বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

ঢাকা- ৯ আসনে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ

আপডেটেড
৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:৪০
সৈয়দ ইকবাল
প্রকাশিত
সৈয়দ ইকবাল
প্রকাশিত : ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:১৬

আজ রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণের সময়ে ঢাকা-৯ আসনের প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। শীতের সকালে শুরুতে ভোট দিতে লোকজন কম এলেও ৯টার পর থেকে ভোটারদের বেশ উপস্থিতি দেখা গেছে। এই আসনের বাসাবো, সবুজবাগ, মান্ডা, মুগদা ও মানিকনগরের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও ভোটাররা বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পুরুষের পাশাপাশি মহিলা ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

এবারের ভোটারদের মধ্যে একটা বড় অংশ হচ্ছে জীবনের প্রথমবারের ভোটার। প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে এই ভোটারদের মধ্যে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। বাসাবো এলাকা থেকে শহীদ জিয়া বাসাবো উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে এসেছেন রহমান মুক্তাদির। প্রথমবার ভোট দিতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে তাকে।

এদিকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-৯ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী খিলগাঁও গার্লস স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।

পরে সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই আসনের কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা আশা করবো, ‘এই ধারা অব্যাহত থাকবে। যারা ভোট দিতে এসেছেন তারা সুষ্ঠুভাবেই এখানে ভোট দিতে পেরেছেন।’জয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘জয়-পরাজয় নিয়ে এখন কোনও মন্তব্য করতে চাই না। এটা নির্ভর করবে ফলাফলের ওপর। তবে আমরা আশাবাদী। কারণ গত পাঁচ বছরে আমরা যেসব কাজ করেছি, মানুষ তার মূল্যায়ন করবে।’

এই আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী ছাড়াও আরও যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- জাকের পার্টির মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ, জাসদের নিলাঞ্জনা রিফাত, বিএনএমের মোহাম্মদ শফিউল্লাহ চৌধুরী, গণফ্রন্টের তাহমিনা আক্তার, জাতীয় পার্টির কাজী আবুল খায়ের, ইসলামী ঐক্যজোটের লোকমান শেখ ও এনপিপির মোহাম্মদ কফিল।

ঢাকা- ৯ আসনের ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪৯,৯৫৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২২৮,৩৬৪ জন, নারী ভোটার ২২১,৫৮৭ জন এবং হিজড়া ভোটার ৫ জন।

বিষয়:

শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্বলন করবে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত তার পরিবারের স্বজনরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

আগামীকাল বুধবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সকল নেতা-কর্মীকে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিষয়:

কাল চালু হচ্ছে স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলাচল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল ১ আগস্ট থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কোটা আন্দোলনে সহিংসতার মুখে জননিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত ১৮ জুলাই থেকে ধাপে ধাপে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল মঙ্গলবার ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেকার আলম রাজন।

তিনি বলেন, কারফিউ শিথিলকালীন স্বল্প দূরত্বের ট্রেনগুলো চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখনই দূরের যাত্রার ট্রেনগুলো চলাচল করবে না।

এর আগে রেল ভবনে ট্রেন চলাচল বিষয়ে জরুরি এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ূন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহদাত আলীসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনে দেশব্যাপী সহিংসতায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে ১৮ জুলাই থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত অগ্রিম বিক্রি হওয়া সব টিকিটের অর্থ ফেরত দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়:

আজ থেকে ১৩ ঘণ্টা শিথিল থাকবে কারফিউ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান কারফিউ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বুধবার থেকে ১৩ ঘণ্টা শিথিল থাকবে কারফিউ।গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর আগে কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান, আগামী চারদিন, অর্থাৎ বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এ চার দিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলমান কারফিউ বলবৎ থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে ডিমান্ড ছিল, তার সব মেনে নেওয়ার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কারফিউ জারি করেছিলাম।

আমরা সারা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছি৷ সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আগামী বুধবার থেকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এ ছাড়া কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেটি শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন যে কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্য মতে, ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে এই শিথিলতা থাকবে। এ ছাড়া বাকি জেলাগুলোর সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসক নেবেন।

সোমবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী জানিয়েছিল, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এ ছাড়া সিলেটে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আর রাজশাহীতে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সহিংসতার জেরে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এ সময় গত সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রবি, সোম ও মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি এখনো তুলে নেওয়া হয়নি।


