রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২

তাদের পর আর কে?

টেনিস তারকা।
শাহরিয়ার ফিরোজ
প্রকাশিত
শাহরিয়ার ফিরোজ
প্রকাশিত : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:১১

প্রশ্নটা কিন্তু রোমাঞ্চ জাগায় – মেয়েদের গ্র্যান্ড স্ল্যামে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেন কে? নতুন নতুন তারকা হাজির হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতছেন ভিন্ন ভিন্ন চারজন। এমন কেউ, যারা হয়তো কিছুদিন আগেও বিশ্ব টেনিসে ছিলেন আনকোরা!

দূর অতীতে যাওয়ার দরকার নেই। এই তো ২০২২ সালের প্রথম তিন গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন তিনজন – অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অ্যাশলেই বার্টি, ফ্রেঞ্চ ওপেন ইগা শিওনতেক আর উইম্বলন এলেনা রিবাকিনা। এই তিনজনের শেষের জন প্রথমবারের মতো জিতেছেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম।

২০২১ সালে বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামও গেছে ভিন্ন চারজনের ঘরে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নাওমি ওসাকা, ফ্রেঞ্চ ওপেন বারবোরা ক্রেচিকোভা, উইম্বলডন বার্টি আর ইউএস ওপেন এমা রাদুকানু। ক্রেচিকোভা ও রাদুকানুর ছিল প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম।

নতুন নতুন চ্যাম্পিয়নদের ওঠে আসা যেমন রোমাঞ্চ জাগায়, তেমনি জন্ম দেয় শূন্যতার আশঙ্কাও। ক্রিস এভার্ট, মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, স্টেফি গ্রাফরা যেভাবে কোর্ট দাপিয়ে এসেছেন, এখন তেমন দাপুটে পারফরমার নেই বলেই তো একেক গ্র্যান্ড স্ল্যামে একেক চ্যাম্পিয়ন! ছেলেদের টেনিসে এই শূন্যতা এতটা প্রকট নয়। তবু রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল কিংবা নোভাক জোকোভিচদের উত্তরসূরি হওয়ার পাইপলাইনে যারা আছেন তাদের পারফরম্যান্সও হতাশাজনক!

জার্মানির আলেক্সান্দ্রার জভেরভকে এক দশক আগে থেকেই বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের তারকা। ২০১৮ ও ২০২১ সালের ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসের ফাইনাল জিতে সেটির প্রমাণও দিয়েছেন। কিন্তু গ্র্যান্ড স্ল্যামের মঞ্চে এখনো তিনি ‘নবিশ’ প্রতিযোগী; একটি শিরোপাও জিততে পারেননি। যারা শিরোপা জিতেছেন, অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থিম কিংবা দানিল মেদভেদেভ, তারাও বড্ড অধারাবাহিক। এক টুর্নামেন্টে ভালো খেলছেন তো আরেক টুর্নামেন্টে কোনো খবরই নেই!

আর একটি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা মারিন চিলিচ, হুয়ান মার্তিন দেল পোত্রো কিংবা তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা স্তান ভাভরিঙ্কাদের নিয়েও খুব বেশি উল্লাস করার সুযোগ নেই। কারণ ‘বিগ থ্রি’র ছায়ায় থাকতে থাকতেই ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে পড়েছেন তারাও।

তবু তো ছেলেদের টেনিসে দাপুটে পারফরমার হিসেবে জোকোভিচ আছেন। অবসর নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দেয়া নাদাল সংসার সামলে ফিরে এলেও হয়তো হবেন অনেক প্রতিশ্রুতিশীলদের স্বপ্ন-হন্তারক। কিন্তু সেরেনার বিদায়ের পর ‘উন্মুক্ত’ মেয়েদের টেনিস আরও উন্মুক্ত হয়ে পড়ল।

ইউএস ওপেন শুরুর আগেই তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী অস্ট্রেলিয়ার বার্টি টেনিস ছেড়েছেন। তবু তিনি তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পেরেছেন, মেয়েদের বর্তমান টেনিসে তিনটি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা তারকাই আছেন আর দুজন - জাপানের নাওমি ওসাকা আর জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কারবার!

গারবিনিয়ে মুগুরুজা, ইয়েলেনা ওস্তাপেঙ্কো, স্লোন স্টিফেনস, সিমোনা হালেপ, বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু, সোফিয়া কেনিন, শিওনতেক, ক্রেচিকোভা, রাদুকানু, রিবাকিনা – যারা নতুনের কেতন ওড়াবেন বলে মনে করা হয়, তাদের কারোরই নেই তিনটি শিরোপা।

তিনটি কেন, দুটি করেই গ্র্যান্ড স্ল্যাম নেই এদের অনেকের। কোর্টে তারা এতটাই অধারাবাহিক যে দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম কবে জিতবেন, সেটিও অনুমান করা কঠিন। চলতি ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রাদুকানু। শুরুতেই ঝরে গেছেন নতুনদের মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক ওসাকাও।

পেশাদার সার্কিটে দাপুটে পারফরমার না থাকার প্রভাব পড়েছে খেলার ওপর। দিনকে দিন আকর্ষণহীন হয়ে পড়ছে মেয়েদের টেনিস! দাপুটে এবং ধারাবাহিক কোনো পারফরমার না থাকায় ক্ষীণ হয়ে গেছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা ব্যক্তি দ্বৈরথের অন্তহীন ধারাও।

ব্যক্তি দ্বৈরথ সব খেলারই বাড়তি একটা আকর্ষণ। ফুটবলে লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ গত এক যুগ ছাপিয়ে ইতিহাসেরই সেরা দ্বৈরথের দাবিদার। অ্যাথলেটিকসে কার্ল লুইস-বেন জনসনের দ্বৈরথের রোমাঞ্চ কয়েক বছর আগেও ছিল উসাইন বোল্ট আর জাস্টিন গ্যাটলিনের লড়াইয়ে। মেয়েদের টেনিসেও এক সময় এই রোমাঞ্চের কোনো কমতি ছিল না। ক্রিস এভার্ট-মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, এভার্ট-ভার্জিনিয়া ওয়েড, নাভ্রাতিলোভা-পাম শ্রিভার, স্টেফি গ্রাফ-গাব্রিয়েলা সাবাতিনি, গ্রাফ-সানচেঞ্জ ভিকারিওদের রোমাঞ্চ ছড়ানো ব্যক্তি দ্বৈরথের ঝাণ্ডা সর্বশেষ উড়িয়েছেন দুই বোন সেরেনা ও ভেনাস উইলিয়ামস। এ দুজনের সঙ্গে মার্টিনা হিঙ্গিসের ত্রিমুখী লড়াইটা ছিল গত শতাব্দীর শেষ দিকের অন্যতম আকর্ষণ।

