শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

টি-টোয়েন্টিতে ‘চার’ হাঁকানোর রেকর্ড বাবরের

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:০৯

বাবর আজমের কভার ড্রাইভ অনেক ক্রিকেটপ্রেমীরই প্রিয়। তবে শুধু কভার ড্রাইভ নয়, মাঠের অন্যান্য দিকেও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে জানেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। উড়িয়ে নয়, বাবর খেলেন মাটি কামড়ে। ছক্কা নয়, চার হাঁকাতেই যেন স্বস্তি ডানহাতি এই ব্যাটারের। চোখজুড়ানো এই ব্যাটিং করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন বাবর। সেটা ‘চার’ হাঁকানোর রেকর্ড। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে ১০৮ ম্যাচে ৪০৯টি চার হাঁকিয়েছেন বাবর। এতে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটার পল স্টার্লিংকে ছাড়িয়ে চার হাঁকানোর তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

এতদিন সবচেয়ে চার হাঁকানোর রেকর্ডটি ছিল স্টার্লিংয়ের। আইরিশ এই ব্যাটার ১৩৬ ম্যাচে চার হাঁকিয়েছেন ৪০৭টি। আর গতকাল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৪৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংসে ৬টি চার হাঁকান বাবর। এতেই স্টার্লিংকে পেছনে ফেলেন তিনি।

চার হাঁকানোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বিরাট কোহলি। ১০৯ ইনিংসে ৩৬১টি চার হাঁকিয়েছেন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার। কোহলির পরই আছেন আরেক ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মা। ১৪৩ ম্যাচে এই ভারতীয় ব্যাটার হাঁকিয়েছেন ৩৫৯টি চার।

এদিন আরও একটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন বাবর। এতদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় দলকে সবচেয়ে বেশি ৭৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড নিজের করে রেখেছিলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যারন ফিঞ্চ। গতকাল ফিঞ্চের সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন বাবর। বাবরের রেকর্ডের দিনে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। স্বাগতিকদের দেওয়া ১৭৯ রানের জবাবে কিউইরা অলআউট হয়ে গেছে ১৬৯ রানে।


ফিনিশিংয়ের বস ডোয়াইন ব্রাভো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বল হাতে প্রতিপক্ষকে কঠিন মুহূর্তে চেপে ধরা, ব্যাট হাতে দলের হাল ধরা, ফিল্ডিংয়ে নেমে দুর্দান্ত কিছু রান আটকানো বা ক্যাচ লুটে নেওয়া; এগুলোই একজন আদর্শ অলরাউন্ডারের বৈশিষ্ট্য। আর এর সবটাই উপস্থিত ক্যারিবীয় তারকা ডোয়াইন ব্রাভো। ব্যাট হাতে তিনি দুর্দান্ত এক ফিনিশার। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট করায় তার ‍জুড়ি নেই। তিনি ডেথ ওভারের তুখোড় বোলার। বিরল প্রজাতির পেস বোলিং অলরাউন্ডার তিনি। তার নিখুঁত পারফরম্যান্স দিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।

ডোয়াইন ব্রাভো ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে পরিচিত আরেকটা কারণে, ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের উপস্থিতি কিংবা উদ্‌যাপন সব সময়ই ক্রিকেট মাঠে বাড়তি সৌন্দর্য ছড়ায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোও তার ব্যতিক্রম নন। বিশেষ করে উইকেট পাওয়ার পর তার নাচ আইপিএলের অন্যতম ট্রেডমার্ক দৃশ্য। তবে এসবের মাঝেও লুকিয়ে আছে বিরাট এক সৌন্দর্য।

দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তিনি। নিজের মানকে তিনি এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে, শত নিজেদের মধ্যে শত ঝামেলা আর বিবাদের পরও বারবারই ক্যারিবিয়ান বোর্ড তার দ্বারস্থ হয়। আর তিনিও ফিরেন, আর আন্তর্জাতিক ময়দানে এন্টারটেইন করেন।

১৯৮৩ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সান্তা ক্রুজ এলাকায় জন্ম নেওয়া ব্রাভোর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০০২ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ক্রিকেট দলের হয়ে। ব্রাভোর শুরুটা হয়েছিল ব্যাটার হিসেবেই; অভিষেকের এক মাস পরেই পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। পুরস্কার হিসেবে ডাক পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলে। অলরাউন্ডার ব্রাভোর আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৩ সালে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ রান খরচ করে ৬ উইকেট শিকারের পর।

২০০৪ সালে ভাগ্য খুলে যায় ব্রাভোর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয় জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ পান ডানহাতি এ অলরাউন্ডার। ওই সিরিজেই গায়ে জড়ান ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টের জার্সি। ব্রাভোর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

