সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
ট্যালেন্ট হান্টিং ও মডেলিংয়ের ফাঁদ

মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে চলে যৌন ব্যবসা

৭ বছরে আয় শত কোটি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৬ জুন, ২০২৪ ২২:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২৪ ২২:১৭

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণীদের টার্গেট করে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্টিং ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফাঁদে ফেলতো একটি চক্র। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে কৌশলে তোলা হয় নগ্ন ছবি। শুধু তাই নয়, ফাঁদে পড়া তরুণীদের ভিডিও কলে নগ্ন হওয়া এবং যৌন বিষয়ে বাধ্য করা হতো। সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে পরে অনলাইনে চালানো হতো যৌন ব্যবসাও।

এমনি একটি চক্রকে শনাক্ত করে এর প্রধানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চক্রের মূলহোতা ও মেডিকেল শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান (২৫), তার প্রধান সহযোগী ও খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও তরুণীদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ে ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, একটি ল্যাপটপ এবং ভুক্তভোগীদের ফাঁদে ফেলে আয় করা টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও চেক বই জব্দ করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহম্মদ আলী মিয়া।

জানা গেছে, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অতি কৌশলে শত শত তরুণীকে ফাঁদে ফেলে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করত এবং ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। এমনকি ভুক্তভোগীদের ভিডিও টেলিগ্রাম গ্রুপে শেয়ার করা হতো। এভাবে দেশি-বিদেশি সাবস্ক্রাইবারদের কাছ থেকেও নেওয়া হতো টাকা। এভাবে চক্রটি গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা।

মোহম্মদ আলী মিয়া বলেন, একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি ও পেইজ খুলে ফ্রিল্যান্সিং, লোভনীয় চাকরি, মডেল বানানো, মেধা অন্বেষণের নামে অল্প বয়সি তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করত এবং জোরপূর্বক তাদের যৌনকর্মে নামতে বাধ্য করত। অনুসন্ধানে এমন ভয়ংকর চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। এই চক্রটি মূলত উঠতি বয়সি তরুণীসহ পারিবারিক ভাঙনের শিকার তরুণী ও আর্থিক সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করত। চক্রটি কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে ইন্টারভিউতে ডাকত। এরপর তাদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি নিত। প্রাথমিকভাবে আগ্রহী তরুণীদের চাহিদামতো টাকা ও প্রয়োজন মিটাতো তারা। পরে ধীরে ধীরে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করত চক্রটি।

এই চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান এবং তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তুলেছিলেন। তারা দুজনেই মেডিকেল শিক্ষার্থী। তারা চিকিৎসাবিদ্যার আড়ালে অল্প বয়সি তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি এবং টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে নানা অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করত। গত সাত বছরে তারা প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। এই টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি কিনেছে। নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়িও। তাদের আত্মীয়-স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।

ফাঁদে ফেলার কৌশল

প্রতারণার ফাঁদ ও নগ্ন ভিডিও তৈরি কৌশল সম্পর্কে সিআইডি প্রধান বলেন, শুরুতে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন, মডেল তৈরি ও ট্যালেন্ট হান্ট শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করত চক্রটি। যারা সাড়া দিতেন তাদের নিয়ে টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলত তারা। তারপর তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিদেশি বায়ারদের কাছে পাঠানোর কথা বলে আপত্তিকর ছবি তুলত। সেসব ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগ্ন হয়ে ভিডিও কল বা সরাসরি অসামাজিক কাজে বাধ্য করত তারা।

তিনি বলেন, চক্রটির নিয়ন্ত্রণে ১০টি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান মিলেছে। এসব টেলিগ্রাম গ্রুপে দেশি-বিদেশি গ্রাহকের সংখ্যা তিন লাখের বেশি। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে গ্রাহকরা ওই গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকত। চক্রটি ভিডিও কলের সবকিছু গোপনে ধারণ করে রাখত। এরপর যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা হতো। এভাবেই চক্রটির হাতে আধুনিক যৌন দাসীতে পরিণত হয় শত শত তরুণী।

