মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১

তিন এসপিকে ‘বাধ্যতামূলক অবসরে’ পাঠাল সরকার

আপডেটেড
১৯ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:২৬
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:৩৮

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠানোর একদিনের মাথায় পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে সরকার। অবসরে যাওয়া তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন; মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন মিঞা ও মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী।

মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন মিঞা বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। আর মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

একজন সচিবের পর তিন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো নিয়ে প্রশাসনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা সমালোচনা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশ ও প্রশাসনের আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হতে পারে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চাকরির বয়স ২৫ বছর হলে যে কাউকেই অবসরে পাঠানো যায়। কিন্তু এই আইনী ব্যাখ্যা সহজভাবে বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই। কারও কারও মতে, পুলিশ ও প্রশাসনে ভিন্নমতের অনুসারীদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে এবং এই তালিকায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার নাম আছেন, যাদের পর্যায়ক্রমে সরিয়ে দেওয়া হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।

অবসরে যাওয়ার আগে মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর), মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে তাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ কার্যকর হবে। তবে এই তিন কর্মকর্তা বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন কি না প্রজ্ঞাপনে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুককে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছিল সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘চাকরির বয়স ২৫ বছর হলে সরকার চাইলে যে কাউকেই অবসরে পাঠাতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে আসলে যেটা হয়, সরকার যদি মনে করে ওই কর্মকর্তারা কোনো না কোনোভাবে তাদের জন্য ক্ষতিকর। তখন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’


ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯

দেশে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে বাটার শো রুমে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সারা দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দেশের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে এসব ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এতে আরও বলা হয়, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
তদন্তে সহায়তা করতে পারে—এমন তথ্য যাদের কাছে আছে তাদের সহযোগিতাও কামনা করা হয় বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, এই ধরনের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর। যারা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানানো হয়।


দালালের অত্যাচারে লিবিয়ায় ভৈরবের যুবকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

দালালের অত্যাচারে লিবিয়ায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সোহাগ মিয়া (২৮) নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ মার্চ মৃত্যুর খবর পায় নিহতের পরিবার। নিহত যুবক পৌর শহরের কালিপুর দক্ষিণ পাড়ার সোবহান মিয়া বাড়ির মৃত নূর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে। লিবিয়ায় নিহত সোহাগের রুমমেট দেলোয়ারের মাধ্যমে খবর পেয়ে তথ্য নিশ্চিত করেন নিহতের বড়ভাই সুজন মিয়া।

জানা যায়, পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে সোহাগ দ্বিতীয়। দীর্ঘ ৮ বছর তিনি কাতারে অবস্থান করছিলেন। ১ বছর আগে দেশে এসে বিয়ে করেন। এরপর নরসিংদীর বেলাবোর বারৈচা এলাকার সেন্টু মিয়ার মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকার চুক্তিতে ইউরোপের দেশ ইতালি যেতে লিবিয়ায় পাড়ি জমান সোহাগ। এক মাসের ভেতর ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালি পৌঁছার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৭ মাস ধরে তাকে লিবিয়ায় আটকে রাখা হয়। সেই সঙ্গে তাকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতে থাকে দালালচক্র। এ অত্যাচারের ফলে ১ সপ্তাহ আগে অসুস্থ হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করায়নি দালালরা। গত ৩০ মার্চ রোববার রাত ২টায় গুরুতর অসুস্থ হলে লিবিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই সুজন মিয়া বলেন, ‘আমি ইতালিতে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছি। আমার ভাই কাতারে ভালো অবস্থানে ছিল। এত বছর আগে দেশে এসে বিয়ে করেন। তার সংসারে নুসাইবা নামে ৩ মাসের একটি কন্যা-সন্তান রয়েছে। ৭ মাস আগে দালালের সঙ্গে ১৬ লাখ টাকা চুক্তিতে লিবিয়া যায় আমার ভাই। প্রথমে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার পর ১ মাস পর ইতালিতে পৌঁছানোর কথা বলে পুরো ১৬ লাখ টাকা নেয় আমার কাছ থেকে। কিন্তু টাকা দেওয়ার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আমার ভাইকে ইতালিতে পাঠায়নি। দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলেও কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারিনি। এদিকে আমার ভাইকে না খাইয়ে বিভিন্ন সময় মারধোর করে ও নানাভাবে অত্যাচারে করে দালালচক্র। আমার ভাই অসুস্থ হওয়ার পর তাকে চিকিৎসা করায়নি। আজ চিকিৎসার অভাবে আমার ভাই সেখানে মৃত্যুবরণ করেছে।’

