শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

ঢাকা থেকে সরাসরি বেইজিং ফ্লাইট চলাচল শুরু ১০ জুলাই

ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০২

বাংলাদেশ থেকে চীনের বেইজিং রুটে প্রথমবারের মতো ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে চীনের প্রধান ও পতাকা বহনকারী বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার চায়না। আগামী ১০ জুলাই এই রুটে তারা প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বাংলাদেশ থেকে মূলত ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরাই নিয়মিত চীনে যাতায়াত করেন।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এই রুটে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার, বুধবার ও শুক্রবার একটি করে মোট তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার চায়না। সেপ্টেম্বর থেকে সাপ্তাহিক ফ্লাইট সংখ্যা চারে (প্রতি বৃহস্পতিবার) উন্নীত করা হবে।

বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ফ্লাইটের খাবারের জন্য ইতোমধ্যে বিমান ফ্লাইট কেটারিং সেন্টারকে (বিএফসিসি) ফ্লাইটে খাবার সরবরাহের বিষয়টি অবগত করেছে এয়ার চায়না।

এয়ার চায়নার ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এয়ারলাইন্সটিতে বোয়িং-৭৩৭, ৭৪৭, ৭৭৭, ৭৮৭, এয়ারবাস- এ৩১৯, এ৩২০, এ৩২১, এ৩৩০, এ৩৫০ এবং চীনের কোমাক বিমান প্রতিষ্ঠানের একটি এআরজে-২১ মডেলসহ মোট ৪০৬টি প্লেন রয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। পাশাপাশি চীনের চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স বাংলাদেশিদের চীনে নিয়ে যাচ্ছে।

বেবিচক সূত্রে আরও জানা গেছে, এয়ার চায়নার পাশাপাশি বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। কিছুদিনের মধ্যে তারাও ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে।


রাত ১টার মধ্যে ১৫ জেলায় বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের ১৫ জেলায় রাত ১টার মধ্যে ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে সংস্থাটি।

আজ শনিবার বিকেলে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, মাদারীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আজ সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

শনিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এই লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার (৩ জুলাই) পর্যন্ত দেশের প্রায় সব এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হওয়ারও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


শান্তি প্রতিষ্ঠায় তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী 

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে। ভিন্ন মত থাকা সমাজের একটা সৌন্দর্য, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু যেখানে একমত হতে হবে সেটি হচ্ছে, সত্য ও সঠিক তথ্য বলতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের কনভেনশন হলে পিস অ্যাম্বাসেডর'স জাতীয় সম্মেলন ২০২৪ এ সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘সত্য আগে স্বীকার করতে হবে। তারপর ভিন্ন মতামত দিতে হবে। তথ্যই যদি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং এর মাধ্যমে যদি একটা চিন্তা তৈরি করা হয়- এটা ভালো, ওটা খারাপ তাহলে সেটা সমাজে কারও মঙ্গল বয়ে আনবে না। কাজেই আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমরা তথ্যের জায়গায় সততা নিশ্চিত করবো।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য যাচাই-বাছাই করা আমাদের দায়িত্ব। সত্য মেনে নেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি না থাকলে, রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে তথ্য বিকৃত করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। আগে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমি যে রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাস করি না কেনো, তথ্যের জায়গায় আমি নিশ্চিত করতে চাই আমার সততা। সেই তথ্য, যেটা সত্য। সত্য কারও পক্ষে যাবে, কারও বিপক্ষে যাবে। সত্য যেদিকেই যাবে সেটা মেনে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সমাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনেক জায়গায় অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যাচার হয়। শুধু আমার রাজনৈতিক চিন্তার পক্ষে গেছে বা যে লোকটিকে আমি রাজনৈতিকভাবে অপছন্দ করি তার বিপক্ষে গেছে এজন্য যতই মিথ্যা হোক সেটা আমি আরও দশ জনকে প্রচার করি। এটি ন্যায়সঙ্গত নয়।’

‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে এমন কিছু ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে গেছে ও ঘটানো হয়েছে, যে কারণে বাংলাদেশের রাজনীতি আজ দাঁড়িয়ে আছে দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের ওপরে। বাংলাদেশের '৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর মতো ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের রক্তের ইতিহাস আছে। তার ওপর দিয়ে বিভক্তি ও দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হওয়ার অনেক কারণ আছে। তবে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত দল-মত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে পেছনে নিয়ে যাবে’- যোগ করে বললেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা প্রয়োজন, ভিন্ন মত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা হবে ইতিবাচক, নেতিবাচক নয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে পরিণত হয় যখন নেতিবাচকতা চলে আসে। নিজের সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে, নিজের শ্রম, মেধা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন প্রতিটি ব্যক্তি পর্যায়ে, দলগত এবং গোষ্ঠী পর্যায়ে। যদি আমরা ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে পারি তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।’

