সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

বন্যার্তদের জন্য ১১০০ টন চাল ও নগদ ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ

বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০২৪ ১৮:৪৫

বন্যার্ত মানুষের জন্য এক হাজার একশ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫০ লাখ টাকা এবং ১২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

বরাদ্দকৃত চাল সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। সিলেটে সাংবাদিকদের এমনটা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিবুর রহমান এমপি।

জানা গেছে, বরাদ্দকৃত চালের মধ্যে পাঁচশ মেট্রিক টন করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের জন্য সমান হারে এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের জন্য একশ মেট্রিক টন। নগদ ৫০ লাখ টাকার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ২০ লাখ টাকা করে এবং সিলেট সিটির জন্য ১০ লাখ টাকা।

১২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের মধ্যে ৫ হাজার প্যাকেট করে দুই জেলার জন্য এবং সিটির জন্য দুই হাজার প্যাকেট রয়েছে। এ ছাড়া দুই জেলার জন্য গবাদিপশুর খাবারের জন্য ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা এবং শিশুদের খাদ্যের জন্যে ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে, সিটি করপোরেশনের জন্য শিশু ও গোখাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল জানান, সিলেট জেলার জন্য পাঁচশ মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ টাকা, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, গো-খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি।

আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বরাদ্দ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বন্যার্ত মানুষের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ, চাল, শুকনো খাবার, শিশু ও গো-খাদ্য পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, সিলেট সিটির জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব অর্থ ও খাবার নগরের বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ শুরু হয়েছে।

বিষয়:

সোফার ভেতরে ফেনসিডিল পাচার, গ্রেপ্তার ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিনব কায়দার ফার্নিচারের (সোফা সেট) ভেতরে ফেনসিডিল পাচারের সময় আল আমিন (৩৬) নামে এক মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। গতকাল রোববার (৩০ জুন) রাতে দিনাজপুর থেকে চার সেট সোফার ভেতরে ১৯৭ বোতল ফেনসিডিল লুকিয়ে পাচারের সময় বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও চারটি সোফ সেট জব্দ করা হয়।

সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত রোববার রাতে গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এক মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছিলেন। আল আমিন বিভিন্ন সময় সুকৌশলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল পরিবহন করে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদককারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।

তার নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


নকল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে ৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও বংশালে নকল কসমেটিকস, বৈদ্যুতিক তার, মোবাইলের ব্যাটারি, মবিল উৎপাদন করে মজুদ ও বিক্রি করার অভিযোগে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত রোববার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ জরিমানা করা হয়।

আজ সোমবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম.জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল কসমেটিকস, মোবাইলের ব্যাটারি এবং মবিল উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছে। পরে গত রোববার দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। আদালত ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার করেন।

আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। আদালতকে সহায়তা করে র‌্যাব-১০ ও বিএসটিআই এর প্রতিনিধি।

জরিমানা করা ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, জনসন বেবি লোসন নকল কারখানাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ময়ূর ডিটারজেন্ট পাউডারকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এম.সি.ভি. টেলিকমকে ৫০ হাজার টাকা, গ্লোরি জাফরান বিউটি সোপকে ২ লাখ টাকা, ফাইম ক্যাবলকে ২ লাখ টাকা, এ.আর. এন্টার প্রাইজকে ৫ লাখ টাকা ও সানসিল্ক, ডাব শ্যাম্পুর নকল টিউব তৈরির কারখানাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া, অভিযান শেষে আদালতের নির্দেশে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের নকল কসমেটিকস জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।


পদ্মা সেতুর যত্নে গঠিত হবে সরকারি কোম্পানি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই কোম্পানির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি পিএলসি’। যার মূলধন হবে ১ হাজার কোটি টাকা।

আজ সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কোম্পানিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়।

সচিব জানান, ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি পিএলসি’ এটি হবে শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল আদায়সহ সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেতু বিভাগ থেকে পদ্মা সেতু পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য এই কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন হবে ১০০০ কোটি টাকা। এতে একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে, যার সদস্য হবে ১৪ জন। বোর্ডে সেতু বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

