ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার আজ থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
বুধবার রাতে কেবিনেট বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এই সময়কালে (বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত) সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
প্রয়াত পোপের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করা হবে।
একজন উদ্যমী সংস্কারক পোপ ফ্রান্সিস সোমবার (২১ এপ্রিল) ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চলতি বছরের শুরুতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সিস দু’বার মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। গত ২৩শে মার্চ হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়ার আগে তাকে সেখানে ৩৮ দিন থাকতে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ পোপ নির্বাচিত হন জর্জ মারিও বার্গোগ্লিও। পোপ হিসেবে নির্বাচিত হবার পর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘ফ্রান্সিস’। আর্জেন্টিনার এই ধর্মযাজক দরিদ্রদের প্রতি সহমর্মিতার জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বলে ভ্যাটিকান সিটির এক ঘোষণায় বলা হয়েছে।
শুরু হচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের যাত্রা। এ সমুদ্র বন্দর নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এরপর শুরু হবে দুটি জেটির সমন্বয়ে একটি টার্মিনালের নির্মাণকাজ, যা ২০২৯ সালের দিকে শেষ হবে। এতে দেশের সমুদ্রবাণিজ্যের চেহারা পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক সংশ্লিষ্টদের অন্যতম একজন। তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার ঢাকার হোটেল লো মেরিডিয়ানের বলরুমে জাপানি সাহায্য সংস্থা জাইকার সঙ্গে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
এখন জাপানি প্রতিষ্ঠানটি মাতারবাড়িতে দুটি জেটি নির্মাণের কাজ শুরু করবে। জেটি দুটির একটির দৈর্ঘ্য ৪৬০ মিটার। এটিতে শুধু কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা হবে। অপরটি মাল্টিপারপাস জেটি, যেটির দৈর্ঘ্য ৩০০ মিটার। নির্মিত জেটিতে ১৪ মিটার ড্রাফটের বিশালাকারের কন্টেইনার কিংবা কার্গো জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বড় আকৃতির তিনটি, মাঝারি আকৃতির হলে চারটি মাদার ভ্যাসেল বার্থিং দেওয়া যাবে।
ইতোমধ্যে সাড়ে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ চ্যানেলটিতে ভেড়ানো হয়েছে। জাহাজটিতে ৬৫ হাজার ২৫০ টন কয়লা ছিল। এ বন্দরে অনায়াসে এক লাখ টন পণ্যবোঝাই জাহাজ বার্থিং দেওয়া সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন সচিব ওমর ফারুক। তিনি বলেন, জোয়ার-ভাটার বাধা না থাকায় এই চ্যানেলটিতে রাতে দিনে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা রয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে বাংলাদেশের যে সীমাবদ্ধতা ছিল মাতারবাড়ি তা পুরোপুরি কাটিয়ে দিতে যাচ্ছে। এক লাখ টন ধারণক্ষমতার কার্গো জাহাজ কিংবা ৮-১০ হাজার টিইইউএস কন্টেনার বহনকারী জাহাজ ভিড়ানো শুরু করা হলে পণ্য পরিবহন খরচ বহুলাংশে কমে যাবে।
ইতোমধ্যে একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে ২০২৯ সালের মধ্যে বছরে ১১ লাখ এবং ২০৪১ সালে ২৬ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। বন্দর সূত্র জানায়, মাতারবাড়িতে ১২শ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে জাপানের আর্থিক সহায়তায়। জাইকা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করছে।
১২শ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতিদিন ১০ হাজার টন কয়লা পোড়ানো হয়। দুই মাসের প্রয়োজনীয় অন্তত ৬ লাখ টন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে মজুদ রাখতে হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রয়োজনীয় জ্বালানির জোগান দিতে বিদেশ থেকে প্রতি মাসে অন্তত তিন লাখ টন কয়লা আমদানি করতে হয়। এক একটি জাহাজে ৬০ হাজার টন কয়লা পরিবহন করলেও মাসে অন্তত ৫টি মাদার ভ্যাসেল এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যই হ্যান্ডলিং করতে হচ্ছে।
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং কয়লা আমদানির পথঘাট তৈরি করতে ১৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৫০ মিটার প্রস্থের ১৬ মিটার গভীর একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়। এই চ্যানেল তৈরির পর জাইকার একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর করা যায় মন্তব্য করে পুরো বিষয়টি উপস্থাপন করে। তারা জানান যে, কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যেই চ্যানেলটি তৈরি করা হয়েছে সেটিকে যদি পাশে ১০০ মিটার বাড়িয়ে ৩৫০ মিটার এবং গভীরতা ২ মিটার বাড়িয়ে ১৮ মিটার করা হয় তাহলে এটি গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষের তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তারা গভীর সমুদ্রবন্দরের বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হলে নতুন করে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন নামে আলাদা একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
শুরুতে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প নামের প্রকল্পটি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু হয়। সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০০ মিটার বর্ধিত করে ৩৫০ মিটারে উন্নীত করা হয়। গভীরতাও ১৮ মিটার (এমএসএল) করা হয়েছে। নির্মিত চ্যানেল ও হারবার নিরাপদ ও সুরক্ষিত করার জন্য সিপিজিসিবিএল কর্তৃক ১,৭৫৩ মিটার উত্তর ব্রেকওয়াটার, ৭১৩ মিটার দক্ষিণ ব্রেকওয়াটার এবং উত্তর দিকে ১৮০২.৮৫ মিটার রিভেটমেন্ট নির্মাণ করা হয়।
