ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। যারা এবার নির্বাচিত হলেন:
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) : নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু বিপুল ভোটে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১৪২১ ভোট। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান জয়ী হয়েছেন। তালা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৪৩০০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীক নিয়ে ২৫১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রোকসানা।দোহার উপজেলায় আলমগীর হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭,৫৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সোহাগ (তালা প্রতীক) নিয়ে ৪৯ হাজার ৭৪৬ ভোট এবং মহিল ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা আক্তার বিথী (হাঁস প্রতীক) নিয়ে ৩০ হাজার ৬৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
নরসিংদী: নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. ওয়ালিউর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আঞ্জুমান বেগম জিয়ী হয়েছে।
এ ছাড়া পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সৈয়দ জাবেদ হোসেন চেয়ারম্যান নির্বিাচিত হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কারী উল্লাহ সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেলিনা আক্তার বিজয়ী হয়েছে। এ নিয়ে সৈয়দ জাবেদ হোসেন তিনবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।
চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালকুদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা আক্তার আঁখি নির্বাচিত হন। তবে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শওকত হোসেন বাদল। মতলব উত্তরে ঘোড়া প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক (আওয়ামী লীগ)।
এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ নির্বাচিত হন। তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন লাভলী চৌধুরী।
গাজীপুর: গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেলায়েত হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোজাম্মেল হক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েনা আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. আমানত হোসেন খান নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাফিজুল হক চৌধুরী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বিজয়ী হয়েছেন।
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আবদুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ। অন্যদিকে মধুপুর উপজেলায় জয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী।
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতিকের সায়েদুল ইসলাম। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. রমিজ উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন আনোয়ারা খাতুন।
হরিরামপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দেওয়ান সাইদুর রহমান। ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. বিল্লাল হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন শামিমা আক্তার চায়না।
ফরিদপুর: কারাগারে থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সামচুল আলম চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট।
রাজবাড়ী: প্রথম ধাপে রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।
পাংশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৪ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফরিদ হাসান ওদুদ ৩৫ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
অপরদিকে কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া অপর তিন প্রার্থীর মধ্যে এনায়েত হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ২ হাজার ৯০০ ভোট, এ বি এম রোকনুজ্জামান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪১ ভোট ও মাসুদুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অলিউল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর আজকের নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ছিল না।
মধুখালী উপজেলায় দোয়াতকলম প্রতীকে মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান ২৯ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। চরভদ্রাসনে আনারস প্রতীকে আনোয়ার আলী মোল্লা ১৬ হাজার ১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
মাদারীপুর: মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান আসিব। আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৭৫৫৯৪।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া তালা প্রতীকে ৬০ হাজার ১০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকের ফারিয়া হাসান রাখি ৫৬ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা মোসা. নাননী খান।
রাজৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৩ হাজার ৭শ ৪১ ভোট পেয়ে মোহসিন মিয়া বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একেএম ইসমাইল হক, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলমগীর ফকির ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাজিয়া সুলতানা মনি বিজয়ী হয়েছেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ওয়াছেল কবির গুলফাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আজাহারুল ইসলাম গাজী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রোকসানা আনোয়ার বিজয়ী হয়েছেন।
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বিশিষ্ট আইটি ব্যবসায়ী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা কামরুজ্জামান ভূঁইয়াবেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ৩১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়েছেন। কোটালীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস ৪০ হাজার ২৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতীক দোয়াত-কলম। দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ নির্বাচত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ সোহেল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে ২৩ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তিনি।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ আল আমিন (অপু) বিজয়ী হয়েছেন। টিউবওয়েল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ৪৯ হাজার ৫২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ছাবিয়া পারভীন জেনি।
বরিশাল: রিটার্নিং কর্মকর্তা বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সী জানান, সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের আব্দুল মালেক। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮০৭ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন। তিনি তালা প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৯৩৭ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট হালিমা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫৩৫ ভোট।
বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন রাজিব আহম্মদ তালুকদার। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৬৫ ভোট। তার মা পারভীন তালুকদার আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবদুস সালাম মল্লিক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা মাহাবুব নির্বাচিত হয়েছেন।
