বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

বন্যার্তদের জন্য ১১০০ টন চাল ও নগদ ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ

বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০২৪ ১৮:৪৫

বন্যার্ত মানুষের জন্য এক হাজার একশ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫০ লাখ টাকা এবং ১২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

বরাদ্দকৃত চাল সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। সিলেটে সাংবাদিকদের এমনটা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিবুর রহমান এমপি।

জানা গেছে, বরাদ্দকৃত চালের মধ্যে পাঁচশ মেট্রিক টন করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের জন্য সমান হারে এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের জন্য একশ মেট্রিক টন। নগদ ৫০ লাখ টাকার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ২০ লাখ টাকা করে এবং সিলেট সিটির জন্য ১০ লাখ টাকা।

১২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের মধ্যে ৫ হাজার প্যাকেট করে দুই জেলার জন্য এবং সিটির জন্য দুই হাজার প্যাকেট রয়েছে। এ ছাড়া দুই জেলার জন্য গবাদিপশুর খাবারের জন্য ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা এবং শিশুদের খাদ্যের জন্যে ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে, সিটি করপোরেশনের জন্য শিশু ও গোখাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল জানান, সিলেট জেলার জন্য পাঁচশ মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ টাকা, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, গো-খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি।

আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বরাদ্দ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বন্যার্ত মানুষের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ, চাল, শুকনো খাবার, শিশু ও গো-খাদ্য পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, সিলেট সিটির জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব অর্থ ও খাবার নগরের বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ শুরু হয়েছে।

বিষয়:

সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বাসস
আপডেটেড ৩ জুলাই, ২০২৪ ২০:৩৪
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে গণভবনে সবার জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতের রূপান্তরের ওপর একটি উপস্থাপনা অবলোকন করেন।

এ সময় তিনি গত দেড় দশকে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপের বর্ণনা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করার পর প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

তিনি দেশের স্বাস্থ্য খাতের আরও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

দেশের স্বাধীনতার পর সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান এবং স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।


‘প্রত্যয়’ স্কিম: কাল শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বসবেন ওবায়দুল কাদের

আপডেটেড ৩ জুলাই, ২০২৪ ১৫:২০
ঢাবি প্রতিনিধি

প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ আরও দুই দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এজন্য তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষক নেতাদের ডেকেছেন।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাদেরকে ফোন দিয়েছেন, আমাদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেছেন আর বলেছেন আমাদের সঙ্গে তিনি বসবেন। এরপর তিনি আমাদেরকে যেতে বললেন সেখানে। এই মিটিংটা হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যায়। কিন্তু উনার সেসময় সাভারে মিটিং থাকার কারণে আগামীকাল সকালেই মিটিংয়ের সময় তিনি নির্ধারণ করেছেন।

অধ্যাপক নিজামুল বলেন, গতকাল মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আমাদের বলেছেন, আমরা আপনাদের এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। কিছু বিষয়ে আপনার সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো। আমি আপনাদের ডাকবো।

কালকের সভাতে শিক্ষামন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আমরা জানি না। এটি ইনডিভিজুয়ালও হতে পারে, আবার কালেক্টিভও হতে পারে।

এদিকে আজ বুধবার তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এর অংশ হিসেবে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকের ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষককদের আন্দোলন নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, তিনি কোন ধরনের রিভিউ, তথ্য ও উপাত্ত যাচাই না করে শুধুমাত্র কর্মকর্তারা তাকে যে লিখিত প্রেসরিলিজ দিয়েছেন তিনি সেটার উপর নির্ভরশীল হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। সে কারণে তিনি গণমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। সবচেয়ে দুঃখজনক, তিনি একবারও বললেন না, ঠিক আছে, আমরা বসি, আলোচনা করি, দেখি না কি হয়।

জিনাত হুদা বলেন, ধরেন আমাদের দাবি ভুল। আমরা ভুল আন্দোলন করছি। তাহলে আপনারা সেটি আমাদের দেখিয়ে দেন না। আমাদের সঙ্গে বসেন। সেই সৎ সাহস কেন নেই অর্থমন্ত্রীর।

অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, আমি অর্থমন্ত্রীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি আমাদের সঙ্গে বসুন। আমাদের তথ্য উপাত্ত যাচাই করুন। গাণিতিকভাবে হিসাব নিকাশ প্রণয়ন করুন। দেখুন, এই আন্দোলন কতোটা যৌক্তিক, কতোটা মানবিক, কতোটা বৈষম্যবিরোধী এবং কতোটা বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত আমাদের যে স্বায়ত্তশাসন সেটির সঙ্গে সংঘর্ষিক।

প্রত্যয় স্কিম' সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ ফেডারেশেনর আরও দুই দাবি হলো, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদালয় শিক্ষকদের অহর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন।

এদিকে প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও।

প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বক্তব্যের বিষয়ে ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আব্দুল মোতালেব বলেন, এমন কোনো শক্তি নেই যে আমাদের এই আন্দোলন থামাতে পারে। অর্থমন্ত্রী আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনি প্রত্যয় স্কিম নামে যে একটা ভুয়া স্কিম আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন সেটি প্রত্যাখ্যান করুন। তা না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে আপনার অবস্থানচ্যুতি ঘটতে পারে।


দেশে গ্রস রিজার্ভ এখন ২৬.৮৮ বিলিয়ন ডলার

জুন শেষে ছিল ২৬.৮২ বিলিয়ন ডলার
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবস ৩০ জুন শেষে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৬৮২ কোটি মার্কিন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, এ রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ১৭৯ কোটি ডলার। এ ছাড়া নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ বেড়ে ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ মুখপাত্র।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মূলত তিন ধরনের হিসাব করা হয়- গ্রস রিজার্ভ, বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এবং নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ। তবে এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাবটি প্রকাশ না করে শুধু আইএমএফকে সরবরাহ করত। এ নিট রিজার্ভই মূলত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

এ বিষয়ে মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ সহায়তাসহ দাতা সংস্থার অর্থ পাওয়ার পর দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ বেড়েছে। গত ৩০ জুন শেষে দেশের নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ বেড়ে ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৬৭৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।’

অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। যেকোনো দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের রিজার্ভ থাকলে সেটিকে ভালো হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমানে দেশের আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রতি মাসে ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারের নিট রিজার্ভ দিয়ে দেশের প্রায় তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।

গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার) ছাড় হওয়ার পাশাপাশি আরও কয়েকটি দাতা সংস্থার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে দীর্ঘদিন কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ যুক্ত হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজ অনুমোদনের পর এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করল।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় মূল্যায়নের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন মাসের শেষে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত এপ্রিলে ১২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। আইএমএফসহ কয়েকটি দাতা সংস্থার ঋণে ভর করে এ রির্জাভ আবারও নতুন মাত্রা খুঁজে পেল।

চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ ছাড়ের কথা ছিল। কিন্তু রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন এবং আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১১ কো‌টি ৫০ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়। তবে মোট ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ একই থাকবে।

এদিকে চতুর্থ কিস্তির জন্য বাংলাদেশকে এ বছরের জুন শেষে নিট রিজার্ভ ২ হাজার ১০ কোটি ডলার রাখতে বলা হয়েছিল আইএমএফের পক্ষ থেকে। পরে বাংলাদেশের অনুরোধে তা কমিয়ে ১ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার (১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন) করা হয়। এখন বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভ যেহেতু ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, সেহেতু ঋণের ৪র্থ কিস্তি পেতে কোনো সমস্যা হবে না।

রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশিকর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।


‘আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার’ পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

‘আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার’ পেতে যাচ্ছেন কবি, কথাসাহিত্যিক ও শিশুসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।

পুরস্কারের মূল্যমান হিসেবে তিনি ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র পাবেন। আনন ফাউন্ডেশনের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ফারুক নওয়াজ, মাহমুদউল্লাহ, আখতার হুসেন, সেলিনা হোসেন, লুৎফর রহমান রিটন, আলী ইমাম, সুজন বড়ুয়া ও কাইজার চৌধুরী।

আনোয়ারা সৈয়দ হক ১৯৪০ সালের ৫ নভেম্বর যশোরের চুড়িপট্টিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোলাম রফিউদ্দিন চৌধুরী ও মা আছিয়া খাতুন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি এমবিবিএস পাস করেন এবং ১৯৮২ সালে লন্ডন থেকে মনোবিজ্ঞানে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মনোরোগ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৯৮ সালে অবসর নেন। ১৯৬৫ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

শিশুসাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো- ছানার নানাবাড়ি, বাবার সঙ্গে ছানা, ছানা এবং মুক্তিযুদ্ধ, পথের মানুষ ছানা, একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা দাদাভাই, মন্টির বাবা, তোমাদের জন্য এগারোটি, উল্টো পায়ের ভূত প্রভৃতি।

তিনি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক ২০১৯, উপন্যাসে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১০, কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, চাঁদের হাট পুরস্কার, ইউরো শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, অনন্যা শীর্ষদশ পুরস্কার, এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হ‍ুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, উপন্যাস শাখায় পাঞ্জেরী ছোটকাকু আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কার ইত্যাদি।


‘ঘন ঘন নীতির পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করে’

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিসমূহকে পোশাক, গ্যাস, পেট্রোলিয়াম, ওষুধ ও ব্যাংকিং খাত বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে (ফিনটেক) বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ মঙ্গলবার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) এর মাসিক মধ্যাহ্ন ভোজসভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এবারের ভোজসভার আলোচনার বিষয় ছিল ‘ড্রাইভিং ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরি করতে চাই। মার্কিন কোম্পানি মাস্টারকার্ড এবং ভিসাকার্ড বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আরও যেসব মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে, তারাও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে।’

অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মাসিয়াল কাউন্সিলার (ফরেন কর্মাসিয়াল সার্ভিন) জন ফে।

আর্থিক খাতে অনলাইন সেবা প্রদান প্রসঙ্গে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, অনলাইন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বেসরকারিখাত অনেক ভাল করছে। এর পাশাপাশি বিকাশ ও নগদ এর মত মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এর কারণে গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় এসেছে।

ওয়াসিকা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও ই-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং এক্সেস টু ফিনান্সিয়াল সার্ভিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত এটি। অনলাইন লেনদেনকে উৎসাহিত করতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে এক ব্যবসায়ীর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হচ্ছে এবং মুদ্রা বিনিময় হার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এর ইতিবাচক ফল পেতে শুরু করেছি। জুন মাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে।’ তিনি বলেন, সুদহার যখন নয়-ছয় ছিল সে সময় আমরা খেলাপি হওয়ার মত অনেক ঘটনা দেখেছি। ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন সরবরাহে বাজারভিত্তিক সুদহার কেমন হয়, সেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় দেওয়ার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়নে কর-রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন চালু করতে সরকার সর্বাত্বক কাজ করে চলেছে।

মূল্যস্ফীতির প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূরাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে আমরা সময় পার করছি। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে নিত্যপয়োজনীয় পণ্য নিয়মিত আমদানি করতে হচ্ছে। তবে সরকার দেশের সকল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সমাধানে নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে স্টার্টআপ বাংলাদেশে যথেষ্ট সফল উদ্যোগ। এবারের বাজেটে স্টার্টআপ উৎসাসিহ করতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণে দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঘন ঘন নীতির পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করে। তিনি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সম্প্রসারণে লজিস্টিকস সেবাসহ অন্যান্য পরিসেবা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়নে কর-রাজস্ব ব্যবস্থপনায় পুরোপুরি অটোমেশন চালুর আহবান জানান তিনি।


পর্যটন খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, পর্যটন খাতে পরিকল্পিত উন্নয়নে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। এতে সমগ্র বাংলাদেশকে ৮টি অঞ্চল ও ৫৩টি ক্লাস্টারে ভাগ করে ১ হাজার ৪৯৮টি পর্যটন সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে এই খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, ২০৪১ সালে দেশে ৫৫ লাখ ৭০ হাজার বিদেশি পর্যটক আগমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরকারি দলের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের অন্য এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে ফারুক খান জানান, বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনশিল্পের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রায় ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ হার ক্রমাগত বাড়ছে।

তিনি আরও জানান, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পর্যটন খাত। সেই সময়েও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও আনুতোষিক পরিশোধ করেছে। লাভের ধারা অব্যাহত রেখেছে। সংস্থাটি নিজস্ব আয়ে পরিচালিত সরকারের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের মধ্যে নতুন নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্পট চিহ্নিতকরণ ও এর উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, মেহেরপুরের মুজিবনগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, সিলেট, কক্সবাজার, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ সারা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মাধ্যমে মোট ৫৩টি পর্যটন-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এমিউজম্যান্ট পার্ক, বার, পিকনিক স্পট ও ডিউটি ফ্রিশপ) স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করছে, যা দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