২০১৮ সাল থেকে এসব কার্যক্রম শুরু হয়। জাপানের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্পের খরচ জোগান দিতে থাকে। প্রকল্পটির জন্য জাইকা ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা প্রদান করে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার এবং সরকারের ২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা মিলে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু প্রকল্প গ্রহণের পরে কিছু ক্ষেত্রে খরচ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে নির্মাণ সামগ্রির মূল্যবৃদ্ধি এবং আনুষঙ্গিক খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় পুনর্নির্ধারণ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ব্যয় সংশোধন করে নির্ধারণ করা হয় ১৭ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা। সময় রাখা হয় ২০২৬ সাল পর্যন্ত। কিন্তু পরবর্তীতে নানা প্রতিকুলতায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়তে থাকে। প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যে চ্যানেল ও জেটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেছে সিপিজিসিবিএল। একই সঙ্গে ওই চ্যানেল ও জেটি নির্মাণে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে তার দায়ও বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর দেওয়া হয়।
এবার নতুন করে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে পুরো প্রকল্পটি সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. সাখাওয়াত হোসেন মাতারবাড়ি বন্দর পরিদর্শনের পর পুরো কার্যক্রমে গতিশীলতা আসে বলে উল্লেখ করে সূত্র জানিয়েছে যে, জাইকা প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন করবে। প্রথম ধাপে ৬ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি জেটি, টার্মিনাল এবং ব্যাকইয়ার্ড ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলা হবে।
এই ব্যয়ের পুরো অর্থের যোগান দেবে জাপানি সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। জেটি এবং টার্মিনাল নির্মাণ করবে জাপানি প্রতিষ্ঠান পেন্টা ওশান এবং থোয়া করপোরেশন। প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে এই চুক্তি স¤পাদিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে আগামী ৪ বছরের মধ্যে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ একটি কন্টেনার জেটি এবং ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ করবে। দুটি জেটির জন্য সমন্বিতভাবে নির্মাণ করা হবে একটি টার্মিনাল।
বন্দরের তথ্যমতে, মহেশখালীর ১ হাজার ৩০ একর জায়গায় বন্দরের অবকাঠামো এবং ব্যাকইয়ার্ড নানা ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলা হবে। আগামী ২০২৯ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুরোদমে কাজ শুরু করবে। এর মাধ্যমে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে নতুন গতিশীলতা তৈরি হবে। পাল্টে যাবে সমুদ্রবাণিজ্যের চেহারা।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে গতকাল বুধবার রাতে কাতারের রাজধানী দোহায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে মালদ্বীপের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, মালয়েশিয়ার রাজপরিবারের একজন সদস্য, মালয়েশিয়ার সাবেক একজন মন্ত্রী, কাতারের রাজপরিবারের একজন সদস্য, শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকার এবং কয়েকজন ধনী প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রে রূপান্তর করতে চায় এবং সব ধরনের বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়।
বাংলাদেশ এই অঞ্চলের মধ্যে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ হতে চাই।’
বিনিয়োগকারীরা উৎপাদন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি, ব্যাংকিং এবং পর্যটন—বিশেষ করে কক্সবাজারের রিসোর্ট জোনে—বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাইয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ সফর এবং বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দোহা থেকে সরাসরি ইতালির রোমে যাবেন।
আগামী শুক্রবার তিনি রোমের উদ্দেশে দোহা ত্যাগ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে দোহায় অবস্থান করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেস সচিব বলেন, পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ছিল। বন্ধুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রধান উপদেষ্টা পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন।
আগামী শনিবার পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।
শফিকুল আলম জানান, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেয়ার বাইরে প্রধান উপদেষ্টার অন্য কোন ধরনের বৈঠক সেখানে নেই। আগামী রোববার তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিস গত সোমবার মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি ১২ বছর রোমান ক্যাথলিক গির্জার সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব পালন করেন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮ জন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ৩৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ২৪ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ৩৮৭ জন। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
