শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১

ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: বঙ্গভবন প্রেস উইং
আপডেটেড
৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:৪৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৪৩

দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ-প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাঙালি জাতিকে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

জাতীয় সংসদকে দেশের জনগণের ‘সকল প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আবদুল হামিদ সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘স্বাধীন সার্বভৌম এ দেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ। আপনারা জনপ্রতিনিধি, তাই জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মমর্যাদাশীল বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে।

প্রতিবারের মত এবারও মন্ত্রিসভার ঠিক করে দেয়া ১৬৮ পৃষ্ঠার ভাষণের সংক্ষিপ্তসার অধিবেশনে পড়েন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটাই সংসদে তার সর্বশেষ ভাষণ। দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের পর আগামী এপ্রিলে বিদায় নেবেন তিনি।

সংসদের প্রথম এবং নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ দেয়ার বিধান রয়েছে। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর একটি ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হয়। পুরো অধিবেশনজুড়ে ওই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। আলোচনা শেষে রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

বিকেল ৪টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

অধিবেশন শুরুর পর শোক প্রস্তাব আনা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেক, শাহ মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আলাউদ্দীন আহাম্মদ, মো. মসিউর রহমান, এস এম ফারুক, মো. শাহজাহান খানের মৃত্যুতে সংসদ শোক প্রকাশ করে।

এছাড়া জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অফিস সহায়ক মো. মাহবুব আলম প্রধানের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের মা গীতা রাণী দাস, সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলির বাবা মোশারেফ হোসেন (কালু), সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমের মা মোসাম্মৎ রিজিয়া বেগম, চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি, ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার এদসন আরান্স দো নাসিমেন্তো পেলে, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক সরকার, পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাইফুজ্জামান ফুল, স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর স্ত্রী অনিতা চৌধুরীর মৃত্যুতে সংসদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করা হয়। মৃত্যুবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে সংসদে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এরপর সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন হয়।

সংসদ কক্ষে রাষ্ট্রপতি ঢোকার পর নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। স্পিকারের ডান পাশে রাখা চেয়ারে তিনি আসন নেন।

স্পিকারের অনুরোধের পর রাষ্ট্রপতি তার লিখিত ভাষণের সংক্ষিপ্তসার পড়া শুরু করেন। এসময় তার মূল বক্তব্য ‘পঠিত’ বলে গণ্য করার জন্য স্পিকার শিরীন শারমিনকে অনুরোধ জানান আবদুল হামিদ। স্পিকারের আসনের বাম পাশে রাখা ‘রোস্ট্রামে’ দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন তিনি।

মূল ভাষণের সংক্ষিপ্তসারে রাষ্ট্রপতি অর্থনীতি, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, খাদ্য-কৃষি, পরিবেশ-জলবায়ু, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের কার্যক্রম ও সাফল্য তুলে ধরেন। এছাড়া দেশে আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখা এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এছাড়া মহামারী ও যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে এর প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদ।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ আমরা অতিবাহিত করছি। ২০২২ সাল ছিল চ্যালেঞ্জের একটি বছর। সমগ্র বিশ্বই পার করছে এক কঠিন সময়। করোনা অতিমারি আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করে অর্থনীতির গতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হলেও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে শ্লথ করেছে। তারপরও ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’-এ নীতির ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারকরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য করা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর স্পিকার শিরীন শারমিন সংসদের বৈঠক রোববার বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত মুলতবি করেন।


মার্চে সড়কে নিহত ৬০৪, আহত সহস্রাধিক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

গত মার্চ মাসে দেশে সড়কে দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ৮৯ জন ও শিশু ৯৭টি। শনিবার (১২ এপ্রিল) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদেন এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, মার্চে দেশে ৫৮৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন।

৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

এতে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৩৩ জন, যা মোট প্রাণহানির ৪১.২২ শতাংশ। পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৯ জন (১৮.০৪ শতাংশ) এবং যানবাহনের চালক ও সহকারী ৯৮ জন (১৬.২২ শতাংশ)।

