শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২

ঈদযাত্রার ১৩ দিনে সড়কে ঝরল ২৬২ প্রাণ

প্রতীকী ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৪ জুন, ২০২৪ ২১:৪২

পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে সড়ক দুর্ঘটনায় সারা দেশে ১৩ দিনে ঝরেছে ২৬২ প্রাণ। এতে আহত হয়েছে ৫৪৩ জন। আজ সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহার আগে-পরের ১৩ দিনে সারা দেশে এসব দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫৪৩ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে নারী ৩২ ও শিশু ৪৪। এই সময়ে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছে। ১৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে ১২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১০৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৯.৬৯ শতাংশ।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো ‘ঈদুল আজহা উদযাপনকালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে’ এসব তথ্য পাওয়া যায়। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

এতে বলা হয়, এসব দুর্ঘটনায় ৯৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার মানব সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫৩৩টি। এর মধ্যে বাস ৭১টি, ট্রাক ৫২টি, কাভার্ডভ্যান ১০টি, পিকআপ ১৩টি, ট্রাক্টর ৮টি, ড্রামট্রাক ৯টি, ট্রলি ৩টি, কার্গো ট্রাক ২টি, ট্যাংক লরি ২টি, মাইক্রোবাস ১৬টি, প্রাইভেটকার ১৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ২টি, জিপ ৩টি, মোটরসাইকেল ১৩৮টি, থ্রি-হুইলার ১০৬টি, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪৩টি, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা ১৯টি এবং অজ্ঞাত গাড়ি ১৮টি।


গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ফেলেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করা হয় ‘গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশ’। এই সংশোধনীর মূল বিষয় ছিল গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের বিদ্যমান মালিকানা কমানো। অধ্যাদেশে ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ এতে সম্মতি জানিয়ে এতে নীতিগত অনুমোদন দেয়। গতকাল সকালে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে রাজধানীর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশে’নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৯০ শতাংশ রাখা হয়েছে ব্যাংকের সুবিধাভোগীর জন্য।

প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৯৭৬ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর পর ১৯৮৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় আইন দ্বারা গ্রামীণ ব্যাংককে একটি স্বাধীন ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয় তদানীন্তন সরকার। এরপর থেকে ব্যাংকটির প্রধান কর্তার দায়িত্ব পালন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০০৬ সালে দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয় গ্রামীণ ব্যাংক এবং এর প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তবে পরবর্তীতে বয়সজনিত কারণকে সামনে এনে এর পরিচালনা পর্ষদ থেকে ড. ইউনূসকে অব্যাহতি দেয় তদানীন্তন আওয়ামী লীগ সরকার।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এখানে গ্রামীণ ব্যাংক আগে যখন কাজ করত, একটা মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করত। সেই মূল্যবোধ হচ্ছে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদেরই অংশগ্রহণ থাকবে ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে। কিন্তু আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হয়েছিল এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় তার যে দর্শন ছিল—‘যে ঋণ নেবে তার হাতেই সুবিধা থাকবে’— সেখান থেকে সরিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে নিয়ে আসা হয়।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে যে অধ্যাদেশ সংশোধন করা হলো, তার মাধ্যমে আগে গ্রামীণ ব্যাংক ভূমিহীনদের জন্য কাজ করতো, এখন বিত্তহীনদের একটা সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পরিসর থেকে বেরিয়ে সিটি করপোরেশন, পৌরসভাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, অধ্যাদেশে বোর্ডের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে—যারা এই ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদের মধ্যে থেকে ৯ জন নির্বাচিত হয়ে আসবেন। এই ৯ জনের মধ্যে থেকে আবার ৩ জন মনোনীত হবেন এবং তাদের মধ্যে থেকে একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হবেন। এখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে— পরিশোধিত মূলধন আগে ছিল সরকারের ২৫ শতাংশ, আর সুবিধাভোগীদের ৭৫ শতাংশ । এখন হয়ে গেছে ১০ শতাংশ এবং ৯০ শতাংশ। এ ছাড়া ‘ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট ২০১৫’ অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংককে জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করার একটা বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।


পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলায় আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে হত্যার দায়ে দুবাইয়ে পলাতক আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), মামুন ইমরানের বন্ধু রহমাত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩)। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন।

অপর ৬ আসামির মধ্যে রহমাত উল্লাহ, সারোয়ার হোসেন জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। এছাড়া বাকি চার আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