যশোর জেলার কেশবপুরে নবম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে মতিউর রহমান মতি নমের এক যুবককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ দণ্ডাদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল লতিফ লতা।
দণ্ডাদেশ পাওয়া মতিয়ার রহমান মতি কেশবপুর উপজেলার লক্ষীনাথকাটি মাঝেরপাড়া গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান মতি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মতিউর রহমান মতি তার নিজের এলাকার নবম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে সাড়া না দেওয়ায় ২০২০ সালে ৩ জানুয়ারি মতি ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। এ ব্যাপারে ৯ জানুয়ারি ওই ছাত্রীর মা কেশবপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। পরে কেশবপুর থানা পুলিশ যশোর কোতোয়ালী থানা পুলিশের সহযোগিতায় যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়। মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ বুধবার দণ্ডাদেশ দেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এ অনশনে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদেরও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও অনশনরত এক শিক্ষার্থী মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার সময় জ্ঞান হারালে তাকেও কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে এ পরিস্থিতিতেও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এক দাবি, ভিসির পদত্যাগ ছাড়া তারা অনশন ভাঙবেন না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টারের মূল ফটকের সামনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে অনশনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তখনো ঘুমিয়ে আছেন। মশার হাত থেকে বাঁচতে বড় মশারি টানানো হয়েছে। কেউ কেউ বসে বই পড়ছেন। কাঁথা-বালিশ ছড়ানো ছিটানো। প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে চারদিকে পাঁচ-ছয়টি স্ট্যান্ড ফ্যান চলছে। অদূরে একটি সাদা অ্যাম্বুলেন্স যেকোনো পরিস্থিতি সামলানোর জন্য অপেক্ষমাণ। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাহস জোগাতে অন্য শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে তাদের সহায়তা করছেন।
গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা ছাত্র কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে অনশন শুরু করেন। সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্র কল্যাণ কেন্দ্রের পরিচালক, সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অনশন না করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান। তবে শিক্ষার্থীরা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা, তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কাউকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করানো, শিক্ষার্থীদের দাবি সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের হল খুলে না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এ সময় তারা ভিসিকে উদ্দেশ করে বলেন, এখন তার সঙ্গে সমঝোতা করলে ভবিষ্যতে তিনি আবারও এসব ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। ফলে তারা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ কারণে ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গেছেন তারা। তার পদত্যাগই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।
টানা আড়াই ঘণ্টা দুপক্ষের আলোচনায় ফল না হওয়ায় শিক্ষকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে যাওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, অনেক ধরনের কথা হয়েছে। একটাই কথা ছিল আমরা একটা সমাধান চাই। আসলে ১৮ তারিখের (১৮ ফেব্রুয়ারি) যে ঘটনা তা অনেক শাখা-প্রশাখা হয়ে আজ এই পর্যায়ে এসেছে। তাই আমরা তোমাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব। এই ভবনে আমার অফিস। সেখানে সব সময় দরজা খোলা থাকবে। আবার আমরা আসব। আমাদের শিক্ষকরা আসবেন। তাদেরকে অনুরোধ করা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা না বুঝবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটিও করা হয়। ওই দিন রাতেই খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে প্রশাসন।
এদিকে গত ১০ এপ্রিল কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলা করেন নগরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার হোচেন আলী নামের এক ব্যক্তি। আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে খানজাহান আলী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
অন্যদিকে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে কুয়েটের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া আগামী ৪ মে থেকে শুরু এবং ২ মে সব আবাসিক হল খুলে দিয়ে ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে ছাত্ররা এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চলে এসে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। তারা এক রাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করে নিজেরাই সিলগালা করা তালা ভেঙে হলে উঠে পড়েন। এরপর তাদের দাবি মানতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। তাতে কোনো সাড়া না পেয়ে ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু শিক্ষার্থী।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাশ্মীরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি।’