ব্রাভো টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ২০১৫ সালে। বিদায় বলেছিলেন ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিকেও কিন্তু বোর্ডের অনুরোধে আবার ফিরেও এসেছিলেন। কিন্তু আর কত দিন? ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই বিদায় জানান জাতীয় দলকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকেও বিদায় জানিয়েছেন।

পুরো নাম: ডোয়েন জেমস জন ব্র্যাভো।

জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৮৩ সাল।

জন্মস্থান: সান্তা ক্রুজ, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।

রাশি: তুলা রাশি।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, গলফ, বাস্কেটবল।

প্রিয় খাবার: স্টু চিকেন, পাস্তা ও চকোলেট।

প্রিয় পানীয়: ওয়াইন।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: ব্রায়ান লারা, ম্যাথিউ হেইডেন।

প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: আন্দ্রেরাসেল, নিকোলাস পুরান, কাইরন পোলার্ড।

প্রিয় ফুটবলার: কিলিয়ান এমবাপ্পে।

প্রিয় ফুটবল দল: চেলসি এফসি।

প্রিয় গাড়ি: লর্ড রোভার স্পোর্ট।

প্রিয় স্টেডিয়াম: কুইন’স পার্ক ওভাল, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।

প্রিয় স্থান: লাস ভেগাস।

প্রিয় শখ: নৃত্য করা ও গান শোনা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: নিউ ব্যালেন্স।


যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।

যুক্তরাষ্ট্রে হিউজটনের জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের ভিডিও নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে পোস্ট করে জাতীয় দলের পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। খবর বাসসের।

ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশকে দলকে বহনকারী বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণ করছে। এরপর নিজেদের লাগেজসহ বিমানবন্দর থেকে বের হচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে টিম বাসে চড়ে হোটেলে যান তারা।

বিশ্বকাপের উদ্দেশে ১৫ মে রাত ১টা ৪০ মিনিটে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান সাকিব-মাহমুদুল্লাহরা।

বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিাপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এবং পহেলা জুন ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে টাইগারদের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে টাইগাররা। এরপর গ্রুপ পর্বে ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।


বাংলাদেশ দলকে মাশরাফির বার্তা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মাশরাফি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, সেও প্রায় অনেকদিন হলো। জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি এখন ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে। তবে জাতীয় দলের খোঁজখবর রাখেন ঠিকই। দলের সুসময়ে যেমন প্রশংসায় ভাসান, তেমনি দুঃসময়েও অভিভাবকের মতো পাশে থেকে অনুপ্রেরণা জোগান। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নাজমুল হোসেন শান্তদের শুভকামনা জানালেন সাবেক এই অধিনায়ক।

বিশ্বকাপ দলকে শুভকামনা জানিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “সাহস সব সময় গর্জন করে না, শুধু দিন শেষে শান্ত কণ্ঠস্বরে বলে, আগামীকাল চেষ্টা করব। ‘Go and kill it champs’ সব সময় শুভকামনা আমার প্রাণের দেশ, প্রাণের দলের প্রতি বাংলাদেশ।”

আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির মেগা আসরটিতে অংশ নেওয়ার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের ম্যাচগুলো। সে কারণেই আগেভাগে দেশ ছেড়েছে টিম টাইগার্স।

বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে আগামী ৮ জুন। যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন, ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তৃতীয় ম্যাচে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। এরপর ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।


১৩৫ বছরের ইতিহাসের সামনে ম্যানসিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সব নাটকীয়তা শেষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগের একদম অন্তিম মুহূর্তে এসে দেখতে পাচ্ছে আলোর রেখাও। শিরোপা থেকে আর মাত্র এক হাত দূরে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। বুধবার রাতে বাঁচা-মরার ম্যাচে আর্লিং হলান্ডের জোড়া গোলে টটেনহ্যামকে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছে সিটিজেনরা। ৩৭ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট এখন ৮৮। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৮৬। শেষ ম্যাচে জিতলেই আরেকটি শিরোপা উঠবে সিটিজেনদের ঘরে। আর এতেই ১৩৫ বছরের ইতিহাস বদলে দেবে পেপ গার্দিওলার দল।

