বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
৪ বৈশাখ ১৪৩২

হাইকোর্টে প্রথমবার সালাউদ্দিন, বললেন ‘দুঃখজনক’

আদালতে দায়ের করা রিট শুনানিতে বুধবার হাইকোর্টে হাজির হন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৪ জুন, ২০২৩ ১৮:১১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০২৩ ১৮:০৮

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এই প্রথম হাইকোর্টে হাজির হলেন। আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকরা তার হাজিরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভেরি স্যাড (খুব দুঃখজনক)।’ নিজের দায়ের করা রিট শুনানির সময় বুধবার হাইকোর্টে হাজির হন তিনি।

শুনানি শেষে কোর্ট থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকেরা তাকে প্রশ্ন করেন। তবে তিনি কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, ভেরি স্যাড। আমার পক্ষে যা বলার সব আমার আইনজীবী বলবেন। এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, তিনি প্রথম হাইকোর্টে আসলেন কিনা, উত্তরে তিনি ‘হ্যাঁ’ জবাব দেন।

এর আগে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও মো.বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতি-অর্থ পাচারের অভিযোগ বিষয়ে দুদকে চলা অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ধরনের মতামত প্রকাশ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

শুনানির শুরুতে সালাউদ্দিন আদালতে প্রবেশ করলে আদালত তাকে বসতে বলেন। পরে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, মোমতাজ উদ্দিন ফকির। সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন। অন্যদিকে ছিলেন, অনিক আর হক আর সায়েদুল হক সুমন।

মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করায় একাত্তর টেলিভিশনসহ ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গত সোমবার রিট দায়ের করেন। রিটে প্রচারিত পাবলিক ডোমেইনে থাকা ভুয়া ও মানহানিকর তথ্য অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

একইসঙ্গে ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং পলিসি ২০১৪ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির জন্য আবেদনে বলা হয়।

এই রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় পাবলিক ডোমেইনে থাকা কাজী সালাউদ্দিনেকে নিয়ে করা ‘মানহানিকর ও ভুয়া’ তথ্য অপসারণ করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি আদালত। তবে ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতি-অর্থ পাচারের অভিযোগ বিষয়ে দুদকে চলা অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ধরনের মতামত প্রকাশ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারে কমিটি গঠন হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে ও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এরআগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রিজওয়ানা বলেন, বৈঠকে ব্যাংকিং খাতের কিছু বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছে, সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ, ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ। এছাড়া রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশে এবং গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশেও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশগুলো নিয়ে আলোচনার সময় আমাদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে অর্থনৈতিক অপরাধ যে গোষ্ঠীগুলো করেছে, তাদের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ জন্য প্রাথমিক কাজগুলো হয়েছে। এখন অর্থনৈতিক অপরাধে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করার জন্য আলাদা একটি কমিটি গঠন করেছি।’

জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সইয়ের সিদ্ধান্ত

পানিসম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মধ্যে আমরাই প্রথম এই কনভেনশনে সই করতে যাচ্ছি।

‘আর আমাদের অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা সবসময় বলি, আমরা আন্তর্জাতিক আইনগুলোতে কেন সই করছি না। এই অভিন্ন জলরাশির পানির ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুটো আইন আছে জাতিসংঘে। একটি হচ্ছে জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭, আরেকটি হচ্ছে ১৯৯২ কনভেনশন,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ কনভেনশন কার্যকর হয় ১৯১৪ সালে। অর্থাৎ উজানের দেশগুলোর অনীহার কারণে মাত্র ৩৬টি দেশের সই লাগত। সেই সই পেতে ১৭ বছরেরও বেশি লেগে যায়। আরেকটি আইন হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টার্গেট করে ১৯৯২ সালে আরেকটি আইন করা হয়েছিল। এটি ২০১৬ সালে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।