মঙ্গলবার ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে একটি রিসোর্টে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ২৬ জন পর্যটককে নিহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনাটি অঞ্চলটির সংঘাত-প্রবণ ইতিহাসে এক নতুন মোড়ের আভাস দিয়েছে, যেখানে এতদিন পর্যটকরা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘কাশ্মীরের পাহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।’
বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা কাতারের রাজধানী দোহায় আর্থনা সামিটে অংশ নিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত আসামি গ্রেফতার না করতে বাংলাদেশ পুলিশের অফিস আদেশের কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত আসামি গ্রেফতার না করার অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।
ওই অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এই স্থগিতাদেশ দেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে এই রিটের পক্ষে বিনা ফি’তে (প্র-বোনো) শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ২০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রিটটি করেন। এর আগে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশের এক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত রুজুকৃত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের নিমিত্তে উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম/বাণী/প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও/অডিও/স্থির চিত্র ও সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেফতার করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বৈষম্যবিরোধী মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেফতার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান।
আজ তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমান তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মাদ্রাসা ছাত্র মো. আরিফ হত্যার মামলায় শাজাহান খানকে একদিন এবং আতিকুল ইসলাম ও তানভীর হাসান সৈকতকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এছাড়াও ভাটারা থানার মনির হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলাম, বাড্ডা থানার আরেক হত্যা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলক ও কোতোয়ালী থানার মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালা'র দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী থানার আরেক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্ট থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
এদিকে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা পশ্চিম, কোতোয়ালী, ভাটারা থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, জুনাইদ আহমেদ পলক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক ওসি আবুল হাসান ও সাবেক এএসপি তানজিল আহম্মেদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমান।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন শুরু করার জন্য ওআইসিকে সক্রিয় করতে কাতারকে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন শুরু করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কাতার তাদের কূটনৈতিক প্রভাব কাজে লাগাতে পারে। আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে, কাতার জোরালোভাবে তাদের সংহতি প্রকাশ করে এই সংকট সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া ওআইসি দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তহবিল সংগ্রহ জোরদার ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে মত প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে ।’
কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
‘বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত জনগণের সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ-রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
মানবতা, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করতে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন আমরা নিশ্চিত করি, আজকের আলোচনা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে একটি অর্থবহ অংশীদারিত্বের সূচনা করে যা রোহিঙ্গা সংকটকে আমাদের যৌথ মানবিক অগ্রাধিকারগুলোর শীর্ষে রাখে এবং একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে একযোগে কাজ করে।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং রোহিঙ্গাদের হতাশ করে তুলছে। ক্যাম্পগুলোতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বৃদ্ধি এবং অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টা তাদের হতাশার স্পষ্ট চিহ্ন। এই সমস্যা যদি আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে এটি পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলোও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ভূত নানা সংঘাতের কারণে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধীরে ধীরে রোহিঙ্গা সংকট থেকে সরে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের দাখিলকৃত ৮,২৯,০৩৬ জনের তালিকার মধ্যে মিয়ানমার সরকার ২,৩৯,০৫৬ জনকে যাচাই করেছে এবং এর মধ্যে ১,৭৬,১৯৮ জনকে ‘মিয়ানমারে বসবাসকারী ব্যক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন’ আয়োজন করবে।
