মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২

বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন রিচার্লিসন

স্পোর্টস বিশ্বে দিলেন বার্তা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৫৯

সদ্য সমাপ্ত ফিফা উইন্ডোতে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রের ২৫ সদস্যের দলে ছিলেন রিচার্লিসন। তবে মাঠে নামা হয়নি কোনো ম্যাচেই। বেঞ্চে বসেই উপভোগ করেছেন সতীর্থদের পারফরম্যান্স। তবে ম্যাচ শেষে এক সাক্ষাৎকার দিয়ে রীতিমতো আলোচনায় উঠে এসেছেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। বলেছেন চমকে ওঠা কিছু কথা, স্পোর্টস বিশ্বে দিয়েছেন বিশেষ বার্তা।

মূলত ২০২২ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল ছিল সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা দল। সেই বিশ্বকাপের হটফেভারিট ছিল তারাই। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছিল সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। টাইব্রেকারে কোয়েটদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় নেইমারদের। বাদ পড়াটাকে সহজভাবে নিতে পারেনি রিচার্লিসন। এরপরই গুগলে খুঁজতে থাকে সব আজে-বাজে জিনিস, যার মধ্যে অন্যতম ছিল মৃত্যু!

বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর মানসিক অবস্থা কেমন হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করে রিচার্লিসন বলেছেন, ‘আমি তখন কেবলই নিজের সেরা অবস্থায় বিশ্বকাপ শেষ করেছি। আমার মনে হচ্ছিল, আমি নিজের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। আমি জানি না কেন, আমি নিজেকে মেরে ফেলতে চেয়েছি বলছি না, কিন্তু হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং আমি হাল ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম। এমনকি আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী ভাবা হলেও বিশ্বকাপের পর মনে হচ্ছিল, সব ভেঙে পড়েছে।

এরপর মনোবিদের শরনাপন্ন হন রিচার্লিসন। তিনি মনে করেন সেই মনোবিদই তার জীবন বাঁচিয়েছে, রিচার্লিসন বলেন, ‘আমার মনে হয়, থেরাপিস্টই আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। আমি তখন শুধুই বাজে ব্যাপারগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। এমনকি গুগলেও আমি সেই আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। আমি শুধু মৃত্যু নিয়ে আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজতাম।’

স্পোর্টস বিশ্বসহ সবার উদ্দেশ্যেই বার্তা দেন এ ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। তিনি বলেন, ‘আজ আমি বলতে চাই, আপনার যদি মনোবিদের প্রয়োজন হয়, তবে তার কাছে যান। কারণ, এভাবে নিজেকে মেলে ধরাটা ভালো। ফুটবল ও ফুটবলের বাইরের দুনিয়ার সামনে বিষয়টি নিয়ে আসায় আজ একজন থেরাপিস্ট আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কারণ, আমরা পছন্দ করি বা না করি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা জীবন বাঁচিয়ে দেয়।’

মনোবিদের কাছে যাওয়াটাকে আগে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা ভাবলেও, এটা দারুণ ব্যাপার বলে আবিষ্কার করেছেন তিনি। রিচার্লিসন বলেন, ‘আগে আমার বিষয়টা নিয়ে কুসংস্কার ছিল, ভাবতাম এগুলো বোকামি। আমার পরিবারেও এমন অনেকে আছেন, যারা মনে করেন, মনোবিদের কাছে যাওয়া মানে পাগলামি। কিন্তু আমি আবিষ্কার করি, এটা দারুণ ব্যাপার। সত্যি বলছি, এটা আমার জীবনে সবচেয়ে সেরা আবিষ্কার।’

বিষয়:

মিরাজের ফাইফারের পরও পিছিয়ে বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আগেরদিন যেভাবে শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার সেটা দেখে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের জন্য বড় বিপদই অপেক্ষা করছে। তবে গতকাল দ্বিতীয় দিনে সেই ধারাটা অব্যাহত রাখতে পারেনি রোডেশিয়ানরা। নাহিদ রানার শুরুর পরে শেষটা করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অলরাউন্ডারের ফাইফারে তিনশো পেরুনোর আগেই শেষ হয়েছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। তবে শেষ বিকেলটা স্বস্তিতে পার করতে পারেনি বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানে থেমেছিল জিম্বাবুয়ে। তাতে ৮২ রানের লিড পেয়েছিল সফরকারীরা। শেষ বিকেলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে এবারও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এখনো পিছিয়ে ২৫ রানে। ২৮ রান করে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল হাসান জয় আর মুমিনুল হক ১৫ রানে।

৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে টপঅর্ডারের চিরায়ত ব্যর্থতা আরেকবার উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফিরেন সাদমান ইসলাম। তার ৪ রানে ফেরায় ভাঙে ১৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে এরপরে আর কোনো ভুল করেনি মাহমুদুল হাসান জয় আর মুমিনুল হক।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার এদিন কোনো সুযোগ দেননি। তবে আরেক ওপেনার জয়, ভাগ্যের কারণেই অপরাজিত থেকেছেন। উইকেটের পেছনে তার সহজ ক্যাচ ফেলেছেন মায়াভো। জীবন পেয়ে ইনিংস লম্বা করার চেষ্টা করছেন এই তরুণ ওপেনার।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৪৪ রান তুলেছেন জয় ও মুমিনুল। তবে এখনো ২৫ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তাই আজ সকালে কঠিন সময়ের অপেক্ষা করছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের জন্য।