এই সময়ে ৬টি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৪ জন আহত হয়েছেন। ১৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৩৩ জন (৩৮.৫৭ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩২ জন (৫.২৯শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রাম ট্রাক-কার্গো ট্রাক আরোহী ৫৬ জন (৯.২৭শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ আরোহী ১৭ জন (২.৮১শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১১৯ জন (১৯.৭০শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম) ২৭ জন (৪.৪৭শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১১ জন (১.৮২শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২২৮টি (৩৮.৮৪ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৫৬টি (৪৩.৬১শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি (১২.২৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩১টি (৫.২৮শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

এছাড়াও ১৫৩টি (২৬.০৬ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৫৮টি (৪৩.৯৫ শতাংশ) গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৩টি (১৯.২৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়ায়, ৪৭টি (৮ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত এবং ১৬টি (২.৭২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

এদিকে প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি প্রধান কারণ উল্লেখ করে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা ও শারীরিক সমস্যা, ট্রাফিক আইনের অজ্ঞতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপ এবং চাঁদাবাজি।

এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশ দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষ চালক তৈরি, চালকের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রেল ও নৌপথ সংস্কার।


আগুনের ঘটনা দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃত: পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন লাগার ঘটনা কোন দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃত বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

শনিবার দুপুরে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে এই কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কন্ট্রোল রুম থেকে আমাকে জানানো হয়েছে ভোর পাঁচটা পাঁচ মিনিটে এই ঘটনা ঘটেছে। আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছে, এটি এক্সিডেন্টাল কোন বিষয় না। কেউ ইনটেনশনালি এটি করেছে। এটুকু আমরা নিশ্চিত।

পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এটির চতুর্পাশে প্রচুর ক্যামেরা। আমাদের ইনভেস্টিগেটিং টিম আসতেছে। ডিজিটাল রেকর্ডগুলো আমরা নিবো। ফরেনসিক করবো। এই মুহূর্তে বলার স্কোপ আসেনি যে, কারা এটি করেছে বা কারা করেনি। ইনভেস্টিগেশনে এটি বের হবে।

নজরুল ইসলাম বলেন, তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিগত সরকারের সরকারপ্রধান, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মোটিফ পোড়ানো হয়েছে। সেটি পোড়াতে গিয়েই কবুতরের আংশিক অংশ পোড়ানো হয়েছে। সুতরাং এই কাজটি যারা পছন্দ করেনা তারাই এটি করবে, এটি অনুমান। তবে আমরা তদন্ত করবো। ভিডিও ফুটেজ দেখে কে আগুন লাগিয়েছে তাকে ধরতে পারলে এটির মাস্টারমাইন্ড কারা সেটি বের করা যাবে।

নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ এবং প্রক্টরিয়াল টিম ছিলো। শুনেছি, ঘটনার সময় প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা নামাজে গেছে নামাজের সময় হওয়ার কারণে। আর পুলিশের টিম সম্পর্কে আমি এখনো ডিটেইলস জানি না। পুলিশের দশজন এখানে থাকে। গেইটে সাতজন আর যেখানে তৈরি করা হচ্ছে সেখানে ৩ জন থাকে। তাদের এখনো আমি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি।

জিজ্ঞাসাবাদের পরে জানতে পারবো তারা কই ছিল, কী অবস্থায় ছিল বা কিভাবে এই আগুন লেগেছে। তাদের কাছ থেকে কিছুটা তথ্য পাওয়া যাবে। আর ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে আরও ভালো তথ্য পাওয়া যাবে।

নজরুল ইসলাম বলেন, এটি নিয়ে আমরা একটি কমিটি করবো। যারা সাইবার নিয়ে কাজ করে তাদেরকে ইনফর্ম করা হয়েছে।


এ কে খন্দকারের নামে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটির নামকরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি কুর্মিটোলার নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার’ রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলার বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে এই নামকরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিমানবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর ও জাতির ইতিহাসের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন, যাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই ঘাঁটিটির নামকরণ করা হয়েছে।

এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম কেবল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, বরং একজন দূরদর্শী নেতাও ছিলেন। যিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবিচল নিষ্ঠা, কৌশলগত প্রজ্ঞা এবং অদম্য সাহস জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠিন মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।

স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন এবং তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিমানবাহিনী পুনর্গঠন করতে সক্ষম হন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান এবং এই বাহিনীর উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখায় এই ঘাঁটির নামকরণ করে তাঁকে ও তাঁর উত্তরসূরিদের সম্মানিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশপ্রেম ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রদান করা হয়। এ ছাড়া, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর অসাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’-এ ভূষিত করে।

নামকরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সহকারী বিমানবাহিনী প্রধানগণ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকারের এয়ার অধিনায়ক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং অন্য পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


তদন্ত কার্যক্রম ও বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে : চিফ প্রসিকিউটর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত কার্যক্রম এবং বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারদের সাথে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

এ প্রক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ সমন্বিত এবং পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পলাতক সুবিধাভোগীরা বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে তদন্ত কার্যক্রম এবং বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিতভাবে তদন্ত কার্যক্রম এবং প্রসিকিউটরদের সম্পর্কে গুজব বা ভুল তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে বা মিথ্যা অপবাদ প্রদান করে জনমনে বিশেষত শহীদ পরিবারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রসিকিউশন।

এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর অভিযোগ আনয়নের লক্ষ্যে বিপুল অর্থ ব্যয়ে ব্রিটেনের বিখ্যাত ল ফার্ম ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ২২ মামলায় (মিস কেস) ১৪১ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ৫৪ জন গ্রেফতার ও ৮৭ জন পলাতক রয়েছেন বলে জানায় প্রসিকিউশন।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই- আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দেড়-দুই হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন। ২৫ হাজারের মতো ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার জলজ্যান্ত প্রমাণ রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে আমরা সেটা প্রমাণ করতে সক্ষম হবো এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবো।’

প্রসিকিউশনের উপস্থাপিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মোট ৩৩৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ৩৯ টি তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্টার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেইস হয়েছে ২২টি। এইসব মিস কেইসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন। এর মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন ৫৪ জন, আর ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক ৮৭ জন।

প্রসিকিউশন জানায়, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো, চানখারপুল হত্যাকাণ্ড, রামপুরা কার্নিশে ঝুলে থাকা ব্যক্তিকে গুলির প্রেক্ষিতে করা শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত শেষ বা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমে চিফ প্রসিকিউটর সহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। আর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় মোট তদন্তকারী কর্মকর্তার সংখ্যা বর্তমানে ২৪ জন। তদন্ত সংস্থার সকল সদস্যই পুলিশ বাহিনী থেকে প্রেষণে বা চুক্তিভিত্তিক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের এক রায়কে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠে ছাত্র সমাজ। তাদের ওপর সরকারের দমন পীড়নের প্রেক্ষিতে জনতা এসে শরীক হয় ছাত্রদের সাথে। শুরু হয় ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলন। এ আন্দোলন নির্মূলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে হত্যা গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। টানা ৩৬ দিনের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়। আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।


চারুকলার শোভাযাত্রার ভাস্কর্যে আগুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১৪:০৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তৈরি রাক্ষসী ফ্যাসিস্ট মুখাবয়ব এবং শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এই বিষয়ে চারুকলা বিভাগের ডিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখ এবং ১৪৩২ সালের বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য বর্ষবরণ ও ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্ষবরণ বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় তৈরি রাক্ষসী ফ্যাসিস্টের প্রতীকী মুখাবয়বসহ বিভিন্ন প্রতীকী প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছিল।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনককে যে আজ ১২ এপ্রিল ভোর আনুমানিক ৪টা ৫০ মিনিটে অনুষদের দক্ষিণ গেটের কাছে স্থাপিত প্যান্ডেলের ভেতরে রাখা সেই সব প্রতীকী প্রতিকৃতির মধ্যে রাক্ষসী ফ্যাসিস্টের প্রতীকী প্রতিকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে কে বা কারা আগুন দিয়েছে।