প্রিমিয়ার লিগের ১৩৫ বছরের ইতিহাসে টানা ৪টি শিরোপা জয়ের রেকর্ড নেই কোনো দলের। শেষ ধাপটি পেরোতে পারলে প্রথমবারের মতো টানা চার লিগ শিরোপা জেতার সেই ইতিহাসই গড়বে পেপ গার্দিওলার দল। এর আগে ইংল্যান্ডের কয়েকটি ক্লাব ৫ মৌসুমের মধ্যে চারটি শিরোপা জিতলেও টানা চার শিরোপা জিততে পারেনি কোনো দলই। ১৮৯০-এর দশকে অ্যাস্টন ভিলা এবং ১৯৮০ দশকে লিভারপুল পাঁচ মৌসুমের মধ্যে চারবার লিগ শিরোপা জেতার কীর্তি গড়েছিল।

এ ছাড়া হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার কৃতিত্ব আছে হাডার্সফিল্ড টাউন (১৯২৬-২৭), আর্সেনাল (১৯৩৫-৩৬), লিভারপুল (১৯৮৪-৮৫) এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (২০০১-০২ এবং ২০০৯-১০)। কিন্তু গার্দিওলার দলের সামনে ইতিহাস নতুন করে লেখার হাতছানি।

সেই দলগুলোর ইতিহাস গড়তে না পারার কিছু কারণও আছে। তবে গার্দিওলার সিটি সেই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়েই এখন ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় আছে। যদিও আরেকটি বাধা পেরোতে হবে তাদের।

শেষ দিকে এসে প্রিমিয়ার লিগের লড়াইটা ছিল মূলত আর্সেনাল আর ম্যানসিটির মধ্যে। সে সময় এক ম্যাচ বেশি খেলে টানা ২ সপ্তাহ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল গানাররা। তবে ম্যাচের পরিসংখ্যান সমান সমান হওয়াতেই পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। সমান ৩৭ ম্যাচ খেলে ২ দুই পয়েন্টে পিছিয়ে আছে মিকেল আর্তেতার দল।

দুই দলেরই ম্যাচ বাকি ১টি করে। নিজেদের শেষ ম্যাচে আর্সেনাল লড়বে এভারটনের বিপক্ষে আর ম্যান সিটি লড়বে ওয়েস্টহামের বিপক্ষে। শেষ ম্যাচে যদি ওয়েস্টহামের কাছে হোঁচট না খায় সিটিজেনরা তাহলেই ১৩৫ বছরের ইতিহাস ভেঙে নতুন ইতিহাস লেখা হবে তাদের।

তখন সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট কম থাকায় আর্সেনালকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে রানার্সআপ হয়েই। তবে ভুলেও কোনো কারণে যদি পেপ গার্দিওলার দল হেরে যায় আর আর্সেনাল এভারটনকে হারায় তাহলে ২০ বছর পর লিগ শিরোপা উদ্ধার করবে গানাররা।


হারিয়ে যাবেন বিরাট কোহলি!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মাঝখানের সময়টাকে বিরাট কোহলির স্ট্রাইকরেট নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। পারিবারিক কারণে কোহলি নিজেও মাঠের বাইরে ছিলেন মাস দুয়েক। ফলে তার আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। কিন্তু বেঙ্গালুরুর জার্সিতে আইপিএল দিয়ে ফিরেই সেসব শঙ্কা দূর করে দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। চলতি আইপিএলে এখনো সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। ফলে বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিতে আর বেগ পেতে হয়নি।

২০০৮ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৬টা বছর; বয়সটাও ছত্রিশ ছুঁইছুঁই, আর কতদিন খেলবেন তিনি ভারতের হয়ে? তাই কোহলিকে এবার উত্তর দিতে হয়েছে অবসর নিয়ে প্রশ্নের। তবে ভারতীয় এ তারকা জানালেন ক্রিকেট ছাড়লে হারিয়ে যাবেন তিনি, চলে যাবেন আড়ালে।

বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি অনুষ্ঠানে নিজের অবসর নিয়ে কথা বলেছেন কোহলি। সেখানে ডানহাতি এ ওপেনার বলেন, ‘সহজ কথায় বলতে গেলে আমি কোনো আক্ষেপ রেখে যেতে চাই না। মাঠ থেকে যা যা পাওয়ার, নিয়ে যেতে চাই। যতদিন খেলব নিজের সবটাই দিয়ে যাব, কিন্তু যখন খেলাটা শেষ করব, তখন চলে যাব, আপনারা আমাকে অনেক দিনের জন্য দেখবেন না (হাসি)।’

প্রতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার তাড়না কোথায় পান- এ প্রশ্নে কোহলির উত্তর, ‘বিষয়টা সহজ। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের ক্যারিয়ারের শেষ আছে। এটা ভেবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই না- ওহ! ওই দিন যদি ওটা করতাম! কারণ, সারা জীবন তো খেলে যেতে পারব না। এটা আসলে অসমাপ্ত কাজ রেখে না যাওয়ার বিষয়, পরে অনুশোচনায় না ভোগার বিষয়, যেটা আমি নিশ্চিত, ভুগব না।’

