ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের খোলা চিঠিকে ‘অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভা থেকে আহ্বান জানানো হয়। গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিচারাধীন মামলার বিষয় নিয়ে তারা যে চিঠি দিয়েছেন তা অনভিপ্রেত। এটি আমাদের দেশের আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। আমরা এর জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে তাদের এ চিঠি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাই।’
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সম্মানিত সদস্য বিগত ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের এই চিঠি অসত্য তথ্য নির্ভর। তারা প্রকৃত সত্য জানলে এই চিঠি দিতেন না। এই চিঠি দেয়ার মধ্য দিয়ে তারা একদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যপারে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। অন্যদিকে গরীব শ্রমিকের স্বার্থের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান গ্রহণ করেছেন। একজন দায়িত্ববান বিশ্ব নেতাদের কাছে এটি অনাকাঙ্খিত এবং অনভিপ্রেত।’
‘ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন, ট্যাক্স ফাঁকি এবং অন্য যে সকল বিচারিক কার্যক্রম চলমান আছে, তা আইন এবং ন্যায় বিচারের দাবি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মনে করছে, তা যথাযথ কারণে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়েই চলছে। বিচার কার্যক্রমের কোনো পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি সংক্ষুদ্ধ হন, তাহলে তার আইনি প্রতিকার বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেই রয়েছে। উল্লেখ্য, শ্রম আইনের মামলাগুলো সরকার দায়ের করেনি, তা অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকরাই তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য দায়ের করেছে।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আরও উল্লেখ করে, ‘বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ। বিচারকরা স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। শাসন বিভাগের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের সংবিধান একটি মানবিক দলিল। এই সংবিধান অনুযায়ী কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। শ্রমিকরাও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। ড. মুহাম্মদ ইউনুস আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এইরূপ খোলা চিঠি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যপারে এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপরে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং গরীব মেহনতী মানুষের ন্যায্য অধিকারের পরিপন্থি। তা আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থি। এইরূপ খোলা চিঠি অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত।’
নতুন শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটারপ্রতি ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাপটিভে ৩১ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
আজ ১৩ এপ্রিল থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন শিল্পের পাশাপাশি এখন যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন, সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দরে বিল দিতে হবে।
বিইআরসি জানিয়েছে, যারা এরই মধ্যে গ্যাস সংযোগ পেয়েছেন, তারা আগের নির্ধারিত দামেই গ্যাস পাবেন। তবে যারা নতুন সংযোগ পেয়েছেন, সেই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্যাসের দর প্রতি ঘনমিটারে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে বিদ্যমান গ্রাহকদের দর (শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১ দশমিক ৭৫ টাকা) অপরিবর্তিত রেখে নতুন ও প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবের ওপরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি গণশুনানি হয়। সেখানে পেট্রোবাংলার দাবি ছিল, দাম না বাড়ালে বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে পেট্রোবাংলার ওই দাবির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা প্রতিবাদ জানান।
দেশের সব মসজিদে জুমার নামাজ একই সময় আদায় করতে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। রবিবার (১৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) সই করা এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জুমার দিন সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন।’
মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এ-ই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম; যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯) জুমা পারস্পরিক দেখা সাক্ষাত ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিনকে বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো এ দিনে বিশেষ সময়ে বরকত ও কল্যাণ রয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন সময়ে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। কোনো মসজিদে দুপুর ১টায়, কোনো মসজিদে দেড়টায়, আবার কোনো মসজিদে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু করতে দেখা যায়।
