বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১

ধান-চালের গুণগতমান নিয়ে আপস নয়: খাদ্যমন্ত্রী

মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃগীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৭ মে, ২০২৪ ১৪:২৮

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ধান ও চালের গুণগতমানে কোনো আপস করা হবে না। হাওরের ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। তা শুকিয়ে ঘরে তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওরকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক যাতে হয়রানি না হন, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাহলে সেই ধান শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এজন্য কৃষি দপ্তরের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তারা আর্দ্রতার যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন। আর গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেদিকে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই ল্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হয়, এজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিষয়:

হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ৪ দিনের রিমান্ডে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আব্দুল জব্বার নামের এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত তার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তুরিন আফরোজকে আদালতে আনা হলেও দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তাকে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে তুরিন আফরোজ নিজেই আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলতেন তুরিন আফরোজ। সুপ্রিম কোর্টের যে কয়েকজন আইনজীবী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সহযোগিতা করেছেন, তাদের অন্যতম তুরিন আফরোজ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে তাকে নিয়োগ দেন হাসিনা।
এর আগে, গত সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার পশ্চিম থানা এলাকার বাসা থেকে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আ. জব্বার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর বিএনএস সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। গত ২৭ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৩০ নম্বর আসামি তুরিন আফরোজ।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে গঠন করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেয় প্রসিকিউটর ছিলেন আইনজীবী তুহিন আফরোজ। জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযমের মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মামলা পরিচালনায় তিনি ভূমিকা রাখেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।


রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ

পুলিশ কনস্টেবল মো. রিয়াদ হোসেন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব পালন করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। লাঠিপেটা না করে বরং লাঠিপেটার ভান করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দেখা যায় সেই কনস্টেবলকে।

পুলিশ সদস্যের কাজের ধরন দেখে তার প্রশংসা করে ভিডিওটি শেয়ার করেন নেটিজেনরা। সেই পুলিশ কনস্টেবলের নাম মো. রিয়াদ হোসেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।

এবার পুলিশে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম’ পদক পাচ্ছেন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেন। আন্দোলন দমনে বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশল প্রয়োগ করায় রিয়াদকে এই পদক দেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশে গত ২৭ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌফিক আহমেদ এতে সই করেন, যা গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে নাগরিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিনব বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশলের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সদস্য রিয়াদ হোসেনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’ প্রদান করা হলো। প্রজ্ঞাপনের তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।

অতীতে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম পদক পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের পরিয়ে দেওয়া হতো। রিয়াদের বেলায় এবার তা ভিন্নভাবে দেওয়া হচ্ছে।


বিজিবির অভিযানে ১৫২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত মার্চ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫২ কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৭ কেজি ৯৫৮ গ্রাম স্বর্ণ, ৭৮০ গ্রাম রুপা, ২৫ হাজার ১৭৩টি শাড়ী, ১০ হাজার ৭০১টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২২ হাজার ২৮০টি তৈরী পোশাক, ৩৩ হাজার ৮৮৯ মিটার থান কাপড়, ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৭টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১ হাজার ৭৬২টি ইমিটেশন গহনা, ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ১৯৬টি আতশবাজি, ৬ হাজার ৯২৯ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ২৩৬ কেজি চা পাতা, ২৫ হাজার ৬৫৬ কেজি সুপারি, ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৪ কেজি চিনি, ১০ হাজার ৬৯০ কেজি সার, ৯৭ লিটার অকটেন, ২৫ হাজার ৯০০ কেজি কয়লা, ২১২ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৫২২টি মোবাইল, ৭৪৯টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৮৬ হাজার ৭৮১টি চশমা, ১২ হাজার ৭৩১ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৩ হাজার ৬৪১ কেজি ভোজ্য তেল, ৯৫১ কেজি পিঁয়াজ ও রসুন, ১৭ হাজার ২৩৫ কেজি জিরা, ৬ হাজার ৩২৫ কেজি কিসমিস, ১ লাখ ৩ হাজার ৯৫৩ পিস চকোলেট, ৪টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১০টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ৭টি পিকআপ, ২টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৪টি ট্রলি, ১৭টি নৌকা, ২০টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৬২টি মোটরসাইকেল এবং ৩৫টি বাইসাইকেল।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩টি ওয়ান শুটারগান, ৪৬ রাউন্ড গুলি, ৩৩ হাজার ১০০ রাউন্ড সীসার গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৭ লাখ ৪৭ হাজার ১৬১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি ৫৮৫ গ্রাম হেরোইন, ৪ কেজি ১০৫ গ্রাম কোকেন, ১৬ হাজার ২৪২ বোতল ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৩৭৭ বোতল বিদেশী মদ, ৪৪ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ২৩৫ বোতল/ ক্যান বিয়ার, ২ হাজার ৬১১ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৯ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৪টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৫ হাজার ৩৪০ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৫৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ট্যাবলেট, ১২ বোতল এলএসডি এবং ৮৪ হাজার ২০০ এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট।
অপারদিকে, সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৪ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩৩৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ৬৪৭ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


