মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

ক্যাশলেস সেবা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে: এলজিআরডিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২৪ ২১:৫২

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি)মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধও থাকতে হবে। জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মচারী সবাই এ দেশের নাগরিক। সবাই মিলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাঁধা সামনে দাঁড়াতে পারবে না।

তাজুল ইসলাম শনিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত জেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি মাইলফলক। ক্যাশলেস করার কারণে রাজস্ব সংগ্রহ বহুগুণ বাড়বে। এ সেবা শুধু ঢাকা জেলায় নয়- সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম চালু করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি নয়, স্মার্ট ক্যাশলেস সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তিও কমবে। আগে আমরা দেখেছি, দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে রাজস্ব প্রদানসহ যেকোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধে অনীহা দেখা যেত; কিন্তু ক্যাশলেস স্মার্ট সেবার মাধ্যমে জনগণ খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবে।’

ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ আনার কলি পুতুল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।


এ বছর ৩ কোটি মুসলমান পাবেন ওমরাহর সুযোগ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পবিত্র মক্কা শরিফ তাওয়াফ করার বাসনা প্রতিটি মুসলমানই মনের গভীরে পোষণ করে থাকেন। তবে সবার পক্ষে হজ করা সম্ভব হয় না। তাই অনেকেই বছরের অন্য সময়ে ওমরাহ পালন করে থাকেন। হজের চেয়ে কম খরচে করা সম্ভব হয় বলে ওমরাহ পালনে আগ্রহীর সংখ্যাও বেশি। তবে এর আগে বছরে এক কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে এ সুযোগ দিয়ে আসছিল পবিত্র কাবা শরিফের জিম্মাদার রাষ্ট্র সৌদি আরব। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আগ্রহ আরও বেশি থাকায় এ বছর ওমরাহকারীদের সংখ্যা তিন গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সৌদি সরকার। সে হিসেবে এ বছর সারাবিশ্বের তিন কোটি মুসলমান পাবেন ওমরাহ পালনের সুযোগ।

এ ছাড়াও ওমরাহ পালনে ভিসা ব্যবস্থা সহজ করতে সৌদি সরকার প্রযুক্তির সুবিধা এনেছে। ফলে নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলে ওমরাহর ভিসা মিলবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ওমরাহ করতে বয়সের কোনো সীমাও টানবে না সৌদি সরকার। আর নারীদের জন্য সুখবর হচ্ছে, পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই তারা সম্পন্ন করতে পারবেন ওমরাহ। এতদিন পুরুষ অভিভাবক ছাড়া কোনো নারীর হজ বা ওমরাহ যাত্রার অনুমতি ছিল না।

সম্প্রতি গালফ নিউজের অনলাইন প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বর্তমানে দেশটিতে প্রতিবছর এক কোটি মানুষকে ওমরাহ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়। সৌদির ওমরাহ-বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি আবদুলরাহমান বিন ফাহাদ সৌদি টেলিভিশন আল এখবিয়ারকে বলেন, প্রতিবছর ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা বাড়ছে। ওমরাহপ্রত্যাশীদের চাহিদা মাথায় রেখে এ বছর ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ১ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

গালফ নিউজ জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ওমরাহর মৌসুম শুরু হবে। এর আগে দেশটিতে হজ পালনে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে ১৮ লাখ মুসল্লি দেশটিতে গেছেন।

দেশটির সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওমরাহ পালনে আগ্রহী মুসল্লিদের জন্য তাদের বিভিন্ন সুবিধার কথা প্রচার করে আসছিল। গালফ নিউজের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি হিজরি বছর শুরুর প্রথম ছয় মাসে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদিতে যান ৪৫ লাখের বেশি মানুষ। এসব মুসল্লির মধ্যে বেশিরভাগই বিমানযোগে সৌদি গেছেন। অন্যরা বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এবং সমুদ্রপথে।

দেশটিতে এবার ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ১০ লাখ ৫ হাজার ৬৫ জন ওমরাহ পালনের জন্য যান। এর পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি থেকে সৌদিতে ওমরাহ পালনে গেছেন ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০৮ জন। এরপর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত, মিসর ও ইরাক।

সম্প্রতি সৌদি আরব ওমরাহ পালনে আগ্রহীদের জন্য ইলেকট্রনিক ভিসা বা ই-ভিসা চালুর ঘোষণা দেয়। ওমরাহ পালনে আগ্রহীরা নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করে ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এই অ্যাপের মাধ্যমে আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ভিসার মেয়াদও ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করেছে দেশটি।