ঘটনার তদন্তের জন্য শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে ৫টার মধ্যে আগুন লাগানো হয়েছে। কারণ সেই সময় কর্তব্যরত ভ্রাম্যমাণ দলের সদস্যরা ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। সম্ভবত সেই সময়ের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটেছিল।’

সূত্র: ইউএনবি


ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে আজ ঢাকায় 'মার্চ ফর গাজা'

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার লক্ষ্যে আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে 'মার্চ ফর গাজা'র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ এই সমাবেশের আয়োজন করে। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজার হাজার মানুষের জড়ো হওয়ার কথা রয়েছে।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর শেখ ফজলুল করিম মারুফ জানান, বিকাল ২টায় পাঁচটি পয়েন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে বিকাল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করা এবং ফিলিস্তিনের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করাই এ সমাবেশের উদ্দেশ্য।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুহাম্মদ আবদুল মালেক।

একই স্থানে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য খাতের শীর্ষ নেতারা মঞ্চে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এবং সমাকবেশস্থলে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে শুক্রবার(১২ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বৈঠকস্থল পরিদর্শন করেন।

ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর পাশাপাশি বিভিন্ন খাতের বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা ও পেশাজীবীরা 'মার্চ ফর গাজা' সমাবেশের আয়োজন করে।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম 'মার্চ ফর গাজা' শিরোনামে একটি ফেসবুক ইভেন্ট তৈরি করেছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৭৩ হাজার মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ৬ হাজার ৩০০ জন তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।

আয়োজকদের মতে, ফিলিস্তিনের সমর্থনে ঢাকায় এটিই হবে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ।

তারা সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন অঙ্গনের লোকদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার তালেবুর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে সমাবেশকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তায় ডাইভারশনসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।


শনিবার ঢাকার বাতাসে মান ‘মধ্যম’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১৯টি শহরের মধ্যে শনিবার সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে ঢাকার স্থান ৭৮তম। বাতাসের মান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ৫৫। বাতাসের এ মানকে ‘মধ্যম বা গ্রহণযোগ্য’ বলে ধরা হয়।

একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

চীনের উহান, পাকিস্তানের লাহোর ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ২২৬, ২১১ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


রেলওয়ের হাসপাতালগুলোতে সাধারণ মানুষকেও চিকিৎসা দেয়া হবে

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের সিআরবিতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: বাসস
আপডেটেড ১২ এপ্রিল, ২০২৫ ০০:১১
বাসস

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলওয়ের হাসপাতালগুলোতে রেলকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন থাকা চিকিৎসকদের এখানে পদায়ন করা হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে।

রেলওয়ের হাসপাতালগুলো নিয়ে নতুন এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন বিভিন্ন বিভাগ বা দপ্তরে আলাদা আলাদা করে কাজ করা যাবে না। সবাই সরকারের হয়ে কাজ করবেন, জনগণের জন্য কাজ করবেন। আর নতুন ধরনের কোনো স্থাপনা এই মুহূর্তে করা হবে না।

আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম নগরের সিআরবিতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

হাসপাতাল পরিচালনা ও সেবার মান বাড়াতে চারটি নির্দেশনা দিয়ে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, হাসপাতাল পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিকিৎসক এই হাসপাতালে সংযুক্তি দিতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও খাবার সরবরাহ করবে। এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।

এর আগে উপদেষ্টা চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও স্থাপনা ঘুরে দেখেন। এরপর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। এই সময় কর্মকর্তারা রোগী ভর্তি না হওয়া ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ হাসপাতাল পরিচালনায় বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন। তাঁরা উপদেষ্টাকে জানান, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। আবার রোগী ভর্তি হলেও কিছু বিধির কারণে সব রোগীকে খাবার সরবরাহ করা যায় না।

পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘হাসপাতালটি ঘুরে দেখলাম। এ ধরনের হাসপাতাল দেশের আরও বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপে শয্যা খালি থাকে না। কিন্তু এখানে (রেলওয়ে হাসপাতাল) শয্যাগুলো খালি পড়ে আছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে। এর আওতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিকিৎসক, খাবার, যন্ত্রপাতি ও ওষুধ দেবে।’

রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলওয়ের অধীন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, পাকশী, লালমনিরহাট ও সৈয়দপুরে রেলওয়ে হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে ২৭০টি শয্যা রয়েছে। তবে হাসপাতালগুলো প্রায় সময় রোগী শূন্য থাকে।

এদিকে আজ সকাল আটটায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীতে অবস্থিত রেলওয়ে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন মেরামত কারখানা, ডিজেল ওয়ার্কশপ কারখানা, রেলওয়ে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ইউরোপিয়ান ক্লাব ও রেলওয়ে জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় এসব স্থাপনার পরিবেশ ও মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন তিনি।

পরে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, রেলওয়ের ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত কারখানাকে ওয়ার্কশপে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। তখন বাইরে থেকে ইঞ্জিন ও কোচের যন্ত্রপাতি এনে এখানে সংযোজন করা যাবে। এতে সময় ও অর্থ-দুটিই সাশ্রয় হবে। বর্তমানে এসব ইঞ্জিন ও কোচ আনতে হলে দেশের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যাদেশ দিতে হয়। এরপর তারা তৈরি করে এখানে পাঠায়। এতে প্রচুর সময় লাগে।

রেলওয়ের স্থাপনা ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে দুপুরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন উপদেষ্টা।


স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি অটল সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ

শুক্রবার তুরস্কে ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম (এডিএফ)-২০২৫’ এর ফাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ.এ. খানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। ছবি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায্য লক্ষ্যে বাংলাদেশ তার অটল সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

আজ শুক্রবার তুরস্কে ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম (এডিএফ)-২০২৫’ এর ফাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ.এ. খানের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এই আশ্বাস দিয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে দুই উপদেষ্টা সাম্প্রতিক আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্দশায় গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তারা রোহিঙ্গা সংকট ও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসি’র অবস্থানের জন্য সংস্থাটির প্রশংসা করেন।

দুই উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার ও সংকটের চূড়ান্ত সমাধানের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও আইসিসি’র মধ্যে সব ধরনের সম্পৃক্ততার দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অটল অবস্থানের প্রশংসা করেন আইসিসি’র প্রসিকিউটর করিম এ.এ. খান।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোম সংবিধি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন।

বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞদের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে দৃশ্যমান সহযোগিতা অন্বেষণে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান তৌহিদ হোসেন।

উভয় পক্ষই আগামী দিনে বিদ্যমান সম্পৃক্ততার মাত্রা আরো বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

‘বিভক্ত বিশ্বে কূটনীতি পুনরুদ্ধার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ তুরস্কের আনাতোলিয়ায় তিন দিনব্যাপী ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম (এডিএফ)-২০২৫’ শুরু হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ফোরামের আয়োজন করেছে।

বিশ্ব নেতা, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করেছে এডিএফ। এই ফোরামের মাধ্যমে কীভাবে কূটনীতির পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যায় এবং একটি বিভক্ত বিশ্বে সম্মিলিত পদক্ষেপের একটি সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়, তা অনুসন্ধান করা হবে।

২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ৫০ জনেরও বেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৭০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৬০ জন সিনিয়র প্রতিনিধি, পাশাপাশি শিক্ষার্থীসহ ৪ হাজার জনেরও বেশি অতিথি ফোরামে অংশগ্রহণ করেছেন।


পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ

আপডেটেড ১১ এপ্রিল, ২০২৫ ২১:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তনের প্রস্তাব ওঠেছিল। পুলিশের বর্তমান মনোগ্রাম বা লোগো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নতুন লোগো চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এতে স্থান পেয়েছে দেশের জাতীয় ফুল শাপলা, ধান ও গমের শীষ এবং পাটপাতা। পাটপাতার ওপরে উজ্জ্বলভাবে লেখা রয়েছে— ‘পুলিশ’।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) নাছিমা আক্তারের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, শিগগিরই মন্ত্রণালয় নতুন লোগোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মনোগ্রাম বা লোগো পরিবর্তনের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নতুন লোগো চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও পেয়েছে। এখন শুধু প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষা।
প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই নতুন লোগো পুলিশ বাহিনীর সব জেলা ও ইউনিটে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে। এর অংশ হিসেবে ইউনিফর্ম, পতাকা, সাইনবোর্ডসহ সব ধরনের সংশ্লিষ্ট সামগ্রীতে নতুন লোগোর ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুব শিগগিরই একযোগে সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিটে নতুন মনোগ্রামের ব্যবহার শুরু হবে বলে জানা গেছে।


১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে পুরো দেশ, বজ্রপাতসহ কালবৈশাখীর সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১৯:৩২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চৈত্র মাস শেষের দিকে। প্রকৃতিতে প্রচণ্ড দাবদাহ। সচরাচর এই সময়ে এমন গরমই থাকে। তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টির উপস্থিতে এই তাপমাত্রা কিছুটা কমে থাকে। এ বছর প্রকৃতিতে কম বৃষ্টিপাতই হয়েছে বলা যায়। কিছুদিন আগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখীর সঙ্গে হয়েছে বৃষ্টিপাত। আর গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া-কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। এতে করে প্রকৃতিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে মাঝারি থেকে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়ের আওতায় প্রবেশ করেছে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি। এর ফলে দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকায় আগামী কিছুদিন বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

বিডব্লিউওটি জানায়, চলতি বছরের দ্বিতীয় ক্রান্তীয় বৃষ্টিবলয় এটি। যা গতকাল এবং আজ চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে বেশি সক্রিয় হতে পারে এবং ১৪ এপ্রিল থেকে দেশের অনেক এলাকায় সক্রিয় হতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকবে সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে। মাঝারি ধরনের সক্রিয় থাকবে রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এবং কম সক্রিয় থাকবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু অংশে।

সংস্থাটি জানায়, এই বৃষ্টিবলয় গতকাল ১০ এপ্রিল থেকে আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। এই ১৩ দিনের বৃষ্টিবলয়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হতে পারে। বৃষ্টিবলয়টি আজ উত্তরবঙ্গ, রংপুর বিভাগ ও কক্সবাজার হয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে এবং ২২ এপ্রিল সিলেট হয়ে দেশত্যাগ করতে পারে। বৃষ্টিবলয় চলাকালে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পূরণ হতে পারে। এ ছাড়া বৃষ্টিবলয় চলাকালে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং অধিক সক্রিয় এলাকায় মেঘলা থাকতে পারে। এই সময়ে অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতে পারে আকস্মিকভাবে ও স্বল্প স্থায়ীভাবে। হঠাৎ উত্তর-পশ্চিমে কালো মেঘ প্রচণ্ড দমকা হাওয়া, তারপর বজ্রসহ বৃষ্টি। এরপর আবহাওয়া পরিষ্কার হতে পারে।

বিডব্লিউওটি জানায়, এই সময়ে বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ চলতে পারে। বৃষ্টিবলয়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।

সংস্থাটি আরও জানায়, বৃষ্টিবলয়ের এই সময়ে ঢাকায় ৫০ থেকে ৭০ মিলিমিটার, খুলনা বিভাগে ২০ থেকে ৩০ মিলিমিটার, বরিশাল বিভাগে ২০ থেকে ৩৫ মিলিমিটার, সিলেটে ৯০ থেকে ১৩০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫০ থেকে ৭০ মিলিমিটার, রাজশাহী বিভাগে ৩০ থেকে ৪৫ মিলিমিটার, রংপুরে ৬০ থেকে ৯০ মিলিমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।


৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই, পেছাচ্ছে ৪৭তমের প্রিলিমিনারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
    কোনো প্রার্থীর একই তারিখে একাধিক বিসিএসের পরীক্ষা পড়লে অবগত করলেই বিকল্প তারিখ নির্ধারণ করে দেবে পিএসসি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর যে দাবি উঠেছে, তা পরিবর্তন করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি বা পিএসসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানায় পিএসসি। তবে আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠেয় ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগস্টের প্রথম দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে।