সময়ের তারতম্যের কারণে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশেষ করে পথচারীরা (সফররত মুসল্লি) বিভ্রান্ত ও সমস্যার সম্মুখীন হন। এ সমস্যা দূরীকরণে সারাদেশে সব মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধার্থে একই সময় দুপুর ১.৩০ টায় জুমার নামাজ আদায় করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, তার বিভাগ/জেলায় অবস্থিত সব মসজিদে একই সময়ে অর্থাৎ দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায় করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নানা মত, ধর্ম ও রীতিনীতির মধ্যেও আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য। এদেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠী সবমিলিয়ে এদেশের মানুষের বিচিত্র ভাষা,সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ।
আজ রোববার ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে ‘সম্প্রীতি ভবন’- এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
পহেলা বৈশাখকে সম্প্রীতির প্রতীক উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আগামীকাল পহেলা বৈশাখ, আমাদের সম্প্রীতির অন্যতম প্রতীক। প্রত্যেকে নিজ নিজ উপায়ে, নিজেদের রীতি অনুযায়ী আগামীকাল পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবেন। সর্বজনীন এ উৎসবে অংশ নেবেন।’
তিনি বলেন, ঢাকার এই আন্তজার্তিক বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম নিদর্শন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীসহ বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও সাম্যের বাণীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণকর কর্মসূচি পালন করে আসছে এ বৌদ্ধ বিহার। আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’ বাংলাদেশের সম্প্রীতি ও মানবতার ঐতিহ্যকে ধারণ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গৌরবময় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
শিক্ষা বিস্তারে বৌদ্ধ বিহারগুলোর অবদানের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অতি প্রাচীন সময় থেকেই এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল এখানকার বৌদ্ধ বিহারগুলো। এগুলো আমাদের ঐতিহ্য ও সভ্যতার নির্দশন। পৃথিবীর দূর-দূরান্ত থেকে ভিক্ষু ও ছাত্ররা এ বিহারগুলোতে আসতেন। মহামানব বুদ্ধের শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেন। শুধু ধর্মীয় আচার ও শিক্ষা নয়, সমাজে জনকল্যাণকর কর্মসূচিরও কেন্দ্র ছিল এদেশের বৌদ্ধ বিহারগুলো।
মহামানব গৌতম বুদ্ধ বিশ্বমানবতার কল্যাণে সম্প্রীতি ও সাম্যের বাণী প্রচার করে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহামানব বুদ্ধ বলেছেন, শান্তি, সুখ থেকে আমরা কাউকে বঞ্চিত করতে পারি না; এমনকি ক্ষুদ্র জীবকেও। এদেশের বৌদ্ধ পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর একজন বিশ্ববরেণ্য জ্ঞানী। মহামানব বুদ্ধের বাণী তিনি বহন করে নিয়েছিলেন সেই মহাচীনের তিব্বতে। চীনে এখনো তাঁকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানানো হয়। বৌদ্ধ ধর্মের নির্দশন, স্থাপনা, ঐতিহ্য ও পণ্ডিতগণ মানব সভ্যতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের স্থাপনা ও সামগ্রিক পরিবেশের ভূয়সী প্রশংসা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘যেটুকু আজ এখানে দেখলাম, তা হৃদয়গ্রাহী ও আবেগ আপ্লুত করে। কাজেই এটা কেবল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থান হলে, তা হবে খণ্ডিত একটা বিষয়। বরং হতে হবে দেশের সব জনগোষ্ঠির ইতিহাসের অংশ, এখানে যেন এই প্রজন্মের সব ছেলেমেয়েরা আসে, সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি ভবন স্থাপনকে মহান কৃতিত্বের কাজ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, তাঁরা মহান কৃতিত্বের কাজ করছেন। এটি সম্মানেরও ব্যাপার।’
তিনি সম্প্রীতি ভবন স্থাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা এমন কৃতিত্বের সঙ্গে স্থাপনের কাজ শেষ করবেন, যাতে যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন। পরবর্তী প্রজন্ম যেন আপনাদের নির্মাণ শৈলীর প্রশংসা করে।’
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন আয়েজিত ‘সম্প্রীতি ভবন’ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর রেজাউল করিম বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ ছাড়াও শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ৫০ জনের (চার্জশিটভুক্ত সকল আসামি) বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এর মধ্যে শেখ হাসিনা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় এবং শেখ রেহানা,তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে পৃথক এক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে শেখ রেহানার বিরুদ্ধে গত ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলায় টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ আরো দুই আসামিসহ শেখ রেহানা,শেখ হাসিনা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