এরপর জাস্টিন হেনিন, কিম ক্লাইস্টার্স, লিন্ডসে ডেভেনপোর্ট, মারিয়া শারাপোভা, লি না, জেনিফার ক্যাপ্রিয়াতিরা উঠে এসেছিলেন। নতুন নতুন দ্বৈরথের পূর্বাভাস দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হলেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা লম্বা সময় তারা ধরে রাখতে ব্যর্থ। তাই সেরেনা-ভেনাসের পর মেয়েদের টেনিসে তেমন ব্যক্তি দ্বৈরথ দেখা যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সেরেনা-ভেনাসের লড়াইও রোমাঞ্চ হারিয়ে ফেলেছিল। ভেনাসের বয়স ৪২। আর চলতি মাসেই একচল্লিশে পড়বেন সেরেনা। সব মিলিয়ে ‘চালশে’ হয়ে উঠেছিল তাদের র‍্যাকেটও। তবু ভেনাস খেলা চালিয়ে গেলেও রণে ভঙ্গ দিলেন সেরেনা! উন্মুক্ত যুগের রেকর্ড ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম, ৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলার প্রাইজমানি জয়ের পর ‘আর কত’ উপলব্ধিতে ক্ষান্ত হলেন টেনিস সম্রাজ্ঞী।

তার জুতোয় পা গলানোর মতো কেউ আছে কি? কেউ নেই – বলতে তেমন ঝুঁকিও বোধ হয় না! বর্তমান ডব্লিউটিএ টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ১ থেকে ১০ পর্যন্ত নামগুলো দেখুন, অনেকের নামই মনে হবে এই প্রথম শুনলেন! শীর্ষে থাকা ইগা শিওনতেকের পরের চারটি স্থানে আছেন এস্তোনিয়ার আনেত কনতেভিত, গ্রিসের মারিয়া সাকারি, স্পেনের পলা বাদোসা, তিউনিসিয়ার উনস জাবির। পরের পাঁচ অবস্থান বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা, রোমানিয়ার সিমোনা হালেপ, যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলা, রাশিয়ার দারিয়া কাসাতকিনা ও স্পেনের গারবিনিয়ে মুগুরুজার।

২০০৪ সাল থেকে গ্র্যান্ড স্ল্যাম দেখেছে ২৬ জন নতুন চ্যাম্পিয়ন! ১৯৭৫ সালে ডব্লিউটিএ র‍্যাঙ্কিং চালু হওয়ার পর প্রথম ২৮ বছরে ১৩ জন ‘নাম্বার ওয়ান’ দেখেছে টেনিস। কিন্তু গত ১৮ বছরেই মেয়েদের টেনিসে নতুন ‘নাম্বার ওয়ান’ হয়েছেন ১৪ জন! যাদের অর্ধেকই এক নম্বর হয়েছেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জিতেই!

কিম ক্লাইস্টার্স, অ্যামেলি মরেসমো, ক্যারোলিন ওজনিয়াকি, সিমোনা হালেপরা পরে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বাদ পেলেও এক নম্বরের স্বাদ পাওয়া ইয়েলেনা ইয়াঙ্কোভিচ, দিনারা সাফিনা ও ক্যারোলিনা প্লিসকোভার গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা অধরাই রয়ে গেছে।

র‍্যাঙ্কিং শীর্ষে ওঠার আগে-পরে গ্র্যান্ড স্ল্যামের স্বাদ পাওয়া কারবার, মুগুরুজা, আজারেঙ্কা, হালেপ কিংবা শিওনতেকরা ধারাবাহিক পারফরমার নন বলেই হয়তো, তারা অ্যান্ডি মারের মতো অন্য কারও মনে আক্ষেপ জাগাতে পারেন না। ফেদেরার, নাদাল কিংবা জোকোভিচের কাছে ৬টি সেমিফাইনাল আর ৪টি ফাইনাল হারের পর মারে একবার বলেছিলেন, ‘টেনিসে তারা থাকলে আমার হয়তো আর গ্র্যান্ড স্ল্যামই জেতা হবে না!’

টেনিসে ‘বিগ থ্রি’র‌ উপস্থিতিতেই শেষমেশ ৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন মারে। কিন্তু বর্তমানে পুরুষ টেনিসেরও যে অবস্থা, ফেদেরার, নাদাল, জোকোভিচ তো নয়ই, মারে হয়ে ওঠার মতোও আপাতত কাউকে দেখা যাচ্ছে না। নাদাল-ফেদেরার-জোকোভিচ আর কতদিন!

অবসরের ঘোষণা না দিলেও গ্র্যান্ড স্ল্যামের মঞ্চে ফেদেরার আর ‘কনটেন্ডার’ নন। চোটজর্জর নাদালও হয়তো তার শেষের শুরু দেখতে শুরু করেছেন। ফেদেরার-নাদালকে নিয়ে যে শঙ্কা, সেটা হয়তো সুপারফিট জোকোভিচকে নিয়ে নেই। কিন্তু ‘জোকোভিচ-নাদাল’, ‘নাদাল-ফেদেরার’ কিংবা ‘ফেদেরার-জোকোভিচ’ দ্বৈরথহীন টেনিস কি দর্শকের কাছে আকর্ষণহীন হয়ে পড়বে না?

ধারাবাহিক দাপুটে পারফরমারশূন্য টেনিসে নতুনদের উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুশ্চিন্তা হলো, ধুমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়ে তারকারা বারবার ধুমকেতুর মতোই হারিয়ে গেলে যে আকর্ষণই হারিয়ে যাবে টেনিসের।

…………………………………

২৬

২০০৪ সাল থেকে মেয়েদের টেনিসে গ্র্যান্ড স্ল্যামের নতুন চ্যাম্পিয়নের সংখ্যা। এ সময় ছেলেদের টেনিস দেখেছে নতুন ৭ চ্যাম্পিয়ন।

মেয়েদের দাপুটে পারফরমারের এতই অভাব যে, ৭ জন এক নম্বর হয়েছেন কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জিতেই। ছেলেদের টেনিস দেখেছে এমন দুই চ্যাম্পিয়নকে – কিংবদন্তি ইভান লেন্ডল ও চিলির মার্সেলো রিওস কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জিতেই হয়েছিলেন এক নম্বর।

গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জিতে মেয়েদের এক নম্বর হওয়া সাত তারকার ৩ জনের এখনো জেতাই হয়নি কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম। ছেলেদের টেনিসে এমন কিছু দেখা যায়নি।

বিরল

২০০৩ সালের পর এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনালে বিগ থ্রি-র অন্তত একজন নেই।

‘আমার মনে হয় না আর বিগ থ্রি সৃষ্টি হবে। এটা হয়তো বিগ টুয়েলভ হবে।’

ফ্রান্সেস তিয়াফো


ডিএনসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট আগামী মাসে শুরু : মোহাম্মদ এজাজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, আগামী মাসে ডিএনসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হবে। এই টুর্নামেন্টে ডিএনসিসি’র ৫৪টি ওয়ার্ডে ৫৪ লাখ টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হবে।

আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে ডিএনসিসি এবং বনানী স্পোর্টস এরেনা কর্তৃক আয়োজিত ‘ক্রিকেট কার্নিভাল-২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি প্রশাসক এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক, হাবিবুল বাশার সুমন, জাবেদ ওমর বেলিম ও শাহরিয়ার নাফীস।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ফুটবলের পর আমরা ওয়ার্ড ভিত্তিক ক্রিকেট খেলার আয়োজন করবো। প্রতি বছর ৪টা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে।’

ডিএনসিসি প্রশাসক নারীদের জন্যও আলাদা টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে জানিয়ে বলেন, নারীদের জন্য এই শহরে পাবলিক স্পেসের অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এসব আয়োজনের মাধ্যমে বিনোদন ও যুব উন্নয়নের পাশাপাশি কালচারাল ফ্যাসিজমের যে ভয় আছে সেটিকে মোকাবিলা করা হবে। কালচারাল ফ্যাসিজম কিন্তু খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিএনসিসি’র আওতাধীন মাঠগুলো কোনো ক্লাবের আন্ডারে থাকবে না। ক্লাবের আওতাধীন থাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পাবলিক স্পেসে মানুষের আসা-যাওয়া, শিশুদের খেলাধুলা এগুলো অধিকার। সাধারণ মানুষের অধিকার বঞ্চিত করে কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য মাঠ বরাদ্দ থাকলে সামাজিক বৈষম্য হয়, অবিচার হয়। তাই এটি আর করতে দেয়া হবে না।

ডিএনসিসি প্রশাসক তার দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, গত দুই মাসে আমরা কয়েকটি মাঠ উদ্ধার করেছি। গত সপ্তাহে মিরপুর প্যারিস রোড মাঠের অবৈধ মেলা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মিরপুর বাউনিয়ায় ১২ বিঘা একটি মাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বড়দের জন্য একটি অলিম্পিক সাইজের ফুটবল মাঠের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও আলাদা খেলার মাঠ থাকবে।

পরে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করতে নিজে ব্যাটিং করে ‘ক্রিকেট কার্নিভাল-২০২৫’ এর শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বিপরীতে বোলিং করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক। এরপর ডিএনসিসি প্রশাসক অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যে ছবি আঁকা হয়েছে সেগুলোর প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।


তিন ছেলের মধ্যে ফুটবলে কে সেরা, জানালেন মেসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্ব ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির ঘরেই যেন গড়ে উঠছে ভবিষ্যতের তিন তারকা। থিয়াগো, মাতেও আর সিরো—তিন পুত্রই এখন নিয়মিত ফুটবলের সঙ্গে জড়িত। অনুশীলন থেকে শুরু করে মাঠের খেলার পর বল নিয়ে ছোটাছুটি, সবখানেই দেখা মিলছে ফুটবল নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস। আর এ নিয়েই মুখ খুলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

‘সিম্পলি ফুটবল’ নামের একটি অনুষ্ঠানে ছেলেদের ফুটবল নিয়ে কথা বলেন মেসি। বলেন, ‘ওরা সারাদিনই বল নিয়েই থাকে। ওদের সঙ্গে সময় কাটানো আমি খুব উপভোগ করি। প্রতিদিন ওরা অনুশীলন করে, ম্যাচ খেলে, পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করে। এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’

মেসির তিন ছেলে একেবারে ভিন্ন ধাঁচের ফুটবলার। মেসির মতে, বড় ছেলে থিয়াগো (১২) অনেক বেশি গোছানো, ভেবেচিন্তে খেলে, মাঝমাঠের খেলোয়াড় হওয়ার উপযুক্ত। ‘ও খুব চিন্তাশীল, খেলার মাঝে অনেক পরিকল্পনা করে। একজন আদর্শ মিডফিল্ডার টাইপ।’

মাঝের ছেলে মাতেও (৯) সম্পর্কে মেসির মূল্যায়ন, ‘সে একজন ফরোয়ার্ড, সবসময় গোল করতে চায়। গোলের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। বুদ্ধিমান খেলোয়াড় বলা যায়।’

ছোট ছেলে অর্থাৎ সাত বছর বয়সী চিরোকে নিয়ে মেসির মন্তব্যটা এমন, ‘চিরো আরও বিস্ফোরক। সে চ্যালেঞ্জ জানাতে পছন্দ করে এবং একজন ওয়ান অন খেলোয়াড়। সে নিজের খেলা তৈরিতে বেশি আগ্রহী।’

তবে তিন ছেলের মধ্যে কাকে সেরা বলা যায়—সে প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি মেসি। হেসে বলেন, ‘আমি যদি একজনের নাম বলি, তাহলে বাকিরা এসে বলবে তুমি তার নাম কেন বললে! তাই এই প্রশ্নের উত্তর নিজের কাছেই রাখি।’

ফুটবলে ছেলেদের আগ্রহ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবাইকে নিয়ে কথা বলে। এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস, হলান্ড, লেভান্ডোভস্কি, এমনকি লামিন ইয়ামালও বাদ যায় না। তারা সব দেখে, সব জানে। যদিও তাদের মতো হতে চায় না, তবে জানাশোনা অনেক।’


ঘরোয়া ক্রিকেটেও রান পাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

জাতীয় দলের জার্সিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধ্যায় শেষ। সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেছিলেন কেবল একটি ম্যাচ, সেখানেও তিনি বলার মতো কিছু করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন না তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটাই লাল-সবুজের জার্সিতে মাহমুদউল্লাহর শেষ।

এরপর দেশে ফিরে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে শুরু থেকেই ছিলেন না তিনি, ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি বেশ কয়েকটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে খেলেছেন ৫ ম্যাচ তবে বলার মতো কিছুই করতে পারেননি।

গতকাল সুপার লিগের প্রথম ম্যাচেও ব্যাট হাতে হয়েছেন ব্যর্থ, করেছেন মোটে ১২ রান। দেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার মোহামেডানের হয়ে খেলছেন চলমান ডিপিএলে। সব মিলিয়ে ৫ ম্যাচে (১০, ৭, ১৬, ১৭, ১২) সেখানে তিনি করেছেন মোটে ৬২ রান। সর্বোচ্চ রান করেছেন এর মধ্যে ১৭, স্ট্রাইকরেট ৬৬.৬৭।

মাহমুদউল্লাহর সাম্প্রতিক এমন পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিবির এক নির্বাচক দৈনিক বাংলাকে বলছিলেন, ‘এটা নিয়ে হয়তো কোচদের সঙ্গে কথা বলছে রিয়াদ, অনেক দিন ধরে সে খেলছে। কোথায় ভুল হচ্ছে বা কি হচ্ছে সে সব কিছুই বুঝার কথা। কারও না কারও সঙ্গে নিশ্চয়ই কথা বলছে সে।’