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশ-বিদেশে চক্রটির রয়েছে শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক। অর্থ লেনদেনের জন্য তারা ব্যবহার করে এমএফএস বা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস। এ ছাড়া ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেদের আড়াল করার সব কলা-কৌশলও এই চক্রের জানা। তারা বেনামি কয়েকশ মোবাইল সিম ব্যবহার করছিল। যেগুলোর কোনোটিই প্রকৃত ন্যাশনাল আইডি দিয়ে নিবন্ধন করা নয়। এ ক্ষেত্রে নিম্নআয়ের মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিত। পরে সামান্য অর্থ দিয়ে তাদের নামে তোলা হতো সিম কার্ড। কন্টেন্ট আদান-প্রদান ও সাবস্ক্রিপশনের জন্য ছিল টেলিগ্রাম প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট এবং বিভিন্ন পেইড ক্লাউড সার্ভিস। অল্প বয়সি ভয়ানক চতুর এই দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর কাছে টিকটক, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সেলিব্রিটিসহ এখনো জিম্মি কয়েক হাজার নারী।

অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপে গোপনে ধারণ করা প্রায় ১০ লাখ নগ্ন ছবি ও ২০ হাজার অ্যাডাল্ট ভিডিওর সন্ধান পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।


৯ দেশে নতুন কূটনৈতিক মিশন স্থাপনের কাজ চলছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে আমাদের ৮৪টি কূটনৈতিক মিশন আছে এবং নতুন করে আরও ৯টি দেশে মিশন স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলন। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে আমাদের ৮৪টি কূটনৈতিক মিশন আছে। এর মধ্যে ৮০টি মিশনের কার্যক্রম চালু আছে। এর মধ্যে ৪৭টি দূতাবাস, ১৪টি হাইকমিশন, ১২টি কনস্যুলেট, তিনটি স্থায়ী মিশন, চারটি উপ-হাইকমিশন এবং চারটি সহকারী হাইকমিশন।’

তিরি আরও বলেন, ‘নতুন করে নয়টি দেশে আমাদের কূটনৈতিক মিশন স্থাপনের কাজ চলছে। নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন, আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন, আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেস, নরওয়ের রাজধানী অসলো ও কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে নতুন করে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া চীনের গুয়াংজো, ব্রাজিলের সাওপাওলো, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট ও মালয়েশিয়ার জোহর বাহরুতে সাব-মিশন স্থাপন করা হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমানে সুদানের (খার্তুম) মিশনটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। সিয়েরা লিওন ও আফগানিস্তানের কাবুল মিশন দুটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে চালুর অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়া সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসি সেক্রেটারিয়াট (স্থায়ী মিশন) স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন ও মন্ত্রিসভার সদয় অনুমোদনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।’


সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ভারতীয় নৌপ্রধানের সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠি। আজ সোমবার (১ জুলাই) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়েছে, সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে পারস্পরিক কুশল বিনিময় করেন। এসময় ভারতীয় নৌবাহিনীপ্রধান সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ায় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে অভিনন্দন জানান।

এসময় তারা দুই দেশের বাহিনীর মধ্যকার বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠির (সস্ত্রীক) নেতৃত্বে চার সদস্যের ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা রয়েছেন। সফর শেষে দলটি আগামী ৫ জুলাই ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।


বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, রপ্তানি নীতিমালা অনুযায়ী পণ্যের কোয়ালিটিতে যাতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া না হয় তাও নিশ্চিত করতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যত্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। রপ্তানি নীতিমালা অনুযায়ী পণ্যের কোয়ালিটিতে যাতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।’

আজ সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন রপ্তারিনীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়ায়ও অনুমোদন পায়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফ করবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি জানান, বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তিন বছর পর যাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়। এখন প্রতি বছর রপ্তানি হয় ৭০ বিলিয়ন ডলারের মতো। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গেলে যেসব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে সেদিকে বিশেষ নজর দিয়ে রপ্তানি নীতিমালা করারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

এছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে সচেতনভাবে, স্বচ্ছতা-দক্ষতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করতে মন্ত্রিপরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত নির্দেশক পতাকা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার সতর্কবার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’


সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে ‍দুদকের অভিযান

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাদিক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম সাভারের যান। এরপর শুরু হয় অভিযান।

এই অভিযানে, সরকারি প্রতিষ্ঠান গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের দরপত্র জালিয়াতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদকের সদস্যরা। ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুরে সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করেছে সিটি করপোরেশন।

সাদিকে ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দেশের গরু আনার অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে ১৮টি আমেরিকান ব্রাহমা জাতের গরু জাল কাগজপত্র তৈরি করে দেশে আনেন তিনি। ব্রাহমা জাতের গরু বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ। দেশে মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পর সরকার ২০১৬ সালে ব্রাহমা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

