শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

বিসিএস জটে পিএসসি

আপডেটেড
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৬:১৮
হাসান মেহেদী
প্রকাশিত
হাসান মেহেদী
প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:৪০

হাসান মেহেদী

বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে জটে পড়েছে পিএসসি। একসঙ্গে চারটি বিসিএস পরীক্ষা আটকে গেছে। ফলে মন্ত্রণালয়, দপ্তর ‍ও অধিদপ্তরে প্রথম শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না।

জনপ্রশাসন সূত্র বলছে ৪৩ হাজারের বেশি পদ শূন্য পড়ে আছে।

চাকরির মেয়াদ শেষে প্রতিদিনই কর্মকর্তারা অবসরে যাচ্ছেন, কিন্তু বিসিএসের মাধ্যমে প্রতিবছর সেসব পদ পূরণ করতে পারছে না সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। শূন্য পদগুলোতে আটকে থাকা ৪ বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে অন্তত ১৬ হাজার পদ পূরণ করা যাবে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ৪ বছর পার হলেও ৪০তম বিসিএসের নিয়োগ শেষ করতে পারেনি পিএসসি। ৩ বছর ধরে আটকে আছে ৪১তম বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া, যেটির লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আর দুই বছরে ৪৩তম বিসিএস পৌঁছেছে লিখিত পরীক্ষা পর্যন্ত। গত এক বছরে ৪৪তম বিসিএস সবেমাত্র পার করেছে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।

এই ৪টি বিসিএসের বাইরে একমাত্র ব্যতিক্রম ৪২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা। যেটিতে প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার কারণেই তা এক বছরে শেষ করতে পেরেছে পিএসসি।

পিএসসির তথ্য মতে, গত ৫ বছরে ৫টি বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস ছাড়া একটিরও নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। ফলে বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা লাখো চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।

এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী মাসে ৪৫তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ১২ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চান তারা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতি বছরই সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিচ্ছেন বিসিএস কর্মকর্তারা। কিন্তু প্রতিবছর বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে নতুনদের নিয়োগ না হওয়ায় বর্তমানে প্রথম শ্রেণির ৪৩ হাজার ৩৩৬টি পদ ফাঁকা রয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ১ হাজার ২৪৮টি; দপ্তর ও অধিদপ্তরে ২০ হাজার ৩৫৫টি; বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের কার্যালয়ে ৬৭৪টি; স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে প্রথম শ্রেণির পদে ২১ হাজার ৫৯টি পদ ফাঁকা রয়েছে।

এই বিষয়ে ৪০তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত একজন প্রার্থী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘স্নাতক সম্পন্ন করার পর চাকরির বাজারে আমার প্রথম সফলতা ছিল ৪০তম বিসিএস। এই একটি বিসিএসই চার বছর কেটে গেল। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। গত ৩০ মার্চ ৪০তমের চূড়ান্ত ফল দেয়ার সাড়ে ৬ মাস গত হলেও এখনো প্রজ্ঞাপন পাচ্ছি না। এর মাঝেই ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএসের লিখিত ফলসহ ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও ঝুলে আছে। এদিকে নন-ক্যাডার সুপারিশ নিয়েও একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে এক বছরে বিসিএসের নিয়োগ সম্পন্ন করার যে লক্ষ্য পিএসসি হাতে নিচ্ছে, সেটির সফলতা নিয়েও আমাদের মতো চাকরিপ্রত্যাশীরা সন্দিহান।

বাড়ে আবেদনের সময়

বিসিএস আবেদনে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর প্রথমপর্যায়েই একাধিকবার সময় বাড়ানো হয়। আবেদনকারীদের কোনো একটি পক্ষ থেকে দাবি জানালেই সময় বাড়িয়ে দেয় পিএসসি। ফলে শুরুতেই হোঁচট খায় নিয়োগ প্রক্রিয়া। গত ৫ বছরে প্রায় সবকয়টি বিসিএসেই আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ৪৩তম বিসিএসে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্মান শেষবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা না হওয়ায় ৩ দফা ও ৪৪তম বিসিএসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা আটকে যাওয়ায় এক মাস আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। এখনো এসব বিসিএসের প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে।

