বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
ডিএমপি ডিবিপ্রধান

আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে

ছবি: সংগৃহীত
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪ ২৩:৫৬

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের পর টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কোমলমতি ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা, খিচুরী ও পানি সাপ্লাই দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা এগুলো করছে, তাদের নাম ও ফোন নম্বর পেয়েছি শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি চক্র বাসে আগুন, রেলের স্লিপার তুলে দেওয়া, মেট্রো বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এসব অপরাজনীতি করে তারা যদি মনে করে সফল হবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। দেশের জনগণ এসব অপরাজনীতি অতীতেও গ্রহণ করেনি এখনও করবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাজা ককটেল, লাঠি ও দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছি। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তারা অনেক তথ্য দিয়েছে। কারা এসব ষড়যন্ত্র করছে, কারা খাবার, অস্ত্র ও লাঠিসোটা সাপ্লাই দিচ্ছে তাদের নাম ফোন নম্বর দিয়েছে। তারা গোয়েন্দা জালে রয়েছে, শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে।


দুর্নীতির ২ মামলায় খালাস মির্জা আব্বাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির দুই মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাস। এর মধ্যে তেজগাঁওয়ে শিল্পপ্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষ তুলে নেওয়ায় খালাস পান তিনি ও আরও দু’জন। তারা হলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র বিশেষ সহকারী সচিব মাহফুজুল ইসলাম।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার মামলা প্রত্যাহার চেয়ে দুদকের আবেদনের পর আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস ও অন্য দুজনকে খালাস দেন।

২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আফজাল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট জমা দেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ অন্য আসামিরা হলেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র বিশেষ সহকারী সচিব, বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) মাহফুজুল ইসলাম।

২০০৭ সালের ১৫ জুলাই আব্বাস, লবি ও মাহফুজের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি তিনজন যোগসাজশ করে লবির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক কেমিক্যালস লিমিটেডকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় একটি শিল্প প্লট বেআইনিভাবে বরাদ্দ দেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠার প্লট বরাদ্দে অভিযুক্তরা তাদের প্রভাব খাটিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়। বিনিয়োগ বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই প্লটটি শিল্প প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

দুর্নীতির আরেক মামলায় খালাস

২০০৭ সালের আগস্টে দায়ের করা আরেকটি দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন মির্জা আব্বাস। ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মাসুদ পারভেজ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আদালত মির্জা আব্বাসকে মামলার সব অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।

রায়ের পরপরই মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, অবশেষে তিনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তিনিও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিষয়:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দলের (বিএনপি) শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দরা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার ভাবনা ও নির্বাচন নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে মত বিনিময় করেন।

বিএনপি নেতারা বলেন, এই সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। ভবিষ্যতেও এই সমর্থন থাকবে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্কার এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যাপক ভিত্তিক সংলাপ শুরুর ঘোষণা দেওয়ার অনুরোধ করেন। বিএনপি নেতারা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যে শঙ্কা ও সম্ভাবনা আছে সে ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।

সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিএনপি নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কার কার্যক্রম, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এবং অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেবে সে লক্ষ্যে তারা তার সঙ্গে একসাথে কাজ করবে এবং তারা সেটার সমন্বিত অংশীদার হবেন।

বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।


রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত সংলাপ চায় বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সংলাপে বসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘অতি দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনায় বসা দরকার। তারা কী চায়, জনগণ কী চায়, আমরা কী চাই- এ বিষয়টা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। না হলে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।’

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ঢালাওভাবে মামলা না করারও আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢালাওভাবে মামলা যাতে না হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলব- আপনারা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করুন। এ বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীদেরও আহ্বান জানাব, এমন কোনো মামলা করবেন না, যাতে সারবস্তু থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। সরকারকে সহযোগিতা না করলে কিন্তু সেটা হবে না। মনে রাখতে হবে, গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া পরিবর্তন হয় না। এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাতের চক্রান্ত হচ্ছে। কিছু অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ভারত থেকে। যারা সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিচ্ছে।’

ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে ফের পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। অথচ গত ১৫ বছরে বিএনপির প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারান্তরীণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশান্তরিত করা হয়েছে। এমন কোনো নেতা-কর্মী নেই যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি অপকর্ম করে না। কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে অপকর্ম করছে, সেটার কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রায় ৫৬ থেকে ৫৭ জন নেতা-কর্মী– যারা এগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’

জামায়াত-শিবিরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই। যারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে, তারা রাজনীতি করবে, এটা তাদের অধিকার।’

গতকাল মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্যার কারণে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে যে অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা ছিল, সেটি ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচির মধ্যে শুধু দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বিষয়:

ভারত পরিকল্পিতভাবে অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে বাঁধ ছাড়ছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলকে ভয়াবহ বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়ার পর ভারত ফারাক্কার সব গেটও খুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘ভারত পরিকল্পিতভাবে অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ করছে।’ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর একটি দেশ সমর্থন দিয়েছিল। তারা বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করেনি। কিছুদিন আগে সেই দেশ তাদের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলকে ভাসিয়ে দিয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেলে। গত সোমবার ফারাক্কার ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে যখন বাংলাদেশের পানি দরকার, তখন তারা পানি দেয় না, ন্যায্য হিস্যাটুকুও তারা দেয় না। পতিত স্বৈরশাসকের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশের জনগণ বঞ্চিত হয়েছে।’

পতিত স্বৈরশাসকের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও স্বৈরাচারের পোকামাকড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরশাসকের দোসররা প্রতিবিপ্লবের জন্য চেষ্টা করছে।’ তিনি এদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

বিষয়:

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য অত্যন্ত সুদৃঢ়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা জানান। এ উপলক্ষে দেশবাসীর প্রতিও অফুরান ভালোবাসা জানিয়েছেন তিনি।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ রোববার দেওয়া বাণীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সব ধর্মই সাম্য, মানবতা, ভ্রাতৃত্ব আর ভালোবাসার কথা বলে। জন্মাষ্টমীর এই শুভ লগ্নে আমি বিশ্ব শান্তি, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ব কামনা করছি। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য অত্যন্ত সুদৃঢ়। হাজার বছর ধরেই এই অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে আসছে।’

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান স্মরণ করেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।

পল্লীবন্ধুর দেশ পরিচালনার সময়ে ১৯৮৯ সাল থেকেই ঢাকায় দৃষ্টিনন্দন ও জাঁকজমকপূর্ণ জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-ই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসবমুখর জন্মাষ্টমীতে সরকারি ছুটির ঘোষণা করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনের উৎসব ও আরাধনা নির্বিঘ্ন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব সহায়তার নির্দেশ দেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ ছাড়া নগদ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পাশাপাশি পূজা-অর্চনা এবং সারা দেশে মন্দির নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য প্রতিবছর বিপুল বরাদ্দ দিয়েছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।’

গোলাম মোহাম্মদ কাদের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত সব আয়োজনের সফলতা কামনা করেন। একই সঙ্গে দেশবাসীর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।


নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে, অনির্দিষ্টকাল নয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই।’ আজ রোববার বিকেলে সিলেটে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এ সরকার যখন দেশকে একটি স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, দেশ যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। এটি সফল হবে না।’

তিনি বলেন, ‘অতীতের সব জঞ্জাল পরিষ্কার করে সত্যিকারার্থে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। এ জন্য রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই, তবে এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়- বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাত্র তিন মাসে সব জঞ্জাল দূর করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছিলেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের একটি অংশ ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে এমন আকস্মিক বন্যা আমরা দেখিনি। ভারত তাদের বাঁধ খুলে দেওয়ায় এই ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তারা বাঁধ খুলে দেওয়ার আগে কোনো পূর্বাভাসও দেয়নি। উজানের পানির বেশির ভাগ ভারত থেকে আসে।’

