈদের আনন্দ বিষাদে রূপ নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যেও শোকের আবহ বিরাজ করছে।
নওগাঁর সাপাহারে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহিন আলম (১৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কালাইবাড়ী-দিঘিরহাট আঞ্চলিক সড়কের মিরাপাড়া নামক স্থানে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহিন আলম (১৭) পোরশা উপজেলার পশ্চিম হরিপুর গ্রামের মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে।
আহতরা হলেন, সাপাহার উপজেলার আলাদীপুর গ্রামের তাহিরের ছেলে আহসান আলী(১৭) এবং জামিরুল(১৭), জামিরুল পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে।
সাপাহার থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বন্ধু মিলে ঈদে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্য বের হয়েছিলেন। অতিরিক্ত গতির কারনে মোটরসাইকেলটি মিরাপাড়া নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে শহিন আলম নিহত হন। তার সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা বাকি দুই জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আহসান আলীর অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
প্রায় ৬ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর সেখানে ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মুসল্লিদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এই ঈদগাহ ময়দান।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া নামাজ শেষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের জন্য দোয়া করাসহ ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত ও বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এর আগে রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে তিনবার বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে নামাজ শুরুর প্রস্তুতি নিতে সংকেত দেওয়া হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেজাবে রহমত, পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাসহ সর্বস্তরের প্রায় ৬ লাখ মানুষ।
নামাজ শেষে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনানো হয়, স্মরণকালের বৃহত্তম এবারের ঈদ জামাতে আনুমানিক ৬ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।
এবার ঈদকে কেন্দ্র করে পাঁচ স্তরের নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পাঁচ প্লাটুন বিজিবিসহ র্যাব, পুলিশ, আনসার বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয় মুসল্লিদের। তাছাড়া প্রথমবারের মতো নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলো সেনাবাহিনী।
জামাতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই মুসুল্লিদের ঢল নামে শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহে। এ সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দূর থেকে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।
একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে ছেড়ে বিপুলসংখ্যক মুসুল্লি নিয়ে কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া মাঠের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হজরত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সনে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় সাত একর জমির ওপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় সাত একর আয়তনের মাঠটিতে ২৬৫টি কাতার রয়েছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। সব মিলিয়ে এখন উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্প ও ভাসানচরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের বসবাস। বাংলাদেশে আশ্রয়রত সাড়ে ৭ বছরের বেশি সময় ধরে আশ্রয়রত এসব রোহিঙ্গারা বছরে দুটি করে (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযাহা) ১৬টি ঈদ কাটিয়েছেন এই ক্যাম্পে।
সোমবার সকালে ৮ টার পর উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় করেছে তারা।
এদের রাখাইনে মিয়ানমার সেনাদের চালানো নির্যাতনের বিভীষিকা আর অভাবের দাপটে এই উৎসবের রং সেখানে অনেকটাই বিবর্ণ।
রোহিঙ্গা শিবিরে ঈদের নামাজ আদায়ের পর কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন ইমাম ও মুসল্লিরা। মোনাজাতে অংশ নেয়া মুসলিমরা নির্যাতনের বিচার চেয়ে ও বাংলাদেশে সরকার-জনগনের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে নিজ দেশ মিয়ানমারে মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।
এদিকে সম্প্রতি ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গা যেন আগামী ঈদ নিজেদের মাতৃভূমিতে উদযাপন করতে পারে-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া গতকাল রোববার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ইউনূস।
এ বিষয়ে টেকনাফের লেদা শিবিরের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘সাত বছর হতে চলছে। তবুও আমাদের কোনো কূল-কিনারা হচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের ঈদের আনন্দ বলতে কিছু নেই। আমরা 'খোলা কারাগারে' কষ্টের জীবন যাপন করছি। আমাদের বন্দিশালা থেকে মুক্ত করতে ডক্টর ইউনুস সরকার এসেছে। এটার জন্য আমরা বেশি খুশি এবং আনন্দিত। ডক্টর ইউনুসের কথায় আমরা আশাবাদী। আগামী বছর নিজ দেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবো। '