আমদানি নিষিদ্ধ উন্নত জাতের ওই গরুগুলো বিমানবন্দরে জব্দের পর পাঠানো হয় সাভারের গো-প্রজনন কেন্দ্রে। সেখান থেকে পরে সেগুলো সাদিক অ্যাগ্রোতে নিয়ে যান ইমরান। কোন প্রক্রিয়ায় নিয়ে গেলেন তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান থেকে ব্রাহমা জাতের গরুগুলো সাদিক এগ্রোকে দেওয়া হয়েছে সেসবসহ অন্যান্য বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে দুদক।

করোনা মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা ব্রাহমা গরুগুলো বিমানবন্দরে ধরা পড়লে সেসময় গ্রহণ করতে কেউ যাননি। পরে জানা যায়, ওই গরুগুলোর আমদানিকারক সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড। তারা কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে শাহিওয়াল গরুর নাম দিয়ে ব্রাহমা আমদানি করেছিল। আর এটা করা হয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে।

বিষয়:

ভারতের সঙ্গে একপেশে কোনো চুক্তি হয়নি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দেশটির সঙ্গে একপেশে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। আজ সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কানেক্টিভিটির জন্য হাব হতে পারে বাংলাদেশ। শুধু যে প্রতিবেশি দেশ লাভবান হবে, এই চিন্তা বাদ দিতে হবে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতায় সবাই লাভবান হবে। দেশটির সঙ্গে একপেশে কোনো চুক্তি হয়নি, উভয় দেশ লাভবান হবে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে অসত্য ও ডাহা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে বিএনপি। কল্পিত কাহিনী বানিয়ে গোটা জাতিকে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি নেতারা। বিএনপি চিন্তায় নতজানু, সততার মানদণ্ডে নতজানু। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বিএনপি প্রশ্নই তোলেনি, তা নিয়ে এখন সমালোচনা করা মানায় না।’

তিনি বলেন, ‘স্থল সীমানা চুক্তি, সমুদ্রসীমা জয়, গঙ্গার পানি চুক্তিসহ অনেক অর্জন আছে বর্তমান সরকারের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণেই ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করে স্থল সীমানা চুক্তি করা হয়েছে। যার ফলে সাড়ে ১০ হাজার একর ভূমি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যুক্ত হয়েছে।’

ভারতের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতে ট্রেন যাবে না। ভারতের বুক চিড়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল, ভুটান যাবে। কিন্তু সেভাবে তো গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


ভালো চাকরি পাওয়াই কেবল উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হতে পারে না: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘কেবল ভালো চাকরি পাওয়াই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হতে পারে না। বরং জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে পরিপূর্ণ মানবিক বিকাশ নিশ্চিত করা এবং যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করাই উচ্চশিক্ষার মূল লক্ষ্য।’

আজ সোমবার টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্পিকার।

বিভিন্ন গবেষণা থেকে উদ্ধৃত করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের দুই ধরনের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। সেগুলো হল- ট্রানসেকশনাল মডেল ও ট্রান্সফরমেশনাল মডেল।

তিনি বলেন, ‘যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উচ্চ শিক্ষায় ট্রান্সসেকশনাল মডেল গ্রহণ করে তাদের শ্রমবাজারের চাহিদা ও ট্রেন্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তার ভিত্তিতে কারিকুলাম প্রস্তুত করতে হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা প্রাসঙ্গিক বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে, যা তাদেরকে কর্মক্ষেত্রে সহজেই কাজ পেতে সহায়তা করে।’

তিনে আরও বলেন, ‘আর ট্রান্সফরমেশনাল মডেল শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন, সুনির্দিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, যা বাস্তব জীবনে প্রায়োগিক জ্ঞান এবং কর্মক্ষেত্রের জন্য যথাযথ স্কিল প্রয়োগ করতে শেখায়। এ রকম স্কিল ডেভেলপমেন্ট বেইজড এডুকেশন একজন শিক্ষার্থীকে শ্রম বাজারের চাহিদা অনুসারে সমাজে সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রস্তুত করে।’

বিশ্ব ব্যবস্থাপনা বুঝতে শিক্ষার্থীদের বিশেষজ্ঞান অর্জনের তাগিদ দিয়ে স্পিকার বলেন, ‘অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, যাই হোক না কেন, সহিষ্ণুতা ও পরমতের প্রতি শ্রদ্ধা সকল কিছুই রপ্ত করতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিশ্লেষণ বা বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতা এবং অন্তদর্শন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন ব্রিটিশ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের শাসনামলে নানা কিছু অতিক্রম করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগোতে হয়েছে। বিপর্যয়গুলো খুব কঠিন ছিল। ১৯৭১ সালে তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অবদানের কথা তুলে ধরে এই তিনি আরও বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান বিতরণ করেছে, জ্ঞান সৃষ্টি করেছে। এছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয় একটি বড় দায়িত্ব পালন করেছে, তা হল পূর্ববঙ্গের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে পথ দেখিয়েছে। এ অবদান ঐতিহাসিক। আমি মনে করি এমন অবদান বিশ্বে বিরল।’

উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের যুগে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধে গড়ে তোলা, সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের যুগের আলোকে তরুণদের যুগে গড়ে তুলতে হবে। আগে আমরা গ্লোবালাইজেশন বলতাম, এখন বলছি ইন্টারন্যাশনালাইজেশনের যুগ। ইন্টারন্যাশনাইজেশনের কারণে একজন শিক্ষার্থী শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে চাকরির সুযোগ পাবে। সেভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম তৈরি হবে।’

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন হতাশা এবং বিরক্তিবোধ তৈরি না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় আনন্দ পাবে যখন সেটা প্রায়োগিক জীবনে ব্যবহার করতে পারবে। বাস্তবজীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষা হলে তা হবে কল্যাণমুখী।’

অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

বিষয়:

সংবাদ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাইয়ের অনুরোধ এসবি প্রধানের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়। সেই প্রতিবাদ লিপির বিষয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- ‘আপনাদের কোনো অর্ডার করেনি’। যেকোনো সংবাদ প্রকাশ করার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ জানান তিনি।

আজ সোমবার (১ জুলাই) সকালে গুলশানে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে ‘হলি আর্টিজান’- এ জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মনিরুল ইসলাম। তিনি পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।

পুলিশ সদস্যের দুর্নীতির বিষয়ে সব সময় বলা হয় ‘ব্যক্তির দায় বাহিনী নেবে না’। কিন্তু পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন একটি প্রতিবাদ পাঠালো এবং এটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হলো।

এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসি যে ব্যক্তির দায় সংগঠনের বা বাহিনীর না। কিন্তু পাশাপাশি অতিরঞ্জিত এবং খণ্ডিত তথ্য থাকে। যেমন আমাদের এক কর্মকর্তার বিষয়ে বলা হয়েছিল তিনি সপরিবারে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। আসলে তিনি পালিয়ে যাননি। সে কারণে, প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। প্রতিবাদ লিপিতে আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি। আপনাদের কোনো অর্ডার করিনি।

তিনি বলেন, শুধু পুলিশ নয়; যেকোনো নিউজ করার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ করেছি। এটি পেশাগতভাবে আসলে যে কেউ করতে পারে। অনুরোধ রাখা না রাখা আপনাদের বিষয়। শুধু অনুরোধ করেছি।

বিষয়:

অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ: ডিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ সোমবার গুলশানে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে ‘হলি আর্টিজান'-এ জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অনলাইনের মাধ্যমে অল্প সময়ের ভেতরে অল্প খরচে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করা যায়। এক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সচেতন শ্রেণির মানুষ ও অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তান কীভাবে চলছে, কার সঙ্গে চলছে, কতক্ষণ তার সন্তান মোবাইলে থাকছে, একা একা থাকছে সবকিছু খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈষয়িক সমস্যা। বাংলাদেশেও এর থেকে মুক্ত নয়। এরপরেও বাংলাদেশ পুলিশের সিটিটিসি, এটিইউ ও জঙ্গি দমনে অন্যান্য বাহিনীর দক্ষতা ও দূরদর্শিতা বাংলাদেশকে সুন্দর অবস্থায় রেখেছে। জঙ্গি দমনে বিশ্বে রোল মডেল পরিচিত পেয়েছে।

হাবিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন দেশে দেখে থাকি জঙ্গি আক্রমণের পরে অপারেশন হয়। কিন্তু বাংলাদেশেই একমাত্র উদাহরণ যে, জঙ্গি আক্রমণ হওয়ার তথ্য পুলিশের কাছে ছিল এবং ইন্টেলিজেন্স পুলিশিং করে জঙ্গিদের অ্যাটাক করতে পেরেছি আমরা এবং অনেক ক্ষেত্রেই নির্মূল করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যেকোনো ঘটনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। আশা করি, চলমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবো।

জঙ্গিদের অর্থায়নে বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্সের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গি সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি কিংবা সংগঠন তাদের পেছনে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।

বিষয়:

জ্বালানি তেলের দাম কমল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে পঞ্চমবারের মতো জ্বালানি তেলের মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় কেবল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি এক টাকা কমানো হয়েছে।