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রশ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশের জন্ম এবং আজ এ দেশের এগিয়ে যাওয়া। সেই মূল জায়গায় কোন আপোষ চলবে না। বাংলাদেশের জন্ম যেখানে, যে চেতনা ধরে, সেখানে কোন আপোষ চলবে না। তার বাইরে আমাদের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের গোড়ায় গিয়ে সকল দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী যে অপশক্তি, মৌলবাদী যে অপশক্তি, সেই ধরণের উগ্রবাদী কোনো অপশক্তিকে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে কোনো জায়গা দিতে চাই না। কারণ তারা গণতন্ত্রকে, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এবং শান্তিকে বিনষ্ট করে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অপশক্তিগুলোকে বাদ দিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-র সহযোগিতায় এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস-এর অংশীদারিত্বে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রানা মো. সোহেল, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।


শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ডিবির ডিসি মশিউর রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২-২৩ পেলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত)।

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব ইনটিগ্রিটিতে তার হাতে জাতীয় শুদ্ধাচার সম্মাননা সনদ তুলে দেন। শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ১৮৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে নিজেদরে অনুভূতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের নারায়ণগঞ্জ জোনের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সবুজ কুমার দেব।

শনিবার বিকেলে এ বিষয়ে ডিসি মশিউর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, দুর্নীতির এই অতিমারির মধ্যে এ পুরস্কার পাওয়া ভালো। কিন্তু নিজে এবং অন্য সহকর্মীদের নিয়ে এটাকে সাসটেইনেবলি এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা আরও ভালো। সৃষ্টিকর্তা যেন এই সক্ষমতা দান করেন এই প্রার্থনা করি এবং সবার কাছে সেই দোয়া চাই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআইজি (এইচআর) কাজী জিয়া উদ্দিন। অতিরিক্ত আইজি, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।

মশিউর রহমানের এই অনন্য অর্জনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে কর্মক্ষেত্রে উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

মশিউর রহমান এর আগে নিরলস, মেধাদীপ্ত, আন্তরিক ও অসামান্য কর্মদক্ষতার জন্য ২০১৩ সালে তাকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম), ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ পদকে ভূষিত করা হয়েছে। অনন্য সাধারণ কর্ম দক্ষতার কারণে তাকে ৪ বার আইজিপি’ এক্সাম্প্লারী গুড সার্ভিসেস ব্যাচ প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করা এই কর্মকর্তা একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিমিন্যলজি এন্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ে এমএসএসও সম্পন্ন করেছেন।


এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু কাল: বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামীকাল ৩০ জুন রোববার শুরু হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহনের লক্ষ্যে আজ শনিবার (২৯ জুন) থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এবার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি(ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন।এবার মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫ টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩ টি।নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী সংখা ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫ টি।এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭ টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮ টি। গতবছরের তুলনায় ২০২৪ সালে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪ টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭ টি।

এদিকে, পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম,রোল নম্বর,প্রবেশের সময়,বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিষ্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর),মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম,বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম,নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

অন্যদিকে, বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

বিশেষ ব্যবস্থায় উল্লেখ করা হয়েছে,দৃষ্টি প্রতিবন্ধী,সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম,সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক,অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতা

দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রুটিনে জানা যায়,সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা একইদিন শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই হতে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে।

বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি,রিয়াদে ৪৩টি,ত্রিপলীতে ২টি,দোহায় ৬৩টি,আবুধাবীতে ৪৪টি,দুবাইয়ে ২২টি,বাহরাইনে ৩৪টি,সাহাম ওমানে ২৬টি।

এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) ২০২৪ সালের পূনর্বিনাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এইচএসসি পরীক্ষা একমাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুন এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

এতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে তা সঠিক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে, যা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার ইস্যুকৃত নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে যথাসময়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


লিবিয়ায় মানব পাচার ও মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ২

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

লিবিয়ায় মানব পাচার ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি বলছে, গ্রেপ্তার দুজন মানব পাচার ও মুক্তিপণ আদায়কারী সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য।