‘যেকোনো বড় খেলোয়াড়ের কাছ থেকে কিন্তু চাওয়া-পাওয়াটা একটু বেশিই থাকে। ওর একটা বিষয় আছে যে, এখন হয়তো রান পাচ্ছে না, কিন্তু এমন দুই ম্যাচে রান পেয়ে যাবে। যেটা দলের জন্য ভালো হবে, তখন যেটা পুরো সিজনের ব্যর্থতা ঢেকে দিতে পারে। মানুষটা একটা আশা নিয়ে বাঁচে।’


উইন্ডিজের কাছে হেরে বিশ্বকাপের অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

টানা তিন ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ খেলার সহজ সমীকরণ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতলেই কোনো হিসেব-নিকেশ ছাড়াই প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হতো বাংলাদেশের। কিন্তু ধুঁকতে থাকা সেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেই ধরাশায়ী হলো টাইগ্রেসরা। টানা তিন জয়ের পরে হার দেখল জ্যোতি বাহিনী। এতে অপেক্ষা বাড়ল বিশ্বকাপে খেলার।

লাহোরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন শারমিন আক্তার। জবাবে খেলতে নেমে ৪৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা।

অল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা প্রত্যাশামত হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এদিন ইনিংস ওপেন করেন কিয়ানা জোসেফ ও জায়দা জেমস। জায়দা ৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তাকে বোল্ড করেন জান্নাতুল ফেরদৌস।

আরেক ওপেনার কিয়ানা দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দলকে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের শক্ত ভিত গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে ৩১ রানে রাবেয়ার বলে থেমেছেন তিনি।

২৪ রান করা শেইমেন ক্যাম্পবেলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন ফাহিমা খাতুন। এরপর চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৬৬ রান যোগ করেন। ম্যাথিউসকে (৪৫ বলে ৩৩) ফিরিয়ে অবশেষে সেই জুটি ভেঙেছেন মারুফা আক্তার। এক ওভার পরই টেইলরকে (৫১ বলে ৩৬) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মারুফা।

কিন্তু এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আবারো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ক্যারিবিয়ানরা। বিশেষ করে ছিহনেল হেনরি। তার ৪৮ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া ১০ বলে ১১ রান করে শেষদিকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আলিয়া আলিন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে ওপেনিংয়ে নেমে তেমন কিছু করতে পারেননি সোবহানা মোস্তারি (৬)। পরে অবশ্য চাপ বাড়তে দেননি শারমিন আক্তার ও ফারজানা হক। চার ম্যাচে তৃতীয়বার শতরানের জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ১১৮ রানের সেই জুটি ভাঙেন আলিয়া আলিন। প্রথমে ফেরান ফারজানাকে (৭৮ বলে ৪২) এরপর শারমিনকেও (৭৯ বলে ৬৭) ফিরিয়েছেন তিনিই।

গত নভেম্বরে জাতীয় দলে ফেরার পর নিজেকে নতুন ভাবে চেনাচ্ছেন শারমনি। নতুন এই অধ্যায়ে দশ ম্যাচে এটি তার পঞ্চম ফিফটি। সব মিলিয়ে ৬০.৩৩ গড়ে তার সংগ্রহ ৫৪৩ রান। বিশ্ব ক্রিকেটেই এই সময়ে শারমিনের চেয়ে বেশি ওয়ানডে রান নেই আর কারও। জুটি ভাঙার পর আর কেউ হাল ধরতে পারেননি। তবে শেষ দিকে কার্যকর দুটি ইনিংস খেলেন নাহিদা আক্তার (২৫) ও রাবেয়া খান (২৩)।


‘হামজা’ খুঁজতে সব ফেডারেশনকে এনএসসির চিঠি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সম্প্রতি বাংলাদেশের ফুটবলে এক বিপ্লব ঘটে গেছে। এর পেছনের কারণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। হামজার আগমনেই বদলে গেছে দেশের ফুটবল। আসতে শুরু করেছে আরও অনেক বংশোদ্ভূত ফুটবলাররা। ফুটবলের সেই জোয়ার এবার অন্য ফেডারেশনগুলোতেও লাগাতে চায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সে জন্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যাথলেটদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে ফেডারেশনগুলোকে।

গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, এনডিসি সকল ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা প্রধান নির্বাহীকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন।

বিশ্বের নানা প্রান্তে বাংলাদেশের মানুষের বসবাস। তারা বা তাদের বংশধরদের অনেকে বিদেশের মাটিতে ক্রীড়াঙ্গনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভালো মানের এবং বাংলাদেশের পক্ষে দীর্ঘদিন খেলতে পারেন এমন বংশোদ্ভূতদের সম্পৃক্ত করতে পারলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফলতার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এ জন্য চিঠিতে ‘স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কৃতি খেলোয়াড়গণকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত’ শিরোনাম করেছে।

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে আসার পরই ফুটবলের আবহ বদলে গেছে। দলীয় শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বত্রই এখন ফুটবল নিয়ে আলোচনা। সামিত সোমও যোগ হলে বাংলাদেশ দলের মান আরও অনেক বাড়বে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশ দলে প্রথম খেলেন। জামালকে অনুসরণ করে ফুটবল দলে তারিক কাজী, রাহবার ও কাজেম শাহ খেলেছেন।

ফুটবলের মতো অন্য খেলাগুলোতেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদ অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হলে পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, বাবা-মায়ের কাগজপত্র হালনাগাদসহ আরও অনেক বিষয়াদির আনুষ্ঠানিকতা থাকে।

এই সংক্রান্ত বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি কোনো ফেডারেশন/ক্রীড়া সংস্থা এই সংক্রান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করলে অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও পাশে থাকবে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান প্রবাসী জিমন্যাস্ট জ্যাক আশিকুল ইসলামের অনুকূলে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সম্পৃক্ত রয়েছে।

ফুটবলের বাইরে অ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, জিমন্যাস্টিক্স ও সাঁতারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদরা অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানুর রহমান এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে স্বর্ণ জিতেছেন। ২০১২ সালে আমেরিকান প্রবাসী সাইক সিজার লন্ডন অলিম্পিকে খেলেছিলেন। নিউজিল্যান্ড প্রবাসী জিমন্যাস্ট আলী কাদির ২০২২ সালে তুরস্কে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন। ২০২৩ হাংজু এশিয়ান গেমসে আমেরিকান প্রবাসী জিনাত অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে লন্ডন প্রবাসী জুনাইনা আহমেদ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।


বিশ্বকাপ খেলতে সহজ সমীকরণ জ্যোতি বাহিনীর সামনে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেই ভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন। দুই দলই খেলছে বাছাই পর্ব। সেই স্বপ্ন ভঙ্গের প্রতিশোধ নেওয়ারও সুযোগ এসেছে এবার বাংলাদেশের সামনে। বাছাইয়ে আজ মুখোমুখি হবে দুই দল। লাহোরে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে ম্যাচ। এটি বাংলাদেশের চতুর্থ ম্যাচ।

