বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪

ঢাকায় ১৬ প্লাটুন আনসার মোতায়েন

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪ ২৩:৪৬

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগরীতে ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ এর নির্দেশনা মোতাবেক তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দেশপ্রেম নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। জনগণের জানমাল ও সরকারি সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আনসার জানায়, আইনশৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নিমিত্তে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে তাদেরকে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীরা যেন সাধারণ ছাত্র ও জনতার কোনো ধরনের ক্ষতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারা দেশে বাহিনীর সব ইউনিটেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


সাবেক ১৪ এমপি-মন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৮ মন্ত্রী ও ৬ সংসদ সদস্যের (এমপি) দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

নিষেধাজ্ঞার এ তালিকায় আছেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ও সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এ ছাড়া আছেন সলিম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ কিরণ, কুজেন্দ্র লালা ত্রিপুরা, কাজীম উদ্দিনসহ ছয় সাবেক সংসদ সদস্য।

এদিন সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এ আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান। এতে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যম অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার এমপিদের দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন।


আইজিপির সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামের সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা (রিজিওনাল সিকিউরিটি অফিসার) ড্যানিয়েল ব্লিকমোরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্ততরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের এআইজি ইনামুল হক সাগর দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র এফএসএন ইনভেস্টিগেটর নাবিল মাহমুদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট লিগ্যাল অ্যাটাচে, রবার্ট ক্যামেরুন, সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেটর মো. আমিনুল ইসলাম, ল’ এনফোর্সমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটাচে, আইসিআইটিএপির মাইকেল হিনটজ এবং ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস, আইসিআইটিএপির প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট তানিক মুনির।

আইজিপি পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান। সাক্ষাতের সময় ক্রমবর্ধমান অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিং, ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, মানব পাচার, মানবাধিকার, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেশে-বিদেশে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এবং লজিস্টিকস সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আইজিপি প্রত্যাশা করেন। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানায়।


ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হাজারের বেশি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে হওয়া গণঅভ্যুত্থানে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং চার শতাধিক মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এছাড়া তিনি বলেছন, যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের দায়-দায়িত্ব সরকার নেবে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নেন। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে চিকিৎসাসেবা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

নূরজাহান বেগম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এখন পর্যন্ত এক হাজারের ওপরে নিহত হয়েছেন এবং ৪০০ জনের ওপরে ছাত্র-জনতা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। অনেকের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে, অনেকে দুই চোখেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। আমেরিকার সেবা নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। যাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে বা চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে, আমরা সেবা ফাউন্ডেশনকে তাদের তালিকা পাঠিয়েছি। তারা বলেছে যত শিঘ্রই সম্ভব তারা চিকিৎসার জন্য দেশে ডাক্তার নিয়ে আসবে। ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও দিনাজপুরে তাদের চিকিৎসা হবে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, অনেকে পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অনেকের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে কথা বলছি, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। যাতে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তারদের টিম নিয়ে আসা যায়। সেটা নিয়ে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখানে আসলাম এবং দেখলাম পুলিশের অনেক আহত সদস্য চিকিৎসাধীন আছেন। অনেকে পায়ে আহত হয়েছেন। অনেকে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে এবং আমি যতটুকু তাদের কাছ থেকে শুনেছি, তাদের ভালোমতো চিকিৎসা চলছে। এখানে আহত একজন ছাত্র সমন্বয়ক ভর্তি আছেন। তারও এখানে চিকিৎসা চলছে। সরকার থেকে বলা হয়েছে, যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের দায় দায়িত্ব সরকার নেবে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেয়া হবে।

পরিদর্শনকালে ছিলেন হাসপাতাল পরিচালক ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দারসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যরা।


এনআইডি সংশোধন নিয়ে ইসির নতুন নির্দেশনা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাঠপর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত ৪৭ হাজার ৮০৩টি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় বিভিন্ন দপ্তরে পড়ে রয়েছে। এগুলো ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির এনআইডি শাখার পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ক’ ক্যাটাগরির ৩০ হাজার ৩৮৬টি আবেদন ‘সেন্ট ব্যাক টু সিটিজেন’ এবং ১৭ হাজার ৪৩৭টি আবেদন ‘অ্যাডিশনার ডকুমেন্ট রিকুয়ার্ড’ অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। এসব আবেদন ২০১১ সাল এবং তৎপরবর্তী দীর্ঘ সময় যাবৎ অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। তাই আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ‘ক’ ক্যাটাগরির ‘সেন্ট ব্যাক টু সিটিজেন’ এবং ‘অ্যাডিশনার ডকুমেন্ট রিকুয়ার্ড’এ অনিষ্পন্ন আবেদনগুলো নিষ্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হলো।