পিএসসি কর্মকর্তারা বলছেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকা, আবেদনের সময় বাড়ানো, শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাতা মূল্যায়ন না করার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগে যাচ্ছে। পিএসসি সবসময় শিক্ষার্থীবান্ধব। তাই শিক্ষার্থীরা দাবি জানালে সেটাকে আমলে নিয়ে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হয়। আবার পিএসসির আলাদা কোনো পরীক্ষক নেই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দিয়ে খাতা দেখাতে হয়। ফলে শিক্ষকরা নিজেদের কাজের ফাঁকে এই কাজগুলো করে থাকেন। সে কারণে পরীক্ষার কাজ দ্রুত শেষ করা যায় না। আবার অনেক সময় শিক্ষকরা সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন না করেই জমা দেন। সে সব খাতা আবার কয়েক ধাপে যাচাই-বাছাই করে ফল প্রকাশ করতে হয়।’

এসব বিষয়ে নিয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

জানতে চাইলে সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘কোনো কাজই আটকে নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাজ চলছে। করোনাসহ নানা জটিলতায় কিছুটা বেশি সময় লাগছে। কিন্তু কমিশন নতুন করে একটা পরিকল্পনা করেছে যেখানে আগামী এক বছরের মধ্যে একটা বিসিএস নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। ৪৫তম বিসিএসকে মডেল হিসেবে ধরে আমরা এই সময়সীমা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।’

পরীক্ষকদের ভুলের স্বীকার ৪১তম বিসিএস

৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। লিখিত পরীক্ষার ৯ মাস পেরোলেও এখন পর্যন্ত ফল প্রকাশ করতে পারেনি পিএসসি। ৩১৮ পরীক্ষকের অবহেলার কারণে এই দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

নিয়ম অনুযায়ী, একজন পরীক্ষক খাতা মূল্যায়ন করার পর তার মূল্যায়ন সঠিক হয়েছে কি না, সেটি যাচাইয়ের জন্য ওই খাতা দ্বিতীয় ধাপে একজন নিরীক্ষক পুনরায় পরীক্ষা করেন। পুনর্নিরীক্ষণ করার সময় নিরীক্ষক দেখেন, যেখানে যেমন নম্বর দেয়ার কথা ছিল, তা দেয়া হয়েছে কি না আবার নম্বর যোগ করতে কোথাও ভুল হয়েছে কি না। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে তবেই ফল চূড়ান্ত করা হয়।

পিএসসি বলছে, পরীক্ষকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাতা মূল্যায়ন শেষ করতে পারেনি। পুনর্নিরীক্ষণের সময় দেখা গেছে কোনো কোনো পরীক্ষক সব প্রশ্নের উত্তর মূল্যায়ন না করেই খাতা জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ নম্বরের যোগফলে ভুল করেছেন। এসব কারণে ফের ওই সব খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠিয়ে মূল্যায়ন করতে হচ্ছে। ত্রুটি রয়েছে এমন ৩১৮ শিক্ষককে পিএসসিতে ডেকে এনে ফল সংশোধন করতে হচ্ছে। এদের মধ্যে আবার কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে ঠিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে সময় বেশি লাগছে। তবে নির্ভুল পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ করতে এই সময় নেয়া হচ্ছে।

এই বিষয়ে পরীক্ষানিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ গুছিয়ে এনেছি। কমিশন বললেই সে অনুযায়ী আমরা বাস্তবায়ন করব।’

৪০তম নন-ক্যাডার নিয়োগে জটিলতা

৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশ পায়নি এমন ৮ হাজার ১৬৬ প্রার্থী পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। নিয়মানুযায়ী, এতদিন একটি বিসিএসের ‍চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর নন-ক্যাডারের আবেদন নেয়া হতো। তা পরের বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে যত চাহিদা আসত সেখান থেকে নিয়োগ দেয়া হতো। কিন্তু পিএসসি এখন ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগ শুরুর আগেই অন্যান্য বিসিএসের নন-ক্যাডারের পদ সংরক্ষণ করার কথা ভাবছে। এমন আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রার্থীরা। এ কারণে নন-ক্যাডারের নতুন নিয়ম বাতিল করে আগের নিয়মে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

উল্লেখ্য, চাকরির মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার কারণে দিন দিন বিসিএসের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে চাকরিপ্রার্থীদের। একেকটা বিসিএসে ৩ থেকে ৪ লাখেরও বেশি প্রার্থী আবেদন করছেন। যেই সংখ্যক প্রার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায়ে উত্তীর্ণ হচ্ছেন সীমিত পদের কারণে সেই সংখ্যক প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। ফলে নন-ক্যাডার পদেও বেড়েছে প্রতিযোগিতা।

