মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১

কিউইদের হারিয়ে কক্ষপথেই ইংল্যান্ড

দারুণ জয়ে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো ইংল্যান্ডের। ছবি: আইসিসি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৩২

জিতলেই সেমিফাইনাল, হারলেও থাকবে সম্ভাবনা – এমন একটা সমীকরণ নিয়েই ব্রিসবেনে খেলতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ছিল চাপে থাকা ইংল্যান্ড; সেমির সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে যাদের জিততেই হতো। কিন্তু ম্যাচের আগে দুই দলের চাপের পার্থক্যটা পারফরম্যান্সে ফুটে উঠল না। চাপে থাকা ইংল্যান্ডই ২০ রানে হারিয়ে দিল নিউজিল্যান্ডকে।

প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে নিউজিল্যান্ড ২০ ওভার খেললেও ৬ উইকেটে ১৬৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য কিউইদের দরকার ছিল ২৬ রান। মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি নিতে পারলেন মাত্র ৫। অবশ্য শেষ ওভারের আগেই কার্যত হেরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ১৮০-এর মতো বড় রান তাড়া করতে দরকার ছিল ভালো একটা ওপেনিং জুটি কিংবা টপ অর্ডারের কারও বিস্ফোরক ইনিংস, কিউই ইনিংসে সেটা হয়নি। দলীয় ৮ রানে ফিরে গেছেন কনওয়ে। ২৮ রানে আরেক ওপেনার অ্যালেনও গেলেন। এরপর অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গে আগের ম্যাচের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিয়ান গ্লেন ফিলিপসের ৫৯ বলে ৯১ রানের জুটি।

শুরুর জোড়া ধাক্কা কাটিয়ে এই জুটি দলকে জয়ের কক্ষপথেই রেখেছিলেন। কিন্তু ৪০ বলে ৪০ রান করার পর বেন স্টোকসের শিকার হয়ে উইলিয়ামস ফিরলে ছোটখাটো মোড়ক লাগে কিউই ইনিংসে। ২ উইকেটে ১১৯ থেকে এক পর্যায়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৩১! ১৪ বলের মধ্যে ফিরেছেন উইলিয়ামসন, জিমি নিশাম ও ড্যারিল মিচেল।

অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মধ্যেও এক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে গেছেন ফিলিপস। আগের ম্যাচে ৬১ বলে সেঞ্চুরি করা কিউই এই ব্যাটার আজও চড়াও হয়ে খেলেছেন ইংলিশ বোলারদের ওপর। ৩৬ বলে ১৭২.২২ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৬২ রান, চার ৪টি, ছক্কা ৩টি। ইংল্যান্ডের জয়ের পথে বড় কাটা হয়ে থাকা কিউই এই ব্যাটসম্যান ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে বিদায় নিলে জয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। নিউজিল্যান্ডের তখনো ৪৫ রান দরকার।

এর আগে ইংল্যান্ডের ইনিংসটি ছিল মূলত জস বাটলার আর অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটিং প্রদর্শনী। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ছিল বাটলারের ১০০তম ম্যাচ। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচটিকে দারুণ ইনিংসের পাশাপাশি একটা রেকর্ড দিয়েও রাঙিয়েছেন বাটলার। ৪৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ রানের দারুণ ইনিংসের পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি (২৪৬৮) রানের রেকর্ড গড়েছেন।

হেলসের সঙ্গে বাটলারের ৬২ বলে ৮১ রানের জুটিই ভালো একটা স্কোর পাইয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। ফিফটি করেছেন হেলসও (৪০ বলে ৫২)। ১১তম ওভারে হেলস ফিরে গেলেও বাটলারের প্রদর্শনী চলেছে ১৯তম ওভারের চতুর্থ বল পর্যন্ত। ম্যাচসেরা আর কে হতে পারেন এমন দিনে!


ইসরায়েলকে লাল কার্ড দেখাও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

‘শো ইসরায়েল দ্য রেড কার্ড’ যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘ইসরায়েলকে লাল কার্ড দেখাও।’ সেল্টিক বনাম বায়ার্ন মিউনিখের ম্যাচে দেখা গেছে এমনই দৃশ্য। নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে ‘লাল কার্ড’ দেখিয়েছেন সমর্থকরা। পাশে দাঁড়িয়েছেন বিপর্যস্ত মানবতার।

ফিলিস্তিনে ইহুবাদী ইসরায়েলের সন্ত্রাসী হামলায় বিপর্যস্ত মানবিকতা। বোমার স্প্লিন্টারে উড়ছে মানুষের মৃতদেহের খণ্ড খণ্ড অংশ। ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র এই ভূখণ্ড। হাসপাতাল, ধর্মীয় উপাসনালয় এমনকি আশ্রয় কেন্দ্রও বাদ যাচ্ছে না ইসরায়েলের কাপুরুষোচিত হামলা থেকে। সবশেষ ১৮ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক।