এই ভিসার মাধ্যমে স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে দেশটিতে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া নতুন নিয়ম হিসেবে বলা হয়েছে, এখন ভিসা পেতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। সেই সঙ্গে নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক থাকার বাধ্যবাধকতাও আর নেই।

বিষয়:

জুনে ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়

প্রকীতী ছবি
আপডেটেড ১ জুলাই, ২০২৪ ২২:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সদ্যবিদায়ী জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে, যা ৩৫ মাস অর্থাৎ প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের পুরো সময়জুড়ে এসেছে প্রায় ২৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ লাখ ৮২ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের সর্বশেষ মাস জুনে ২৫৪ কোটি ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। এটি ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সবশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স আড়াই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ওই মাসটিতে এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।

চলতি অর্থবছরের মে মাসে দেশে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে মে মাসের তুলনায় জুনে ২৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার বেশি এসেছে। আর গত বছরের একই মাসের তুলনায় বেশি এসেছে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত বছরের জুন মাসে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সে হিসাবে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় সদ্য বিদায়ী জুনে দেশে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরে যা এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৩১ কোটি ডলার। অর্থবছরের হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রবাসীরা বেশি অর্থ পাঠানোর ফলে জুনে প্রবাসী আয় বেড়েছে। তাদের মতে, প্রতিবছরই মুসলিমদের এ ধর্মীয় উৎসবকে (ঈদুল আজহা) সামনে রেখে দেশে অভিবাসী কর্মীরা বেশি অর্থ পাঠান। সর্বশেষ সমাপ্ত জুন মাসেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এ ছাড়া আগে পাচার করা হয়েছে, এমন অনেক অর্থও এখন প্রবাসী আয় হিসেবে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, রেমিট্যান্সে ডলারের ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের সঙ্গে ব্যাংকের দরে পার্থক্য কমে এসেছে। আবার বর্তমান পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স বাড়াতে অনেক চেষ্টা করছে। ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের উৎসাহিত করছে, এতে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আগামীতেও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

দীর্ঘদিন ধরে যে ডলার-সংকট চলমান, তা কাটিয়ে ওঠা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুদ বাড়াতে বিদেশ থেকে অর্থ আনতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় তদারকি কমিয়ে দিয়েছে। এর পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অর্থ বৈধ পথে দেশে আনার ক্ষেত্রে যে নিয়মকানুন রয়েছে, তা শিথিল করা হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয় দেশে আসার ক্ষেত্রে।

তথ্য অনুসারে, যে ব্যাংক ডলারের যত বেশি দর দিচ্ছে, সেই ব্যাংক প্রবাসীদের কাছ থেকে তত বেশি ডলার পাচ্ছে। এসব ব্যাংক আবার বেশি দামে অন্য ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে। তাতে আমদানিকারকদের বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও এসব ব্যাংক থেকে ডলার কিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়।

২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়ে যায়। তখন প্রতি মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ গড়ে ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল। বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় আসার কারণে একপর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে পণ্য আমদানির খরচ বাড়ে, দেখা দেয় ডলার-সংকট। যে সংকট এখনো পুরোপুরো কাটেনি। অবশ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার পর গ্রস হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।


বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের নেতৃত্বে দুদেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগের বিষয় প্রাধান্য পায়।

আজ সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় বাংলাদেশে বিশেষত, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং দেশের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৌদি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মু. নজরুল ইসলাম, মহাপরিচালক (পশ্চিম এশিয়া) মো. শফিকুর রহমান ও মহাপরিচালক (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর) মো. আরিফ নাজমুল হাসান এবং সৌদি কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদকে (জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল-জেবিসি) দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়নে তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। সৌদি আরব থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।

সৌদি আরবে ৩০ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরও স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সৌদি আরবে ব্যবসারত বাংলাদেশি প্রবাসীদের রেজিস্ট্রেশনের বিশেষ সুযোগ প্রদানের অনুরোধ জানান।

পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা চাইলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা নিরসনকল্পে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

দেড় ঘণ্টাব্যাপী হৃদ্যতাপূর্ণ বৈঠকে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি আগামী বছর সৌদি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর যথাযথ উদযাপনে যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের বৈঠককে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তারা।