এদিকে প্রবাসে দালালের অত্যাচারে সোহাগের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার মা ও স্ত্রী বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। নিহতের স্ত্রী লিজা বেগম বলেন, ‘দালালের অবহেলায় আমার স্বামী মারা গেছে। আমি আমার তিন মাসের সন্তান নিয়ে কোথায় যাব। আমার পরিবারের কী হবে।’ এ কথা বলতে বলতে কান্নায় লুটিয়ে পড়েন। স্বামীর লাশ ফিরে পেতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সেই সঙ্গে দালালচক্রের বিচারের দাবি জানান শিশু কন্যার জননী লিজা বেগম।

এ ব্যাপারে দালাল সেন্টু মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, ওই যুবক যদি সরকারিভাবে প্রবাসে গিয়ে থাকেন, তাহলে বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও শ্রম কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেখবে। নিহতের পরিবার আমার কাছে এলে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করব। নিহতের পরিবার যাতে মরদেহ ফিরে পায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।


সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১৩:১৫
বাসস

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে যে, রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, ফেনী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিত অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীর বাঘাবাড়ীতে ৩৮ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ ভোর ৬ টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১ মিলিমিটার।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ। ঢাকায় বাতাসের গতি পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে।


রোহিঙ্গাদের প্রশ্ন: রাখাইন তো আরকান আর্মির দখলে, যাব কোথায়

সমপ্রতি সময়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ এপ্রিল, ২০২৫ ০০:০৯
রহমত উল্লাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার)

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার সম্মতি জানিয়েছে গত শুক্রবার। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনের বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এ তথ্য জানানোর পর থেকে এ বিষয়ে আলোচনা-সমোলোচনা চলছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে। দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতিত হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ এলাকা এখনও দেশটির বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির দখলে থাকায়, দেশটির জান্তা সরকার তাদের গ্রামে ফিরিয়ে নিতে পারবে কি করে এমন প্রশ্ন তুলেছেন আশ্রিত রোহিঙ্গারা।

গতকাল শনিবার কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি শিবিরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র উঠে এসেছে। ২০২৪ সালে রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপের গ্রাম থেকে পালিয়ে এপারে আসা রোহিঙ্গারা আমির হোসেন জানান, রোহিঙ্গাদের ভিটেমাটি রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির দখলে। রাখাইন রাজ্যে আমাদের ভিটা বাড়ি ছিল। আমাদের আরকান রাজ্যে এখন কোন সরকার নেই। আমাদের আরকানের জিম্মাদার এখন সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাখাইন রাজ্য জান্তার সঙ্গে যুদ্ধ করে দখল করে রেখেছে আরকান আর্মি। যখন জান্তার দখলে ছিল তখন আমাদের নির্যাতন করে রাখাইন থেকে বিতাড়িত করেছে। আরাকানে দুটি এলাকায় এখনও রোহিঙ্গা আছে। তাদের ওপরেও নির্যাতন চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে তারা (মিয়ানমারের জান্তা সরকার) এক লাখ রোহিঙ্গা কোথায় নিয়ে যাবে? জান্তা সরকার আমাদের জায়গায় আরকান আর্মিকে দখলে দিয়ে দিয়েছে। সেখানে আমাদের নিয়ে কোথায় রাখবে, এটিও স্পষ্ট করেনি দেশটির জান্তা সরকার।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে মিয়ানমার ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাদের (জান্তা সরকার) এর নতুন কৌশল কিনা সেটি চিন্তা করা দরকার। কেননা সেময় তাদের দখলে থাকা রাখাইন থেকে আমাদের রোহিঙ্গাদের) বিতাড়িত করেছিল। এখনো সেখানে (রাখাইনে) আরকান আর্মির সাথে জান্তা সরকারের যুদ্ধ চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্য কিভাবে আমাদের তারা (জান্তা) সেখানে নিয়ে যাবেন।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী আরেকজন মো. আলম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমারে ফেরার আগে আমাদের কিছু শর্ত আছে। আমারা যেখানে বসবাস করছি সেখানে এখন আরকান আর্মির রাজত্ব। আমরা সেখানে ফিরব না। আর কিভাবে নিয়ে যাচ্ছে এটা আগে পরিষ্কার হতে হবে। মিয়ানমার সরকার নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের শর্ত, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং মিয়ানমারের নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট বা আইডি কার্ড দিতে হবে। এগুলো সমাধান করে মিয়ানমার নিয়ে যেতে হবে। আমাদের নিজস্ব জমি জমা সম্পত্তি যা ছিল সেগুলো আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যেভাবে মিয়ানমার বিভিন্ন গোষ্ঠী চলাফেরা করছে সেভাবে চলাফেরা করার সুযোগ করে দিতে হবে। এ শর্ত গুলো যদি মিয়ানমার সরকার পূর্ণ করে তাহলে আমরা ফিরব।’

টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের মাঝি নুর মোহাম্মদ জানান, আগেও জান্তা সরকার বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল আমাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু এত বছর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা ফিরিয়ে নেননি। হঠাৎ কেন তারা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলতেছে এটা রহস্যজনক মনে হচ্ছে আমাদের কাছে।

বালুখালীর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা রফিক বলেন, মিয়ানমার সরকার রাজি হলেও এখন প্রত্যাবাসনের আগে আরও কাজ আছে। আগে রাখাইনে দখলে রাখা আরকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারে সরকারের সঙ্গে বসতে হবে। না হলে তারা যাওয়ার কথা বললেও যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের মিয়ানমারের নাগরিকের মর্যাদা দিয়েই ফেরাতে হবে। এই দাবি শুরু থেকে করে আসছি আমরা।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ‘আট বছরের মধ্য মিয়ানমার জান্তা সরকার শুধু ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা তথ্য যাচাই-বাছাই শেষ করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে, এটি আসলে চিন্তার বিষয়। এত দিন পর কেন তারা ছোট একটি দল নিতে চাইছে এটা আমরা পরিষ্কার না। এখানে অনেক সংশয় রয়েছে।’

নতুন পুরোনো আর বাংলাদেশে এসে জন্ম নেওয়া মোট ১৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে। এ সংখ্যা আরো কম-বেশি হতে পারে জানিয়ে এই রোহিঙ্গা বলেন, ‘এভাবে নিয়ে গেলে ৫২ বছরের বেশি সময় লাগবে বাংলাদেশ সব রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন করতে। তাছাড়া আমাদের কোথায় নিয়ে রাখা হবে, বিষয়টি কেউ পরিষ্কার করেনি।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গার মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া রয়েছে। এর আগে কয়েক দফায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দিন ধার্য করা হলেও বাস্তবে প্রত্যাবাসন বারবার ভণ্ডুল হয়ে গেছে।


চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে রাস্তায় পোশাককর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

নিহত পোশাককর্মী চাঁদনী খাতুনের পরিচয়পত্র। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম নগরীর মধ্য হালিশহর এলাকার সড়কে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর বন্দর থানাধীন মধ্য হালিশহর-সংলগ্ন বাকের আলী টেকের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত পোশাককর্মীর নাম চাঁদনী বেগম (২২)। তিনি খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন খাজুরিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে। তিনি নগরীর ইপিজেড এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

বন্দর থানার ওসি কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ওই নারী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে এক লোক শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত ওই নারীকে স্থানীয় লোকজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘ছুরিকাঘাত করা ব্যক্তি ওই নারীর স্বামী হতে পারে বলে স্থানীয়রা বলেছেন। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি।’


মুর্হুমুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শরীয়তপুরের জাজিরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় সংঘটিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। অনেককে হাতে বালতি নিয়ে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। তারা বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করছেন, যা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। হঠাৎ করে দুপক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বোমার শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে উঠছিল। আমরা ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারিনি।’

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই বিরোধের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তারা প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।


ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতনীদের অষ্টমীর স্নানে লাখো পুণ্যার্থীর ভিড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমির স্নান শুরু হয়েছে। অষ্টমি স্নানের লগ্ন ভোর ৪টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এই স্নানকে ঘিরে লাখো পুণ্যার্থীর ভিড় জমেছে।

চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচনের জন্য প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্র নদে পূণ্যস্নান করে থাকেন।

আয়োজকরা জানান, এবার পুণ্যস্নান প্রায় লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের রমনা বন্দর এলাকা থেকে পুটিকাটা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অষ্টমীর স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

স্নান উৎসবে রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পুণ্যার্থীরা একদিন আগেই চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়।

আগত পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য উপজেলার প্রায় ২২টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পুণ্যার্থীদের স্নান পরবর্তী পোশাক পরিবর্তনের জন্য এবং রাত্রী যাপনের জন্য ৪৪টি অস্থায়ী বুথ করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের পূজাপর্বের জন্য প্রায় দুই শতাধিক ব্রাহ্মণ পূজারি দায়িত্ব পালন করেন।

অষ্টমী স্নান নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের বিভিন্ন পদে ১৮১ জন সদস্য ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।


ফরিদপুরে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ফরিদপুর পৌরসভার মুন্সিবাজার এলাকার রড সিমেন্টের ব্যবসায়ী দুই ভাই রঞ্জিত বিশ্বাস ও লিটন বিশ্বাসকে কুপিয়ে যখন করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টার দিকে গেরদা ইউনিয়নের কাজীবাড়ি মসজিদ মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের বরাত দিয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে গেরদা ইউনিয়নের সাহেব বাড়ী থেকে সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় কাজীবাড়ি মসজিদ মোড় এলাকায় পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেলে থাকা চার ব্যক্তি পেছন থেকে রঞ্জিত বিশ্বাস নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় রঞ্জিত বিশ্বাসের সঙ্গে থাকা তার সহোদর লিটন বিশ্বাস আহত হন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রঞ্জিত বিশ্বাসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনা অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে। হামলার কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আহত রঞ্জিত বিশ্বাসের ভাই লিটন বিশ্বাস বলেন, গেরদা সাহেব বাড়ির পাশে আমার বড় ভাই রাতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিল। রাত বেশি হওয়াতে কোন গাড়ি পাচ্ছিল না বাড়ি আসার জন্য। পরে আমাকে ফোন দিলে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই বাড়ির থেকে রঞ্জিতকে নিয়ে আমাদের বাড়ির দিকে আসছিলাম। পথেই তিন চার ব্যক্তি দুইটি মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে। পরে আমরা রাস্তায় পড়ে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।


পরিবারটির আর কেউ বেঁচে রইল না

লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১
রফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী লুৎফুন নাহার, তাঁদের তিন মেয়ে তাসনিয়া, আনিশা ও লিয়ানা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তাসনিয়া ইসলাম প্রেমাকেও (১৮) বাঁচানো গেল না। ফলে তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিবারটির আর কেউ বেঁচে রইল না। এর আগে এ দুর্ঘটনায় তাসনিয়ার বাবা-মা ও দুই বোন মারা যান। এ নিয়ে এই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাসনিয়া মারা যান।

একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু আরাধ্য বিশ্বাসকে (৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে আজ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চমেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাধ্যকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন স্বজনরা। আরাধ্য চমেক হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল।

এ ছাড়া চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুর্জয় কুমার মণ্ডল (১৮)। তিনি শিশু আরাধ্যের স্বজন।

গত বুধবার সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এ দুর্ঘটনায় সেদিনই ১০ জন নিহত হন। প্রেমার মৃত্যুতে নিহতের সংখ্যা বাড়াল ১১ জনে।

চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি এলাকায় বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ সংঘর্ষে নিহতরা হচ্ছেন প্রেমার বাবা ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৪৮), মা লুৎফুন নাহার (৩৭), দুই বোন আনিশা আক্তার (১৪), লিয়ানা (৮) ও স্বজন তানিফা ইয়াসমিন (১৬)। এ ছাড়া নিহত হন আরাধ্যর বাবা দিলীপ বিশ্বাস ও মা সাধনা মণ্ডল। নিহত অপর তিনজন হলেন ইউছুফ আলী (৫৭), আশীষ মণ্ডল (৫০) ও মোক্তার আহমেদ (৫২)। ইউছুফ গাড়িচালক ছিলেন বলে জানা গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার পর থেকেই প্রেমা সংজ্ঞাহীন ছিলেন। প্রথম থেকেই তাঁকে চমেকের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল।

চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ধীমান চৌধুরী জানান, গুরুতর আহত প্রেমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

প্রেমার মামি জেসমিন রহমান বলেন, ডাক্তারদের শত চেষ্টায়ও কলেজপড়ুয়া মেয়েটির জ্ঞান ফেরাতে পারেনি। পুরো পরিবারটাই চলে গেল।

দুর্ঘটনাস্থল জাঙ্গালিয়ায় সড়কে বসল গতিরোধক

এদিকে, লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়ায় দুর্ঘটনাস্থলে বসানো হয়েছে ৫-৬টি গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নির্দেশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এসব গতিরোধক বসিয়েছে।

পাশাপাশি সড়কের পাশে বসানো খুঁটিতে উড়ছে লাল নিশানা। ঈদের ছুটিতে তিন দিনে এই এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন অনেকে।

চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ দক্ষিণ-এর উপপ্রকৌশলী আবু হানিফ বলেন, দুর্ঘটনা রোধে ৭-৮ ইঞ্চি উচ্চতার এসব গতিরোধক বসানো হয়েছে।

দোহাজারী থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামমুখী সড়কের জাঙ্গালিয়া তুলনামূলক ঢালু এবং ডান দিকে বাঁক আছে। ফলে এখানে দ্রুতগতির গাড়ি বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি দেখার পর গতি কমানোর সুযোগ পায় না। এই গতিরোধকের কারণে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রিত হবে, দুর্ঘটনা কমবে।

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই এলাকার মহাসড়কের একপাশে চুনতি অভয়ারণ্য, আরেক পাশে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ডাকাতিপ্রবণ এলাকা জাঙ্গালিয়া। এখানে অপরিকল্পিত গতিরোধকের কারণে সমস্যা বাড়তে পারে।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইনামুল হাছান বলেন, দোহাজারী থেকে চুনতি পর্যন্ত পুরো সড়কটি সরু। দুই লেনের মহাসড়কটি মাত্র ১৬ ফুট প্রশস্ত। ঈদের আগে দোহাজারী থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে ৫ ফুট করে মোট ১০ ফুট প্রশস্ত করা হয়। জাঙ্গালিয়ার ওই অংশে সড়ক উঁচু-নিচু ও আঁকাবাঁকা। মহাসড়কের ওই অংশে কয়েক কিলোমিটার সড়কের বাঁক অপসারণ করে সোজা করা যায় কি-না সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।


মাদারীপুরে আগুনে পুড়লো ১৯ দোকান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জেলা শহরের পুরাণবাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ১৯টি দোকান।

আজ শুক্রবার ভোররাতে শহরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরাণবাজারের সিটি সুপার মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, আজ ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সৌরভ হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়।

মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মাদারীপুর, কালকিনি ও টেকেরহাট ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় কাপড়, গার্মেন্টস, কসমেটিকস’র অন্তত ১৯টি দোকান।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বাণিজ্যিক এলাকা পুরাণবাজারে পানি সরবরাহ করতে দেরি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। স্থানীয় পুকুর ও ডোবাগুলো মাটিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি না পাওয়ার অন্যতম কারণ।


টেকনাফে ইয়াবা অস্ত্র, গোলা ও ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ এপ্রিল, ২০২৫ ২০:০৮
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে কক্সবাজারের টেকনাফে ডাকাতে আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ নদগ অর্থ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের আলিখালি নামক স্থানের চিহ্নিত হারুন ডাকাতের বাড়িতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে হারুন ডাকাতের বাড়ি তল্লাশি করে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড তাজা গোলা, ৫টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, নগদ ৩০ লাখের বেশি টাকা, স্বর্ণালংকার, একাধিক চেকবই ও ২০টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত আলামত টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণ টেকনাফ কাস্টমস অফিসে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অন্যদিকে একই দিন মধ্য রাতে টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ নাফনদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে.কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক। তিনি জানান, ‌মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি চালান পাচারের খবরে নাফনদী র্যাবসহ যৌথ অভিযানে এই ইয়াবা চালান উদ্ধার করা হয়েছে। জলপথে মাদক-সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে এ অভিযান চলমান থাকবে।'