পাকিস্তানে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে রীতিমতো উড়ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে জয় ছিনিয়ে আনছে জ্যোতি বাহিনী। টানা তিন ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপে খেলার পথ বেশ মসৃণ করে রেখেছে বাংলার বাঘিনীরা। জ্যোতির দলের সমীকরণও অনেকটা সহজ। থাইল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট ও ১.৪৯৪ রেটিং নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের টেবিলের শীর্ষে। বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে বাংলাদেশের প্রয়োজন কেবল একটি জয়।

সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে ৬ দল। ৮ দলের বিশ্বকাপে বাকি আছে দুটি টিকিট। ৬ দলের বিশ্বকাপ বাছাই থেকে টেবিলের শীর্ষ দুই দল সে দুটি টিকিট পাবে। বাছাইয়ে প্রত্যেক দলই খেলবে পাঁচটি করে ম্যাচ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান তিনটি করে ম্যাচ খেলে এখনো অপরাজিত। দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট। স্কটল্যান্ডের ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট, সমান ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ২ পয়েন্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট, থাইল্যান্ড ৩ ম্যাচ খেলে কোনো পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি। পাকিস্তান ছাড়া বাকি চারটি দল নিজেদের সব ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে না।

বাংলাদেশের বাকি দুটি ম্যাচ উইন্ডিজ ও স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে। একটি জিতলেই কোনো হিসেব ছাড়া বিশ্বকাপে। যদি ম্যাচ দুটো হেরেও যায়, বিশ্বকাপে খেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এসব হিসাব-নিকাশে একদমই যেতে নারাজ জ্যোতি। আগের তিন ম্যাচের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও দাপুটে ক্রিকেট খেলতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমরা দল হিসেবে যেটা ভালো করেছি, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। এটা অবশ্যই একটা বড় ম্যাচ হতে চলেছে, আর গত কয়েকটা ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, আমরা চাই সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সব মিলিয়ে ৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে হার ও একটি ম্যাচে জিতেছে। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী দলের তকমা নিয়ে এসেও ছন্দহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে হেইলি ম্যাথিউসের দল। তাদের বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

স্বস্তিদায়ক বোলিং আক্রমণের সঙ্গে বাংলাদেশের সব সময়ের বড় অস্বস্তি ব্যাটিং। জ্যোতি বললেন ব্যাটিংয়ে উন্নতির কারণেই ভালো করছেন তারা, ‘গত কয়েক বছর ধরে ব্যাটিং ছিল আমাদের দৃশ্যমান সমস্যা। আমাদের বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং অনেক সময়েই সাড়া দিতে পারেনি। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে আমাদের ব্যাটাররা দারুণভাবে খেলছে। বিশেষ করে টপ-অর্ডার থেকে নিয়মিত রান আসছে। এটাই ছিল একমাত্র বিভাগ, যেখানে আমাদের উন্নতির দরকার ছিল, এখন সেগুলোর ফল আমরা পাচ্ছি।’


‘নাইটহুড’ পাচ্ছেন কিংবদন্তি অ্যান্ডারসন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘নাইটহুড’ পাচ্ছেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা টেস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বিদায়ী সম্মাননা তালিকায় একমাত্র ক্রীড়াবিদ হিসেবে এই বিরল সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ এমনটাই জানিয়েছে।

গত গ্রীষ্মে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ৪২ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন। ২০০৩ থেকে ২০২৪—দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে তিনি খেলেছেন ১৮৮টি টেস্ট, যেখানে উইকেট নিয়েছেন ৭০৪টি। এটি কোনো ফাস্ট বোলারের জন্য বিশ্বরেকর্ড। এ ছাড়া খেলেছেন ১৯৪টি ওয়ানডে ও ১৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

অ্যান্ডারসনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক দিয়ে। পরের বছরই নামেন টেস্ট অঙ্গনে।

গত জুলাইয়ে লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলার পর অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ড দলের ফাস্ট বোলিং মেন্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে এখনও খেলে যাওয়ার ইচ্ছে অ্যান্ডারসনের। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি ফিটনেস ঠিক থাকে, তাহলে আরও দুই থেকে তিন বছর খেলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে ইনজুরির কারণে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতে মাঠে নামা হয়নি তার।

২০০০ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন অ্যান্ডারসন, এরপর ২০০২ সালে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক। সেই শুরু থেকে আজকের দিন পর্যন্ত দীর্ঘ পথচলায় তিনি হয়ে উঠেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাম। এবার তার নামের সামনে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি গৌরবময় উপাধি— স্যার জেমস অ্যান্ডারসন।


কষ্টের জয়ে এগিয়ে যাওয়ার রাতে বার্সেলোনা শিবিরে দুঃসংবাদ

আপডেটেড ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১০:১৭
ইউএনবি

বলের দখলে আধিপত্য বিস্তার করলেও ধারহীন আক্রমণেরে কারণে ম্যাচজুড়ে ভুগতে হলো বার্সেলোনাকে। তবে ভাগ্যের ছোঁয়ায় প্রতিপক্ষের দেওয়া আত্মঘাতী গোল ও তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়ায় তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।

মাদ্রিদের বুতার্কে স্টেডিয়ামে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে লা লিগার ৩১তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।

এতে করে ২২ জয় ও চার ড্রয়ে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।

লিগে প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে লেগানেসের বিপক্ষে একই ব্যবধানে হারে বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে এসে তার প্রতিশোধ নিল তারা।

অবশ্য ঠিক প্রতিশোধ বলা চলে না। কারণ মাঠে প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরালেও তেমনভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণ শানিয়েছিল লেগানেস, তা থেকে গোলও আদায় করতে পারত দলটি। মাঝে একবার বল জালেও জড়িয়েছিল তারা, কিন্তু অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। শেষের দিকে সময়ক্ষেপণ করে ওই এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার জন্য শিষ্যদের ইঙ্গিত করতে দেখা যায় ফ্লিককে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।

হারলেও ম্যাচ শেষে তাই কিছুটা তৃপ্তি ঝরেছে লেগানেস কোচ বোর্হা হিমেনেসের কণ্ঠেও, ‘আজ আমরা বার্সেলোনার মতো একটি দলকে সময় নষ্ট করতে এবং শেষের বাঁশি চাইতে বাধ্য করেছি।’

এই জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করে লিগ শিরোপা জয়ের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কাতালান জায়ান্টরা।

তবে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জনের রাতের স্বস্তিতে নেই দলটি। চোট পেয়ে প্রথমার্ধে বিরতির আগে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সার তরুণ ফুলব্যাক আলেহান্দ্রো বালদেকে।

ম্যাচ শেষে কাতালুনিয়া রেডিওর ক্রীড়া সাংবাদিক হাভি মিগেল জানিয়েছেন, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন বালদে। ফলে অন্তত তিন সপ্তাহের জন্য ছিটকে যেতে পারেন তিনি।

তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই তার কত দিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকা লাগবে, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে মিগেল জানান, রবিবার বালদের শারীরিক পরীক্ষা হবে। তারপর ক্লাবের পক্ষ থেকে তার চোটের হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে।

