শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১

বেইলি রোডে আগুন: উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হাইকোর্টের

আপডেটেড
৪ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৩০
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ৪ মার্চ, ২০২৪ ১৬:২৭

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পৃথক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

কমিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে একটি ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও এ ঘটনার জন্য কারা দায়ী- তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকা-ের ঘটনা প্রতিরোধে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে- তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী স্কুল, কলেজ ও শপিংমলসহ রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না রাখা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- এডভোকেট ইউনূছ আলী আকন্দ ও এডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গতকাল রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান সান্ত¡না। রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রাজধানীর বেইলি রোডসহ সকল আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়। একইদিন আসক, ব্লাস্ট ও বেইলি রোডে অগ্নিকা-ে নিহত তানজিনা নওরিনের পরিবারের এক সদস্য পৃথক আরেকটি রিট দায়ের করেন। ওই রিটে রুল চাওয়ার পাশাপাশি নিহত ব্যক্তিদের পরিবার- আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একটি হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি রাতে ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আরও বেশ কয়েকজন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। বেইলি রোডের এ ভবনে কাচ্চি ভাইসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ও ফ্যাশন হাউজ ছিল। আকস্মিক এ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় দেশব্যাপী শোকের ছায়া নেমে আসে। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় নিহতেদের মধ্যে আইনজীবী, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন ছিল।

বিষয়:

এস আলম-ঘনিষ্ঠদের ১৩৭৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৬৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে এক হাজার ৩৭৪ কোটি ৬১ লাখ ৭ হাজার ২২১ টাকা রয়েছে।

বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের করা আবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সাবেক ডিএমডি মো. আকিজ উদ্দিন (এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব) ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মর্জিনা আক্তার ও মো. সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এস আলম গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনামে ভুয়া ঋণ ও বিনিয়োগ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। তারা মানি লন্ডারিং অপরাধ সংগঠন করে বিদেশে টাকা পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বর্ণিত ব্যক্তিরা ও তার পরিবারের সদস্যরা ব্যাংক হিসাবের অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে ওই টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পরবে। তাই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ১০ ও ১৪ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭-এর ১৮ ধারার বিধান মতে ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।


সাইফুজ্জামান শেখর, মোল্যা নজরুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ফ্ল্যাট-জমি জব্দসহ শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ
সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর ও পুলিশ ডিআইজি মোল্যা নজরুল। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর, তার স্ত্রী সিমা রহমান ও কারাগারে আটক থাকা পুলিশের ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন, ফরিদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত) সুভাষ চন্দ্র সাহা ও বিবিএসের প্রশ্নফাঁসের হোতা সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী। একই সঙ্গে মোল্যা নজরুল ইসলামের নামে ঢাকার দুটি ফ্ল্যাটসহ চারটি পৃথক দলিলে থাকা ১৬ দশমিক ৫৩ কাঠা জমি জব্দের আদেশের পাশাপাশি তার নামে থাকা ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৬ টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশও দিয়েছেন একই আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক চারটি আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এদিন পৃথক চারটি আবেদনে অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ও তদন্তকাজ চলমান থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। অন্য আরেকটি আবেদনে মোল্যা নজরুলের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, শেয়ার অবরুদ্ধের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় সারদার পুলিশ একাডেমি থেকে মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে। গত ৭ জানুয়ারি সাইফুজ্জামান শিখর এবং তার স্ত্রী সীমা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি মামলা করে দুদক। সাইফুজ্জামান শেখর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন। তিনি মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তবে সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামের নামে মামলা করেছে দুদক।

অন্যদিকে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদপুরের সাবেক এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, সুভাষ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৭ টাকা এবং তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৯ কোটি ১৪ লাখ ৯ হাজার ৩১৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।