গ্রেপ্তাররা হলেন, চক্রের মূল হোতা বাদশা মিয়া (৪২) এবং তার সহযোগী ও চাচাতো বোন আরজু বেগম (৩১)। সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম টিএইচবি শাখার একটি দল গত ২৬ জুন কক্সবাজার জেলার পেকুয়ার আবিদ স্টোর নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মানব পাচারকারী চক্রটি বিদেশগামী অসহায় লোকদের টার্গেট করে। উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রথমে ভিজিট ভিসায় দুবাই নিয়ে যায়। পরে লিবিয়ায় অবস্থানরত গ্রেপ্তার আরজু বেগমের স্বামী রেজাউল করিমের মাধ্যমে আটক করে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অন্য একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করে।

পরবর্তীতে চক্রটি ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে ইমোতে কল দিয়ে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ প্রদানের পর, ভিকটিমদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাঠানো হয়। এ প্রক্রিয়ায় অনেকের সাগরে মৃত্যু হয়েছে, কিছু লোক উদ্ধার হয়েছে এবং অল্পসংখ্যক ইউরোপে পৌঁছাতে পেরেছে।

গত ২০ মে মাগুরায় হওয়া একটি মামলার তদন্ত করার সময় জানা যায়, গেল বছরের ১৮ ডিসেম্বর মো. নাছির হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী তার চাচা ওমর আলীর মাধ্যমে ভারত ও দুবাই হয়ে লিবিয়া যান। লিবিয়ায় প্রবাসী মাহবুবুর রহমান ছদরুলের তত্ত্বাবধানে তিনি টাইলসের কাজ করতেন। গত চার মাস আগে নাছিরকে লিবিয়ার মানব পাচারকারী চক্র আটক করে। পরে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে ইমোতে কল করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ প্রদানের জন্য ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বাধ্য করা হয়।

তদন্তে আরও জানা যায়, বাদশা মিয়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি চলতি হিসাব (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট) খুলে আরজু বেগমকে তা ব্যবহার করতে দেন। এই অ্যাকাউন্টে মুক্তিপণের ১২ লাখ ৫০ হাজার ৯১০ টাকা জমা হয় এবং ১০ লাখ ৯৭ হাজার ২৮৫ টাকা উত্তোলন করা হয়।

বাদশা মিয়া ও আরজু বেগমকে আদালতে হাজির করা হলে, তারা আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন।


বাজারের উত্তাপে মানুষ অস্থির

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজ, আলুসহ অধিকাংশ সবজির দাম। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ভোক্তাদের এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। তবে বিক্রেতাদেরও রয়েছে নানা অজুহাত।

কয়েক দিন পরপর কোনো না কোনো পণ্যের দরে উত্থানের প্রবণতায় পেঁয়াজ ও আলু এই মুহূর্তে প্রধান আলোচনার বিষয়। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগে যা ছিল ৫৫ টাকা। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা জসীম মিয়া দৈনিক বাংলাকে বলেন, বাজারে আলুর কোনো সংকটই নেই। আড়ত থেকে খুচরা দোকান, সব খানেই সরবরাহ রয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু অহেতুক দাম গুনতে হচ্ছে বেশি।

তিনি আরও বলেন, ‘বাজারের উত্তাপে আমরা অস্বস্তির মধ্যে আছি। আয় বাড়েনি কিন্তু সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের মতো নিম্নবিত্তদের জন্য বাজার করে চলা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের কষ্ট কেউ বুঝবে না, ভাই।’

এদিকে বোরো ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। ধানের দাম বেশি ও ঈদুল আজহায় মিল বন্ধ- এই দুই অজুহাতে চালের দাম বস্তায় ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে দাম বেড়ে যাওয়ার তথ্য মিলেছে।

খুচরা বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি দেশি বাসমতি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি মানের বিআর-২৮ ও ২৯ চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা ৫৪ টাকা এবং মোটা হাইব্রিড ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদুল আজহার আগে এসব চালের দাম কেজিতে মানভেদে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত কম ছিল।

পাইকারি বাজারে বর্তমানে চিকন চালের মধ্যে প্রতি কেজি মিনিকেট মানভেদে ৫৯ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭৪ টাকায়। আর দেশি বাসমতি চালের কেজি ৮০ থেকে ৮৪ টাকা।

