সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

কাল থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৫ জুলাই, ২০২৪ ১৩:৩৮

সারা দেশে আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, শনিবার থেকে বৃষ্টি কমে যাবে। কাল রংপুর ছাড়া সারাদেশে কোথাও কোথাও কম বেশি বৃষ্টি হবে। ঢাকায়ও বৃষ্টি কমতে পারে।

আগামী শনিবার ও রোববারের পূর্বাভাসে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দুইদিন রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।একই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।


প্রধানমন্ত্রী আজ চীন যাচ্ছেন 

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০২
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

চার দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে প্রায় ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব’-এ উন্নীত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি শিয়াংয়ের আমন্ত্রণে ৮ থেকে ১১ জুলাই এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট, প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল, সিপিপিসিসির জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর্দা উন্মোচন সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।

চীন থেকে বাজেট সহায়তা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাজেট সহায়তা নয় বরং চীনের সঙ্গে ব্যবসা ও অর্থনৈতিক খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ সহযোগিতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।

চীনকে বাংলাদেশ অফশোর ব্যাংকিংয়ের প্রস্তাব দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অফশোর ব্যাংকিং ইজ ওপেন ফর অল। যেকোনো দেশ যদি চায়, আমাদের সেন্ট্রাল ব্যাংকে চাইলে টাকা রাখতে পারে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অনেক দেশ টাকা রাখতে পারে। তবে অফশোর ব্যাংকিং কিছুটা ভিন্ন বিষয়।

মোংলা বন্দর উন্নয়নের বিষয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব চীনকে দেওয়া হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দর উন্নয়নের বিষয়ে চীনের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। এই সফরে আশা করছি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হবে।

দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। দেশটি থেকে আমরা আমদানি করছি বেশি, রপ্তানি কম হয়। আমাদের পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

সফরের বিস্তারিত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটযোগে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন এবং একই দিন চীনের স্থানীয় সময় বিকেল ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনারসহ যথাযথ অভ্যর্থনা জানানো হবে।

অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, অন্যান্য সচিববৃন্দসহ উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হচ্ছেন।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তিনি সাংগ্রিলা সার্কেলে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন। বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সম্মেলনে যোগ দেবে।

সেদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী চাইনিজ পিপল’স পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং বিকেলে ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। রাতে তিনি বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।

১০ জুলাই সফরের তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ উপস্থিত হলে তার সম্মানে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শেষে চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি শিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০ থেকে ২২টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণার কথা রয়েছে।

সমঝোতা স্মারক নিয়ে ড. হাছান জানান, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে গ্রেট হলে আয়োজিত ব্যংকুয়েটে এসব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

বুধবার ১০ জুলাই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।

১১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীন ত্যাগ করে দুপুর ২টায় ঢাকা অবতরণের কথা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল স্বাধীনতারও পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ সালে ঐতিহাসিক চীন সফরের মাধ্যমে। সে সময় চীনের তৎকালীন নেতা মাও সেতুংয়ের সঙ্গে জাতির পিতার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বঙ্গবন্ধু ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি রচনা করেন। চীন ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে, যার ধারাবাহিকতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নয়নের পথে অগ্রসরমান।

২০১৬ সালে শি চিন পিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারত্বে উন্নীত হয়। বিগত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে চীনের পক্ষ হতে সরকারি সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়। চীন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন প্রদান করে যাবে। চীনে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন এ সফর সফল এবং ফলপ্রসূ হবে বলে আমরা আশাবাদী।


দেশে থ্যালাসেমিয়া বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে জাতীয়ভাবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাহকের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং পুরুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল থ্যালাসেমিয়া সার্ভের প্রতিবেদন গতকাল রোববার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা লিজেন শাহ নঈম। বক্তব্য দেন বিবিএসের উপমহাপরিচালক ওবায়দুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থ্যালাসেমিয়া বাহকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রংপুরে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে আছে রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রামে ১১ দশমিক ২ শতাংশ। এ ছাড়া ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। খুলনা ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকা ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বরিশাল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। সিলেটে সবচেয়ে কম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে হ্যাপাটাইটিস বি আক্রান্তের সংখ্যা এক দশমিক ২ শতাংশ এবং হ্যাপাটাইটিস সি আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।


দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্বুদ্ধ করতে এনআরবি ওয়ার্ল্ড নেতৃবৃন্দকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ রোববার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অনাবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা, তারা বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশি জনগণ এবং অনাবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে একটি বন্ধন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সংগঠনটি পৃথিবীর প্রায় ৫০টি দেশের সঙ্গে সংযুক্ত। অভিবাসী বাংলাদেশিদের মেধা, দক্ষতা ও বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখাই এই সংস্থার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

এনআরবি ওয়ার্ল্ডের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট মোহা. সাহিদুজ্জামান। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

বাংলাদেশে বিদ্যমান ‘বিনিয়োগবান্ধব’ পরিবেশের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি দেশের সম্ভাবনাময় খাতে নিজেদের বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এনআরবি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন তিনি।

অনাবাসী বাংলাদেশিদের বিদেশে দেশের দূত (অ্যাম্বাসেডর) উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, তারা যাতে দেশে সঠিক স্বীকৃতি পায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সাক্ষাৎকালে এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধিদল তাদের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ব্র্যান্ডিংয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। দেশের জন্য ভালো কিছু করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রতিনিধিদল।

বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য তারা এনআরবি স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং ঊচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী

কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করব বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রোববার সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।’ কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ অবহিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা দিয়ে- ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ (গতকাল) বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।’ ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে’- যোগ করে বললেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা। উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে।’ সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি, ওএমএস ও টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।’ এর আগে মন্ত্রী সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন। সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন। পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।


বন্যায় ১৮ জেলায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর দেশের ১৮ জেলায় বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, বন্যাদুর্গতদের জন্য তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বন্যাদুর্গতদের জন্য ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭০০ টন চাল, নগদ পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ৬৫ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, গো-খাদ্য বাবদ ৪০ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট-৩, সুনামগঞ্জ-১ ও মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসনে আড়াই হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী গত একনেক সভায় সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘শনিবার বন্ধের দিনেও আমরা অফিস খোলা রেখেছি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছি। এ ছাড়া বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করে সেখানকার খোঁজখবর নিয়েছি ‘শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একজন মানুষও দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করবেন না। মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজন বিবেচনা করে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হবে’- যোগ করে বললেন প্রতিমন্ত্রী। মো. মহিববুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়া অফিস ধারণা দিয়েছে এরপর আরেকটা বন্যা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাই পর্যপ্ত মজুত আছে। কেউ না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তারপরও যদি কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে আমরা জানার সঙ্গে সমাধান করবো। ১০৯০ এবং ৩৩৩- নম্বরে কল দিলে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ আছে। আজও (গতকাল) জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।


শিগগিরই বাংলাদেশ গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত দেশ হবে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আর মাত্র ১১ হাজার ঘর বিতরণের পরই বাংলাদেশ একটি গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত দেশে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেন, তার সরকার বস্তিবাসীদের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেছে, যেখানে তারা বস্তিতে যে ভাড়া দিতেন তা পরিশোধ করে বসবাস করতে পারবেন। এছাড়াও, তার সরকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্যও অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করেছে এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে গৃহহীনদের ঘর দেওয়া হচ্ছে। আসলে তার সরকারের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে কোনো গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষ থাকবে না।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে গ্র্যাজুয়েশন কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে ইইউ বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। তিনি তার পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্টে ব্রাসেলসে অবস্থান করবেন এবং সেখানে তিনি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কাজ করবেন এবং এজন্য তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।

‘ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ’ চালু করার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই স্কিমটি ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বৈধ উপায়ে অভিবাসনের দ্বার উন্মোচন করবে কারণ বাংলাদেশি দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিরা সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারবেন এবং বৈধভাবে ওয়ার্ক পারমিট পাবেন। অভিবাসীরা ৪/৫ বছর পর দেশে ফিরতে পারবে, তাই ব্রেন ড্রেনের কোনো সমস্যা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লোকেরা বিদেশে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে এবং দেশে এসে অবদান রাখবে। তাই আমি এটাকে ব্রেন ড্রেন বলে মনে করি না।’

ইইউ সহায়তা দিতে আগ্রহী লাকসাম-চট্টগ্রাম রুটে রেল সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর প্রকল্প বলে মনে হচ্ছে। সরকার বরং ইইউ অর্থায়নের সঙ্গে একটি উপযুক্ত এবং টেকসই প্রকল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে কারণ তাদের রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সম্পূর্ণ মনোযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের মাধ্যমে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চায় এবং ভারতও বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশটির বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।আমরা এইভাবে ট্রান্স-এশিয়ান রেল সংযোগের কথাও বিবেচনা করছি।

এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিমসটেককে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন কারণ থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ এর পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। ইইউ রাষ্ট্রদূত ইউক্রেন ও রাশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন কারণ সেখানে যুদ্ধ চলছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু ইউক্রেন-রাশিয়া এবং গাজাতেই নয়, আমরা সর্বত্র শান্তি চাই।

অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


ছাগলকাণ্ড নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ৮ কোটি টাকা তোলেন মতিউর

১১৫টি ব্যাংক হিসাবে রয়েছে মাত্র ৪ কোটি টাকা
ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংক থেকে তুলে সরিয়ে ফেলা মতিউর রহমানের টাকা খুঁজছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ছাগলকাণ্ড নিয়ে আলোচনার মধ্যেই তিনি ৮ কোটি টাকা তুলে নেন।

দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ এবং ব্যাংক হিসাবের টাকার অনুসন্ধানে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা সরানোর তথ্য মিলেছে। ১১৫টি ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেখানে মাত্র ৪ কোটি টাকা রয়েছে। আর ছাগলকাণ্ড নিয়ে হট্টগোলের মধ্যেই এসব হিসাব থেকে ৮ কোটি টাকা তুলে নেন মতিউর। এদিকে অনুসন্ধান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়েছেন মতিউর।

দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম জানান, তার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো তথ্য নেই। ব্যাংক থেকে টাকা সরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির আইনজীবী বলছেন, টাকা যেখানেই সরানো হক খুঁজে বের করা অসম্ভব নয়।

জানা যায়, মতিউরের বিরুদ্ধে এর আগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ পায় দুদক। কিন্তু প্রতিবারই নানা কৌশলে নানা প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ক্লিন চিট পেয়েছিলেন তিনি।

মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম দুদকে অভিযোগ আসে ২০০৪ সালে। সে সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের। অভিযোগ আছে, হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা টাকা প্রবাসী কোনো এক আত্মীয়র মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে তা রেমিট্যান্স বাবদ দেখিয়ে দিয়েছিলেন ট্যাক্স ফাইলে।

২০০৮ সালে আবারও দুদকে অভিযোগ জমা পড়ে তার বিরুদ্ধে। এবার অভিযোগ বিলাসবহুল পণ্যের শুল্ক মাফ করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন। কিন্তু তদন্ত শুরু হতে না হতেই প্রভাবশালীদের চাপে তা চাপা পড়ে যায়, ক্লিন চিট পান মতিউর। এরপর ২০১৩ ও ২০২১ সালে আরও দুবার দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ ছিল অবৈধ সম্পদ ও সম্পত্তির। কিন্তু কৌশলী মতিউর অবৈধ সম্পদকে পারিবারিক ব্যবসা ও ঋণ দেখিয়ে প্রস্তুত করেন ট্যাক্স ফাইল। ফলে আবারও ক্লিন চিট।

তবে পঞ্চমবারের মতো তদন্তে নেমে দুদক আগের চারবারের প্রতিটি বিষয়ে পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছে। একই সঙ্গে যে বা যাদের মাধ্যমে বারবার দায়মুক্তি পেয়েছে মতিউর, তা-ও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানায় দুদক।

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার আগে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এনবিআরের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

বিষয়:

‘যৌথ নদী বিবেচনায় ভারতের প্রস্তাব প্রথমে বিবেচনা করতে হবে’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে ভারত ও চীন উভয় দেশ প্রস্তাব দিলেও যৌথ নদী বিবেচনায় ভারতের প্রস্তাব প্রথমে বিবেচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

এই সফরে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে আদৌ আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা নদী ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী। এ যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার জন্য ভারত একটি প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে ভারত একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠাবে বলেও আমাদের জানিয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে যৌথভাবে সমীক্ষা করে সেখানে কী করা প্রয়োজন তা তারা নির্ধারণ করতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘যেহেতু দুই দেশের যৌথ নদী এবং যে দেশের সঙ্গে যৌথ নদী তাদের একটি প্রস্তাব আছে, সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রথমে ভারতের প্রস্তাব বিবেচনা করতে হবে। চীনও প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি ভালো। কিন্তু যেহেতু ভারত প্রস্তাব দিয়েছে আমরা মনে করি সেটি প্রথমে বিবেচনা করতে হবে। সফরে তিস্তা নিয়ে চীন আলোচনা তুললে আলোচনা হবে।’