শিশুর কপালে প্রধানমন্ত্রীর চুমু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় হামলার শিকার আহতদের দেখতে মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসপাতালে পরিদর্শনকালে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যান এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

আহতদের আঘাতের তীব্রতা দেখে এবং হামলার নৃশংসতার কথা শুনে শেখ হাসিনা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি এ সময় অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। আহত চিকিৎসাধীন এক শিশুর কপালে চুমু দিয়ে তাকে আদরও করে দেন শেখ হাসিনা।

এর আগে গত কয়েকদিনে প্রধানমন্ত্রী সহিংসতার শিকার অন্যান্যদের পরিদর্শন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটোর), বহুল পরিচিত পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি আহতদের যথাযথ চিকিৎসার আশ্বাস দেন এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০-এ মেট্রো রেল স্টেশন, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ভবন এবং মহাখালীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা পরিদর্শন করেছেন।


ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চান বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা জননিরাপত্তা এবং ঝুঁকি বিবেচনা নিয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাই।

এর আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন সাত মন্ত্রী, চার সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।

বৈঠকে মন্ত্রীদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিবও ছিলেন বৈঠকে।

এ ছাড়া আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বৈঠকে ছিলেন।


আহতদের দেখতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় আহতদের খোঁজখবর নিতে মঙ্গলবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ জুলাই, ২০২৪ ১৯:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে সহিংসতায় আহতদের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছান। এরপর আহতদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এসময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।

হামলার নৃশংসতার কথা শুনে এবং আহতদের শরীরে আঘাতের তীব্রতা দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এসময় চোখের জল ধরে রাখতে তাকে বেগ পেতে হচ্ছিল।

পরিদর্শনকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় আহতদের দেখতে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।

পরিদর্শনকালে আহতদের সুচিকিৎসার আশ্বাস দেন এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া মিরপুর-১০ এ ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ভবন এবং মহাখালীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।


কারফিউ শিথিলের সময় জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত ঢাকাসহ চার জেলায় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে ডিমান্ড ছিল, তার সব মেনে নেবার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই বাধ্য হয়েই কারফিউ জারি করেছিলাম। বৈঠকে সারা দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছি। সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই আগামীকাল বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী এই চার জেলার ক্ষেত্রে এই শিথিলতা কার্যকর হবে। বাকি জেলাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সিদ্ধান্ত নেবেন কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।

এর আগে বিকেলে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সচিবদের আলোচনায় ছিলেন- পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিব। এ ছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


গণভবন ও এয়ারপোর্টে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে গণভবন ও এয়ারপোর্টে (বিমানবন্দর) জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকের এক পর্যায়ে বাইরে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা জানান।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, কীভাবে তারা পরিকল্পনা করে জঙ্গি আক্রমণ করেছে, এসব বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে। আমরা সবগুলো বিষয় মূল্যায়ন করছি। তারা গণভবনে হামলার পরিকল্পনা করেছিল।

তিনি বলেন, তারা টেলিভিশনে কেন হামলা করতে গেল? মেট্রোরেলের সঙ্গে কী সম্পর্ক কোটার? তবুও তারা কেনো পুড়িয়েছে? তারা পুলিশ স্টেশনে হামলা করেছে। এর সঙ্গে কী সম্পর্ক?

আরাফাত বলেন, তাদের বিমানবন্দরে হামলার পরিকল্পনা ছিল। এ জিনিসগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাদের শক্তি কতটুকু ছিল বা আছে সেগুলো মূল্যায়ন করা হচ্ছে। মূলত থার্মোমিটারের মতো কতটা গরম বা ঠান্ডা আছে, তা মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

এর আগে আজ বিকেলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোনায় বসেন সাতজন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।