মাঝারি মানের প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল ৫১ থেকে ৫৩ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, পাইজাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি গুটি স্বর্ণা মানভেদে ৪৯ থেকে ৫১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাইব্রিড মোটা চালের কেজিতে ৪৬ টাকা। ঈদের আগে এসব চালের কেজি এক থেকে দুই টাকা কম ছিল।

আর ডিমের দাম এখনো চড়া। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম কিনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।

গত বছর এই সময়ে আলুর দর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হয়ে যাওয়ার পর আমদানির অনুমতি নিয়ে বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে, কী কী করা যায়, তা নিয়ে নানামুখী উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল।

সেই আলুর খুচরা দর এখন ৫৮ থেকে ৬০, কোথাও কোথাও ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, কিন্তু এ নিয়ে কোনো উদ্যোগই চোখে পড়ছে না।

গত বছর এমন সময় দেশি পেঁয়াজের দর ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজের দর ছিল ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। সেই পেঁয়াজ ঈদের আগেই উঠে গিয়েছিল ৯০ টাকা। ঈদের পর দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই সেখান থেকে বাড়ল আরও ১০ টাকা।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়া রেললাইন-সংলগ্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

খুচরা বিক্রেতারা বলেছেন, ঈদে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছিল। ছুটি ও বৃষ্টির কারণে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দাম নতুন করে বেড়েছে।

মহাখালী কাঁচাবাজারে চিচিঙ্গা ৪০, পটোল ও করলা ৫০ থেকে ৬০, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০, বরবটি ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এই বাজারে। কাঁচা মরিচের দাম দেখা গেছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। এ ছাড়া টমেটো ২০০ টাকা, দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।

বিষয়:

ঢাকার বস্তিবাসীদের জন্য নির্মিত হবে আধুনিক ফ্ল্যাট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, রাজধানীর বস্তিবাসীদের জন্য উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা রয়েছে।

আজ শুক্রবার মহাখালীর টিএন্ডটি কলোনির মাঠে কড়াইল বস্তিবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কড়াইল বস্তিতে বসবাসরত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সবার জন্য মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে বস্তিবাসীদের উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে তারা বসবাসের সুযোগ পাবেন।

রাজধানীর মিরপুরে এরই মধ্যে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত ৫৩৩টি ভাড়া ভিত্তিক ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানকার বস্তিবাসীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে সেখানে বসবাস করছেন। টঙ্গীর দত্তপাড়া ও মহাখালীর কড়াইল বস্তিতেও একই ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বস্তিতে বসবাসকারীরা যথাযথ ভাড়া পরিশোধ করে থাকেন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাবদ তাদের যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়। অথচ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তারা পায় না। পর্যাপ্ত অর্থ খরচের পরও তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করে। এসব ফ্ল্যাট নির্মিত হলে স্বল্প ভাড়ায় তারা আধুনিক জীবনযাপনের সুযোগ পাবেন। অবস্থানরত কোনো বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ না করে তাদের বিদ্যমান স্থানে পুনর্বাসিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

এসব ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।


শিশুদের মনে ও মননে হাজারো স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শিশুদের মনে ও মননে হাজারো স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে হবে। শিশুরা স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর ও জাতির আলোকবর্তিকা বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।

আজ শুক্রবার ঢাকায় নিউ বেইলি রোডে গাইড অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে হলদে পাখি ‘নীল কমল অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিশুদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করতে গার্ল গাইডসের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দেশপ্রেম, কর্তব্যপরায়ণতা ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করতে হবে।

জাতীয় পর্যায়ে হলদে পাখিদের (১০ বছরের বালিকা) মাঝে ‘নীল কমল অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ করা হয়। তিনি পদকপ্রাপ্ত ৩১ জন হলদে পাখির হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। পরে তিনি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।

গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার কাজী জেবুন্নেছা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


তরুণদেরকে দেশ ও বিশ্বমানবতার সেবায় ব্রতী হতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

উচ্চশিক্ষা লাভ করে শুধু নিজের জন্য নয়, দেশ, সমাজ ও বিশ্বমানবতার সেবার ব্রত নিয়ে আত্মনিয়োগ করতে তরুণ গ্র‍্যাজুয়েটদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৬তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, সময়ের বিবর্তনে মানুষ আজ ক্রমেই স্বার্থপর হয়ে উঠছে। অন্যের কথা আর ভাবতে চায় না। এ অবক্ষয় থেকে সমাজকে ফিরিয়ে আনতে শিক্ষিত তরুণ সমাজকে অগ্রণী হতে হবে।

