বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর  

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৪ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৩৫

নিরীহ নারী-শিশু ও সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পর পশ্চিমা বিশ্বের এইড ওয়ার্কারদেরও যে অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, ইসরায়েলে সে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ হবে- এমন আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক ও অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম স্মরণসভা শেষে বুধবার ইসরাইলি হামলায় যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ডের নাগরিকসহ ৭ জন এইড ওয়ার্কার নিহতের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ হামলায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতা, নৃশংসতা ও মানুষ হত্যার মহোৎসব থামছেই না। সেখানে এইড ওয়ার্কারদের হত্যা করা হয়েছে। এটি কল্পনারও বাইরে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইসরাইল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকেও তোয়াক্কা করছে না। আমি আশা করব, এই ঘটনার পর পশ্চিমা বিশ্বের বোধদয় হবে এবং তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সরকার যেকোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। অবশ্যই আমরা দুই রাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করি, কিন্তু ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সেখানে শান্তি নিহিত, অন্যথায় সে অঞ্চলে কখনও শান্তি স্থাপিত হবে না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করব, যারা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে, সেই অস্ত্র যে নিরীহ নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষকে হত্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে, এমন কি তা দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের এইড ওয়ার্কারদেরও হত্যা করা হচ্ছে, এর পরে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ হবে।’

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি এবং সাপ্তাহিক গণবাংলা পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও এম এ বাশারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, প্রয়াত আতাউর রহমানের কন্যা ফারদিন রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদ প্রমুখ।


দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন আগেও দেখেছি: জি এম কাদের

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ধুমধাম করে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচনের কাজ আগেও দেখেছি। ক্যাসিনো নিয়ে যাদের ধরা হয়েছিল, তারা এখন বহাল তবিয়তে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

আজ বুধবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের দেওয়া সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ধারণা, সরকারে থেকেই রাজনীতিবিদরা দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহার করে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। সরকার এত ক্ষমতাবান হয়ে গেছে, তারা জবাবদিহির স্তম্ভগুলো পাশ কাটিয়ে যেতে পারছে। জবাবদিহি না থাকার কারণেই দেশে অর্থনৈতিক মন্দা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নিরাপত্তার অভাব এবং ভালো দেশের আশা থেকে মানুষ নিরাশ হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দুদকের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে। আমরা দেখেছি, দুদক সবসময় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দিকে বেশি দৃষ্টি দেয়। অনেক বড় রুই-কাতলা সরকারের সঙ্গে থাকছেন, সরকারের আনুকূল্য পাচ্ছেন, তাদের দিকে দুদকের দৃষ্টি কম। সাধারণ মানুষের ধারণা, দুদক ক্ষমতাসীনদের ধরে ধরে ক্লিন সার্টিফিকেট দেয়।’

‘রাজনীতিবিদরা দেশের সব কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতিবিদদের হাতেই দেশের স্টিয়ারিং হুইল থাকে। রাজনীতিবিদরা যেদিকে দেশকে নিয়ে যাবেন, দেশ সে দিকেই যাবে। রাজনীতিবিদরা চাইলেই আমলারা দুর্নীতিবাজ হতে পারেন। রাজনীতিবিদরা চাইলেই ব্যবসায়িরা রাজনীতিবিদ হয়ে দুর্নীতিবাজ হতে পারেন। এটা প্রতিদিন বেড়েই চলছে’- যোগ করে বললেন বিরোধীদলীয় নেতা।

তিনি বলেন, ‘উদ্ধার পেতে হলে রাজনীতিবিদদের দিকেই দৃষ্টি দিতে হবে। কাউকেই আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া ঠিক না। আইনের শাসন অর্থ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। সরকারের দায়িত্ব ছিল এটা নিশ্চিত করা, যত ক্ষমতাধরই হোক, সবাইকে আইনের আওতায় থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি হঠাৎ করে দেখা গেছে, হঠাৎ করে শুরু হয়নি। রাজনীতিবিদরাই দীর্ঘদিন ধরে দেশের দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। রাজনীতিবিদরাই দুর্নীতিকে সহায়তা করেছেন। আমলাদের দুর্নীতি থেকে রাজনীতিবিদরাই মুনাফা নিয়েছেন।’