প্রসঙ্গত, সাতটি ক্যাটাগরিতে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করে থাকে ইসি।


বন্যার্তদের সহায়তায় এক দিনের বেতন দিল তথ্য মন্ত্রণালয়

আপডেটেড ২৯ আগস্ট, ২০২৪ ১৮:০৪
বাসস

সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এক দিনের বেতন হিসাবে ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৩ টাকার চেক জমা দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

আজ বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১৫টি চেকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের কাছে এ টাকা জমা দেওয়া হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারিদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে গত ২৫ আগস্ট এক দিনের সমপরিমাণ বেতন বন্যার্তদের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এছাড়া, বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সমিতির নেতৃবৃন্দ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার হাতে বন্যাদুর্গতদের সহায়তার জন্য ৩ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে। এসময় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মুহা. শিপলু জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।


বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮ লাখ মানুষ

পুরোনা ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও মৌলভীবাজার জেলায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এবারের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, ফেনীতে ১৭ জন, নোয়াখালীতে ৮ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৭ শিশু রয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার জেলার ৬৮টি উপজেলায় ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ১১টি জেলার ৪৯২টি পৌরসভা বা ইউনিয়নে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জন।

এরই মধ্যে ৩ হাজার ৪০৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ লাখ ২ হাজার ৫০১ জন মানুষ এবং ৩৬ হাজার ৪৪৮টি গৃহপালিত পশু রাখা হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায় মোট ৫৯৫টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।

বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ, ২০ হাজার ৬৫০ টন চাল, ১৫ হাজার পিস শুকনো খাবার বা অন্যান্য খাবার এবং শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।

বিষয়:

কালো টাকা সাদা করা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল সরকার

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের অংশ হিসেবে কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টাদের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এসব বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কালো টাকা সাদা করার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমে যেসব টাকা আসছে, সেটার পরিবর্তে সরকার নৈতিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েছে।

এর আগে সম্প্রতি ঘোষিত বাজেটে অপ্রদর্শিত আয়ের ছদ্মবেশে কালো টাকা সাদা করার ‘অনৈতিক’ বিধান নিয়ে বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

দুর্নীতি বিরোধী এ প্রতিষ্ঠান আশঙ্কা করেছিল, মাত্র ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার সুবিধা সৎ ও বৈধ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করবে। কারণ এই বিধানের অধীনে ঘোষিত অর্থ ও সম্পদ নিয়ে কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

বিষয়:

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টাদের করতালির মধ্যে এই সনদে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আগামীকাল ৩০ আগস্ট গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের আগেই এই সনদে যুক্ত হলো বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস ইউং গুমবিরোধী সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে সরকার ইতোমধ্যে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ইতোমধ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তদন্ত কমিশন আইন, ১৯৫৬ সালের ক্ষমতাবলে এই কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এ কমিশন।

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ নিয়ে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের সমালোচনা রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আয়নাঘর হিসেবে পরিচিত গোপন বন্দিশালা থেকে দীর্ঘ সময় পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মুক্ত হওয়ার পর গুমের বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে আসে।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাত শ’র বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ৯টি সনদের ৮টিতে সই করেছে। জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের অনুরোধের পরও বিগত সরকার গুমবিরোধী সনদে সই করেনি। অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে চায়। এ লক্ষ্যে সরকার গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হতে যাচ্ছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিটি গুমের তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে দেশবাসীর কাছে প্রতিশ্রুটি ব্যক্ত করে।

সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ সরকারি বাহিনীর যে সদস্যরা ‘গুম, খুন, নির্যাতনের’ মত অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-, গুম, খুন, অপহরণ এবং আয়নাঘরের মত চরম ঘৃণ্য সকল অপকর্মের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সকলের বিচার নিশ্চিত করা হবে। তালিকা প্রস্তুত করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। দুর্নীতি ও সম্পদ পাচারের বিচার করা হবে।’