ঘরে বসেই মানুষ ২৮ দিনেই জমির নামজারি করতে পারছেন: ভূমিমন্ত্রী

ই-মিউটেশনের মাধ্যমে নাগরিকরা পূর্বের ৫৭ দিনের পরিবর্তে বর্তমানে ২৮ দিনে ঘরে বসেই নামজারি করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে ভূমিমন্ত্রী জানান, ভূমিসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ভূমি মন্ত্রণালয় স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার আওতায় ই-মিউটেশন এবং অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেম চালু করেছে। ই-মিউটেশনের মাধ্যমে নাগরিকরা পূর্বের ৫৭ দিনের পরিবর্তে বর্তমানে ২৮ দিনে ঘরে বসেই নামজারি করতে পারছে। একই সঙ্গে ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের মাধ্যমে নাগরিক ঘরে বসে অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জমির খাজনা-ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক সায়েমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ জানান, এই মুহূর্তে ভূমি উন্নয়ন কর বৃদ্ধি করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে এলাকাভিত্তিক নামজারি ফি বৃদ্ধি করা যায় কি না, এ বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ

এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের কোহেলী কুদ্দুসের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭১ মেট্রিক টন ডাল উৎপাদন হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এটা ৫ জুন বৃদ্ধি পেয়ে ১০ লাখ ৮ হাজার ৪৭ মেট্রিক টনে উত্তীর্ণ হয়েছে।


বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ মঙ্গলবার সংসদে বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাদি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উক্ত কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কার্যক্রম সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আওতাভুক্ত। উক্ত কমিটিতে ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এম আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক জানান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সবশেষ গেজেট অনুযায়ী দেশে শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা ৫৬০ জন। তালিকা তৈরির কার্যক্রম চলমান, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত চারটি ধাপে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে ১৯১ জন, ২০২২ সালে ১৪৩ জন, ফেব্রুয়ারি ২০২৪ প্রকাশ করা হয় ১০৮ জন ও সবশেষ চতুর্থ পর্বে চলতি বছরের এপ্রিলে ১১৮ জনের নাম প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে একটি জাতীয় কমিটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জাতীয় কমিটির সদস্যরা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই ও গেজেট প্রকাশ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এর মধ্যে তালিকার বাইরে থাকা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তখন প্রকাশ করা হবে।


রোহিঙ্গাদের জন্য দেড় মিলিয়ন ইউরো অনুদান ফ্রান্সের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ১.৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) অনুদান দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়ে ফ্রান্স সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

ইউএনএইচসিআর বলছে, ফ্রান্সের এই সহায়তায় শরণার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের প্রত্যয় বজায় রাখা যাবে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য লাকড়ির বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবস্থা করা যাবে, যার মাধ্যমে বন উজাড় ও কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ প্রতিরোধ করে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভি বলেন, ফ্রান্স রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চলমান মানবিক কর্মকাণ্ডের এক অবিচল সমর্থক। এই উদার অনুদান রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ মানবিক সাহায্য ও সুরক্ষা সহায়তা নিশ্চিত করবে। এটি কক্সবাজারের পরিবেশের সফল পুনর্বাসনের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও শরণার্থী পরিস্থিতিতে থাকা স্থানীয় জনগণকেও সহায়তা করবে।

ফ্রান্সের এই নতুন অনুদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের পর ইউএনএইচসিআর আশা করে মানবিক কর্মকাণ্ডের তহবিলের ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য দাতারাও আবারও এগিয়ে আসবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই বলেন, প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ফ্রান্স অভিবাদন জানায়। আমরা শরণার্থীদের আরও ভালো সুযোগ তৈরির জন্য কাজ করে যাব; আর আশা করব তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য। আমাদের অগ্রাধিকারগুলো হচ্ছে ক্যাম্পের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা ও জোরপূর্বক বার্মায় ফেরত পাঠানোর ঘটনা নিয়ে কাজ করা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবিকার সুযোগ তৈরি করা।