দখলদার সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বর্বোরোচিত হামলার প্রতিবাদ করে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অন্যান্য পেশার মানুষের সঙ্গে প্রতিবাদে মুখর ক্রীড়াঙ্গনের মানুষরাও। ইউরোপ থেকে বাংলাদেশ; প্রতিবাদ করছেন ক্রীড়াঙ্গনের মানুষরা। নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। সেই কাতারে শামিল হয়েছেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, জামাল ভূঁইয়া, তাসকিন, শরিফুলরা। বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের প্রতিবাদী স্ট্যাটাসগুলোকে এক জায়গায় করেছেন দৈনিক বাংলার ক্রীড়া প্রতিবেদক নাজমুল সাগর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ফেরিফায়েড পেজে ফিলিস্তিনের পতাকার ছবি পোস্ট করে মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ, পুরো পৃথিবীর নির্যাতিতদের সাহায্য করো। হে আল্লাহ, তাদের জন্য রক্ষক, সাহায্যকারী, সহায়তাকারী এবং শক্তিদানকারী হয়ে ওঠো।’

গ্রাফিকাল ছবি পোস্ট করে মাহমুদউল্লাহ আল্লাহর একাধিক গুণবাচক নাম সামনে এনে প্রার্থনা করেছেন ফিলিস্তিনের জন্য। তাদের রক্ষা এবং বিজয় অর্জনের দোয়ার বাণী ফুটে উঠেছে তার লেখায়। পরবর্তীতে এক ভিডিও বার্তায় আগামী ১২ এপ্রিল ‘মার্চ ফর গাজা’র ডাক দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘তোমরা প্রতিদিন আমাদের হৃদয়ে ও মনে আছো। ভালো দিনের জন্য প্রার্থনা করছি।’

পেসার নাহিদ রানা একাধিক ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার উপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।’ ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়ে নুরুল হাসান সোহানের মন্তব্য, ‘ফিলিস্তিন যতদিন মুক্ত না হচ্ছে, আমাদের সবার স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ।’

শেষ জামানার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হবে ফিলিস্তিন। আজকের এই দুর্দিন বিজয়ের প্রথম ধাপ হিসেবে উল্লেখ করে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম লিখেছেন, ‘তিনিই আদি, অন্ত, ব্যক্ত ও গুপ্ত এবং তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। বিশ্বাসীরা কখনও আশা ছাড়ে না। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক, এই জালিমদের বিচারও এক দিন তিনি ঠিকই করবেন। কোরআনের ওয়াদা কখনও মিথ্যা হতে পারে না। পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে গাজা, ফিলিস্তিন ততদিন টিকে থাকবে এবং শেষ জামানার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হবে এই পবিত্র ভূমি। হয়তো আজকের এই দুর্দিন আমাদের বিজয়ের প্রথম ধাপ।’

পেসার তাসকিন নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘একজন মানুষ ও মুসলমান হিসেবে আমি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবতার জয় হোক- এই প্রার্থনা।’

পবিত্র কোরআনের সূরা মায়িদার আয়াত উদ্ধৃত করে পেসার শরিফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি একটি নির্দোষ মানুষকে হত্যা করে, সে যেন গোটা মানবজাতিকে হত্যা করলো। ফিলিস্তিনে প্রতিদিন নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরছে। ওরা আমাদের ভাই, ওরা আমাদের আত্মীয়। দোয়া করুন, গর্জে উঠুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকুন।’


মেসির গোলে কোনোমতো হার এড়াল মিয়ামি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইনজুরি থেকে ফিরে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে মেসি উজ্জ্বল হলেও ইন্টার মিয়ামি নিমজ্জিত অন্ধকারে। জয় খুঁজে পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি। গতকাল আরও একবার পয়েন্ট হারিয়েছে মেসি-সুয়ারেজরা। ৪০ মিনিটের মধ্যে দুই দফায় বল জালে পাঠিয়েও গোলের দেখা পায়নি মিয়ামি। উল্টো গোল হজম করে পিছিয়ে পরে তারা। মেসির গোলে সমতায় ফিরলেও ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মিয়ামিকে।

গতকাল ভোরে মেজর লিগ সকারের ম্যাচে টরন্টো এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইন্টার মিয়ামি। এই ড্রয়ে শীর্ষস্থান থেকে এক ধাপ নেমে গেছে মায়ামি, ম্যাচ যদিও একটি কম খেলেছে তারা। তবে এই ফলাফল তাদের জন্যই বেশি হতাশার। ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে এখন দুই নম্বরে মেসিরা। ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কলম্বাস ক্রু। ৭ ম্যাচে কোনো জয় নেই টরন্টোর। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানি থেকে দুইয়ে আছে তারা।

ফলাফলের বাইরে অবশ্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল মিয়ামির হাতেই। ম্যাচের ৬৭ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের পায়ে। গোলের জন্য ২৩টি শট নেয় মেসিরা, এর ৯টি ছিল লক্ষ্যে।

২৯তম মিনিটে প্রথমবার জাল খুঁজে পায় মিয়ামি। বক্সের বাইরে থেকে তেলাস্কোর সেগোভিয়ার মাপা গড়ানো শট আশ্রয় নেয় জালে। কিন্তু সুয়ারেস অফ সাইডে থাকায় গোল পায়নি মায়ামি।

মিনিট দশেক পর দারুণভাবে শরীর ঘুরিয়ে সঙ্গে থাকা ডিফেন্ডারকে ছিটকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন মেসি। কিন্তু ভিএআর পরীক্ষায় দেখা যায়, আক্রমণের শুরুতে ফাউল করেছিলেন মেসিই। ৪৪তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক অল্পের জন্য ওপর দিয়ে চলে যায়।

৪৫ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে টরন্টোকে এগিয়ে নেন বের্নারদেস্কি। ইনসিনিয়ের পাস বক্সের ভেতর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মায়ামির দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ দারুণভাবে কাটিয়ে আলতো টোকায় গোল করেন ইতালিয়ান উইঙ্গার। এবারের লিগে সাত ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয়বার আগে গোল করতে পারল টরন্টো।