তিনি বলেন, কোম্পানিটির গঠন, জনবল এগুলো পরে নির্ধারণ করা হবে। এই কোম্পানির কাজ হবে পদ্মা সেতু পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, টোল আদায় ইত্যাদি।

বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পরিচালনা করছে। পাঁচ বছরের জন্য তাদের ৬৯৩ কোটি টাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সেতু বিভাগের হয়ে টোল আদায়, সেতুর দুই প্রান্তে ওজন মাপার যন্ত্র বসানো, সেতুতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও আনুষঙ্গিক মেরামতের দায়িত্বে রয়েছে।

পদ্মা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কবে নাগাদ কোম্পানির অধীন যাবে—এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই চুক্তি শেষ হওয়ার পর এই কোম্পানি কাজ করবে।

২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। প‌রদিন থে‌কে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে সেতু কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হ‌চ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সেতু বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (‌বি‌বিএ) এই কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব দেয়। মেট্রোরেল পরিচালনায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) যেভাবে কাজ করছে, এই কোম্পানিও একইভাবে কাজ করবে।

বিষয়:

শ্রেণিকক্ষে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত হলে কিশোর গ্যাং কমবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

সারা দেশে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হলে কিশোর গ্যাংসহ সমাজে নানা অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন অপরাধমূলক ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবে এবং মনোজগতের উন্নততর বিকাশ ঘটবে। ফলে কিশোর গ্যাংসহ সমাজে নানা অপরাধ কমে আসবে।

আজ সোমবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সময় সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত উপস্থিতির ওপর নির্দিষ্ট নম্বর প্রদান, পরপর কয়েক দিন অনুপস্থিত থাকলে জরিমানাসহ বিদ্যালয় পরিত্যাগ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন-খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি নিয়মিত আয়োজন করা হয়।

একই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও বলেন, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তাদের অভিভাবকদের অবগত করা ও সময় সময় অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বছরের প্রথমে শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন-খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি নিয়মিত আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ’ উদযাপন এবং প্রাথমিক শিক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করা হয়। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থেকে শিখন-শিখানো কার্যক্রমে মনোযোগী ও ব্যস্ত থাকছে।

কিশোর গ্যাংসহ সমাজের অপরাধ নিবারণের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিপথগামী কিশোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা, উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বিপথগামী কিশোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে সকল স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সিসিটিভির আওতায় আনার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন্বয়ে কিশোর গ্যাংভিত্তিক অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

পরবর্তী জনশুমারি ২০৩১ সালে : আওয়ামী লীগের মাহমুদুল হক সায়েমের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সংসদকে জানিয়েছেন, আগামী ২০৩১ সালে পরবর্তী জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে। পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ এর ৬(গ) ধারা মোতাবেক আদমশুমারি শব্দের পরিবর্তে জনশুমারি করা হয়েছে। ২০২২ সালের ১৫ থেকে ২১ জুন দেশে সর্বশেষ জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী দেশে বর্তমান মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ জন, নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন ও হিজড়া ৮ হাজার ১২৪ জন। তিনি আরও জানান, পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ এবং সেন্সাস অর্ডার, ১৯৭২ অনুযায়ী শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। অতীতের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০৩১ সালে পরবর্তী জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে।


লিথুয়ানিয়া, গ্রিস ও মালাউইয়েতে ব্যবসা সম্প্রসারণে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত তিন দেশের রাষ্ট্রদূত পৃথকভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। আজ সোমবার বঙ্গভবনে তাদের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত তিন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হলেন ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্রের ডায়ানা মিকেভিসিয়েন, গ্রিসের অ্যালিকি কৌতসোমিটোপোলু এবং দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকান দেশ মালাউইয়ের লিওনার্ড মেনগেজি।