‘এ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের প্রায় ১১টি দেশ আইনটিতে সই করেছে। তারমধ্যে বেশিরভাগ দেশ আফ্রিকান। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই কনভেনশনে আমরা অনুস্বাক্ষর করবো,’ বলেন এই উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, ‘এরআগে যত প্রক্রিয়া ছিল, সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা, আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা করা, ওই কনভেনশনের সেক্রেটারিয়েট থেকে লোক আসা—সবই আমাদের হয়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কনভেনশন অব দ্য প্রটেকশন এন্ড ইউজ অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটারকোর্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল লেক ১৯৯২-এ সই করবো। বাংলাদেশকে দিয়েই এশিয়ার দেশগুলোর স্বাক্ষর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।’


মুর্শিদাবাদের সহিংসতা: বাংলাদেশের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ঢাকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনও চেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের সহিংস হামলায় মুসলমানদের প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে নিন্দা জানাই।’

‘সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকার আহ্বান জানাচ্ছে,’ বলেন প্রেস সচিব।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রাথমিক তদন্তে কিছু ‘বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীর’ সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমএইচএ) সূত্র।

তবে এসব দাবি নাকচ করে বাংলাদেশ বলেছে, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।


‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১৩ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল)। তাকে ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষা যেন শেষই হচ্ছে না পরিবারের। এমনকি তিনি জীবিত, না মৃত– সে রহস্যও কাটেনি। তাকে অক্ষতভাবে ফিরে পাওয়ার আশায় এখনও অপেক্ষার প্রহর গুনছে তার পরিবার ও নেতাকর্মীরা।

২০১২ সালের এই দিনে ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন তিনি। এর পর তাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। হরতাল, মিছিল-মিটিং চলে বছরের পর বছর। প্রিয় নেতাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে নিজ এলাকা বিশ্বনাথে গুলিতে প্রাণ দেন তিন নেতাকর্মী।

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য নিশ্চিত না করায় এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মাঝেমধ্যে ইলিয়াস আলীর সন্ধান পাওয়া গেছে– এমন খবরে নতুন করে আশায় বুক বাঁধলেও পরক্ষণে তা ম্লান হয়ে যায়।

সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। ‘আয়নাঘরে’ তাকে পাওয়া গেছে— এমন খবরও প্রচার করা হয়।

এমনকি গত বছরের ১৯ আগস্ট সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর মাদ্রাসায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন এবং বিদেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দাবি করে বক্তব্য দেন বিএনপির এক নেতা।পরে ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা সেটিকে গুজব বলে মন্তব্য করেন।

৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর স্বামীকে ফিরে পেতে গুম কমিশনে আবেদন করেন লুনা। কিন্তু সেই আবেদনেরও কোনো অগ্রগতি নেই দাবি করে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ইলিয়াস আলীকে অক্ষতভাবে ফেরতের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার রামধানায় পারিবারিকভাবে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা বিএনপি আজ (বুহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন ও দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। এ ছাড়া সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল।

তিনি জানান, ‘১৩ বছর ধরে প্রিয় নেতাকে ফিরে পাওয়ার দাবি করা হচ্ছে। অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকার তাঁকে গুম করে রাখে। কিন্তু আজও তার সন্ধান মেলেনি।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখনও আশা ছাড়িনি। ইলিয়াস আলীর প্রতীক্ষায় আছি। তিনি এমন এক নেতা, যার জন্য প্রাণ দিয়েছেন কর্মীরা।’


রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিল ১৮ মে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি: সৈয়দ মাহামুদুর রহমান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপের প্রভাবে সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ বর্তমানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।

এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। ঢাকায় পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বায়ু প্রবাহিত হতে পারে।

এ ছাড়াও ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে।


টিউলিপকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাওয়ার পরিকল্পনা

দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

প্লট ও ফ্ল্যাট জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলায় যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিককে দুর্নীতির বিষয়ে আদালতে হাজির হয়েই বক্তব্য দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান মো. আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক শুধু আদালতে উপস্থিত হয়েই নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। অভিযোগ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও টিউলিপ বাংলাদেশে তার খালা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময়ে গুলশানে একটি সরকারি লিজকৃত প্লট ইস্টার্ন হাউজিংকে অনুমোদনের ব্যবস্থা করে বিনিময়ে একটি ফ্ল্যাট গ্রহণ করেছেন তিনি।

এছাড়া, ২০২২ সালে পূর্বাচলে রাজউকের মূল্যবান জমি নিজের মা, ভাই ও বোনের নামে বরাদ্দ নিতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে আদালত থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