নাসার সঙ্গে আর্টেমিস চুক্তি স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন নাসার সাথে 'আর্টেমিস চুক্তি' স্বাক্ষর করেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ এখন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’-এর ৫৪তম স্বাক্ষরকারী দেশ; যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ও অসামরিক মহাকাশ অনুসন্ধানকে উৎসাহিত করার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।
২০২০ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত আর্টেমিস অ্যাকর্ডস চুক্তিগুলো হলো একটি অ-বান্ধনযোগ্য বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার একটি সিরিজ; যার লক্ষ্য হলো মহাকাশ অনুসন্ধানে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও টেকসই সহযোগিতা।
আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণা, মহাকাশ ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং মহাকাশ সম্পদের দায়িত্বশীল ব্যবহারে নিজেকে সম্পৃক্ত করল; যা দেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
চৌধুরী আশিক বলেন, ‘এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে পারবে।’
প্রতিরক্ষা সচিব আশরাফ উদ্দিন বলেন, আর্টেমিস অ্যাকর্ডস মূলত আউটার স্পেস ট্রিটি রেজিস্ট্রেশন কনভেনশন এবং অ্যাস্ট্রোনট রেসকিউ এগ্রিমেন্টের নীতিগুলো অনুসরণ করে তৈরি একটি নির্দেশিকা; যা মহাকাশের শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও টেকসই ব্যবহারে সহায়ক।
তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ স্পারসো গঠন করে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করতে কাজ শুরু করে এবং তখন থেকেই আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো মহাকাশে স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেয়।
২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত আর্টেমিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া ও বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ, লাতিন আমেরিকানসহ ৫৩টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে যুক্ত হয়ে একটি সম্মানজনক আন্তর্জাতিক মহাকাশ জোটের অংশ হলো।
আশরাফ উদ্দিন বলেন, এই চুক্তি প্রযুক্তি স্থানান্তর, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার নতুন দরজা খুলে দেবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে নাসা ও স্পারসোর মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে এবং বাংলাদেশের মহাকাশ কার্যক্রম জোরদার হবে।
তিনি যোগ করেন, নাসা ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করলে বাংলাদেশ উন্নত স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রবেশাধিকার পাবে, যা বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রোগ্রাম ও ভবিষ্যৎ মহাকাশ উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের স্পারসোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ও জলবায়ু মনিটরিং স্যাটেলাইট তৈরি করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে পারে; যা বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে; আর শিক্ষার্থীরা নাসার প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম; বৃত্তি ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের মহাপরিচালক ও চিফ অব প্রোটোকল এএফএম জাহিদ-উল-ইসলাম এবং বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন সংস্থার (স্পারসো) চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ইসলাম।


নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া তৈরি প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না: ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব ন্যূনতম রাখাসহ সব প্রার্থী যেন সমানভাবে প্রচার চালাতে পারেন, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।

সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনসহ নির্বাচনের ছয়টি বিষয় নিয়ে গঠিত কমিটি গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে একটি সভা করে। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বর্তমানে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা আছে। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন এটি সংশোধন করে নতুন আচরণবিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই বিধিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

দলগুলোর মতামত ছাড়াই আচরণবিধিমালার খসড়া চূড়ান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমরা পরবর্তী সময়ে সব স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) সঙ্গে বসব। তখনকার অবস্থাই বলবে কী করতে হবে।’

এ সময় খসড়া আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবটা অনেকটা এরকম। আমরা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি।’

আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আচরণবিধির খসড়া আমাদের প্রায় চূড়ান্ত। এ নিয়ে গতকাল সোমবার একটা সভা হয়েছে। আগেও আমরা একটি সভা করেছিলাম। খসড়াটি চূড়ান্ত করে আমরা কমিশনে প্লেস করব, কমিশন অনুমোদন দিলে প্রকাশ হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের বিধি নিয়ে যে প্রস্তাবগুলো রয়েছে, যেমন-স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ নতুন কিছু বিষয় আমরা ইনকরপোরেটে করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটি একটি চমৎকার আচরণবিধিমালা হবে।’

খসড়া আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের অলমোস্ট সবগুলোই আমরা আচরণবিধির খসড়ায় ইনকরপোরেটে করেছি।’

আচরণবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে কি না- সে প্রশ্নও করা হয় আনোয়ারুল ইসলামকে। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভালো প্রশ্ন। আমরা পরবর্তীতে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে এ নিয়ে বসব। অবস্থাই (পরিস্থিতিই) আমাদের বলবে কী করতে হবে।’

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের তো প্ল্যান আছে কবে কী করব। এই যে আমরা মিটিং করছি। এটাও প্ল্যানিংয়ের অংশ।’

সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি জানান, ‘সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের যে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ে তা পাঠিয়েছিলাম। ঈদের আগে কেবিনেটে এ নিয়ে মিটিং হয়েছে। এখনো আমরা অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলে আমরা ডিলিমিটেশনের কাজটা করতে পারব। অনুমোদন না হলে বিদ্যমান আসন বিন্যাসের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

যা যা থাকছে আচরণবিধিতে : বিষয়টি নিয়ে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব ন্যূনতম রাখা, নির্বাচনী শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, গ্রামীণ পর্যায় পর্যন্ত প্রার্থীদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখা, নিরবিচ্ছিন্নভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (তৈরি), যেন সব প্রার্থী সমভাবে প্রচারণা করতে পারেন, সে ধরনের অ্যাটিচ্যুড নিয়ে আমরা আচরণবিধির খসড়া নিয়ে কাজ করছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টিও নির্বাচনী আচরণবিধিতে আছে বলে উল্লেখ করেন আনোয়ারুল ইসলাম। বলেন, ‘নির্বাচনের সময় গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই প্রস্তাব করেছি।’

নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নামের একটি দল সম্প্রতি আদালতে রিট করেছেন। তাদের ক্ষেত্রে স্টে অর্ডারটি কোর্ট থেকে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দলের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না। নতুন দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।’

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এ পর্যন্ত একটি দল আবেদন করেছে৷ আরও কয়েকটি দল প্রস্তুতি নিচ্ছে আবেদন করার জন্য।’