তিনি বলেন, ‘অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের কোনো সুরাহা আজও হয়নি। পানি আগ্রাসনকে তারা (ভারত) অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। সিলেট থেকে এই পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। এম ইলিয়াস আলী এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যার ফলে তাকে গুম করা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত তারা জনসমর্থনহীনভাবে ক্ষমতায় ছিল, যার ফলে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা শুরু করেছিল। এবারও তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা করার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছিল। কিন্তু দেশের সাধারণ ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়ে মুখ খুলে কথা বলতে পারত না। সাংবাদিকদের ও গণমাধ্যমকে এই আইনে দমন করা হতো। এখন মানুষ বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। আমরা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বাতিল করে দেব।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার এই বিপ্লবে সিলেটের সাংবাদিক আবু তোরাবসহ অসংখ্য মানুষ পুলিশের গুলিতে শাহাদাতবরণ করেছেন। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে আমরা এই সংগ্রাম করছি। সেই থেকে আমাদের প্রায় ৭০০ জনকে গুম করা হয়েছে, প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন। প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন। তিনি কখনো মাথা নত করেননি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা আইনিভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করছি। আমরা ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সবাইকে নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের একটি তদন্ত দলও এসেছে। আমরা আশাবাদী সঠিক তথ্য পাব। সরকারও সুনির্দিষ্টভাবে এখনো কিছু বলেনি। আমরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানতে চাই।’


বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আজ শুক্রবার তার বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তহবিল গঠনবিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

জি এম কাদের বলেন, ‘বন্যাদুর্গতদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি এবং পাশে থাকব।’ একইসঙ্গে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজেও জাতীয় পার্টি দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীরা স্থানীয়ভাবে বন্যা দুর্গতদের পাশে আছে।’ তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার চাইলে আমরা তাদেরকেও সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি।’

এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কোনো সতর্কীকরণ ছাড়া ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এই ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোনো রাষ্ট্র যদি নদীর গেইট খুলে দেয় তবে অবশ্যই ভাটির দেশগুলোকে আগাম জানিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ গেইট খুলে দেওয়ার আগে ভারত সরকার বাংলাদেশকে কোনো রকম সতর্ক করেনি। এই সভা থেকে ভারতের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, মোস্তফা আল মাহমুদ, শেরীফা কাদের প্রমুখ।


পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আমীর খসরু বলেন, ‘তারা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সম্পর্কসহ সবকিছুই আলোচনায় এসেছে।’

আমীর খসরু আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া, দুই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আসলে ব্যবসা-বাণিজ্যভিত্তিক তুলনামূলক সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত ছিল। এখানে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা ছিল, যা কেবল কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে উপকৃত করেছে।

তিনি আরও বলেন, সমান সুযোগপ্রাপ্তির ক্ষেত্র (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) ছিল না। আলোচনায় আমরা বলেছি, বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে যাচ্ছে এবং আমরা দুই দেশের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রেখে তুলনামূলক সুবিধার ভিত্তিতে একে অপরকে সহযোগিতা করব।

আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, সব দিক থেকেই দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে সমন্বয় বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি- সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আমরা সব ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রেখে আমরা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

বিষয়:

নিজেদের বন্যামুক্ত রাখতে বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত: রিজভী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজেদের বন্যামুক্ত রাখে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ভারত বিপদে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিভভী বলেন, ভারত বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু রাষ্ট্র নয়। নিজেদের এলাকা বন্যামুক্ত রাখতে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেছে। এ সময় বন্যাদুর্গত এলাকায় সাহায্যের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

রিজভী বলেন, কেন জানি ভারত বাংলাদেশের মানুষ, তাদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য জীবন-যাপনের প্রতি উদাসীন। বাংলাদেশের মানুষের বাঁচা-মরা ভারত কখনোই আমলে নেয় না।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ভারতের ত্রিপুরা ধলাই জেলার গোমতি নদীর ওপর থাকা ডুম্বুর বাঁধের গেইট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে বলে মানুষের মনে ব্যাপক উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহে প্রতিবেশী দেশ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পানি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থকে বিপন্ন করছে।