মিয়ামি ম্যাচে ফিরতে সময় নেননি খুব একটা। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বক্সের ঠিক মাথায় সেগোভিয়ার পাস ডান পায়ে ঠেকিয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে মেসি সমতায় ফেরান দলকে। বলের নাগাল পাননি টরন্টোর গোলকিপার।

লিগের চলতি মৌসুমে মেসির তৃতীয় গোল এটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল হলো ছয়টি। মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর তার মোট গোল হলো ৪০টি। গোলের রেকর্ড তিনি গড়েছেন আগেই। এখন শুধু নিজের অর্জনই সমৃদ্ধ করছেন আরও।

বাকি সময়ে চেষ্টা করেও আর গোল আদায় করতে পারেনি কোনো দলই।

এ ম্যাচ দিয়ে অনেক দিন পর প্রথম পছন্দের পুরো দলকে একসঙ্গে শুরুর একাদশে নামাতে পেরেছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের মাসচেরানো। গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার ফেরেন চোট কাটিয়ে। সঙ্গে মেসি, জর্দি আলবা, সের্হিও বুসকেতস, লুইস সুয়ারেসরা সবাই ছিলেন। ঘরের মাঠে এমন দল নিয়েও তারা জিততে পারেনি পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা টরেন্টার সঙ্গে।


বিদ্রোহী ফুটবলারদের সঙ্গে বাটলারের বৈঠক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

চলতি বছরের শুরু থেকেই অস্থির দেশের ফুটবলাঙ্গন। নারী দলের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারকে বয়কট করেন ১৮ নারী ফুটবলার। তার অধীনে কোনো অনুশীল না করে অবসরের হুমকিও দেন তারা। সংবাদ সম্মেলন ডেকে বাটলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন সাবিনা-মনিকারা। পরে বাফুফে সভাপতিকে চিঠি দেন তারা। বাফুফে থেকে চেষ্টা করেও আসেনি দৃশ্যত কোনো সমাধান।

সেসময় কোচ পিটার বাটলার বৈঠকের জন্য ডাকলেও তাতে সাড়া দেননি বিদ্রোহী ফুটবলাররা। অবশেষে প্রায় আড়াই মাস পর গতকাল আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন পিটার বাটলার ও সেই বিদ্রোহী ফুটবলাররা। যদিও ব্রিদাহীদের নেতৃত্ব দেওয়া সাবিনা খাতুনসহ ছিলেন না চার সিনিয়র ফুটবলার।

নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য রবিবার থেকে ক্যাম্প শুরু করেছে বাফুফে। ছুটি শেষে সেদিনই ইংল্যান্ড থেকে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন কোচ বাটলার৷ গতকাল সকালে জিম সেশন থাকলেও বাটলারকে বয়কট করা ফুটবলাররা যোগ দেননি সেখানে। আলোচনার টেবিলে বসতে চেয়েছিলেন দুই পক্ষই।

এরপর প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে সংকটের নানা বিষয়ে আলোচনা করেছে দুই পক্ষ। আলোচনায় অংশ নেওয়া একাধিক ফুটবলার জানিয়েছেন, বাটলার বেশ কয়েকবার কয়েকজন খেলোয়াড়কে অভিযুক্ত করেছেন। আবার কখনো আন্দোলনের সমালোচনাও করেছেন। এসব বিষয়ে ফুটবলারদের উত্থাপিত প্রশ্ন খণ্ডন করে নিজের যুক্তিও দিয়েছেন বাটলার। ফুটবলারদের বিগত বিষয়াবলী ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তিনি নিজেও এ বিষয়টি ভুলে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা নারী ফুটবলাররা এখন অনেকটাই নমনীয়। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি এই ইংলিশ কোচের অধীনে ফেরার ব্যাপারে। যদিও কয়েকজন অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, তারা বাটলারের অধীনে অনুশীলনে ফিরতে রাজি হয়েছেন।

নমনীয় হয়েছেন কোচ পিটার বাটলারও। বিদ্রোহ চলাকালীন বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় কয়েকজন ফুটবলারের নাম উচ্চারণ তিনি বলেছিলেন, তারা ফিরলে তিনি আর অনুশীলন করাবেন না তিনি। তবে জানা গেছে, মত পরিবর্তন করেছেন তিনি। তারা ফিরতে চাইলে অনুশীলন করাবেন বাটলার।

গতকাল আর কোনো জিম সেশন ছিল না। আজকের জিম বা মাঠের অনুশীলনে সবাই থাকেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। নাকি বাংলার চিরকালীন প্রবাদ ‘ভাঙা গ্লাস কখনো জোড়া লাগে না’, এই প্রবাদের মতোই খেলোয়াড়-কোচ দুই পক্ষের দূরত্ব থেকে যায় থেকে যায় সেটার প্রকৃত উত্তর সময়ের হাতেই।

উল্লেখ্য, সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ক্যাম্পের প্রথম দিন টিম মিটিংয়ে যাননি ১৮ নারী ফুটবলার। এরপর কোচের প্রতি অভিযোগ এনে বাফুফে সভাপতিকে চিঠির পাশাপাশি মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখেন ফুটবলাররা। দুই মাসের বেশি সময় অচলাবস্থার পর গতকালই প্রথম দুই পক্ষ সামনাসামনি হয়েছে।