পিরোজপুর: পিরোজপুরের ৩ উপজেলায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। জেলার সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ওই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেন।
ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের মো. রফিকুল ইসলাম, এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পদ্মফুল প্রতীকের শাহানাজ পারভীন (শানু)।
নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এসএম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে চশমা প্রতীকের শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু , এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সেলাই প্রতীকের আলো শিকদার। ইন্দুরকানীতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল আহসান গাজী। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের মাহমুদুল হক দুলাল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের দিলারা পারভীন।
নোয়াখালী: নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলায় পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী (আনারস) ৩৭,৬৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত।
ফেনী: ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭,৬৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন মজুমদার।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১,০৮৯ ভোট পেয়ে টিয়া পাখি মার্কার প্রার্থী আমজাদ হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনিল বনিক তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরা আজিজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মেহেরপুর: মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৬৫২ ভোট পেয়ে বিএম জাহিদ হাসান রাজিব ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং কলস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৫৮ভোট পেয়ে মোছা. তকলীমা দ্বিতীয়বারের মতো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে আনারুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চশমা প্রতীক নিয়ে ৩৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আবুল হাসেম ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ৬৪৬ ভোট পেয়ে লতিফন নেছা লতা দ্বিতীয়বারের মতো ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কুষ্টিয়া: আনারস প্রতীকে ৬৭ হাজার ৪৮১ ভোট পেয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আতাউর রহমান আতা নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীকে ২৫ হাজার ১০১ ভোট পেয়ে খোকসা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মামুস মুর্শেদ শান্ত।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. সাহাবুদ্দিন মিয়া ৩৫ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন নুর জাহান পারুল।
কক্সবাজার: কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার। নুরুল আবছার পেয়েছেন ৩৪৯৭৪ ভোট। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার চারবারের টানা চেয়ারম্যান (মেয়রের আগের পদ) ছিলেন।
কুমিল্লা: কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ ভূইয়া বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপরদিকে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। এছাড়া মেঘনা উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম তাজ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ভোটের মাঠে নতুন মুখ অধ্যাপিকা রোমেনা আকতার। তিনি পেয়েছেন ৩৬,৫৪২ ভোট।অন্যদিকে এ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রশিদ মিয়া। মহেশখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। তিনি পেয়েছেন ৩৮১২৯ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু ছালেহ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মনোয়ারা কাজল। কুতুবদীয়ায় ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭৩৯৪ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামির আকবর খান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা আকতার বিউটি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন।
রাঙামাটি: রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সামশুদ্দোহা চৌধুরী রড ২৩ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্ধী না থাকায় লাথোয়াই মারমা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিংবাইউ মারমা ২১ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রাঙামাটি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে অন্ন সাধন চাকমা ১৪ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে পলাশ কুসুম চাকমা ১১ হাজার ৪৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিতা চাকমা ২০ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি: প্রথম ধাপে খাগড়াছড়ির চারটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষীছড়ি ছাড়া অন্য তিন উপজেলা রামগড়, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গায় শান্তিপূর্নভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. আলী হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মোছা. আমেনা বেগম।
রামগড়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন আনারস প্রতীকের বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে মোবারক হোসেন এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে নাছিমা আহসান নীলা নির্বাচিত হয়েছেন।
মানিকছড়িতে আনারস প্রতীকে পুনরায় চেয়ারম্যান হয়েছেন জয়নাল আবেদিন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন চলাপ্রু মারমা নিলয়। এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নূর জাহান আফরিন লাকি।
বান্দরবান: বান্দরবান সদরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুছ।উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে ১৩ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ফারুক আহমেদ ফাহিম। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহাইনু মারমা ১৭ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতীক প্রজাপতি।
অন্যদিকে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে নয় হাজার ৭০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জামাল উদ্দিন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ রিটন নয় হাজার ১৪৬ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিন আক্তার আট হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়া: সারিয়াকান্দিতে এমপিপুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজল (প্রতীক: আনারস), সোনাতলায় এমপির ছোট ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটন (প্রতীক:আনারস) এবং গাবতলীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অরুণ কান্তি রায় সিটন (প্রতীক: ঘোড়া) নির্বাচিত হয়েছেন।
আনারস প্রতীকে অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটন ২০ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে পুণরায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ নেতা ফিদা হাসান টিটু এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ওয়াছিয়া আকতার লুনা নির্বাচিত হয়েছেন।