২০১০ সাল থেকে উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডারে প্রথম শ্রেণির পদে নিয়োগ দেয়া শুরু করে পিএসসি। এর পরও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে বিসিএসের মাধ্যমে দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগ শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে ৩০ মে এক বিজ্ঞপ্তিতে ৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নন-ক্যাডার পদে ৯ম, ১০ম, ১১তম ও ১২তম গ্রেডে আবেদন চায় পিএসসি। কিন্তু নন-ক্যাডারে পিএসসি অন্য বিসিএসের জন্য পদ সংরক্ষণ করতে চাওয়ায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

এই বিষয়ে নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ প্রার্থী সানজিদ সৈকত দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘পিএসসি বিধির কথা বলে নন-ক্যাডারে নিয়োগ সংকুচিত করছে। এটা আসলে শুভংকরের ফাঁকি। কারণ বিধি আগেও ছিল। নতুন নিয়মের দোহাই দিয়ে নন-ক্যাডারে চাকরি বিষয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। আমরা চাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হোক।’

ভেরিফিকেশনে আটকে যায় নিয়োগ

পিএসসি চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করার পর গেজেটের মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত কোনো মন্ত্রণালয় নিয়োগ দিতে পারে না।

সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের সম্পর্কে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সবকয়টি সংস্থার তথ্য যাচাই-বাছাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেয়া হয় না। ফলে পিএসসি তাদের পরীক্ষাপর্ব শেষ করলেও ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়ার কারণেও নিয়োগে দেরি হচ্ছে। অনেক সময় বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েও মামলা, বিরোধী রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাসহ নানা কারণে গোয়েন্দা সংস্থার ভেরিফিকেশনে বাদ পড়ে যাচ্ছেন প্রার্থীদের অনেকেই।

৩৩ থেকে ৩৮তম পর্যন্ত ৬টি বিসিএসে নিয়োগে পিএসসির সুপারিশ এবং তাদের গেজেটভুক্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসব বিসিএসে ১৮ হাজার ৮৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। কিন্তু তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ২২২ জন নিয়োগ পান। ৬১৫ জন প্রার্থী নিয়োগ পাননি।

তবে গত দুই বছরে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিতে ৩৯তম ও ৪২তম দুটি বিশেষ বিসিএস হয়েছে। এই বিসিএসে পিএসসির সুপারিশ ও জনপ্রশাসনের গেজেটে কাউকে বাদ দেয়া হয়নি।


ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নতুন অধ্যক্ষ সাহেলা পারভিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বর্তমান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাহেলা পারভিন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে সাহেলা পারভিনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। এ আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের পদত্যাগসহ ছয়দফা দাবিতে বুধবার দিনব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে একযোগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে রেল ব্লকেড করার ঘোষণা দেন তারা। নতুন এ কর্মসূচি দিয়ে রাতে সড়ক ছাড়েন তারা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই বর্তমান অধ্যক্ষকে তা পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে জানা গেছে।


ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোডম্যাপ অনুযায়ী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে তা রোডম্যাপে উল্লেখ নেই।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই রোডম্যাপ এর কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন মনে করে, ডাকসু প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদেরও ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সে কারণেই বর্তমান প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি সংবলিত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হলো।

গণমাধ্যমে পাঠানো রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।

একই মাসে ডাকসু সংশোধিত গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে তা ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এর আগে এ বিষয়ে ছয়টি সভা করা হয়। এই গঠনতন্ত্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে ‘ডাকসু ইলেকশন কোড অব কনডাক্ট রিভিউ কমিটি’ করা হয়। তারা সাতটি সভা করে। এটিও চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন তা সিন্ডিকেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপ অনুযায়ী, মে মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। একই সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।


কুয়েটের ৩৭ শিক্ষাথী বহিষ্কার

৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু, হল খুলবে ২ মে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজজামান শেখ এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ (সাইত্রিশ) জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সকল আবাসিক হলগুলো আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার(১৪ এপ্রিল) রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেকদিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।


বর্ণাঢ্য আয়োজনে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক আয়োাজনে উৎসবমুখর ক্যাম্পাস
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে। নববর্ষে শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এর নেতৃত্বে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নববর্ষ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে সমাপ্ত হয়। নববর্ষ শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
এবারের নববর্ষ উদযাপনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো”।

চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শোভাযাত্রায় সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগামি পাখি, চড়কি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, গরুসহ বড় গরুর গাড়ির স্থাপত্যসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনসমূহ প্রদর্শিত হয়।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা এবং ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য মহোদয়। এবারই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন স্টলে স্থান পায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী পণ্য, খাদ্যদ্রব্য ও শিল্পকর্ম।
এদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম আনুষ্ঠানিকভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “১৪৩১ বঙ্গাব্দে দেশের মানুষের অসাধারণ ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলে আমরা আজ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নববর্ষ একটি মুক্ত পরিবেশে উদযাপন করতে পারছি। এই অর্জনকে ধরে রাখতে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।”


বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন চত্বরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় জমে ওঠে এক প্রাণবন্ত উৎসব। এ বিভাগ পরিবেশন করে হৃদয়ছোঁয়া সঙ্গীত। নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চস্থ করে জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’। এছাড়াও, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী উপস্থাপন করে নানা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় বিকাল ৩টায় ব্যান্ড সংগীত ও কনসার্টের মনোমুগ্ধকর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ উপস্থিত সকল দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করেন উৎসবের রঙিন আমেজ। বৈশাখের রঙে রাঙানো এ আয়োজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দেয় উৎসবের এক উচ্ছ্বসিত আবেশ। নববর্ষের এই অনুষ্ঠান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।


এসএসসি পরীক্ষা শুরু আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার থেকে এক যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছে কমিটি।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এবারও বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।

এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় এক লাখ। শুধু তাই নয়, বিগত পাঁচ বছরে এবারই সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। এছাড়া ২০২৩ সালে ছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন, ২০২২ সালে ছিল ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন এবং ২০২১ সালে ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৭ লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন। এদিকে এবারের এসএসসি ও সমমানে গণিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। এ পরীক্ষা আগামী ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড নতুন এই রুটিন প্রকাশ করেছে। এর আগে এই পরীক্ষা ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডের ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নানা আলোচনার পর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গণিতের পরীক্ষা পিছিয়ে নতুন রুটিন প্রকাশ করল।

লিখিত পরীক্ষা ৮ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে আবার সময়সূচি সংশোধন করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু বৈসাবি উৎবের কারণে এই পরীক্ষা ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ২০ এপ্রিলের গণিত পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার পরে আবার পরিবর্তন আনা হয়েছে সময়সূচিতে।


ঢাবিতে ঈদ র‌্যালি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৫ ১৮:৪০
ঢাবি প্রতিনিধি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ঈদ র‌্যালি বের করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেবেন। ঈদের দিন সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ'য় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর র‌্যালি শুরু হয়ে তা টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করবেন।

এর আগে গত ২৩ মার্চ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, এবার ঢাকায় ঈদের নামাজ শেষে সরকারি উদ্যোগে সুলতানি ও মোঘল আমলের রীতি অনুযায়ী থাকবে ঈদের আনন্দ মিছিল। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার-পরবর্তী সময়ে ঈদ আনন্দকে নতুন ও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে থাকবে ঈদ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জানা গেছে, সেই ঘোষণার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঈদ মিছিল আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।


এবছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।

আজ বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

২. ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

৩. পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

৪. সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।

৫. সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।

৬. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।

৭. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।

৮. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৯. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।


কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একা‌ডে‌মিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত করা হ‌য়ে‌ছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সি‌ন্ডি‌কে‌টের এক জরু‌রি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় গতকাল হামলায় জড়িতদের বহিষ্কার, বহিরাগতের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসা খরচসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়েট উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।

মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।


অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সফলভাবে উদযাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এই বিশেষ দিনটি ছিল ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের জন্য একটি ক্রীড়া ও একতার উৎসব, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দলগত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের রোমাঞ্চকর দৌড়, রিলে রেস, উচ্চ লম্ফ ও দীর্ঘ লম্ফের মতো নানা আয়োজন ছিল সারা দিন। যেমন খুশি তেমন সাজো’র মত নজরকারা আয়োজনও ছিল সারা দিনব্যাপি।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার এবং বর্তমান বিপিএল (ক্রিকেট) (টেকনিকাল) চেয়ারম্যান এ এস এম রকিবুল হাসান। তিনি তার অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্যের মাধ্যমে তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোবেরা রহমান লিনু- যিনি টেবিল টেনিসে টানা ১৬ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী।