সবার আগে পিএসজির শিরোপা উৎসব

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইউরোপিয়ান ফুটবলের মৌসুম এখনো চলমান। নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই কোন লিগের চ্যাম্পিয়ন কারা হচ্ছে। ব্যতিক্রম শুধু লিগ ওয়ান। ইতোমধ্যেই ফরাসি এই লিগের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ৬ ম্যাচ হাতে রেখেই অপরাজিত হিসেবে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর মধ্যে সবার আগে শিরোপা নিশ্চিত করেছে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই (পিএসজি)।

ঘরের মাঠে শিরোপা নিশ্চিত করতে অঁজির বিপক্ষে হার এড়ানোই যথেষ্ট ছিল পিএসজির জন‍্য। শক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকা দলটি যেন কাজ সারতে চাইল গোল উৎসব দিয়ে। আক্রমণের বন‍্যায় অনেক সুযোগ তৈরি করলেও তত গোল পেল না লুইস এনরিকের দল। তবে জয় দিয়েই তারা ধরে রাখল লিগ আর শিরোপা।

ঘরের মাঠে অঁজির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে ব‍্যবধান গড়ে দিয়েছেন দিজিরে দুয়ে। পয়েন্ট টেবিলে দলকে নিয়ে গেছেন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। ১৮ দলের টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে শিরোপা ধরে রাখল পিএসজি। ২৮ ম‍্যাচে ২৩ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৭৪। এক ম‍্যাচ কম খেলে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে মোনাকো।

ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে টানা চতুর্থ ও সব মিলিয়ে ত্রয়োদশ শিরোপা জিতল পিএসজি। দশটির বেশি শিরোপা নেই আর কারও। এক যুগের বেশি সময় ধরে লি আঁয় দাপট দেখাচ্ছে প‍্যারিসের দলটি। সবশেষ ১৩ আসরের ১১টিতেই শিরোপা জিতেছে তারা।

প্রায় ৮৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রথমার্ধে গোলের জন‍্য ১১টি শট নেয় এনরিকের দল। কেবল একটি রাখতে পারে লক্ষ‍্যে। ৩৪তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভিতিনিয়ার শট ঠেকিয়ে দেন অঁজি গোলরক্ষক ইয়াহিয়া ফোফানা।

বিরতির পরপরই এগিয়ে যায় পিএসজি। খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড দুয়ে। এগিয়ে যাওয়ার পর সফরকারীদের আরও চেপে ধরে পিএসজি। ছন্দে থাকা উসমান দেম্বেল মাঠে নামার পর আক্রমণের ধার আরও বাড়ে। কিন্তু ব‍্যবধান আর বাড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।

চলতি মৌসুমে আরও দুটি শিরোপা জয়ের হাতছানি পিএসজির সামনে। ফরাসি কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। অধরা চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের আরেকটি চেষ্টায় কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে গেছে দলটি। সেমি-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষে ইংল‍্যান্ডের ক্লাব অ‍্যাস্টন ভিলা। আগামী বুধবার প্রথম লেগ হবে প‍্যারিসে।


অবসর নিয়ে গুঞ্জনে ধোনির সহজ উত্তর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন আরো বছর পাঁচেক আগেই। খেলছেন শুধুই আইপিএল। কিন্তু বয়সটা এরই মধ্যে তেতাল্লিশ পেরিয়ে চুয়াল্লিশ ছুঁইছুঁই। তাই বেশ কয়েক বছর ধরেই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ঘিরে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা সম্ভবত, কবে অবসর নেবেন! সেই প্রশ্নকে আরও জোরালো করছে আইপিএলের চলতি আসরে ধোনির পারফরম্যান্স। চেন্নাইয়ের জার্সিতে এখনো পর্যন্ত নিজের ছায়া হয়ে আছেন তিনি। কেউ কেউ এমনও বলছেন, আরও আগেই ক্রিকেট ছাড়া উচিত ছিল ধোনির।

এর মধ্যেই শনিবার প্রথমবার আইপিএলে ধোনির খেলা দেখতে এসেছিলেন তার বাবা পান সিং এবং মা দেবকী। তার আগে ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনি এবং মেয়ে জিভার কথোপকথনের মধ্যে ‘শেষ ম্যাচ’ শব্দ দুটি ভাইরাল হয়। তা থেকে ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ মনে করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেই অবসর ঘোষণা করবেন মাহি। এবার ধোনি নিজেই তা নিয়ে মুখ খুললেন।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাজ শামানির সঙ্গে পডকাস্টে অবসর নিয়ে মুখ খুলেছেন ধোনি। জানিয়েছেন আইপিএল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত তাড়াহুড়ো করে নিতে চান না। ভারতের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘এখনই অবসর নিয়ে ভাবছি না। এখনও আইপিএল খেলছি। বিষয়টা সাধারণ ভাবেই দেখছি। শুধু আইপিএলেই ক্রিকেট খেলি। এখন আমার বয়স ৪৩। ২০২৫ সালের আইপিএল শেষ হওয়ার সময় আমার বয়স হবে ৪৪। তারপর ১০ মাস সময় পাব ভাবার। আরও খেলব না ছেড়ে দেব, তখন ভাবব। আসলে সিদ্ধান্তটা আমি নেব না। আমার শরীর নেবে। সব মিলিয়ে বছরখানেক আছে হাতে। দেখা যাক।’