পরে ৬ আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আরাভ খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এর আগে কয়েক দফা রায় পেছানো হয়। সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল রায় পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। পরে ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পরে তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রহমত উল্লাহ ও রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেয় পুলিশ।

২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, রবিউল ইসলামের (আরাভ খান) নেতৃত্বে বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করত একটি চক্র। তাদের লক্ষ্য ছিল রহমত উল্লাহকে আটকে ‘অশালীন’ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করা। সেজন্য ওই চক্র জন্মদিনের নাটক সাজিয়ে রহমতকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল বনানীর ওই বাসায়।

বন্ধু রহমতের সঙ্গে সেখানে গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।


কুড়িল ফ্লাইওভারের খিলক্ষেত মুখ ২৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে

# উত্তরা-খিলক্ষেত-বসুন্ধরা পথে দিনভর দুর্ভোগ
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর উত্তরা থেকে খিলক্ষেত অভিমুখী সড়কে গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিনই ছিল তীব্র যানজট। যানজটের প্রধান কারণ ছিল খিলক্ষেত বাসস্টপের ঠিক সামনে কুড়িল ফ্লাইওভার ওঠার মুখে ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের (এমআরটি লাইন-১) ইউটিলিটি স্থানান্তর কাজের জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি। পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে কুড়িল ফ্লাইওভার বন্ধ করে দিনভর কাজটি করার পর গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ঘোষণা দিয়েছে, খিলক্ষেত থেকে কুড়িল ফ্লাইওভারে ওঠার র‌্যাম্পটি আরও ২৯ ঘণ্টা টানা বন্ধ থাকবে। ফলে গতকাল পুরোদিনের পর আজ শুক্রবারও সারাদিন এই র‌্যাম্পটি দিয়ে কুড়িল হয়ে ৩০০ ফুটের সড়ক বসুন্ধরা হয়ে খিলগাঁও, পল্টনের দিকে সরাসরি যাতায়াত করা সম্ভব হবে না।

এ জন্য এই রুটে চলাচলকারী যানবাহনকে খিলক্ষেত থেকে সোজা রাস্তা ধরে এগিয়ে হোটেল র‌্যাডিসনের আগে থাকা বিভাজকে ইউটার্ন নিয়ে নিকুঞ্জ-১ এর সামনে অবস্থিত বিশ্বরোডের র‌্যাম্প ব্যবহার করে কুড়িল ফ্লাইওভারে ওঠার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১) এর প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঞা স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা হতে ১৮ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১২ টা পর্যন্ত খিলক্ষেত হতে কুড়িল ও বসুন্ধরা অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ডিএমটিসিএল কুড়িল ফ্লাইওভারের খিলক্ষেতের মুখটি আটকে ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ শুরু করায় উত্তরা থেকে খিলক্ষেত হয়ে নগরীতে প্রবেশে ভয়াবহ যানজটের মুখে পড়েন রাজধানীবাসী। এদিন বৃহত্তর পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে স্বীকৃত এসএসসি পরীক্ষা থাকায় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার পথে ভীষণ দুর্ভোগের শিকার হন। ভুক্তভোগীরা জানান, উত্তরার আজমপুর থেকে খিলক্ষেত আসতে যেখানে ১০-১৫ মিনিটের বেশি সময় লাগে না সেখানে যানজটে প্রতিটি যানবাহনের দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে র‌্যাডিসন হোটেলের আগের ইউটার্ন পর্যন্ত ছিল এই যানজট। ফলে একদিকে বৃষ্টি ও পরে ভ্যাপসা গরমে ভীষণ দুর্ভোগে পড়েন পথযাত্রীরা।

মাহবুব আলম নামে খিলক্ষেতের এক বাসিন্দা জানান, ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতে পারে তবে কাজটি কখন কোথায় শুরু হচ্ছে তা আগেই নগরবাসীকে জানানো উচিত। তিনি বলেন, নিজের গাড়ি নিয়ে খিলক্ষেত পর্যন্ত এসে শুনি কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের দিয়ে হ্যান্ড মাইকে অনুরোধ করা হচ্ছিল কুড়িলগামী গাড়িগুলোকে ফ্লাইওভার পরিহার করে র‌্যাডিসনের আগের সড়ক বিভাজকে ইউটার্ন নিয়ে নিকুঞ্জ-১ এর সামনের ফ্লাইওভার দিয়ে কুড়িল হয়ে গন্তব্যে যেতে। বিষয়টি আগে থেকে জানা থাকলে আগে থেকেই বিকল্প পথ বেছে নেওয়া সম্ভব ছিল।