বাকি ফরম্যাটগুলোয় তার ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি না জানা গেলেও সম্ভবত এ আসর শেষেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেবেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বোচ্চ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ২৫ ইনিংসে অবিশ্বাস্য গড় ৮১.৫০ আর ১৩১.৩০ স্ট্রাইক রেটে কোহলি ১১৪১ রান করেছেন।

এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কোহলি হয়তো টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা অনেকের। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা কম। কারণ আগ্রাসী মনোভাবের ব্যাটার কোহলি ওয়ানডে ও টি-২০ খেলার যে লড়াই বা মজা, তার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে টেস্ট খেলার মানসিকতা খুব বেশি দিন থাকবে না। সে ক্ষেত্রে আপাদমস্তক ফ্যামিলিম্যান কোহলি পরিবারের সঙ্গেই সময় দেওয়াকে বেছে নিতে পারেন।


শুরুর প্রক্রিয়াতেই ক্ষুব্ধ হামজা চৌধুরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ ফুটবল দলে ভালো মানের খেলোয়াড়ের অভাব বেশ পুরোনো। কম সময়ের মধ্যে সে অভাব পূরণে ফুটবল বোদ্ধাদের দাবি, প্রবাসী ফুটবলারদের দলে ভেড়ানো। যার শুরুটা হয়েছিল জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে। ‍ফিনল্যান্ড ছেড়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াতে। এরপর নাম এসেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর।

হামজাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। তার বাংলাদেশে আসা নিয়ে আলোচনা কিংবা গুঞ্জন অনেক দিনের। তার মতো ফুটবলারকে বেশ দরকারও বাংলাদেশ জাতীয় দলে। শুরুতে হামজার চিন্তা ছিল ইংল্যান্ড জাতীয় দল নিয়ে কিন্তু সে চিন্তা থেকে বের হয়ে এসেছেন তিনি। গায়ে জড়াতে চান লাল-সবুজের জার্সি।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলার শুরু করে দিয়েছেন হামজা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলেন লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে। তবে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে চলে গেছেন বলে হামজার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে।

অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসসহ মাকে নিয়ে হাইকমিশনে গিয়েছিলেন হামজা। তবে তিনি ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাননি। একজন সাধারণ নাগরিকের মতো তার সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি বাফুফের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন হামজা।

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশের পর বাফুফে থেকে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে সব ধরনের সহযোগিতার জন্যও বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে হামজা কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

লেস্টার সিটির একাডেমি থেকে উঠে আসা হামজা ক্লাবটির মূল দলের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১৫ সালে। তবে প্রথম দুই বছর ধারে খেলেছেন বার্টন আলবিয়নে। ২০১৭ সালে লিভারপুলের বিপক্ষে লিগ কাপের ম্যাচ দিয়ে লেস্টার সিটির জার্সিতে অভিষেক হয় ডিফেন্সিভ এ মিডফিল্ডারের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দলটির হয়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। গত মৌসুমে তার দল লেস্টার সিটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে রেলিগেটেড হয়ে গেলেও এবার আবারও জায়গা করে নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগে।

হামজা যদি বাংলাদেশের ফুটবলে যোগ দেয় তাহলে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় আইকন হবেন তিনি। পরিসরটাকে আরেকটু বড় করলে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলেরই বড় নাম হবেন তিনি। কিন্তু একজন ফুটবলার বাংলাদেশে খেলতে চাইছেন, তার জন্য সবকিছু সহজই তো হওয়ার কথা ছিল। হলো উল্টো। এরই মধ্যে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ফুটবলপ্রেমীদের।


টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে এখন বাবর আজম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে এখন রেকর্ডের বরপুত্র বললে কোনোভাবেই ভুল হওয়ার কথা নয়। একের পর এক রেকর্ড বই তছনছ করে দিচ্ছেন তিনি। বাবর যেন নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেই ছুঁয়েছেন কয়েকটি রেকর্ড। সিরিজে শেষ ম্যাচে নাম লেখালেন আরেকটি রেকর্ড। আর এতে ছাড়িয়ে গেলেন ভিরাট কোহলিকে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। এ ম্যাচে ৪২ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩৯তম হাফসেঞ্চুরি। তাতে বিরাট কোহলিকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির রেকর্ড গড়লেন তিনি। সিরিজে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কোহলির চেয়ে এক ইনিংস কম খেলে তাঁর এই কীর্তি ছুঁয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