প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে এ নিয়ে পরামর্শ গ্রহণে কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মশালা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বিশেষজ্ঞ দলটির সঙ্গে ইসির কর্মশালা উদ্বোধন করেন সিইসি। বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার জন্য যে পদ্ধতিই গ্রহণ করা হোক, প্রথমে একটি পাইলট প্রকল্প আকারে ছোট পরিসরে সেটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। প্রকল্প কার্যকর হলে পরবর্তীতে বড় পরিসরে বাস্তবায়ন করা হবে।’
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) দিনব্যাপি এ আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বুয়েট, এমআইএসটিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ ও কমিশন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৮০ জন অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়াও আয়োজনে যোগ দিয়েছেন চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব।
অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আশা করছি, আজকের কর্মশালার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের থেকে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারণ করা যাবে।’
বিশেষজ্ঞরা যে পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের পরামর্শ দেবেন সে অনুযায়ীই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান নাসির উদ্দিন। সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, ভোটারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রবাসীদের অবস্থা বিবেচনা করে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের মতো নির্বাচন কমিশনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন,‘অনেক প্রবাসীই ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাদের ভোটাধিকারের সুযোগ তৈরি করে দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে কাজটি খুব একটা সহজ নয়।’
বর্তমানে ইসি পোস্টাল ভোটিং, অনলাইন ভোটিং, প্রক্সি ভোটিং এই তিন পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে। তবে পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিং পদ্ধতি বাংলাদেশে তেমন কার্যকর হবে না বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। সার্বিক বিবেচনায় প্রক্সি ভোট পদ্ধতিই বাংলাদেশে বেশি কার্যকর বলে মত দেন তিনি।
প্রক্সি ভোট বা ছায়া ভোট হলো, নির্বাচনের সময়ে প্রবাসী কোনো ভোটার তার ভোটদানের ক্ষমতা আরেকজনের কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন। সেই মনোনীত ব্যক্তিই প্রবাসীর হয়ে ভোট দেবেন।


বিচার বিভাগের সংস্কার ছাড়া কোনো সেক্টরের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না: প্রধান বিচারপতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সেক্টরের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

গতকাল সোমবার সকালে দিনাজপুরের হিলিতে হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে তার দাদা-দাদির নামে প্রতিষ্ঠিত সৈয়দ জাফর আহমেদ ও তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ডের অর্থায়নে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরে আমি বিচার বিভাগের দায়িত্ব পাই। দায়িত্ব গ্রহণের খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত ও সাংবিধানিক সংস্কারের নীলনকশা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম। সেটার প্রাপ্তি অনেকটা হয়েছে। এরপরে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে আমাদের। সংস্কারের এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে আমার সফর শুরু করেছি। আমি সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম বরিশাল থেকে যাত্রা শুরু করেছি এবং বর্তমানে রংপুর বিভাগে আছি। তাই বলতে চাই বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সেক্টরের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না।

তিনি তার বাবা মরহুম ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ বিভাজনের আগে ভারতের হিলি রামনাথ স্কুলে আমি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করি। আমি দেখেছি সেখানে আমার দাদা সৈয়দ জাফর আহমেদ ও আমার বড় চাচার নামে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করা হয়েছে। আমি সেই থেকে দেখে আসছি দুই হিলির মধ্যে আমাদের আত্মার একটা মিল রয়েছে। সেই সুবাদে হিলিতে আমি আগেও এসেছি এবং বহুদিন পরে আজ আবারও এসেছি।

জানা গেছে, ২০০৫ সালে হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রধান বিচারপতির বাবা মরহুম ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ তার মা তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ড চালু করেন। পরে বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০১৬ সালে এই হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে এসে তার দাদার নামে সৈয়দ জাফর আহমেদ মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ড চালু করেন। এরপর থেকেই এই ফান্ডের লভ্যাংশ থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরীফুল আলম ভূঁঞা, স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবীর, দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফত হুসাইন, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়, হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন মিয়া, হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ফেরদৌস রহমান, কলেজের অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ আজাদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হবে: গভর্নর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তিনি বলেন, ‘বিশেষ এই তহবিলের অর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে এবং শুধু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে মূলধন জোগান দেওয়া হবে। এই বিষয়ে শিগগিরই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

গতকাল সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’-এর স্টার্টআপ কানেক্ট সেশনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর যৌথ আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরছে। সেশনে দেশি-বিদেশি তরুণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোক্তারা অংশ নেন।

মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা তুলে ধরেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বাধীন পরিচালক তানভীর আলী। প্রবন্ধে বলা হয়, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে উদ্ভাবনী স্টার্টআপ উদ্যোগের চাহিদা বাড়ছে। তবে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় দেশে এখনো এই খাতে বিনিয়োগ কম।

প্যানেল আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং আইসিটি সচিব ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শীশ হায়দার চৌধুরী।

আলোচনা পর্বটি পরিচালনা করেন শেয়ার ট্রিপের সিইও সাদিয়া হক।

গভর্নর মানসুর তার বক্তৃতায় বাংলাদেশে স্টার্টআপ খাতের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিকাশের উদাহরণ দেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে ভবিষ্যতে বিকাশের মতো অন্তত ১০টি ইউনিকর্ন দেখতে চাই।’

শীষ হায়দার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘ফান্ড অফ ফান্ডস’ গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন উৎস থেকে বিনিয়োগ একত্রিত করা হবে। এই তহবিলটি প্রারম্ভিক ও প্রবৃদ্ধি পর্যায়ের স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা প্রদান করবে। যাতে তারা সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিকীকরণ এবং টেকসই হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘স্টার্টআপ কানেক্ট ২০২৫’ বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাবান্ধব হাবে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।

এ সময় চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স পাওয়াসহ সরকারি লাল-ফিতার দৌরাত্ম্য বেশি। প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।

তিনি আরও বলেন, ৪০ দেশের ৫ শতাধিক বিদেশি বিনিয়োগকারী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এসব বিনিয়োগকারীকে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরিয়ে দেখানো হবে।

বাংলাদেশে উদ্ভাবনী উদ্যোক্তার অভাব নেই বলে মন্তব্য করেন বিডার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, স্টার্টআপ তহবিলের সংকটে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। এ কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে।


ঈদযাত্রায় সড়কে নিহত ২৪৯, আহত দুই সহস্রাধিক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন ২২ জন করে নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এতে বলা হয়, এবারের ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১১ দিনে (২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল) দেশে ২৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত হয়েছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আহত হয়েছেন ৫৫৩ জন। কিন্তু বাস্তবে আহতের সংখ্যা ২ হাজারে বেশি।
‘শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই ঈদের ২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৭১ জন, যার অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত। এই বাস্তবতায় সারা দেশে আহত মানুষের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি হবে। নিহতের মধ্যে নারী ৪১, শিশু ৫৯।’
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ১১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২.৫৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪.৩৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৩৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৫.৬৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৩২ জন, অর্থাৎ ১২.৮৫ শতাংশ।
‘এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৫ আহত হয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছেন।’
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৬ জন (৪২.৫৭ শতাংশ), বাস যাত্রী ১৪ জন (৫.৬২ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৯ জন (৩.৬১ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ১৮ জন (৭.২২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৪৯ জন (১৯.৬৭ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-আলগামন) ১০ জন (৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৪ জন (১.৬০ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮৭টি (৩৩.৮৫ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ৯৮টি (৩৮.১৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৪৩টি (১৬.৭৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ২৯টি (১১.২৮ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৬৮টি (২৬.৪৫ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১১৩টি (৪৩.৯৬ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৪১টি (১৫.৯৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ২৪টি (৯.৩৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১টি (৪.২৮ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।


ফিলিস্তিনের ইস্যুতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেটেড ৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১৯:০৩
প্রতিনিধি, ঢাবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের ডাকা জেনারেল স্ট্রাইক এর সমর্থনে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠনের ব্যানারে একের পর এক মিছিল আসায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন।

এসময় তারা 'ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন' সহ নানা স্লোগানে উত্তাল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্য এলাকা।

সোমবার বেলা ১১টা থেকেই বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকেন।

বিক্ষোভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, ঢাকা নার্সিং কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।