পেছাবে না ৪৬ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা:

জানা গেছে, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন করেছেন কিছু চাকরি প্রার্থী পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষা পেছানো না হলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করার ঘোষণাও দেন তারা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি গতকাল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবির পক্ষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে। কমিশনকে বর্তমানে ৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএসসহ নন-ক্যাডারের বিভিন্ন নিয়োগ সংক্রান্ত জট নিরসনকল্পে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হচ্ছে। পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারি কর্ম কমিশন প্রার্থীদের সার্বিক প্রস্তুতির পাশাপাশি তাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার ইতি টানার বিষয়গুলো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য বড় বড় পরীক্ষা (নন-ক্যাডার, সিনিয়র স্কেল, বিভাগীয় পরীক্ষা) প্রস্তুতিতে প্রশ্নপত্র ছাপানো, উত্তরপত্র ছাপানো এবং বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ বিপিএসসির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু বিপিএসসির নিজস্ব অবকাঠামো নেই, তাই এসব কাজ নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা গ্রহণ করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অধিকন্তু পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের প্রাধিকারভুক্ত শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি এসএসসি/এইচএসসির মতো পরীক্ষা, ছুটি ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনা করত বিপিএসসির প্রস্তাবিত পরীক্ষাগুলোর জন্য তাদের প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করে থাকে। যেহেতু পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য একই সঙ্গে অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয়, তাই বিষয়টি জটিল। সার্বিক বিবেচনায় বিপিএসসি মনে করে বিসিএস ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭সহ বিভিন্ন নন-ক্যাডার ও অন্যান্য পরীক্ষা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনকল্পে আগামী ৮ মে বিসিএস ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠানের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা পরিবর্তন করা বাস্তবসম্মত নয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কোনো প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৪৪তম মৌখিক পরীক্ষা ও ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা একই দিনে নির্ধারিত হলে সে ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকমিশনকে অবগত করা হলে মৌখিক পরীক্ষার বিকল্প তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’

সার্বিক বিষয়ে এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রার্থীসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছে পিএসসি।

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত

৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগস্টের প্রথম দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৭ জুন এই পরীক্ষার হওয়ার কথা ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর পিএসসির উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

২০২৪ সালে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল । এই বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ৩,৪৮৭ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জন নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ চাকরিপ্রার্থী।

বর্তমানে চারটি বিসিএস পরীক্ষার জট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো বিসিএস প্রক্রিয়া চলছে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে। এই চারটির মধ্যে ৪৪তম, ৪৫তম এবং ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়েছে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বর্তমান পিএসসি কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করছে বিদ্যমান বিসিএস পরীক্ষাগুলোর জট দ্রুত শেষ করে পরবর্তীতে প্রতিটি বিসিএস এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার। পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষার পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাতে সুপারিশ করা হয়েছে— দেড় বছরের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার। এর মধ্যে প্রথম এক বছরে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে এবং পরবর্তী ছয় মাসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগ শেষ করতে হবে।

অবশ্য এই নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। উল্লেখযোগ্য যে, ২০২১ সালে পিএসসি এক বছরে বিসিএস শেষ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিল, কিন্তু তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। বরং পূর্বের পরীক্ষাগুলোর জট এখনো অব্যাহত রয়েছে।


শুকিয়ে যাচ্ছে দেশের ৮১ নদী পরিবেশগত সংকটের আশঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
    * জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান আরডিআরসির

বাংলাদেশের অনেক নদী এখন ভয়াবহ পরিবেশগত সংকটের মুখে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের ৮১টি নদী শুষ্ক মৌসুমে প্রায় পুরোপুরি শুকিয়ে যায়।

‘বাংলাদেশের শুকিয়ে যাওয়া নদী’ শিরোনামে একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)। সংস্থাটি দেশের পরিবেশ ও নদী নিয়ে গবেষণা করে আসছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, একসময় যেসব নদী কৃষি, জীববৈচিত্র্য ও স্থানীয় অর্থনীতির প্রাণ ছিল, বর্তমানে সেগুলোর অনেকটাই শুকিয়ে গেছে বা তাদের তলদেশে প্রচণ্ড পলি জমে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