মুসলিম দেশগুলো আরও ঐক্যবদ্ধ থাকলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন রোধ করা যেত উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান সংঘাত বন্ধে ও সংঘাতমুক্ত বিশ্ব গড়তে বিশ্ব জনমত তৈরিতে শিক্ষিত তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র এবং স্বপ্ন আর প্রচেষ্টা এই যুদ্ধজয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে স্বপ্ন মানুষকে ঘুমুতে দেয় না, সেই স্বপ্ন আর স্বপ্নজয়ের প্রচেষ্টা একাকার হলে বিপুল বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় শক্তির উদ্ভব হয়। আর এই শক্তি অপ্রতিরোধ্য।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন-ওআইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আইইউটি আজ দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষায় এক অনন্য বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সামনের দিনগুলোতেও আইইউটি ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে তার অবস্থান অক্ষুণ্ণ রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

আইইউটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওআইসির সহকারী মহাসচিব ড. আহমদ কাওয়েসা সেনজেনডো বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাবর্তনে বক্তব্য দেন।


স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট আ.লীগ গড়তে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ জুন, ২০২৪ ২০:০৫
বাসস

স্মার্ট ওয়ার্ল্ডের সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা স্মার্ট আওয়ামী লীগ গড়তে চাই। সেজন্য নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে'।

আওয়ামী লীগের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়ায় সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে আওয়ামী লীগের গৌরবময় ভূমিকা রয়েছে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানান, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নতুন প্রজন্ম কেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবে সে বিষয়ে তিনি একটি ছোট লেখা লিখেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা, লালন করা এবং জনগণের মধ্য থেকে জন্ম নেয়া এবং বেড়ে উঠা আর কোন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে মূলধারায় নেই।’

‘কিছু দল আছে যারা ক্যান্টনমেন্টে বিভিন্ন সামরিক শাসকের পকেট থেকে জন্ম নিয়েছে অথবা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দল। আরও কিছু দল আছে যারা খুবই দুর্বল এবং কিছু দাবি দাওয়া করা ছাড়া তাদের আর কোন সক্ষমতা নাই’- যোগ করে বললেন প্রতিমন্ত্রী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরবর্তীতে সংগ্রাম ও আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়ও দলটির অবদান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির যাত্রায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরাফাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ৭৫ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় আওয়ামী লীগের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও ব্যর্থতার চেয়ে দেশের জন্য অনেক বেশি গৌরবময় ভূমিকা, অর্জন ও অবদান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক দরকার। এটি করার জন্য, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতির সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাই, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাদের অভিন্ন মূলমন্ত্রের আওতায় আনতে কাজ করছি।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, সহ-সভাপতি কাজী শওকত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য ও শাকুর হোসেন শাকু, দপ্তর সম্পাদক আরমান হোসেন অপু, উপ-দপ্তর সম্পাদক নাহিদুল আলম নাদিম, উপ-প্রচার সম্পাদক শরীফ হাসান প্রমুখ।


গভর্নরের সুদূরপ্রসারী চিন্তার প্রতিফলন

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
আপডেটেড ২৮ জুন, ২০২৪ ২১:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ‘চলতি অর্থবছরেই আমরা রিবাউন্স করব অর্থাৎ ঘুরে দাঁড়াব।’

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে গভর্নর আরও বলেছিলেন, জুনের মধ্যেই রিজার্ভ বাড়বে এবং এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সে হিসাবে জুন মাসেই আশানুরূপ রিজার্ভ বৃদ্ধি হওয়ায় বাস্তবেই তার সেই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তার প্রতিফলন ঘটেছে।

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগোচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে আবার সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল এবং সামগ্রিক অর্থনীতির সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় চলমান রয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য ঋণদাতারা ৯০ কোটি ডলার প্রদান করায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। রিজার্ভ নিয়ে অবশ্য এর আগেই সুখবর দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্তায় বলা হয়, শুক্রবার চূড়ান্ত হিসাব শেষে দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায় গ্রস রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। তবে রেমিট্যান্স মিলিয়ে বৃহস্পতিবার দিন শেষে চূড়ান্ত হিসাবে তা বেড়ে হয় ২৭.১৫ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার আইএমএফের পাশাপাশি আইডিবি (ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক), আইবিআরডি (ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ও দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণের ৯০ কোটি ডলার যখন বাংলাদেশ পায়, তখন সময়ের পার্থক্যের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন চলছিল। সেই কারণে ওই দিনের চূড়ান্ত স্থিতি জানা গেল পরদিন শুক্রবার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ যেমন এসেছে, তেমনি আরও কয়েকটি উৎস থেকে ডলার যোগ হয়েছে।’