ফ্রিল্যান্সারদের ‘সুখবর’ দিলেন পলক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়া ফ্রিল্যান্সারদের প্রণোদনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সভাকক্ষে চলমান সময়ের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক জরুরি সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ফ্রিল্যান্সারদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে কিনা, প্রশ্ন করা হয় পলককে। জবাবে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সাত লাখ ফ্রিল্যান্সার ভাই-বোনদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থির জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। তবে এই ক্ষতিটা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার চেষ্টা করবে যাতে ইন্টারনেট সুন্দরভাবে চলমান থাকে এবং পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার ভাই-বোনরা তাদের সার্ভিস এক্সপোর্টের ওপর যাতে ইনটেনসিভ পায়। সেজন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। তাদেরকে সরাসরি কোনো ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্ট দিতে না পারলেও ফ্রির‌্যান্সার ভাই-বোনরা যারা সার্ভিস এক্সপোর্ট করে সেটার ওপর যাতে একটা পার্সেন্টটেজ- অর্থাৎ ২, ৩, ৪ শতাংশ যাতে ক্যাশ ইনটেনসিভ পায়। এতে তারা আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হবে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রিল্যান্সাদেরকে অন্যান্য সাপোর্ট যেমন- প্রশিক্ষণ কিংবা তাদের যে আইডেন্টিটি সার্ভিস এগুলো দিতে আমরা চেষ্টা করব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পোশাক শিল্প বলুন, ফ্রিল্যান্সার বলুন, ই-কমার্স বলুন সবার ক্ষতি। ক্ষতিটা যারা করলো তাদের ব্যাপারেও জনমত গঠন করা দরকার। এই যে জনগণের সম্পদ ধংস করল। ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল পুড়ল, দেশের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ডেটা সেন্টারে হামলা করল, সার্ভার পুড়িয়ে দিল, গাড়ি বা মেট্রো পুড়িয়ে দিল তাতে দেশের সম্পদেরই ক্ষতি হল। আন্দোলন যারা সহিংসতায় নিয়ে গেল তাদের বিরুদ্ধে যেন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ধরনের ঘটনা না ঘটায় এবং এ ধরনের উস্কানিতে বিভ্রান্তি না হই।


জরুরি বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

আসতে পারে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের ঘোষণাও
ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধকরণ, চলমান আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেছেন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া কয়েকজন সচিবের সঙ্গে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠকে বসেন তারা।

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, এ বৈঠক থেকেই জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধের ঘোষণা আসতে পারে। এ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাহী আদেশও জারি করা হতে পারে।

বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আলোচনায় যোগ দিয়েছেন।

এ ছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব, বাণিজ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিবও যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র‍্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এতে যোগ দিয়েছেন।

বিষয়:

আবারও রিমান্ডে আন্দালিব রহমান পার্থ

বিজেপির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বনানী থানার মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ফের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার এই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া।

আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষে তার রিমান্ড ও জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়:

পরশু থেকে স্বল্প দূরত্বে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বে চলাচল শুরু করবে যাত্রীবাহী ট্রেন। কারফিউ শিথিল থাকার সময়টাতে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। দুই-তিন দিন পর থেকে আন্তনগর ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রেলভবনে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে রেল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবার মতামতের ভিত্তিতেই কারফিউ শিথিলের সময়ে স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, দুই থেকে তিনদিন পর আন্তনগর ট্রেনগুলো চালু হতে পারে।

এই বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, শুরুতে শুধু মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলবে। এরপর আস্তে আস্তে আন্তনগর ট্রেন চালু করা হবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো বেশি চলাচল করবে। কারফিউ শিথিল থাকা সময়ে তিন-চারবার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। বৃহস্পতিবার একবার আসা-যাওয়া করতে পারে।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে স্বাভাবিক সময়ে ২০ বারের বেশি কমিউটার ট্রেন যাতায়াত করে। তবে শুরুতে চার-পাঁচবার আসা-যাওয়া করতে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) কয়েকটি পথে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন। এ ছাড়া ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনা আছে। এর বাইরে রাজশাহী থেকে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের পথেও লোকাল ট্রেন চলতে পারে। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারি পথে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে রেল কর্তৃপক্ষের।

বর্তমানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করছে। বৃহস্পতিবার থেকে মালবাহী ট্রেনও কিছু চলতে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিষয়:

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হবে

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার গণভবনে সাক্ষাৎ করেন জার্মানীর রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্ত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার জার্মানীর রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেব যাতে এটি যথাযথ, মানসম্পন্ন এবং উচ্চ মানসম্পন্ন হয়। এই তদন্তে সহায়তা নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের (ইউএন) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

জার্মানীর রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানীর কোন সহানুভূতি নেই। তারা প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভাষণে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে একটি স্বাধীন তদন্ত হবে। এছাড়াও তার দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে দূতাবাসের ধীরগতির ভিসা পদ্ধতিতে সদিচ্ছার অভাব নয় বরং সম্পদের সীমাবদ্ধতাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি ভিসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে এই অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

জার্মানীর রাষ্ট্রদূত আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য সরকার ঘোষিত শোক দিবসে তার শোক ব্যক্ত করেন। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এই সময় উপস্থিত ছিলেন।


banner close