পরিচয়পত্র গ্রহণের পর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়।

বাংলাদেশ সবসময় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, রাষ্ট্রদূতরা ঢাকায় থাকাকালে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও লিথুয়ানিয়া, গ্রিস ও মালাউইয়ের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদলসহ বেসরকারি এবং সরকারি উভয় প্রতিনিধিদের উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূতদের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ওষুধ, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ইত্যাদিসহ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে থাকে। তাদের দেশের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানির বিষয়টি যেন বিবেচনা করতে পারে সে জন্য রাষ্ট্রদূতদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি এসব পণ্যের উদ্যোক্তাদেরও এই তিন দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।

বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও যাতে জিএসপি প্লাসসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা পেতে পারে সে জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

ওই বৈঠকে রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা ঢাকায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।

বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রদূতদের আগমনের পর রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের ‘অনার গার্ড’ প্রদান করে।


৯ দেশে নতুন কূটনৈতিক মিশন স্থাপনের কাজ চলছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে আমাদের ৮৪টি কূটনৈতিক মিশন আছে এবং নতুন করে আরও ৯টি দেশে মিশন স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলন। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে আমাদের ৮৪টি কূটনৈতিক মিশন আছে। এর মধ্যে ৮০টি মিশনের কার্যক্রম চালু আছে। এর মধ্যে ৪৭টি দূতাবাস, ১৪টি হাইকমিশন, ১২টি কনস্যুলেট, তিনটি স্থায়ী মিশন, চারটি উপ-হাইকমিশন এবং চারটি সহকারী হাইকমিশন।’

তিরি আরও বলেন, ‘নতুন করে নয়টি দেশে আমাদের কূটনৈতিক মিশন স্থাপনের কাজ চলছে। নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন, আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন, আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেস, নরওয়ের রাজধানী অসলো ও কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে নতুন করে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া চীনের গুয়াংজো, ব্রাজিলের সাওপাওলো, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট ও মালয়েশিয়ার জোহর বাহরুতে সাব-মিশন স্থাপন করা হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমানে সুদানের (খার্তুম) মিশনটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। সিয়েরা লিওন ও আফগানিস্তানের কাবুল মিশন দুটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে চালুর অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়া সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসি সেক্রেটারিয়াট (স্থায়ী মিশন) স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন ও মন্ত্রিসভার সদয় অনুমোদনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।’


সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ভারতীয় নৌপ্রধানের সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠি। আজ সোমবার (১ জুলাই) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়েছে, সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে পারস্পরিক কুশল বিনিময় করেন। এসময় ভারতীয় নৌবাহিনীপ্রধান সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ায় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে অভিনন্দন জানান।

এসময় তারা দুই দেশের বাহিনীর মধ্যকার বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠির (সস্ত্রীক) নেতৃত্বে চার সদস্যের ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা রয়েছেন। সফর শেষে দলটি আগামী ৫ জুলাই ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।


বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, রপ্তানি নীতিমালা অনুযায়ী পণ্যের কোয়ালিটিতে যাতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া না হয় তাও নিশ্চিত করতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যত্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। রপ্তানি নীতিমালা অনুযায়ী পণ্যের কোয়ালিটিতে যাতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।’

আজ সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন রপ্তারিনীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়ায়ও অনুমোদন পায়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফ করবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি জানান, বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তিন বছর পর যাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়। এখন প্রতি বছর রপ্তানি হয় ৭০ বিলিয়ন ডলারের মতো। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গেলে যেসব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে সেদিকে বিশেষ নজর দিয়ে রপ্তানি নীতিমালা করারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

এছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে সচেতনভাবে, স্বচ্ছতা-দক্ষতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করতে মন্ত্রিপরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত নির্দেশক পতাকা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার সতর্কবার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’


সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে ‍দুদকের অভিযান

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাদিক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম সাভারের যান। এরপর শুরু হয় অভিযান।

এই অভিযানে, সরকারি প্রতিষ্ঠান গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের দরপত্র জালিয়াতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদকের সদস্যরা। ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুরে সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করেছে সিটি করপোরেশন।

