বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
সবচেয়ে বেশি রংপুরে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ

দেশে থ্যালাসেমিয়া বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০২

দেশে জাতীয়ভাবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাহকের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং পুরুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল থ্যালাসেমিয়া সার্ভের প্রতিবেদন গতকাল রোববার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা লিজেন শাহ নঈম। বক্তব্য দেন বিবিএসের উপমহাপরিচালক ওবায়দুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থ্যালাসেমিয়া বাহকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রংপুরে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে আছে রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রামে ১১ দশমিক ২ শতাংশ। এ ছাড়া ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। খুলনা ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকা ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বরিশাল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। সিলেটে সবচেয়ে কম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে হ্যাপাটাইটিস বি আক্রান্তের সংখ্যা এক দশমিক ২ শতাংশ এবং হ্যাপাটাইটিস সি আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।


কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল: ডিএমটিসিএল

আপডেটেড ১৮ জুলাই, ২০২৪ ০৩:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচির মধ্যেও যথারীতি মেট্রোরেল চলবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

গকাল বুধবার রাতে ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, মেট্রোরেল নিয়মিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। মেট্রোরেল ও যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দেয়।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীতে গত কয়েকদিন ধরে গণপরিবহনের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে নগরবাসীসহ অফিসগামী চাকরিজীবীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন। এ পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র ভরসার যানবাহন হয়ে উঠেছে এই মেট্রোরেল।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত প্রতিদিন মেট্রোরেলে প্রায় তিন লাখ যাত্রী চলাচল করেন। কিন্তু গত কয়েক দিনে প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখ থেকে তিন লাখ ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোতে চলাচল করেছেন। এর মধ্যে মতিঝিল, সচিবালয়, কারওয়ান বাজার ও উত্তরা উত্তর স্টেশনে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ছিল।


আজ বন্ধ থাকবে মার্কিন দূতাবাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৮ জুলাই, ২০২৪ ০৩:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বন্ধ থাকবে। গতকাল বুধবার রাতে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী চলমান ছাত্র বিক্ষোভ গত কয়েকদিন ধরে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা শহর, এর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং অন্যান্য শহরজুড়ে সহিংস সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকা উচিত এবং তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। বিশেষত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের এলাকায়। কোনো বড় সমাবেশের আশেপাশে আপনাদের বিক্ষোভ এড়িয়ে চলা উচিত এবং সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত বলেন, ‘যত সকাল থেকে সম্ভব কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হবে। আর চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।’

তিনি জানান, ‘শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না। অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না।’

রেলপথ ও নৌপথসহ সব ধরনের যোগাযোগ পথ এই কর্মসূচির মধ্যে পড়বে বলে জানান হাসনাত। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।


শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহবান পুলিশের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর মতো সহিংস কর্মকাণ্ড পরিহার করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

গতকাল বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগরের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ আহবান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। কোথাও কোথাও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি এবং শিক্ষার্থী ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে পুলিশ উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে। যেকোনো দাবি আদায়ের নামে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, সম্পদ বিনষ্ট করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

এতে আরও হয়, চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির হীন উদ্দেশ্যে এবং উসকানি প্রদানের লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ভীত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব গুজবে কান না দেয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে পুলিশ।


ঢাকায় ১৬ প্লাটুন আনসার মোতায়েন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগরীতে ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ এর নির্দেশনা মোতাবেক তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দেশপ্রেম নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। জনগণের জানমাল ও সরকারি সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আনসার জানায়, আইনশৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নিমিত্তে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে তাদেরকে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীরা যেন সাধারণ ছাত্র ও জনতার কোনো ধরনের ক্ষতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারা দেশে বাহিনীর সব ইউনিটেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১৭ জুলাই, ২০২৪ ২৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব এবং সোয়াটের হামলা-খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার রাত ৮টার কিছু পর আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবকু গ্রুপে এই ঘোষণা দেন।

কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল তারা সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করবে।

সমন্বয়ক আসিফ বলেন, শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোন প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, এ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আগামীকালের কর্মসূচি সফল করুন।

হোয়াটসঅ্যাপে তিনি আরও লিখেন, আমাদের অভিভাবকদের বলছি- আমরা আপনাদেরই সন্তান। আমাদের পাশে দাঁড়ান, রক্ষা করুন। এই লড়াইটা শুধু ছাত্রদের না, দলমত নির্বিশেষে এদেশের আপামর জনসাধারণের।

এদিকে বিকেল থেকে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম।

তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ।

এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও (৯টা ৪৪ মিনিট) নীলক্ষেত মোড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর একটি অংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছেন আর বিনিময়ে শিক্ষার্থীরা ইট পাটকেল ছুঁড়ছেন।