ধোনি হয়তো বলতে চেয়েছেন, শরীর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধকল নিতে পারলে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যাবেন। নাহলে অবসরের কথা ভাববেন। আপাতত এবারের আইপিএল উপভোগ করতে চাইছেন। ধোনি বলেন, ‘এখন আইপিএল উপভোগ করতে চাইছি। ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার সময় যেমন উপভোগ করতাম, এখনো তেমনই করছি। তখন একটা কলোনিতে থাকতাম আমরা। রোজ বিকেল ৪টার সময় খেলতে যেতাম। প্রায় দিনই ক্রিকেট খেলতাম। আবহাওয়া ঠিক না থাকলে ফুটবল খেলতাম। আমি ওই রকম সরলভাবে খেলতে চাই। যদিও কথাটা বলা যত সহজ, কাজে করা তত সহজ নয়।’

কিছু দিন আগেও একবার ধোনি বলেছিলেন, আর যে ক’বছর ক্রিকেট খেলবেন, শিশুর মতো উপভোগ করতে চান। ২০১৯ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি ধোনি। এখন আর ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলেন না। শুধু আইপিএলেই দেখা যায়, ৪৩ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে।


রোনালদো ম্যাজিকে আল নাসরের প্রথম ডার্বির স্বাদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সময়ের হিসেবে প্রায় এক বছর আট মাস। ম্যাচের হিসাবে সাতটি লড়াই। এত দীর্ঘ সময় রিয়াদ ডার্বিতে জয়ের স্বাদ পাচ্ছিল না আল-নাসর। সৌদি আরবের ফুটবলের আকর্ষণীয় লড়াইয়ে অবশেষে আল-হিলালকে হারাতে পারল তারা। সেই খরা কাটল দলের সবচেয়ে বড় তারকার সৌজন্যেই। জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

গতকাল সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে আল-হিলালের মাঠে ৩-১ গোলের দারুণ এক জয় পেয়েছে আল-নাসর। আলি আল হাসান দল এগিয়ে নেওয়ার পরে জোড়া গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

এই জয়ের পরও অবশ্য পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরেই আছে আল-নাসর। ২৬ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট তাদের। তাদের চেয়ে তিন পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে আল-হিলাল। আর ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কারিম বেনজেমার আল-ইত্তিহাদ।

দুই দলের আগের সাতটি লড়াইয়ে আল-হিলালের জয় ছিল চারটি, ড্র হয়েছিল তিনটি ম্যাচ। অবশেষে প্রথম ডার্বি জয়ের দেখা পেল আল নাসর।

প্রথমার্ধে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠলেও গোল হচ্ছিল না। ৪৫ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় আল-নাসর। মিডফিল্ডার আলি আল হাসানের অসাধারণ কার্ল করা শট গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনোর হাত ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।

তবে বিরতি থেকে ফিরেই আবারও জাল খুঁজে নেয় আল নাসর। ম্যাচের ৪৭তম ব্যবধান ২-০ করেন সিআরসেভেন। বক্সের ভেতর সাদিও মানের পাস থেকে চকিতে বাঁ পায়ের শটে দারুণ ফিনিশিংয়ে জালের দেখা পান তিনি।

প্রতি আক্রমণে এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে আল-হিলাল। ৬২তম মিনিটে একটি গোল ফিরিয়ে দেয় তারা। কিন্তু ৮৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আল-নাসরের জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো।

এই দুই গোলে সৌদি প্রো লিগে পর্তুগিজ মহাতারকার গোল হলো ৭০টি। হাজার গোলের লক্ষণ পূরণের দিকেও তিনি এগিয়ে গেলেন দুই ধাপ। তার ক্যারিয়ার গোল সংখ্যা এখন ৯৩১টি।

ম্যাচ শেষে অবশ্য ৪০ বছর বয়সি তারকা বলছেন, তার কাছে দলের জয়ই সবকিছুর ওপরে। রোনালদো বলেন, ‘এই জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল দলীয় প্রচেষ্টার। আমার গোল করা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের জয়।’

ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে ভাবেন না বলেও জানিয়েছেন রোনালদো। সিআরসেভেন বলেন, ‘সৌদি প্রো লিগে ও (এএফসি) চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলকে সহায়তা করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি আমি, ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে ভাবি না।’


পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েই ছাড়ল কিউইরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনোমতে ওয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বেঁচে ছিল পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজেও একই অবস্থার মুখোমুখি হয়েছিল বাবর-রিজওয়ানরা। কিন্তু এবার আর কোনো রক্ষা হয়নি তাদের। পুরো সফরজুড়েই চরম ব্যর্থতার খেসারত দিলো ম্যান ইন গ্রিনরা। বৃষ্টি বাধার শেষ ওয়ানডেতে বেন সিয়ার্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাস্ত হয়েছে রিজওয়ানরা। এতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা দিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

গতকাল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বৃষ্টির কারণে সিরিজের শেষ ম্যাচের টস হয় এক ঘণ্টা বিশ মিনিট দেরিতে। তাতে ম্যাচের পরিধি নেমে আসে ৪২ ওভারে। টস হেরে নিউজিল্যান্ড শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে সংগ্রহ করে ২৬৪ রান। জবাব দিতে নেমে ২২১ রানেই শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।

