শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

পদ্মা সেতুর যত্নে গঠিত হবে সরকারি কোম্পানি

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৫০

পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই কোম্পানির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি পিএলসি’। যার মূলধন হবে ১ হাজার কোটি টাকা।

আজ সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কোম্পানিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়।

সচিব জানান, ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি পিএলসি’ এটি হবে শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল আদায়সহ সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেতু বিভাগ থেকে পদ্মা সেতু পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য এই কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন হবে ১০০০ কোটি টাকা। এতে একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে, যার সদস্য হবে ১৪ জন। বোর্ডে সেতু বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

তিনি বলেন, কোম্পানিটির গঠন, জনবল এগুলো পরে নির্ধারণ করা হবে। এই কোম্পানির কাজ হবে পদ্মা সেতু পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, টোল আদায় ইত্যাদি।

বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পরিচালনা করছে। পাঁচ বছরের জন্য তাদের ৬৯৩ কোটি টাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সেতু বিভাগের হয়ে টোল আদায়, সেতুর দুই প্রান্তে ওজন মাপার যন্ত্র বসানো, সেতুতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও আনুষঙ্গিক মেরামতের দায়িত্বে রয়েছে।

পদ্মা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কবে নাগাদ কোম্পানির অধীন যাবে—এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই চুক্তি শেষ হওয়ার পর এই কোম্পানি কাজ করবে।

২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। প‌রদিন থে‌কে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে সেতু কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হ‌চ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সেতু বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (‌বি‌বিএ) এই কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব দেয়। মেট্রোরেল পরিচালনায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) যেভাবে কাজ করছে, এই কোম্পানিও একইভাবে কাজ করবে।

বিষয়:

সবজির দাম চড়া, শতক হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ

সবজির দাম বাড়ার পেছনে টানা বৃষ্টিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম। এর মধ্যে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সবজির দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। বাজারে বেশির ভাগ সবজি কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০-২০ টাকা বেশি। কিছু সবজির দাম আবার কেজিপ্রতি শতকও ছাড়িয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে স্বস্তির বার্তা নেই কাঁচা মরিচের দামেও। অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহ দুই আগে ৩০০ টাকা ছুঁয়েছিল এর দাম। তবে গত সপ্তাহে সে দাম কিছুটা কমলেও এখন আবার বাড়ছে। এ ক্ষেত্রেও বৃষ্টির অজুহাত সামনে আসছে। গতকাল শুক্রবার মানভেদে বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ২০০ টাকার মধ্যে।

শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। সবজির সঙ্গে নতুন করে দাম বাড়ার দৌড়ে রয়েছে পেঁয়াজ। শতক ছাড়িয়ে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এ ছাড়া দেশি হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকার বেশি বেড়েছে। সবজির দাম বাড়ার পেছনে টানা বৃষ্টিকে কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, যেসব এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি সবজি আসে সেই এলাকাগুলোতে কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে খেতে পানি জমে সবজি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যে কারণে সবজির জোগান কমে দাম বেড়েছে।

তবে ব্যবসায়ীদের এসব যুক্তিকে অজুহাত বলে মনে করছেন ক্রেতারা। সেগুনবাগিচা বাজারে ইয়াসিন আলী নামে একজন ক্রেতা বলেন, বৃষ্টি হোক, গরম হোক কিংবা শীত- এ দেশে সব কিছুরই দাম শুধু বাড়ে। কখনো কোনো কিছুর ভালো উৎপাদন হলেও বাজারে দাম কমে না।

এই ক্রেতা আরও বলেন, টমেটোর মতো সবজি কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আলু ৭০ টাকা, বরবটি, উচ্ছে-করলার দাম চাচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। এ যেন মগের মুল্লুক। এত দামে সবজি কিনে খাওয়া আমার মতো অনেক মধ্যবিত্তের জন্যই অসাধ্য হয়ে পড়ছে।

সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বরবটি, গাজর, বেগুন, কচুমুখি ও করলার। প্রতি কেজি বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুমুখি, বেগুন ও করলার কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দর কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার মতো।

এ ছাড়া কাঁকরোলের কেজি ৮০ থেকে ১০০, পটোল ও ঢ্যাঁড়স ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দল ও চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। গাজরের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ও টমেটো ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে টানা অস্থিরতা দেখা গেছে আলুর বাজারেও। এ নিত্যপণ্যটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে আলুর কেজি ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে দাম প্রায় আরও ৫ টাকা বেড়েছে।