উল্লেখ্য, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। সংশ্লিষ্টরা জানায়, আর্থিক খাতে নানাবিধ সংস্কার এবং ব্যাংক খাতে মুদ্রানীতিসহ গভর্নরের নেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপে সন্তুষ্ট আইএমএফ। তার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় চলমান থাকায় বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থাটির দেওয়া শর্ত পূরণ অনেকটা সহজ হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দ্রুতই কমতে শুরু করে রিজার্ভ। এ পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে। কয়েক দফা আলোচনা শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্থিক সংস্থাটি। ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ জানায়, শর্তপূরণ সাপেক্ষে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে ঋণের এ অর্থ দেওয়া হবে।

শুরু থেকেই আইএমএফের পরামর্শ বাস্তবায়ন করতে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জোর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তার দেওয়া মুদ্রানীতিতেও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে জোর প্রচেষ্টা ছিল, ইতোপূর্বে যা নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। একই সঙ্গে ডলার সংকট কমাতে বিলাসী পণ্য আমদানিতে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেন তিনি। যার প্রভাবে চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমদানি কমে আসে। ফলে ডলার মার্কেটে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা দূর করতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন গভর্নর। ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট দূর করতে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। যার ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।

২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল-গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও আকাশচুম্বী হয়ে যায়, বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার মান কমে যায়, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে শুরু করে, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গে রপ্তানি আয় কিছুটা কমে যায়, রেমিট্যান্স কমতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকগুলো সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়। যেমন, বিলাসী পণ্যের ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি বাড়ানোর জন্য প্রণোদনামূলক মজবুত রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন, আবার রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য ২.৫ শতাংশ হারে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

আইএমএফের সঙ্গে ঋণ চুক্তি অনুমোদনের পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার হাতে পায় বাংলাদেশ। আর গত ১২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তিতে বাংলাদেশ পায় ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আরও চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।

এর আগে গত ৮ মে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করার বিষয়ে কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল। গত সোমবার বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয় আইএমএফ।

ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থের ব্যবহার এবং শর্ত পূরণে অগ্রগতি দেখতে রিভিউ মিশন গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত সরকারি বিভিন্ন দপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে। ঋণের শর্ত হিসেবে বেশ কিছু আর্থিক ও নীতি সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

এগুলোর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারমুখী করা, ব্যাংক ঋণে সুদ হারের ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেওয়া, ব্যাংক ঋণের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, রিজার্ভের নিট হিসাব আইএমএফ স্বীকৃত পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী প্রকাশ, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নের মতো বিষয় রয়েছে।


জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে ফলপ্রসূ অবদান রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে ফলপ্রসূ অবদান রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘ পুলিশপ্রধানদের চতুর্থ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিনব কৌশল ও সম্ভাব্য সংঘাতের ক্ষেত্র’ শীর্ষক সম্মেলনের প্রধান সেশনে প্রথম বক্তা হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাসঙ্গিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক বিশেষায়িত পুলিশিংয়ের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চলমান দেশসমূহের আইন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থাসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে।’

তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের শেষে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের শান্তিরক্ষায় নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার প্রদানের আহবান জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মহিলা পুলিশ সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের এ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।

সম্মেলন চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলে সানিয়াং, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশনস জ্যঁ পিয়েরে লাখোয়া, এবং আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর অপারেশনাল সাপোর্ট অতুল খারের সঙ্গে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন।

এ সময় উভয় আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেলই শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পেশাদারিত্ব ও অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী প্রেরণের অনুরোধ জানান।


টানা ৮ দিন দেশে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা আট দিন অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার দুপুরে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মাল্লিক গণমাধ্যমকে একথা জানান।

তিনি বলেন, দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আজ থেকে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত অতিবৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ভারিবৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমের তীব্রতা একই রকম থাকবে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, অতিভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশকি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫১, নেত্রকোনায় ৫০ ও সিলেটে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- দেশের আট বিভাগেই অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এতে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াম কমে আসবে। এছাড়া রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।


banner close