সাদিকে ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দেশের গরু আনার অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে ১৮টি আমেরিকান ব্রাহমা জাতের গরু জাল কাগজপত্র তৈরি করে দেশে আনেন তিনি। ব্রাহমা জাতের গরু বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ। দেশে মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পর সরকার ২০১৬ সালে ব্রাহমা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

আমদানি নিষিদ্ধ উন্নত জাতের ওই গরুগুলো বিমানবন্দরে জব্দের পর পাঠানো হয় সাভারের গো-প্রজনন কেন্দ্রে। সেখান থেকে পরে সেগুলো সাদিক অ্যাগ্রোতে নিয়ে যান ইমরান। কোন প্রক্রিয়ায় নিয়ে গেলেন তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান থেকে ব্রাহমা জাতের গরুগুলো সাদিক এগ্রোকে দেওয়া হয়েছে সেসবসহ অন্যান্য বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে দুদক।

করোনা মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা ব্রাহমা গরুগুলো বিমানবন্দরে ধরা পড়লে সেসময় গ্রহণ করতে কেউ যাননি। পরে জানা যায়, ওই গরুগুলোর আমদানিকারক সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড। তারা কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে শাহিওয়াল গরুর নাম দিয়ে ব্রাহমা আমদানি করেছিল। আর এটা করা হয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে।

বিষয়:

ভারতের সঙ্গে একপেশে কোনো চুক্তি হয়নি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দেশটির সঙ্গে একপেশে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। আজ সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কানেক্টিভিটির জন্য হাব হতে পারে বাংলাদেশ। শুধু যে প্রতিবেশি দেশ লাভবান হবে, এই চিন্তা বাদ দিতে হবে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতায় সবাই লাভবান হবে। দেশটির সঙ্গে একপেশে কোনো চুক্তি হয়নি, উভয় দেশ লাভবান হবে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে অসত্য ও ডাহা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে বিএনপি। কল্পিত কাহিনী বানিয়ে গোটা জাতিকে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি নেতারা। বিএনপি চিন্তায় নতজানু, সততার মানদণ্ডে নতজানু। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বিএনপি প্রশ্নই তোলেনি, তা নিয়ে এখন সমালোচনা করা মানায় না।’

তিনি বলেন, ‘স্থল সীমানা চুক্তি, সমুদ্রসীমা জয়, গঙ্গার পানি চুক্তিসহ অনেক অর্জন আছে বর্তমান সরকারের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণেই ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করে স্থল সীমানা চুক্তি করা হয়েছে। যার ফলে সাড়ে ১০ হাজার একর ভূমি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যুক্ত হয়েছে।’

ভারতের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতে ট্রেন যাবে না। ভারতের বুক চিড়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল, ভুটান যাবে। কিন্তু সেভাবে তো গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


ভালো চাকরি পাওয়াই কেবল উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হতে পারে না: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুলাই, ২০২৪ ২০:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘কেবল ভালো চাকরি পাওয়াই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হতে পারে না। বরং জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে পরিপূর্ণ মানবিক বিকাশ নিশ্চিত করা এবং যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করাই উচ্চশিক্ষার মূল লক্ষ্য।’

আজ সোমবার টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্পিকার।

বিভিন্ন গবেষণা থেকে উদ্ধৃত করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের দুই ধরনের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। সেগুলো হল- ট্রানসেকশনাল মডেল ও ট্রান্সফরমেশনাল মডেল।

তিনি বলেন, ‘যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উচ্চ শিক্ষায় ট্রান্সসেকশনাল মডেল গ্রহণ করে তাদের শ্রমবাজারের চাহিদা ও ট্রেন্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তার ভিত্তিতে কারিকুলাম প্রস্তুত করতে হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা প্রাসঙ্গিক বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে, যা তাদেরকে কর্মক্ষেত্রে সহজেই কাজ পেতে সহায়তা করে।’