তার বক্তব্যের পরদিন গঠিত কমিশনের কার্যপরিধিতে ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছে, তা নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনাসমূহের বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করা এবং এতদ্বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা; জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাহাদের আত্মীয়-স্বজনকে অবহিত করা এবং জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে এই কমিশন।’

উল্লেখ্য, গুমবিরোধী সনদটি ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পরে ২০১০ সালে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সামগ্রিকভাবে এই সনদের লক্ষ্য গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া।


প্রধান উপদেষ্টাকে ইউএই প্রেসিডেন্টের ফোন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট (ইউএই) শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, আজ টেলিফোনে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে বলে শেখ মোহামেদ আশা প্রকাশ করেন। অধ্যাপক ইউনূস অভিনন্দন জানানোর জন্য ইউএই প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান উপদেষ্টা উপসাগরীয় দেশটিকে পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য তার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বাংলাদেশের পাশের দাঁড়ানোর জন্য ইউএইকে ভালো বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, উপসাগরীয় দেশটিতে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ কর্মরত রয়েছে। দেশটি বাংলাদেশের রেমিটেন্সের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
দুই নেতা জনশক্তির কর্মসংস্থান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও মতবিনিময় করেন।


সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প দুর্নীতির আখড়া: তথ্য উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প দুর্নীতি এবং অনিয়মের আখড়া বলেই জনমনে ধারণা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পের কাজে যাতে স্বচ্ছতা থাকে এবং কোনো অভিযোগ না আসে- এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ বুধবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের কথা শোনা যায়, যেগুলো মূলত দুর্নীতি করার জন্যই নেওয়া হয়। এ ধরনের কোনো প্রকল্প যেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে না নেওয়া হয়।

অনেকগুলো প্রকল্প নির্ধারিত সময় শেষ হয়নি যার নানা কারণ থাকতে পারে কিন্তু এটা ভালো বার্তা দেয় না। সে জন্য গৃহীত প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অনুরোধ করেন উপদেষ্টা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট বিনিয়োগ প্রকল্প রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাভুক্ত চলমান প্রকল্প ১৩টি আর একটি প্রকল্প অনুনোমোদিত তালিকা থেকে নতুনভাবে অনুমোদিত হয়েছে। চলমান প্রকল্পগুলোর জন্য মোট বরাদ্দ ২৫৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে অবমুক্ত হয়েছে ২০ কোটি ১৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। মোট বরাদ্দে তুলনায় ব্যয়ের হার শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। জুন ২০২৪ পর্যন্ত অগ্রগতি ৭৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে তথ্য সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং আওতাধীন দপ্তর সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।


বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৩১, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮ লাখ মানুষ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ১১ জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে। কয়েকটি জেলা ও কিছু অঞ্চল ছাড়া বেশির ভাগ জায়গার পানি নেমে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অতি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এ সংখ্যা ছিল ২৭ জন।

এদিকে এ বন্যায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা জেলা ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলায় বন্যার পানি নামছে অনেকটা ধীরগতিতে। এখনো জেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি, নেই মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক। বন্যার্ত মানুষকে সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি ত্রাণসহায়তা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। ফুলগাজী উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেছে। তাই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরেছেন বেশির ভাগ মানুষ। তবে উপজেলার মুন্সিরহাট, আনন্দপুর ও জিএম হাট ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের সড়ক ও বাড়ি এখনো পানিবন্দি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা জানিয়েছেন, দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ইতোমধ্যে দেশের সব নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা নেই। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সচিব এ সব কথা বলেন।

চলমান বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে কে এম আলী রেজা বলেন, ‘দেশের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে কুমিল্লায় ১২ জন, ফেনী-২, চট্টগ্রামে-৫, খাগড়াছড়ি-১, নোয়াখালী-৬, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১, লক্ষ্মীপুর-১ ও কক্সবাজারে ৩ জন মারা গেছে। তবে মৌলভীবাজারে দুই ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, আক্রান্ত ১১ জেলার ৭৩ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৫২৮টি। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৪ হাজার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অশ্রয়কেন্দ্র গুলোয় মোট ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫১০ ব্যক্তি ও ৩৯ হাজার ৫৩১ গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

