মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

ফাঁকা আসন পূরণে গুচ্ছের বিশেষ নির্দেশনা, ভর্তি ৫-৬ অক্টোবর

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৪:৩৫

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ফাঁকা আসন পূরণে পঞ্চম পর্যায়ে (বিশেষ) ভর্তির বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে জিএসটি কর্তৃপক্ষ। এ পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ৫ ও ৬ অক্টোবরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার বৃহস্পতিবার দুপুরে দৈনিক বাংলাকে এসব তথ্য জানান। ইতোমধ্যে গুচ্ছ ভর্তির ওয়েবসাইটেও মাইগ্রেশনের বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করার আহ্বান করলে প্রার্থীকে অবশ্যই সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।

আরও বলা হয়, প্রাথমিক ভর্তি ও ফি প্রদান ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট হতে ৬ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত জিএসটি ওয়েবসাইটের (https://gstadmission.ac.bd/) মাধ্যমে অনলাইনে প্রাথমিক ভর্তি ও সংশ্লিষ্ট ফি (৫০০০.০০ টাকা) প্রদান সম্পন্ন করতে হবে।

চূড়ান্ত ভর্তি ৮ অক্টোবর হতে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল কাগজপত্র জমা দেয়াসহ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ভর্তি ফি প্রদানপূর্বক চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।

এর আগে চতুর্থ পর্যায়ে ভর্তির পর গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২ হাজার ২২০টি আসন ফাঁকা রয়েছে বলে জানা যায়।


সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বজনীন পেনশন-সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তিকরণ ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আহ্বানে এ কর্মবিরতিতে গেছেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ফলে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল সোমবার থেকে একসঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থাকলেও এই কর্মসূচির কারণে সেখানে নীতিগত সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অংশ নেননি।

গতকাল সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। কর্মবিরতির ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও কর্মবিরতি পালন করছে।

ধারাবাহিক আন্দোলনেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পেয়ে গত রোববার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মোর্চা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি তিনটি হলো ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সোমবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে; অনলাইন-সান্ধ্যকালীন ক্লাস ও শুক্র-শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে; সব পরীক্ষা বর্জন করা হবে; বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস-সেমিনার-কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন; একাডেমিক কমিটি-সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি ও প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না; অনুষদের ডিনরা তাদের কার্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন; নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না; কোনো বাছাই বোর্ডের সভা হবে না; বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা ইনস্টিটিউটের কার্যালয়, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন; সান্ধ্যকালীন, শুক্রবার ও শনিবারের ক্লাস বন্ধ থাকবে; বিভিন্ন গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালকরা কোনো সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন; বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ কর্যালয় বন্ধ থাকবে এবং প্রধান গ্রন্থাগারিক কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বন্ধ রাখবেন।

এদিকে, ছাত্রদের কোটাবিরোধী পৃথক আন্দোলনে শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারকে যেন এ আন্দোলনের অংশ না করে সেটা খুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

গতকাল সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অনুষদ ও ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে না।

নিজামুল হক ভূইয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনেরও মহাসচিব। তিনি বলেন, দাবির বিষয়ে এখনো সরকারের কোনো পর্যায় থেকে তারা কোনো আশ্বাস পাননি। তাই এ কর্মসূচি চলবে।

এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও শিক্ষকদের কর্মবিরতির একইরকম খবর পাওয়া গেছে। আর খুলনা ব্যুরো জানিয়েছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও কর্মবিরতিতে গেছেন শিক্ষকরা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজ জানান, সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে সব ডিসিপ্লিনের ক্লাস, অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস, মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ডিসিপ্লিন অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার, ডিন অফিস, ভর্তি পরীক্ষা, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও হলের প্রভোস্টদের সংশ্লিষ্ট অফিসের কার্যক্রম, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ কর্মবিরতি চলাকালে একাডেমিক ও মডারেশন মিটিং, নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি, নিয়োগ ও পদোন্নয়ন সভা, ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণাধর্মী ও প্রশিক্ষণ সেন্টারের পরিচালকরা সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকেন। বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, সুপার গ্রেড এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতির কর্মসূচি পালিত হবে।

এদিকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলাকালে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

অন্যদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি দীপক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আহ্বানে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। ১ থেকে ৪ জুলাই প্রতিদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করা হবে।

এছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, কর্মদিবসে অথবা ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত সব ধরনের ক্লাস (অনলাইন ও অফলাইন) বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। শিক্ষকমণ্ডলী পরীক্ষা ও ভর্তি-সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না। শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন তারা দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও কনফারেন্সের কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। শিক্ষকরা সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কমিটির কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। শিক্ষকমণ্ডলী পরীক্ষা ও ভর্তি-সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আব্দুল হাসিব বলেন, সর্বজনীন পেনশন-সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের এ আইনের আওতামুক্ত রাখা এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রণীতব্য প্রহসনের অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।


কোটাবিরোধী সম্মিলিত আন্দোলনের ডাক শিক্ষার্থীদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও সব ধরনের সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবার ঢাকায় সম্মিলিতভাবে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে গণপদযাত্রাসহ তিন দিনের লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তারা তাদের এই আন্দোলনের নাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত শিক্ষার্থী সমাবেশ থেকে নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে গণপদযাত্রা শুরু হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের একই সময়ে একই কর্মসূচি পালনে আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া আগামী ৩ ও ৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ঢাকার সব কলেজে একযোগে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সোমবার শিক্ষার্থীরা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়। এরপর সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, অ্যাকাডেমিক ভবন ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

মিছিলে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা?’, ‘মেধা মেধা, ‘হাইকোর্টের রায় মানি না মানব না’, ‘কোটা বাতিল কর, বাতিল কর, ‘ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম আগামী চার জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সকল ক্লাস বর্জনের আহবান জানান।

তিনি বলেন, ৪ জুলাইয়ের মধ্যে আইনিভাবে আমাদের দাবির বিষয়ে চূড়ান্ত সুরাহা করতে হবে। আমাদের আশ্বস্ত করতে হবে, যাতে কোটাব্যবস্থার চূড়ান্ত ফয়সালা করা হয়।

পেনশন স্কিম প্রত্যয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। কিন্তু আমাদের সেসব সুযোগ-সুবিধাগুলো রয়েছে, যেমন- মেডিকেল সেন্টার, হল, লাইব্রেরি, রিডিংরুম এগুলো যেন বন্ধ না হয়।’

এর আগে আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ঢাবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে একত্রিত হন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে এসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেন। এ সময় তারা কোটাবিরোধী নানান স্লোগান দেন। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানব না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়/স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানব না’, ‘কোটা পদ্ধতি, কোটা পদ্ধতি, মানি না মানব না’ ইত্যাদি।

সমাবেশ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিসে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় সেবা অব্যাহত রাখার দাবি জানান।


ঢাবিকে আর ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার অঙ্গীকার

উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এস এম মাকসুদ কামালের
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) উচ্চতর গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০৪৫ সালের মধ্যে গবেষণাপ্রধান আর ওয়ান ক্যাটাগরির বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এস এম মাকসুদ কামাল।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে টিএসসিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য তার এই পরিকল্পনার কথা বলেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্পিকার বলেন, ‘তরুণদের সামাজিক দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা অর্জন এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে হবে। তারুণ্য জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময়কে যথাযথভাবে সদ্ব্যবহার করে মেধা ও মননকে শানিত করতে হবে এবং প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে। শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানী, দক্ষ এবং মূল্যবোধ সম্পন্ন করে তোলে। তাই শিক্ষার মাধ্যমেই পরিবর্তন সম্ভব। জ্ঞান অর্জনের অন্যতম মাধ্যম উচ্চশিক্ষা। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের একটি লক্ষ্য ট্রানজেকশনাল, অপরটি ট্রান্সফরমেশনাল। প্রথম লক্ষ্যটির ক্ষেত্রে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা দানের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করা হয়। উচ্চশিক্ষার দ্বিতীয় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুধু ভালো চাকুরি পাওয়া নয়, বরং এক্ষেত্রে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ মানবিক বিকাশ ঘটে এবং সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে তার মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয় এবং সে বিশ্লেষণ করার দক্ষতা অর্জন করে।’