গতকাল রোববার (৩০ জুন) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত নতুন মূল্যের তথ্য জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। যা আজ ১ জুলাই (সোমবার) থেকে কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকার আলোকে গত বছরের ২ অক্টোবর ঘোষিত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য কাঠামো সমন্বয় করা হলো।

গাইডলাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের আমদানি/ক্রয়মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে।

এর আগে জুন মাসে ডিজেলে দাম ১০৭ টাকা,পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা ও অকটেনের দাম ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। অবশ্য এই দফায় পেট্রোল ও অকটেনের দাম আগের মতোই রয়েছে।


সাদিক এগ্রোর লেনদেনের তথ্য চেয়ে এনবিআরের চিঠি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচিত গরুর খামার সাদিক এগ্রোর আর্থিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা সংস্থা সিআইসি।

আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কোম্পানিটির কর ফাঁকির তথ্য অনুসন্ধানে ব্যাংক লেনদেনের তথ্য জানতে চেয়েছেন সংস্থাটির গোয়েন্দারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উচ্ছেদ করা হয় মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা। রাজধানীর রামচদ্রপুর খাল দখল ও এই স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সাদিক এগ্রোর বিরুদ্ধে খাল দখলের অভিযোগ বহুদিনের। আগেও প্রতিষ্ঠানটিকে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়। এরপরও সরেনি তারা। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরানের।

রাজধানীর রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে গড়ে উঠে এই এগ্রো। বছরখানেক আগেও যেখানে পশু রাখা হতো, এখন সেখানে বসতি। অভিযানের খবর পেয়ে নিজেরাই সরে যায়। সবশেষ রাজধানী মোহাম্মদপুরে অবৈধভাবে খাল দখল করায় সাদিক এগ্রোতে তৃতীয় দিনের অভিযান চালায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সম্প্রতি এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলের কাছে ১২ লাখ টাকা ছাগল বিক্রি নিয়ে আলোচনায় আসে সাদিক এগ্রো। মতিউরের ছেলের ছাগলকাণ্ডের পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে এনবিআরের কর্মকর্তা মতিউরের অবৈধ অঢেল সম্পদের খোঁজ। একই সঙ্গে সমালোচনায় আসে কোটির টাকার গুরু এবং ১২ লাখ টাকা ছাগল বিক্রি করা সাদিক এগ্রো। শুধু এ বছরই নয়, ২০২১ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্রাহমা গরু আনায় বিতর্কিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। বারবার আলোচনায় আসে সাদিক এগ্রোর নাম।


সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই বাংলাদেশির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল শনিবার সৌদির স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত ১১টার দিকে জেদ্দা-মদিনা সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের নুর আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (২৭) এবং একই এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে মোহাম্মদ তারেক (২৪)।

স্থানীয়রা জানান, আহত মনছুরও একই এলাকার বাসিন্দা এবং তিনজনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মাদার্সা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইব্রাহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের ইউনিয়নের দুই যুবক মারা গেছেন।

ঘটনার দিন মনছুরের গাড়িতে করে তারা মদিনা থেকে জেদ্দায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মহিউদ্দিনের বাবা নুর আহমদ জানান, ৭ বছর আগে মহিউদ্দিন সৌদি আরবে যায়। বিগত ২ বছর আগে তার চাচাতো ভাই মো. তারেক যায়।

তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ও আরও এক ছেলে সৌদি আরবে রয়েছে। তারা সবাই সবজি খেতের কাজ করে। ঘটনার দিন রাতে মহিউদ্দিন ও তারেক পিকআপে করে খেত থেকে সবজি নিয়ে মদিনায় যাচ্ছিল। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় তারা দুজনই ঘটনাস্থলে মারা যান। মহিউদ্দিন ও তারেকের লাশ সেখানকার একটি সরকারি হাসপাতালে রয়েছে। এখান থেকে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র পৌঁছার পর তাদের লাশ সৌদি আরবে দাফন করা হবে।


সেই ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি

এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি করা হয়েছে।

আজ রোববার এ আদেশ জারি করেছে এনবিআর। বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১ হবে তার নতুন কর্মস্থল। এনবিআরের আদেশে বদলির কারণ বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে ‘জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে’।

একই আদেশে বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিবরণ তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে থাকা ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠা প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এ ছাড়া ফয়সাল ও তার আত্মীয়স্বজনের নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের আদেশে বলা হয়, এই জব্দের আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় এসব সম্পদ হস্তান্তর বা বিনিময় করা যাবে না।


banner close