প্রথম দুই ম্যাচের মতো একই দৃশ্য মঞ্চস্থ হয়েছে। পুরো সফরেই কিউই বোলিংয়ের বাউন্স আর মুভমেন্টে খেই হারায় সফরকারীদের ব্যাটিং। এ দিনও পাকিস্তানের ব্যাটারদের বেপরোয়া শট দলকে বিপদে ফেলে। বেন সিয়ার্স ৩৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। যার ৪টিই পড়েছে শর্ট পিচ ডেলিভারিতে। সিরিজ সেরাও তিনি। সফরকারীদের মাঝে আশার সঞ্চার করা মোহাম্মদ রিজওয়ানের (৩৭) উইকেটটিও নিয়েছেন তিনি।

এদিন পাকিস্তানের ইনিংসের টপ স্কোরার ছিলেন বাবর আজম। ৫৮ বলে ৫০ রান করেছেন তিনি। ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক শ্লথ গতির ব্যাটিংয়ে ৫৬ বলে করেছেন ৩৩ রান। পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটাও ভালো ছিল না। কিউই ফিল্ডারের থ্রো ওপেনার ইমাম উল হকের চোয়ালে আঘাত করলে এক রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়ে যান তিনি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ডকে শুরুতে পথ দেখায় রাইস মারিউর ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। দলের ১৩ রানে আরেক ওপেনার নিক কেলি (৩) বিদায় নিলে সেই ধাক্কা সামাল দেন মারিউ। মাত্র দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ৬১ বলে উপহার দেন ৫৮ রানের দায়িত্বশীল একটি ইনিংস। তার মধ্যে ছয় ছিল ২টি, চার ৪টি। মিডল অর্ডারে কিউইদের বেশ কয়েকজন দারুণ শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ডেথে শুধু অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েলই ঝোড়ো গতিতে খেলে স্কোর বাড়াতে অবদান রেখেছেন। ৪০ বলে উপহার দেন ৫৯ রানের দারুণ একটি ইনিংস। তাতে ছিল ৬টি ছয় এবং ১টি চার। ম্যাচসেরাও তাই ব্রেসওয়েল।

পাকিস্তানের হয়ে ৬২ রানে ৪টি উইকেট নেন আকিফ জাভেদ। ৫৪ রানে দুটি নেন নাসিম শাহ। একটি করে নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ ও সুফিয়ান মুকিম।


সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন তামিম ইকবাল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শঙ্কা কাটিয়ে বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ তামিম ইকবাল। তবে হৃদযন্ত্রের বর্তমান অবস্থা ও শারীরিক অন্যান্য দিক আরও ভালোভাবে পর্যালোচনার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন তামিম ইকবাল। শুরুতে থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা থাকলেও পরিবারের সিদ্ধান্তে গন্তব্য বদলে যাচ্ছেন সিঙ্গাপুরে। এরই মধ্যে ভিসা ও বিমানের টিকিট চূড়ান্ত করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের একজন অভিজ্ঞ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করবেন তামিম। সেখানে পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি পুরো শরীরের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করাবেন তিনি।


আবারও আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা শুরু ক্রিকেটারদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বর্তমানে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ফিরে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অংশ নিয়েছেন। যদিও এই মুহূর্তে ঈদের ছুটিতে আছেন তারা। সেই বিশ্রামের সময় ফুরিয়ে আসছে। কারণ কিছুদিন পরই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা আছে বাংলাদেশ দলের। এপ্রিলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগাররা দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে।

সে উপলক্ষে আগামী ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ক্যাম্প। ক্যাম্প হবে সিলেটের মাটিতে। যেখানে থাকবেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে থাকা ক্রিকেটাররা। যদিও এখনও আসন্ন সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেনি বিসিবি। ডিপিএলে ১০ এপ্রিল ম্যাচ খেলেই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সিলেটের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেবেন।

দুই টেস্ট খেলতে আগামী ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশে পা রাখবে জিম্বাবুয়ে। এরপর ২০ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে দুই দল। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ২৮ এপ্রিল, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।


আর মাঠে ঢুকতে পারবেন না মেসির দেহরক্ষী ইয়াসিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর থেকেই লিওনের মেসির সঙ্গে জুড়ে গেছে একটি নাম—ইয়াসিন চুকো। মেসির সান্নিধ্য পেতে মাঝেমধ্যেই মাঠে ঢুকে পড়া ভক্তদের থামিয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন দৃঢ় শারীরিক গঠনের এই দেহরক্ষী। তবে সেসব দৃশ্য এখন থেকে আর দেখা যাবে না।

মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় খেলা চলাকালে ইয়াসিনের মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে লিগ কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে তিনি শুধু মাঠের বাইরে থেকেই মেসির নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

এমএলএসের নিয়ম অনুযায়ী, খেলা চলাকালে খেলোয়াড়, কোচ ও রেফারিই কেবল মাঠে প্রবেশ করতে পারেন। তাছাড়া চুকোর হুটহাট মাঠে ঢুকে পড়ার বিষয়টি বিব্রতকর বলেও জানানো হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে নাখোশ চুকো। অনলাইনে ভিডিও বিষয়ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হাউস অফ হাইলাইটসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব ঘটনায় তিনি নিজে ‘সমস্যা নন’ বলে জানিয়েছেন।

তার কথায়, ‘ইউরোপে আমি সাত বছর কাজ করেছি। লিগ ১ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার। ইউরোপে ওই ৭ বছরে মাত্র ৬ জন মাঠে প্রবেশ করে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে সেখানে গত ২০ মাসে ইতোমধ্যে ১৬ মাঠে ঢুকেছে। এটি একটি বড় সমস্যা।’