টি-টোয়েন্টিতে ১১০টি ইনিংস খেলে বাবর আজমের হাফসেঞ্চুরি এখন ৩৯টি। ক্রিকেটের এ ছোট ফরম্যাটে ১০৯টি ইনিংস খেলা ভিরাট কোহলির হাফসেঞ্চুরি ৩৮। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে বাবর সবচেয়ে বেশি ৮টি ফিফটি করেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচও খেলেছেন সবচেয়ে বেশি- ২৬টি। এরপর সর্বোচ্চ ৫টি করে ফিফটি করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪টি ফিফটি আছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

কোহলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে বাবর সিরিজ জিতিয়েছেন তার দলকেও। দারুণ ফর্মে থাকা পাকিস্তানের এ ওপেনার সিরিজের প্রথম ও শেষ ম্যাচে করেছেন দুটি অর্ধশতক। প্রথম ম্যাচে হারলেও শেষ ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে তার ব্যাটে ভর করেই।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে রিজওয়ান ও ফখর জামানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাবর আজমের দল। সিরিজে সমতা ফেরানোর পর মঙ্গলবার আবারও রিজওয়ান জ্বলে উঠলেন, এবার সঙ্গ পেলেন বাবরের কাছ থেকে। দুজনের ১০০ ছাড়ানো জুটিতে তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-১ এ জিতল পাকিস্তান।

আয়ারল্যান্ড আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাবে বাবর ও রিজওয়ানের ৭৪ বলে ১৩৯ রানের ঝড়ো জুটিতে সহজ জয়ের ভিত গড়ে পাকিস্তান। এরপর বাবর-রিজওয়ান আউট হলেও জয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা আজম খান ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে টানা দুটি ছয় মেরে দলকে জেতান। ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করে পাকিস্তান।

বিষয়:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র-ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের টাইগাররা। বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে বিসিবির বিশ্বকাপ দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দেয় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট।

পরিবর্তিত পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর তাদের ভারত ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা।

আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ডালাসে হতে যাওয়া ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। টাইগারদের পরের ম্যাচ ১০ জুন সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউ ইয়র্কে। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে রাত সাড়ে ৮টায়।

পরের দুটি ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে টাইগাররা। ১৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে রাত সাড়ে ৮টায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুত আগামী ১৭ জুন ভোর সাড়ে ৫ টায় শেষ ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ নেপাল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিগত আসরগুলো থেকে ভালো কিছু অর্জনে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তাই এবার প্রত্যাশায় লাগাম টেনে বিশ্বকাপ মিশনে নামবেন সাকিব-শান্তরা। অন্তত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মত তা-ই।

আসন্ন বিশ্বকাপে টাইগারদের স্কোয়াডে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও হাসান মাহমুদকে। দলের অন্য কোনো সদস্য ইনজুরিতে পড়লে তবেই ডাক পেতে পারেন তারা।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।


স্বঘোষিত সুপারম্যান ইব্রাহিমোভিচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ! এক স্বঘোষিত ফুটবলের সুপারম্যান। তবে দর্শকদের কাছেও তিনি, সুপার নাহলেও কম কিছু নয়। বল পায়ে দারুণ কারুকাজে ফুটবলের ওই মাঠটাকে আপন করে নিয়েছিলেন। নিজের ফুটবল শৈলী প্রদর্শন করেছেন ইউরোপের অনেক দেশে। যেখানেই গিয়েছেন সাফল্য তাকে ছেড়ে যাননি; নামের পাশে লিখেছেন এসেছেন বিশেষ কিছু। অর্জনের পাশাপাশি গর্জনের কারণেও আলোচনায় এসেছেন তিনি। ইব্রাহিমোভিচ ছিলেন ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের এক ফুটবলার। সতীর্থের সঙ্গে মারামারি করে ভেঙেছিলেন নিজের মেরুদন্ডের হাড়। তবে বিতর্ক বাদ দিলে এ সুইডিশ ফুটবলার যুগ যুগ ধরে আলোচনায় থাকবেন তার ফুটবলীয় অর্জন দিয়েই। ১০ বছরে ৫টি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ৯ বার লিগ জিতেছেন।

তবে ইব্রার শৈশবটা এতোটা সহজ ছিল না। ১৯৮১ সালে সুইডেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর মালমোর অভিবাসী অধ্যুষিত রোজেনগার্ড শহরতলীতে জন্ম ইব্রার। যেখানে ছিল শুধুই মদ আর জুয়ার আসর। আর সেই বিপথগামী শহরেই আশির দশকে বেড়ে ওঠা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের। তার উপর আবার মাত্র দুই বছর বয়সেই বিচ্ছেদ হয় বাবা-মায়ের; যার খারাপ প্রভাব পড়ে ইব্রার মাঝেও। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিতেই রুক্ষ, খিটখিটে আর মেজাজি চরিত্রের স্বভাব ভর করে ইব্রাহিমোভিচের ওপর। রোজেনগার্ডের বিপথগামী, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মদের নেশা হয়ে ওঠে তাঁর জীবন। সেখান থেকে ইব্রার জীবনে মুক্তির পথ খুঁজে দেয় ফুটবল।