সালমান এফ রহমানসহ ৩০ জনের নামে দুদকের মামলা

সালমান এফ রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মর্টগেজ সম্পত্তিকে অতিমূল্যায়িত করে বন্ডের বিপরীতে বিনিয়োগকারীর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। এ দিন রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সালমান এফ রহমানের ছেলে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, ব্যাংকটির সাবেক এমডি মো. শাহ আলম সারোয়ার, ব্যাংকটির সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, এ আর এম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী, গোলাম মোস্তফা, মো. জাফর ইকবাল, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ক্রেডিট অফিসার সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, হেড অব লোন পারফর্মেন্স ম্যানেজমেন্ট শাহ মো. মঈনউদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, গীতাঙ্ক দেবদীপ দত্ত, মো. নুরুল হাসনাত ও মনিতুর রহমান। ব্যাংকটির হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, ধানমন্ডি শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ও এফভিপি নাজিমুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপক হোসাইন শাহ আলী, রিলেশনশিপ ম্যানেজার সরদার মো. মমিনুল ইসলাম, এসপিও আয়েশা সিদ্দিকা এবং এফএডিপি সিলভিয়া চৌধুরী।

আরও আসামি করা হয়েছে বিএসইসির সাবেক কমিশনার রুমানা ইসলাম, মিজানুর রহমান, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও মো. আবদুল হালিম।

এছাড়া সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিমাই কুমার সাহা, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউজ্জামান ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তিলাত শাহরিনকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয়ে সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ না করেই- প্রস্তাবিত মর্টগেজ সম্পত্তি সরেজমিনে পরিদর্শন বা মূল্য যাচাই না করেই অস্বাভাবিক অতি মূল্যায়ন করে ৮৭ কোটি টাকার জমিকে এক হাজার ২০ কোটি টাকায় মূল্যায়ন করেছে।

অন্যদিকে, অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মালিকানাধীন মাসখানেক আগে রেজিস্ট্রিকৃত কথিত কোম্পানির তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এক হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের চলতি হিসাবে জমা করে। সেখান থেকে রিডেশন রাউন্ডে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর করে অবশিষ্ট ৮০০ কোটি টাকা (সরকারি অর্থ) বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বেক্সিমকো গ্রুপ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাবলী উপেক্ষা করে নগদে ও বিভিন্ন রকম সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে আত্মসাৎ করা অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/ ৪২০/ ৪৬৭/ ৪৬৮/ ৪৭১/ ৪৭৭৫/ ১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারার এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গগত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের নামে থাকা ৩৫৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১৩ মার্চ সালমান এফ রহমান ও ইনডেক্স পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি লিমিটেডের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) জাকিয়া তাজিনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় অর্থ আত্মসাৎ ও টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে করোনা টিকায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথাও জানিয়েছে দুদক। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত বছরের আগস্টে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। বর্তমানে সালমান এফ রহমান জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ছাত্র-জনতা হত্যার বেশি কয়েকটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন।


টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমও এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন
টাইমের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের একশ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন। ২০২৫ সালের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

ক্ষুদ্রঋণের ধারণা ও সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রকাশিত মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।

টাইম ম্যাগাজিনে ড. ইউনূসকে নিয়ে লেখা মুখবন্ধে বলা হয়, গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশের স্বৈরচারী প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর দেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে একজন সুপরিচিত নেতা হাল ধরেন। তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত মোহাম্মদ ইউনূস।

মুখবন্ধটি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি আরও লিখেছেন, কয়েক দশক আগে বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে ব্যবসা গড়ে তোলা ও পরিবার পরিচালনা করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের মর্যাদা ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই উদ্যোগের সুফল পেয়েছে লাখো মানুষ, যাদের ৯৭ শতাংশই নারী।

যুক্তরাষ্ট্রেও এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ড. ইউনূস কীভাবে সহযোগিতা করেছিলেন, সে কথারও স্মৃতিচারণ করে হিলারি লেখেন, তিনি যখন তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটনকে সহযোগিতায় প্রথমবার আরকানসাসে আসেন, তখন তার সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। এরপর বিশ্বের যেখানেই আমি গিয়েছি, সেখানেই আমি তার (ইউনূস) কাজের অসাধারণ প্রভাবে জীবন বদলে যাওয়া, সমাজের উন্নয়ন ও নতুন করে আশার সঞ্চার হতে দেখেছি।