তিনি বলেন, বর্তমানে খিলক্ষেত বাসস্টপ এলাকায় ও কিছুদিন আগে খিলক্ষেত বাজার এলাকায় এই কাজটি চলছে। খিলক্ষেত ও এর ভেতরের এলাকাগুলোতে কয়েক লাখ মানুষ বসবাস করেন। তাই এসব মানুষের পথচলা নির্বিঘ্ন রাখতে পথ বন্ধ রাখার মতো যেকোনো কাজে আগাম ঘোষণা দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।


ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

# কঠিন হবে রাজনৈতিক আশ্রয়
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের নাম যুক্ত করেছে। এতে এসব দেশের নাগরিকদের ইইউ দেশগুলোতে আশ্রয় পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে ওই দেশগুলোতে আশ্রয়ে থাকা প্রবাসীদের ফেরানোর পথটিও সহজ হবে। এসব দেশের নাগরিকদের ইইউতে আশ্রয় লাভ কঠিন করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ জোরদারের লক্ষ্যে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো কসোভো, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিসিয়া। অবশ্য কার্যকর হওয়ার আগে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ও সদস্যদেশগুলোকে এই তালিকা অনুমোদন করতে হবে।

এ পদক্ষেপের ফলে আবেদনের ভিত্তি নেই, এমন পূর্বানুমান বিবেচনায় নিয়ে এসব দেশের নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদনের যাচাই-বাছাই দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার সুযোগ পাবে ইইউর সদস্যদেশগুলো। অবশ্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।

ইইউর অভিবাসনবিষয়ক কমিশনার ম্যাগনার ব্রুনার বলেন, ‘আশ্রয়ের আবেদন নিষ্পন্নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য জটের মুখে পড়ছে অনেক সদস্যদেশ। তাই আমরা যে বিষয় এখন করতে পারি, সেটা হলো আশ্রয়ের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সমর্থন জানানো, যেটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’

অভিবাসীদের নিয়ে বিরূপ মনোভাব কাজে লাগিয়ে কয়েকটি দেশের নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থিরা ভালো ফল করায় বেআইনিভাবে প্রবেশকারীদের ব্যাপারে কঠোর হওয়া এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে চাপে পড়েছে ইইউ।

অভিবাসনবিষয়ক কমিশন বলেছে, ইইউর সদস্যপ্রার্থী দেশগুলোকেও ‘নিরাপদ’ দেশের মানদণ্ডগুলো পূরণ করতে হবে। তবে সংঘাতে আক্রান্ত হলে, সে ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে বলে কমিশন জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে বলে উল্লেখ করে তারা।

এর আগে ২০১৫ সালে একই ধরনের তালিকা উত্থাপন করেছিল ইউরোপীয় কমিশন। তবে ইইউর সদস্যপ্রার্থী দেশ তুরস্ককে এ তালিকায় রাখা হবে কি না, তা নিয়ে তীব্র বিতর্কের পর ওই পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। অভিবাসনবিষয়ক কমিশন বলেছে, বুধবার প্রকাশিত তালিকাটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বর্ধিত বা পর্যালোচনা করা হতে পারে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আবেদনকারী যেসব দেশ থেকে আসেন, সেগুলো দেখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সদস্যদেশগুলো এই তালিকার সঙ্গে নিজেরা অন্য দেশকে যুক্ত করতে পারবে, তবে বাদ দিতে পারবে না।


‘৭১-এর গণহত্যার’ জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

* ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের এফওসি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
    * দুদেশের সম্পর্ক জোরদারে অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান চায় বাংলাদেশ ** ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতা ও গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া এবং বাংলাদেশের বকেয়া আর্থিক দাবি নিষ্পত্তিসহ অমীমাংসিত ঐতিহাসিক বিষয়গুলো সমাধান করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি ‘দৃঢ় দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মায়’ আয়োজিত এফওসিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ তাদের নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন। প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা ফরেন অফিস কনসাল্টেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।

পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণের পরিমাণের বিষয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক ডেপুটি চেয়ারম্যানের দেওয়া হিসাব মতে, ৪ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও আরেকটা হিসাবে ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। আমরা আজকের আলোচনা এই ফিগারটা বলেছি। ১৯৭০ সালে যে ভয়াবহ বন্যা হয়; এতে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র ও এজেন্সি ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দান করেছিল, আমরা তার হিস্যাও চেয়েছি।’


অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারমূলক কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা এ সমর্থন জানায়।