এর আগে গতকাল সিলেটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। এরপর শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশিদের ব্যাটিং শিখিয়েছিলেন দুই রোডেশিয়ান ওপেনার। তাতে কোনো উইকেট হারানো ছাড়াই দিন শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে।

আজ দিনের শুরুতেই বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। পাশাপাশি স্পিনাররাও ভালো বোলিং করেছেন। বিশেষ করে মেহেদি হাসান মিরাজ। এই ডানহাতি অফ স্পিনারের ফাইফারে জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে থামায় বাংলাদেশ।

আগের দিন ইতিবাচক ব্যাটিং করা বেনেট এদিনও ভালো শুরু করেন। মাত্র ৫৬ বলে তিনি পূর্ণ করেন ফিফটি। তবে তাকে ফিরিয়েই দিনটা শুরু করেন নাহিদ রানা। পরে নাহিদের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি দূর থেকে খেলার চেষ্টায় কট বিহাইন্ড হন ৫৬ রান করা ওপেনার। নিকোলাস ওয়েলচকে (২) উইকেটে দাঁড়াতে দেননি হাসান মাহমুদ। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে নাহিদের ব্যাক অব লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে কট বিহাইন্ড হন ক্রেইগ আরভাইন।

প্রথম সেশনে মাত্র ৬৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লিড পাওয়ার আশা জাগায় বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়েসলি মাধভেরেকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন উইলিয়ামস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে আরও একটি পঞ্চাশ করেন দারুণ ফর্মে থাকা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। মাদেভেরেকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ।

এরপর শেন উইলিয়ামসকে (৫৯) ফিরিয়ে শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর একে একে নায়াশা মায়াভো (৩৫), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (৬), ব্লেসিং মুজারাবানি (১৭) আর ভিক্টর নিয়াউচিকে (৭) ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন মিরাজ। এর আগে ঘরের মাঠে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন অফ স্পিনার।


শিরোপা থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে লিভারপুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লিভারপুলের শিরোপা জিততে আর দরকার মোটে দুটি জয়। তবে সেটা খুব সহজ হবে না আর্না স্লটের দলের জন্য। কারণ পরের তিনটিই বিগ ম্যাচ; সুপার সিক্সে থাকা টটেনহাম, আর্সেনাল এবং চেলসির বিপক্ষে। তাই গতরাতে লেস্টারের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা ভীষণ দরকার ছিল লিভারপুলের জন্য। কিন্তু ম্যাচের অবস্থা বলছিল ভিন্ন কথা। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ড্রয়ের দিকে যাচ্ছিল ম্যাচ। ঠিক তখনই ত্রাণকর্তা হয়ে এলেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। তার একমাত্র গোলেই জয় নিয়ে ফিরেছে অলরেডরা।

রোববার দিবাগত রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। এ জয়ে শিরোপা থেকে আর মাত্র একধাপ দূরে আছে লিভারপুল। ৩৩ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। ১৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। অন্যদিকে এই হারে অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে লেস্টার সিটির। আগামী মৌসুমে তারা খেলবে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে। ৩৩তম ম্যাচে ২৩ হারের স্বাদ পাওয়া লেস্টারের পয়েন্ট ১৮। অবনমনে সাউদাম্পটনের সঙ্গী হলো লেস্টার। তৃতীয় দল হিসেবে রেলিগেশন হতে পারে ইপসউইচ টাউনের। ৩৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে দলটি।

চলতি মৌসুমেই লিভারপুলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের। গুঞ্জন আছে অলরেডদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফ্রি ট্রান্সফারে স্পেন জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবেন তিনি। আর্নল্ডের এমন সিদ্ধান্তটা মানতে খানিক কষ্টই হচ্ছিল লিভারপুল ভক্তদের। এরই মধ্যে আবার ইনজুরির থাবায় পড়েন তিনি। লেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফিরেই অলরেডদের হতাশা দূর করে দিলেন।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে কনর ব্র্যাডলির বদলি হিসেবে মাঠে নামার ৫ মিনিটের মধ্যেই বাঁ পায়ের শটে গোল পেয়ে যান লিভারপুল ডিফেন্ডার। গোলটা হতে পারত সালাহ কিংবা ডিয়েগো জোটার। কিন্তু জটলার মাঝে গোল পাননি কেউই। আর ফাঁকায় বল পেয়ে ডেডলক ভাঙেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। গোলের পর বুনো উদ্‌যাপনে মেতে শার্ট খুলে হলুদ কার্ডও দেখেছেন এই ডিফেন্ডার।

কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে স্বাগতিক লেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা থেকে এখন মাত্র একহাত দূরে লিভারপুল। এখন নিজেদের পরের ম্যাচে ঘরের মাঠে জিতলেই লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে লিভারপুল। অবশ্য ২৪ তারিখ ক্রিস্টাল প্যালেস যদি আর্সেনালকে হারিয়ে দেয়, তবে সেদিনই শিরোপা উৎসব করতে পারবে আর্নে স্লটের শিষ্যরা।

বিষয়:

নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেরা একাদশে বাংলাদেশের নিগার ও শারমিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গতকাল শেষ হওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

সেরা একাদশে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আকতারকে রাখা হয়েছে। দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবেও আছেন বাংলাদেশের রাবেয়া খান। একাদশের অধিনায়ক পাকিস্তানের ফাতিমা সানা।

টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে সর্বোচ্চ চার জন পাকিস্তানের, তিন জন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ও দুই জন করে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটার আছেন।