আলী রেজা জানান, ১১ জেলায় মোট ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৪টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৭৩৪ জন। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৬১৯টি মেডিকেল টিম সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ বরাদ্দ এক কোটি বাড়িয়ে ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা করা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি- বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।

তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কর্তৃক সংগৃহীত মোট ৮৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (ডিডিএম) মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিডিএম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে দৈনিক বাংলার নোয়াখালী প্রতিনিধির তথ্যমতে, জেলায় টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখনো জেলার ৮টি উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের ২১ লাখ ২৫ হাজার ৫শত মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। ১৩০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪৩ জন মানুষ আশ্রিত রয়েছে। এখন নতুন করে অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রমুখী হচ্ছেন। তবে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে কথা বলে জানা গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নুতন করে মানুষ উঠার জায়গা নেই। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে নিজ বাড়িতে ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অপরদিকে, জেলার দুর্গম অনেক এলাকায় ঠিকমতো ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না বলে জানান বাসিন্দারা। ত্রাণ পেতে হাহাকার করছে বন্যার্তরা।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার সেনবাগ, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার বন্যা কার্যত অপরিবর্তিত রয়েছে। আর জেলা শহর মাইজদীসহ সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত জেলায় বন্যায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি ১২৪টি ও বেসরকারি ১৬টি মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার পানিবন্দি মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে নগদ ৪৫ লাখ টাকা, ৮৮২ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৫ লাখ টাকার পশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন কাজ করছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

বিপৎসীমার নিচে গোমতীর পানি

ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে গত আটদিন ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল গোমতী নদীর পানি। তবে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে বিপৎসীমার নিচে নেমে আসে পানির স্তর। এতে কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে গোমতী। তবে নদীর পানি অব্যাহত প্রবেশ করছে বুড়িচং উপজেলায়। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যার পানি। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গোমতীর বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে কিছুটা হলে গোমতী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ২২ আগস্ট রাতে বুড়িচং এলাকায় গোমতীর বাঁধ ভাঙার ফলে শুক্রবার সকাল থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করে। বর্তমানে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে গোমতী পানি। উজানে বৃষ্টি না হলে অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত বলতে পারেন।

ফেনীতে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

দৈনিক বাংলার ফেনী প্রতিনিধি জানায়, জেলার সবকটি উপজেলায় প্রায় ১১ লাখ ৫০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। তবে বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর জনজীবনে সমস্যা আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানকার মানুষ ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। মনুষ আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে। এই মুহূর্তে ফেনীতে খাদ্য, পানি ও ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। ভেজা ও নষ্ট হওয়া আসবাবপত্রাদি, দুর্গন্ধময় পরিবেশ তছনছ সাজানো গুছানো সংসার-এমন মানবিক বিপর্যয়ে এখন বেঁচে থাকাই দায়। এসব বিষয় জরুরিভাবে ব্যবস্থা না হলে এখানে মানবিক বিপর্যয় আরও গুরুতর হবে।

ফেনী জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যায় দুই জনের মৃত্যু হলেও নিখোঁজ-মৃত্যু সংখ্যা আরও বেশি হবে। তবে এখন পর্যন্ত এসবের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এবারের বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলায় রোপা আমান, সবজি ক্ষেত, বিজতলা সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়েছে। মানুষের বাড়ি-ঘরে চালা পর্যন্ত পানি উঠায় তাদের ঘরে থাকা আসবাবপত্র, কাথা- বালিশ, গৃহস্থালিসহ সকল প্রকার মালামাল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।উপজেলাব্যাপী মাছের ঘের এবং পুকুরের মাছ সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। কোনো কোনো স্থানে কৃষকের গবাদি পশু কিছু কিছু রক্ষা করা গেলেও এখন গো-খাদ্যের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলায় মুরগির খামার একটিও নেই। গরুর খামার ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক, শাখা পাকা রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। মানুষের যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যার কারণে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিভিন্ন মানবিক সংগঠন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে পারছে না।

