মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
৯ বৈশাখ ১৪৩২

জবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস ৩ সেপ্টেম্বর, র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিবেদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ২১:৫৬

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। এই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে নিজ নিজ ইনস্টিটিউট ও বিভাগে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান শনিবার বিকেলে দৈনিক বাংলাকে নতুন সেশনের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর সময়সূচি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার স্বাক্ষরিত একটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। ইনস্টিটিউট ও বিভাগসমূহ নিয়মিত ক্লাসের সময়সূচি শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।

এর আগে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সম্পন্ন করতে হবে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ক্লাস শুরু হওয়ার পরও ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের কাগজপত্র স্ব স্ব বিভাগে জমা দিতে পারবে।

কেন্দ্রীয়ভাবে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান হবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখন ৩ সেপ্টেম্বরে স্ব স্ব বিভাগ তাদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস হবে।

র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং বলতে কোনো শব্দ নেই। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপাচার্যের নির্দেশনা রয়েছে র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’।

অবশ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং করলেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে আগেই আদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতিও কোনো ধরনের র‌্যাগিং না করার করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, যদিও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ নেই। তবু সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা র‌্যাগিং নামক অত্যাচারের ভয়ে থাকেন। র‌্যাগিং শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের চূড়ান্ত ভর্তি হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে নিজ নিজ প্যানেলে লগইন করতে হবে। প্রাথমিক ভর্তি ফি বাবদ ইতোপূর্বে জমাকৃত পাঁচ হাজার টাকা বাদ দিয়ে বাকি (চূড়ান্ত) ভর্তি ফিস অনলাইনে জমা দিতে হবে।

আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি জমা দিতে হবে। পাশাপাশি বিভাগ থেকে কাগজপত্র জমাদানের স্লিপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে জমা দিয়ে চূড়ান্ত ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ভর্তির জন্য চূড়ান্ত ভর্তি ফি জমাদানের রশিদ, প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চিতকরণ বাবদ প্রদত্ত মূল নম্বরপত্র জমাদান স্লিপের ফটোকপি, গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার প্রত্যবেক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র, অনলাইন থেকে প্রিন্টকৃত ভর্তি ফরম ও চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন রয়েছে দুই হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে রসায়নে ৮০, পদার্থবিজ্ঞান ৮০, গণিত ৮০, প্রাণিবিদ্যা ৮০, পরিসংখ্যান ৮০, উদ্ভিদবিজ্ঞান ৮০, ভূগোল ও পরিবেশ ৮০, মনোবিজ্ঞান ৮০, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ৫০, অনুজীব বিজ্ঞান ৪০, ফার্মেসি ৪০, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান ৩০, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজিতে রয়েছে ২৫টি আসন।

এছাড়া বাংলা ৮০, ইংরেজি ৮০, ইতিহাস ৮০, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ৮০, ইসলামিক স্টাডিজ ৮০, দর্শন ৮০, আইন ৮০, অর্থনীতি ৮০, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৮০, সমাজবিজ্ঞান ৮০, সমাজকর্ম ৮০, নৃবিজ্ঞান ৮০, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ৮০, লোকপ্রশাসন ৮০, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন ৬০, এডুকেশন ৬০, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগে আছে ৪০টি আসন।

মার্কেটিং ১০০, ফিন্যান্স ১০০, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ১৬০ ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজে ১৬০টি আসন রয়েছে। সংগীত ৪০, চারুকলা ৪০, নাট্যকলা ৪০, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনে আছে ৩০টি আসন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয় চলতি বছরের ২০ জুন। অনলাইনে আবেদন চলে ২৭ জুন পর্যন্ত। পরবর্তীতে চারটি মেধাতালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলে।

ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে (https://admission.jnu.ac.bd) পাওয়া যাবে।


এসএসসিতে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে-সব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছেন কিন্তু প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত তাদের তথ্য গুগল ফরমে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে। এ নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় থাকা সব অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিদিন কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী (ফরম পূরণকৃত) অনুপস্থিত থাকছে যা বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এমন অবস্থায় আপনার প্রতিষ্ঠানের যে সব পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন কিছু এক বা একাধিক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না বা প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত আছে, তাদের সবার তথ্য গুগল ফরমের মাধ্যমে (লিংক সংযুক্ত) আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, প্রত্যেক অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর জন্য পৃথক-পৃথক ছকে তথ্য পাঠাতে করতে হবে। যতজন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর তথ্য পাঠাতে করবেন ততবার লিংকে ক্লিক করে পৃথক-পৃথক ফরমে তথ্য পাঠাতে হবে। একজন পরীক্ষার্থীর জন্য একাধিক ছক-ফরম পূরণ করা যাবে না। অনুপস্থিতির কারণ জানার জন্য পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকের (বাবা/মা/পরিবারের অন্য কোন সদস্য/আইনত অভিভাবক) সঙ্গে সশরীরে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

কোন-কোন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। চিঠিতে বিষয়টি অতীব জরুরি বলে জানানো হয়। গুগল ফরমের লিংক: https://forms.gle/47kW2ZVKzCX92Lxz8.


কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

৬ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) ৬ দফা দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার পর কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক ও রেল অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন সারাদেশের কারিগরি শিক্ষার্থীরা। এতে জনদূর্ভোগের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।

এরপর সোমবার কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনের একদল প্রতিনিধি। এ সময় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র প্রতিনিধিদের ০৬ দফা দাবীর মধ্যে যৌক্তিক দাবীগুলো পূরণের লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ (টিএমইডি) আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের সকল কর্মসূচী প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব।

ইতোমধ্যে যৌক্তিক দাবীগুলো পূরণের লক্ষ্যে এ বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, আইইবি, আইডিইবি এবং ছাত্র প্রতিনিধিসহ ০৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী দাবীগুলো পূরণে এ কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। সেসব সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে এসব বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ঘোষণা দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের কর্মসূচী প্রত্যাহারের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা দূর হয়ে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সচিব।


৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ৮-১৯ মে অনুষ্ঠেয় ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী প্রবেশ করতে পারবে না।

আজ রোববার বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পরীক্ষার হলে বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, সায়েন্টিফিক বা প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটরসহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের অনুরূপ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সাথে না আনার জন্য সকল প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে এবং এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখতে পারবে না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ পরীক্ষার আগে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

পরীক্ষার হলে কোনো প্রার্থীর কাছে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গৃহীতব্য সকল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এর ধারা-১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অনুযায়ী কোনো অপরাধ সংঘটন করলে বা সংঘটনে সহায়তা করলে, তিনি যে ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করবেন বা সংঘটনে সহায়তা করবেন, সে ধারায় বর্ণিত দন্ডে দণ্ডিত হবেন।


ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নতুন অধ্যক্ষ সাহেলা পারভিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বর্তমান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাহেলা পারভিন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে সাহেলা পারভিনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। এ আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের পদত্যাগসহ ছয়দফা দাবিতে বুধবার দিনব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে একযোগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে রেল ব্লকেড করার ঘোষণা দেন তারা। নতুন এ কর্মসূচি দিয়ে রাতে সড়ক ছাড়েন তারা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই বর্তমান অধ্যক্ষকে তা পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে জানা গেছে।


ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোডম্যাপ অনুযায়ী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে তা রোডম্যাপে উল্লেখ নেই।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই রোডম্যাপ এর কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন মনে করে, ডাকসু প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদেরও ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সে কারণেই বর্তমান প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি সংবলিত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হলো।

গণমাধ্যমে পাঠানো রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।

একই মাসে ডাকসু সংশোধিত গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে তা ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এর আগে এ বিষয়ে ছয়টি সভা করা হয়। এই গঠনতন্ত্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে ‘ডাকসু ইলেকশন কোড অব কনডাক্ট রিভিউ কমিটি’ করা হয়। তারা সাতটি সভা করে। এটিও চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন তা সিন্ডিকেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপ অনুযায়ী, মে মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। একই সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।


কুয়েটের ৩৭ শিক্ষাথী বহিষ্কার

৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু, হল খুলবে ২ মে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজজামান শেখ এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ (সাইত্রিশ) জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সকল আবাসিক হলগুলো আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার(১৪ এপ্রিল) রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেকদিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।


বর্ণাঢ্য আয়োজনে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক আয়োাজনে উৎসবমুখর ক্যাম্পাস
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে। নববর্ষে শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এর নেতৃত্বে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নববর্ষ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে সমাপ্ত হয়। নববর্ষ শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
এবারের নববর্ষ উদযাপনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো”।

চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শোভাযাত্রায় সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগামি পাখি, চড়কি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, গরুসহ বড় গরুর গাড়ির স্থাপত্যসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনসমূহ প্রদর্শিত হয়।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা এবং ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য মহোদয়। এবারই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন স্টলে স্থান পায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী পণ্য, খাদ্যদ্রব্য ও শিল্পকর্ম।
এদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম আনুষ্ঠানিকভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “১৪৩১ বঙ্গাব্দে দেশের মানুষের অসাধারণ ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলে আমরা আজ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নববর্ষ একটি মুক্ত পরিবেশে উদযাপন করতে পারছি। এই অর্জনকে ধরে রাখতে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।”


বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন চত্বরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় জমে ওঠে এক প্রাণবন্ত উৎসব। এ বিভাগ পরিবেশন করে হৃদয়ছোঁয়া সঙ্গীত। নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চস্থ করে জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’। এছাড়াও, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী উপস্থাপন করে নানা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় বিকাল ৩টায় ব্যান্ড সংগীত ও কনসার্টের মনোমুগ্ধকর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ উপস্থিত সকল দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করেন উৎসবের রঙিন আমেজ। বৈশাখের রঙে রাঙানো এ আয়োজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দেয় উৎসবের এক উচ্ছ্বসিত আবেশ। নববর্ষের এই অনুষ্ঠান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।


এসএসসি পরীক্ষা শুরু আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার থেকে এক যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছে কমিটি।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এবারও বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।

এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় এক লাখ। শুধু তাই নয়, বিগত পাঁচ বছরে এবারই সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। এছাড়া ২০২৩ সালে ছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন, ২০২২ সালে ছিল ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন এবং ২০২১ সালে ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৭ লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন। এদিকে এবারের এসএসসি ও সমমানে গণিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। এ পরীক্ষা আগামী ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড নতুন এই রুটিন প্রকাশ করেছে। এর আগে এই পরীক্ষা ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডের ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নানা আলোচনার পর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গণিতের পরীক্ষা পিছিয়ে নতুন রুটিন প্রকাশ করল।

লিখিত পরীক্ষা ৮ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে আবার সময়সূচি সংশোধন করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু বৈসাবি উৎবের কারণে এই পরীক্ষা ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ২০ এপ্রিলের গণিত পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার পরে আবার পরিবর্তন আনা হয়েছে সময়সূচিতে।


ঢাবিতে ঈদ র‌্যালি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৫ ১৮:৪০
ঢাবি প্রতিনিধি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ঈদ র‌্যালি বের করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেবেন। ঈদের দিন সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ'য় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর র‌্যালি শুরু হয়ে তা টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করবেন।

এর আগে গত ২৩ মার্চ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, এবার ঢাকায় ঈদের নামাজ শেষে সরকারি উদ্যোগে সুলতানি ও মোঘল আমলের রীতি অনুযায়ী থাকবে ঈদের আনন্দ মিছিল। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার-পরবর্তী সময়ে ঈদ আনন্দকে নতুন ও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে থাকবে ঈদ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জানা গেছে, সেই ঘোষণার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঈদ মিছিল আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।


এবছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।

আজ বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

২. ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

৩. পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

৪. সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।

৫. সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।

৬. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।

৭. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।

৮. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৯. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।


কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একা‌ডে‌মিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত করা হ‌য়ে‌ছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সি‌ন্ডি‌কে‌টের এক জরু‌রি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় গতকাল হামলায় জড়িতদের বহিষ্কার, বহিরাগতের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসা খরচসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়েট উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।

মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।


অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সফলভাবে উদযাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এই বিশেষ দিনটি ছিল ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের জন্য একটি ক্রীড়া ও একতার উৎসব, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দলগত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের রোমাঞ্চকর দৌড়, রিলে রেস, উচ্চ লম্ফ ও দীর্ঘ লম্ফের মতো নানা আয়োজন ছিল সারা দিন। যেমন খুশি তেমন সাজো’র মত নজরকারা আয়োজনও ছিল সারা দিনব্যাপি।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার এবং বর্তমান বিপিএল (ক্রিকেট) (টেকনিকাল) চেয়ারম্যান এ এস এম রকিবুল হাসান। তিনি তার অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্যের মাধ্যমে তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোবেরা রহমান লিনু- যিনি টেবিল টেনিসে টানা ১৬ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী।

এছাড়াও, বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিইও মোহাম্মদ আবু কায়েস জাহাদি, পরিচালক তুবা আরবাব। পুরো দিনটি ছিল আনন্দময় এবং উৎসবমুখর, যেখানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে স্কুলের ঐক্য এবং খেলাধুলার চেতনা উদযাপিত হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে এই কর্মসূচি শুরু করেছে বলে জানা যায়।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ এক সভা করে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে। না হলে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এতে কলেজগুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। তবে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আমরা অনড় রয়েছি। আমাদের দাবি না মানলে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচির পর গত ৭ জানুয়ারি শিক্ষালয়টির প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।


banner close