এই সম্মেলনে কাতারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনকে এই বৈঠকের আয়োজন এবং নীতিগত বিবৃতির বাইরে গিয়ে বাস্তবসম্মত সমাধান, জবাবদিহিতা ও সংহতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) আশ্রয় নিয়েছে, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার নবজাতক যুক্ত হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ কেবল মানবিক বিবেচনায় এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ মনে করে, টেকসই প্রত্যাবাসনই হলো বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান।’
ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে), আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এবং মিয়ানমারের জন্য গঠিত স্বাধীন তদন্ত সংস্থার (আইআইএমএম) চলমান উদ্যোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ এবং রোম সংবিধির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মতো অপরাধের কোনোভাবেই শাস্তি এড়ানো উচিত নয়।
রোহিঙ্গাদের আস্থা ফেরাতে এবং রাখাইন রাজ্যে তাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমার ও এর কর্মকর্তাদের অপরাধের জন্য দায়ী করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আইসিজে-তে দায়ের করা মামলাটি চলতি বছরের প্রথমার্ধে মেরিট পর্বে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইনি ফার্ম ফোলি হোয়াগ জানিয়েছে, প্রাথমিক, আপত্তি ও মূলপর্ব শেষ হওয়ার পর তারা আইসিজে-তে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার শিকারদের ক্ষতিপূরণের আবেদন করবে।
গাম্বিয়া সরকার ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ওআইসি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে, যেখানে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে, যার পরিমাণ সাত লাখ ডলার।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান হিসেবে টেকসই প্রত্যাবাসনকেই বিবেচনা করে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দদূষণ রোধে ‘লাউড কালচারের’ বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যেমনটি অন্যান্য সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে।
আজ আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণের লক্ষ্যে’ আয়োজিত পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
রিজওয়ানা বলেন, রাস্তার পাশে হঠাৎ করেই উচ্চস্বরে চিৎকার করে কথা বলা, যানবাহনে অতিরিক্ত হর্ন বাজানো কিংবা মাইক ব্যবহারে সীমালঙ্ঘন— এগুলো শুধু আইনের লঙ্ঘনই নয়, অধিকন্তু এগুলো আচরণগত অবক্ষয়ও বটে। আচরণ পরিবর্তনের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ‘নিরব এলাকা’তে শব্দদূষণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে, জনগণকে জানাতে হবে— শব্দদূষণও এক ধরনের সহিংসতা, যার পরিণতি মারাত্মক।
তিনি বলেন, প্রতিটি মোটরসাইকেল ও প্রটোকল গাড়ি কিংবা ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহারকারীকেই বুঝতে হবে যে— তার অপ্রয়োজনীয় হর্ন বা গান চালানো অন্যের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শব্দদূষণ থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদেরকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান।
কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তরের নীতিনির্ধারক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বাস্তবসম্মত পরামর্শ উঠে এসেছে, যা প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পালটাপালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটাসহ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সিটি কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রথমে ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থী সিটি কলেজে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজে হামলা চালিয়ে কলেজটির নামফলক খুলে নিয়ে আসে। তবে ঠিক কী কারণে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, সকাল থেকেই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের কাছাকাছি চলে আসে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পালটাপালটি ধাওয়া হয়। পুলিশকে লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে দেখা গেছে।
সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোবারক হোসেন বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সিটি কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের বাসায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান । তিনি বলেন, সিটি কলেজের স্থাপনায় যে হামলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, সেটির অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। এ ঘটনাগুলোর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। মারামারি করে এসব সমস্যার সমাধান হবে না বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘এতে সিটি কলেজের স্থাপনার ক্ষতি হবে, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে এবং আশপাশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে।’
এদিকে জানা গেছে, এর আগে গতকাল ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনা ঢাকা কলেজের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুল ইসলাম বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল, এখন সেটা আর নেই। শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।