ইব্রার বয়স যখন ১৫, তখন ফুটবল খেলার পাশাপাশি মালমো ডকে কাজ শুরু করলেন তিনি। একটা সময় পরে ফুটবলটাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোচের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ফুটবলটা আর ছাড়তে পারেননি ইব্রা। ১৭ বছর বয়সে যোগ দিলেন নিজের শহরের সবচেয়ে বড় ক্লাব মালমোতে। ১৯৯৯ সালে এই দলের হয়েই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় ইব্রার। সেখান থেকেই ইব্রাহিমোভিচের ভাগ্যের বাঁক বদল ঘটে যায়।

এরপর ইব্রা গায়ে জড়িয়েছেন আয়াক্স, জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান, বার্সেলোনা, পিএসজি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লা গ্যালাক্সি আর ক্যারিয়ারের শেষটা করেন এসি মিলান দিয়ে। জাতীয় দলেরও সফল তারকা তিনি। সুইডেনের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।

পুরো নাম: জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ

জন্ম: ৩ অক্টোবর ১৯৮১ সাল।

জন্মস্থান: মালমো, সুইডেন।

রাশি: তুলা রাশি।

প্রিয় খেলা: সকার ফুটবল, আমেরিকান ফুটবল।

প্রিয় খাবার: ইতালিয়ান খাবার।

প্রিয় পানীয়: স্ট্রবেরি জুস।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ফুটবলার: স্যামুয়েল ইতো।

প্রিয় ফুটবল দল: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

প্রিয় সতীর্থ: কার্লেস পুয়েল, ফ্রান্সিসকো টটি, রবিনহো, পল পগবা।

প্রিয় গাড়ি: ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো।

প্রিয় স্টেডিয়াম: সানসিরো স্টেডিয়াম, ইতালি।

প্রিয় জায়গা: লোফোটেন।

প্রিয় শখ: ফুটবল খেলা, ভিডিও গেমস খেলা, পোকার খেলা, টিভি সিরিজ দেখা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।


লিটন দাস ‘দ্য ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

লিটন কুমার দাস ‘দ্য ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান’। কথাটার বাস্তবতা মিলবে গতকাল লিটন দাসকে নিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কথায়। বিশ্বকাপ খেলতে উড়াল দেওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলন করতে আসা অধিনায়ক শান্তকে প্রশ্ন করা হলো, বিকল্প থাকলে কি লিটন দাসকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ দেওয়া হতো। উত্তর দিতে সময় নেননি শান্ত, জানালেন বিকল্প থাকলেও লিটনই স্কোয়াডে থাকত, ‘না… করতাম না। কখনোই করতাম না…।’ তার কণ্ঠে এতটাই দৃঢ়তা, লিটন দাসের প্রতি নিজের ও দলের প্রবল আস্থাই মিশে থাকল তাতে।

কিন্তু যে লিটন দাসের প্রতি এতটা আস্থা বাংলাদেশ অধিনায়কের, সেই লিটনের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কী অবস্থা? সেদিকে তাকালে চোখ ছানাবড়া হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

সবশেষ দশ ইনিংসে লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসেনি কোনো হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৪২ রানের। সেটাও ছিল গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এ বছর লিটন দাস খেলেছে দুটি সিরিজ। গত মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আর চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচে লিটন দাসের রান যথাক্রমে ৩ বলে ০, ২৪ বলে ৩৬, ১১ বলে ৭ রান।

লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পরও লিটন দাস সুযোগ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এ সিরিজে লিটন দাস নিজেকে ব্যর্থতার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে যেন লিটন দাস উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। বাধ্য হয়ে তাই ম্যানেজমেন্ট তাকে বিশ্রাম দিয়েছিল শেষ দুই ম্যাচে। জিম্বাবুয়ের বিপেক্ষ লিটন দাস রান করেছেন যথাক্রমে ৩ বলে ১, ২৫ বলে ২৩ এবং ১৫ বলে ১২ রান।

এমন বাজে পারফরম্যান্সের পরেও লিটন দাস সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। সবচেয়ে নজর কাড়া বিষয় হলো ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করলেও বরাবরই লিটন দাসের ওপর ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট সবাই যেভাবে আস্থা রেখেছে, তখন এ কথা বলা বোধ হয় বাড়াবাড়ি হওয়ার কথা নয়, ‘লিটন দাস দ্য ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান’।