এ মামলায় শেখ রেহানা, শেখ হাসিনা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ছাড়াও অপর আসামিরা হলেন-জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ,সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারি পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ,তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে করা মামলায় টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্ত প্রাপ্তে আরো দুই আসামিসহ আজমিনা সিদ্দিক-শেখ হাসিনা-টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ।
আজমিনা সিদ্দিক-শেখ হাসিনা-টিউলিপ রিজওয়ানা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন-জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ,সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.),সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারি পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, পরিচালক কামরুল ইসলাম, উপ- পরিচালক নায়েব আলী শরীফ,তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে করা মামলায় টিউলিপ রিজওয়ানা ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্ত প্রাপ্তে আরো দুই আসামিসহ রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক-শেখ হাসিনা-টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক-শেখ হাসিনা-টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন-জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ,সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.),সহকারি পরিচালক ফারিয়া সুলতানা,সহকারি পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ- পরিচালক নায়েব আলী শরীফ,পরিচালক শেখ শহিদুল ইসলাম, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন,শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা সিদ্দিক, তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক রাজউকের প্রকল্পসমূহে প্লট বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত ফরমে কোনো আবেদন করেননি। টিউলিপ সিদ্দিক বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী আসামি শেখ হাসিনার ওপর চাপ প্রয়োগ ও প্রভাব বিস্তার করেন।
ফ্যাসিস্টের মুখবয়বে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের আগামীকাল শোভাযাত্রার আগেই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর রমনা পার্কে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনারা জানেন, গতরাতে আগের রাতে একটা ওড সময় ভোর পাঁচটার দিকে একটি মোটিফ, যেটা তৈরি করা হয়েছিল শোভাযাত্রায় ব্যবহার করার জন্য, সেটিতে একদল দুস্কৃতকারী আগুন দিয়েছে।’
‘এটি নিয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ও সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মামলাটি উদ্ঘাটনের জন্য। তদন্তকালীন কোনো মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলি না। তবে এতটুকু বলছি, আমরা অত্যন্ত ক্লোজ, খুব নিকটে পৌঁছে গেছি মামলাটি ডিটেকশনের ক্ষেত্রে,’ যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, শোভাযাত্রার আগে আগামীকাল সকাল ৯টার আগেই মামলটির ডিটেকশনের ক্ষেত্রে আমরা একটি সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে যাব। সম্ভব হলে এই সময়ের মধ্যে দুস্কৃতকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।’
শনিবার ভোরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আগুন লেগে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার’জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ পুড়ে যায়।
এ ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে পুলিশ। এর পেছনে ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দোসরদের’ হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সিসিটিভি ভিডিওতে একজনকে চিহ্নিত করা গেলেও এখনো তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি ও শাহবাগ থানায় মামলা করেছে। মামলায় নির্দিষ্ট কারও নাম না দিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
দেশের ছয়টি অঞ্চলে আজ বাংলা বর্ষের শেষ দিন বা চৈত্র সংক্রান্তিতে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। আর আগামীকাল সোমবার পহেলা বৈশাখে দিনের বেলা ও সন্ধ্যার পরেও ঢাকা বিভাগসহ দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল শনিবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা এবং নোয়াখালী অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই অবস্থায় আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বিদ্যুৎ চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী বান্দরবান ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামীকাল সোমবার নতুন বাংলা বর্ষকে বরণ করবে বাঙালি জাতি। এদিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ সন্ধ্যার পর হতে পারে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ ঝড়। আবহাওয়া অফিসের সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং দেশের অন্য দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো (বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।) সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আর বুধবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং দেশের অন্যত্র দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বল্পসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবনতা অব্যাহত থাকতে পারে।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ উচ্ছ্বাসের সাথে আগামী ১৪ এপ্রিল বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে।