ঢাবিকে আর ওয়ান ক্যাটাগরির বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ইতোমধ্যে অ্যাকাডেমিক মাস্টার প্ল্যান এবং অ্যাকাডেমিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা দরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। পৃথিবীর আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কৃতিত্বপূর্ণ নজির নেই। আত্মনির্ভরশীল, আত্মমর্যাদাশীল ও স্বাবলম্বী জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দক্ষতা-ভিত্তিক, আধুনিক, প্রায়োগিক ও জনকল্যাণমুখী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রজন্মকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুত করতে চাই। শিক্ষার্থীদের হতাশামুক্ত শিক্ষা জীবন নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই প্রথম বর্ষের সকল অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

জাতীয় নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, অ্যালামনাই, ব্যবসায়ীসহ সকলের সহযোগিতায় গবেষণা, উদ্ভাবন ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের শিক্ষা মানচিত্রে অনন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে বলেও উল্লেখ করেন উপাচার্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

এর আগে উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাবির ১০৪ তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকাল ১০টায় টিএসসির পায়রা চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন, থিম সং পরিবেশন এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা’।


নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কিভাবে হবে তা নিয়ে অনেক আগে থেকেই আলোচনা চলছিলো। অবশেষে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)।

আজ সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এনসিসিসির বৈঠকে এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা যেভাবে প্রস্তাব করেছিলাম, আগে যা যা ছিল, সেভাবেই থাকছে। ছোটোখাটো কিছু সংশোধনীসহ মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়েছে। আজকের সভায় প্রস্তাবিত কাঠামো, নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক থাকছে।’

চূড়ান্ত অনুমোদনের ফলে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সামষ্টিক মূল্যায়নের লিখিত অংশের ওয়েটেজ হচ্ছে ৬৫ শতাংশ। আর কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ হচ্ছে ৩৫ শতাংশ। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কার্যক্রম বলতে বোঝানো হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট করা, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান করা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি।

এর আগে গত মে মাসে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। সেটিই আজ চূড়ান্ত হয়েছে।

বিষয়:

ইউজিসি প্রফেসর হলেন ড. লুৎফুল হাসান ও ড. জেবা ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান ও অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সেরাজকে ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ ২০২৩’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। আগামী দুই বছরের জন্য ‘ইউজিসি প্রফেসর’ হিসেবে এদুজন গবেষক দায়িত্ব পালন করবেন। যোগদানের তারিখ থেকে তাদের মেয়াদকাল গণ্য হবে।

কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ নিয়োগ কমিটির এক সভায় গতকাল রোববার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সেরাজকে নিয়োগের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘দেশের দুজন বিশিষ্ট গবেষককে ইউজিসি প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট কৃষি, বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকুলার বায়োলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি ও জেনেটিকস বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনা এবং দেশের প্রায়োগিক ও মৌলিক গবেষণায় তারা অনন্য নজির স্থাপন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুবিনা খোন্দকার, কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ নিয়োগে শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্ম-অভিজ্ঞতা, গবেষণা কাজে সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। ইউজিসি প্রফেসরশিপ নীতিমালা অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত খ্যাতিমান শিক্ষক/গবেষকদের ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ প্রদান করা হয়। একজন সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত প্রফেসর সর্বোচ্চ যে সুযোগ-সুবিধা পান, তারাও একই সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।


ঢাবি শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির প্রথম দিন আজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ আরও দুটি দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকদের কর্মবিরতির আজ প্রথম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে ঢাবি শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হিসেবে আজ কর্মসূচি থাকলেও পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী সেখানেও অংশ নেয়নি শিক্ষক সমিতির অধিকাংশ সদস্য। তবে কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চলছে। ফলে শিক্ষকদের এই কর্মবিরতির প্রভাব তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। তবে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা। সেদিনই এটির প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাবে।

গতকাল রোববার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আজ থেকে এই সর্বাত্মক কর্মবিরতির কথা জানানো হয়।