লামায় গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, আহত ৩২

লামায় দুর্ঘটনায় পড়ে থাকা বাস। ছবি: দৈনিক বাংলা 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামায় গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনায় গাড়ি চালক, হেলফারসহ ৩২ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে লামা-ফাঁসিয়াখালী সড়কের মাদানি নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ডা. ফাহাদ বিন তৈয়ব (৩৪), মালিয়াত জাহান দুলিকা (১২), আব্দুল্লাহ মো. ওমর ফারুক (৫), আওসাফ আহনাফ সিদ্দিকি তাহজিব (১২), ফজল আহমেদ (৫৫), মো. হেলাল (৩১), তাহজীব (১২), দুলিফা (১৫), নেজাম (৪৫), তানভীর (১৫), ওয়াজিফা (১৭), নাহিদা (১৯), তারিন (১৪), শাহাদাত (৩২), মাশফিকা (২৫), শহীদ (২৫), মাশকুরা সিদ্দিকা (২০), গাড়ির হেলফার আমজাদ (৩০), নাজাত সিদ্দিকা (২৩), নিজাম উদ্দিন (৫২) গাড়ি চালক লিটন দাশ (২৬), জাহিদা বেগম (২৬), দিলরুবা সিদ্দিকা (৫০)। এরা সবাই চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ও কলাউজান ইউনিয়নের বাসিন্দা।

সূত্র জানায়, লোহাগাড়া উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঈগল পরিবহন যোগে লামা উপজেলার মিরিঞ্জা পাহাড়ের পর্যটনে ঘুরতে যান ফজল আহমদ ও তার পরিবারসহ আত্মীয় স্বজনেরা। গাড়িটি উপজেলার মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় পৌঁছার পর তেল শেষ হয়ে যায়। পরে চালক তেল নিতে যাত্রীদের নিয়ে লামা উপজেলা শহরের দিকে রওয়ানা হয়। এক পর্যায়ে সড়কের পশ্চিম লাইনঝিরি মাদানিনগর মোড়ে পৌঁছলে গাড়িটির ব্রেক কাজ করছিলনা। চালকের দূরদর্শীতায় গাড়িটি সড়কের পাশের কড়ই গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িটি পাহাড়ি খাদে না পড়ে, গাছের সঙ্গে আটকে গেলেও ৩২ যাত্রী কম বেশি আহত হন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীরা।

এ বিষয়ে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সোলায়মান বলেন, আহতদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসাা দেওয়া হয়েছে। তবে শিশু তাহজীব ও গাড়ির হেলফার আমজাদসহ তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় পতিত বাসটি থানা হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শ্রীপুরে মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন : রেল চলাচল বন্ধ

আপডেটেড ৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১৭:৩৩
বাসস

গাজীপুরের শ্রীপুর সাত খামাইর রেল স্টেশনের কাছে জামালপুরগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন ধরে গেছে।

দুর্ঘটনার পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলরুটে সাময়িকভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চলন্ত অবস্থায় ট্রেনটিতে আগুন লাগলে সাত খামাইর স্টেশনের কাছে থামানো হয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই বিষয়ে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের বাসস’কে জানান, আজ সকালে মহুয়া কমিউটার ট্রেনটি জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করেছে। ট্রেনটি ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল রুট দিয়ে শ্রীপুর রেলস্টেশন অতিক্রমের পরপরই সাত খামাইর স্টেশনের কাছে গেলে পাওয়ার কারে আগুন লাগে। এই সময় সাত খামাইর স্টেশনটি বন্ধ থাকায় সেখানে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি ঢাকায় জানানো হয়েছে।

এদিকে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, ট্রেনে আগুন লাগার খবর পেয়ে দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।


banner close