একাদশের দুই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হিলি ম্যাথুস ও পাকিস্তানের মুনিবা আলি। ম্যাথুস ২৪০ রান ও আসরের সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়েছেন। ২২৩ রান করেছেন মুনিবা।

ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে রাখা হয়েছে শারমিনকে। তিন হাফ-সেঞ্চুরিতে আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৬ রান করেছেন তিনি।

চার নম্বরে রাখা হয়েছে আসরের সর্বোচ্চ ২৯৩ রান করা স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইসকে। পাশাপাশি বল হাতে ৬ উইকেটও নেন তিনি।

একাদশে উইকেটরক্ষক হিসেবে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার। দু’টি হাফ-সেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরিতে ২৪১ রান করেছেন তিনি। উইকেটের পেছনে ২টি ক্যাচ ও ৩টি স্টাম্পিংও করেছেন নিগার।

ব্যাট হাতে ১০৭ রান ও পেস বোলিংয়ে ১২ উইকেট নিয়ে একাদশের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে পাকিস্তানের সানাকে।

এরপর আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের চিনেল হেনরি ও আলিয়া অ্যালাইন। হেনরি ১৭১ রান ও ৪ উইকেট নেন। অ্যালাইন ১২ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ৬৩ রান করেন।

একাদশে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ফ্রেজার। ৭৭ রান করার পাশাপাশি ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

একাদশে শেষ দুই খেলোয়াড় হলেন- পাকিস্তানের দুই বাঁ-হাতি স্পিনার নাস্রা সান্ধু ও সাদিয়া ইকবাল। নাস্রা ১০ উইকেট ও সাদিয়া ৯ উইকেট নেন।

৬ উইকেট নিয়ে দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন লেগ স্পিনার রাবেয়া।

বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।

নারী বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের একাদশ : হিলি ম্যাথুজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুনিবা আলি (পাকিস্তান), শারমিন আকতার (বাংলাদেশ), ক্যাথরিন ব্রাইস (স্কটল্যান্ড), নিগার সুলতানা (বাংলাদেশ, উইকেটরক্ষক), ফাতিমা সানা (পাকিস্তান, অধিনায়ক), চিনেল হেনরি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আলিয়া অ্যালাইন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ক্যাথরিন ফ্রেজার (স্কটল্যান্ড), নাস্রা সান্ধু (পাকিস্তান), সাদিয়া ইকবাল (পাকিস্তান)।

দ্বাদশ ক্রিকেটার : রাবেয়া খান (বাংলাদেশ)।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ‘টিকিট’ কনফার্ম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

দিনের শুরুতেই বিষণ্নতার ছোঁয়া, এরপর কয়েক ঘণ্টার হৃদয় নিংড়ানো দোয়া, আশা, উৎকণ্ঠা আর হার্ট বন্ধ করা উত্তেজনা; গতকাল বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের অবস্থাটা অনেকটা এরকমই ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে হতাশ করেছিল জ্যোতিরা। তাই বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করছিল থাইল্যান্ডের হাতে। ব্যাটিংয়ে তারা আশা দেখালেও ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউসের টর্নেডোতে বাড়ে উৎকণ্ঠা। শেষ দুই বলের হার্ট বন্ধ করা উত্তেজনা শেষে ভারতের টিকিট ‘কনফার্ম’ হয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের।

সবগুলো ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পাকিস্তান। আর ৩টি করে জয়ে সমান ৬ পয়েন্ট করে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে রান রেট (০.৬৩৯) ব্যবধানে এগিয়ে দুই নম্বরে বাংলাদেশ। আর তিন নম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (০.৬২৬)।

জটিল অঙ্কের সমাধান মেলাতে পারেনি উইন্ডিজ নারীরা। তাই জিতেও ভাগ্য সহায় হয়নি তাদের। রান রেটের মারপ্যাঁচে ক্যারিবিয়ানদের খেলা হচ্ছে না ভারতে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপে। বাচাইপর্ব থেকে আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। এখন তাদের সঙ্গী হলো বাংলাদেশ।

শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে সহজ সমীকরণ ছিল- ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। কিন্তু দুই ম্যাচেই হেরে বসে টাইগ্রেসরা। যার সর্বশেষটা গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর থাইল্যান্ডের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না বাংলাদেশের।

তবে প্রকৃতির এক নিদারুণ সুবিধা পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস ভাগ্য চলে যায় তাদের হাতে। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে নেট রান রেট মেলানোর সুযোগ নিতে তাই দুবার ভাবেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। থাইল্যান্ড ১৬৬ রানে অলআউট হতেই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা জেনে যান কী করলে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে যাবেন তারা। কাজটা কঠিনই ছিল। ১৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে হতো ১০ ওভারে। স্কোর সমান হয়ে যাওয়ার পর ছক্কা মারলে ১১ ওভারে জিতলেই চলত। ক্যারিবীয়রা সেই কাজ প্রায় করেই ফেলেছিলেন।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশি সমর্থকদের রীতিমতো হার্টবিট বন্ধ করে দিয়েছিলেন ক্যারিয়ান অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস। উইকেটে রীতিমতো সাইক্লোন বয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। ক্রিকেট বলকে যেন ফুটবল দেখছিলেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। যদি আর একটা ওভার তিনি টিকতে পারতেন তাহলেই স্বপ্ন ভঙ্গ হতো বাংলাদেশের। ম্যাথিউস মেয়েদের ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে দেন কি না, এ নিয়ে যখন গবেষণা শুরু হলো, তখনই ছন্দপতন। ২৯ বলে ৭০ রান করে ম্যাথিউস যখন ফিরলেন, তখন ৩ ওভারে হিসাব মেলাতে ৬২ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

