বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
কমপ্লিট শাটডাউন

সন্ত্রাস-সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না: কাদের

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৪ ০৩:৫৭

কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সহ্য করা হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাজপথে থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সকলকে ধৈর্য ধারণ এবং সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত বলেছেন, আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে। তাদের হতাশ হতে হবে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের জনগণ যখন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে, ঠিক তখন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারা দেশে সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শুরু থেকেই ছাত্রদল ও শিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এখন তারা ব্যাপক সন্ত্রাস ও অরাজকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ফলে ইতোমধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাসী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে সচেতন এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করছি।


রাজনীতিতে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই: সোহেল তাজ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনে প্রশ্ন, কে ধরবেন দলের হাল। দলের এই দুঃসময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ সরব ছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। এর পর থেকে গুঞ্জন ওঠে আবারও রাজনীতিতে ফিরছেন সোহেল তাজ। তবে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে।

সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার স্পষ্ট কথা— আমি বারবার বলেছি আমার রাজনীতিতে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই পচা-নোংরা-নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চাই না।’

সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে নিজের নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত বুধবার রাতে কেউ একজন তার পিছু নিয়েছিল, সে বিষয়ে জানাতে এবং নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে সচিবালয়ে যান তিনি।

গণমাধ্যমের সামনে সোহেল তাজ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের ওপরই প্রতিহিংসা বা নিপীড়ন করা সঠিক নয়। সেটা যে দলেরই হোক। এখানে অনেক নিরীহ নেতা-কর্মী আছেন।’ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হলে একটু আত্মসমালোচনা ও আত্মোপলব্ধি করা খুব প্রয়োজন।’

গতকাল বুধবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর প্রধান। আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি।

প্রতিউত্তরে সে আমাকে বলে যে, তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না। জবাবে সে আমাকে বলল, আমি আপনাকে চিনি, আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বলল যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বলল। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বলল তারপর আমাকে বলল চলে যেতে, আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সবার প্রত্যাশা, এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে, ছি, ছি।’

২০০৯ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন সোহেল তাজ। মাস ছয়েকের মাথায় তিনি পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হতে দেখা যায়। রাজনীতিতে তিনি দীর্ঘদিন নীরব ছিলেন। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা কারণে আলোচনায় ছিলেন।

বিষয়:

নড়াইলে খালেদা জিয়ার নামে করা মানহানির মামলা খারিজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলে করা মানহানির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জুয়েল রানা এ আদেশ দেন।

বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ইকবাল হোসেন সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলাটি করেছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে আশিক বিল্লাহ।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি সভায় বিরূপ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। সেই অভিযোগে ২৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল আমলি আদালতে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন আশিক বিল্লাহ। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে সদর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সদর থানা অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে মামলার নির্ধারিত দিনে দীর্ঘদিন ধরে বাদীপক্ষ আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক গতকাল মামলাটি খারিজ করে দেন।

বিষয়:

শহীদদের রক্ত শুকিয়ে গেলেও অন্তর থেকে যায়নি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শহীদদের রক্ত শুকিয়ে গেছে, কিন্তু আমাদের অন্তর থেকে শুকিয়ে যায়নি। এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তারা কি মারা গেছেন, নাকি বেঁচে আছেন তা কেউই জানেন না। একটা জাতি যেখানে দাঁড়ায়, সেখানে কোনো স্বৈরাচার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগর এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আজ বৃহস্পতিবার সকাল শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবাইকে দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু এই যাওয়াটা যেন প্রশান্তির হয়। ওই রাতগুলোতে অনেক কিছু ঘটেছে, যা আরেকবার ঘটেছিল ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে। যেখানে হাজার হাজার ওলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত হয়েছিলেন। ওই রাতে তাদের সঙ্গে যে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। লাশগুলো কোথায় নেওয়া হয়েছে তা কেউ জানে না। কিন্তু আল্লাহ তো সবকিছু জানেন।’