এ উপলক্ষে ডিএমপি কিছু ট্রাফিক নির্দেশনাসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এতে বলা হয়,ডাইভারশন/ব্যারিকেড পয়েন্টসমূহ: ১৪ এপ্রিল সোমবার ভোর ৫টা হতে রমনা পার্ক (রমনা বটমূল), সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও আশপাশের নিম্নলিখিত এলাকাসমূহে সড়কে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেয়া হবে:
১। বাংলামোটর ক্রসিং/নেভি গ্যাপ ২। পুলিশ ভবন ক্রসিং ৩। সুগন্ধা ক্রসিং ৪। কাকরাইল চার্চ ক্রসিং ৫। কদম ফোয়ারা ক্রসিং ৬। হাইকোর্ট ক্রসিং (পূর্ব ও দক্ষিণ) ৭। দোয়েল চত্বর ক্রসিং ৮। রোমানা ক্রসিং ৯। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ১০। জগন্নাথ হল ক্রসিং ১১। ভাস্কর্য ক্রসিং ১২। নীলক্ষেত ক্রসিং ও ১৩। কাঁটাবন ক্রসিং।
গাড়ি চলাচলের দিকনির্দেশনা:
রমনা পার্ক (রমনা বটমূল), সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ডাইভারশন পয়েন্টসমূহ ব্যতীত নিম্নলিখিত রাস্তাসমূহে যানবাহন চলাচল করবে। যানবাহন চলাচলের রাস্তাসমূহ নিম্নরূপ :
১। মিরপুর-ফার্মগেট হতে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন বাংলামোটর ক্রসিং বামে মোড় নিয়ে মগবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
২। গোলাপশাহ মাজার ক্রসিং-হাইকোর্ট ক্রসিং হতে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন কদম ফোয়ারা ক্রসিং-ইউবিএল ক্রসিং- নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
৩। সায়েন্সল্যাব ক্রসিং হতে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন মিরপুর রোড দিয়ে আজিমপুর ক্রসিং-চাঁনখারপুল ক্রসিং-বকশীবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
গাড়ি পার্কিং স্থানসমূহ:
১। নেভি গ্যাপ হতে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত।
২। মৎস্যভবন ক্রসিং হতে সেগুনবাগিচা পর্যন্ত (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িসমূহ)।
৩। শিল্পকলা একাডেমি গলি (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িসমূহ)।
৪। কাঁটাবন ক্রসিং হতে নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে পলাশী ক্রসিং পর্যন্ত।
৫। দোয়েল চত্বর ক্রসিং হতে শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত।
৬। আব্দুল গনি রোড।
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপনের জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে এই তাগিদ দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও ড. বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। তারা জানান যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পৃথকভাবে আলোচনা চলমান রয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত মোট ৮টি দলের সাথে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাথে আলোচনার কথা রয়েছে।
তারা আরও জানান যে সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে জনমত যাচাই এবং সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এবং কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা তথা সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দেন।
গত মার্চ মাসে দেশে সড়কে দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ৮৯ জন ও শিশু ৯৭টি। শনিবার (১২ এপ্রিল) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদেন এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, মার্চে দেশে ৫৮৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এতে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৩৩ জন, যা মোট প্রাণহানির ৪১.২২ শতাংশ। পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৯ জন (১৮.০৪ শতাংশ) এবং যানবাহনের চালক ও সহকারী ৯৮ জন (১৬.২২ শতাংশ)।