তিনি বলেন, 'ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা যেন আগামী ঈদ নিজেদের মাতৃভূমিতে উদযাপন করতে পারে-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, সেটা শুনে আমাদের মাঝে নিজ দেশে ফেরার স্বপ্ন আলোর মুখ দেখছে। বিশেষ করে ঈদের নামাজে দোয়া চেয়েছি এ ঈদ যেন শেষ ঈদ হয় এদেশে (বাংলাদেশ)। আগামীতে যেন আমাদের ঈদ আরাকানে হয় এমন প্রত্যাশা আমাদের।'
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনা নির্যাতনের ফলে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে তখন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা এসেছিল। বর্তমানে পুরানোসহ উখিয়া ও টেকনাফের ৩২টি শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
শরণার্থী জীবনে “টাকা-পয়সা নাই, চলাফেরার সুযোগ নাই,” মন্তব্য করে মংডু থেকে আসা টেকনাফের জাদিমুড়া ক্যাম্পের বসবাসকারী রশিদ আহমেদ (৭২) বলেন, “আমরা দেশে যেভাবে ঈদ করতাম, এখানে সেভাবে ঈদ করতে পারিনি। কারণ সবকিছুর পরও এটা আমাদের দেশ না। এই জন্য আমাদের কোনও আনন্দ নেই। কোথাও বের হতে ভয় লাগে। বিশেষ করে সেদেশে (মিয়ানামারে) আমাদের শৈশবের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আছে সেখানে বাপ-দাদাসহ অনেক স্বজনদের কবর।'
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের দিন উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে শিশুরা সকাল থেকেই সেজেগুজে, নতুন জামা-কাপড় পরে ক্যাম্পের রাস্তায় হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দে মেতে উঠেছে।
শিশুদের জন্য টেকনাফের লেদা-জাদিমুড়াসহ কয়েকটি জায়গায় নাগরদোলা, চড়কিসহ মিনি মেলা বসেছে। এর আয়োজক নুর কামাল বলেন, এই মেলা কমপক্ষে তিন দিন থাকবে। এখানে শিশুরা এসে খুব আনন্দ উপভোগ করছে।
টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ নুর বলেন, মিয়ানমারে অনেক আনন্দের ঈদ ছিল আমাদের। কিন্তু এখানে আমাদের সে খুশির ঈদ হয়না। এখানে মেহমান হিসাবে আছি। দেশে (মিয়ানমারে) ঈদ করে মা বাবার কবর জিয়ারত করতে পারতাম, নিজ মহল্লার মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারতাম। সেটি এখানে সম্ভব হচ্ছে না। নিজ দেশে চলাচল করতে ভয় ছিলনা,।
তিনি বলেন, ' ১৪ মার্চ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইফতার মাহফিলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী ঈদ নিজ দেশে উদযাপন করতে পারবে-তাদের এমন কথা শুনে আমাদের মন কেঁদে উঠে আরাকানের জন্য। আশা করছি তাদের এমন আশ্বাস আমাদের সাহস জোগায়। কেননা আমাদের খাদ্য সহতায় সংকট নিয়ে বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু তাঁরা (প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস) যাওয়ার পর পরই সমাধান হয়েছে। তাই দেশে ফেরা নিয়ে তাদের কথা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি খুব। '
রোহিঙ্গাদের মতে, কক্সবাজারের ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ১৩৫০টি মসজিদ ও ৯৫০টি নূরানি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মত্তব) রয়েছে। এসব মসজিদ ও নূরানি শিক্ষা প্রতিষ্টানে (আজ) ঈদের নামাজ আদায় করেছেন শরণার্থী রোহিঙ্গারা।
জানতে চাইলে ১৬ -এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি কাউসার সিকদার বলেন, 'রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা ঈদ উদযাপনে মেতে উঠেছেন। তবে কেউ যাতে ক্যাম্প থেকে বাইরে না যায়, সেজন্য তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ক্যাম্পে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকেও নজরদারি রাখা হচ্ছে।'
ঈদের দিন সকালে চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৬ জন। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার জাঙ্গালিয়া মাজার গেট এলাকায় সৌদিয়া পরিবহনের বাসের সঙ্গে একটি মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে লোহাগড়া ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয়ও জানা যায়নি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় এয়ারপোর্টগামী মাইক্রোবাসে ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সে। তার কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৭৯০ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আটককৃত ছিনতাইকারীর নাম বিল্লাল হোসেন ওরফে ফারদিন (২৩)। সে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে।
গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত পৌণে তিনটার দিকে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য ফারদিনকে ধরতে বালুয়াকান্দি গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে। তার কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোবাইল ফোন এবং ছিনতায়ের নগদ ৪৭৯০টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