আলুর এ দাম সাধারণত ক্রেতার জন্য একেবারেই অস্বাভাবিক। গত বছরের এ সময়ে আলুর কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়েছে আলুর দাম।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারের ক্রেতা ইদ্রিস আলীও বলেন, এক মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, আর পেঁপের কেজি ৫০ টাকা। বাকিগুলো ৮০ টাকার ঘরে। এ ছাড়া করলা, বেগুন, কাঁকরোল, বরবটি, শসা এগুলোতে হাত দেওয়ার উপায় নেই, কারণ এগুলোর দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। দামের বোঝা সব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর।

চড়া দামে থাকা ডিমের বাজারও অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আগের বাড়তি দামেই প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকায়।

পাশাপাশি বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পাবদা বিক্রি ৫০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কৈ মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় আইড় মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর গুলশান লেকপাড় বাজারের বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই সবজির কিছুটা বাড়তি দাম। তবে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সবজির দাম আরও বেড়ে গেছে। আজ কারওয়ান বাজারেই পাইকারি সব সবজি কেনার অতিরিক্ত দাম লেগেছে। সেই সঙ্গে রাস্তা খরচসহ পরিবহন খরচ মিলিয়ে খুচরা বাজারে এর দাম আরও বেড়ে গেছে।

একই বিষয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে জমিতেই সব ধরনের সবজির গাছগুলো হেলে পড়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ফসলও তুলতে পারেনি কয়েক দিন। সব মিলিয়ে পাইকারি বাজারেই সব ধরনের সবজির সরবরাহ অনেক কম। যে কারণে হঠাৎ করেই সবজির দাম বেড়ে গেছে। বৃষ্টি শেষে আবার সবজি সরবরাহ ঠিক হলে দাম ফের কমে আসবে। এ ছাড়া অনেক সবজির ইতোমধ্যে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে, শেষ সময়ের অল্প কিছু সবজি আসছে বাজারে। নতুন করে যখন আবার ফসল উঠতে শুরু করবে তখন ফের সবজির দাম কমে আসবে।


পদ্মা সেতু: বাঙালির গৌরব ও আত্মমর্যাদার স্মারক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সৈয়দ আফজাল হোসেন

পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির গৌরব ও আত্মমর্যাদার স্মারক। এটা বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতিচ্ছবি। এই বিশাল স্থাপনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতীক, কেননা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তিনি এটি সফল করেছেন। হ্যাঁ, অবশ্যই পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের প্রতিকৃতি।

মাত্র ক’বছর আগেও যা ছিল স্বপ্নের মতো, এখন আর তা স্বপ্ন নেই, আজ এটা বাস্তব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির বহুকালের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। সব কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এক জাঁকজমকপূর্ণ ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল (৫ জুলাই) জাতির সোনালি অর্জন পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক ইতি টানলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একটি জাতির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে একজন নেতার সততা, দৃঢ়তা, কর্মনিষ্ঠা ও আন্তরিকতা থাকা অত্যাবশ্যক। একজন রাজনৈতিক নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে এই সবগুলো গুণাবলিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বিদ্যমান। এবং এ কারণেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বলতে গেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। তিনিই সর্বপ্রথম প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে সেতু নির্মাণের কথা ভেবেছিলেন। তার সেই ভাবনাকে সফল করতে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ১৯৭৩ সালে টোকিও সফরকালে পদ্মা ও যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে জাপান সরকারের সহযোগিতা চেয়েছিলেন।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাতবরণ করার পর কোনো সরকারই পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ন্যূনতম উদ্যোগ তো দূরের কথা বিন্দুমাত্র চিন্তাও করেনি।

দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ওই বছরের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মার ওপর সেতু নির্মাণের চিন্তা করেন। সেই মোতাবেক ১৯৯৭ সালে জাপান সফরকালে তিনি পদ্মা ও রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে সে দেশের সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। শুধু তাই নয়, ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত করা একটি প্রাক্-সম্ভাব্যতা সমীক্ষার পর ২০০১-এর ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নদীর দুই প্রান্তে (মাওয়া ও জাজিরা পয়েন্ট) পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