এখন মাতৃভূমির ডাকে ড. ইউনূস আরও একবার সাড়া দিয়েছেন উল্লেখ করে হিলারি লেখেন, তিনি বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি জবাবদিহি চাইছেন। সেই সঙ্গে একটি ন্যায়সঙ্গত ও মুক্ত সমাজের ভিত্তি স্থাপন করছেন এই অর্থনীতিবিদ নেতা।

অর্থনৈতিক খাতসহ সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে ড. ইউনূস এ স্বীকৃতি পেয়েছেন।

টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের প্রকাশিত তালিকায় ৩২টি দেশের ব্যক্তিত্বরা স্থান পেয়েছেন। তালিকায় আরও রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শাইনবাউম, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেলিন্ডা গেটস, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লিয়েনসহ বাঘা বাঘা সব ব্যক্তিরা।

তালিকায় বিশ্বনেতা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে উদ্ভাবক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বসহ বিনোদন জগতের মানুষের নামও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামস, ফরমুলা ওয়ান ড্রাইভার ম্যাক্স ভেরস্টাপেন, ফরাসি সাঁতারু লিওঁ মারশাঁ, মার্কিন সংগীতশিল্পী (র‌্যাপার) স্নুপ ডগ, ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী এড শিরান, ব্রিটিশ পপ তারকা ডুয়া লিপা, হলিউড অভিনেত্রী ডেমি মুর, বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট প্রমুখ।

এছাড়া টেকসই ও মানবিক স্থাপত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমও এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।


ডিসেম্বরে না হলেও নির্বাচন জুন পার হবে না: আইন উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

আগামী জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে না হলেও আসছে বছরের জুন মাস পার হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে যাই বলুক জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কালবিলম্বের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না, তেমন নয়। আমরা বলেছি, এই সময়ের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করা হবে। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে আমরা ইচ্ছা করে দেরি করে করে মে বা জুন মাসে নির্বাচন করব, সেটা না।’তিনি বলেন, যদি ডিসেম্বরে সম্ভব হয় ডিসেম্বরেইৃ না হয় জানুয়ারিতে, আমরা এভাবে বলেছি যে ডিসেম্বর থেকে জুন মানে আমরা ইচ্ছা করে একটু বেশি সময়ে ক্ষমতা ভোগ করার জন্য, অকারণে আমরা একমাস বা দুই মাস বেশি ক্ষমতায় থাকলাম মোটেই সেটা না। এ সময় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচনের দুই মাস আগে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।

আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। ওনারা অনেক বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং তাঁদের সন্তুষ্ট মনে হয়েছে। একটা বিষয়ে ভিন্নমত হতে পারে যে, ওনারা বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ইলেকশন দিলে ভালো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করার পর বিএনপি মহাসচিব অসন্তুষ্টির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ বরলে আইন উপদেষ্টা বলেন, “বিএনপি মহাসচিবের এটা বলার অবশ্যই অধিকার আছে। একটা আলোচনার থেকে একজন একভাবে পারসিভ করে, আরেকজন আরেকভাবে পারসিভ করে। আমার কাছে ওনাদেরকে দেখে হ্যাপি লেগেছে। মনে হয়েছে উনাদের মনে যে প্রশ্ন ছিল তার অনেকগুলোর উত্তর ওনারা পেয়েছেন।”