বৈঠকে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এ. চুলিক এবং অ্যান্ড্রু হেরাপ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিশনপ্রধান ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদারতা ও মানবিক সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন এবং এই সংকট মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা জানান।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমার সরকারের ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন।

চুলিক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুকে আপনি বিচ্ছিন্নভাবে না দেখে পুরো মিয়ানমার প্রসঙ্গের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন- এটা আমরা প্রশংসনীয় বলে মনে করি।’ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আঞ্চলিক সহযোগিতা, সংযোগ বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রশংসা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে আন্তরিকভাবে আগ্রহী অন্তর্বর্তী সরকার। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় সহায়তা চালু করা এবং পারস্পরিক শুল্ক ৯০ দিন স্থগিতের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা তার বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নে সমর্থন দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’


৫ আগস্টের পর ৭ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর গত দুই মাসের কার্যক্রম তুলে ধরে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশন্স ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ সময়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যান্য সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২ হাজার ৪৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৮২২ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা সেনানিবাসে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মার্চ ফর গাজা ও আগে কয়েকটি জায়গায় দেখা গেছে নিষিদ্ধ সংগঠনের পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করতে। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী কি পদক্ষেপ নিচ্ছে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মার্চ ফর গাজার বিক্ষোভে সেনাবাহিনী কালো পতাকাধারীদেরকে রহিত করেছে। কালো পতাকাধারী হলেই যে সে জঙ্গি সংগঠনের এটির কোনো প্রমাণ আমরা এখনও পায়নি। তবে এ বিষয়ে সেনাবাহিনী সোচ্চার রয়েছে। গোয়েন্দা বাহিনীও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মিরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে জেলে ও মাছ ধরাভর্তি ট্রলার ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী কি পদক্ষেপ নিচ্ছে জানতে চাইলে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নাফ নদীতে জেলেদের যে অসুবিধা হচ্ছে এ বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বিজিবি দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাদের কাজ চলমান আছে। অনেক জেলে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। বাকিদের বিষয়েও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অথবা নৌ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
গত ৮ মাস ধরে সশস্ত্র বাহিনী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় মাঠে কাজ করছে। কাজ করতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের কোনো চাপ পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কাজ করতে গিয়ে কোনো বাধা পাচ্ছি না। আমরা যে কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পর পরবর্তী আইনি বিচারকার্য সেনাবাহিনীর দায়িত্বের বহির্ভূত। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে যতটুকু ব্যবহার করার দরকার ততটুকুই ব্যবহার করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থান কিছুটা শনাক্ত করা গেছে। এ বিষয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো রকম গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয়। বরং সেনাবাহিনী আরও একতাবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির পাশে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি সেনাপ্রধানের রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, বন্ধু প্রতিম দেশের সঙ্গে সম্প্রতি সেনাপ্রধানের রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর একটি নিয়মিত কার্যক্রম। এই সফরে সেনাপ্রধান বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করেন। এর ফলে সামরিক সহযোগিতা আরও প্রগাঢ় হবে।
এর আগে প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত দুই মাসে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী অন্যান্য সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বিত উদ্যোগে বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত মোট ২,৪৫৭ জনকে এবং এ যাবত পর্যন্ত সর্বমোট ৭,৮২২ জন্যক বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের মাঝে কিশোর গাং তালিকাভূক্ত অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, অপহরণকারী, চোরাচালানকারী, প্রতারক ও দালাই চত্র, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই মাসে সেনাবাহিনী ৩২০টি অবৈধ অস্ত্র ও ৫৬৪ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং এ যাবত পর্যন্ত সর্বমোট ৯,৩৭০টি অবৈধ অস্ত্র ও ২,৮৫,০৫২ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
তিনি আরো বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখ মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ঈদের আগে ও পরে মিলে ২ সপ্তাহের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় মহাসড়কগুলোতে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে ঢাকাসহ দেশের সকল জেলার বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, এবং লঞ্চ টার্মিনাল ও মহাসড়কে দিন-রাত টহল পরিচালনা, স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় যা মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ফলশ্রুতিতে, সড়ক দূর্ঘটনাসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকান্ড গত বছরের তুলনায় বহুলাংশে হ্রাস পায় যা জনসাধারণকে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানোসহ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘনভাবে ঈদ উদযাপনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
তিনি আরও জানান, বিগত সময়ে শিল্পাঞ্চল সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে এবং ৩১ বার বিভিন্ন মূল সড়ক অবরোধ থেকে অবমুক্ত করেছে। শিল্পাঞ্চলে জাতীয় নিরাপত্তা বিধানকালে গত ৯ এপ্রিল নারায়নগঞ্জে অবস্থিত রবিন টেক্স গার্মেন্টসে অস্থিরতা প্রশমন কালে নিয়োজিত সেনাসদস্যগণ কিছু গার্মেন্টস শ্রমিক কর্তৃক ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আক্রান্ত হয় এবং এতে ২৪ জন সেনা সদস্য আহত হয়। ঈদ পূর্ব গার্মেন্টসে অস্থিরতা মোকাবিলায় সেনাবাঘিনী মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, মন্ত্রণালয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও ইএগঊঅ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সমন্বয় সাধন করে শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা পরিশোধে বিশেষ ব্যবস্থা করে যা শ্রমিকদের মাঝে ঈদ পূর্ববর্তী গতানুগতিক অস্থিরতা প্রশমনে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনাবাহিনী বিগত দুই মাসে ২৩২টি বিভিন্ন ধরণের বিশৃংখল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, যার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ৩৭টি, সরকারী সংস্থা, অফিস সংক্রান্ত ২৪টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৭৬টি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের ঘটনা ছিল ১৫টি।
তিনি আরও জানান, ১৩ তারিখে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলাতে খোলাপেটুয়া নদীর প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেলে আশে-পাশের প্রায় ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যগণ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনগনকে সম্পৃক্ত করে দ্রুততম সময়ে বাঁধটি মেরামত করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানিবন্দী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেয়।
কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম আরও জানান, গত ২৮ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে আঘাত হানে যার ফলে জানমালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। এ ভূমিকম্পে মায়ানমারে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। প্রতিবেশী দেশের বিপদসংকুল এসময়ে বাংলাদেশ সরকার জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সেনাবাহিনীর কর্নেল শামীমের নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ার কোরের ২১ জনের একটি উদ্ধারকারী দল এবং ১০ জনের একটি মেডিকেল দল প্রেরণ করা হয়। সেনাবাহিনী ছাড়াও নৌবাহিনীর ৩ জন, বিমানবাহিনীর ৩ জন, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর ১০ জন এবং ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি অসামরিক মেডিকেল দল প্রেরণ করা হয়। এই উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়ক দল প্রেরণের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর বিমান, বিমান বাহিনীর বিমান ও নৌ জাহাজ ব্যবহার করা হয়।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী অদ্যাবধি ৪ হাজার ৩৪০ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। যার মধ্যে ৪৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহতদের সম্মানে সেনাবাহিনী গত ২৩ মার্চ সেনামালঞ্চে ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। ২৫ মার্চ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আহত এবং শহীদ পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়। সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত থেকে সকলের খোঁজ-খবর নেন। চিকিৎসাসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারে কমিটি গঠন হচ্ছে: রিজওয়ানা হাসান

আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:০৪
ইউএনবি

অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে ও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এরআগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রিজওয়ানা বলেন, বৈঠকে ব্যাংকিং খাতের কিছু বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছে, সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ, ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ। এছাড়া রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশে এবং গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশেও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশগুলো নিয়ে আলোচনার সময় আমাদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে অর্থনৈতিক অপরাধ যে গোষ্ঠীগুলো করেছে, তাদের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ জন্য প্রাথমিক কাজগুলো হয়েছে। এখন অর্থনৈতিক অপরাধে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করার জন্য আলাদা একটি কমিটি গঠন করেছি।’

জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সইয়ের সিদ্ধান্ত

পানিসম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মধ্যে আমরাই প্রথম এই কনভেনশনে সই করতে যাচ্ছি।

‘আর আমাদের অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা সবসময় বলি, আমরা আন্তর্জাতিক আইনগুলোতে কেন সই করছি না। এই অভিন্ন জলরাশির পানির ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুটো আইন আছে জাতিসংঘে। একটি হচ্ছে জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭, আরেকটি হচ্ছে ১৯৯২ কনভেনশন,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ কনভেনশন কার্যকর হয় ১৯১৪ সালে। অর্থাৎ উজানের দেশগুলোর অনীহার কারণে মাত্র ৩৬টি দেশের সই লাগত। সেই সই পেতে ১৭ বছরেরও বেশি লেগে যায়। আরেকটি আইন হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টার্গেট করে ১৯৯২ সালে আরেকটি আইন করা হয়েছিল। এটি ২০১৬ সালে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।