তিনে আরও বলেন, ‘আর ট্রান্সফরমেশনাল মডেল শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন, সুনির্দিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, যা বাস্তব জীবনে প্রায়োগিক জ্ঞান এবং কর্মক্ষেত্রের জন্য যথাযথ স্কিল প্রয়োগ করতে শেখায়। এ রকম স্কিল ডেভেলপমেন্ট বেইজড এডুকেশন একজন শিক্ষার্থীকে শ্রম বাজারের চাহিদা অনুসারে সমাজে সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রস্তুত করে।’

বিশ্ব ব্যবস্থাপনা বুঝতে শিক্ষার্থীদের বিশেষজ্ঞান অর্জনের তাগিদ দিয়ে স্পিকার বলেন, ‘অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, যাই হোক না কেন, সহিষ্ণুতা ও পরমতের প্রতি শ্রদ্ধা সকল কিছুই রপ্ত করতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিশ্লেষণ বা বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতা এবং অন্তদর্শন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন ব্রিটিশ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের শাসনামলে নানা কিছু অতিক্রম করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগোতে হয়েছে। বিপর্যয়গুলো খুব কঠিন ছিল। ১৯৭১ সালে তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অবদানের কথা তুলে ধরে এই তিনি আরও বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান বিতরণ করেছে, জ্ঞান সৃষ্টি করেছে। এছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয় একটি বড় দায়িত্ব পালন করেছে, তা হল পূর্ববঙ্গের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে পথ দেখিয়েছে। এ অবদান ঐতিহাসিক। আমি মনে করি এমন অবদান বিশ্বে বিরল।’

উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের যুগে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধে গড়ে তোলা, সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের যুগের আলোকে তরুণদের যুগে গড়ে তুলতে হবে। আগে আমরা গ্লোবালাইজেশন বলতাম, এখন বলছি ইন্টারন্যাশনালাইজেশনের যুগ। ইন্টারন্যাশনাইজেশনের কারণে একজন শিক্ষার্থী শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে চাকরির সুযোগ পাবে। সেভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম তৈরি হবে।’

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন হতাশা এবং বিরক্তিবোধ তৈরি না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় আনন্দ পাবে যখন সেটা প্রায়োগিক জীবনে ব্যবহার করতে পারবে। বাস্তবজীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষা হলে তা হবে কল্যাণমুখী।’

অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

বিষয়:

সংবাদ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাইয়ের অনুরোধ এসবি প্রধানের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়। সেই প্রতিবাদ লিপির বিষয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- ‘আপনাদের কোনো অর্ডার করেনি’। যেকোনো সংবাদ প্রকাশ করার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ জানান তিনি।

আজ সোমবার (১ জুলাই) সকালে গুলশানে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে ‘হলি আর্টিজান’- এ জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মনিরুল ইসলাম। তিনি পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।

পুলিশ সদস্যের দুর্নীতির বিষয়ে সব সময় বলা হয় ‘ব্যক্তির দায় বাহিনী নেবে না’। কিন্তু পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন একটি প্রতিবাদ পাঠালো এবং এটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হলো।

এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসি যে ব্যক্তির দায় সংগঠনের বা বাহিনীর না। কিন্তু পাশাপাশি অতিরঞ্জিত এবং খণ্ডিত তথ্য থাকে। যেমন আমাদের এক কর্মকর্তার বিষয়ে বলা হয়েছিল তিনি সপরিবারে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। আসলে তিনি পালিয়ে যাননি। সে কারণে, প্রতিবাদের পাশাপাশি আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। প্রতিবাদ লিপিতে আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি। আপনাদের কোনো অর্ডার করিনি।

তিনি বলেন, শুধু পুলিশ নয়; যেকোনো নিউজ করার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ করেছি। এটি পেশাগতভাবে আসলে যে কেউ করতে পারে। অনুরোধ রাখা না রাখা আপনাদের বিষয়। শুধু অনুরোধ করেছি।

বিষয়:

banner close