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চায়নার সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক। এ ঘাটতি মেটাতে আরও বেশি করে যেন বাংলাদেশের কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য চীনে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে নন-ট্যারিফ বাধাগুলো তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি চীনের আমদানিকারকদেরও যেন উৎসাহিত করা হয় আমাদের যেহেতু বিজনেস ডেলিগেশন সেখানে যাচ্ছে তারা যেন সেখানকার আমদানিকারকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন সেটি আমরা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করবো।

ড. হাছান বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। চীনের সঙ্গে আমাদের স্ট্র্যাটিজিক রিলেশন আছে। তারা আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। অবশ্যই এ সফর আমাদের সে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করবে।


বোয়িং না এয়ারবাস তা এখনও চূড়ান্ত নয়: পর্যটনমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বোয়িং নাকি ফ্রান্সের কাছ থেকে এয়ারবাস, কোন কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশ উজোড়াহাজ কিনবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান। তিনি বলেন, পত্রিকায় সংবাদে যা আসে তা পড়ি। তবে সিদ্ধান্ত নেইনি। বোয়িং না এয়ারবাস তা এখনও চূড়ান্ত না। তবে দেশের জন্য ভোলো হয় এমন সিদ্ধান্তই নেয়া হবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী এক দুই মাসের মধ্যেই বিমার কেয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। সরকার ১০টা বিমান কিনতে চায় তবে আপাতত চারটা কেনা হবে। বাংলাদেশের ক্রয় সংক্রান্ত নিয়ম কানুন অনুযায়ী কেনাকাটা হবে। এ নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটি কাজ করছে। এর আগে আমেরিকার ও ইউরোপিয়ান দুটি কোম্পানির মধ্য এতো প্রতিযোগিতা দেখিনি।

পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, বোয়িং নিয়ে কথা হয়েছে। বলেছি, এখন পর্যবেক্ষণ চলছে। মূল্যায়ন কমিটি যাদের কথা বলবে, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বোয়িং কেনা বা না কেনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে।

গত কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কিনে আসছে। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে বিমানের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বোয়িং থেকে দশটি উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি হয়।

কিন্তু সম্প্রতি বিমানের জন্য উড়োজাহাজ কেনার জন্য ফ্রান্সের এয়ারবাসের প্রতি সরকারের আগ্রহ বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফরের সময় এয়ারবাস থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

তবে বসে নেই যুক্তরাষ্ট্রও। তারা বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বেচার জন্য তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে মার্কিন দূত ছাড়াও বোয়িংয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকায় এসে বারবার বৈঠক করছেন।


সশস্ত্র বাহিনীকে ত্রিমাত্রিক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি অংশকে ত্রিমাত্রিকে রূপান্তর করেছে। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি বাহিনীকে ত্রিমাত্রিকভাবে তৈরি করেছি যাতে তারা যেকোনো প্রয়োজনে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে পারে।’

আজ রোববার (৭ জুলাই) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদর দপ্তরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিজিআরের সদস্যরা বৃষ্টি, ঝড়, প্রচণ্ড গরম- সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের শুভেচ্ছা জানান।

১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পিজিআর প্রতিষ্ঠা করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিজিআর এখন স্মার্ট ফোর্স হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও জাতির পিতার পরিবারের সদস্যসহ ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা দিতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে পিজিআর। এছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় ইসরাইল যে গণহত্যা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। আমরা সব সময় ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি। তারা যেভাবে শিশু ও নারীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে এবং মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে তা সত্যিই সহ্য করা যায় না। আমরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি এবং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াই।

বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগকে দীর্ঘমেয়াদে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যার ফলে তার সরকার সফলভাবে দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পেরেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কৃচ্ছ্রসাধন ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ক্ষেত্রেই সবাইকে কিছুটা হলেও কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। আমরা যদি কৃচ্ছ্রসাধন ও উৎপাদন বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনকালে নিহত পিজিআরের শহীদ সদস্যদের পরিবারের কাছে অনুদান ও উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল।