‘এ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের প্রায় ১১টি দেশ আইনটিতে সই করেছে। তারমধ্যে বেশিরভাগ দেশ আফ্রিকান। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই কনভেনশনে আমরা অনুস্বাক্ষর করবো,’ বলেন এই উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, ‘এরআগে যত প্রক্রিয়া ছিল, সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা, আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা করা, ওই কনভেনশনের সেক্রেটারিয়েট থেকে লোক আসা—সবই আমাদের হয়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কনভেনশন অব দ্য প্রটেকশন এন্ড ইউজ অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটারকোর্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল লেক ১৯৯২-এ সই করবো। বাংলাদেশকে দিয়েই এশিয়ার দেশগুলোর স্বাক্ষর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।’


মুর্শিদাবাদের সহিংসতা: বাংলাদেশের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ঢাকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনও চেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের সহিংস হামলায় মুসলমানদের প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে নিন্দা জানাই।’

‘সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকার আহ্বান জানাচ্ছে,’ বলেন প্রেস সচিব।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রাথমিক তদন্তে কিছু ‘বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীর’ সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমএইচএ) সূত্র।

তবে এসব দাবি নাকচ করে বাংলাদেশ বলেছে, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।


‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১৩ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল)। তাকে ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষা যেন শেষই হচ্ছে না পরিবারের। এমনকি তিনি জীবিত, না মৃত– সে রহস্যও কাটেনি। তাকে অক্ষতভাবে ফিরে পাওয়ার আশায় এখনও অপেক্ষার প্রহর গুনছে তার পরিবার ও নেতাকর্মীরা।

২০১২ সালের এই দিনে ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন তিনি। এর পর তাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। হরতাল, মিছিল-মিটিং চলে বছরের পর বছর। প্রিয় নেতাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে নিজ এলাকা বিশ্বনাথে গুলিতে প্রাণ দেন তিন নেতাকর্মী।

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য নিশ্চিত না করায় এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মাঝেমধ্যে ইলিয়াস আলীর সন্ধান পাওয়া গেছে– এমন খবরে নতুন করে আশায় বুক বাঁধলেও পরক্ষণে তা ম্লান হয়ে যায়।

সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। ‘আয়নাঘরে’ তাকে পাওয়া গেছে— এমন খবরও প্রচার করা হয়।

এমনকি গত বছরের ১৯ আগস্ট সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর মাদ্রাসায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন এবং বিদেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দাবি করে বক্তব্য দেন বিএনপির এক নেতা।পরে ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা সেটিকে গুজব বলে মন্তব্য করেন।

৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর স্বামীকে ফিরে পেতে গুম কমিশনে আবেদন করেন লুনা। কিন্তু সেই আবেদনেরও কোনো অগ্রগতি নেই দাবি করে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ইলিয়াস আলীকে অক্ষতভাবে ফেরতের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার রামধানায় পারিবারিকভাবে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা বিএনপি আজ (বুহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন ও দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। এ ছাড়া সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল।

তিনি জানান, ‘১৩ বছর ধরে প্রিয় নেতাকে ফিরে পাওয়ার দাবি করা হচ্ছে। অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকার তাঁকে গুম করে রাখে। কিন্তু আজও তার সন্ধান মেলেনি।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখনও আশা ছাড়িনি। ইলিয়াস আলীর প্রতীক্ষায় আছি। তিনি এমন এক নেতা, যার জন্য প্রাণ দিয়েছেন কর্মীরা।’


রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিল ১৮ মে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি: সৈয়দ মাহামুদুর রহমান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপের প্রভাবে সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ বর্তমানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।

এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। ঢাকায় পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বায়ু প্রবাহিত হতে পারে।

এ ছাড়াও ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে।


টিউলিপকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাওয়ার পরিকল্পনা

দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

প্লট ও ফ্ল্যাট জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলায় যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিককে দুর্নীতির বিষয়ে আদালতে হাজির হয়েই বক্তব্য দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান মো. আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক শুধু আদালতে উপস্থিত হয়েই নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। অভিযোগ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও টিউলিপ বাংলাদেশে তার খালা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময়ে গুলশানে একটি সরকারি লিজকৃত প্লট ইস্টার্ন হাউজিংকে অনুমোদনের ব্যবস্থা করে বিনিময়ে একটি ফ্ল্যাট গ্রহণ করেছেন তিনি।

এছাড়া, ২০২২ সালে পূর্বাচলে রাজউকের মূল্যবান জমি নিজের মা, ভাই ও বোনের নামে বরাদ্দ নিতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে আদালত থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


banner close