২০২৪ সালে মানবিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় বাংলাদেশিসহ প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে ৮৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি অর্থের আবেদন জানিয়েছিল। এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে চলমান যৌথ মানবিক কর্মকাণ্ডের ৩০ শতাংশেরও কম অর্থায়ন সম্ভব হয়েছে। ফ্রান্সের যৌথ আয়োজনে গত বছরের বিশ্ব শরণার্থী ফোরামে শরণার্থীদের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির জন্য যেসব পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়নেও বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ কমাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিষয়:

নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামের নারী জঙ্গি সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেটেড ২ জুলাই, ২০২৪ ২০:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের জঙ্গি দমনে বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
গ্রেপ্তার হওয়া নারীর নাম পারভীন আক্তার (২৪)। গত রোববার (৩০ জুন) গোয়েন্দা তথ্যে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউপির ইসলামাবাদ পূর্ব হামজার ডেল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে উগ্রবাদী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা করা হয়। আজ মঙ্গলবার এটিইউ- এর পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম ও সচেতনতা শাখা) মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ৯ জুন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের একটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খোঁজ পায় পুলিশ। নেত্রকোনা মডেল থানার ৭ নম্বর কাইলাটি ইউনিয়নের বাসাপাড়া গ্রামে একটি খামারবাড়ি ভাড়া নিয়ে মৎস্য খামার পরিচালনার অন্তরালে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পরিচালনা করছিল সংগঠনটি। একই দিন এন্টি টেররিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল টিম ও সোয়াট টিমসহ নেত্রকোণা জেলা পুলিশ যৌথভাবে খামারবাড়িটিতে অভিযান চালায়। অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগজিন ও তাজা গুলি, দূরুবীন, কম্পাস, ওয়াকিটকি সেট, হাতকড়া, ল্যাপটপ, এসএসডি, মোবাইল ফোন, পিকআপ গাড়িসহ ৮৬ (ছিয়াশি) ধরণের উগ্রবাদী প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১০ জুন নেত্রকোনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করা হয়।
প্রায় ৩ বছর আগে এ মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. হামিম হোসেন (৩২) ওরফে ফাহিম ওরফে আনোয়ার আহমেদ ওরফে শাহজালাল ওরফে আরিফ ২ দশমিক ৫ একর জায়গায় অবস্থিত একটি খামার বাড়ি ৫ বছরের জন্য ভাড়া নেন। মো. হামিম হোসেন এবং তার স্ত্রী এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি উম্মে হাফসা (২৫) গ্রেপ্তার আসামি পারভীন আক্তার ও তার স্বামী রশিদ আহম্মদ (সাংগঠনিক নাম তানভীর) মৎস্য খামারের দোতলা পাকা বাড়ির বিভিন্ন কক্ষে বসবাস করতেন।
গ্রেপ্তার হওয়া পারভীন আক্তারসহ তার অন্যান্য সহযোগিরা মৎস্য চাষের আড়ালে খামার বাড়িটিকে আনসার আল ইসলামের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। তারা নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করে সর্বোচ্চ গোপনীয়তার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহ করে প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
তিনি আরও জানান, এ লক্ষ্যে তারা খামার বাড়িটিতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম স্থাপন করেন এবং বিপুল পরিমান অস্ত্র-গুলি, বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ ইত্যাদি অবৈধভাবে সংগ্রহ করে জমা রাখেন। গ্রেপ্তার পারভীন আক্তার তার অন্যান্য সহযোগিদের নিয়ে আনসার আল ইসলামের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগৃহীত সমর্থকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছাড়াও কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিতে আসা সদস্যদের বসবাসের সুযোগ তৈরি করা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রান্নাবান্না করাসহ প্রশিক্ষণের জন্য আসা নারী প্রশিক্ষণার্থীদের সার্বিক বিষয় সমন্বয় করতেন।
এর আগে গত ৫ জুন মো. হামিম হোসেন অস্ত্রগুলিসহ নরসিংদীর রায়পুরা থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পারভীন আক্তার আত্মগোপনে চলে যান।