কিন্তু বিধি বাম! আবারও প্রতিবন্ধকতা! ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হওয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। পরবর্তী সরকার এর সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশি-বিদেশি নানাবিধ ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) এগিয়ে আসে ও ঋণ প্রদানের অঙ্গীকার করে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের কিছু রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবী পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে কুৎসিত ও নোংরা রাজনীতি শুরু করেন। তারা শুধু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নয়, সমগ্র জাতির স্বপ্নকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু করেন।

একপর্যায়ে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আনে এবং ঋণ সহায়তা পাওয়ার জন্য সরকারকে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। এ নিয়ে সরকার এবং বৈশ্বিক ঋণদাতাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে মাথা নত না করায় বিশ্ব সংস্থাটি দুর্নীতির মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১২ সালের জুলাই মাসে মেগা প্রকল্পের অনুকূলে ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে যায়। অন্যান্য ঋণদানকারী সংস্থাগুলোও বিশ্বব্যাংককে অনুসরণ করে।

এমনকি বিশ্বব্যাংক ‘দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে কানাডার ফেডারেল আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তী সময়ে কানাডার ওই আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয় এবং অভিযোগটিকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে আদেশ প্রদান করে।

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে বিশ্বব্যাংক ১.২ বিলিয়ন ডলার এবং এডিবি, জাইকা ও আইডিবি আরও ১.১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিলের পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা দিলেন অবশ্যই পদ্মা সেতু হবে এবং তা বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নেই নির্মিত হবে। যেই কথা, সেই কাজ। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর এই মেগা প্রকল্পের (পদ্মা বহুমুখী সেতু) মূল কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও প্রধানমন্ত্রী আরও আগেই এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

এরপর অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এই কঠিন কাজটি সম্পন্ন করলেন তিনি। নির্মাণ করলেন দেশের দীর্ঘতম সেতুটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন, যেকোনো চ্যালেঞ্জিং কাজ সফল করার সাহস ও সক্ষমতা বাংলাদেশ রাখে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বিশ্বকে দেখিয়ে দিলেন: হ্যাঁ, আমরা পারি।

অবশেষে, ২০২২ সালের ২৫ জুন জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন এবং পরের দিন অর্থাৎ ২৬ জুন সকাল থেকে বহু প্রতীক্ষিত সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। বলাবাহুল্য, পদ্মা সেতু অবশ্যই আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অভাবনীয় ও ঈর্ষণীয় অর্জন।

পদ্মা সেতু দেশের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এটি দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা পদ্মা নদীর কারণে দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ রাজধানী থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।

বর্তমানে অত্র অঞ্চলের তিন কোটিরও বেশি মানুষ এই সেতুর সুফল ভোগ করছে। এখন ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুরের মানুষ পদ্মা সেতু হয়ে দুই ঘণ্টায় ঢাকায় চলে আসছে। অথচ আগে এখানে পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগত। খুলনা, বরিশালের মানুষ বাস বা ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তিন ঘণ্টায় ঢাকায় চলে আসছে। তাদের আগে সাত-আট ঘণ্টা সময় লাগত।

এখন আর কোনো মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরিঘাটে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। ফেরি পেতে বিলম্ব কিংবা সময়মত ফেরি পেলেও পারাপারে অধিক সময় লাগার কারণে বহু ঝুঁকিপূর্ণ রোগী উন্নত চিকিৎসার্থে ঢাকায় আনার পথেই ইন্তেকাল করেছেন। এমনকি ফেরিতেও ইন্তেকাল করেছেন কেউ কেউ। কত সন্তান তার বাবা-মাকে হারিয়েছেন, বাবা-মা হারিয়েছেন তাদের সন্তান। বহুকাল ধরেই এভাবে তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে ফেরি বিড়ম্বনা অথবা পথে অধিক সময় লাগার কারণে।

এদিকে দোতলা পদ্মা সেতু দিয়ে ইতোমধ্যেই রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ আরেকটি ব্যতিক্রমী মাইলফলক অর্জন করেছে। এই মেগা অবকাঠামো জাতীয় অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করতে বিশেষ অবদান রাখবে। কারণ মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরেও পণ্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

পদ্মা সেতুর কারণে এরই মধ্যে ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন, পর্যটন স্পট, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, রিসোর্ট এবং হোটেল গড়ে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ও বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ। বাঙালির আস্থার ঠিকানা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের চলমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে সবাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।


পদ্মা সেতু দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পদ্মা সেতুকে ‘গর্বের প্রতীক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশকে যথাযথ মূল্যায়ন করছে।

তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশ শুনলেই মানুষ সমীহ করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। বাংলাদেশের জনগণ একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজের সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

গত দুই বছরে পদ্মা সেতুর টোল প্রাপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবার মতো তারও সন্তুষ্টি ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, আমি টাকার অঙ্ক দিয়ে এটা বিচার করব না। কারণ এ সেতু আমাদের গর্বের সেতু। এটা টাকার অঙ্ক দিয়ে বিচার করার নয়।

বিশ্বব্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে চাই- এই একটা সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে অন্তত সেই মর্যাদা দিয়েছে, আগে যারা কথায় কথায় আমাদের ওপর খবরদারি করত, আর ভাবখানা ছিল এরা ছাড়া বাংলাদেশ চলতেই পারে না, সেই মানসিকতাটা বদলে গেছে। মানুষ এখন গর্ব করে আন্তর্জাতিকভাবে বুক ফুলিয়ে চলত পারে। এটাই সব থেকে বড় পাওয়া।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বাংলাদেশের নাম শুনলেই মানুষ সমীহ করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। বাংলাদেশের জনগণ একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এ স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়নি, সফল হয়েছে এবং আমরা এখন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব, ইনশাল্লাহ। সেই সঙ্গে আমরা ২০২১ থেকে ২০৪১ পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি পাশাপাশি প্রজন্মের পর প্রজন্মের উন্নত জীবনের জন্য নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চুক্তি করে ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নও আমরা শুরু করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘এটাই সব থেকে বড় পাওয়া যে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এ স্বাধীনতা আর এই পতাকা আজকে সারাবিশ্বে গর্বের সঙ্গে এগিয়ে যাবে। আমরা এগিয়ে যাব অপ্রতিরোধ্য গতিতে। যত বাধা আসুক ইনশাল্লাহ অতিক্রম করে জাতির পিতার সে আদর্শ বাস্তবায়ন করেই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

পদ্মা সেতু নির্মাণ বন্ধে দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক বাধা অতিক্রম করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের জনগণের টাকায় সেতুটি নির্মাণ করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন সবাই না করছে আর আমি যখন বলেছি আমি করব। সে সময় দেশের জনগণ আমার সঙ্গে ছিল। আর আজকে সে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করতে পেরেছি যা আমার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করেছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আর কৃতজ্ঞ আমার দেশবাসীর কাছে।

তিনি বলেন, এই পদ্মা সেতুটা একটি জটিল স্ট্রাকচার। কারণ আমাজনের পরে সব থেকে খরস্রোতা হচ্ছে পদ্মা নদী। এই জটিল পরিস্থিতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কখনো নদীর পাড় ভেঙেছে, নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে, একে একে সবকিছু অতিক্রম করে আমরা এ সেতুটি নির্মাণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে দুর্যোগে মৃত্যুবরণকারী এবং সেতুর কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন ও প্রয়াত, তাদের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেন এবং প্রকৌশলী, গবেষক ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই পদ্মা নদীকে দুই কূলে বেঁধে দেওয়া আর এই সেতু নির্মাণ করা, এই জটিল কাজের সঙ্গে যারা জড়িত সেই সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নিবেদিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞ, নিরাপত্তার তদারকিতে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং নির্মাণ শ্রমিকবৃন্দ তাদের প্রতি আজকে আমি আমার কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতেই আজ এখানে এসেছি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন। প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রকল্প সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর ওপর একটি প্রামান্য চিত্রও প্রদর্শিত হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ শেষে ২০২২ সালের ২৫ জুন এ স্থানে পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন যান চলাচলের জন্য তা উন্মুক্ত করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায় বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণের কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এর অ্যাপ্রোচ সড়ক ১২ দশমিক ১১৭ কিলোমিটার। ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৪৮ কিলোমিটার (সড়ক) এবং ৫৩২ মিটার (রেল)। গত দুই বছরে পদ্মা সেতু দিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন চলাচল করেছে। চলতি বছরের ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে যান চলাচল করেছে প্রায় ১৯ হাজার। প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।


খেলার মধ্যে অসুস্থ হয়ে চলেই গেলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। ১২তম রাউন্ডে আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেনের বিপক্ষে খেলছিলেন তিনি। হঠাৎ খেলার মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও অবশেষে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

জিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ৩টায় খেলা শুরুর পর স্বাভাবিকভাবেই খেলছিলেন জিয়া; কিন্তু বিকাল ৫টা ৫২ মিনিটের দিকে হঠাৎ লুটিয়ে পড়েন তিনি। সেখানে থাকা অনেকেই এগিয়ে এসে তাকে তুলে ধরেন। এরপর তাকে দ্রুতই শাহবাগের ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেন; কিন্তু প্রায় মিনিট বিশেক চেষ্টা করেও জিয়ার পালস খুঁজে পাচ্ছিলেন না কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেছেন জিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫০ বছর। তার আকস্মিক এ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৭৪ সালে। ১৯৯৩ সালে তিনি আন্তর্জাতিক মাস্টার খেতাব পান। এরপর নিয়াজ মোর্শেদের পর ২০০২ সালে দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার হন জিয়া। ২০০৫ সালের অক্টোবরে তিনি বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফিদে রেটিং (২৫৭০) অর্জন করেছিলেন।


বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ১০ কেজি সোনা পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই)। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার সীমানগরের ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে পর পর ৪টি অনুসন্ধান চালিয়ে এসব সোনা উদ্ধার হয়েছে। এ সময়কালে ৭ জন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

উদ্ধারকৃত সোনার মধ্যে রয়েছে ১টি সোনার ইট এবং সাড়ে ৯ কেজির বেশি ওজনের সোনার বিস্কুট। জব্দকৃত সোনার মূল্য পৌনে সাত কোটি রুপির বেশি। একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে ১১ লাখ ৫৮ হাজর ৫০০ রুপি নগদ এবং সোনা ডেলিভারিতে ব্যবহৃত একটি মারুতি ইকো গাড়ি।

দেশটির যৌথ বাহিনী দাবি করেছে, এসব সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিএসএফ।

তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফের ৬৮ ব্যাটালিয়ন এবং ডিআরআই-এর একটি যৌথ দল সীমানগর এলাকায় ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে যানবাহনে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বাহিনীর সদস্যরা একটি সন্দেহজনক মারুতি ইকো গাড়ি থামায়। সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার পর তল্লাশির সময় ৪ দশমিক ৮ কেজি সোনাসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়।

একইভাবে ওই সড়কে সকাল ৭টা নাগাদ একটি বাস থামিয়ে তল্লাশিকালে ১ দশমিক ২ কেজি সোনাসহ একজনকে আটক করা হয়। কিছুক্ষণ পর সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আরেকটি বাস থামিয়ে তল্লাশিকালে ৩ দশমিক ৬২ কেজি সোনাসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপর একটি অভিযানে ওই জেলার করিমপুরের রামনগর গ্রামে একটি সন্দেহজনক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১টি সোনার বিস্কুট ও সাড়ে ১১ লাখ অবৈধ নগদ টাকাসহ একজনকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার প্রধান পাচারকারীর নাম রফিক মণ্ডল, নদীয়া জেলার টেপুরের বাসিন্দা তিনি। এ ছাড়া লাল, রবি, প্রদীপ, দাউদ, সীমান্ত ও বিট্টু নামের পাচারকারীরা সবাই নদীয়া (পশ্চিমবঙ্গ) জেলার বাসিন্দা।

জিজ্ঞাসাবাদে রফিক মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এবং এবার তিনি কৃষ্ণনগরে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে সোনার চালান পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।

এ ছাড়া অন্যান্য পাচারকারী জানিয়েছে যে, তারা করিমপুরের সীমান্ত এলাকা থেকে সোনা নিয়ে কলকাতার দমদম রেলস্টেশনে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। গ্রেপ্তার চোরাকারবারিদের সোনাসহ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিআরআই, কলকাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


কানেক্টিভিটির মর্ম বিএনপি বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে, সেই বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়। তিনি শুক্রবার বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে অবান্তর বর্ণনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কি দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করছি, এতে কি ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সঙ্গেও কানেক্টিভিটি হবে।’

মন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও অর্থাৎ আমরা ‘রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’ বাড়ানোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি, এ কানেক্টিভিটির মর্ম বিএনপি বোঝে না, বোঝার কথাও নয়।”

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের মূল শক্তি হচ্ছে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা, সমস্ত সংকটে অবিচল থেকে সেটিকে মোকাবিলা করা, সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বের ক্ষমতা, দলীয় ঐক্য এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অগাধ আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন এবং তাদের মেধা-শ্রম-ঘামের কারণেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরপর চারবার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছি।’