এসময় আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনীর প্রধান।


‘দক্ষ কর্মী গড়তে বাংলাদেশকে ১শ কোটি টাকা দেবে দ. কোরিয়া’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বাংলাদেশে দক্ষ কর্মী গড়তে ১শ কোটি টাকার সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

আজ রোববার (৭ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোইকার প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোইকা চট্টগ্রামের বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি আধুনিকায়ন ও চাহিদানির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়তে আর্থিক সহায়তা করবে বলে প্রস্তাব করেছে। আমরা প্রস্তারটিকে ভালো মনে করছি। এজন্য দ্রুত তাদের প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছি।’

দক্ষ জনবল গড়তে কোরিয়ার এ ধরনের সহযোগিতার প্রস্তাব আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে আরও যুগপোযোগী করবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এসকল কেন্দ্রগুলো আমাদের জনবলকে দক্ষভাবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, বিএমইটির মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইয়ং কিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


চার‌ দিনের সফরে কাল চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চার‌ দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) চীনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা। সফরে দু’দে‌শের মধ্যে ২০‌টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ রোববার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য় আয়ো‌জিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে এসব তথ‌্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১১ জুলাই বেইজিং সফর করবেন। এ সফরে প্রায় ২০‌টির মতো সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে কিছু প্রকল্পও ঘোষণা করা হ‌বে।’

সফরের দ্বিতীয় দিন (৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। পরদিন ১০ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিন চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়নার প্রেসিডেন্ট ঝাও লেজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও চীনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রীন এ সফরে প্রাধান্য পাবে বাণিজ্য সহায়তা ও বাজেট সহায়তার আওতায় ঋণ, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অর্থনীতি, ব্লু ইকোনমি, মুক্তবাণিজ্য চুক্তির সমীক্ষার ঘোষণা, সড়ক নেটওয়ার্ক, একাধিক সেতু নির্মাণ ও সংস্কার। বিশেষ করে তিস্তা প্রকল্পে চীন কীভাবে কাজ করতে চায়, এ নিয়েও আলোচনা হবে।

গত এক দশকে দুইবার চীন সফরের পাশাপাশি মোট চারবার দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ২০১৪ সালে বেইজিংয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর, ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফর, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আবার বেইজিং সফর এবং ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়।


তিস্তা প্রকল্পে ভারত-চীন একসঙ্গে কাজ করতে রাজি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিস্তা প্রকল্পে ভারত-চীন একসঙ্গে কাজ করতে রাজি আছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। আজ রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় তিনি এ তথ্য জানান।

উজান থেকে আসা পানিতে প্রতিবছর বন্যায় আক্রান্ত না হয়ে এর বিকল্প কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পানি আসবে। পানিকে দ্রুত নিষ্কাশন করে বঙ্গোপসাগরে নিয়ে যেতে হবে। এখানে আমাদের ড্রেজিংয়ের ব্যাপার আছে। তিস্তা ব্যারেজ এই প্রকল্পের একটা অংশ। সেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। আগামীকাল তিনি চীন যাচ্ছেন, তিস্তার ব্যাপারে ভারত ও চায়না- দুই দেশ আমাদেরকে সাহায্য করতে চাচ্ছে।’

তিনি বলেন, পানিটা তো প্রাকৃতিকভাবে আসে। আমাদের কিছু করার নাই। পানিটা যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয়ে যতটা কম প্লাবিত হয় সেভাবে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকার কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তিস্তা নিয়ে কোনো চুক্তির সম্ভাবনা আছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চুক্তি না। তিস্তা তো আমাদের প্রকল্প। চীন এটার ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে এবং প্রকল্পটি বাংলাদেশ নেবে। এটার ফান্ড ভারতও দিতে চাচ্ছে, চায়নাও দিতে চাচ্ছে। আমাদের ভালো খবর হলো, চীন ইতোমধ্যে বলেছে যে তারা ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন, দেশের প্রয়োজনে আমার দেশ কার কাছ থেকে অর্থ নিলে উপকার হবে, দেশ উপকৃত হবে, বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকবে তার কাছ থেকে আমরা নেব। এটা হলো সব চেয়ে বড় দেশপ্রেমের কথা। কোন দেশ দিলে কে দিলো সেটা বড় কথা নয়। আমার দেশ কার থেকে অর্থ নিলে বেশি উন্নত হবে, তার থেকে প্রধানমন্ত্রী নেবে। সেভাবেই প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।


banner close