সোফার ভেতরে ফেনসিডিল পাচার, গ্রেপ্তার ১

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিনব কায়দার ফার্নিচারের (সোফা সেট) ভেতরে ফেনসিডিল পাচারের সময় আল আমিন (৩৬) নামে এক মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

গত রোববার (৩০ জুন) রাতে দিনাজপুর থেকে চার সেট সোফার ভেতরে ১৯৭ বোতল ফেনসিডিল লুকিয়ে পাচারের সময় বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও চারটি সোফ সেট জব্দ করা হয়।

আজ সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত রোববার রাতে গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এক মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছিলেন। আল আমিন বিভিন্ন সময় সুকৌশলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল পরিবহন করে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদককারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।

তার নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০২৪ পাস হয়েছে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে ১২০ দিনের জন্য। কোনো দৈবদুর্বিপাক, অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে এটি ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ‘সচিব’ পদটির নাম পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করা হয়েছে।

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির হামিদুল হক খন্দকার বলেন, সম্মানিটা সম্মানজনক হওয়া উচিত। এখন সরকারি টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নিজের আয় থেকে চেয়ারম্যানের ভাতা ১০ হাজার টাকা ও সদস্যদের ভাতা ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বর্তমান বাস্তবতায় এটি দ্বিগুণ করা উচিত। তিনি বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিধান আগে আইনে ছিল না। এটার সুবিধার পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারের আশঙ্কাও আছে।

বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ হয়। তারা এ টাকা কিভাবে তুলবে। তখন দুর্নীতি করে। টিআর কাবিখা বিক্রি করে দেয়। এ জন্য দুর্নীতি কমাতে তাদের ভাতা বাড়ানো উচিত।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথ বলেন, একজন ইউপি সদস্যকে একটি ওয়ার্ডে নির্বাচন করতে হয়, অথচ এক সংরক্ষিত মহিলা সদস্যকে তিন ওয়ার্ডে নির্বাচন করতে হয়। এতে তার অনেক বেশি খরচ ও পরিশ্রম হয়। কিন্তু তার সুযোগ-সুবিধা একই। এই বৈষম্য দূর করা দরকার। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও চৌকিদার-দফাদারদের সম্মানী বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার বলেন, ইউপি স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তারা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করেন। তাদের সম্মানী খুবই অসম্মানজনক। এটা সম্মানজনক হওয়া উচিত।

প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এস এম ব্রাহানী সুলতান।

জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক নিয়োগ সাংঘর্ষিক নয়। এটা সাময়িক। নতুন ইউপি গঠনের পর এটা করতে হয়, এটি আইনের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিক নয়। আইনি জটিলতা সৃষ্টি করেও পদে থেকে যাওয়ার উদাহরণ আছে। এই বিধান এ ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। ভাতা বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।


সওজের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা ১-এ মামলাটি দায়ের করেন। সড়কের অবসরপ্রাপ্ত এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এক কোটি আট লাখ ৯০ হাজার ৭২৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদের সম্পদ বিবরণীর আদেশ জারির পর তিনি ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তার সম্পদ বিবরণী যাচাই ও অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তিনি জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি আট লাখ ৯০ হাজার ৭২৮ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামলা দায়েরের পর তদন্তকালে সড়কের সাবেক এই প্রকৌশলীর ছেলে আসিফ মাহমুদ ওরফে আসিফ হাসানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কনসেপ্টে তার কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটাও তদন্ত করা হবে। তখন অন্য কারও কিংবা অন্য কোনো সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে সেটাও অভিযোগপত্রে নথিভুক্ত করা হবে।

বিষয়:

সাদিক অ্যাগ্রোতে মিলল ব্রাহমা জাতের গরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খামারটিতে ব্রাহমা জাতের ৩টি গাভী ও ব্রাহমা জাতের মতো ৭টি বাছুরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক। অন্যদিকে সাদিক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ খামারেও অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি।

আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম সাভারের যান। এরপর শুরু হয় অভিযান। এই অভিযানে, সরকারি প্রতিষ্ঠান গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের দরপত্র জালিয়াতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে দুদকের সদস্যরা।