এই গবেষণা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও কুষ্টিয়া অঞ্চল। এসব জায়গায় দূষণ, পলি জমা এবং দ্রুত নগরায়নের কারণে প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।

‘এই অবনতি কৃষি, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। নদীগুলোর গুরুত্ব শুধু পরিবেশগত নয়, মানবিক জীবনধারার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত,’ গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।

আরডিআরসি জানিয়েছে, খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি নদী শুকিয়ে গেছে, যার সংখ্যা ২৫। এরপর রাজশাহীতে ২০টি, রংপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে ৬টি, ময়মনসিংহে ৫টি, ঢাকায় ৪টি এবং বরিশাল ও সিলেটে ৩টি করে নদী এই সংকটে পড়েছে।

শুকিয়ে যাওয়া ৮১টি নদীর তালিকায় রয়েছে: আলয়, আত্রাই, বাঘবতী, বাঙালী, বড়াল, বেতনা, ভৈরব, ভদ্রাবতী, ভোলা, ভুল্লী, বিলাস, বুড়িখোরা, চন্দনা, চন্দ্রাবতী, চিকনাই, চিত্রা, চুনা, ধলাই, ধলেশ্বরী, ধরলা, ঢেপা, দুধকুমার, ফটকি, গলঘেসিয়া, গাংনাই, ঘাঘট, গোমতী, গনেশ্বরী, গড়াই ও গুমানী।

এ ছাড়াও আছে হানু, হরিহর, হিশনা, হোজা, হুরা সাগর, ইছামতী, যমুনার কিছু শাখা, কাহুয়া, কাকসিয়ালি, কালিগঙ্গা, কালপানি, করতোয়া, কাটাখালী, খাকদোন, খোলপেটুয়া, কোহেলিয়া, কপোতাক্ষ, কুলিক, কুমার, কুশিয়ারা, মহানন্দা, মানস, মাথাভাঙ্গা, মহিষাবান, মরিচাপ, ময়ূর, মুহুরী ও মুরাদিয়া।

তালিকার বাকি নদীগুলো হলো, নবগঙ্গা, নাগর, নারদ, নরসুন্দা, পদ্মার কিছু শাখা, পাগলা, পুনর্ভবা, সন্ধ্যা, সেলোনিয়া, সাগরখালী, শালিখা, শিব, শোলমারি, শুক, সোমেশ্বরী, সোনাই, সুখদহ, সুরমা, টাঙ্গন, তিস্তা, তিতাস, তুলসীগঙ্গা ও লেঙ্গা।

গবেষণায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা-মেঘনা (বিজিএম) অববাহিকার ওপরও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উজানে বাঁধ নির্মাণ ও পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ফলে এসব নদীতে প্রাকৃতিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এসব নদীর ওপর নির্ভরশীল কোটি কোটি মানুষের জীবনধারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

‘জলস্তর অপ্রত্যাশিতভাবে ওঠানামা করছে, ফলে নদীনির্ভর মানুষগুলোর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। শুধু মানুষই নয়—বন্যপ্রাণী, জলজ বাসস্থান, পুরো প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে,’ বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এ অবস্থায় নদী দূষণ কমানো, ভাঙন রোধ এবং পানির প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের ওপর জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আরডিআরসি।

তবে গবেষণায় এটিও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, শুধু জাতীয় পর্যায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়।

‘অনেক নদীই আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবাহিত। তাই বাংলাদেশের উচিত উজানের দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা। একমাত্র যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা নিশ্চিত করতে পারি- নদীগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকে থাকবে,’ বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশে প্রায় ২৪,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী, খাল ও স্রোতধারা রয়েছে। বর্ষাকালে এর মধ্যে প্রায় ৬,০০০ কিলোমিটার নৌচলাচলের উপযোগী থাকে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে এই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩,৮০০ কিলোমিটারে।


banner close