‘সমস্যা আসলে এখানকার, আমি নই। আমাকে মেসিকে সাহায্য করতে দিন।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এমএলএস ও কনকাকাফ (ফুটবল) আমি ভালোবাসি, তবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি সহযোগিতা করতে পছন্দ করি। আমি হয়তো অনেকের চেয়ে ভালো নই, কিন্তু ইউরোপ থেকে আমার ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা আমি মেনে নিয়েছি, কিন্তু একসঙ্গে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।’

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাকে সরিয়ে স্বয়ং এমএলএস কর্তৃপক্ষ মাঠে মেসির নিরাপত্তার ভার নিয়েছে।

মেসির সঙ্গে কাটানো গত কয়েক মাসের ব্যবধানে নিজেকে শুধু মহাতারকার দেহরক্ষী নন, বরং তার চেয়ে বেশি কিছু বলে মনে করেন চুকো।

‘নিজেকে (মেসির) পরিবারের একজন বলে মনে হয় আমার। শুধু শারীরিকভাবেই তাকে রক্ষা করা আমার কাজ নয়, মানসিকভাবেও। সে (মেসি) আমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করে এবং আমার ওপর নির্ভরও করে। নিজের সমস্ত মনোযোগ আমি তার ওপর রাখার চেষ্টা করি।’

২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর চুকোকে নিজের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেন লিওনেল মেসি। তারপর থেকে ফুটবলের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ এই খেলোয়াড়ের সঙ্গে আঁঠার মতো লেগে আছেন তিনি। এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো যখন একাকি সময় কাটান, তখনও কাছাকাছি অবস্থান করতে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ‘নেভি সিলের’ সাবেক সদস্য দাবি করা এই নিরাপত্তাকর্মীকে।

তায়কোয়ান্দো, বক্সিং ও মিক্সড মার্শাল আর্টে পারদর্শী ইয়াসিন শুধু মেসির নিরাপত্তাই নিশ্চিত করেন না, তার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করে থাকেন। তার অধীনে ৫০ জনের একটি নিরাপত্তা দল কাজ করে, যারা মাঠে ও মাঠের বাইরে মেসি ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত।


নেইমারের কাছে শেখা কৌশলেই সফল মেসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মাঠ ও মাঠের বাইরে লম্বা সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন তারা। বার্সেলোনা ছেড়ে একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে গিয়েও। তাই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বও লম্বা সময়ের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের হয়ে মুখোমুখি হলেও বন্ধুত্বে চির ধরেনি। শুধু যে বন্ধু হিসেবে তারা একে অপরকে সঙ্গ দিয়েছেন তা নয়, বরং নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও একে অপরকে সহায়তা করেছেন।

ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের এখনো জেতা হয়নি বিশ্বকাপ ট্রফি। কিন্তু আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি নিজ ক্যারিয়ারে জিতেছেন প্রায় সব ট্রফিই। তবে মেসির এই সাফল্যের পেছনে অবদান আছে নেইমারের। সম্প্রতি ‘পডপাহ’ নামে এক পডকাস্টে এমনটাই জানিয়েছেন নেইমার।

ওই পডকাস্টে নেইমার বলেছেন, মেসিকে বিশেষ একটি জায়গায় দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বলেন, পেনাল্টি কিক নেওয়ার ব্যাপারে তার কাছ থেকে শিখেছিলেন মেসি।

পেনাল্টি নিতে বরাবরই দুর্দান্ত নেইমার জুনিয়র। শুধু কার্যকারিতার দিক থেকেই নয়, স্টাইলের দিক থেকেও বাকিদের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছেন সান্তোস তারকা। ট্রান্সফরমার্কেটের হিসাবে, এখন পর্যন্ত ১০৬টা পেনাল্টি নিয়ে ৮৮টিতে গোল করেছেন নেইমার, মিস করেছে ১৮টি। অন্যদিকে মেসি ১৪২টি পেনাল্টি নিয়ে ১১১টি গোল করলেও মিস করেছেন ৩১টি। যার অনেকগুলোই ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে। ২০১৬ কোপা আমেরিকা ফাইনালেই যেমন টাইব্রেকার শট মিস করেছিলেন মেসি।

নিজের পেনাল্টি নেওয়ার দক্ষতা বাড়াতে একসময় নেইমারের কাছ থেকে পরামর্শও নিয়েছিলেন মেসি। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকার অনুরোধ নিয়ে নেইমার বলেছেন, ‘আমি মেসিকে পেনাল্টি নেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করেছি। সে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তুমি কীভাবে এমন পেনাল্টি নাও?’