অন্যদিকে সাদিক অ্যাগ্রোর খামারে দুদকের অভিযানে পাওয়া যাওয়া ব্রাহমা জাতের ৩টি গাভী ও ব্রাহমা জাতের মতো ৭টি বাছুর সেই জাতের কি না, তা নিশ্চিত হতে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।

সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙাব্রিজ এলাকার সাদেক অ্যাগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, একটি শেডে রাখা হয়েছে তিনটি ব্রাহমা জাতের গাভী ও সাতটি ব্রাহমা জাত সদৃশ বাছুর। এ ছাড়া একটি কাপড় দিয়ে ঘেরা ঘরের ভেতর রাখা হয়েছে ১৫ লাখ টাকার আলোচিত ছাগলটি। খামারটির দেখাশোনার দায়িত্ব থাকা জাহিদ জানান, সকাল থেকে খামারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিযুক্ত করা হয়েছে নিরাপত্তা কর্মী। এর আগে এখানে কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিল না। খামারটিতে বর্তমানে ২৫০টি গরু রয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাদেক অ্যাগ্রোতে আমরা তিনটি ব্রাহমা জাতের গাভী ও ৭টি ব্রাহমা জাতের বাছুরের মতো বাছুর দেখতে পেয়েছি। গরুগুলো আমরা সাভারের গো-প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে আসলেই ব্রাহমা জাতের কি না। আমরা কিছু নথি-পত্র পেয়েছি, সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ হওয়ায় গরুগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অন্যদিকে সাদিক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই অভিযানে, সরকারি প্রতিষ্ঠান গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের দরপত্র জালিয়াতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখে দুদকের সদস্যরা। ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুরে সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করেছে সিটি করপোরেশন। সাদিকে ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দেশের গরু আনার অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে ১৮টি আমেরিকান ব্রাহমা জাতের গরু জাল কাগজপত্র তৈরি করে দেশে আনেন তিনি। ব্রাহমা জাতের গরু বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ। দেশে মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পর সরকার ২০১৬ সালে ব্রাহমা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

আমদানি নিষিদ্ধ উন্নত জাতের ওই গরুগুলো বিমানবন্দরে জব্দের পর পাঠানো হয় সাভারের গো-প্রজনন কেন্দ্রে। সেখান থেকে পরে সেগুলো সাদিক অ্যাগ্রোতে নিয়ে যান ইমরান। কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান থেকে ব্রাহমা জাতের গরুগুলো সাদিক অ্যাগ্রোকে দেওয়া হয়েছে সেসবসহ অন্যান্য বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে দুদক।

করোনা মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা ব্রাহমা গরুগুলো বিমানবন্দরে ধরা পড়লে সেসময় গ্রহণ করতে কেউ যাননি। পরে জানা যায়, ওই গরুগুলোর আমদানিকারক সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড। তারা কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে শাহিওয়াল গরুর নাম দিয়ে ব্রাহমা আমদানি করেছিল। আর এটা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


আপিল বিভাগের পরবর্তী শুনানি ৪ আগস্ট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আয়কর প্রান্তিক সুবিধা হিসেবে মালিকপক্ষ দেবেন এ-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায় বিষয়ে আনা লিভ টু আপিলে নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) বক্তব্য শুনবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা পৃথক লিভ টু আপিল শুনানিতে নোয়াবের বক্তব্য শুনবেন বলে এ আদেশ দেওয়া হয়।

নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদকে ব্যক্তিগতভাবে বা আইনজীবীর মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী ধার্য তারিখ আগামী ৪ আগস্ট। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও বাসস-এর পক্ষে অ্যাডভোকেট সমিরণ মল্লিক অন রেকর্ড এ কথা জানান।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. সালাহউদ্দিন দোলন। তিনি শুনানিতে বলেন, সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আয়কর প্রান্তিক সুবিধা হিসেবে মালিকপক্ষ এ পর্যন্ত দিয়ে এসেছেন।

সর্বশেষ নবম ওয়েজ বোর্ডও এটি প্রান্তিক সুবিধা হিসেবে মালিকপক্ষ দেবেন এ সুপারিশ করেছেন। নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রজ্ঞাপনে দেখা যায় মন্ত্রিসভার একটি সাব-কমিটি এটি সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের দিতে সুপারিশ করেন। এ সুপারিশের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সুপারিশ বাতিল করে রায় দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে এর আগে আপিল বিভাগের রায় রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সংক্ষুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

