রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২

রোহিঙ্গাদের জন্য ফের ইরানের খাদ্য সহায়তা

ফাইল ছবি
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২৪ ১৯:৩০

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ধারাবাহিক সহায়তার অংশ হিসেবে ইরানের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের ৪ নম্বর ক্যাম্পে সম্প্রতি এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনির দপ্তরের প্রতিনিধি ড. সাইয়্যেদ আলী যাদেহ মাহদি মুসাভি।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাস সংস্কৃতি কেন্দ্রের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য এই খাদ্য সহায়তা পাঠানো হয়।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি ইরানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের আগস্টে বৃহৎ আকারে সংকটে পড়ে। এরপর থেকেই এসব মানুষের প্রতি ইরানের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

বিষয়:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় লিভ টু আপিল শুনানি আগামী রোববার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল আগামী রোববার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আজ জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য আপিলটি ছিলো। কিন্তু এই মামলায় হাইকোর্টের অথর জাজ বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান আজ আপিল বিভাগের বেঞ্চে ছিলেন।

নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টে রায় দানকারী বিচারপতি একই মামলা আপিল বেঞ্চে শুনানি গ্রহণ করতে পারেন না।

এজন্য আগামী রোববার পুনর্গঠিত বেঞ্চে আপিলটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে। আদালত বিষয়টিতে আজ নট টুডে আদেশ দিয়েছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন। ওই গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সিআইডি এই মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দিলে শুরু হয় বিচার।

তবে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই মামলায় অধিকতর তদন্তে আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে।

দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আলোচিত মামলার রায় দেন।

আলোচিত ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজি’র সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহম্মেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জল, এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ।

বিচারিক আদালতের রায়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সে রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামীরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম মাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল ওরফে খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল ওরফে ইকবাল হোসেন, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও রাতুল আহমেদ ওরফে রাতুল বাবু।

এছাড়া, বিচারিক আদালতের রায়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহিদুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ডিজিএফআই-এর মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, ডিএমপি’র সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, আরেক সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডি’র সাবেক বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ ও সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই মামলার আরেকটি ধারায় খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

বিচারিক আদালতে এই রায়ের দেড় মাসের মাথায় ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্সসহ মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিল শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি চলছিল।

তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি হয়। শুনানি শেষে গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এই মামলার সব আসামীকে খালাস দিয়ে রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।


রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১৪:৫৪
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান শেষে ঢাকার উদ্দেশে রোম ছেড়েছেন ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে জানান, আজ রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ইতালির রোম ত্যাগ করেন।

গতকাল শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসও পোপের শেষকৃত্যে যোগ দেন।

এর আগে গত শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা কাতারের দোহা থেকে রোমে যান।


রোমে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ 

উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন গতকাল শনিবার রোমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর হোটেলে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন গতকাল শনিবার রোমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর হোটেলে সাক্ষাৎ করেন।

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেয়ার পর উভয়ের এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে উভয় নেতা পারস্পরিক আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বিশেষ করে বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং ল্যাটিন আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুবেটকিন উরুগুয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উভয় পক্ষের সমৃদ্ধির জন্য ঢাকা ও মার্কোসুর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস ও মন্ত্রী লুবেটকিন যুব বিনিয়োগ ও সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগ প্রসারের কৌশল নিয়েও আলোচনা করেন। তারা ‘তিন শূন্য’ তত্ত্ব—শূন্য বেকারত্ব, শূন্য সম্পদ মজুদ এবং শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ — অর্জনের একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের সংলাপ বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুবেটকিনকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, ভ্যাটিকানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আরিফুল ইসলাম এবং ইতালিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রাকিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।


পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার যোগদান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ শনিবার ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন।

গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করা পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আজ সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রিন্স উইলিয়ামসহ বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা এবং বিশিষ্টজন সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং বিশিষ্টজনদের মাঝে আসন গ্রহণ করেন।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, স্পেনের রাজা ফিলিপ ষষ্ঠ ও রানি লেতিজিয়া, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার, বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লা এবং প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ অন্যান্য ইউরোপীয় নেতা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত রয়েছেন।

ইতালির পুলিশ জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষ্যে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও এর আশপাশের রাস্তায় জমায়েত হয়েছেন।

পুলিশ আরও জানায়, ‘অনুষ্ঠান শুরুর এক ঘণ্টা আগে ৪০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সেন্ট পিটার্স স্কয়ার প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। ভ্যাটিকানের দিকে যাওয়া ভিয়া দেলা কনসিলিয়াজিওন সড়ক এবং আশপাশের রাস্তায় প্রায় ১ লাখ মানুষ আগেই উপস্থিত হন।’

প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাজের দারুণ ভক্ত ছিলেন এবং তাঁর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করতেন।

বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অধ্যাপক ইউনূসের কর্মযজ্ঞ এবং তাঁর ‘তিন শূন্য’ তত্ত্ব —যেখানে কোনো বেকারত্ব, দারিদ্র্য এবং কার্বন নিঃসরণ থাকবে না, এর প্রশংসা করতেন।

রোমের ভ্যাটিকানে তিনি ২০০৬ সালের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘তিন শূন্য উদ্যোগ’ও চালু করেছিলেন।


প্রেসক্লাবে ফিলিস্তিনসহ নিপীড়িত মুসলমানের পক্ষে সংহতি সমাবেশ

আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৭:৫০
ঢাবি প্রতিনিধি

ফিলিস্তিন, ভারত ও মিয়ানমারসহ বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মুসলমানের সমর্থনে সমাবেশ করেছে আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্যমঞ্চ।

আজ শনিবার বেলা ১২টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হলেও ভোর থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ।

দেশের বিভিন্ন খানকাভিত্তিক আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখগণ এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশের কারণে প্রেসক্লাবের আশেপাশের সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে সমাবেশের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রোগ্রাম শেষ করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সমাবেশের সংগঠক হাসান আজহারী বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাথে ফ্যাসিবাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা মাজলুমের পক্ষে কথা বলি। আমরা জালেমের বিপক্ষে রুখে দাঁড়াই। আমরা শাহজালাল, শাহপরান, ৩৬০ বার আউলিয়ার সূর্যসন্তান। আমরা মাজলুমের পক্ষে দাঁড়াতে গিয়ে যদি জান দিতে হয় তাহলে জান দিতে প্রস্তুত আছি।

আরেকজন সংগঠক মোস্তফা আজহারি বলেন, গাজাতে ইসরাইলি বাহিনী জুলুম ও বর্বরতা চালাচ্ছে। বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতি আমাদের আহবান, আসুন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। ইসরাইলকে বয়কট করে আমরা শান্তি স্থাপন করি। শুধু ইসরাইল নয়, ভারতের মুসলমানের উপর যে জুলুম ও অত্যাচার চলছে আমরা সেগুলোরও অবসান চাই।

তিনি বলেন, মায়ানমারে রাখাইন থেকে যে রোহিঙ্গা ভাই-বোনেরা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তারা তাদের অধিকার ফিরে পাক।

সমাবেশের শেষ ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। ঘোষণাপত্রে ছয়টি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো—
#জাতিসংঘের সরাসরি হস্তক্ষেপে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

#ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের যত কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে সকল কিছুর আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

#ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের সরাসরি হস্তক্ষেপে ইতোমধ্যে যত হত্যা হয়েছে সকল হত্যাকান্ড ও হামলার আন্তর্জাতিক আদালতে তদন্তপূর্বক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

#ইন্ডিয়ার লোকসভায় পাস হ‌ওয়া অসাংবিধানিক ও মুসলিমবিরোধী ওয়াকফ বিল লোকসভায় বাতিল ঘোষণা করতে হবে।

#৫ আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত মাজার, খানকায় ও দরবারে যত হামলা, অগ্নিসংযোগ হয়েছে সবগুলো ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

#সকল রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পতিত স্বৈরাচার কর্তৃক সংঘটিত সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় আয়োজকরা হাত তুলে ইসরায়েল ও ভারতসহ সকল প্রকার বৈশ্বিক ও দেশীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের লড়াই জারি রাখার অঙ্গিকার করেন।

এছাড়া, বাংলাদেশের মুসলমানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজ, সংস্কৃতি ও গোষ্ঠী স্বার্থে যে কোনো সময় যে কোনো মূল্যে ময়দানে নামতে প্রস্তুত থাকার কথাও জানানো হয়।

পরে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সংহতি সমাবেশ শেষ হয়।

আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চের সভাপতি ও মুসুরি খোলা দরবার শরীফের পীর শাহ্ হাসানুজ্জামান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।

এতে বক্তব্য দেন ইসলামি বক্তা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আরিফ, আয়োজক কমিটির উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক প্রমুখ।


যাতে মানুষ আর বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার না হন: আলী রীয়াজ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এমন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যাতে মানুষ আর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার না হন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ শনিবার সংসদ ভবনস্থ এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আলোচনার সূচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের আত্মত্যাগে আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের এই বীর শহীদদের কাছে ঋণ আছে। যে সুযোগ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে তৈরি হয়েছে, তা যেন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হয়।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করার কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বা কোনো নিপীড়নের শিকার না হন।’

‘রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে, তা কেবল সরকারের উদ্যোগ নয়, এটি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার ফল,’ বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের তাগিদ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এসেছে, ছাত্রসমাজের কাছ থেকে এসেছে এবং সর্বোপরি দেশের সকল স্তরের মানুষের কাছ থেকে এসেছে।

আলোচনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ হামিদুর রহমান আজাদ, রফিকুল ইসলাম খান, এহসান মাহবুব যোবায়ের, সাইফুল আলম খান মিলন, মতিউর রহমান আকন্দ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, শিশির মোহাম্মদ মনির ও সরকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।

ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ এ পর্যন্ত ১৭টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।


পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহরাজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মেহরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

গতকাল শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন নাকচ করে রিমান্ড দেন।

এর আগে গত বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা থেকে মেহরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ও দুজন দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে প্রাইম এশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পারভেজের বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনাটি পরে মীমাংসা করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় পারভেজকে ঘিরে ধরে ৩০ থেকে ৪০ জন। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২০ এপ্রিল পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন রোববার এক সাংবাদিক সম্মেলনে পারভেজকে নিজেদের কর্মী দাবি করে এ হত্যাকাণ্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানীর কয়েকজন নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ করে ছাত্রদল।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্রদলের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই ঘটনায় তাদের নেতারা জড়িত নন, ছাত্রদল মিথ্যাচার করছে।


আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন মিথ্যা : আইন মন্ত্রণালয়

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়া নামক অনলাইন পোর্টালে "জম্মু-কাশ্মীরে হামলার পর বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টার সঙ্গে শীর্ষ লস্কর-ই-তৈয়বা অপারেটিভের সাক্ষাৎ" শিরোনামে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিথ্যা, মানহানিকর ও অদায়িত্বপূর্ণ।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে জানান, গত ২৪ এপ্রিল নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়া নামক অনলাইন পোর্টালে "জম্মু-কাশ্মীরে হামলার পর বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টার সঙ্গে শীর্ষ লস্কর-ই-তৈয়বা অপারেটিভের সাক্ষাৎ" শিরোনামে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা, মানহানিকর ও অদায়িত্বপূর্ণ অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে। যা মিথ্যা, সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও বাস্তবতাবিবর্জিত।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে সাম্প্রতিক জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগ্রামে হত্যাকাণ্ডের পর লস্কর-ই তৈয়বা এর একজন শীর্ষস্থানীয় সদস্যের সাথে আইন উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হয়েছে। যা সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও বাস্তবতাবিবর্জিত।

মিথ্যা দাবি ও ভুল তথ্য সংশোধনে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'হেফাজতে-ইসলাম নেতাদের ভুলভাবে চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আইনের মধ্যে কাজ করা ইসলামিক স্কলার ও সংগঠনগুলোর একটি প্ল্যাটফর্ম। প্রতিবেদনে উল্লিখিত ব্যক্তিরা হেফাজতে ইসলামের নেতা, যারা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যুক্ত নন। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে হেফাজতে ইসলামের হাজারো সদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়। নতুন সরকারের ন্যায়বিচার ও আইনি সংস্কারের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে, আইন উপদেষ্টা ড. নজরুল তার দাপ্তরিক দায়িত্বে হেফাজতের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে তাদের ন্যায্য দাবি উপস্থাপনের জন্য বৈঠক করেন। এই বৈঠকটি নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়ার উল্লিখিত তারিখের কমপক্ষে তিন দিন আগে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে শুধুমাত্র আইনি বিষয়াবলি আলোচিত হয়। প্রতিনিধিদল আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে কিছু মামলার তালিকা জমা দেন এবং উপদেষ্টার সাথে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ছবি তোলার অনুরোধ করেন, যা এই ধরনের বৈঠকের রীতি।'

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'হেফাজতে ইসলামের নেতারা বাংলাদেশের ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা কমিশন (কনসেনসাস বিল্ডিং কমিশন) কর্তৃক শুরু করা রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণকারী নেতাদের মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি, পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সাথে এই গ্রুপের বৈঠকসমূহ তাদের বর্তমান রাজনৈতিক ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সংশ্লিষ্টতাকে প্রতিফলিত করে।'

হেফাজতে ইসলাম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি
বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, 'মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো স্বাধীন সংস্থাগুলো পূর্ববর্তী শাসনামলে হেফাজত সদস্যসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের নথি প্রকাশ করেছে এবং এর নিন্দা জানিয়েছে। এসব প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনা মামলার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত তুলে ধরা হয়েছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা হয়েছে।'

সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম সম্পর্কে ভুল উপস্থাপনা বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, 'প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, আইন উপদেষ্টা ফেসবুকে ভারতীয় নেতাদের পেহেলগ্রাম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত করার উদ্দেশ্যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন। বাস্তবে, উক্ত পোস্টটি একজন ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা নিয়ে লেখা হয়েছিল। উপদেষ্টা হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি ক্যাপশনসহ এটি শেয়ার করেছিলেন। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে তিনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পোস্টটি মুছে ফেলেন। '