সেই হিসাব মেলানোর দিকেই এগোতে গিয়ে ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৪৮ রান করে ফিরেন শিনেল হেনরি। এরপর শেষ দুই বলের অঙ্কে ভুল করে বসেন স্টেফানি টেইলর। ২ বলে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। এর জন‍্য প্রথমে চার মেরে স্কোর নিতে হতো সমতায়। পরের বলে ছক্কা মেরে জিততে হতো ম‍্যাচ। কিন্তু ছক্কায় শেষ করে দিলেন ম‍্যাচ! বাংলাদেশ হাসলো সুখের হাসি।

এ বছরের অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা- এই ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট কেটেছে। বাছাই পর্ব থেকে নতুন করে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

তবে পাকিস্তান বিশ্বকাপ নিশ্চিত করায় বেধেছে আরেক ঝামেলা। চুক্তি অনুযায়ী ভারতে খেলতে যাবে না তারা। সেক্ষেত্রে নারী বিশ্বকাপ হবে হাইব্রিড মডেলে। পাকিস্তানের ম্যাচগুলো হবে অন্য কোনো দেশে। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যেমনটা হয়েছিল ভারতের ম্যাচগুলো।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় হার দেখে বাংলাদেশ নারী দল। লাহোরে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতার কবলে পড়ে ১৭৮ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রিতু মনি। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফাহিমা খাতুন।

জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৯.৪ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। মুনিবা আলির ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। এটাই ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। আর ৫২ রানে অপরাজিত আলিয়া রিয়াজ।


ডিএনসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট আগামী মাসে শুরু : মোহাম্মদ এজাজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, আগামী মাসে ডিএনসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হবে। এই টুর্নামেন্টে ডিএনসিসি’র ৫৪টি ওয়ার্ডে ৫৪ লাখ টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হবে।

আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে ডিএনসিসি এবং বনানী স্পোর্টস এরেনা কর্তৃক আয়োজিত ‘ক্রিকেট কার্নিভাল-২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি প্রশাসক এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক, হাবিবুল বাশার সুমন, জাবেদ ওমর বেলিম ও শাহরিয়ার নাফীস।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ফুটবলের পর আমরা ওয়ার্ড ভিত্তিক ক্রিকেট খেলার আয়োজন করবো। প্রতি বছর ৪টা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে।’

ডিএনসিসি প্রশাসক নারীদের জন্যও আলাদা টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে জানিয়ে বলেন, নারীদের জন্য এই শহরে পাবলিক স্পেসের অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এসব আয়োজনের মাধ্যমে বিনোদন ও যুব উন্নয়নের পাশাপাশি কালচারাল ফ্যাসিজমের যে ভয় আছে সেটিকে মোকাবিলা করা হবে। কালচারাল ফ্যাসিজম কিন্তু খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিএনসিসি’র আওতাধীন মাঠগুলো কোনো ক্লাবের আন্ডারে থাকবে না। ক্লাবের আওতাধীন থাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পাবলিক স্পেসে মানুষের আসা-যাওয়া, শিশুদের খেলাধুলা এগুলো অধিকার। সাধারণ মানুষের অধিকার বঞ্চিত করে কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য মাঠ বরাদ্দ থাকলে সামাজিক বৈষম্য হয়, অবিচার হয়। তাই এটি আর করতে দেয়া হবে না।

ডিএনসিসি প্রশাসক তার দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, গত দুই মাসে আমরা কয়েকটি মাঠ উদ্ধার করেছি। গত সপ্তাহে মিরপুর প্যারিস রোড মাঠের অবৈধ মেলা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মিরপুর বাউনিয়ায় ১২ বিঘা একটি মাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বড়দের জন্য একটি অলিম্পিক সাইজের ফুটবল মাঠের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও আলাদা খেলার মাঠ থাকবে।

পরে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করতে নিজে ব্যাটিং করে ‘ক্রিকেট কার্নিভাল-২০২৫’ এর শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বিপরীতে বোলিং করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক। এরপর ডিএনসিসি প্রশাসক অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যে ছবি আঁকা হয়েছে সেগুলোর প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।


তিন ছেলের মধ্যে ফুটবলে কে সেরা, জানালেন মেসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্ব ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির ঘরেই যেন গড়ে উঠছে ভবিষ্যতের তিন তারকা। থিয়াগো, মাতেও আর সিরো—তিন পুত্রই এখন নিয়মিত ফুটবলের সঙ্গে জড়িত। অনুশীলন থেকে শুরু করে মাঠের খেলার পর বল নিয়ে ছোটাছুটি, সবখানেই দেখা মিলছে ফুটবল নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস। আর এ নিয়েই মুখ খুলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

‘সিম্পলি ফুটবল’ নামের একটি অনুষ্ঠানে ছেলেদের ফুটবল নিয়ে কথা বলেন মেসি। বলেন, ‘ওরা সারাদিনই বল নিয়েই থাকে। ওদের সঙ্গে সময় কাটানো আমি খুব উপভোগ করি। প্রতিদিন ওরা অনুশীলন করে, ম্যাচ খেলে, পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করে। এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’

মেসির তিন ছেলে একেবারে ভিন্ন ধাঁচের ফুটবলার। মেসির মতে, বড় ছেলে থিয়াগো (১২) অনেক বেশি গোছানো, ভেবেচিন্তে খেলে, মাঝমাঠের খেলোয়াড় হওয়ার উপযুক্ত। ‘ও খুব চিন্তাশীল, খেলার মাঝে অনেক পরিকল্পনা করে। একজন আদর্শ মিডফিল্ডার টাইপ।’