সারিয়াকান্দির চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে সাখাওয়াত হোসেন সজল ৩৭ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। গাবতলীর চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে অরুণ কান্তি রায় সিটন ৪১ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ: আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৮৯৭ ভোট পেয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. রিয়াজ উদ্দিন।কাজিপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আবার বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৫ হাজার ১৩১ ভোট।
বেলকুচি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪হাজার ৮৪১ ভোট। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সিলেট: ভোট গণনার পর রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার জিল্লুর রহমান বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলে সিলেট সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, দক্ষিণ সুরমায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এবং বিশ্বনাথ উপজেলায় জেলা বিএনপি সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।
কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. সাইফুল ইসলাম ১৮ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতীক উড়োজাহাজ।
আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. হাসিনা আক্তার ফুটবল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. বদরুল ইসলাম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো.মাহবুবুর রহমান ১৯ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতীক মাইক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্ম ফুল প্রতীকে ২০ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আইরিন আক্তার কলি।
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় (দোয়াত কলম) প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ বি এম মনসুর সুদীপ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছবি চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র প্রার্থী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম।
এ ছাড়া হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উত্তর জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।
নেত্রকোনা: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান নীরা (সাদ্দাম আকঞ্জি)। তিনি এর আগে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৫৫ ভোট।
জুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কিশোর রায় চৌধুরী মনি বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন মিয়া কাপ পিরিচ প্রতীকে ১৫ হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
যশোর: যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৬৬।
রাজশাহী: কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে রাজশাহীর তানোর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
এ দিকে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. বেলাল উদ্দিন সোহেল। তিনি উপজেলার দেওপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রাবেয়া খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন। মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ৫৪ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়ে আমজাদ হোসেন লাভলু নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী জলি আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।
নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক (জোড়াফুল প্রতীক) মো. রবিউল ইসলাম।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. খালেদ মাহমুদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ হাজার ৮১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. রিনা পারভিন।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৪ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম রমজান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে মো. শরিফুর রহমান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামরুন্নাহার নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে আনিছুর রহমান লিখন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা হক রোজী নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হন দেলোয়ার হোসেন।
নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় ভাতিজাকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ২৯০ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে উত্তম কুমার রায় এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আয়েশা সিদ্দিকা। ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আক্তার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ৩৯ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক (কল্যাণ ও পুনর্বাসন)।
লক্ষ্মীপুর: কমলনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় নেতা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৩০ ভোট। চশমা প্রতীকে ২৮ হাজার ১০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে সালেহ উদ্দিন রাজু৷ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাজেদা আক্তার সুমি কলস প্রতীকে ৩১ হাজার ৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়েছেন তিনি। আজাদ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবু সাঈদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে ৬৩ হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মো. সফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বই প্রতীকের মো. মোমিনুল ইসলাম। এ ছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শীমা আক্তার।
হরিপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে মো. আব্দুল কাইয়ুম পুস্প ৩২ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল ইসলাম সকার টিউবওয়েল প্রতীকে ৪১ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. আসিয়া বেগম কলস প্রতীকে ৩৬ হাজার ২১৮ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে আলি মুনছুর বাবু নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শফিউল কবীর ইউসুফ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানিয়া খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাচনে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান (কাপ-পিরিচ) বেসরকারিভাবে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেনুকা আক্তার রিতা নির্বাচিত হয়েছেন।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলা উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন সুলতানা সাথী নির্বাচিত হয়েছেন। পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদে টানা চতুর্থবারের মতো বেসসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রুহুল আমিন বাবুল। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেজওয়ানা পারভীন নির্বাচিত হয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত উপজেলা সহ-সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মো. কামাল উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা যুলীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. শাহাজাদী বিশ্বাস বিজয়ী হন।