রিট আবেদনের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. কাজী আকতার হামিদ শুনানিতে বলেন, সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেই নবম ওয়েজ বোর্ড সুপারিশ করেছেন। সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আয়কর প্রান্তিক সুবিধা হিসেবে মালিকপক্ষ দেবেন এর পক্ষে তিনি আইনি রেফারেন্স উল্লেখ করেন।

রিটের পক্ষে আরও ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম মাহিদুল ইসলাম সজীব, অ্যাডভোকেট তোফায়েল আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। তারা শুনানিতে আয়কর বিষয়টি নিয়ে মালিক পক্ষ নোয়াবের বক্তব্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

গত বছরের ২৪ জুলাই সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও কর্মচারীদের নবম ওয়েজ বোর্ডে গ্র্যাচুইটি ও আয়কর-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার সুপারিশ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

ব্যারিস্টার সালাহউদ্দিন দোলন বলেন, সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের আয়কর ও আনুতোষিক-সংক্রান্ত দুটি সুপারিশের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। ফলে সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আয়কর আগের মতোই মালিক বা কর্তৃপক্ষকেই পরিশোধ করতে হবে। পরে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষে পৃথক আবেদন দাখিল করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে নবম সংবাদপত্র ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। এ বোর্ড অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শের পর ‘নবম সংবাদপত্র ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ’ চূড়ান্ত করে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তা তথ্য মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করে। ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করে সরকার।


সোফার ভেতরে ফেনসিডিল পাচার, গ্রেপ্তার ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিনব কায়দার ফার্নিচারের (সোফা সেট) ভেতরে ফেনসিডিল পাচারের সময় আল আমিন (৩৬) নামে এক মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। গতকাল রোববার (৩০ জুন) রাতে দিনাজপুর থেকে চার সেট সোফার ভেতরে ১৯৭ বোতল ফেনসিডিল লুকিয়ে পাচারের সময় বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও চারটি সোফ সেট জব্দ করা হয়।

সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত রোববার রাতে গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এক মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছিলেন। আল আমিন বিভিন্ন সময় সুকৌশলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল পরিবহন করে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদককারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।

তার নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


নকল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে ৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও বংশালে নকল কসমেটিকস, বৈদ্যুতিক তার, মোবাইলের ব্যাটারি, মবিল উৎপাদন করে মজুদ ও বিক্রি করার অভিযোগে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত রোববার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ জরিমানা করা হয়।

আজ সোমবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম.জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল কসমেটিকস, মোবাইলের ব্যাটারি এবং মবিল উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছে। পরে গত রোববার দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। আদালত ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার করেন।

আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। আদালতকে সহায়তা করে র‌্যাব-১০ ও বিএসটিআই এর প্রতিনিধি।

জরিমানা করা ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, জনসন বেবি লোসন নকল কারখানাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ময়ূর ডিটারজেন্ট পাউডারকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এম.সি.ভি. টেলিকমকে ৫০ হাজার টাকা, গ্লোরি জাফরান বিউটি সোপকে ২ লাখ টাকা, ফাইম ক্যাবলকে ২ লাখ টাকা, এ.আর. এন্টার প্রাইজকে ৫ লাখ টাকা ও সানসিল্ক, ডাব শ্যাম্পুর নকল টিউব তৈরির কারখানাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া, অভিযান শেষে আদালতের নির্দেশে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের নকল কসমেটিকস জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।


পদ্মা সেতুর যত্নে গঠিত হবে সরকারি কোম্পানি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই কোম্পানির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি পিএলসি’। যার মূলধন হবে ১ হাজার কোটি টাকা।

আজ সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কোম্পানিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়।

সচিব জানান, ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি পিএলসি’ এটি হবে শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল আদায়সহ সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেতু বিভাগ থেকে পদ্মা সেতু পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য এই কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন হবে ১০০০ কোটি টাকা। এতে একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে, যার সদস্য হবে ১৪ জন। বোর্ডে সেতু বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

তিনি বলেন, কোম্পানিটির গঠন, জনবল এগুলো পরে নির্ধারণ করা হবে। এই কোম্পানির কাজ হবে পদ্মা সেতু পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, টোল আদায় ইত্যাদি।

বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পরিচালনা করছে। পাঁচ বছরের জন্য তাদের ৬৯৩ কোটি টাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সেতু বিভাগের হয়ে টোল আদায়, সেতুর দুই প্রান্তে ওজন মাপার যন্ত্র বসানো, সেতুতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও আনুষঙ্গিক মেরামতের দায়িত্বে রয়েছে।

পদ্মা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কবে নাগাদ কোম্পানির অধীন যাবে—এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই চুক্তি শেষ হওয়ার পর এই কোম্পানি কাজ করবে।

২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। প‌রদিন থে‌কে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে সেতু কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হ‌চ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সেতু বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (‌বি‌বিএ) এই কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব দেয়। মেট্রোরেল পরিচালনায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) যেভাবে কাজ করছে, এই কোম্পানিও একইভাবে কাজ করবে।

বিষয়:

শ্রেণিকক্ষে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত হলে কিশোর গ্যাং কমবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

সারা দেশে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হলে কিশোর গ্যাংসহ সমাজে নানা অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন অপরাধমূলক ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবে এবং মনোজগতের উন্নততর বিকাশ ঘটবে। ফলে কিশোর গ্যাংসহ সমাজে নানা অপরাধ কমে আসবে।

আজ সোমবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সময় সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত উপস্থিতির ওপর নির্দিষ্ট নম্বর প্রদান, পরপর কয়েক দিন অনুপস্থিত থাকলে জরিমানাসহ বিদ্যালয় পরিত্যাগ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন-খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি নিয়মিত আয়োজন করা হয়।

একই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও বলেন, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তাদের অভিভাবকদের অবগত করা ও সময় সময় অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বছরের প্রথমে শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন-খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি নিয়মিত আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ’ উদযাপন এবং প্রাথমিক শিক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করা হয়। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থেকে শিখন-শিখানো কার্যক্রমে মনোযোগী ও ব্যস্ত থাকছে।

কিশোর গ্যাংসহ সমাজের অপরাধ নিবারণের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিপথগামী কিশোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা, উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বিপথগামী কিশোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে সকল স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সিসিটিভির আওতায় আনার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন্বয়ে কিশোর গ্যাংভিত্তিক অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

পরবর্তী জনশুমারি ২০৩১ সালে : আওয়ামী লীগের মাহমুদুল হক সায়েমের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সংসদকে জানিয়েছেন, আগামী ২০৩১ সালে পরবর্তী জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে। পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ এর ৬(গ) ধারা মোতাবেক আদমশুমারি শব্দের পরিবর্তে জনশুমারি করা হয়েছে। ২০২২ সালের ১৫ থেকে ২১ জুন দেশে সর্বশেষ জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী দেশে বর্তমান মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ জন, নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন ও হিজড়া ৮ হাজার ১২৪ জন। তিনি আরও জানান, পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ এবং সেন্সাস অর্ডার, ১৯৭২ অনুযায়ী শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। অতীতের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০৩১ সালে পরবর্তী জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে।


লিথুয়ানিয়া, গ্রিস ও মালাউইয়েতে ব্যবসা সম্প্রসারণে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত তিন দেশের রাষ্ট্রদূত পৃথকভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। আজ সোমবার বঙ্গভবনে তাদের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত তিন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হলেন ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্রের ডায়ানা মিকেভিসিয়েন, গ্রিসের অ্যালিকি কৌতসোমিটোপোলু এবং দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকান দেশ মালাউইয়ের লিওনার্ড মেনগেজি।

পরিচয়পত্র গ্রহণের পর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়।

বাংলাদেশ সবসময় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, রাষ্ট্রদূতরা ঢাকায় থাকাকালে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও লিথুয়ানিয়া, গ্রিস ও মালাউইয়ের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদলসহ বেসরকারি এবং সরকারি উভয় প্রতিনিধিদের উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূতদের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ওষুধ, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ইত্যাদিসহ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে থাকে। তাদের দেশের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানির বিষয়টি যেন বিবেচনা করতে পারে সে জন্য রাষ্ট্রদূতদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি এসব পণ্যের উদ্যোক্তাদেরও এই তিন দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।

বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও যাতে জিএসপি প্লাসসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা পেতে পারে সে জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

ওই বৈঠকে রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা ঢাকায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।

বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রদূতদের আগমনের পর রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের ‘অনার গার্ড’ প্রদান করে।


banner close