খবর নিয়ে জানা যায়,শুক্রবার ( ২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্টগামী একটি মাইক্রোবাস থেকে ৩টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তিন ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসটির চালক রাজু বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, 'এ ঘটনায় ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছি আমরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আমাদেরকে জানিয়েছে তারা চারজন ছিলো। একজন সিএনজি নিয়ে অপেক্ষা করছিল আর তিনজন সরাসরি ছিনতাইয়ে অংশগ্রহণ করে। বাকি আসামি আটকে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ময়মনসিংহে বাসচাপায় অটোরিকশায় থাকা মা ও দুই মেয়েসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
আজ রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরীপুর উপজেলার সাহেব কাচারি চন্দ্রপাড়া মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—গৌরীপুর উপজেলার দুর্বাচর নামাবাড়ির ওবায়দুর রহমান আকন্দের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৯৫), গৌরীপুর উপজেলার ভাঙনামারি চরের মানিক মিয়ার স্ত্রী মোসাম্মৎ দিলরুবা (৪০), দিলরুবার দুই মেয়ে রীতি (১৪) ও প্রীতি (৭)।
আহতরা হলেন— ভাঙনামারির নজরুল ইসলামের স্ত্রী শ্যামলী (২০) ও মোহাম্মদ মানিক মিয়ার মাহি (১৪)। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মাজাহারুল আনোয়ার এই দুর্ঘটনার সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী একটি বাস গৌরীপুরগামী একটি যাত্রীবাহী অটোরিকসাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খুলনার সোনাডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা গোলাগুলির পর ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও গুলি।
শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার পর সোনাডাঙ্গা থানার আরামবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান।
গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য, নৌবাহিনীর একজন সদস্য এবং চার সন্ত্রাসী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এসি আজম খান জানান, আরামবাগ মসজিদের অপর পাশে একটি বিল্ডিংয়ে কালা লাভলু সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে—গোপন সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক পুলিশ সদস্য আহতও হন।
পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি চলার একপর্যায়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান শেষ হয়। এ সময় ১১ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, একটি একনলা শটগান, একটি কাটা বন্দুক, একটি চাইনিজ কুড়াল, কয়েক রাউন্ড গুলি ও সাতটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আটক সন্ত্রাসীদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ ছিল। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ৩ জন পুলিশ সদস্য ও নৌবাহিনীর একজন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের পুলিশ হাসপাতালে এবং নৌবাহিনীর সদস্যকে নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক সন্ত্রাসীরা হলেন— শেখ পলাশ, কালা লাভলু, আরিফুল, ফজলে রাব্বি, শরীফ, ইমরানুজজান, রিপন, ইমরান, সৈকত রহমান, সহিদুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানী।
ঝিনাইদহে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত ফজলু শেখ (৫৫) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত কিয়াম উদ্দিনের পুত্র।
আজ রোববার (৩০ মার্চ) ভোর ৬টায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালা বাজার সংলগ্ন ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরাপপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই একেএম হাসানুজ্জামান জানান, নিহত ফজলু শেখ আজ ভোরে বায়না অনুযায়ী গরুর গোশত কেটে দেয়ার জন্য গরুসহ স্যালোমেশিন চালিত নসিমন যোগে ঝিনাইদহ শহরে যাচ্ছিলেন। পথে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের কালা বাজারের কাছাকাছি পৌঁছলে একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নসিমনকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফজলু শেখ চাপা পড়ে নিহত হন।
আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বাসসকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভোরের দিকে ঘটনাটি ঘটার কারণে ঘাতক ট্রাকটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে ট্রাকটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামে রোববার ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে।
জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরসহ ১১টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লী ঈদ উদযাপন করছে।
সকাল ৮টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় ও নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় ঈদের অনেকগুলো জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় ইমামতি করেন মাওলানা রুহুল আমিন । এসব গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লী পৃথক পৃথকভাবে স্ব স্ব ঈদ গাঁ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মাওলানা ইসহাক (রাঃ) অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদিনার সাথে সঙ্গতি রেখে ঈদসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। এসব গ্রামের মুসল্লীরা গত ৪১ বছর যাবত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উ দযাপন করে আসছেন।