প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার ছাড়া শিক্ষকদের আরও দুইটি দাবি রয়েছে, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন এবং প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি। এসব দাবি আদায় না হলে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আমরা আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছি। সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মবিরতি পালন করেছেন৷ আমাদের ৩ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমাদের দাবি নিয়ে আমরা সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের সঙ্গে একটা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এরপর আর কোনো আলোচনা হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও আমাদের সঙ্গে কোনো টেবিল টক বা ডিসকাশনে যাওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি, অর্ধদিবস কর্মবিরতি আর গতকাল পুর্নদিবস কর্মবিরতি করেছি। সবক্ষেত্রেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ দেখেছি। আমরা পরীক্ষা এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কার্যক্রমকে আওতামুক্ত রেখেছি। কিন্তু সরকারের কেউই আমাদের কথা শুনবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। এখন আমাদের আর ফিরবার কোনো পথ নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমন একটি সময় অতিবাহিত করছে যেখান একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরাও ভিন্ন ভিন্ন আন্দোলনে আছেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করছেন প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের আন্দোলন আর শিক্ষার্থীরা করছেন মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলন।

গত ১৩ই মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির পর গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এরপর ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পরে ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারাদেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। এরপর গতকাল ৩০জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করে আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয় শিক্ষকদের।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
ঢাবি প্রতিনিধি

প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ইতিহাস নেই যে সেই বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশের জন্ম দিয়েছেন। তবে এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পূর্ববাংলার মুসলমানদের মধ্যে একটি সচেতন মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী শ্রেণি গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে জন্ম দিতে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নির্মাণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। সাংবাদিক এবং গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদও তার বইয়ে লিখেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাস আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস অবিচ্ছেদ্য।

এ ছাড়া স্বাধীনতার পর প্রতিটি গণতান্ত্রিক, মৌলবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই সর্বদা ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশের প্রয়োজনে নিজেকে উৎসর্গ করাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নিজ দায়িত্ব হিসেবে কাঁধে তুলে নিয়েছে। যেকোনো সংকটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে দেশ ও জাতি এটিই আশা করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকে কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়ালেও বিগত কয়েক দশক ধরে শিক্ষার্থীদের তীব্র আবাসন সংকট, গেস্টরুম সংস্কৃতি, গবেষণার অপ্রতুলতা এবং সেকেলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সেবার কারণে সমালোচনায় জর্জরিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন নির্ধারণ

গত ২৬ জুন অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন নির্ধারণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন এবং এই সম্পর্কিত মিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাডেমিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান এবং ফিজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান প্রস্তাব করা হয়েছে। এ দুটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত একাডেমিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নকালে অনেক বিভাগের শিক্ষার্থী সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হবে। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী কিছু নতুন বিভাগও খোলা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আজ প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চ শিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার শিক্ষা দর্শনের আলোকে দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য অনুদান ১০০ কোটিতে উন্নীত করি। আমরা জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু বৃত্তি এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের প্রবর্তন করি।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। পাশাপাশি অভিনন্দন জানিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে। উপাচার্য বলেন, জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌরবগাথা নিয়ে শতবর্ষ পাড়ি দিয়েছে প্রাণপ্রিয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চিরগৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসহ গণমানুষের সব লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশ সেবায় রেখেছে অনন্য অবদান।

বর্ণাঢ্য কর্মসূচি

বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে আজ সোমবার ১০৩তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহকারে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন। স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে সকাল পৌনে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহকারে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে গমন করবেন।

সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা। উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন ওড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছাড় এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা সভায় অংশ নেবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।


এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য তেজগাঁও থানার ‘সাপোর্ট’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ জুন, ২০২৪ ২০:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য রাজধানীর তেজগাঁও থানার উদ্যোগে ‘সাপোর্ট’ নামে বুথ খোলা হয়েছে। আজ রোববার এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে তেজগাঁও থানার ৩ পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে এসব বুথ খোলা হয়েছে।

তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যানজটে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, কেউ ভুল কেন্দ্রে চলে এলে তাকে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন বা অন্য কিছু ফেলে এলে তা আনার ব্যবস্থা করা, কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকদের ভিড়ে যেন শিক্ষার্থীদের সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সাপোর্ট।

প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই সাপোর্ট নামে একটি বুথ খোলা হয়েছে। সেখানে এসব সেবা দেওয়ার জন্য তেজগাঁও থানার পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। এ ছাড়া দুটি স্পটে আলাদা গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো পরীক্ষার্থী যানজটে আটকা পড়লে কিংবা গাড়ি না পেলে তাদের পুলিশের এই গাড়িতেই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে রোববার সকালে তিনটি কেন্দ্রের সামনে চকলেট ও কলম দিয়ে পরীক্ষার্থীদের স্বাগত জানায় তেজগাঁও পুলিশ। প্রথম দিন বৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাতারও ব্যবস্থা করা হয় সাপোর্টে। পরীক্ষার্থীদের জন্য পুরো পরীক্ষার সময়ে এসব বুথ রাখবে তেজগাঁও থানা।


শিক্ষকদের কর্মবিরতির দিকে নজর রাখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের এ আন্দোলনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাসময়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সর্বজনীন পেনশনের আওতায় কারা আসবে, সেটা সরকারের নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটার সঙ্গেই আছে। শিক্ষকরা দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে জানাচ্ছেন, সরকারই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখানে কিছু করার নেই। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হচ্ছে সেটাও নয়। সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এ পেনশনের আওতায় আসবেন। হয়তো এ বছর শিক্ষকরা আসছেন, আগামী বছর অন্যরা আসবেন। তবে পর্যায়ক্রমে সবাই আসবেন।’

শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে সেশনজটে পড়লে মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন। সেই অধিকার তাদের আছে। অনেকে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। এ আন্দোলনের মাধ্যমে তো এটা বোঝা যাচ্ছে যে, তার স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমি বলবো, আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি। এখনো সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হয়নি। তাদের কর্মসূচি শুরু হোক, পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা পদক্ষেপ নেবো’ বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।


কাল থেকে বন্ধ হচ্ছে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ আরও দুটি দাবিতে আগামীকাল সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছে দেশের সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে যাচ্ছে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম।

আজ রোববার ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ফেডারেশনের এই ঘোষণা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষক সমিতি ক্লাস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ ফেডারেশনের আরও দুই দাবি হলো, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদালয় শিক্ষকদের অধিভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি মতো বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে।

এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ২৫, ২৮ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয় এবং আজ ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।'

শিক্ষককদের এই আন্দোলন শিক্ষার্থীদেরও স্বার্থে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত প্রতায় স্কিম' বাস্তবায়ন করা হলে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, যাঁরা আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় আসতে আগ্রহী, তাঁরাও এর ভুক্তভোগী হবেন। কাজেই আমাদের এ আন্দোলন আগামী দিনের তরুণ সমাজের স্বার্থরক্ষার পক্ষে এবং উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন।

ক্লাসে ফিরে যেতে আগ্রহী উল্লেখ করে ফেডারেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা এখনও আশা করি সরকার অনতিবিলম্বে এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন। যাতে আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। অন্যথায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।


এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত প্রায় ১০ হাজার পরীক্ষার্থী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ। এদিনই পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৯হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

আজ রোববার (৩০ জুন) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অনুপস্থিতির এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটটি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে রোববার (৩০ জুন) অনুপস্থিত ছিল ৯ হাজার ৯৭০ জন পরীক্ষার্থী। আর বহিষ্কার হয়েছে ২০ জন এবং একজন পরিদর্শককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, ইতোমধ্যে আমরা চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়েছি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। তবে আগামী বছর থেকে পুরোনো সূচি অনুযায়ী এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর চেষ্টা করছি।

বন্যার কারণে এ বছর সিলেট বোর্ড ছাড়া বাকি ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা হচ্ছে। গত বছরও বন্যার কারণে চট্টগ্রাম বোর্ডে পরীক্ষা স্থগিত ছিল। সেসময় এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে ৫ হাজার ৫২২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