বিএনপি বলেছে ডিসেম্বরে, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তাতে বিএনপির সঙ্গে অন্তর্র্বতী সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, “কোনো দূরত্ব তৈরি হয় নাই। ফখরুল ভাই আপনাদের বলেছেন যে, উনি সন্তুষ্ট না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, আমাদের অনেক ব্যাখ্যা ওনারা বুঝতে পেরেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে ওনারা সন্তুষ্ট। ওনারা (ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে) যে সমস্ত আশঙ্কার কথা বলেছেন, আমরা আমাদের মত বলেছি যে, এই সমস্ত আশংকার কোনো কারণ নাই। এসব ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। আমরা অত্যন্ত রেসপেক্টফুলি ওনাদের মতামত বিবেচনায় নিয়েছি। আমরা এ ব্যাপারে আরও সচেতন থাকব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই শিক্ষক আরও বলেন, ওনারা বলেছেন যে, আমাদের কথা-বার্তার মধ্যে এতো অস্পষ্টতা থাকে, কেউ কেউ আমাদের কোনো কোনো উপদেষ্টার কথা বলেন। আমরা ক্যাটাগরিক্যালি বলেছি যে যেটাই বলুক না কেনো, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বার বার যেটা রিপিট করেছেন সেটাই সরকারের অবস্থান। অন্য কেউ যদি বেফাঁস কথা, নিজস্ব বিবেচনায় কথা বলেন সেটাতে তারা (বিএনপি) যেন বিভ্রান্ত না হন।

আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি নেতারা জানতে চেয়েছেন যে, সংস্কার যদি হয়ে যায় এতো দেরি করার মানে কি আছে? আমরা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছি, জুলাই চাটার্ড প্রণীত হলেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা, নীতিগত ব্যবস্থা যেটি গ্রহণ করতে মাঝে মধ্যে সময় লাগে। আমরা উদাহরণ দিয়ে বলেছি যে, ডিজিটাল সুরক্ষা আইন ২৩ বার ড্রাফট করেছি বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নেয়ার জন্য এবং বেশ কয়েক মাস সময় লেগেছে। সেজন্য আমরা বলেছি যে, আমরা তো পিন পয়েন্ট করতে পারব না। জুলাই চার্টার প্রণীত হওয়ার পর হয়ে যাবে, আমরা অংশীজনের সাথে কথা বলে ব্রড কনসালেটেশনের ভিত্তিতে করব।

অর্ন্তবর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, জনগণের তো একটা আকাঙ্খা আছে যে, আমরা বিচার করে যাই। আমরা যদি কোনো বিচার না করে যাই, আমরা যদি ইলেকশন দেই, আমরা মানুষের কাছে, নিজের কাছে জবাব দিবো কীভাবে? ফলে শুধু ইলেকশন, সংস্কার, বিচার এবং আমাদের সরকারের গৃহীত কিছু পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে এজন্যই ডিসেম্বর থেকে জুন টাইম বারটা করা হয়েছে।

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার প্রলম্বিত হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনার বিচারে কোনো বিলম্ব হচ্ছে না। আমরা এর আগে যে বিচার হয়েছে সেটা কম্পেয়ার করে দেখিয়েছি। বলেছি, যে কোনো রকম বিলম্ব করা হচ্ছে না। আমরা ওনাদের সব কিছু বুঝিয়ে বলার পর ওনারা আর কথা বলেননি। তার মানে ওনারা বুঝতে পেরেছেন। তবে তারা আরেকটা ট্রাইব্যুনাল গঠন করার কথা বলেছেন। আমরা বলেছি যে, এটা অচিরেই হযে যাবে। বাড়ানোর প্রক্রিয়া কম পক্ষে একমাস আগে থেকে শুরু করেছি। আমাদের তো উপযুক্ত বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে, আমাদের লজিস্টিক ঠিক করতে হবে। আশা করি, এটা এক থেকে দুই সাপ্তাহের মধ্যে হয়ে যাবে।

এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শুরু হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল মাহমুদ টুকু।

আসিফ নজরুল আরও জানান, বিএনপি নেতারা বলেছেন, তাদের দল দেশে গত ১৫ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছে। অবশ্যই এটার জন্য আমরা শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়েছি। তিনি বলেন, “ওনারা বলেছেন যে আমাদের অন্তর্র্বতী সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেটা বিএনপির প্রতিকূলে গেছে। আমরা উদাহরণ দিয়েছি, সিদ্ধান্ত আছে যেটা বিএনপির অনুকূলে গেছে। তারপরও ওনারা বলেছেন যে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা বলেছি যে, পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস পুনর্গঠন হয়েছে মাত্র তিন মাস আগে। এ সময়ে ৮ হাজারের মতো মামলা প্রত্যাহার হয়েছে, ১৬ হাজারের মতো মামলা লিস্টেড আছে। আমরা বলেছি যে, এতো দ্রুত গতিতে সম্ভব কিনা? ওনারা আমাদের বলেছেন, তারা বুঝতে পেরেছেন।