মেসির কাছ থেকে সাহায্যের অনুরোধ শুনে বেশ বিস্মিত হয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। সে সময় কী মনে হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করে নেইমার বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল (মেসির অনুরোধ শোনার পর) তুমি কি পাগল? তুমি মেসি! যদি আমি সেটা করতে পারি, তবে তুমিও করতে পারবে।’

এরপরও অবশ্য মেসিকে সময় নিয়ে নিজের কৌশল ঠিকই শিখিয়ে দিয়েছিলেন নেইমার। যা পরে অনুশীলনের সময় চর্চাও করেছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। নেইমারের দেওয়া এ তথ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে, সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হয়েও মেসি শেখার জন্য কতটা ক্ষুধার্ত ছিলেন। নিজের উন্নতির জন্য কতটা উন্মুখ ছিলেন।

ক্যারিয়ারজুড়ে বিভিন্ন সময় পেনাল্টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল মেসিকে। চাপের মুখে বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়নস লিগে পেনাল্টি নিয়ে যেমন প্রশংসিত হয়েছেন, তেমনি বিভিন্ন সময় মিস করে সমালোচিতও হয়েছিলেন। তবে ক্যারিয়ারের পরের দিকে স্পট কিকে বেশ উন্নতি দেখান মেসি। হয়তো নেইমারের পরামর্শই বদলে দিয়েছিল তাকে।


মিয়ানমারে নারী ফুটবলারদের অগ্নিপরীক্ষা!

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলা বাংলাদেশ নারী দল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৫ ২২:৫৭
ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মিশন। দম নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না নারী দলও। আগামী ২৩ জুন থেকে ৫ জুলাই মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে নারীদের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ।

গতকাল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এএফসির সদর দপ্তরে নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ কঠিন গ্রুপে পড়েছে। অনেকটা অগ্নিপরীক্ষাই দিতে হবে বাংলাদেশ নারী দলকে। ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে মিয়ানমার, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান।

বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা মিয়ানমার দলের ফিফা র‌্যাঙ্কিং ৫৫। এরপর আছে বাহরাইন। তাদের অবস্থান ৯২তম। অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে দুর্বল একটি প্রতিপক্ষও রয়েছে গ্রুপে। দলটি তুর্কমেনিস্তান। তাদের ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১৪১। আর বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং ১৩৩।

এশিয়ার ৩৪টি দেশ নিয়ে হবে এই প্রতিযোগিতা। যেখানে আট গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দেশগুলো। ছয় গ্রুপে আছে ৪টি করে দল। বাকি দুই গ্রুপে আছে ৫টি করে দল। আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল আগামী বছর ১-২৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। মূলপর্ব অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। বর্তমান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন চীন ও আরও দুই শীর্ষ দেশ কোরিয়া এবং জাপান সরাসরি মূল পর্বে খেলবে।

২০২৩ সালে অলিম্পিক বাছাই খেলতে সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলকে আর্থিক কারণ দেখিয়ে মিয়ানমারে না পাঠানোয় নেতিবাচক সমালোচনার মধ্যে পড়েছিল বাফুফে। এবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলা সেই মিয়ানমারেই পড়েছে।

এশিয়ান কাপ বাছাই সামনে রেখে এরই মধ্যে ৫৫ জন নারী ফুটবলারকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। ঈদের পর আগামী ৬ এপ্রিল শুরু হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। যেখানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে সাবিনাসহ বিদ্রোহী ফুটবলারদেরও। যদিও কোচ পিটার বাটলার বিষয়টি কীভাবে নেবেন তা সময় বলে দেবে।

বিষয়:

ঈদের আগেই বাসায় ফিরতে পারবেন তামিম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাভারের কেপিজে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তামিম ইকবাল এখন আছেন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে। হার্ট অ্যাটাকের ধকল কাটিয়ে একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের আগেই বাসায় ফিরতে পারবেন অভিজ্ঞ ওপেনার।

আজ এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর আরিফ মাহমুদ জানান, তামিম এখন অনেকটাই সুস্থ। তিনি বলেছেন, ‘তামিম ভালো আছেন, স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন। আজ তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে। সেখানেই এক-দু’দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আশা করা যাচ্ছে ঈদের আগেই তিনি বাসায় ফিরতে পারবেন।’

ওই সংবাদ সম্মেলনে ডাক্তাররা তামিমের একটি ব্যক্তিগত খবরও জানিয়েছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘তার রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোয় ঝুঁকি থাকবে। তামিম ধূমপায়ী। তাকে ধূমপান ছাড়তে হবে। ধূমপান হঠাৎ করে ছাড়তে পারবে না। সে বলছিল ভেপের কথা। আমি বলেছি, ভেপও নিতে পারবে না। ভেপে ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। তারপর সে বুঝল। তামিম সিগারেট খেতে চাচ্ছে। আমরা সিগারেট খাওয়ার অনুমতি দিচ্ছি না।’

এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদারের চিকিৎসায় আছেন তামিম। এর বাইরে ৫ সদস্যর এক মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। তারা তামিমকে খুঁটিয়ে দেখছেন। তার নিজের এবং পরিবারের ইতিহাসও জানছেন।

তবে ৩৬ বয়সি তামিম মানতে পারছেন না, তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি মানসিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তাই একজন মনোবিদের সঙ্গে কাজ করবেন সামনের দিনগুলোতে।

তামিম ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কি? যদি পারেন, তাহলে কত দিন পর? এ প্রশ্নের জবাবে এভারকেয়ারের মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমান এবং প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদার জানান, ৩ থেকে ৪ মাস পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা যাবে।

শঙ্কা কেটেছে, তবে তামিমের পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরতে এখনো সময় লাগবে। তার চাচা আকরাম বলেছেন তামিমকে দেশের বাইরে নেওয়ার চিন্তা আছে তাদের, ‘আগামী দু-তিন দিন যদি অবস্থা স্থিতিশীল থাকে, তাহলে তাকে বাসায় নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরবর্তী পর্যায়ে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার পরিকল্পনাও আছে।’


banner close