এই সময়ে ৬টি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৪ জন আহত হয়েছেন। ১৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৩৩ জন (৩৮.৫৭ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩২ জন (৫.২৯শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রাম ট্রাক-কার্গো ট্রাক আরোহী ৫৬ জন (৯.২৭শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ আরোহী ১৭ জন (২.৮১শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১১৯ জন (১৯.৭০শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম) ২৭ জন (৪.৪৭শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১১ জন (১.৮২শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২২৮টি (৩৮.৮৪ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৫৬টি (৪৩.৬১শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি (১২.২৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩১টি (৫.২৮শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও ১৫৩টি (২৬.০৬ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৫৮টি (৪৩.৯৫ শতাংশ) গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৩টি (১৯.২৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়ায়, ৪৭টি (৮ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত এবং ১৬টি (২.৭২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
এদিকে প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি প্রধান কারণ উল্লেখ করে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা ও শারীরিক সমস্যা, ট্রাফিক আইনের অজ্ঞতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপ এবং চাঁদাবাজি।
এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশ দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষ চালক তৈরি, চালকের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রেল ও নৌপথ সংস্কার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন লাগার ঘটনা কোন দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃত বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
শনিবার দুপুরে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে এই কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কন্ট্রোল রুম থেকে আমাকে জানানো হয়েছে ভোর পাঁচটা পাঁচ মিনিটে এই ঘটনা ঘটেছে। আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছে, এটি এক্সিডেন্টাল কোন বিষয় না। কেউ ইনটেনশনালি এটি করেছে। এটুকু আমরা নিশ্চিত।
পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এটির চতুর্পাশে প্রচুর ক্যামেরা। আমাদের ইনভেস্টিগেটিং টিম আসতেছে। ডিজিটাল রেকর্ডগুলো আমরা নিবো। ফরেনসিক করবো। এই মুহূর্তে বলার স্কোপ আসেনি যে, কারা এটি করেছে বা কারা করেনি। ইনভেস্টিগেশনে এটি বের হবে।
নজরুল ইসলাম বলেন, তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিগত সরকারের সরকারপ্রধান, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মোটিফ পোড়ানো হয়েছে। সেটি পোড়াতে গিয়েই কবুতরের আংশিক অংশ পোড়ানো হয়েছে। সুতরাং এই কাজটি যারা পছন্দ করেনা তারাই এটি করবে, এটি অনুমান। তবে আমরা তদন্ত করবো। ভিডিও ফুটেজ দেখে কে আগুন লাগিয়েছে তাকে ধরতে পারলে এটির মাস্টারমাইন্ড কারা সেটি বের করা যাবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ এবং প্রক্টরিয়াল টিম ছিলো। শুনেছি, ঘটনার সময় প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা নামাজে গেছে নামাজের সময় হওয়ার কারণে। আর পুলিশের টিম সম্পর্কে আমি এখনো ডিটেইলস জানি না। পুলিশের দশজন এখানে থাকে। গেইটে সাতজন আর যেখানে তৈরি করা হচ্ছে সেখানে ৩ জন থাকে। তাদের এখনো আমি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি।
জিজ্ঞাসাবাদের পরে জানতে পারবো তারা কই ছিল, কী অবস্থায় ছিল বা কিভাবে এই আগুন লেগেছে। তাদের কাছ থেকে কিছুটা তথ্য পাওয়া যাবে। আর ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে আরও ভালো তথ্য পাওয়া যাবে।
নজরুল ইসলাম বলেন, এটি নিয়ে আমরা একটি কমিটি করবো। যারা সাইবার নিয়ে কাজ করে তাদেরকে ইনফর্ম করা হয়েছে।
ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি কুর্মিটোলার নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার’ রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলার বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে এই নামকরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিমানবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর ও জাতির ইতিহাসের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন, যাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই ঘাঁটিটির নামকরণ করা হয়েছে।
এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম কেবল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, বরং একজন দূরদর্শী নেতাও ছিলেন। যিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবিচল নিষ্ঠা, কৌশলগত প্রজ্ঞা এবং অদম্য সাহস জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠিন মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।
স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন এবং তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিমানবাহিনী পুনর্গঠন করতে সক্ষম হন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান এবং এই বাহিনীর উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখায় এই ঘাঁটির নামকরণ করে তাঁকে ও তাঁর উত্তরসূরিদের সম্মানিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশপ্রেম ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রদান করা হয়। এ ছাড়া, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর অসাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’-এ ভূষিত করে।
নামকরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সহকারী বিমানবাহিনী প্রধানগণ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকারের এয়ার অধিনায়ক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং অন্য পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত কার্যক্রম এবং বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারদের সাথে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এ প্রক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ সমন্বিত এবং পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পলাতক সুবিধাভোগীরা বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে তদন্ত কার্যক্রম এবং বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিতভাবে তদন্ত কার্যক্রম এবং প্রসিকিউটরদের সম্পর্কে গুজব বা ভুল তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে বা মিথ্যা অপবাদ প্রদান করে জনমনে বিশেষত শহীদ পরিবারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রসিকিউশন।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর অভিযোগ আনয়নের লক্ষ্যে বিপুল অর্থ ব্যয়ে ব্রিটেনের বিখ্যাত ল ফার্ম ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ২২ মামলায় (মিস কেস) ১৪১ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ৫৪ জন গ্রেফতার ও ৮৭ জন পলাতক রয়েছেন বলে জানায় প্রসিকিউশন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই- আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দেড়-দুই হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন। ২৫ হাজারের মতো ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার জলজ্যান্ত প্রমাণ রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে আমরা সেটা প্রমাণ করতে সক্ষম হবো এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবো।’
প্রসিকিউশনের উপস্থাপিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মোট ৩৩৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ৩৯ টি তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্টার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেইস হয়েছে ২২টি। এইসব মিস কেইসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন। এর মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন ৫৪ জন, আর ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক ৮৭ জন।
প্রসিকিউশন জানায়, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো, চানখারপুল হত্যাকাণ্ড, রামপুরা কার্নিশে ঝুলে থাকা ব্যক্তিকে গুলির প্রেক্ষিতে করা শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত শেষ বা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমে চিফ প্রসিকিউটর সহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। আর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় মোট তদন্তকারী কর্মকর্তার সংখ্যা বর্তমানে ২৪ জন। তদন্ত সংস্থার সকল সদস্যই পুলিশ বাহিনী থেকে প্রেষণে বা চুক্তিভিত্তিক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের এক রায়কে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠে ছাত্র সমাজ। তাদের ওপর সরকারের দমন পীড়নের প্রেক্ষিতে জনতা এসে শরীক হয় ছাত্রদের সাথে। শুরু হয় ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলন। এ আন্দোলন নির্মূলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে হত্যা গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। টানা ৩৬ দিনের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়। আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তৈরি রাক্ষসী ফ্যাসিস্ট মুখাবয়ব এবং শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে চারুকলা বিভাগের ডিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখ এবং ১৪৩২ সালের বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য বর্ষবরণ ও ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্ষবরণ বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় তৈরি রাক্ষসী ফ্যাসিস্টের প্রতীকী মুখাবয়বসহ বিভিন্ন প্রতীকী প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছিল।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনককে যে আজ ১২ এপ্রিল ভোর আনুমানিক ৪টা ৫০ মিনিটে অনুষদের দক্ষিণ গেটের কাছে স্থাপিত প্যান্ডেলের ভেতরে রাখা সেই সব প্রতীকী প্রতিকৃতির মধ্যে রাক্ষসী ফ্যাসিস্টের প্রতীকী প্রতিকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে কে বা কারা আগুন দিয়েছে।
ঘটনার তদন্তের জন্য শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে ৫টার মধ্যে আগুন লাগানো হয়েছে। কারণ সেই সময় কর্তব্যরত ভ্রাম্যমাণ দলের সদস্যরা ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। সম্ভবত সেই সময়ের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটেছিল।’
সূত্র: ইউএনবি