বৈঠকে বিএনপি সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা। বলেন, “ওনারা (বিএনপি নেতা) বলেছেন যে, দলের যে সংস্কার ভাবনা এটা বহু পুরনো। ওনারা সবসময় সংস্কারপন্থি দল। আমরা এটা অ্যাগরি করেছি। অবশ্যই বিএনপি সবসময় সংস্কারের কথা বলেছে।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, জুলাই সনদ খুব দ্রুত গতিতে হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে বিএনপিও তাদের আশ্বাস দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।


ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১,৫৫৮ মামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৫৫৮ টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়া অভিযানকালে ২০৬ টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৩ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে গতকাল মঙ্গলবার এসব মামলা করে।

এতে আরও বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


বিসিবিতে দুদকের অভিযান, ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

অভিযানের কারণ- ১. বিভিন্ন ক্রিকেট লিগের বাছাইপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জন। ২. বিপিএলের টিকিট বিক্রির আয়ে অসঙ্গতি। ৩. মুজিব শতবর্ষে অর্থ আত্মসাৎ।
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৭:৫৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রায় দেড়যুগ বিসিবির দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। নানা সময়েই বিসিবিতে দুর্নীতির কানাঘুষা শোনা গেছে। বিপিএলের টিকেট বিক্রি থেকে শুরু করে ঘরোয়া ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জায়গা ছিল। কিন্তু স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে সেগুলো নিয়ে কোনো জোর আলোচনায়ই হয়নি। মিডিয়া থেকে প্রশাসন; কথা বলার সুযোগ পায়নি কেউই।

এবার বিসিবির দুর্নীতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের গতকাল প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান পরিচালনা করেছে সংস্থাটি। দুপুর ১২টা নাগাদ মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে দুদকের তিন সদস্যের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করেন। বিসিবির বিভিন্ন বিভাগে প্রায় দেড় ঘণ্টার অভিযানের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনটি অভিযোগ নিয়ে কাজ করার কথা জানান দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে বিভিন্ন ক্রিকেট লিগের বাছাইপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জনসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের নিমিত্তে টিম প্রেরণ।’ এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আল আমিন জানান, বাকি দুটি অভিযোগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টিকেট বিক্রির আয়ে অসঙ্গতি ও মুজিব শতবর্ষে অর্থ আত্মসাৎ সম্পর্কিত।

প্রায় দশ বছর পর এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ। ২০১৪-১৫ মৌসুমে এই লিগে খেলার ফি ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হলে ক্রমেই কমতে থাকে দলের সংখ্যা। গত কয়েক বছরে ৫টির বেশি দল ছিল না এই লিগে। তবে এবার আবেদন ফি কমিয়ে করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। এর সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে কিছু শর্ত। যার ফলে এবারের বাছাই লিগে অংশ নিয়েছে ৬০টি দল।

বাছাই লিগের আবেদন ফি বাড়ানো, দলের অংশগ্রহণ কমার পেছনে বোর্ডের বা ব্যক্তিগত কোনো প্রভাব ছিল কি না সেটি খতিয়ে দেখা হবে জানিয়েছেন আল আমিন, ‘তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগে এবার ৬০টি দল অংশ নিয়েছে। আগে ২-৩ বা সর্বোচ্চ ৪ দলের লিগ হতো। এখানে হয়তো কোনো কারণ আছে। আমরা কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা বোর্ডের কোনো প্রভাব ছিল কি না দেখার জন্য। এমনিতেই বোঝা যাচ্ছে, আগে হয়তো অংশগ্রহণের স্বাধীনতা ছিল না, কোনো চাপ ছিল, যে কারণে দলগুলো আসত না। আমরা বিস্তারিত যাচাইবাছাই করে বুঝতে পারব এখানে কী অসঙ্গতি ছিল।’