মাঝের ছেলে মাতেও (৯) সম্পর্কে মেসির মূল্যায়ন, ‘সে একজন ফরোয়ার্ড, সবসময় গোল করতে চায়। গোলের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। বুদ্ধিমান খেলোয়াড় বলা যায়।’

ছোট ছেলে অর্থাৎ সাত বছর বয়সী চিরোকে নিয়ে মেসির মন্তব্যটা এমন, ‘চিরো আরও বিস্ফোরক। সে চ্যালেঞ্জ জানাতে পছন্দ করে এবং একজন ওয়ান অন খেলোয়াড়। সে নিজের খেলা তৈরিতে বেশি আগ্রহী।’

তবে তিন ছেলের মধ্যে কাকে সেরা বলা যায়—সে প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি মেসি। হেসে বলেন, ‘আমি যদি একজনের নাম বলি, তাহলে বাকিরা এসে বলবে তুমি তার নাম কেন বললে! তাই এই প্রশ্নের উত্তর নিজের কাছেই রাখি।’

ফুটবলে ছেলেদের আগ্রহ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবাইকে নিয়ে কথা বলে। এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস, হলান্ড, লেভান্ডোভস্কি, এমনকি লামিন ইয়ামালও বাদ যায় না। তারা সব দেখে, সব জানে। যদিও তাদের মতো হতে চায় না, তবে জানাশোনা অনেক।’


ঘরোয়া ক্রিকেটেও রান পাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

জাতীয় দলের জার্সিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধ্যায় শেষ। সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেছিলেন কেবল একটি ম্যাচ, সেখানেও তিনি বলার মতো কিছু করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন না তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটাই লাল-সবুজের জার্সিতে মাহমুদউল্লাহর শেষ।

এরপর দেশে ফিরে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে শুরু থেকেই ছিলেন না তিনি, ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি বেশ কয়েকটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে খেলেছেন ৫ ম্যাচ তবে বলার মতো কিছুই করতে পারেননি।

গতকাল সুপার লিগের প্রথম ম্যাচেও ব্যাট হাতে হয়েছেন ব্যর্থ, করেছেন মোটে ১২ রান। দেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার মোহামেডানের হয়ে খেলছেন চলমান ডিপিএলে। সব মিলিয়ে ৫ ম্যাচে (১০, ৭, ১৬, ১৭, ১২) সেখানে তিনি করেছেন মোটে ৬২ রান। সর্বোচ্চ রান করেছেন এর মধ্যে ১৭, স্ট্রাইকরেট ৬৬.৬৭।

মাহমুদউল্লাহর সাম্প্রতিক এমন পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিবির এক নির্বাচক দৈনিক বাংলাকে বলছিলেন, ‘এটা নিয়ে হয়তো কোচদের সঙ্গে কথা বলছে রিয়াদ, অনেক দিন ধরে সে খেলছে। কোথায় ভুল হচ্ছে বা কি হচ্ছে সে সব কিছুই বুঝার কথা। কারও না কারও সঙ্গে নিশ্চয়ই কথা বলছে সে।’

‘যেকোনো বড় খেলোয়াড়ের কাছ থেকে কিন্তু চাওয়া-পাওয়াটা একটু বেশিই থাকে। ওর একটা বিষয় আছে যে, এখন হয়তো রান পাচ্ছে না, কিন্তু এমন দুই ম্যাচে রান পেয়ে যাবে। যেটা দলের জন্য ভালো হবে, তখন যেটা পুরো সিজনের ব্যর্থতা ঢেকে দিতে পারে। মানুষটা একটা আশা নিয়ে বাঁচে।’


উইন্ডিজের কাছে হেরে বিশ্বকাপের অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

টানা তিন ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ খেলার সহজ সমীকরণ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতলেই কোনো হিসেব-নিকেশ ছাড়াই প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হতো বাংলাদেশের। কিন্তু ধুঁকতে থাকা সেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেই ধরাশায়ী হলো টাইগ্রেসরা। টানা তিন জয়ের পরে হার দেখল জ্যোতি বাহিনী। এতে অপেক্ষা বাড়ল বিশ্বকাপে খেলার।

লাহোরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন শারমিন আক্তার। জবাবে খেলতে নেমে ৪৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা।

অল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা প্রত্যাশামত হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এদিন ইনিংস ওপেন করেন কিয়ানা জোসেফ ও জায়দা জেমস। জায়দা ৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তাকে বোল্ড করেন জান্নাতুল ফেরদৌস।

আরেক ওপেনার কিয়ানা দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দলকে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের শক্ত ভিত গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে ৩১ রানে রাবেয়ার বলে থেমেছেন তিনি।

২৪ রান করা শেইমেন ক্যাম্পবেলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন ফাহিমা খাতুন। এরপর চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৬৬ রান যোগ করেন। ম্যাথিউসকে (৪৫ বলে ৩৩) ফিরিয়ে অবশেষে সেই জুটি ভেঙেছেন মারুফা আক্তার। এক ওভার পরই টেইলরকে (৫১ বলে ৩৬) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মারুফা।