অপরদিকে নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কাদের। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কামাল উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শামীমা খাতুন লিপি।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাইদ উজ জামান সাইদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শের আলম। এ দিকে নাসিরনগর উপজেলায় প্রথমবারের মতো নারী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার।
মাগুরা: মাগুরা সদর উপজেলায় মো. রানা আমির ওসমান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮৩ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।অন্যদিকে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শরিয়তউল্লাহ হোসেন মিয়া রাজন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে শিবলী নোমানী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিকুজ্জান রাসেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহনাজ পারভীন বিজয়ী হয়েছেন।
নড়াইল: নড়াইললের কালিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চিংড়ী মাছ প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৬৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খান শামীম রহমান ওছি। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ১৯ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. মাহাবুবুল আলম।
ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৪২ হাজার ৪৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোসা. ববিতা খানম।
বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কচুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সুমন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হনুফা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন।
রামপাল উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক লিপন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসাম্মাৎ হোসনেয়ারা (মিলি) পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া এ জেলায় প্রথম ধাপে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন, চেয়ারম্যান পদে বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান খান রেজাউল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাগেরহাট পৌর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন।
পঞ্চগড়: পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এএস মো শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৯৮টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৭টি।
তেঁতুলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন খাঁন। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৪০টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৬৫টি ভোট।
অপরদিকে আটোয়ারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮৭টি।
জেলার তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৩ জন। তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১৫৬টি ও বুথ ১ হাজার ২১৬টি। তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী ভোট লড়াই করেছেন।
দিনাজপুর:উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দিনাজপুরে তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার হাকিমপুর উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. কামাল হোসেন রাজ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন উর রশীদ হারুন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট।
ঘোড়াঘাট উপজেলায় কাজি শুভ রহমান চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সারোয়ার হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৮৪ ভোট।
বিরামপুর উপজেলায় মো. পারভেজ কবির ঘোড়া প্রতীকে ৪২ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৭ভোট।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার দোয়াত কলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৩৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকসেদ আলী মণ্ডল মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
রংপুর: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯৪৮ ভোট।
অন্যদিকে কাউনিয়া উপজেলায় পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম মায়া। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৭১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের আব্দুর রাজ্জাক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।
কুড়িগ্রাম:কুড়িগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রৌমারীর মো. শহিদুল ইসলাম শালু কাপ পিরিচ, চিলমারীর রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস ও রাজিবপুরের মো শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
শহিদুল ইসলাম শালু রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়েছেন। রৌমারী উপজেলায় মোট ৬১টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার।
চিলমারীতে রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিলমারী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম লিচু কাপ পিরিচ প্রতীকে ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। রেজাউল করিম লিচু চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৪ জন।
রাজিবপুরে মো. শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর রনি তালুকদার রানা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৬ ভোট। নির্বাচিত শফিউল আলম কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাবনা: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে পাবনার তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীন (আনারস) পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট।
সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা খোকন (কাপ-পিরিচ) ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল (আনারস) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। আর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজলা আ'লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৪ ভোট।
বেড়ায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু (হেলিকপ্টার) ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। এই উপজেলার আরেক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফজার হোসেন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬২২ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, পাবনার তিনটি উপজেলা কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই অবাধ নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। সুষ্ঠু ভোট করতে যারা সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
যশোর: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে যশোরে দুইটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের মফিজুর রহমান ১৮ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শালিক প্রতীকের নাসিমা আকতার সাদেক পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৬ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩২ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের রাবেয়া ইকবাল ৩৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কেশবপুরে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস মার্কায় ৫৯ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৭১৮ ভোট। এছাড়া এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় কাজী জলি আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যান পদে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আনারস প্রতীকের মো. সফিকুল ইসলাম ও হরিপুরে মোটরসাইকেল প্রতীকের মো. আব্দুল কাইয়ুম নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে রাত ১০টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. দলিল উদ্দিন। অপরদিকে হরিপুর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আব্দুল মান্নান।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বই প্রতীকের মো. মোমিনুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শীমা আক্তার।
হরিপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল ইসলাম সকার টিউবওয়েল প্রতীকে ৪১ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. আসিয়া বেগম কলস প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন।
সকাল থেকেই গ্রামের বাতাস ভারী। মসজিদের মাইকে বারবার ভেসে আসছে সেই ঘোষণা- ‘কোয়েলহাট পূর্বপাড়া নিবাসি রাকিব উদ্দীনের দুই বছরের শিশু সন্তান সাজিদ মারা গেছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার নেককিড়ি কবরস্থানের সামনের ফাঁকা মাঠে জানাজা শেষে নেককিড়ি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’
সবাই গ্রামের রাস্তা ধরে গায়ে পাঞ্জাবি জড়িয়ে মাথায় টুপি দিয়ে আসছেন সাজিদের বাড়ির দিকে। তারা একবার দেখতে চান সেই নিষ্পাপ মুখটা, যে মুখে প্রতিদিন হাসি ছিল, আজ সেখানে নিস্তব্ধতা।
জানাজার মাঠে মানুষের ঢল নামে সকালেই। গ্রামের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া ছেলেরা সবার চোখ ভেজা। কারও কণ্ঠে ফিসফিস, ‘আল্লাহ, এমন মৃত্যু যেন কেউ না পায়।’ সাজিদের ছোট্ট দেহটি যখন সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় আনা হলো, তখন কান্নার রোল পড়ে গেলো চারপাশে। তার মা-বারবার ছুটে আসতে চাইছিলেন; করছেন আহাজারি। লোকজন ধরে রেখেছিল তাকে, কিন্তু কান্না থামাতে পারেনি কেউ।
জানাজার নামাজের ইমাতি করেন কাজী মাওলানা মিজানুর রহমান। ইমাম সাহেব জানাজা শেষে যখন তাকবির দিলেন, মানুষ হাত তুললো দোয়ার ভঙ্গিতে। হাজারো কণ্ঠে দোয়া অনুষ্ঠিত হলো। সবাই মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেন সাজিদের জন্য। একই সঙ্গে তার পরিবারকে আল্লাহ যেন ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করেন– এমন দোয়াও সবাই করেছেন।
জানাজা শেষে সাজিদের ছোট্ট কফিনটা যখন কবরের দিকে নেওয়া হলো, তখন বাতাস যেন থেমে গেলো, শুধু শোনা যাচ্ছিল কান্নার শব্দ। কান্না করছেন স্বজনরা। একটি শিশুর জানাজায় অংশ নিয়েছে পুরো গ্রাম– এমন দৃশ্য কখনও দেখেননি গ্রামবাসী।
এর আগে গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ১৮৮০ সালের এইদিনে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া এই নেতার জীবনের বড় অংশই কেটেছে টাঙ্গাইলের সন্তোষে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন কিংবদন্তী। কাগমারী সম্মেলন থেকে ফারাক্কা লং মার্চ- সবকিছুতেই তিনি রেখে গেছেন সুদূরপ্রসারী ছাপ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভাসানী ১৪৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।
এদিন সকাল ৯ টার দিকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আবু জুবাইর, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. ইমাম হোসেন, রেজিস্ট্রার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. সাজ্জাদ ওয়াহিদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদীর ওপর দুর্বৃত্তদের গুলির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিক্ষোভ মিছিলটি ডাকসু ভবনের সামনে থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা- ‘আমরা সবাই হাদী হব, গুলির মুখে কথা কবো’, ‘হাদীর বুকে গুলি চলে, প্রশাসন কি করে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সমাবেশে হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল সংসদের ভিপি সাদিক শিকদার বলেন, সহস্র শহিদের বিনিময়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি সেই বাংলাদেশ যাদের কাছে দিয়েছি সেই ইন্টেরিম সরকার জুলাই বিপ্লবীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা হাদীর ওপর গুলি করা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার চাই। তিনি বলেন, এক ওসমান হাদীর মৃত্যু হবে, লক্ষ হাদী জন্ম নেবে। আমরা শহীদ তিতুমীরের বংশধর।
ডাকসুর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস এম আল মিনহাজ বলেন, ওসমান হাদী ভাইয়ের ঠিক কানের নিচে টার্গেট করে পেশাদার শ্যূটার দিয়ে গুলি করা হয়েছে। হাদীর চিকিৎসা নিয়ে কোনও ধরণের ষড়যন্ত্র যেন না হয় তা নিয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দিন খান বলেন, ওসমান হাদীর সংগ্রাম মূলত আমাদের সংগ্রাম। ওসমান হাদীর সংগ্রাম জুলাইয়ের সংগ্রাম। তিনি শরীফ ওসমান হাদীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
সাধারণ গ্রামীণ জনগণকে ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে ‘ভিলেজ কোর্ট’ তথা ‘গ্রাম আদালত’ ব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বিরোধ নিষ্পত্তিতে কুড়িগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই আদালত। গত এক বছরে জেলায় এই আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ৮৫২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। যার ৪০ ভাগ বিচারপ্রার্থী নারী। বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বি এম কুদরত-এ-খুদার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক দৌলতুন্নেছার সঞ্চালনায় সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।
স্থানীয় অংশীজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় জানানো হয়, গত এক বছরে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম আদালতে ৩ হাজার ৮৫ জন আবেদনকারী মামলা করেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৫২টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। এর মধ্যে সরাসরি ইউপিতে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৮। আর জেলা আদালত থেকে ৩২৭টি মামলা গ্রাম আদালতে পাঠানো হয়। বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে ৬৫৩ জন নারী গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার পেয়েছেন যা মোট বিচারপ্রার্থীর প্রায় ৪০ ভাগ। এ ছাড়াও গত এক বছরে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ৩৪ হাজার ৬২০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
তবে প্রচারণার ঘাটতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের অসহযোগিতার কারণে এই ব্যবস্থা চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে সভায় মত প্রকাশ করেন অংশীজনরা। বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং মামলার আসামি হয়ে পলাতক থাকায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ এখনও এই আদালতের কার্যক্রম, পরিধি এবং সুফল সম্পর্কে অবগত নয়। ফলে গ্রাম আদালতের লক্ষ্য অর্জন বিলম্বিত হচ্ছে। আদালতের কার্যক্রম আরও বেগবান ও ফলপ্রসূ করতে সভায় মতামত তুলে ধরা হয়।
অংশীজনরা মতামত তুলে ধরে বলেন, ‘প্রচলিত আদালতে মামলা জট কমিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালত অসাধারণ ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এই আদালতের কার্যক্রম বেগবান করতে আদালতের সদস্যদের জন্য সম্মানীর ব্যবস্থা রাখা, গ্রাম আদালত যেসব অভিযোগের বিরোধ নিষ্পতি করতে পারে সেসব অভিযোগ থানায় এবং আদালতে না নিয়ে গ্রাম আদালতে পাঠানো, বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত তাগাদা দেওয়াসহ আদালতের কার্যপরিধি ও সুবিধা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে।’