শহীদ পরিবারদের উদ্দেশে জামায়াতে আমির বলেন, ‘যে শহীদ পরিবারের কাছে যাই, কান্না ধরে রাখতে পারি না। আমাদের তো এত টাকা-পয়সা নাই। কিন্তু আল্লাহর ভাণ্ডারে কোনো কমতি নাই। আমরা তার ওপর ভরসা করেই কথাগুলো বলার চেষ্টা করেছি। আল্লাহ যেন আমাদের ওয়াদার কথাটা ঠিক রাখেন। অনেক শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমাদের মোলাকাত করার সুযোগ হয়েছিল। এই জাতি যেন আমাদের এই শহীদ সন্তানদের ভুলে না যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টাদের সঙ্গে বসেছিলাম। রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছি। আপনারা চেষ্টা করুন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। তারা কথা দিয়েছেন তারা কাজ করবেন। আপনারা দোয়া করবেন তারা যেন করতে পারে। আমার দৃষ্টিতে এটা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। দ্বিতীয় স্বাধীনতায় অবদান রাখা আমাদের শহীদদের অবদান সব পাঠ্যপুস্তক, গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় স্থান করে দিতে হবে। এটা শহীদদের পরিবারের চাহিদা নয়, এটা আগামী প্রজন্মের চাহিদা। যেন পরের প্রজন্ম জানতে পারে, আমাদের আগের প্রজন্মের যুবকরা, মানুষরা হকের পক্ষে নিজেদের বুক পেতে দিয়েছিল।’

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম মিলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মহানগরের সভাপতি প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান প্রমুখ।


দুর্নীতির ২ মামলায় খালাস মির্জা আব্বাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির দুই মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাস। এর মধ্যে তেজগাঁওয়ে শিল্পপ্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষ তুলে নেওয়ায় খালাস পান তিনি ও আরও দু’জন। তারা হলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র বিশেষ সহকারী সচিব মাহফুজুল ইসলাম।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার মামলা প্রত্যাহার চেয়ে দুদকের আবেদনের পর আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস ও অন্য দুজনকে খালাস দেন।

২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আফজাল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট জমা দেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ অন্য আসামিরা হলেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র বিশেষ সহকারী সচিব, বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) মাহফুজুল ইসলাম।

২০০৭ সালের ১৫ জুলাই আব্বাস, লবি ও মাহফুজের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি তিনজন যোগসাজশ করে লবির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক কেমিক্যালস লিমিটেডকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় একটি শিল্প প্লট বেআইনিভাবে বরাদ্দ দেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠার প্লট বরাদ্দে অভিযুক্তরা তাদের প্রভাব খাটিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়। বিনিয়োগ বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই প্লটটি শিল্প প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

দুর্নীতির আরেক মামলায় খালাস

২০০৭ সালের আগস্টে দায়ের করা আরেকটি দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন মির্জা আব্বাস। ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মাসুদ পারভেজ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আদালত মির্জা আব্বাসকে মামলার সব অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।

রায়ের পরপরই মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, অবশেষে তিনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তিনিও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিষয়:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দলের (বিএনপি) শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দরা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার ভাবনা ও নির্বাচন নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে মত বিনিময় করেন।

বিএনপি নেতারা বলেন, এই সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। ভবিষ্যতেও এই সমর্থন থাকবে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্কার এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যাপক ভিত্তিক সংলাপ শুরুর ঘোষণা দেওয়ার অনুরোধ করেন। বিএনপি নেতারা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যে শঙ্কা ও সম্ভাবনা আছে সে ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।

সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিএনপি নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কার কার্যক্রম, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এবং অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেবে সে লক্ষ্যে তারা তার সঙ্গে একসাথে কাজ করবে এবং তারা সেটার সমন্বিত অংশীদার হবেন।

বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।


রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত সংলাপ চায় বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সংলাপে বসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘অতি দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনায় বসা দরকার। তারা কী চায়, জনগণ কী চায়, আমরা কী চাই- এ বিষয়টা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। না হলে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।’

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ঢালাওভাবে মামলা না করারও আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢালাওভাবে মামলা যাতে না হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলব- আপনারা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করুন। এ বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীদেরও আহ্বান জানাব, এমন কোনো মামলা করবেন না, যাতে সারবস্তু থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। সরকারকে সহযোগিতা না করলে কিন্তু সেটা হবে না। মনে রাখতে হবে, গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া পরিবর্তন হয় না। এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাতের চক্রান্ত হচ্ছে। কিছু অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ভারত থেকে। যারা সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিচ্ছে।’

ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে ফের পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। অথচ গত ১৫ বছরে বিএনপির প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারান্তরীণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশান্তরিত করা হয়েছে। এমন কোনো নেতা-কর্মী নেই যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি অপকর্ম করে না। কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে অপকর্ম করছে, সেটার কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রায় ৫৬ থেকে ৫৭ জন নেতা-কর্মী– যারা এগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’

জামায়াত-শিবিরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই। যারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে, তারা রাজনীতি করবে, এটা তাদের অধিকার।’