পরপর চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে আলস্য এসেছে, তা ঝেড়ে ফেলতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল এবং এর সবচেয়ে বড় কারণ, সংগঠন শক্তিশালী ছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি ও তাদের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক চক্র উন্মুখ হয়ে বসেছিল যে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়। এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমিশনসহ ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পরপর চতুর্থবার নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চিঠি লিখেছেন।

তিনি বলেন, এতে সেই চক্রের বেলুন ফুস হয়ে গেছে। আর বিএনপিতে এখন ‘তারেক ভূত আতঙ্ক’ বিরাজ করছে। দলটির কর্মীরা এখন আতঙ্কে থাকে, সকালবেলা উঠে দেখবে কি না যে পদ চলে গেছে!

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি প্রমুখ বক্তব্য দেন।


পদ্মা সেতুর জন্য জমিদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা সেতু নির্মাণে দুই পাড়ের জমিদাতা ও দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের টাকায় অনেক ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। নিজেদের টাকায় নির্মিত এই সেতু এখন বিশ্বের কাছে দেশের মান বৃদ্ধি করেছে।’

পদ্মা সেতুর সব কাজ শেষ উপলক্ষে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তিতে আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাধারণত কোনো প্রকল্প শেষ হলে সেটার অনুষ্ঠান কখনও করা হয় না। তবে, পদ্মা সেতু অনেক ঝড়-ঝাপটা পার করে, অনেক বাধা অতিক্রম করে নির্মাণ করতে হয়েছে, যেটা করেছি সম্পূর্ণ বাংলাদেশের জনগণের টাকায়। দেশের মানুষের টাকায় এই সেতুটি নির্মাণ। রেল সেতুটাও একইসঙ্গে হয়ে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি চেয়েছিলাম, নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা আমাদের দুই পাড়ের মানুষ যারা তাদের নিজেদের জমি দান করেছেন এবং যারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাদের একটু অন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে। সেজন্যই আজকের এই আয়োজন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর অনুষ্ঠানই এটা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পদ্মাসেতুর থিমসং প্রচার করা হয়। এছাড়া পদ্মাসেতুর ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। সুধী সমাবেশে সেতুমন্ত্রীর ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।

২০২২ সালের ২৫ জুন নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে দক্ষিণের দুয়ারে যুক্ত হয় অগ্রগতির পালক। দেশে ছড়িয়ে পড়ে উন্নয়নের দ্যুতি। সংসদ অধিবেশনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি জানিয়েছেন, এরইমধ্যে যানবাহন পারাপার এক কোটি ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

সড়ক পথের পাশাপাশি পদ্মার ওপর দিয়ে রেল পথেও রাতদিন চলছে ট্রেন। পদ্মা সেতু রেল লিঙ্কের ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজও শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই। এই অংশ চালু হলে রেলপথে যশোর থেকে রাজধানীর দূরত্ব কমবে প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার।


পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, দেখুন সরাসরি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ জুলাই, ২০২৪ ১৬:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়া উপলক্ষে অয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ৩টা ৫৩ মিনিটের দিকে অনুষ্ঠানস্থলের মঞ্চে ওঠেন তিনি।

পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এই সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই একই মাঠে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে বিকেল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন।

জানা গেছে, সুধী সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার সুধীজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠান সূচি থেকে জানা গেছে, শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। এরপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।

বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য রাখবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধান অতিথির ভাষণ রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে, গত ৩ জুলাই পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে হাতে নেওয়া কার্যক্রমগুলোর ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সেখান থেকে জানা যায়, এ অনুষ্ঠানের বাজেট পাঁচ কোটি টাকার ওপরে।


ফের আইজিপি হলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৫ জুলাই, ২০২৪ ২২:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আরও এক বছর বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে থাকবেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ শুক্রবার এক প্রজ্ঞাপনে তার চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। তিনি আরও এক বছরের জন্য আইজিপি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন।

বর্তমান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দেড় বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১১ জুলাই। এর আগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি তার চাকরির মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হয়েছিল। আইজিপি হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের এটি দ্বিতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন।

কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন।

বিষয়:

আশুরার তারিখ জানা যাবে কাল

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪৪৬ হিজরির পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং আশুরার তারিখ নির্ধারণে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭, ০২-৯৫৫৫৯৫১ ফ্যাক্স নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।


বিকেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ হওয়ায় এর আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিকেল ৪টায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় পদ্মাসেতু উত্তর প্রান্তে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘নানা অনিশ্চয়তার মধ্যেই আমাদের কাজটি সম্পন্ন করতে হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় আমরা সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। মানুষকে একটি সুন্দর সেতু তৈরি করে দিতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সবশেষ বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে। আমরা ওই টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি অনেক বড় একটি প্রকল্প। আমাদের কিছু ক্লেইম ছিল। নদীশাসন ও কারিগরি কিছু কাজ বাকি ছিল। বড় কাঠামো তৈরির পর ডিফেক্ট লাইবিলিটি পিরিয়ড থাকে। এই সময়ে অবকাঠামোর ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে (যেমন কোথাও রং উঠে গেছে, কোথাও কিছুটা কাজ বাকি থেকে গেছে ইত্যাদি) তা সংশোধন করা হয়। ঠিকাদারেরও বেশ কিছু ক্লেইম ছিল। যে কারণে বারবার আমাদের মিটিং করতে হয়েছে। অর্থাৎ এই সবগুলো কাজ এই সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আমাদের কাজ এখন সম্পূর্ণ। গত ৩০ জুনই সম্পন্ন হয়েছে।’

জানা গেছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি উপলক্ষে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ। বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথি ছাড়াও থাকবেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বরণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা আর সর্বাত্মক প্রস্তুতি থাকার কথা জানিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ৫ জুলাই বিকেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মাওয়া এলাকায় আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। মূলত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের মেয়াদ সমাপ্তি উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী আসবেন। বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিসহ যারা এই সেতুর কাজে বিভিন্ন সময় অংশ নিয়েছেন, তাদের নিয়ে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সংশ্লিষ্টদের কথা শোনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও সব দপ্তরের অংশগ্রহণে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায় প্রথম পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এরপর নানা প্রতিবন্ধকতায় আর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা শেষে যাত্রা শুরু হয় দেশের আলোচিত প্রকল্পটির মূল কাজ। যার সবশেষ মোট বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা।


কাল থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, শনিবার থেকে বৃষ্টি কমে যাবে। কাল রংপুর ছাড়া সারাদেশে কোথাও কোথাও কম বেশি বৃষ্টি হবে। ঢাকায়ও বৃষ্টি কমতে পারে।

আগামী শনিবার ও রোববারের পূর্বাভাসে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দুইদিন রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।একই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।


প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৭ প্রস্তাব দেওয়া হবে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ৪ জুলাই, ২০২৪ ২২:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফরে মহেশখালী থেকে একটি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সাতটি প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করেছি, মহেশখালী থেকে একটি এলএনজি পাইপ লাইন নির্মাণের প্রস্তাব থাকবে আমাদের। এখন দৈনিক ৩৫০০ এমএমসিএফ গ্যাসের চাহিদা থাকলেও আগামী ৫ বছরের মধ্যে তা ৬০০০ এমএমসিএফডি হয়ে যাবে। সে কারণে আমদানি ও দেশীয় যোগান থেকে এটা মেটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

২০২৭ সালের মধ্যে দেশে কোনো গ্যাস সংকট থাকবে না– এমন আশার কথা শুনিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে আমরা ১৪৬টি কূপ খনন করব। সেজন্য অনশোর বিডিংয়ের একটি পিএসসি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমরা আরও কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে আমরা চীনকে গ্যাস পাইপ লাইনের প্রস্তাব দিচ্ছি।’

আগামী ৮ জুলাই চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আর এ মাসেই নেপালের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করা হবে বলে জানান নসরুল হামিদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি খাতে এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জ্বালানি বিভাগের নিজস্ব অর্থ থেকে গ্যাস ও তেল কেনা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগে ২৯ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এসব বরাদ্দ থেকে উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর পাওয়ার প্লান্টসহ আরও কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির হিস্যা বাড়ানোর পক্ষে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটা ১০ শতাংশ করা আমাদের মূল টার্গেট। (মোট উৎপাদন) ২৬ হাজার ধরলে (রিনিউয়েবল) ২৬০০ মেগাওয়াট লাগবে। এখন ৪০০ মেগাওয়াটের মত হচ্ছে। আড়াই হাজার মেগাওয়াটের এলওয়াই দিয়েছি।’


banner close