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সমূহের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক বন্যার প্রকোপে বন্যা উপদ্রুত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ সমর্থকবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দেশের সামর্থবান ও ধনী ব্যক্তিদেরকেও বন্যার্তদের সাহায্য সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সামগ্রিক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই বন্যা দূর্গত মানুষ নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে আবারও নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিষয়:

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আর কোনো আইনি বাধা নেই

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে আবেদনকারী রিট না চালানোর কথা বলায় রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে কোনো পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার, পুনঃউৎপাদন না করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তথ্য সচিবের প্রতি নির্দেশনা চেয়েছিলেন।

রিটে বলা হয়, তারেক একজন ফেরারি আসামি। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে ও বেআইনিভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন। একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়। পরদিন রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেকের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন।

রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে সেই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (প্রয়াত), অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট এস এম মুনীর ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম (তৎকালীন এমপি)।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, এ রিট পিটিশনের পিটিশনার আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। আজকে মামলা তালিকায় ছিল। তিনি আজ হাইকোর্টে এসে বলেছেন, এই রিট আর তিনি চালাতে চান না। নন প্রসিকিউশন করতে চান। অর্থাৎ এ রিট পিটিশনের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। আদালত বলেছেন, আজকে থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে যে নিষেধ্জ্ঞা ছিল, আজকে থেকে আর এর কার্যকারিতা নেই। অর্থাৎ তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আর আইনি কোনো বাধা নেই।

বিষয়:

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জি এম কাদেরের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যায় কোটি কোটি মানুষের সীমাহীন কষ্টে গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, ভয়াবহ বন্যায় কোটি কোটি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে মাঠের ফসল, পুকুর ও মৎস্য খামারের শত কোটি টাকার মাছ। ঘরের আসবাবপত্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গৃহপালিত পশু-পাখি হারিয়ে সম্বলহীন হয়ে পড়েছে লাখো পরিবার। বিপন্ন কোটি কোটি মানুষ পড়েছে সীমাহীন সংকটে। মানুষের এমন দুঃসময়ে আমরা বসে থাকতে পারি না। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি সবাইকে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, জীবনরক্ষাকারী ঔষধ ও শিশুখাদ্য নিয়ে আর্ত মানুষের কাছে যেতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান স্থানীয়ভাবে জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে বন্যার্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে সার্বিক সহায়তা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।


বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যে কমিটমেন্ট তা অব্যাহত রাখবে চীন: ফখরুল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি দীর্ঘদিন পর রাষ্ট্রদূতকে পেয়ে আনন্দিত। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি চীনের যে কমিটমেন্ট তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। চীন আধিপত্যে বিশ্বাস করে না। ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে। খালেদা জিয়াকে, তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত।’ এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির যে সম্পর্ক তা আরও বৃদ্ধি পাবে। জনগণের উন্নয়নের জন্য চীনের বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে। পারস্পরিক আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে। ওয়ান চায়না পলিসিকে সমর্থন করে বিএনপি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বড় সুযোগ হয়েছে, ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। বাংলাদেশে স্থিতিশীল হবে, উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন করি, প্রত্যাশা করি অল্প কিছু দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।


চিকিৎসা শেষে বাসার ফিরছেন খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসা শেষে বাসার উদ্দেশ রওনা হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা হন। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা ‎শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত (৮ জুলাই) অসুস্থ হলে সেদিন রাতেই হাসপাতালে ভর্তি কারানো হয় খালেদা জিয়াকে। এরমধ্যে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর অসুস্থতার কারণে কিছু দিন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মুখে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার শর্ত ছিল—তিনি তার বাসাতেই অবস্থান করবেন এবং ঢাকাতেই চিকিৎসা করাবেন। শর্ত মেনে এর পর থেকেই তিনি তার ভাড়া করা বাসভবন ফিরোজায় সময় পার করছেন।

আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুরক্ষা সেবা বিভাগ কারা-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লার সইয়ে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে অসুস্থ থাকায় এরপরও তিনি হাসপাতালেই অবস্থান করছেন। এমনকি সেখান থেকেই বিএনপির এক কর্মসূচিতেও ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্যও দিয়েছেন।


banner close