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন কাঠামো ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ‘গ্রাম আদালত অর্ডিনেন্স ১৯৭৬’-এর বিধানের আলোকে গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে কতিপয় ফৌজদারি ও দেওয়ানী বিরোধের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত অনধিক তিন লাখ টাকা মূল্যমানের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে। এই আদালতে আইনজীবী নিয়োগের বিধান নেই।
এই সমস্যার সমাধানকল্পেই স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউএনডিপি মিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতায় গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুবিচার প্রাপ্তিতে কাজ করছে অ্যাক্টিভেটিং ভিলেজ কোর্টস অব বাংলাদেশ তথা গ্রাম আদালত প্রকল্প। ২০০৯ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় সরকার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির এই ব্যবস্থাটি সারা দেশে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে পরিচালিত প্রকল্পটি বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। এতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বগুড়ায় আদালত হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আদালতে কর্মরত সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় পকেটমার শাহীন ওরফে মিরপুর (১৯)। শাহীন শহরতলীর সাবগ্রাম (চানপুর) এলাকার নুর আলমের ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে শহরের থানারোড এলাকায় পকেটমারার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে মারধর করে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। ভুক্তভোগীরা কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় বৃহস্পতিবার তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। জামিন না হওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় এবং তাকে আদালত হাজতখানায় রাখা হয়। সন্ধ্যায় প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় কৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশের সামনেই দৌড়ে পালিয়ে যায় শাহীন।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হাজতখানার ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম হোসেন, সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন এবং কনস্টেবল আব্দুল জলিল, শহীন মিয়া ও গোলাম মোস্তফাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শহরতলীর সাবগ্রাম এলাকা থেকে শাহীন ওরফে মিরপুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তেঁতুলিয়া উপজেলাসহ জেলার আশপাশের এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মত বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে সপ্তাহ জুড়ে ১০ এর ঘরেই ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
এদিকে ভোরের দিকেই সূর্যের মুখ দেখা গেলেও হিমালয় থেকে বেয়ে আসা বাতাসের কারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে স্থানীয়দের। রাতের তাপমাত্রা কমে দ্বিতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ফলে শীতের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশা নেই। হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও ভোরের দিকেই সূর্যের দেখা মিলে। সকালে ঝলমলে রোদ ছড়িয়ে পরলে কমতে থাকে শীতের তীব্রতা। শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রতিদিন বিকেলের পর থেকে উত্তরের হিমেল বাতাস আর হালকা কুয়াশার কারণে কনকনে শীত অনুভূত হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়া এবং এর আশেপাশের এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, আরও ২ থেকে ১ দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
চাঁদপুরের বড়স্টেশন মাছঘাটে ফের আকাশছোঁয়া ইলিশের দাম। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ছুটির দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘাটে আসা ক্রেতারা ইলিশের দাম শুনে হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে ইলিশের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম অতিরিক্ত বেশি রাখায় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে ইলিশ।
ঢাকা থেকে বড়স্টেশন মাছঘাটে আসা ক্রেতা ফাহিম হাসান ও নুর উদ্দিন বলেন, সাধারণ বাজারদরের সঙ্গে এই দামের কোনো মিল নেই। অনেকেই ধারণা করছিলেন, ছুটির দিনে সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমবে, কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো ইলিশ আরও দুর্লভ ও দাম আরও বেশি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক-দেড় মণের বেশি ইলিশ সরবরাহ হয়নি।
ইলিশ বিক্রেতা সম্রাট বলেন, ইলিশ মৌসুম না থাকায় নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। এর জন্য বাজারে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে গেছে। সারাদিন মাত্র ২-৩ পিস বড় ইলিশ বিক্রি হয়। এক কেজি ওজনের ইলিশ ৪ হাজারের ওপরে বিক্রি হয়। আর তার নিচেরগুলো ৩ হাজার ৫০০ থেকে, ৩ হাজার ৭০০ টাকা।
উদ্যোক্তা ইকবাল বাহার বলেন, এই বছরে ইলিশের সরবরাহ খুম কম হয়েছে। শুরু থেকে দাম বেড়েছে, যা আর কমেনি। এখন রেকর্ড দাম ইলিশের। দাম দিয়ে সবার কেনার সক্ষমতা নেই। ক্রেতারা ঘাটে এসেও ইলিশ কিনতে পারছেন না। চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনার তাজা ইলিশ এখন নেই বললেই চলে। আবার মৌসুম শুরু হলে দাম কমতে পারে।
ফেনীতে বিভাগীয় ইজতেমায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো মুসল্লি। নামাজ শেষে মোনাজাতে মুসলিম উম্মার শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়কের বিরিঞ্চি ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন মাঠে বৃহৎ এ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার কার্যক্রম।
জানা যায়, ইজতেমায় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগমের সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের জন্য রাণীরহাট এলাকায় মাঠজুড়ে শামিয়ানা টাঙানো, পানির লাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগ, সাইকেল গ্যারেজসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। বিশাল আয়তনের এ মাঠে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা শামিয়ানার নিচে অবস্থান নিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা ছাড়াও ভারত, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মেহমানরা এতে অংশ নেন।
জেলার সর্ববৃহৎ এ জুমার নামাজে ইমামতি করেন তাবলিগ জামাতের কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা আনাস বিন মোজাম্মেল।
এর আগে সকালে বয়ান করেন মাওলানা সাদ অনুসারীদের আমীর, তাবলিগ জামাতের আহলে শুরা ও কাকরাইল মসজিদের শীর্ষ মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম।
আশরাফুল ইসলাম নামে জুমার নামাজে অংশ নেওয়া এক মুসল্লি বলেন, ‘সচরাচর এত বড় জুমার জামাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়না। সেজন্যই ইজতেমায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে জুমার নামাজ পড়েছি। আল্লাহ যে কারোর উছিলায় সবার দোয়া কবুল করবেন আশা করি।’