বিপিএলের সবশেষ আসর শেষে বিসিবি সভাপতি ও টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, টিকেট বিক্রি করে তারা সব মিলিয়ে ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয় করেছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, বিপিএলের প্রথম ১০ আসরে টিকেট থেকে মোট ১৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বিসিবি।

টিকেট বিক্রির আয়ে এই অস্বাভাবিকতা নিয়ে কাজ করার কথাও বললেন দুদকের সহকারী পরিচালক, ‘আগে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ নিয়ে টিকেটের ব্যাপারে চুক্তি করা হতো। তারা টিকেট বিক্রি করে বিসিবিকে একটা অংশ দিত। গত ৩-৪ আসরে বিসিবি নিজ থেকে টিকেট বিক্রি করছে। যার প্রেক্ষিতে একাদশ আসরে আমরা দেখেছি, ১৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে। আট বছরে যেখানে ১৫ কোটি, এক বছরেই ১৩ কোটি। রেকর্ডপত্র আমরা পেয়েছি। বিস্তারিত যাচাই করলেই বোঝা যাবে কী অসঙ্গতি এখানে।’

এ ছাড়া ২০২০-২১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী আয়োজনে শামিল হয়েছিল বিসিবিও। জাঁকজমকপূর্ণ কনসার্টসহ বর্ণিল আয়োজন করা হয়েছিল তখন। মুজিব শতবর্ষের ওই আয়োজনে ব্যয়ের হিসেব গড়মিলের কথা বলেন আল-আমিন।

এই দুদক কর্মকর্তা বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষের ব্যয়ের হিসেবে কিছু অস্বাভাবিকতা আছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা আমাদের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে প্রতিবেদন দাখিল করব। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।’

পরে মুজিব শতবর্ষের আয়োজনে আর্থিক অসঙ্গতির বিস্তারিত তুলে ধরেন আল-আমিনের সঙ্গে থাকা আরেক সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘কনসার্টসহ যে আয়োজন হয়েছিল, সেখানে সব মিলিয়ে ২৫ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। আমরা এই অভিযোগ পেয়েছি। তবে আসলে খরচ হয়েছে ৭ কোটি টাকার মতো। এখানে প্রায় ১৯ কোটি টাকা সরানো হয়েছে বা কিছু হয়েছে। এরকম অভিযোগ আমরা পেয়েছি।’

দুদকের অভিযানের পুরোটা সময় সঙ্গে ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে দুদককে পূর্ণ সহযোগিতার কথা জানালেন তিনি, ‘যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, এসবের ব্যাপারে আমাদের কাছে যত কাগজপত্র আছে, সব বিভাগকে সেগুলো দুদকের কাছে দিয়ে সহযোগিতার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। এখন যেহেতু অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, তাই এর বেশি কিছু বলা উচিত হবে না।’


দুই ঘন্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দুই ঘণ্টা পর দুপুর ২টায় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাাল শুরু হয়েছে।
ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়িতে মহাসড়ক অবরোধ করে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন বে-সরকারিপলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী মহাসড়কে জড়ো হয়। পরে সেখানে তারা বসে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ফলে মহাসড়কের উভয় লেনের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাসড়কের দুই পাশে অন্তত ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবরোধ স্থলে আসে। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে। পরে বেলা ২টায় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে চলে গেলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে মহাসড়কে অবরোধ স্থলে যায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শিক্ষার্ধীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে বেলা ২টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়।


আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সবুজায়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন: পরিবেশ উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারত্বের (বিসিডিপি) আওতায় দেশের সব বিভাগীয় সদর ও পৌর এলাকায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। শহর এলাকার বিশেষ করে, ঢাকা শহরের তাপমাত্রা কমাতে সবুজায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারত্বের অগ্রগতি বিষয়ক এক বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বিসিডিপি’র মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় উপকূলের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিসিডিপি’র কর্মপন্থা প্রণয়নে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে, যারা পরবর্তী পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে। উপদেষ্টা আগামী জুলাই মাসের মধ্যে বিসিডিপির ওয়েবসাইটসহ কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।’

বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ড. ফাহমিদা খানম এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র ক্লাইমেট চেইঞ্জ অফিসার মৌসুমি পারভিনসহ এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


banner close