এসব বিক্ষোভ থেকে ফিলিস্তিনের মুক্তি ও ইসরাইলের ধ্বংস কামনার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পাশে সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হোসাইন বলেন, আমাদের আজ থেকে সকল হল এবং ক্যাম্পাসগুলোর দোকান থেকে ইসরালি পণ্য সরিয়ে ফেলতে হবে। নিজ নিজ ক্যাম্পাসে যদি আমরা ইসরাইলি পন্য বয়কট করতে পারি তাহলে এটি ইসরায়েলেরর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে ক্ষুদ্র প্রতিবাদ হবে।

মতিঝিল স্কুলের শিক্ষার্থী তাহমিদ ফাইয়াজ বলেন,
ইসরাইলের আঘাতে ফিলিস্তিনের মুসলিম ভাইবোনেরা মারা যাচ্ছেন। অথচ মুসলিম বিশ্বের শাসকরা নির্বিকার। তারা কোন প্রতিবাদ করছে না। বরং এই ইসরায়েলের সাথেই লিয়াজো করে চলছে। আমরা এসব রাষ্ট্রের প্রতিও ঘৃণা জানাই।

এসময় তিনি সকল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হুজাইফা মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনের গাজাকে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। সেখানে বোমার সাথে মানুষ উড়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনের কোন অস্তিত্ব সেখানে রাখা হচ্ছে না। নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। সেখানে মানবতা ও মানবাধিকার বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। আমরা অতি দ্রুত ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে সকল মুসলিম বিশ্বের শাসকদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানাই।

বিক্ষোভ মিছিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’; ‘ইসরাইলের বন্ধুরা হুশিয়ার সাবধান’; বয়কট বয়কট, ইসরাইল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ আল জিহাদ’; নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’- ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

এছাড়া অনেকেই ফিলিস্তিনের বিশাল পতাকা নিয়ে এটি নিয়ে মিছিলও করেছেন। বাংলাদেশের পতাকার সাথে অনেকেই ফিলিস্তিনের পতাকাও উড়িয়েছেন। আবার অনেকে নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন।


রহস্যজনক আগুনে পুড়ছে বনাঞ্চল হুমকিতে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. আফসার খাঁন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কয়েক দিন পরপর জ্বলে ওঠে রহস্যজনক আগুন। গত শনিবার দুপুরেও দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়েছে বনাঞ্চল। এতে বনভূমি ধ্বংসের পাশাপাশি মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। আগুন আতঙ্কে থাকেন আশপাশের মানুষজন। স্থানীয়দের অভিযোগ- শালবন ধ্বংস করে সেখানে বনের প্লট তৈরির লক্ষ্যে এভাবে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা।

এলাকাবাসী ও বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ও কাচিঘাটা রেঞ্জের আওতায় হাজার হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি আছে। এসব বনভূমির বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠলেও বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে বনাঞ্চল। আর প্রতি বছরের এই মৌসুমে কয়েক দিন পরপর বিভিন্ন এলাকায় বনাঞ্চলে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। আর দুর্বৃত্তের দেওয়া ওই আগুন আশপাশের ঘরবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে থাকেন সেখানকার বসবাসরত মানুষজন। গত শনিবার দুপুরেও উপজেলার চন্দ্রা রেঞ্জের বোয়ালি বিট অফিসের আওতাধীন পাঠাতা মৌজায় বারবাড়িয়া এলাকায় বনাঞ্চলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে স্থানীয় বনবিভাগের লোকজন সেখানে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আগুন নেভাতে পারেনি। অথচ আগুন লাগলে বন রক্ষায় কেন তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় না এমন প্রশ্ন ছুড়েন এলাকাবাসী? ফলে বেশিক্ষণ আগুন জ্বলে ওই এলাকায় ২-৩ একর বনাঞ্চল পুড়ে গেছে। এতে বনভূমি ধ্বংসের পাশাপাশি মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। আগুনে পুড়ে বন্যপ্রাণী, কীটপ্রতঙ্গ কিংবা বিরল প্রজাতির বিভিন্ন গাছপালাও ধ্বংস হচ্ছে। তবে এসব বিষয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে অচিরেই বনাঞ্চল ধ্বংস হবে বলেও মন্তব্য করেছেন নানা মহলের মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় কখনো বনবিভাগের কার্যালয়ের সামান্য দূরে, কখনো সড়কের পাশে, আবার কখনো গভীর বনে কয়েক দিন পরপর আগুনে পুড়ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। দুর্বৃত্তরা আগুন জ্বালিয়ে দিলেও অনেক সময় জানেন না বলেও জানান তারা, বিষয়টি রহস্যজনক। আসলে বনকর্মীদের উদ্দেশ্য প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ধ্বংস করা। এরপর পতিত বনভূমিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর আকাশমনি প্লট বরাদ্দের নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এ কারণেই আগুন নিভিয়ে বনাঞ্চল রক্ষার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এ ছাড়া একই লক্ষ্যে এই অসময়েও ওই বোয়ালি বিট অফিসের আওতাধীন নিশ্চিন্তপুর এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে বন কেটে পরিষ্কার করাচ্ছেন তারা। প্রকাশ্যে বনের গাছও কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের নামে মামলা করাসহ নানা ধরনের হুমকিও দেন বনবিভাগের লোকজন। তাই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।