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আইন উপদেষ্টা পেহেলগ্রামের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও হামলার দ্রুত বিচার কামনা করেন। নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়ার এই অসতর্ক ও অপ্রমাণিত প্রতিবেদন সাংবাদিকতার নীতিমালা ও সত্যনিষ্ঠতা থেকে বিপজ্জনক বিচ্যুতি। আমরা সকল মিডিয়াকে দায়িত্বশীল প্রতিবেদন ও প্রকাশনার আগে সত্যতা যাচাইয়ের আহ্বান জানাই।'


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াত

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াতে ইসলামীর ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:৫৫
unb

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জামায়াতের প্রতিনিধি দল আলোচনায় যোগ দেয়।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা শুরু হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত রাষ্ট্রীয় সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য তৈরির জন্য চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে ঐক্যমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করে।

কমিশন এরই মধ্যে বিএনপি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ ১৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে।

এখন পর্যন্ত ৩৪টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে।

কমিশন মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করবে। একই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু

করার কথা এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।


রোমে বাংলাদেশ হাউস পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার রোমে অবস্থিত (বাংলাদেশ দূতাবাস) বাংলাদেশ হাউস পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় তিনি সেখানে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য জানান।

রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে অধ্যাপক ইউনূস বর্তমানে ইতালিতে অবস্থান করছেন।

আজ শনিবার ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।


ঈদ বোনাস বাড়ল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী ঈদুল আজহা থেকে ৫০ শতাংশ বোনাস পাবেন বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। গতকাল শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা জানান, ‘বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন।এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল আজহার বোনাস ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি’র সভায় আলোচনা হয়। তখন এই বোনাস বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সরকারের বাড়তি ব্যয় হবে ২২৯ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮ জন।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের যে অংশ সরকার দিয়ে থাকে সেটিই এমপিও। এই স্কিমের আওতায় সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মূল বেতনের ১০০ শতাংশ এবং বেশ কয়েকটি মাসিক ভাতা দেয়। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফলও এমপিওর আওতাভুক্ত বলে বিবেচিত হয়।

গত বছরের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এমপিওভুক্ত এ শিক্ষক-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় চাকরি জাতীয়করণসহ বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। ১৫ এপ্রিল অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটির সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

তবে এ জন্য নতুন করে ২২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ না দিয়ে চলতি অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের অর্থ থেকে ২২৯ কোটি টাকা সংকুলানের নির্দেশনা দেয় অর্থ বিভাগ।

এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ থেকে অব্যয়িত ২২৯ কোটি সংস্থান করে উৎসব ভাতা হিসেবে দিতে চূড়ান্তভাবে অর্থ বিভাগের সম্মতি চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদারকে চিঠি দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।

চিঠিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আগামী ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা মূল বেতনের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অর্থ সচিবকে অনুরোধ করেছেন সিদ্দিক জোবায়ের।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অনুকূলে নতুন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে নতুন করে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা না থাকায় এ টাকা অব্যয়িত থেকে যাবে, যা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়তি বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যয় করা যাবে।

এছাড়া এমপিওভুক্ত অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সরকারিকরণ হয়ে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন রাজস্ব খাত থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। ফলে চলতি অর্থবছরের বাজেটে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষকদের বেতন-ভাতা খাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেখানে ১৭৯ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এ অর্থ আগামী ঈদুল আজহায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বোনাস দ্বিগুণ করার ক্ষেত্রে ব্যয় করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।


পোপকে শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানাতে আজ শুক্রবার ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় যান। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে প্রয়াত পোপের মরদেহ এখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাজের দারুণ ভক্ত ছিলেন এবং তাঁর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করতেন।

বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অধ্যাপক ইউনূসের কর্মযজ্ঞ এবং তাঁর ‘তিন শূন্য’ দৃষ্টিভঙ্গি
—যেখানে কোনো বেকারত্ব, দারিদ্র্য এবং কার্বন নিঃসরণ থাকবে না, এর প্রশংসা করতেন।

রোমের ভ্যাটিকানে তিনি ২০০৬ সালের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘তিন শূন্য উদ্যোগ’ও চালু করেছিলেন।


প্রধান উপদেষ্টা রোমে পৌঁছেছেন

রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতালির রোমে পৌঁছেছেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতালির রোমে পৌঁছেছেন।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি রোমে পৌঁছায়। সেখানে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আগামীকাল শনিবার ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

অধ্যাপক ইউনূস আজ দোহা থেকে সরাসরি রোমে যান। তিনি চারদিনের সরকারি সফরে কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করছিলেন।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ছিল। বন্ধুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তিনি পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে যাচ্ছেন।

পোপ ফ্রান্সিস গত সোমবার মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি ১২ বছর রোমান ক্যাথলিক গির্জার সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব পালন করেন।


banner close