তাই দুর্নীতি রোধ করতে হলে রাজনীতিবিদদের টার্গেট করতে হবে। কাউকেই আইনের ঊর্ধ্বে রাখা যাবে না। আইনের শাসন নিশ্চিত হলেই জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত হবে বলেও জানান তিনি।


দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স, কেউ দুর্নীতি করে ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিআরটিসির বিমানবন্দর শাটল বাস সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি মনে করি দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক আছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান জিরো টলারেন্স। তিনি এক্ষেত্রে অটল। দুদক সম্পূর্ণ স্বাধীন।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি যেই করুক এক্ষেত্রে সরকারের জিরো টলারেন্স। দুদকের দুর্নীতির তদন্ত করার অধিকার রয়েছে এবং এখানে সরকার তাদের স্বাধীনতায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। সারা বিশ্বেই দুর্নীতি আছে। বাংলাদেশেও দুর্নীতি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দুর্নীতি শুধু আমলারা করে, রাজনীতিবিদরা করে না-সেটা ঠিক নয়। যখন আমরা কথা বলি তখন আয়নায় নিজেদের চেহারাও দেখা উচিত। আমি একজন পলিটিশিয়ান দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি, কিন্তু আমাদের মধ্যেও তো করাপশন রয়েছে।’

এর আগে ওবায়দুল কাদের ফিতা কেটে আগত দেশি বিদেশি পর্যটক, রেমিটেন্স যোদ্ধা এবং সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে বিমানবন্দর শাটল বাস সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন করেন।

বিমানবন্দর শাটল বাস সার্ভিসের রুটগুলো হলো বিমানবন্দর টার্মিনাল-২ বিমানবন্দর গোলচত্বর উত্তরা জসীম উদ্দীন রোড, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ বিমানবন্দর গোলচত্বর বিমানবন্দর টার্মিনাল-২।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


খালেদার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপির নেতারা: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলটির (বিএনপি) নেতারা রাজনীতি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে বিএনপি অযথাই আইনি লড়াই প্রলম্বিত করেছে।’

ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ফখরুল সাহেবরা অনেক কথা বলেন। কিন্তু তারা খালেদা জিয়ার জন্য একটি দৃশ্যমান আন্দোলনও করতে পারেননি। লিগ্যাল ব্যাটলকে প্রলম্বিত করে তারা মামলার বিষয়টিকে এত দূর নিয়ে এসেছেন। সত্যি কথা বললে, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তারা রাজনীতি করছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত করে কিছু পায়নি। মামলা দায়ের হওয়ার পর খালেদা জিয়া কোর্টে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিলেন, যা মামলার রায় ঘোষণাকে প্রলম্বিত করেছে।’

‘আওয়ামী লীগ সরকার উন্নত চিকিৎসায় বাধা দিয়ে খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলতে চায়’ বিএনপি নেতাদের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া জেলের বাইরে এসে যে চিকিৎসা নিতে পারছেন, নিজের বাসায় থাকতে পারছেন এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতা ও উদারতার কারণে। তাকে কেন আমরা হত্যা করব?’

তিনি বলেন, হত্যার রাজনীতি তো শুরু করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। তারা এ দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। আমরা এর শিকার। আমরা কাউকে হত্যা করিনি, ষড়যন্ত্র করিনি।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এপর্যন্ত এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এতে মোট টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকার কিছু বেশি। ছয় কিস্তিতে অর্থ বিভাগের ৯৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২৭শে জুন সপ্তম ও অষ্টম কিস্তিবাবদ ৩১৪ কোটি টাকার চেক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৩২ হাজার ৬শ পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু থেকে এরই মধ্যে সুফল ভোগ করছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার প্রায় তিন কোটি মানুষ।’

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিক দেশের বৃহত্তম প্রকল্প জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকল্পটি হজরত শাহজালাল বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা হতে শুরু হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে।’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯ শত ৪০ কোটি টাকা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৭৪ দশমিক ৮১ ভাগ।’


যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী পালন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনন্দ এবং উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী বা ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় । পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক পাঠ এবং জাতীয় সংগীত ও দলীয় থিম সংগীত পরিবেশন এবং বেলুন ওড়ানোর মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার কাজ শুরু করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক জনাব মোহাম্মদ আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান ঢাকা থেকে টেলিফোনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বিগত পঁচাত্তর বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্দোলন, সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং অর্জনের গৌরবগাঁথা ইতিহাসের কথা বক্তব্যে তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (বাকসু) সাবেক সাধারন সম্পাদক (জিএস) বাবু ড. প্রদ্বীপ কর।

প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সিনেট সদস্য নিজাম চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাছিব মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।

বিশেষ অতিথি মাহবুবুর রহমান এবং ড. প্রদীপ কর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য দেন।

প্রধান আলোচক নিজাম চৌধুরী বিগত ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ মানে উন্নয়ন, আওয়ামী লীগ মানে এগিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগ মানে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ।’

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হুসাইন এবং শওকত আকবর রিচি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহ বখতিয়ার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুব লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গীর, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, নির্বাহী সদস্য খোরশেদ খন্দকার, আসাফ মাসূক, কায়কোবাদ খাঁন, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম, সৈয়দ আতিকুর রহমান।

কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি জিহাদুল হক জেহাদ ও সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা কফিল চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত তালুকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ সেলিম, যুবলীগ নেতা শেখ জামাল হুসেন, শেখ হাসিনা মঞ্চের সভাপতি জালাল উদ্দিন জলিল, উপদেষ্টা আকতার হোসেন প্রমুখ।

বিষয়:

খালেদা জিয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১০ জুলাই

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৫ জুন, ২০২৪ ১৫:৩৯
বাসস

গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড (গ্যাটকো) দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা-৩ বিশেষ আদালতের বিচারক আলী হোসেনের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা শুনানি করেন। আজ শুনানি শেষ না হওয়ায় আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। এতে আসামি করা হয় চার দলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে।

মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

এ মামলার আসামি ২৪ জনের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানসহ আটজন মারা গেছেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামির সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বর্তমানে খালেদা জিয়াসহ এ মামলার আসামি ১৫ জন। অন্যরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আনছার, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন গ্যাটকো পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন ও বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন।


বিএনপির নেতাদের মুখে দেশের স্বার্থের কথা ‘বড্ড বেমানান’: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির নেতাদের মুখে দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা ‘বড্ড বেমানান’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলেন। অথচ শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করেন। প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও উঠে এসেছে।

আজ সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান। কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ ছিলো। এই সফরে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি ও অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। যেখানে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এবং ১৩টি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এসেছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সবসময় দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার পরিচালনা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র যে কোনও নীতিতে তার প্রধান বিবেচ্য দেশের জনগণের স্বার্থ ও নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরও এর ব্যতিক্রম নয়।

বিএনপি ও মির্জা ফখরুলরা কখনও বর্তমান সরকারের সফলতা দেখে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে কৌশলগতভাবে সম্পর্ককে জোরদার করতে হবে। শেখ হাসিনা এই সফরে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। বিএনপির শাসনামলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ হাসিনা এই আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ভারতের ই-মেডিক্যাল ভিসা চালুর সিদ্ধান্তে দুই দেশ ঐকমত্য হয়েছে। এতে বাংলাদেশের জনগণের ভোগান্তি কমবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন রুটে বাস-ট্রেন চালু এবং নতুন উপ-হাইকমিশন খোলার ঘোষণা দুই দেশের মানুষে-মানুষে সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। তিস্তায় পানি বণ্টন ছিল এই সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতদ্বৈততা রয়েছে। এই সমস্যা থাকার পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুস্পষ্টভাবে তিস্তার পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে ভারত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ দখল করে নিয়েছিলো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দুই দেশের সীমানা জটিলতা নিরসনে সীমান্ত ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করা হয়।

তিনি যোগ করেন, বিএনপি সেই দল, যারা ভারতের নির্বাচনে বিজেপির জয়লাভের পর ভারতীয় দূতাবাসের দরজা খোলার আগেই অভিনন্দন জানাতে মিষ্টি ও ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিলো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপি আজ বাংলাদেশে ভারতবর্জন ও ভারতবিদ্বেষী রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। এটা তাদের চিরাচরিত দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর তার কন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকার প্রধান, যিনি যে কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক দরকষাকষি করে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাপূর্ণ স্বার্থ সুরক্ষিত করেছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে বলে আশা করেন।


খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে বসানো হলো পেসমেকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টায় এ তথ্য জানিয়েছেন ডা. জাহিদ।

তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লকও ধরা পড়েছিল। সেখানে একটা স্টেন্টও (রিং) লাগানো ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার হার্টে পেসমেকার বসানো হয়েছে।’

পেসমেকার হলো হৃৎস্পন্দন নিয়মিত রাখার কৃত্রিম বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বৈদ্যুতিক স্পন্দন তৈরি করে হৃদপেশিতে পাঠায় এবং হৃদপিণ্ডের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যখন হৃদপিণ্ডের নিজস্ব পেসমেকার বা এসএ নোড যথেষ্ট পরিমাণে বা গতিতে ‘ইমপাল্স’ তৈরি করতে না পারে বা হৃদপিণ্ডের তড়িৎ পরিবহনের রাস্তা আটকে যায়, তখন হৃদপিণ্ডের গতি একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হলো পেসমেকারের প্রাথমিক কাজ, যাতে হৃদপিণ্ড ঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

এর আগে গত ২ মে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুই দিন চিকিৎসা দিয়েছিলেন। গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। সে সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পর তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ৬ মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।


শেখ হাসিনার উন্নয়ন অনেকে দেখতে পায় না: কাদের

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় আজ রোববার বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ জুন, ২০২৪ ১৮:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র চলছে দেশি-বিদেশি। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অনেকে দেখতে পায় না। একটি দল অন্তরজ্বালায় জ্বলছে। ওরা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। পূর্ণিমা রাতে অমাবস্যার অন্ধকার দেখে। এরা আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। তারা আমাদের দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করেছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। ১৫ ও ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারা। সেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

আজ রোববার আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করেন, সকলের কাছে আহ্বান, আমাদের ভুলত্রুটি নেই এটি বলব না। তারপরও শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র আস্থার ঠিকানা। আসুন, সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতকে শক্তিশালী করি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সবচেয়ে কীর্তি নিজের টাকায় পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে চোর অপবাদ দিয়ে সরে গিয়েছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমি নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব। তিনি প্রমাণ করেছেন, আমরা বীরের জাতি, আমরাও পারি। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক, সাহসের প্রতীক।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই অর্জনের জনক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই দেশের আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় দুটি লিগ্যাসি তৈরি হয়েছে। একটি স্বাধীনতার জন্য, এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি নেই। তার মৃত্যু নেই। তিনি আছেন অমর হয়ে। আরেকটি লিগ্যাসি অর্থনৈতিক মুক্তির, সেটি শেখ হাসিনার। যতদিন বাংলা আছে, ততদিন শেখ হাসিনাও অমর হয়ে থাকবে। তিনি আমাদের ম্যাজিশিয়ান অব পলিটিক্স।


আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীদের ঢল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ জুন, ২০২৪ ১৫:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভায় অংশ নিতে দলে দলে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা। আজ রোববার বিকালে এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বক্তৃতা করবেন।

সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকগুলো বেলা সাড়ে ১১টায় খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন।

জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর শুরু হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পায় বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এ দলে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা, যিনি টানা চার মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছেন।

আলোচনা সভায় অংশ নিতে আসা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জি এম আরিফুজ্জামান বলেন, ‘গৌরবময় ৭৫ বছরের পথচলায় আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের জন্য নানা অবদান রেখেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এছাড়া ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এ দলটি মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছে। তাই এই দলের প্রতি মানুষের এত ভালোবাসা।’

বিষয়:

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রতিহত করাই আ. লীগের আগামীর চ্যালেঞ্জ: কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ জুন, ২০২৪ ১২:৩১
বাসস