মাওলানা নুর উদ্দিন নামের তাবলিগ জামাতের এক মুরুব্বি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা, বিভিন্ন দেশের মেহমান ছাড়াও শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) স্থানীয়ভাবে ইজতেমায় মুসল্লিদের ঢল নামে। বিশেষ করে বিশাল ময়দানে একত্রে জুমার নামাজ আদায়ে মুসল্লিরা একত্রিত হন। মাঠে পৌরসভার সহযোগিতায় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার মতো কোনো শক্তি পৃথিবীতে নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর দরবার শরীফ জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে আছেন। যারা আইন হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার চেষ্টা করবে, তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। এছাড়া যারা অনৈতিক দাবি নিয়ে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাদের এই সরকার কঠোর হাতে দমন করবে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা পতিত স্বৈরাচারের পার্টি, তারা নিজেরাই নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। তারা পলিটিক্যালি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করবে, কিন্তু তারা সেটা না করে তাদের সরকার ও তাদের কর্মীরা সবাই রাইফেল পিস্তল নিয়ে নেমেছে বাচ্চাকাচ্চা ছেলেদের খুন করার।
প্রেসসচিব বলেন, তারা ভেবেছিলো অনেক লোককে খুন করলে ১৫ বছর চুপ ছিলো, আরও ১৫ বছর সবাই চুপ থাকবে। এখন নিজেরাই তারা নিজেদের আউট করে দিয়েছে।
শেরপুরে পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যকে জ্বালানিতে রূপান্তর করে তেল উৎপাদনে সফল হয়েছে শেরপুর পৌরসভা ও তরুণ গবেষক তৌহিদুল ইসলামের যৌথ উদ্যোগ। ২০২৪ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চলতি বছরের অক্টোবরে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফল হয়। বর্তমানে প্রতিদিন ১০০–২০০ লিটার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (বেজওয়েল) উৎপাদন করা হচ্ছে। ২০২২ সালে শেরপুরের অষ্টমতলায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডাম্পিং স্টেশনে দেখা যায়, জমা হওয়া বর্জ্যের ৭০–৮০ ভাগই অপচনশীল পলিথিন ও প্লাস্টিক। এই বিপুল বর্জ্যের কারণে ডাম্পিং স্টেশন ভবিষ্যতে টেকসই থাকবে না- এমন আশঙ্কায় নতুন সমাধান খুঁজতে শুরু করে পৌরসভা। পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় পরিবেশবাদী এবং সমাজকর্মীদের পরামর্শে পৌর কর্তৃপক্ষ যুক্ত হন পলিথিন–প্লাস্টিক গবেষক তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে। শুরু হয় বর্জ্যকে জ্বালানিতে রূপান্তরের গবেষণা।
তৌহিদুল ইসলাম, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও এইচএমএস রিসার্চ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট। ছাত্রজীবনে শুরু করা তার গবেষণা তাকে ২০১৮ সালে এনে দেয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক। গত বছর তিনি তেল উৎপাদন মেশিন তৈরির কাজ শুরু করেন এবং সেপ্টেম্বরে প্রস্তুত হওয়া মেশিন অক্টোবরে সফলভাবে তেল উৎপাদন করে। ৩০০ কেজি পলিথিন ব্যবহার করতে সক্ষম মেশিনে প্রতিদিন ১০০–২০০ লিটার বেজওয়েল উৎপাদন হচ্ছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক পরিষ্কার থাকলে তেলের পরিমাণ বাড়ে। এই প্রক্রিয়ায় শুধু তেল নয়, পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস ও কার্বন কয়লাও। রিফাইনারি স্থাপন হলে উৎপাদিত তেল থেকে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল পাওয়া যাবে।
এ পর্যন্ত প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২১ লাখ টাকা। এর মধ্যে পৌরসভার বিনিয়োগ ৫ লাখ এবং উদ্যোক্তার বিনিয়োগ ১৬ লাখ টাকা। বর্তমানে ডাম্পিং স্টেশনে প্রায় ১০০ টন প্লাস্টিক–পলিথিন বর্জ্য মজুত রয়েছে এবং প্রতিদিন নতুন করে জমা হচ্ছে ৭০০-১৩০০ কেজি।
গবেষকের দাবি, ওয়াশিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা গেলে ময়লা অপসারণ করে উৎপাদন দ্বিগুণ করা সম্ভব। ভবিষ্যতে ৩০০ কেজির পরিবর্তে ২ হাজার কেজি ধারণক্ষমতার মেশিন বসালে বড় পরিসরে উৎপাদন সম্ভব হবে। তার লক্ষ্য-২০২৭ সালের মধ্যে শেরপুরকে বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদনে দেশের ‘মডেল জেলা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল কাদের ও পরিবেশবিদ সুজয় মালাকার জানান, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এই উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
শেরপুর পৌরসভার বর্জ্য বিশেষজ্ঞ ও সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করতে পারলে ডাম্পিং স্টেশন টেকসই হবে এবং পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন সম্ভব হবে। তবে বড় পরিসরে উৎপাদন করতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
পৌর প্রশাসক আরিফা সিদ্দিকা বলেন, উদ্যোক্তাদের এই উদ্যোগ শেরপুরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক করবে এবং জ্বালানি খাতেও নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সব পর্যায়ের পরিদর্শনে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
ইতোমধ্যে প্রকল্পের পূর্ণ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সফলভাবে এনপিসিবিএল অপারেশন টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জায়েদুল হাসান। হস্তান্তরের পর থেকে অপারেটররা সিস্টেমটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছেন এবং এ পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি বলেও তিনি জানান। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে রূপপুরের বৈদ্যুতিক কাঠামো ভবিষ্যতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের পূর্ণ প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বর্তমানে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা জাতীয় গ্রিড থেকে রূপপুর সাইটে বিদ্যুৎ গ্রহণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা কমিশনিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রতিদিন জাতীয় গ্রিড থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ এনে সাইটের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিস্টেমের স্থিতিশীল অপারেশন প্রমাণ করছে যে ভবিষ্যতে রূপপুর কেন্দ্র নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ ও একই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করবে। অর্থাৎ যে নেটওয়ার্ক আজ গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছে, ভবিষ্যতে সেই নেটওয়ার্ক দিয়েই দেশকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ দেবে কেন্দ্রটি। এই দ্বৈত সক্ষমতা পুরো প্রকল্পকে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে।
উপপরিচালক ড. খালেকুজ্জামান জানান, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের কমিশনিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে Power Evacuation সংশ্লিষ্ট তিনটি ফ্যাসিলিটি - 00UAB: ৪০০ কেভি জিআইএস Building, 00UAB: ২৩০ কেভি জিআইএস Building এবং 00UAG: অটোট্রান্সফরমার ষ্ট্রাকচার টেম্পোরারি অপারেশনের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। টেম্পোরারি অপারেশনে অন্তর্ভুক্ত করার পূর্বে ফ্যাসিলিটিগুলোর সকল সিস্টেমের Individual Testing I পরিদর্শন যথাযথ কমিশনিং প্রক্রিয়া অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়।
তিনি আরো জানান, টেম্পোরারি অপারেশন গ্রহণের পূর্বে টেষ্ট প্রোগ্রাম অনুযায়ী যেসব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছেঃ ৪০০ কেভি ও ২৩০ কেভি জিআইএস-এর সকল ইন্ডিভিজুয়াল টেস্টিং, ইন্টারলক, প্রোটেকশন ও কন্ট্রোল সিস্টেম টেস্টিং; দুটি অটোট্রান্সফরমারের ইন্সটলেশন রেজিটেন্স, রেশিও টেস্ট, উইন্ডিং রেজিটেন্স, OLTC ফাংশোনালিটি, Relay প্রটেকশন, ইন্টারলক জিইএস কন্ট্রোল সিস্টেম পরীক্ষা; পাওয়ার সাপ্লাই, ভেন্টিলেশন, Instrumentation & Control, ফায়ার ডিটেনশন জিইএস, ওয়াটার-ফায়ার Extinguishing System-এর কার্যকারিতা পরীক্ষা; অবশিষ্ট কাজ শনাক্তকরণ করে Punch List প্রস্তুতকরণ এবং Elimination Deadline নির্ধারণ। সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় ফ্যাসিলিটিগুলো টেম্পোরারি অপারেশনের জন্য গ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা হয় বলে জানান তিনি।