সংসদ সদস্যদের সঙ্গে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সংলাপ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের ঐচ্ছিক প্রটোকল-৩ স্বাক্ষরে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন আইনপ্রণেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, শিশু অধিকার সুরক্ষায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ববাহক। প্রটোকল-৩ স্বাক্ষর করলে অধিকার লঙ্ঘন, সহিংসতা ও শোষণের শিকার কোনো শিশু ন্যায়বিচার না পেলে সে বা তার সমর্থনকারী জাতিসংঘে অভিযোগ করতে পারবে। ফলে আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়টির সুরাহা নিশ্চিত হবে, যার মাধ্যমে শিশু অধিকার সুরক্ষিত হবে।

আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্ট মেম্বার ক্লাবে ‘সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শিশু অধিকার ও এর ঐচ্ছিক প্রটোকল’ বিষয়ে জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। আর্টিকেল নাইনটিন ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন আর্টিকেল নাইনটিনের রিজওনাল ডিরেক্টর শেখ মঞ্জুর-ই আলম।

আলোচনায় অংশ নেন শিশু অধিকারবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সহ-সভাপতি অ্যারমা দত্ত, সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, মো. রশীদুজ্জামান, ফরিদা ইয়াসমিন, রুমা চক্রবর্তী, অনিমা মুক্তি গমেজ, ফরিদা ইয়াসমিন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ড. জামিল আহমেদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, প্লান ইন্টারন্যাশনালের আমিনা খাতুন মনি ও উম্মে হুসনা শবনম খানম এবং আর্টিকেল নাইনটিনের মরিয়ম শেলি ও সালমা পারভীন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, সংবিধানে শিশু অধিকার সুরক্ষায় বিষয়টি যুক্ত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি কার্যকরভাবে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার আন্তরিক। এই অবস্থায় প্রটোকল-৩ স্বাক্ষর ও তা কার্যকর করতে সরকারের পাশাপাশি ইউনিসেফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উন্নয়ন সংস্থাকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্কুলের বাচ্চাদের বিস্কুট খেয়ে বলেছিলেন- এই খাবার শিশুরা কীভাবে খাবে? বিস্কুটে চকলেট ফ্লেভার যোগ করতে নির্দেশ দেন। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিশু অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে গেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিশুশ্রম বন্ধ ও পড়াশোনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পিতা-মাতাদের সচেতন করতে ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার দরিদ্র পরিবারকে ২০ লাখ মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছে। শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইসের আসক্তি কমাতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান- এই মৌলিক অধিকার আমরা সকল শিশুকে দিতে পারিনি। শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শিশু ও নারীদের প্রতি সংবেদনশীল। তাদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের জায়গা থেকে আমরা অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। অর্থনেতিক কারণে সকল শিশুকে আমরা এক জায়গায় নিয়ে আসতে পারছি না।’ এ অবস্থা পরিবর্তনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে তিনি আহ্বান জানান।


ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, মুহুরী, কহুয়া, সিলোনিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই বাঁধ নির্মাণ হবে। ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যাকবলিত স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে এসব কথা বলেন। পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই মাসের মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপন করা হবে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ শুরু করার আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধশালী দেশের পর্যায়ে পৌঁছাব। দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় এখন বড় বড় প্রকল্প নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে এখানে এসেছি। আশা করছি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে আমরা এ এলাকাকে বন্যা সহনীয় পর্যায়ে আনতে সক্ষম হব।’

ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া, পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল সোমবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।


সম্রাটের অভিযোগ গঠন শুনানি ২৬ সেপ্টেম্বর

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন সম্রাটের পক্ষের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন (হীরা) পরবর্তী শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা করা হয়। বর্তমানে সব মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।

বিষয়:

স্ত্রী-কন্যাসহ বেনজীরের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী এবং দুই কন্যার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিতে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য তাদের ২১ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে এ নোটিশ দেওয়া হয়। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। নিজ ও আপনাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।

এ আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্নীতি ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে গত ২৩ ও ২৪ জুন দুদকে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বেনজীর ও তার পরিবারকে। তারা উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগের লিখিত বক্তব্য জমা দেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ সপরিবারে বিদেশে রয়েছেন, এখনও দেশে ফেরেননি। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং স্ত্রী জিসান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ৯ জুন প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। তখন তারা সময় চান। পরে ২৩ ও ২৪ জুন হাজির হতে বলা হয়।

গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

বিষয়:

banner close