এছাড়া, স্পোর্তের কাতালুনিয়াভিত্তিক সাংবাদিক টনি হুয়ানমার্তিও বালদের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এই ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে অন্তত দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হয়।

এদিকে এই ম্যাচে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সার অপর দুই ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহো ও এরিক গার্সিয়াকেও। তবে তাদের বিষয়গুলো গুরুতর নয় বলে জানান মিগেল।

আগামী মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরতি লেগের ম্যাচে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে বার্সেলোনা। প্রথম লেগে ৪-০ গোলে জিতে এগিয়ে রয়েছে দলটি। এরপর আগামী ১৯ ও ২২ এপ্রিল লা লিগায় যথাক্রমে সেল্তা ভিগো ও মায়োর্কার বিপক্ষে মাঠে নামবেন ফ্লিকের শিষ্যরা। তারপর ২৬ এপ্রিল কোপা দেল রের ফাইনাল খেলতে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবেন তারা।

ডর্টমুন্ড ম্যাচ থেকেই আরাউহো ও গার্সিয়াকে পেলেও উল্লিখিত ম্যাচগুলোতে বালদেকে হারানোর জোর সম্ভাবনা রয়েছে বার্সেলোনার।

দুর্দান্ত গতি, ড্রিবলিং ও দারুণ সব ক্রস দিয়ে বার্সেলোনার একাদশে ইতোমধ্যে নিজের অবস্থান পাকা করে নিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই লেফট উইংব্যাক। সতীর্থদের সঙ্গে অসাধারণ বোঝাপড়াও তৈরি হয়েছে তার।

এদিকে মৌসুমের শেষভাগে এসে একটু একটু করে কোয়াড্রাপল (সম্ভাব্য চারটি শিরোপার সবগুলো) জয়ের দিকে এগোচ্ছে কাতালান দলটি। ইতোমধ্যে স্প্যানিশ সুপার কাপ পকেটে পুরেছে তারা। উঠেছে কোপা দেল রের ফাইনালে। লা লিগায়ও পাচ্ছে শিরোপা জয়ের সুবাস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠা তাদের জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার। এমন সময়ে বালদের এই চোট নিঃসন্দেহে কোচ ফ্লিকের কপালে ফেলেছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

তেমন বিশ্রাম ছাড়াই টানা ম্যাচ খেলে যাওয়া বার্সেলোনা শিবিরে বালদের না থাকা সত্যিকার অর্থেই দুশ্চিন্তার বিষয়। বিকল্প খেলোয়াড় জেরার্দ মার্তিন মাঝেমধ্যে খেলে থাকলেও সতীর্থের মতো অতটা পটু নন তিনি। ফলে পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিয়ে লক্ষ্য পূরণ করেন হান্সি ফ্লিক, তা-ই এখন দেখার বিষয়।


হামজার পর নতুন চমক, লাল-সবুজে খেলবেন সামিত সোম!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সামিত সোম। অবশেষে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) জানিয়ে দিলেন তিনি লাল-সবুজের জার্সিতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান।

সূত্র জানিয়েছে, সামিত হ্যাঁ বলায় রোববার থেকে তার পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবে বাফুফে। এ বিষয়ে গতকাল বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম বলেছেন, ‘সামিত আমাদের জানিয়েছে সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। এখন পাসপোর্ট করতে কোন প্রক্রিয়ায় এগুতে হবে, কতদিন লাগবে এসব জানতে চেয়েছে সে।’

এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুন। সেই ম্যাচের আগেই সামিতের পাসপোর্ট ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় বাফুফে।

২৭ বছর বয়সি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সামিতের জন্ম কানাডায়। মা-বাবা দুজনই বাংলাদেশি। ফলে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না মনে করছে বাফুফে। তবে সামিত কানাডার জাতীয় দলের হয়ে খেলায় ফিফার অনুমতির ব্যাপারও আছে।

সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গেলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সামিতকে অভিষেক করানোর কথা ভাবছে ফুটবল ফেডারেশন। এ বিষয়ে সামিতও আগ্রহী জানিয়ে ফাহাদ করিম বলেন, ‘সামিত বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচগুলোর বিষয়ে আমাদের থেকে জানতে চেয়েছে।

কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কালাভরি এফসির মিডফিল্ডার সামিত। ২০১৬ সালে কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ৭টি ও ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন ৪টি ম্যাচ। ২০২০ সালে কানাডার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন দুটি ম্যাচ।

প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হিসেবে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হয় ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া জামালের। এরপর জাতীয় দলে আসেন ফিনল্যান্ডে জন্ম নেওয়া তারিক কাজী।

সর্বশেষ গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, যা অতীতের সব উচ্ছ্বাসই ছাপিয়ে গেছে।


মোহামেডান-আবাহনী হাইভোল্টেজ লড়াই আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

একসময় দুই ছিল প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ৭০ দশকের শেষ ভাগ থেকে শুরু করে ৮০-৯০ দশক ও বর্তমান শতাব্দীর প্রথম দিকেও ঢাকাই ক্রিকেটে আবাহনী আর মোহামেডানই ছিল শেষ কথা। সাথে ভিক্টোরিয়া, আজাদ বয়েজ, বিমান, কলাবাগান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, জিএমসিসি আর রূপালী ব্যাংকও ছিল। তবে বেশিরভাগ সময় শিরোপা লড়াইটা মোটামুটি আবাহনী আর মোহামেডানের মধ্যেই কেন্দ্রীভূত থাকতো।

ঢাকা লিগ, দামাল স্মৃতি, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস ও স্বাধীনতা দিবস ক্রিকেটের বেশিরভাগ ট্রফি উঠেছে আকাশি হলুদ ও সাদাকালো শিবিরেই।

মাঝে কিছুদিন চুপসে ছিল দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে গত বছর থেকে আবারও যেন প্রাণ পেয়েছে। গতবার আবাহনী ও মোহামেডান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে সেয়ানে-সেয়ানে। আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর মোহামেডানকে রানার্সআপ হয়েই তুষ্ট থাকতে হয়।

এবারও দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী আছে খুব কাছাকাছি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, প্রথম পর্বে শীর্ষস্থানের লড়াইয়ে এখন টিকেই আছে আবাহনী আর মোহামেডান।

এই দুই দলের কে ওপরে থাকবে-আবাহনী নাকি মোহামেডান? নাকি পয়েন্ট সংগ্রহে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সমান্তরালে থেকেই শুরু করবে সুপার লিগ?