বর্ণচোরা বিএনপির নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করাই আওয়ামী লীগের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার সকালে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, ‘আমাদের দলের জন্মদিনে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে আমাদের রক্তমূল্যে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করব। আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বর্ণচোরা বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের নামে এই বর্ণচোরারা ভাঁওতাবাজি করে। সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শত্রু আজ আমাদের অভিন্ন শত্রু।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই সাম্প্রদায়িক অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়। আজ আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের আজ শপথ এই অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে এবং আমাদের বিজয়কে আমরা সুসংহত করব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করব। এটাই আজকের দিনের শপথ।’

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথ সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জানিয়ে দলটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এক কথায় বলতে পারি, সংগ্রাম, সাফল্য ও সংস্কৃতির বর্ণিল প্রতিভাসের নাম আওয়ামী লীগ। দুটি পর্বে আমাদের এই সংগ্রাম, আন্দোলন, অর্জন উন্নয়নকে যদি ভাগ করি একটি অংশে স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা কেন্দ্রাতীত শক্তি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পলাশীতে ১৭৫৭ সালে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালে সে সূর্য আবার উদিত হয়েছিল। উদিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথকে সামনে রেখে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়ে প্রতিরোধের দাবানল ছড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা ওড়াই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ছয় বছর পর শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অন্ধকারে আশার আলো হয়ে এসেছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। তিনি এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুত্থান হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন বাংলাদেশের জন্য সারা পৃথিবীতে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বব্যাংককে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন আমরাও পারি। আমাদের সামর্থ্যের প্রতীক, আমাদের সক্ষমতার প্রতীক এই পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবারি গভীর সমুদ্র বন্দর, স্যাটেলাইট, ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা,ছিটমহল সমস্যার সমাধান এসব অর্জন বঙ্গবন্ধুর কন্যার।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির সফর নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা নিয়ে এসেছেন সেটা নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি­ গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে যাননি। বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে এখানে যা বলার দরকার কোনো কিছু বলতে সংকোচ করেননি। ভুলে যাননি।

এর আগে সকাল ৭টায় আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে দলের অন্যান্য নেতারাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।


আ. লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে আজ রোববার সকালে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এই দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে শুধু আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে বিকাশ লাভ করে।

এর আগে আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে সকাল ৭ টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

পরে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা তার দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আরেক দফা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আামির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজি জাফরুল্লাহ, শাজাহান খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি ও ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএমমোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন, এম এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসিম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। এ সময় নেতাকর্মীদের ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ‘শুভ শুভ শুভ দিন আওয়ামী লীগের জন্মদিনসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এছাড়া যুবলীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ছাত্রলীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগ, ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিষয়:

জন্ম থেকেই মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে আ.লীগ

আপডেটেড ২৩ জুন, ২০২৪ ০০:১৮
ফারাজী আজমল হোসেন

আজ ২৩ জুন উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা প্লাটিনাম জয়ন্তী। জন্মলগ্ন থেকেই দলটি এদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও উন্নয়নের স্বপ্নযাত্রার সারথি। নানা সংকট, সংগ্রাম আর চরম জুলুম-নির্যাতন, নিপীড়ন অতিক্রম করে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে প্রগতি আর উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়। যখন পশ্চিম পাকিস্তানের নির্যাতন ও একচেটিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে কোণঠাসা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম, তখন সাধারণ মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে একমাত্র দল হিসেবে এগিয়ে আসে সেটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। ফল হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন দলটি।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কে এম দাস লেনের ‘রোজ গার্ডেন’ প্যালেসে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। ১৭৫৭ সালের এই ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতারা দলের আত্মপ্রকাশের দিন হিসেবে এ তারিখটি বেছে নিয়েছিলেন দেশের মানুষের মুক্তির পথে যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে।