সাত দিন বন্ধ থাকার পর জেলা হেডকোয়ার্টার এর সঙ্গে ফেনী-পরশুরাম ও ফেনী-ছাগলনাইয়া এবং ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া ও সোনাগাজী উপজেলার যোগাযোগ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। রাস্তার ওপরের অংশ পানির তোড়ে ভেসে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। জেলার কিছু কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ এখনো দুই-তৃতীয়াংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে এসব কিছুতে স্বাভাবিক গতি ফিরে পাচ্ছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ছাত্র-জনতার চেষ্টায় উদ্ধার করা হয়েছে দেড় লাখ মানুষকে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতিতে নিজ উদ্যোগে মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভেসে গেছে সাড়ে ১৮ কোটি টাকার মাছ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলমান বন্যায় ৪ উপজেলার ৮৬০টি পুকুরের অন্তত ৭৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে বলে জানা গেছে। এতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আখাউড়া উপজেলার খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পুকুর, দিঘি ও খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৮। এগুলোর মোট আয়তন ৬২১ হেক্টর। এসব জলাশয়ে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী মাছ চাষ করেন। আর চাষির সংখ্যা ২ হাজার ১০৭। বন্যায় ১২১ দশমিক ৮৬ হেক্টর আয়তনের ৪৩০টি দিঘি, খামার ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ পোনা পানিতে ভেসে গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের খামারি নাইম আহমেদ বলেন, ‘বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামলে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যার পানিতে পাঁচ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।’

বন্যার পানিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দাবি করেছেন কর্নেল বাজারের বাসিন্দা বাছির মিয়া। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ মাত্র বড় হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে দেড় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।

উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

এদিকে কসবা উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বন্যার পানিতে ২০০ পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। এগুলোর আয়তন ৩৮ হেক্টর। ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ ও ১০ লাখ টাকার পোনা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

২০ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন–সংলগ্ন খাল দিয়ে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করে। এরপর আখাউড়া উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে কসবা উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।

বিষয়:

প্লাস্টিক দূষণ রোধে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি উচ্চাভিলাষী গ্লোবাল প্লাস্টিক চুক্তির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

পরিবেশ উপদেষ্টা আজ বুধবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত ‘মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স অন ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া’ (সিআইসিএ) শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে উপদেষ্টা ভার্চ্যুয়ালি কনফারেন্স যুক্ত হন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের পানি সম্পদের মূল্যায়ন করা এবং সেগুলোর সুরক্ষা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং মানবসম্পদ রয়েছে, যা বিশ্ববাসীর কল্যাণে কাজে লাগানো এবং ভাগাভাগি করা উচিত।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তাদের শেয়ার করা সম্পদ (যেমন যৌথ নদী ও বন) রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের বায়ু দূষণসহ অন্যান্য সাধারণ উদ্বেগগুলোও সমাধান করতে হবে। বাস্তব সময়ের তথ্য সংগ্রহ এবং সর্বোত্তম অভ্যাসগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, সিআইসিএ-এর মধ্যে একসঙ্গে কাজ করে, আসুন আমাদের অঞ্চলের একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য অবদান রাখি এবং আমাদের গ্রাম ও শহরের প্রতিটি নারী ও পুরুষের জন্য, আগামী প্রজন্মের জন্য পরিবেশগত ও জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন আমরা একসঙ্গে একটি শূন্য কার্বন ভবিষ্যৎ অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা করি।’


মডেল মসজিদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে কারা ধ্বংস করেছে সেটা তদন্তের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া, মডেল মসজিদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে দারুল আরকাম মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনা শীর্ষক প্রকল্পের দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। এটিকে প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে পরিবর্তন আনা হবে। যেসব কর্মকর্তা এখানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন তাদেরকে মাঠে পাঠানো হবে। মাঠ পর্যায়ে যারা যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদের প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তার কর্মকাণ্ড, ভিশন ও মিশন থেকে সরে এসেছে। বিশেষ করে অতিমাত্রিক রাজনীতির কারণেই এরূপ লক্ষচ্যূতি ঘটেছে। এটিকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখা হবে।’

‘বিগত ১৫ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পরিমাণ সম্পত্তি বেড়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া হবে। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’, যোগ করেন তিনি।

আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রকল্পের শিক্ষক, জনবল ও বেতন কাঠামোর বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া, শিক্ষা পদ্ধতি, উপবৃত্তি চালু ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক শফিউল আলম, দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনা প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুস সবুর ও ইফা'র আইসিটি ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ বক্তব্য দেন।

এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয়, বিভাগ ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।


banner close