এ প্রশ্ন সামনে রেখেই আজ মুখোমুখি হচ্ছে আবাহনী-মোহামেডান। শনিবার সকাল ৯টায় শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের এ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।

দুই দলেরই প্রথম রাউন্ডে এটা শেষ ম্যাচ। আগের ১০ খেলায় ৯টিতে জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে সবার ওপরে আবাহনী। আর সমান ম্যাচে ২ পরাজয় ও ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট পাওয়া মোহামেডান আছে দ্বিতীয় স্থানে।

নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, পারভেজ হোসেন ইমনের দল আবাহনী জিতলে অবস্থান হবে আরও মজবুত। তখন নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে আরও ২ পয়েন্ট মানে মোট ৪ পয়েন্ট এগিয়ে যাবে আকাশি-হলুদরা।

অন্যদিকে রনি তালুকদার, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি, এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলামে গড়া মোহামেডান জিতে গেলে পয়েন্টে আবাহনীকে ছুঁয়ে ফেলবে।

নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর দল দল পরিচালনায় আসা তাওহিদ হৃদয়ের নেতৃত্বে কাগজে-কলমের এক নম্বর দল মোহামেডান শেষ ম্যাচে এসে আবাহনীর সমান (১১ খেলায় ১৮ করে) পয়েন্ট পাবে কিনা, সেটাই দেখার।


সাব্বিরদের পারিশ্রমিক বিতর্ক আর ফিক্সিং সন্দেহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গতকাল ছিল বেশ আলোচনা-সমালোচনার দিন। পারিশ্রমিক না পেয়ে অনুশীলন বর্জন করেছিলেন পারটেক্স ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটাররা। আজ ম্যাচ বয়কটেরও হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন সাব্বির আহমেদরা। বিসিবির কাছে দিয়েছেন চিঠিও। তবে এর চেয়ে বড় ঘটনা ঘটে এ দিনই। পারটেক্সের কোচ আনারুল মোস্তাকিম নিজ দলের ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেই ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এনেছেন। যদিও দলটির কর্তা সাজ্জাদ হোসেন এমন দাবি উপেক্ষা করেছেন। একই সঙ্গে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

পারটেক্সের ক্রিকেটারদের ফিক্সিংয়ের ঘটনা দলের মালিক অস্বীকার করলেও গতকাল অন্য আরেকটি ম্যাচে দেখা গেছে এমনই একটি ঘটনা। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব বনাম শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার খেলায় একটি আউটের ধরন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

পারিশ্রমিক বিতর্ক নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পারটেক্সের একজন ক্রিকেটার জানান, ‘লিগ প্রায় শেষ দিকে চলে এসেছে, কিন্তু এখনো আমরা পুরো পারিশ্রমিক হাতে পাইনি। এ কারণেই আজ অনুশীলনে যাইনি, শুধু জিম করেছি।’

তবে পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক হয়েছে বলেও জানান তিনি। তার ভাষায়, ‘সবার কিছু টাকা আগেই দেওয়া হয়েছিল। বাকি অংশ নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে আজকের ঘটনার পর বিষয়টি মিটে গেছে।’

পারিশ্রমিক বিতর্কের মাঝেই পারটেক্সের কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিম জানিয়েছেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু কিছু খেলোয়াড় নেতিবাচক ক্রিকেট খেলছেন, যা সন্দেহজনক। সংবাদমাধ্যমকে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অফিশিয়ালরা নির্দেশনা দিয়েছে একরকম। তারা (ক্রিকেটাররা) খেলছে আরেক রকম। ওরা গিয়ে নেগেটিভ ক্রিকেট খেলেছে।’

ক্রিকেটারদের নিয়ে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পারটেক্সের কোচ আনোয়ারুল বলেন, ‘এটা শুধু (সন্দেহ) আমার না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে, এটা সন্দেহজনক, তোমাদের দলের খেলোয়াড়েরা এমন করছে কেন! এ রকম তো খেলার কথা না। যেখানে ২২০ রান তাড়া করছি, ২০ ওভারে ৩৭ রান। এটা তো সন্দেহজনক খেলা।’

তবে আনোয়ারুল প্রমাণ ছাড়া কথা বলতে অনিচ্ছুক। তিনি বলেন, ‘আমি তো প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা বলতে পারছি না। আমাকে অনেক খেলোয়াড় ফোন করছে, আপনার এই খেলোয়াড় ফিক্সিং করছে। এই খেলোয়াড় এটা করছে, ওটা করছে। আমার তো এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই, ফিক্সিংটা করে কীভাবে। কিন্তু এ রকম নেগেটিভ খেলা কেন!’

তবে ফিক্সিংয়ের বিষয়টিকে অস্বীকার করে দলটির মালিক সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘এটা রাগের মাথায় বলছে হয়তো। এটা ইমম্যাচিউর কথাবার্তা। আমি দেখিনি, তবে এটা আবেগে বলছে হয়তো। এ ধরনের কথা (বলার) প্রশ্নই আসে না।’

মিরপুরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪১ ওভারে ১৭৮ রান তুলতেই অলআউট হয় গুলশান। লক্ষ্য তাড়ায় শাইনপুকুর গন্তব্যের প্রায় দ্বারপ্রান্তে ছিল। শেষ উইকেটে তাদের জয় পেতে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ঠিক তখনই অদ্ভুতভাবে আউট হয়ে আলোচনার কেন্দ্রে দলটির টেলএন্ডার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির।

৪৪তম ওভারের ঘটনা, ওভারের প্রথম বলটি স্পিন-অলরাউন্ডার নাঈম ইসলাম ওয়াইড লাইনেরও বেশ বাইরে ফেলেছিলেন। স্বাভাবিকভাবে ওয়াইডের সংকেত দেন আম্পায়ারও। কিন্তু স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার সাব্বির এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বসেন। তবে আউট থেকে বাঁচতে ব্যাটটি পপিং ক্রিজে ঢুকিয়েও রহস্যজনকভাবে বাইরে এনে রাখেন তিনি। উইকেটকিপার প্রথমে ভারসাম্য হারিয়ে স্টাম্প ভাঙতে পারেননি, পরে সাব্বিরের ব্যাট বাইরে দেখে দ্বিতীয় সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। সামাজিক মাধ্যমে সেই আউটের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ‘ম্যাচ পাতানো’ কিংবা ‘ফিক্সিং’য়ের মতো সন্দেহপ্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।


মুশফিকের রানের দিনে বৃথা অমিতের সেঞ্চুরি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

অনেকদিন ধরেই হাসছিল না মুশফিকুর রহিমের ব্যাট। চলতি ডিপিএলে মোহামেডানের জার্সিতেও কাটছিল না সুন্দর সময়। অবশেষে হাসলো অভিজ্ঞ এই তারকার ব্যাট। দায়িত্ব নিয়ে হাল ধরলেন দলের। মুশফিকের রানে ফেরার দিনে বৃথা গেছে অমিত হাসানের সেঞ্চুরি। মোহামেডানের জয়ের দিনে বড় জয় পেয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী। গুলশান হারিয়েছে শাইনপুকুরকে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের পুঁজি দাঁড় করায় মোহামেডান। জবাব দিতে নেমে ৪৭.২ ওভারে ২১৩ রান তুলতে পেরেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ৭৪ রানের বড় জয় পেয়েছে সাদা-কালোরা। চার নম্বর মাঠে আবাহনীর ২৯০ রানের জবাবে প্রাইম ব্যাংক গুটিয়ে গেছে মোটে ১৫৭ রানেই। আবাহনীর জয় ১৩৩ রানের। মিরপুরে গুলশানের দেওয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্যও ছুঁতে পারেনি শাইনপুকুর। গুটিয়ে গেছে ১৭৩ রানেই।