প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে বন্দি ছিলেন। সেই অবস্থায় তাঁকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অন্যদিকে পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। এর সভাপতি হন গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু নিজেকে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের এক বিরাট চ্যালেঞ্জে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দেশের ভেতর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির নানা ষড়যন্ত্র ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু সফলভাবে বাংলাদেশের পুনর্গঠনের কাজটি করেছিলেন তাঁর সততা ও অসাধারণ দেশপ্রেমের কারণে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তাকে হত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয় তার নেতৃত্বে যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়নকে। কেননা, পাকিস্তান যখন ১৬ ডিসেম্বরের আগেই দেশের রিজার্ভ শূন্য করে চলে যায়, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে এবং দেশের অধিকাংশ সড়ক, রেল ও নৌপথ বিধ্বস্ত করে যায়, তখন পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও নেতা-কর্মীদের কথায় বেশ স্পষ্ট ছিল যে, বঙ্গবন্ধুরে নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থরাষ্ট্র হতে যাচ্ছে। কিন্তু মাত্র ৩ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের এমন বক্তব্য থমকে যায়। এমনকি তৎকালীন সময় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়া হেনরি কিসিঞ্জারও বাংলাদেশের এই উন্নয়নকে ভালোভাবে নেননি। আর বাংলাদেশকে ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত করার অংশ হিসেবেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেষ রাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আর এর মাধ্যমে থমকে যায় একটি সদ্য স্বাধীন দেশের উন্নয়নের পথের অগ্রযাত্রা, যা আবারও গতি পায় ১৯৯৬ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর।

জন্ম থেকেই স্বৈরচারী শাসকদের বিরুদ্ধে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালে থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টানা স্বৈরশাসকরা অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা যখন করে রাখে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা জিয়াউর রহমানের পর ক্ষমতায় আসেন আরেক স্বৈরশাসক হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। তবে এদের বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে রাজপথে লড়াই করেছে আওয়ামী লীগ।

১৯৮১ সালের ১৭ মে জীবনের মায়া উপেক্ষা করে দেশে ফিরে সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। গত ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে নিরলসভাবে দলটির নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন দমনে চলে খুন, হত্যা, জেল, জুলুম, নির্যাতন। রক্তের সিঁড়ি বেয়ে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের ঢেউয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ। এরশাদের পতন ত্বরান্বিত ও গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয় ১৯৯০ সালের ১৯ নভেম্বর। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনতার সম্মিলিত আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। অস্থায়ী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। অবসান হয় স্বৈরশাসনের, আর মুক্তি পায় গণতন্ত্র। এর পরও নানা ষড়যন্ত্রের কারণে গণতন্ত্রের পথচলা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ।

সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী। জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। তবে যখন অসাংবিধানিকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে এই সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করে রাখে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় রাজপথে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দ্রুততম সময়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রদানে বাধ্য করতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। আবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সাংবিধানিক ভিত্তিতে পরিচালিত হতে থাকে দেশ যা এখনো চলমান রয়েছে।

অর্জনে পরিপূর্ণ আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। প্লাটিনাম জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন করলেও সরাসরি সরকার গঠন করে দলটি ভূমিকা রাখতে পেরেছে এখন পর্যন্ত সাতবার। এর মধ্যে যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভায় পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের কারণে নিজ মেয়াদ পূরণ করতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে একাত্তরে পাকিস্তানের হত্যাযজ্ঞের পর দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন হলে আবারও ৩ বছরের কিছু বেশি সময়ের জন্য সরকার গঠন করে দলটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সামরিক শাসনের জাঁতাকালে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ পূর্ণ মেয়াদে তার মন্ত্রিসভার কার্যকাল পূরণ করে। এরপর ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টানা চারটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ দীর্ঘ এ সময়ে বাংলাদেশে অর্জনের তালিকাটা অনেক লম্বা।

এদিকে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বাণীতে শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে ‘ডেল্টা পরিকল্পনা’ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে তিনি দলের সব নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি

৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আজ সূর্য উদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।

সকাল ৭টায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধিদল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।


‘৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আগামীকাল রোববার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আজ শনিবার (২২ জুন) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সবাই প্রস্তুত। গতকাল থেকেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন এ দেশের স্বাধীনতা। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জন এ দেশের উন্নয়ন। বিজয়কে এখনো সুসংহত করতে পারিনি, সাম্প্রদায়িকতা এখনো বিজয়ের প্রধান অন্তরায়। ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি।

কাদের বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বার্তা হলো নতুন প্রজন্ম এবং নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন। রাজনীতি মানুষের জন্য, মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে এবং থাকবে।

রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য অপতৎপরতা চালাচ্ছে একটি মহল এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে।


banner close