এছাড়াও, বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিইও মোহাম্মদ আবু কায়েস জাহাদি, পরিচালক তুবা আরবাব। পুরো দিনটি ছিল আনন্দময় এবং উৎসবমুখর, যেখানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে স্কুলের ঐক্য এবং খেলাধুলার চেতনা উদযাপিত হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে এই কর্মসূচি শুরু করেছে বলে জানা যায়।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ এক সভা করে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে। না হলে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এতে কলেজগুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। তবে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আমরা অনড় রয়েছি। আমাদের দাবি না মানলে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচির পর গত ৭ জানুয়ারি শিক্ষালয়টির প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।


সাত কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান শিক্ষার্থীদের

দেওয়া হলো ৫ দাবি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- অধিভুক্ত থাকা অবস্থায় আর কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না।

শনিবার দুপুর ১টায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারের সামনে ৫ দফা দাবি তুলে ধরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ‘সাত কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর’ টিম। এতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় তারা- ‘শিক্ষার সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক, সাত কলেজ মুক্তি পাক’, ‘শিক্ষার সিন্ডিকেটের গদিতে, আগুন দাও একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি টাকাও আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সিন্ডিকেটের চোরদের কাছে যেতে দেব না। ঢাবি প্রশাসন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গত বছরের সব নিয়ম-কানুন ভেঙে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেছে। এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ এই প্রশাসন ভর্তির মাধ্যমে শুধু টাকা ইনকাম করা ছাড়া গত সাত বছরে আমাদের কোনো ভালো শিক্ষাজীবন উপহার দেয়নি। তাই ঢাবি অধিভুক্ত অবস্থায় আর কোনো সেশনের ভর্তি শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।

শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি হলো-

১. সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অবস্থায় আর কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না।

২. সাত কলেজ নিয়ে রাষ্ট্র যে স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে, উক্ত কমিটি ও সাত কলেজের প্রিন্সিপালসহ শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে নতুন সেশনের (২০২৪-২৫) ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার মাধ্যমে নতুন সেশনে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে ভর্তি করা এবং বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের ভোগান্তি না হয়।

৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক কখনো আমাদের ক্লাস নেয়নি। তারপরও কীভাবে আমাদের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে তা বোধগম্য নয়। বিগত সময়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা প্রচার এবং বিরূপ মন্তব্য করে। আমাদের উত্তরপত্র যেন সাত কলেজের শিক্ষকদের মাধ্যমেই মূল্যায়ন করা হয়, তার জোর দাবি জানাচ্ছি।

৫. মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তির ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা অর্ধেক বা আরও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মতামত নেবে। বিভাগভিত্তিক অবকাঠামো বিবেচনা করে নতুন সেশনের শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।


সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং ১৩৫তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকার তেজগাঁওস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিওটি কনফারেন্স রুমে এটি হয়ে থাকে। সভায় এসইইউ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সভাপতিত্ব করেন।

বোর্ড সদস্যরা বিভিন্ন একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ট্রাস্টি বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনাকে দিকনির্দেশনা প্রদান, চলমান কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার উপর গুরুত্ব আরোপ করে।


জবির ভর্তি পরীক্ষার তিন ইউনিটের ফল প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ), ‘সি’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) এবং ‘ডি’ ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, শাখা পরিবর্তন) এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’ ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে নিজ নিজ ফলাফল দেখতে পারবেন। এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.jnu.ac.bd অথবা https://jnuadmission.com অথবা www.admission.jnu.ac.bd -এ ফলাফল জানা যাবে।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আগামী ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ হতে ১৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ উল্লেখিত ওয়েবসাইটে (www.admission.jnu.ac.bd) লগইন করে বিষয় পছন্দ (Subject Choice) দিতে পারবে।

‘বি’ ইউনিটের তিনটি শিফটে মোট আসন সংখ্যা ৭৮৫টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিক ২১৬, বাণিজ্য ৩৭, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪১টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯২টি, যার মধ্যে মানবিক ২১৮, বাণিজ্য ৩৫, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৩৯টি। তৃতীয় শিফটে মোট আসন ১৯৯টি, যার মধ্যে মানবিক ১২৪, বাণিজ্য ১০, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৫টি।

‘সি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন সংখ্যা ৫২০টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৩০টি, যার মধ্যে শুধুমাত্র বাণিজ্য বিভাগে ২৩০টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯০টি, যার মধ্যে বাণিজ্য ২৩১, মানবিক ১৬ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪৪টি।

‘ডি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন সংখ্যা ৫৯০টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিক ১৯২, বাণিজ্য ৩৩, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৯টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯৬টি, যার মধ্যে মানবিক ১৯৩, বাণিজ্য ৩২, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৭১টি।

এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


banner close