১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গুলশানের সুপার লিগ খেলার ভালো সম্ভাবনা আছে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে প্রাইম ব্যাংকের সাথে জিততে পারলে কারও দিকে না তাকিয়ে সরাসরি সুপার লিগে চলে যেতে পারবে গুলশান। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে আবাহনী। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে মোহামেডান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় মোহামেডান। তবে সেই চাপ সামলে বড় লক্ষ্যই দাঁড় করায় দলটি। এর পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান মুশফিকুর রহিমের। ৫৭ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। এছাড়াও মহিদুল ইসলাম অঙ্কান ৮৩ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৬৪, ওপেনার রনি তালুকদার ৪৬, অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ৪২ রান করেছেন।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের দেওয়া ২৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় অগ্রণী ব্যাংক। এক অমিত হাসান ছাড়া দলের কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে অমিত দারুণ ইনিংস খেলে পান সেঞ্চুরিও। নবম ব্যাটার হিসেবে তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। ১২৩ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় অমিত নিজের ইনিংসটি সাজান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে।

মোহামেডানের হয়ে ২২ রানে মিরাজ তিনটি এবং ৩৪ রানে ইবাদত আরও তিনটি উইকেট শিকার করেন। দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ৪৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন আরিফ আহমেদ।

বিকেএসপিতে টস জিতে শান্ত ও পারভেজের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে আবাহনীর বোলাদের তোপে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার নাঈম শেখ (৭৩) ও মিডল অর্ডার ব্যাটার শামীম হোসেন (৪০) ছাড়া আর কেউই বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি। এর বাইরে দুজন কেবল দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছেন।

আবাহনীর এই জয়ে বড় অবদান মোসাদ্দেকের, ব্যাট হাতে ৩৭ রানের পর বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংককে হারানোর মূল নায়ক তিনিই। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হাফ সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত ও পারভেজ হোসেন ইমন পার্শ্বনায়ক হয়ে উঠেছেন।

মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৬ রানের ওপেনিং জুটি পায় গুলশান। অধিনায়ক আজিজুল তামিম ১৬ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর শাইনপকুরের বোলারদের তোপে নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। গুলশানের মিডল অর্ডার ব্যাটার সাকিব শাহরিয়ারের দায়িত্বশীল ইনিংসে ৪১ ওভারে ১৭৮ রান করতে পারে ঢাকা লিগে প্রথমবার খেলতে নামা দলটি। শাহরিয়ার সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। ওপেনার জাওয়াদ আবরার খেলেন ৩৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস।

জবাবে শাইনপুকুর জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। ৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে মইনুল ইসলাম তন্ময় ও নিয়ন জামান ৪০ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৪৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনেই মোড়ক লাগে শাইনপুকুরের। স্কোরবোর্ডে কোনও রান না উঠিয়ে দ্রুত তিন ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। এই বিপর্যয় অবশ্য কাটিয়ে উঠেছিল শাইনপুকুর। রায়হান রাফসান ও শাহরিয়ার সাকিব চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গুলশানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৩ ওভারে ১৭৩ রান তুলে অলআউট হয় তারা। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে।

গুলশানের বোলারদের মধ্যে আজিজুল হাকিম তামিম নেন তিনটি উইকেট। তিনটি উইকেট শিকার করেন নিহাদুজ্জামান। শাইনপুকুরের নিয়ন জামান সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। রাহিম আহমেদ নেন দুটি উইকেট।


জিম্বাবুয়ে সিরিজে নেই তাসকিন, নতুন মুখ তানজিম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি মাসে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আসন্ন সিরিজটি সামনে রেখে গতকাল প্রথম টেস্টের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলে নেই তাসকিন আহমেদ। চোটের কারণে খেলতে পারছেন না অভিজ্ঞ এই পেসার। টেস্ট দলে প্রথমবার জায়গা করে নিয়েছেন আরেক পেসার তানজিম হাসান।

চোটের কারণে সবশেষ সিরিজে না থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছেন অধিনায়ক হয়েই। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সেই সিরিজের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ এবার থাকছেন সহ-অধিনায়ক হিসেবে। ক্যারিবিয়ায় ওই সিরিজে চোটের কারণে যেতে না পারা মুশফিকুর রহিমও ছিলেন দলে। অন্য দুই সংস্করণকে বিদায় জানানো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান এখন শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই খেলবেন বাংলাদেশ দলে।

এ ছাড়া দলে ফিরেছেন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও অফ স্পিনার নাঈম হাসান। পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে ছুটি পাওয়া লিটন কুমার দাসের না থাকা নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই। মঙ্গলবারই দেশ ছেড়েছেন তিনি। কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে জাকের আলি ছাড়াও স্কোয়াডে আছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মুশফিক টেস্টে কিপিং করছেন না অনেক দিন ধরেই।

সবশেষ সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ার তালিকায় আছেন হাসান মুরাদ, শরিফুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন। ক্যারিবিয়ান সফরের দলে ডাক পেলেও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেয়েই জায়গা হারালেন বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ।

পায়ের পুরোনো চোটের সঙ্গে লড়ছেন তাসকিন। বিবৃতিতে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি বলেছেন, ‘আপাতত বাম পায়ের একিলিস টেন্ডন টিস্যুর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন তাসকিন। এই সিরিজ তিনি খেলতে পারবেন না।’

প্রথমবার ডাক পাওয়া তানজিম এর মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে তার শিকার ২৫ উইকেট। গত জাতীয় ক্রিকেট লিগে এক ম্যাচ খেলে কাঁধের চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি।

পেস বিভাগে তানজিম ছাড়াও থাকছেন নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও খালেদ। প্রথম টেস্টের পর পিএসএল খেলতে চলে যাবেন নাহিদ।

বিসিবির ভিডিওবার্তায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপু জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে চোটের কারণে বাইরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ইবাদত হোসেন চৌধুরিকে বিবেচনায় রেখেছেন তারা। আপাতত ফিজিও ও ট্রেনারের পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। সবুজ সংকেত পেলেই দলে ফেরানো হবে তাকে।

দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আগামী ১৫ এপ্রিল ঢাকায় পা রাখবে জিম্বাবুয়ে দল। এরপর ২০ এপ্রিল প্রথম টেস্টে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লড়বে দুই দল। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ২৮ এপ্রিল, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশ দল

ব্যাটার: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকের আলী অনিক।

অলরাউন্ডার: মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক)।

বোলার: তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।


banner close