অপারেশনাল ব্যবস্থাপনায় ৫টি শিফটে মোট ২০ জন জনবল নিয়োজিত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি শিফটে রিয়েল-টাইম সিস্টেম মনিটরিং, ওয়াকডাউন, সুইচিং অপারেশন, গ্যাস প্রেসার ও ট্রান্সফরমার প্যারামিটার যাচাই, অ্যালার্ম স্ট্যাটাস পর্যবেক্ষণ এবং জাতীয় গ্রিডের NLDC-এর নির্দেশনা অনুযায়ী পাওয়ার সরবরাহ ও গ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ড. খালেকুজ্জামান জানান, টেম্পোরারি অপারেশন চলাকালে সব সিস্টেম ও সরঞ্জাম স্থিতিশীলভাবে চলছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য অপারেশনাল সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি। সকল প্রোটেকশন, কন্ট্রোল ও সুইচিং সিস্টেম প্রত্যাশিত মান বজায় রেখেছে। শিফট লগ, ইভেন্ট রেকর্ড ও দৈনিক রিপোর্ট যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জায়েদুল হাসান জানান, এ বছর রূপপুর প্রকল্পে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর Pre-OSART Mission সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে। এসব মূল্যায়নে কেন্দ্রের নিরাপত্তা, প্রস্তুতি ও অপারেশনাল সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাশিয়ার Concern RosenergoAtom এবং বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার Self-Inspection কার্যক্রমেও রূপপুর প্রকল্প উচ্চমানের প্রস্তুতি প্রদর্শন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সব মূল্যায়নে ইতিবাচক সাফল্যের ফলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি লোডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জন্য এক নতুন ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা করবে। জ্বালানি লোডিং সম্পন্ন হওয়ার পর কেন্দ্রটি এনপিসিবিএল অপারেশন টিমের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। অপারেশনের প্রাথমিক পর্যায়ে রাশিয়ার পারমাণবিক অপারেটিং সংস্থা Concern RosenergoAtom প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।
তিনি বলেন, রূপপুর প্রকল্পের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার সফল অপারেশন, একের পর এক ইতিবাচক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরিদর্শন এবং জ্বালানি লোডিংয়ের প্রস্তুতি—সব মিলিয়ে কেন্দ্রটি এখন বাংলাদেশের শক্তি নিরাপত্তার এক নতুন আশার প্রতীক। অপারেটরদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে জাতীয় গ্রিডে রূপপুরের বিদ্যুৎ সরবরাহকে আরও নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও স্থিতিশীল করে তুলবে। রূপপুর এখন কেবল একটি প্রকল্প নয়-এটি দেশের উন্নয়ন, আত্মবিশ্বাস ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রতীক।
নানা জাতের মাছ ভোগ করতে না পারায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের তৃণমুলের নেতা নড়াইলের পাতারিয়া বিলের উন্মুক্ত জলাশয়ে বিষ প্রয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এতে প্রায় ১০০ মণ মাছ মারা গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুর্গাপুর-চানপুর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকার মানুষ। এতে এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নড়াইল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আলী, নয়নপুর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান, শাহাবাদ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মুকুল বিশ্বাস, নয়নপুর গ্রামের কৃষক লোকনাথ বিশ্বাস, প্রদ্যেুৎ বিশ্বাস, দুর্গাপুর গ্রামের সুবোধ লষ্কর অনেকে।
সরেজমিন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাতারিয়া বিলের চারপাশে নড়াইল সদর উপজেলার ছয়টি গ্রামের কৃষক পরিবার বসবাস করেন। বেশিরভাগ মানুষ কৃষিপণ্য উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল। গ্রামগুলো হচ্ছে নড়াইল পৌরসভার দূর্গাপুর, বাহিরডাঙ্গা, ডুমুরতলা, সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের নয়নপুর, চানপুর, বিঞ্চুপুর। কৃষকরা তাদের জমিতে দুই ফসল উৎপাদন ছাড়াও বিল ও বিল সংযুক্ত খালের জলাশয়কে মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। সারা বছরই এই খালে পানি ও মাছ থাকে। শুষ্ক মৌসুমে কৃষকরা খালের পানি জমিতে ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করেন। সময় অসময়ে খালের অভয়াশ্রমের প্রাকৃতিক মাছ পারিবারিক কাজে ব্যবহার করে থাকেন।
নড়াইল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আলী খান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর গ্রামের আজিজুর রহমান এককভাবে খাল দখল করে ছিলেন। অন্য কাউকে মাছ ধরতে দিতেন না। তিনি নিজে ইচ্ছামত খালের অভয়াশ্রমের মাছ বেচা-বিক্রি করতেন এবং ভোগ করতেন।
আজিজুরকে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সদর উপজেলার জেষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা আবু রায়হান বলেন, সরকারি আইনে সরকারিখাল বা উন্মুক্ত জলাশয়ে পাটা দিয়ে মাছ শিকার করা অবৈধ। তাই এগুলো অপসারণ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া খালে বিষ প্রয়োগে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে দূরে রেখে সুস্থ বিনোদনের পথ সুগম করতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ১২ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলার শ্রীফলবাড়ী যুব সমাজের উদ্যোগে শ্রীফলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মোল্লা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডগলাস মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম মোল্লা, সাবেক মেম্বর যোগেন্দ্রনাথ গাইন, সাবেক মেম্বর সুভাষ গাইন, শ্রীফলবাড়ী জামে মসজিদের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম মোল্লা, সাইদুর রহমান মোল্লা, সাংবাদিক কালাম তালুকদার, সাংবাদিক রাসেল মোল্লা বাঁধনসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
আয়োজকরা জানান, তরুণদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করে মাদক, জুয়া ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখাই এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
উদ্বোধনী খেলায় RO-KO ক্রিকেট একাদশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে জয়লাভ করে উত্তর হাজরাবাড়ী ক্রিকেট একাদশ। টসে জিতে উত্তর হাজরাবাড়ী দল প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। RO-KO একাদশ ১০ ওভারে ৭ উইকেটে ৯২ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন বিপ্লব। উত্তর হাজরাবাড়ীর মিঠুন ৫টি এবং সুজন ১টি উইকেট নেন।
জবাবে উত্তর হাজরাবাড়ী একাদশ ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান করে জয় নিশ্চিত করে। সুজন সর্বোচ্চ ৩৯ রান তুলেন। বিপ্লব ১টি ও অপু ৩টি উইকেট লাভ করেন।
অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য উত্তর হাজরাবাড়ী ক্রিকেট একাদশের মিঠুন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হন।
টুর্নামেন্ট শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে ফ্রিজ এবং রানারআপ দলকে টেলিভিশন পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হবে বলে আয়োজকরা জানান।