কোটা আন্দোলন এখন শিক্ষার্থীদের হাতে নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোটা আন্দোলন এখন শিক্ষার্থীদের হাতে নেই। এখনকার কর্মসূচি বিএনপি-জামায়াতের প্রেসক্রিপশনে হচ্ছে। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের মধ্যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার উদ্দেশে বিএনপি-জামায়াত চাচ্ছিল দেশে লাশ তৈরি হোক এবং মঙ্গলবার তারা এই লাশগুলো তৈরি করেছে, ৬ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, মঙ্গলবার সারা দেশে যে নৈরাজ্যের অপচেষ্টা হয়েছে, এর প্রধান কারণ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।

বিএনপি-জামায়াত লাশ চেয়েছিল, পেয়েছে। তাদের ক্যাডাররা নেমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ৬ জনকে খুন করেছে। সরকার তদন্ত করছে। যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আর কোটার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন।

আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা প্রধান আলোচক হিসেবে এবং কৃষিবিদ ড. আওলাদ হোসেন এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক।


অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ জুলাই, ২০২৪ ২০:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার সময় যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাতে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, কিছু মহল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।

এসময় কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আদালতের রায় পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার আহ্বান তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

উচ্চ আদালতের রায়ে শিক্ষার্থীরা হতাশ হবে না, আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বিশ্বাস আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না।


জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, দেখুন সরাসরি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে সম্প্রচার করছে। এর আগে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ ভাষণের কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকেই আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন এখনো চলছে। আজ বুধবারও ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ ৬ জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।


সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।

বার্তায় জানানো হয়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে সম্প্রচার করবে।

প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন গতকাল মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নেয়। এদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৬ জন মারা যান। আহত হন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় মঙ্গলবারই সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। হলগুলোর ভেতরে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকেই আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন এখনো চলছে। আজ বুধবারও ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।


বৃহস্পতিবার ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বুধবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষাথীদের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননার বক্তব্যের’ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন যারা করে এখন আর সুতো-নাটাই তাদের হাতে নেই। যারা স্বাধীনতার বিরোধী, একাত্তরে যারা প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন তাদের হাতে সুতো-নাটাই গিয়েছে এবং তাদের যারা সেই প্রভু, সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ওনাদের হাতে চলে গেছে। কাজেই আর বসে থাকার সময় নেই।

আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তার নির্দেশে জীবন বাজি রেখে এই দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছি, আমাদের জীবদ্দশায় এত বড় কথা বলবে, এই দেশ নাকি রাজাকারদের। সেটা মেনে নেওয়া যায় না। সেজন্যই আমাদের আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, আমরা কিন্তু দলীয় ব্যানারে নয়। অনেকেই হয়তো আমাদের আওয়ামী লীগ করি কিন্তু এই আন্দোলন হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক, কর্মচারী এবং পেশাজীবীদের।

মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন করি, আগামীকালকের বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের এই জনসভায় যোগদান করুন। সেখান থেকে আমরা বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করে ঘোষণা করব।


ছাত্রশিবির-ছাত্রদল ও বহিরাগতরা ঢাবির হলে তাণ্ডব চালিয়েছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতাবিরোধী আল বদর, আল শামসের বংশধর, ছাত্র শিবির এবং বিএনপির প্রেতাত্মা ছাত্রদলের ছেলে-মেয়েরা ও বহিরাগতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননার বক্তব্যের’ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, যতদিন আমাদের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছিলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা বলেছি; ওরা ওদের দাবি... একজন এ দেশের নাগরিক হিসেবে একটা দাবি করতেই পারে, সেটা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করতেই পারে। আমরা আপনারাও অনেক সময় সরকারের কাছে অনেক দাবি করি। দাবি করা তো কোনো অন্যায় না, করতেই পারে এবং তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করতে পারে, কেউ বাধা দেয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের কোটাবিরোধী ছাত্ররা, আমাদের সন্তানরাই। তারা যারা আন্দোলন করেছে, আমরা কেউই কোনো বাধা দেই নাই। তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের বক্তব্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে করেছে। কিন্তু এরপরে যখন তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার বলে হলগুলো তছনছ করলো, সবকিছু ভাঙচুর করলো, হলের গেটগুলোও ভেঙে ফেলল, আপনারা দেখেছেন। তারপর আপনারা লক্ষ্য করেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী সেই আল বদর, আল শামসের বংশধর যারা সেই ছাত্রশিবির এবং বিএনপির প্রেতাত্মা ছাত্রদলের ছেলে-মেয়েরা এবং বহিরাগতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ঢুকে কী তাণ্ডব চালিয়েছে। চট্রগ্রামসহ বাংলাদেশের সর্বত্রই।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলেও এ সময় দাবি করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।