এ ব্যাপারে বোয়ালি বিট কর্মকর্তা আবু ইউনুছ জানান, বারবাড়িয়া আগুনের খবর পেয়ে আমরা নেভানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের সামান্য জনবল দিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব হয় না। এর আগের কয়েকটি স্থানে বনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় জিডি করা আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে পুড়ে ছাই সার হয়ে জমিতে নামবে এমন লক্ষ্যে পাশের জমিওয়ালা আগুন দিতে পারেন। তবে প্লট বরাদ্দের জন্য এমন আগুনের ঘটনা অস্বীকার করেন তিনি।


মাতৃ-শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও আলোচিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে দাঁড় করাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আজ সোমবার বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এ জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’-এর মাধ্যমে অর্জিত সাফল্যকে টেকসই করতে বিশ্বনেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য যেসব টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন, তার অন্যতম হলো সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য রক্ষার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু-স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য খাতে নানাবিধ সাফল্য অর্জন করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

বাণীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৭ এপ্রিল বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং যথাযথ ও সময়োচিত হয়েছে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা।


ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

অতিদ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই একদল শিক্ষার্থী।

গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা তার নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহম্মদ স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, অভ্যুত্থানের প্রায় আট মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের প্রাণের দাবী ডাকসু নির্বাচনের কোন রূপরেখা আমরা আজও পাইনি। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের ভয়াবহ গড়িমসি আমরা লক্ষ্য করছি।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা গত আগস্টে শুনেছিলাম ৩/৪ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করা হবে অথচ ৮ মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এখনো ডাকসু নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপই আমরা পাইনি। যেখানে রাবি এবং জাবিতে ইতোমধ্যেই তাদের ছাত্রসংসদ নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করেছে।

ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের এই স্বাধীনতাকে চিরস্থায়ী করতে, পতিত স্বৈরাচারের উত্থান রুখে দিতে এবং নব্য স্বৈরাচার প্রতিরোধ করতে, দেশের মানুষের গণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে, স্থায়ীভাবে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সম্মত ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করতে, লেজুরবৃত্তিক ভয়াবহ দলীয় ছাত্র রাজনীতির কড়াল গ্রাস থেকে ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখতে ও সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করতে ডাকসুর বিকল্প নেই।

ডাকসু নির্বাচন দিতে গড়িমসি করলে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কখনো স্মারকলিপি, কখনো বিক্ষোভ মিছিল কিংবা কখনো প্রশাসনের সাথে সাক্ষাৎ করে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি করেছিলাম।

‘প্রশাসনের নিকট আমাদের আশা, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির চর্চাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে কালবিলম্ব না করে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা করবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি আমাদের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির চর্চার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং ডাকসু নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি অব্যাহত রাখে তাহলে আমরা ডাকসুর দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো বলেও উল্লেখ করা হয় স্মারকলিপিতে।


banner close