কিন্তু এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আবারো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ক্যারিবিয়ানরা। বিশেষ করে ছিহনেল হেনরি। তার ৪৮ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া ১০ বলে ১১ রান করে শেষদিকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আলিয়া আলিন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে ওপেনিংয়ে নেমে তেমন কিছু করতে পারেননি সোবহানা মোস্তারি (৬)। পরে অবশ্য চাপ বাড়তে দেননি শারমিন আক্তার ও ফারজানা হক। চার ম্যাচে তৃতীয়বার শতরানের জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ১১৮ রানের সেই জুটি ভাঙেন আলিয়া আলিন। প্রথমে ফেরান ফারজানাকে (৭৮ বলে ৪২) এরপর শারমিনকেও (৭৯ বলে ৬৭) ফিরিয়েছেন তিনিই।

গত নভেম্বরে জাতীয় দলে ফেরার পর নিজেকে নতুন ভাবে চেনাচ্ছেন শারমনি। নতুন এই অধ্যায়ে দশ ম্যাচে এটি তার পঞ্চম ফিফটি। সব মিলিয়ে ৬০.৩৩ গড়ে তার সংগ্রহ ৫৪৩ রান। বিশ্ব ক্রিকেটেই এই সময়ে শারমিনের চেয়ে বেশি ওয়ানডে রান নেই আর কারও। জুটি ভাঙার পর আর কেউ হাল ধরতে পারেননি। তবে শেষ দিকে কার্যকর দুটি ইনিংস খেলেন নাহিদা আক্তার (২৫) ও রাবেয়া খান (২৩)।


‘হামজা’ খুঁজতে সব ফেডারেশনকে এনএসসির চিঠি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সম্প্রতি বাংলাদেশের ফুটবলে এক বিপ্লব ঘটে গেছে। এর পেছনের কারণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। হামজার আগমনেই বদলে গেছে দেশের ফুটবল। আসতে শুরু করেছে আরও অনেক বংশোদ্ভূত ফুটবলাররা। ফুটবলের সেই জোয়ার এবার অন্য ফেডারেশনগুলোতেও লাগাতে চায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সে জন্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যাথলেটদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে ফেডারেশনগুলোকে।

গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, এনডিসি সকল ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা প্রধান নির্বাহীকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন।

বিশ্বের নানা প্রান্তে বাংলাদেশের মানুষের বসবাস। তারা বা তাদের বংশধরদের অনেকে বিদেশের মাটিতে ক্রীড়াঙ্গনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভালো মানের এবং বাংলাদেশের পক্ষে দীর্ঘদিন খেলতে পারেন এমন বংশোদ্ভূতদের সম্পৃক্ত করতে পারলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফলতার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এ জন্য চিঠিতে ‘স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কৃতি খেলোয়াড়গণকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত’ শিরোনাম করেছে।

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে আসার পরই ফুটবলের আবহ বদলে গেছে। দলীয় শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বত্রই এখন ফুটবল নিয়ে আলোচনা। সামিত সোমও যোগ হলে বাংলাদেশ দলের মান আরও অনেক বাড়বে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশ দলে প্রথম খেলেন। জামালকে অনুসরণ করে ফুটবল দলে তারিক কাজী, রাহবার ও কাজেম শাহ খেলেছেন।

ফুটবলের মতো অন্য খেলাগুলোতেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদ অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হলে পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, বাবা-মায়ের কাগজপত্র হালনাগাদসহ আরও অনেক বিষয়াদির আনুষ্ঠানিকতা থাকে।

এই সংক্রান্ত বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি কোনো ফেডারেশন/ক্রীড়া সংস্থা এই সংক্রান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করলে অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও পাশে থাকবে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান প্রবাসী জিমন্যাস্ট জ্যাক আশিকুল ইসলামের অনুকূলে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সম্পৃক্ত রয়েছে।

ফুটবলের বাইরে অ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, জিমন্যাস্টিক্স ও সাঁতারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদরা অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানুর রহমান এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে স্বর্ণ জিতেছেন। ২০১২ সালে আমেরিকান প্রবাসী সাইক সিজার লন্ডন অলিম্পিকে খেলেছিলেন। নিউজিল্যান্ড প্রবাসী জিমন্যাস্ট আলী কাদির ২০২২ সালে তুরস্কে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন। ২০২৩ হাংজু এশিয়ান গেমসে আমেরিকান প্রবাসী জিনাত অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে লন্ডন প্রবাসী জুনাইনা আহমেদ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।


বিশ্বকাপ খেলতে সহজ সমীকরণ জ্যোতি বাহিনীর সামনে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেই ভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন। দুই দলই খেলছে বাছাই পর্ব। সেই স্বপ্ন ভঙ্গের প্রতিশোধ নেওয়ারও সুযোগ এসেছে এবার বাংলাদেশের সামনে। বাছাইয়ে আজ মুখোমুখি হবে দুই দল। লাহোরে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে ম্যাচ। এটি বাংলাদেশের চতুর্থ ম্যাচ।

পাকিস্তানে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে রীতিমতো উড়ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে জয় ছিনিয়ে আনছে জ্যোতি বাহিনী। টানা তিন ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপে খেলার পথ বেশ মসৃণ করে রেখেছে বাংলার বাঘিনীরা। জ্যোতির দলের সমীকরণও অনেকটা সহজ। থাইল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট ও ১.৪৯৪ রেটিং নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের টেবিলের শীর্ষে। বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে বাংলাদেশের প্রয়োজন কেবল একটি জয়।

সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে ৬ দল। ৮ দলের বিশ্বকাপে বাকি আছে দুটি টিকিট। ৬ দলের বিশ্বকাপ বাছাই থেকে টেবিলের শীর্ষ দুই দল সে দুটি টিকিট পাবে। বাছাইয়ে প্রত্যেক দলই খেলবে পাঁচটি করে ম্যাচ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান তিনটি করে ম্যাচ খেলে এখনো অপরাজিত। দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট। স্কটল্যান্ডের ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট, সমান ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ২ পয়েন্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট, থাইল্যান্ড ৩ ম্যাচ খেলে কোনো পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি। পাকিস্তান ছাড়া বাকি চারটি দল নিজেদের সব ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে না।

বাংলাদেশের বাকি দুটি ম্যাচ উইন্ডিজ ও স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে। একটি জিতলেই কোনো হিসেব ছাড়া বিশ্বকাপে। যদি ম্যাচ দুটো হেরেও যায়, বিশ্বকাপে খেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এসব হিসাব-নিকাশে একদমই যেতে নারাজ জ্যোতি। আগের তিন ম্যাচের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও দাপুটে ক্রিকেট খেলতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমরা দল হিসেবে যেটা ভালো করেছি, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। এটা অবশ্যই একটা বড় ম্যাচ হতে চলেছে, আর গত কয়েকটা ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, আমরা চাই সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সব মিলিয়ে ৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে হার ও একটি ম্যাচে জিতেছে। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী দলের তকমা নিয়ে এসেও ছন্দহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে হেইলি ম্যাথিউসের দল। তাদের বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

স্বস্তিদায়ক বোলিং আক্রমণের সঙ্গে বাংলাদেশের সব সময়ের বড় অস্বস্তি ব্যাটিং। জ্যোতি বললেন ব্যাটিংয়ে উন্নতির কারণেই ভালো করছেন তারা, ‘গত কয়েক বছর ধরে ব্যাটিং ছিল আমাদের দৃশ্যমান সমস্যা। আমাদের বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং অনেক সময়েই সাড়া দিতে পারেনি। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে আমাদের ব্যাটাররা দারুণভাবে খেলছে। বিশেষ করে টপ-অর্ডার থেকে নিয়মিত রান আসছে। এটাই ছিল একমাত্র বিভাগ, যেখানে আমাদের উন্নতির দরকার ছিল, এখন সেগুলোর ফল আমরা পাচ্ছি।’


‘নাইটহুড’ পাচ্ছেন কিংবদন্তি অ্যান্ডারসন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘নাইটহুড’ পাচ্ছেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা টেস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বিদায়ী সম্মাননা তালিকায় একমাত্র ক্রীড়াবিদ হিসেবে এই বিরল সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ এমনটাই জানিয়েছে।

গত গ্রীষ্মে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ৪২ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন। ২০০৩ থেকে ২০২৪—দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে তিনি খেলেছেন ১৮৮টি টেস্ট, যেখানে উইকেট নিয়েছেন ৭০৪টি। এটি কোনো ফাস্ট বোলারের জন্য বিশ্বরেকর্ড। এ ছাড়া খেলেছেন ১৯৪টি ওয়ানডে ও ১৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

অ্যান্ডারসনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক দিয়ে। পরের বছরই নামেন টেস্ট অঙ্গনে।

গত জুলাইয়ে লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলার পর অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ড দলের ফাস্ট বোলিং মেন্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে এখনও খেলে যাওয়ার ইচ্ছে অ্যান্ডারসনের। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি ফিটনেস ঠিক থাকে, তাহলে আরও দুই থেকে তিন বছর খেলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে ইনজুরির কারণে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতে মাঠে নামা হয়নি তার।

২০০০ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন অ্যান্ডারসন, এরপর ২০০২ সালে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক। সেই শুরু থেকে আজকের দিন পর্যন্ত দীর্ঘ পথচলায় তিনি হয়ে উঠেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাম। এবার তার নামের সামনে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি গৌরবময় উপাধি— স্যার জেমস অ্যান্ডারসন।


কষ্টের জয়ে এগিয়ে যাওয়ার রাতে বার্সেলোনা শিবিরে দুঃসংবাদ

আপডেটেড ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১০:১৭
ইউএনবি

বলের দখলে আধিপত্য বিস্তার করলেও ধারহীন আক্রমণেরে কারণে ম্যাচজুড়ে ভুগতে হলো বার্সেলোনাকে। তবে ভাগ্যের ছোঁয়ায় প্রতিপক্ষের দেওয়া আত্মঘাতী গোল ও তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়ায় তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।

মাদ্রিদের বুতার্কে স্টেডিয়ামে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে লা লিগার ৩১তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।

এতে করে ২২ জয় ও চার ড্রয়ে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।

লিগে প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে লেগানেসের বিপক্ষে একই ব্যবধানে হারে বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে এসে তার প্রতিশোধ নিল তারা।

অবশ্য ঠিক প্রতিশোধ বলা চলে না। কারণ মাঠে প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরালেও তেমনভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণ শানিয়েছিল লেগানেস, তা থেকে গোলও আদায় করতে পারত দলটি। মাঝে একবার বল জালেও জড়িয়েছিল তারা, কিন্তু অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। শেষের দিকে সময়ক্ষেপণ করে ওই এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার জন্য শিষ্যদের ইঙ্গিত করতে দেখা যায় ফ্লিককে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।

হারলেও ম্যাচ শেষে তাই কিছুটা তৃপ্তি ঝরেছে লেগানেস কোচ বোর্হা হিমেনেসের কণ্ঠেও, ‘আজ আমরা বার্সেলোনার মতো একটি দলকে সময় নষ্ট করতে এবং শেষের বাঁশি চাইতে বাধ্য করেছি।’