মেহের আফরোজ চুমকির ব্যাংক হিসাবসহ ফ্ল্যাট অবরুদ্ধের আদেশ

সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির পাঁচটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ২ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ টাকা জমা রয়েছে। এছাড়া রাজধানীতে তার নামে থাকা ৩১১৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ক্রোকেরও আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বনানীতে থাকা ফ্ল্যাটটির মূল্য ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি মেহের আফরোজ ওরফে মেহের আফরোজ চুমকি নামে স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধকরণ/ক্রোক করা আবশ্যক।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মেহের আফরোজের (চুমকি) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এজহারে বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৯টি ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ১৭৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।


আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় ছয়টি লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, একটি মামলার (আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর) তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে চলে এসেছে। এছাড়া বাকি তিন থেকে চারটি মামলার তদন্ত ফিনিশিং টাচ চলছে। আশা করি ঈদের পর-পরই এই রিপোর্টগুলো আমাদের হাতে চলে আসবে। রিপোর্টগুলো আসার সাথে সাথেই আমরা পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে ফেলবো। চার্জ গঠনের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।

লাশ পোড়ানোর নৃশংস ঘটনার বিষয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।

এদিকে, লাশ পোড়ানোর ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। দুটি অভিযোগই অভিন্ন হওয়ায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় সাইফুল ইসলাম পলাতক থাকলেও ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের এক রায়কে কেন্দ্র করে ফুসে উঠে ছাত্র জনতা। এ আন্দোলন নির্মূলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে হত্যা গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। টানা ৩৬ দিনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়। আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।


সব মামলায় খালাস তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হত্যা মামলা থেকে দায়মুক্তির উদ্দেশ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে করা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৮ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহা. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

এর ফলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে আর কোনো মামলা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

আইনজীবী বোরহান উদ্দিন জানান, আসামিদের বিপক্ষে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি দুদক। তাই তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ফলে বিচারিক আদালতে তারেক রহমান ও বাবরের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। এতে তারেক রহমানের দেশে ফিরে রাজনীতি করতে আর কোনো বাধা নেই।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, একটি শিল্পগোষ্ঠীর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যা মামলার আসামি সাফিয়াত সোবহান সানভীরকে দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করা হয়। এতে এক-এগারোর সময় বাদী হয়ে মামলা করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।


হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ছয় দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাকে অপসারণ করেছেন।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা ছয় (৬) মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে বিচারক পদ থেকে ১৮ মার্চ তারিখে অপসারণ করেছেন।
১৯৬৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্ম নেয়া খিজির হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। পরে ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট ঢাকা জেলা জজ কোর্টে এবং ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি।
দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়।ওই ১২ বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতও ছিলেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন।


অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মার্চ, ২০২৫ ১৩:৪৯
ইউএনবি

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে বাবরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৮ মে বাবরের গুলশানের বাসার শোয়ার ঘর থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার অভিযোগে একই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা হয়।
বিচার শেষে একই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর নয় নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে ২০০৭ সালেই আপিল করেন। এ মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। এই রুল নিষ্পত্তি করে আজ হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করে রায় দেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে প্রায় ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির এই নেতা।
এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। সেসব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।


শেখ হাসিনা-জয়-পুতুল-রেহানার আরও ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

(বাম থেকে) শেখ হাসিনা, ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার ৩১টি ব্যাংক অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
এসব ব্যাংক হিসাবে তিনশত চুরানব্বই কোটি ষাট লাখ টাকা রয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাউন্টের অস্থাবর সম্পদ সমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই একাউন্টসমূহ অবিলম্বে অবরুদ্ধকরণ করা আবশ্যক।
এরআগে ১১ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব।


আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল

আবরার ফাহাদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবনের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। রবিবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আপিল বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
এরআগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হয়েছে। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলা বিচারে এসেছিল। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় আসে, যাতে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
তাদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে। বাকি ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানে সরকারপতনের পর গত ৬ অগাস্ট সে গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। আবরার ছিলেন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
মামলার আসামিদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। গ্রেপ্তার ২১ জনের মধ্যে আটজন আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, সেই ভয়ংকর বিবরণ উঠে আসে তাদের জবানবন্দিতে।আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল


আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় কাল

আবরার ফাহাদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথরেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল রোববার। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্যে এ দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ।

আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ শিশির মনির।

শনিবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় এটি রায়ের জন্য রবিবারের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের পানি বণ্টন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল (২৪), মো. অনিক সরকার ওরফে অপু (২২), মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত (২৩), ইফতি মোশাররফ সকাল (২০), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (২৩), মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ (২০), মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১), খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম অরফে তানভির (২১), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (২১), মো. শামীম বিল্লাহ (২১), মো. সাদাত এ এস এম নাজমুস সাদাত (২১), মুনতাসির আল জেমী (২০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (২২), এস এম মাহমুদ সেতু (২৪), সামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মোর্শেদ অরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (২০), এহতেশামুল রাব্বি অরফে তানিম (২০) (পলাতক), মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল প্রকাশ জিসান (২২) (পলাতক), মুজতবা রাফিদ (২১) (পলাতক)।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- অমিত সাহা (২১), ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (২১), মো. আকাশ হোসেন (২১), মুহতাসিম ফুয়াদ (২৩) ও মো. মোয়াজ অরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা (২১)।

নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে—তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এটাকেই ডেথরেফারেন্স বলা হয়।

পরে কারাবন্দি আসামিরা জেল আপিল করেন। পাশাপাশি অনেকে ফৌজদারি আপিলও করেছেন।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এই ডেথরেফারেন্স ও আপিলের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।


শাপলা চত্বর গণহত্যা: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগ করা হয়েছে সাবেক সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্যা নজরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম কয়েকজন ব্লগারের 'ইসলাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অবমাননার প্রতিবাদে' ১৩ দফা দাবি পেশ করেছিল।

দাবি আদায়ে সরকার ব্যর্থ হলে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে জড়ো হন হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা।

ওইদিন রাত ১১টা থেকে পরদিন ভোর ৪টা পর্যন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ মাদরাসা ছাত্র ও পথচারীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

মামলার এজাহারে দাবি করা হয়, নিহতদের লাশ সিটি করপোরেশনের যানবাহন ব্যবহার করে গুম করা হয়।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম, তারেক আহমেদ সিদ্দিকী ও মাহবুব খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

এদিকে সাভারের আশুলিয়ায় লাশের স্তূপীকরণের মামলায় নায়েক মো. সোহেল মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।


হাসিনা পরিবারের ১২৪ ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ১২৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম এ আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সুধা সদনসহ হাসিনা পরিবারের বাড়ি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ
শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। শেখ হাসিনার ১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ছয়টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর বাইরে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাঁচটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব ব্যাংক হিসাব অবিলম্বে জব্দ করা আবশ্যক।


সুধা সদনসহ হাসিনা পরিবারের বাড়ি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা সিদ্দিক এবং রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের নামে থাকা জমিসহ বাড়ি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এসব সম্পদের বাজারমূল্য ৮ কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৩২০ টাকা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
যেসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে—টিউলিপ সিদ্দিকের নামে গুলশানের ফ্ল্যাট। এর বাজারমূল্য ৪৩ লাখ ২৪ হাজার ৯২০ টাকা।
জয় ও পুতুলের নামে ধানমন্ডিতে থাকা ১৬ কাঠা জমিসহ বাড়ি ‘সুধা সদন’। এর বাজারমূল্য ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
শেখ রেহানার নামে গাজীপুরে ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা দামের সাড়ে ৮ কাঠা জমি, গাজীপুরে আরেক জায়গায় ৩ লাখ টাকা দামের ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ জমি এবং সেগুনবাগিচায় ১৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট।
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে গুলশানে থাকা ছয়টি ফ্ল্যাট জব্দ করা হয়েছে। এসব ফ্ল্যাটের বাজারমূল্য ৪ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম এসব সম্পদ জব্দ করার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও টিউলিপ সিদ্দিক স্থাবর সম্পদগুলো অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।
এ অবস্থায় অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এসব স্থাবর জব্দ করা হোক।


banner close