মঞ্চে উঠে একজন ম্যাজিশিয়ানের ঝুলিতে থাকা ম্যাজিক শেষ হয়ে যেতে পারে, সাগর শুকিয়ে চৌচির হয়ে যেতে পারে, একটা সময় হয়তো লিটন নিজেই নিজের ওপর থেকে আস্থা হারাবে কিন্তু লিটন দাসের প্রতি নির্বাচক, কোচ, অধিনায়ক কিংবা ম্যানেজমেন্টর আস্থা শেষ হবে না। সবাই তার প্রতি আস্থা রাখবে ব্ল্যাক ম্যাজিকে আক্রান্ত হওয়ার মতো।

বিষয়:

তারুণ্যে ভরা নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

অনেকটা চমক দিয়েই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল নেদারল্যান্ডস। ইংলিশ কাউন্টি দলের সঙ্গে থাকা চুক্তি পূরণ করতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কলিন অ্যাকারমান ও রোয়েলফ ফন ডার মারউইয়ের। তাদের পরিবর্তে তরুণদের প্রতিই আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।

স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের নেতৃত্বে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেবে নেদারল্যান্ডস। গত বিশ্বকাপেও তার নেতৃত্বেই অংশ নিয়েছিল ডাচরা। এবারের দলে অবশ্য রয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তন। দলে নেই শারিজ আহমেদ, টম কুপার, স্টিফেন মাইবার্গ, অ্যাকারমান, ফন ডার মারউই, গ্লোভার ও ফন ডার গুটেন। দলে এসেছেন ওয়েসলি বারেসি, আরিয়ান দত্ত, মাইকেল লেভিট, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, ভিভিয়ান কিংমা ও ড্যানিয়েল ডোরাম দলে ফিরেছেন।

ডি গ্রুপে নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ৪ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে ডাচরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ ১৩ জুন।

নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: স্কট অ্যাডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, বাস ডি লিডা, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেড ক্লাসেন, কাইল ক্লেইন, লোগান ফন বিক, ম্যাক্স ও’ডাউড, মাইকেল লেভিট, পল ফন মেকিরান, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিঙ্গল, বিক্রম সিং, ভিভিয়ান কিংমা ও ওয়েসলি বারেসি।


রঙিন হয়নি এমবাপ্পের প্যারিস বিদায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইতোমধ্যেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাই এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বলাই যায়, গত রাতে প্যারিসে শেষ রাত ছিল এমবাপ্পের জন্য। ঘরের মাঠ প্রিন্সেস দে পার্কে পিএসজির জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেতে নেমেছিলেন এ ফরাসি তারকা। তবে শেষটা রাঙাতে পারেননি। এ যেন নিয়তির খেলা। যা বোঝে না শেষ কিংবা শুরু; চলে নিজের গতিতে। তবু প্রত্যাশা তো থাকে অনেককিছুই। কিলিয়ান এমবাপ্পেও হয়তো এমন অনেক কিছুই প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে নিয়তি তাকে সেটি পেতে দেয়নি।

ম্যাচটি ছিল পার্ক দ্য প্রিন্সেসে নিজেদের সমর্থকদের সামনে লিগ ‘আঁ’র শিরোপা নিয়ে পিএসজির উৎসব করার। ম্যাচটি আবার প্যারিসে কিলিয়ান এমবাপ্পের বিদায়ী ম্যাচও। কিন্তু তুলুজের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে সেই আনন্দ মাটি হয়ে গেছে এমবাপ্পেদের। এই ম্যাচের পর আর প্যারিসের মাঠে পিএসজির জার্সিতে নামবেন না এমবাপ্পে। তবে মৌসুমের বাকি কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেন এমবাপ্পে। সেসব ম্যাচ প্রিন্সেস দে পার্কে নয়।

প্রিন্সেস দ্য পার্কে নিজের শেষ ম্যাচটা রাঙনোর উপলক্ষও তৈরি করেছিল এমবাপ্পে। ৮ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর আর পিএসজির কেউ স্কোরও করতে পারেনি, প্রতিপক্ষের স্কোরারদের রুখতেও পারেনি। তুলুজের হয়ে করেন থিস ডালিঙ্গা (১৩ মিনিটে), ইয়ান গোবো (৬৮ মিনিটে) ও ফাঙ্ক মাগরি ৯৫ মিনিটে গোল করে এমবাপ্পের বিদায়কে বিষাদময় করে দেন।