এই জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করে লিগ শিরোপা জয়ের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কাতালান জায়ান্টরা।

তবে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জনের রাতের স্বস্তিতে নেই দলটি। চোট পেয়ে প্রথমার্ধে বিরতির আগে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সার তরুণ ফুলব্যাক আলেহান্দ্রো বালদেকে।

ম্যাচ শেষে কাতালুনিয়া রেডিওর ক্রীড়া সাংবাদিক হাভি মিগেল জানিয়েছেন, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন বালদে। ফলে অন্তত তিন সপ্তাহের জন্য ছিটকে যেতে পারেন তিনি।

তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই তার কত দিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকা লাগবে, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে মিগেল জানান, রবিবার বালদের শারীরিক পরীক্ষা হবে। তারপর ক্লাবের পক্ষ থেকে তার চোটের হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে।

এছাড়া, স্পোর্তের কাতালুনিয়াভিত্তিক সাংবাদিক টনি হুয়ানমার্তিও বালদের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এই ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে অন্তত দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হয়।

এদিকে এই ম্যাচে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সার অপর দুই ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহো ও এরিক গার্সিয়াকেও। তবে তাদের বিষয়গুলো গুরুতর নয় বলে জানান মিগেল।

আগামী মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরতি লেগের ম্যাচে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে বার্সেলোনা। প্রথম লেগে ৪-০ গোলে জিতে এগিয়ে রয়েছে দলটি। এরপর আগামী ১৯ ও ২২ এপ্রিল লা লিগায় যথাক্রমে সেল্তা ভিগো ও মায়োর্কার বিপক্ষে মাঠে নামবেন ফ্লিকের শিষ্যরা। তারপর ২৬ এপ্রিল কোপা দেল রের ফাইনাল খেলতে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবেন তারা।

ডর্টমুন্ড ম্যাচ থেকেই আরাউহো ও গার্সিয়াকে পেলেও উল্লিখিত ম্যাচগুলোতে বালদেকে হারানোর জোর সম্ভাবনা রয়েছে বার্সেলোনার।

দুর্দান্ত গতি, ড্রিবলিং ও দারুণ সব ক্রস দিয়ে বার্সেলোনার একাদশে ইতোমধ্যে নিজের অবস্থান পাকা করে নিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই লেফট উইংব্যাক। সতীর্থদের সঙ্গে অসাধারণ বোঝাপড়াও তৈরি হয়েছে তার।

এদিকে মৌসুমের শেষভাগে এসে একটু একটু করে কোয়াড্রাপল (সম্ভাব্য চারটি শিরোপার সবগুলো) জয়ের দিকে এগোচ্ছে কাতালান দলটি। ইতোমধ্যে স্প্যানিশ সুপার কাপ পকেটে পুরেছে তারা। উঠেছে কোপা দেল রের ফাইনালে। লা লিগায়ও পাচ্ছে শিরোপা জয়ের সুবাস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠা তাদের জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার। এমন সময়ে বালদের এই চোট নিঃসন্দেহে কোচ ফ্লিকের কপালে ফেলেছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

তেমন বিশ্রাম ছাড়াই টানা ম্যাচ খেলে যাওয়া বার্সেলোনা শিবিরে বালদের না থাকা সত্যিকার অর্থেই দুশ্চিন্তার বিষয়। বিকল্প খেলোয়াড় জেরার্দ মার্তিন মাঝেমধ্যে খেলে থাকলেও সতীর্থের মতো অতটা পটু নন তিনি। ফলে পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিয়ে লক্ষ্য পূরণ করেন হান্সি ফ্লিক, তা-ই এখন দেখার বিষয়।


হামজার পর নতুন চমক, লাল-সবুজে খেলবেন সামিত সোম!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সামিত সোম। অবশেষে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) জানিয়ে দিলেন তিনি লাল-সবুজের জার্সিতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান।

সূত্র জানিয়েছে, সামিত হ্যাঁ বলায় রোববার থেকে তার পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবে বাফুফে। এ বিষয়ে গতকাল বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম বলেছেন, ‘সামিত আমাদের জানিয়েছে সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। এখন পাসপোর্ট করতে কোন প্রক্রিয়ায় এগুতে হবে, কতদিন লাগবে এসব জানতে চেয়েছে সে।’

এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুন। সেই ম্যাচের আগেই সামিতের পাসপোর্ট ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় বাফুফে।

২৭ বছর বয়সি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সামিতের জন্ম কানাডায়। মা-বাবা দুজনই বাংলাদেশি। ফলে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না মনে করছে বাফুফে। তবে সামিত কানাডার জাতীয় দলের হয়ে খেলায় ফিফার অনুমতির ব্যাপারও আছে।

সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গেলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সামিতকে অভিষেক করানোর কথা ভাবছে ফুটবল ফেডারেশন। এ বিষয়ে সামিতও আগ্রহী জানিয়ে ফাহাদ করিম বলেন, ‘সামিত বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচগুলোর বিষয়ে আমাদের থেকে জানতে চেয়েছে।

কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কালাভরি এফসির মিডফিল্ডার সামিত। ২০১৬ সালে কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ৭টি ও ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন ৪টি ম্যাচ। ২০২০ সালে কানাডার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন দুটি ম্যাচ।

প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হিসেবে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হয় ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া জামালের। এরপর জাতীয় দলে আসেন ফিনল্যান্ডে জন্ম নেওয়া তারিক কাজী।

সর্বশেষ গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, যা অতীতের সব উচ্ছ্বাসই ছাপিয়ে গেছে।


banner close