আজ প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়েছে। এদিন আট শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দুই হাজার ৬০১ জন, রাজশাহীতে এক হাজার ৫০৮ জন, কুমিল্লায় এক হাজার ১৫৬ জন, যশোরে এক হাজার ৩২৮ জন, চট্টগ্রামে ৯৭৫ জন, বরিশালে ৭২৭ জন, দিনাজপুরে এক হাজার ১৩ জন ও ময়মনসিংহে ৬৬২ জন।


ছয় মাসে ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ছয় মাসে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে প্রায় ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ খাতে ব্যয় বরাদ্দের ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবে বিরোধী দলের সদস্যদের আলোচনার পর শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে এ কথা বলেন। সংসদের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গত ছয় মাসে প্রায় ৯৯ হাজার শিক্ষককে এনটিআরসিএ এর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোতে এমপিও শূন্য পদে নিয়োগ দিতে পেরেছি।

স্কুল ভবন নির্মাণের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৭৩২টি ভবন সরাসরি বিদ্যালয়ের জন্য তৈরি করতে পেরেছি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে। এ অধিদপ্তরের বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ হচ্ছে।

গবেষণা খাতে বরাদ্দ প্রসঙ্গে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গবেষণা খাতে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ প্রতিষ্ঠা করা এবং গবেষণা খাতে প্রথম সরকারি বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেছিলেন। যার সুফল সরাসরি আমরা পাচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গবেষণায় এক লাখ টাকা দেওয়া হয়, এটা সত্য নয়। আমাদের নানা খাত থেকে গবেষণায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখি গবেষণায় বরাদ্দকৃত অর্থও যথাযথভাবে খরচের ক্ষেত্রে সেই অর্থ রয়ে যায়।

ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ বলেন, শিক্ষক নিয়োগের পরও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। শিক্ষকরা গ্রামে যেতে চায় না। এ সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ভবনের পরিবর্তন, শিক্ষার মানের পরিবর্তন হয়নি। ভবন করা হলো শিক্ষক নাই, বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত নাই।

স্বতন্ত্র সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী এক বছরে পাঁচ লাখ শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান করতে হবে। শিক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে, সর্বক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কাগজে-কলমে দুর্নীতি, টাকা ছাড়া কিছু করা যায় না। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহিদী বলেন, শিক্ষায় প্রশাসনিক ব্যয় কমিয়ে গবেষণার দিকে নজর দেওয়া দরকার। আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণার বেহাল দশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষক প্রতি ব্যয় মাত্র এক লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যদি গবেষণার সুযোগ দিতে না পারি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। গবেষণা বরাদ্দ বাড়াতে হবে।


অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। আজ রোববার ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন। বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।’

প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে দেওয়া কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল সোমবার থেকে কোনো ক্লাস, পরীক্ষা নেবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বন্ধ থাকবে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, অংশ নেবেন না বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রোগ্রামে।

বিজ্ঞপ্তিতে মোট নয়টি কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো,

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল ক্লাস বন্ধ থাকবে।

২. অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাশ, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে।

৩. সকল পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

৪. বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন।অ্যাকাডেমিক কমিটি, সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না।

৫. অনুষদের ডিনবৃন্দ ডিন অফিস, ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না। কোন সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না।

৬. বিভিন্ন ইন্সস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ ইনস্টিটিউটের অফিস, ক্লাশ ও পরীক্ষা-বন্ধ রাখবেন। সান্ধ্যকালীন,শুক্রবার ও শনিবারের ক্লাশ বন্ধ থাকবে।

৭. বিভিন্ন গবেষণাধর্মী সেন্টারের পরিচালকগণ কোন সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।

৮. বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণ প্রাধ্যক্ষ অফিস বন্ধ রাখবেন।

৯.প্রধান গ্রন্থাগারিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ রাখবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচিতেও অংশ নিবে না শিক্ষক সমিতি

সর্বাত্মক কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আগামী ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীরও কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি উপলক্ষে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দুঃখের বিষয়, এমন একটি দিনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজপথে থাকতে হবে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা তাকে জানিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কোনো কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অংশ নেবে না।


banner close