এমবাপ্পের শেষ ইচ্ছেটা ছিল, চলতি মৌসুমে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতাবেন। কিন্তু নিজের সেই ইচ্ছেও পূরণ করতে পারেননি তিনি। বুরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে আসরের সেমিফাইনাল থেকেই। জার্মান বুন্দেস লিগায় ক্লাবটির কাছে দুই লেগেই হেরেছে এমবাপ্পের দল।

গতকাল ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিক বলেন, ‘অনুরাগীরা এমবাপ্পেকে তার প্রাপ্য শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তারুণ্য থাকা সত্ত্বেও সে একজন ক্লাব কিংবদন্তি। তার এখনো আমাদের সঙ্গে কয়েকটি ম্যাচ বাকি আছে। তবে আমি তাকে তার ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানাই।’

এমবাপ্পেকে নিয়ে সতীর্থ ডেম্বেলে বলেন, ‘সে ক্লাবকে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক কিছু করেছে। সে যা করেছে তাতে আমরা খুশি। পিএসজিতে ভালোভাবে বড় হয়েছে, সে অনেক কিছু অর্জন করেছে। সে একজন পিএসজি কিংবদন্তি। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত।’


একের ভেতর সব জেমস নিশাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

তাকে সাম্প্রতিক ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার বললেও বোধ হয় খুব একটা ভুল হবে না। ব্যাট হাতে চোখ জুড়ানো সব শটে প্রতিপক্ষের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে ম্যাচ শেষ করে আসার সক্ষমতা তার আছে। এর সঙ্গে বল হাতেও বেশ কার্যকরী; গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তুলে নিতে পারেন উইকেট কিংবা রানের গতি টেনে ধরে চেপে ধরতে পারেন প্রতিপক্ষকে। এর সঙ্গে বোনাস হিসেবে যোগ করুন দুর্দান্ত ফিল্ডিং স্কিল। এভাবেই কিউইদের ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার জেমস নিশাম (জিমি নিশাম)।

জন্মটা ১৯৯০ সালে নিউজিল্যন্ডের অকল্যান্ড শহরে। যে দেশে ক্রিকেটটা ঠিক কেউ সিরিয়াসলি খেলে না। এমনিতেই জনসংখ্যা অনেক কম। তার ওপর রাগবির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, ফুটবলটাও কম নয়। তারপরও যুগে যুগে তাসমান সাগরপাড় থেকে উঠে এসেছে কালজয়ী সব ক্রিকেটার। সেই মশালই সামনে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন জিমি নিশামরা।

ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরুটা অকল্যান্ডের হয়ে হলেও সাফল্যের শুরুটা হয় ওটাগোতে দল পরিবর্তন করার পর। ঘরোয়া ক্রিকেটে একই ম্যাচে চল্লিশোর্ধ্ব রান এবং পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ডাক আসে জাতীয় দল থেকে।

স্কট স্টাইরিশ পরবর্তী যুগে এমন কাউকেই খুঁজছিল নিউজিল্যান্ড। অভিষেক ম্যাচেই সব আলো নিজের দিকে টেনে নেন নিশাম। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খেলেন অপরাজিত ১৩৭ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির ধারা অব্যাহত রাখেন পরের ম্যাচেও, বনে যান ইতিহাসের প্রথম কিউই ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটার। অবশ্য তার আগেই নিশামের অভিষেক হয়ে গেছে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে।

২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপান। পরের বছরই গায়ে জড়ান ওয়ানডে দলের জার্সিও। তবে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অভিষেকটা টেস্টের মতো হয়নি নিশামের।

দুর্দান্ত শুরুর পরও টেস্টে নিজেকে থিতু করতে পারেননি এ কিউই অলরাউন্ডার। বরং সাদা বলের ক্রিকেটেই তার পরিচিতি বেশি। সেখানেই নিজেকে থিতু করে নিয়েছেন।

পুরো নাম- জেমস ডগলাস শিয়াহ্যান নিশাম।

জন্ম- ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯০ সাল।

জন্মস্থান- অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড।

রাশি: কন্যা।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, গলফ, বাস্কেটবল।

প্রিয় খাবার: ভেজিটেরিয়ান ডিশ।

প্রিয় পানীয়: লেমন জুস।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: ড্যানিয়েল ভেট্টরি।

প্রিয় ক্রিকেট দল: নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: লুকি ফার্গুসন, কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি।

প্রিয় ফুটবলার: লিওনেল মেসি।

প্রিয় ফুটবল দল: বার্সেলোনা এফসি।

প্রিয় গাড়ি: অ্যাস্টন মার্টিন ভ্যান্টেজ।

প্রিয় শখ: ভ্রমণ, সিনেমা দেখা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: নিউ ব্যালেন্স।


banner close