গতকাল মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্যার কারণে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে যে অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা ছিল, সেটি ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচির মধ্যে শুধু দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বিষয়:

ভারত পরিকল্পিতভাবে অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে বাঁধ ছাড়ছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলকে ভয়াবহ বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়ার পর ভারত ফারাক্কার সব গেটও খুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘ভারত পরিকল্পিতভাবে অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ করছে।’ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর একটি দেশ সমর্থন দিয়েছিল। তারা বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করেনি। কিছুদিন আগে সেই দেশ তাদের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলকে ভাসিয়ে দিয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেলে। গত সোমবার ফারাক্কার ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে যখন বাংলাদেশের পানি দরকার, তখন তারা পানি দেয় না, ন্যায্য হিস্যাটুকুও তারা দেয় না। পতিত স্বৈরশাসকের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশের জনগণ বঞ্চিত হয়েছে।’

পতিত স্বৈরশাসকের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও স্বৈরাচারের পোকামাকড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরশাসকের দোসররা প্রতিবিপ্লবের জন্য চেষ্টা করছে।’ তিনি এদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

বিষয়:

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য অত্যন্ত সুদৃঢ়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা জানান। এ উপলক্ষে দেশবাসীর প্রতিও অফুরান ভালোবাসা জানিয়েছেন তিনি।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ রোববার দেওয়া বাণীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সব ধর্মই সাম্য, মানবতা, ভ্রাতৃত্ব আর ভালোবাসার কথা বলে। জন্মাষ্টমীর এই শুভ লগ্নে আমি বিশ্ব শান্তি, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ব কামনা করছি। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য অত্যন্ত সুদৃঢ়। হাজার বছর ধরেই এই অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে আসছে।’

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান স্মরণ করেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।

পল্লীবন্ধুর দেশ পরিচালনার সময়ে ১৯৮৯ সাল থেকেই ঢাকায় দৃষ্টিনন্দন ও জাঁকজমকপূর্ণ জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-ই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসবমুখর জন্মাষ্টমীতে সরকারি ছুটির ঘোষণা করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনের উৎসব ও আরাধনা নির্বিঘ্ন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব সহায়তার নির্দেশ দেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ ছাড়া নগদ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পাশাপাশি পূজা-অর্চনা এবং সারা দেশে মন্দির নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য প্রতিবছর বিপুল বরাদ্দ দিয়েছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।’

গোলাম মোহাম্মদ কাদের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত সব আয়োজনের সফলতা কামনা করেন। একই সঙ্গে দেশবাসীর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।


নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে, অনির্দিষ্টকাল নয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই।’ আজ রোববার বিকেলে সিলেটে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এ সরকার যখন দেশকে একটি স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, দেশ যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। এটি সফল হবে না।’

তিনি বলেন, ‘অতীতের সব জঞ্জাল পরিষ্কার করে সত্যিকারার্থে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। এ জন্য রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই, তবে এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়- বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাত্র তিন মাসে সব জঞ্জাল দূর করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছিলেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের একটি অংশ ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে এমন আকস্মিক বন্যা আমরা দেখিনি। ভারত তাদের বাঁধ খুলে দেওয়ায় এই ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তারা বাঁধ খুলে দেওয়ার আগে কোনো পূর্বাভাসও দেয়নি। উজানের পানির বেশির ভাগ ভারত থেকে আসে।’

তিনি বলেন, ‘অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের কোনো সুরাহা আজও হয়নি। পানি আগ্রাসনকে তারা (ভারত) অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। সিলেট থেকে এই পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। এম ইলিয়াস আলী এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যার ফলে তাকে গুম করা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত তারা জনসমর্থনহীনভাবে ক্ষমতায় ছিল, যার ফলে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা শুরু করেছিল। এবারও তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা করার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছিল। কিন্তু দেশের সাধারণ ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়ে মুখ খুলে কথা বলতে পারত না। সাংবাদিকদের ও গণমাধ্যমকে এই আইনে দমন করা হতো। এখন মানুষ বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। আমরা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বাতিল করে দেব।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার এই বিপ্লবে সিলেটের সাংবাদিক আবু তোরাবসহ অসংখ্য মানুষ পুলিশের গুলিতে শাহাদাতবরণ করেছেন। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে আমরা এই সংগ্রাম করছি। সেই থেকে আমাদের প্রায় ৭০০ জনকে গুম করা হয়েছে, প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন। প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন। তিনি কখনো মাথা নত করেননি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা আইনিভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করছি। আমরা ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সবাইকে নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের একটি তদন্ত দলও এসেছে। আমরা আশাবাদী সঠিক তথ্য পাব। সরকারও সুনির্দিষ্টভাবে এখনো কিছু বলেনি। আমরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানতে চাই।’


বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আজ শুক্রবার তার বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তহবিল গঠনবিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

জি এম কাদের বলেন, ‘বন্যাদুর্গতদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি এবং পাশে থাকব।’ একইসঙ্গে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজেও জাতীয় পার্টি দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীরা স্থানীয়ভাবে বন্যা দুর্গতদের পাশে আছে।’ তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার চাইলে আমরা তাদেরকেও সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি।’

এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কোনো সতর্কীকরণ ছাড়া ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এই ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোনো রাষ্ট্র যদি নদীর গেইট খুলে দেয় তবে অবশ্যই ভাটির দেশগুলোকে আগাম জানিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ গেইট খুলে দেওয়ার আগে ভারত সরকার বাংলাদেশকে কোনো রকম সতর্ক করেনি। এই সভা থেকে ভারতের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, মোস্তফা আল মাহমুদ, শেরীফা কাদের প্রমুখ।


পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আমীর খসরু বলেন, ‘তারা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সম্পর্কসহ সবকিছুই আলোচনায় এসেছে।’

আমীর খসরু আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া, দুই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আসলে ব্যবসা-বাণিজ্যভিত্তিক তুলনামূলক সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত ছিল। এখানে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা ছিল, যা কেবল কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে উপকৃত করেছে।

তিনি আরও বলেন, সমান সুযোগপ্রাপ্তির ক্ষেত্র (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) ছিল না। আলোচনায় আমরা বলেছি, বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে যাচ্ছে এবং আমরা দুই দেশের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রেখে তুলনামূলক সুবিধার ভিত্তিতে একে অপরকে সহযোগিতা করব।

আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, সব দিক থেকেই দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে সমন্বয় বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি- সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আমরা সব ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রেখে আমরা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

বিষয়:

নিজেদের বন্যামুক্ত রাখতে বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত: রিজভী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজেদের বন্যামুক্ত রাখে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ভারত বিপদে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিভভী বলেন, ভারত বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু রাষ্ট্র নয়। নিজেদের এলাকা বন্যামুক্ত রাখতে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেছে। এ সময় বন্যাদুর্গত এলাকায় সাহায্যের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

রিজভী বলেন, কেন জানি ভারত বাংলাদেশের মানুষ, তাদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য জীবন-যাপনের প্রতি উদাসীন। বাংলাদেশের মানুষের বাঁচা-মরা ভারত কখনোই আমলে নেয় না।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ভারতের ত্রিপুরা ধলাই জেলার গোমতি নদীর ওপর থাকা ডুম্বুর বাঁধের গেইট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে বলে মানুষের মনে ব্যাপক উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহে প্রতিবেশী দেশ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পানি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থকে বিপন্ন করছে।

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সমূহের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক বন্যার প্রকোপে বন্যা উপদ্রুত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ সমর্থকবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দেশের সামর্থবান ও ধনী ব্যক্তিদেরকেও বন্যার্তদের সাহায্য সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সামগ্রিক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই বন্যা দূর্গত মানুষ নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে আবারও নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিষয়:

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আর কোনো আইনি বাধা নেই

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে আবেদনকারী রিট না চালানোর কথা বলায় রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে কোনো পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার, পুনঃউৎপাদন না করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তথ্য সচিবের প্রতি নির্দেশনা চেয়েছিলেন।

রিটে বলা হয়, তারেক একজন ফেরারি আসামি। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে ও বেআইনিভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন। একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়। পরদিন রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেকের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন।

রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে সেই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (প্রয়াত), অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট এস এম মুনীর ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম (তৎকালীন এমপি)।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, এ রিট পিটিশনের পিটিশনার আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। আজকে মামলা তালিকায় ছিল। তিনি আজ হাইকোর্টে এসে বলেছেন, এই রিট আর তিনি চালাতে চান না। নন প্রসিকিউশন করতে চান। অর্থাৎ এ রিট পিটিশনের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। আদালত বলেছেন, আজকে থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে যে নিষেধ্জ্ঞা ছিল, আজকে থেকে আর এর কার্যকারিতা নেই। অর্থাৎ তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আর আইনি কোনো বাধা নেই।

বিষয়:

banner close