আন্দোলন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের নামের তালিকা পাওয়া গেছে: হারুন

ডিএমপি ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে একটি গোষ্ঠী অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

আজ বুধবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন দাবি করেন। পাশাপাশি যারা এই ষড়যন্ত্র করছে তাদের একটি তালিকাও পেয়েছেন বলে দাবি করছেন এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, অর্থ-অস্ত্র দিয়ে একটি গ্রুপ কাজ করছে, একই গ্রুপ গুজব ছড়িয়ে কোটাবিরোধী (কোটা সংস্কার) আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে, তারা অতীতেও ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা তাদের ছাড় দিইনি।

হারুন বলেন, যারা রাজনীতিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য কোমলমতি ছাত্রদের ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রেলের স্লিপার তোলা, মেট্রোরেল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের সবার নাম আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ডিএমপির এবং গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান চলবে।

ডিএমপি ডিবিপ্রধান বলেন, কয়েকদিন ধরে সাধারণ ছাত্ররা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছিল। সাধারণ ছাত্রদের ক্লাসে যাওয়ার জন্য আদালত নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে একটি গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় বসে সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া শুরু করে।

তিনি বলেন, ওই গ্রুপ গাড়িতে আগুন, রেল লাইনের স্লিপার তোলা, মেট্রোরেল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। সবগুলো বিষয় গোয়েন্দা পুলিশ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেছে। ওই গ্রুপই কোটাবিরোধী আন্দোলনকে অন্যদিকে নিতে অর্থ-পানি-লাঠি-অস্ত্র সরবরাহ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতেও প্রেস ক্লাবে দুটি বাসে আগুন, বিভিন্ন জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে তারা। গাড়িতে আগুন দেওয়া কোমলমতি সাধারণ ছাত্রদের কাজ নয়। এ ছাড়া স্বাধীনতাবিরোধী কয়েকটি ছাত্র সংগঠন কয়েকটি জায়গায় মিছিল-সমাবেশ করেছে। আদালতের নির্দেশনা না মেনে কোটাবিরোধী আন্দোলন ভিন্ন দিকে চালানোর অপচেষ্টা চলছে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিএনপি অফিসে অভিযান চালিয়ে শতাধিক ককটেল, পাঁচ বোতল পেট্রোল, ৫০০ লাঠিসোঁটা, সাতটি দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বিষয়:

হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়েছে তাজিয়া মিছিল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শুরু হয়েছে তাজিয়া মিছিল। আজ বুধবার সকাল ১০টা ২০মিনিটের দিকে রাজধানীর হোসেনি দালান থেকে মিছিলটি শুরু হয়। শোক মিছিলটি লালবাগ, আজিমপুর নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডি-২ এ গিয়ে শেষ হবে।

চোখে শুরমা, মুখে মার্সিয়া (শোকের স্লোগান) গায়ে কালো পাঞ্জাবি, কালো ব্যাজ ধারণ ও খালি পায়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন রাজধানীসহ আশপাশের শিয়া মুসলমানরা। এ সময় ঢাকাসহ এর আশপাশ থেকে অনেক ভক্তকে মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে। শোক মিছিলের নিরাপত্তায় সামনে-পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তাজিয়া মিছিলে যেসব তরুণ অংশ নিয়েছেন, তাদের প্রায় সবার হাতেই কালো কাপড় দিয়ে মোড়া বাঁশের লাঠি। লাঠির অগ্রভাবে তরবারিসহ নানা প্রতীক ও পতাকা। মিছিলে অংশ নেওয়া শত শত মানুষ ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন মাতম তুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা ডান হাত বুকে চাপিয়ে মাতম করছেন।

মিছিলে অংশ নেওয়া একজন বলেন, প্রতি বছর তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমে ইয়াজিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। আমাদের কারবালার শহিদানরা ইয়াজিদের কাছে মাথানত করেনি। আমাদের এই মিছিলকে আজ শিয়া সুন্নী দ্বন্দে দেখা হচ্ছে। আশুরা তো সব মুসলমানের শোকের দিন হওয়ার কথা। যারা আমাদের মিছিলের বিরোধী তারাই ইয়াজিদের শিষ্য।

মিছিল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বলেন, আশুরা উপলক্ষে সবার ঘরে ঘরে শান্তি ফিরুক। কারবালার প্রকৃত শিক্ষা যেন আমরা বুকে ধারণ করতে পারি সেই কামনা করি। এবার আমাদের শোক মিছিলের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিতে চাই। মিছিলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। তারা আমাদের মিছিলের সামনে পেছনে থাকবে। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শেষ করতে চাই।

এর আগে ভোর থেকে ভক্তরা হোসেনি দালানে ভিড় জমান। সেখানে এসে নামাজ, জিয়ারতসহ ধর্মীয় কর্ম সম্পাদন করেন।


banner close