বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১

এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে আসা রড ঢুকে গেল মাথায়, শিশুর মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৯ মে, ২০২৩ ২০:১৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৩ ১৫:৪২

রাজধানীর মহাখালীতে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে ছিটকে আসা রড মাথায় ঢুকে এক পথশিশুর (১২) মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির পরিচয় জানা যায়নি।

সোমবার সকালে শিশুটি আহত হলে পথচারীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী মোহাম্মদ মনির হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমরা চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন হঠাৎ করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি সংলগ্ন এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে ছিটকে আসা একটি রড শিশুটির মাথার পেছন দিয়ে ঢুকে সামনে দিয়ে বের হয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ঘটনার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিশুটির কোনো অভিভাবক অভিযোগ করতে থানায় আসেননি। ঘটনাস্থল ও আশপাশের অন্যান্য পথশিশুদের থানায় এনে নিহত শিশুটির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কেউ কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি। পথশিশুরা জানিয়েছে, মাঝে মাঝে রাতে এসে শিশুটি তাদের সঙ্গে ঘুমাত। তার বিস্তারিত পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

এ ঘটনায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতারের সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে পড়া রড মাথায় ঢুকে আহত এক পথশিশুর ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তার পরিচয় জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বনানী থানাকে জানানো হয়েছে।


‘বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য সেরা জায়গা’

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে চার দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশকে ব্যবসার জন্য সেরা জায়গা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসা নিয়ে আসুন এবং এর মাধ্যমে বিশ্ব বদলে দিতে ভূমিকা রাখুন।

‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার বিশ্বকে বদলে দেওয়ার অভিনব সব ধারণা রয়েছে। এসব ধারণাকে বাস্তবে রুপ দিতে হবে। তাই আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই, যেন আপনারা শুধু বাংলাদেশকে নয়, পুরো বিশ্বকেই বদলে দেওয়ার যাত্রায় যুক্ত হন।’

আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে চারদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনি যদি কোনো লক্ষ্য নিয়ে ব্যবসা করতে চান, তাহলে বাংলাদেশই আপনার সেই জায়গা।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কাজ করে দেখায়, আর একবার কেউ শুরু করলে অন্যরাও তার অনুসরণ করে।

কীভাবে মানুষ ব্যবসার মাধ্যমে সুখী হয়, তার বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘টাকা উপার্জন করে মানুষ নিঃসন্দেহে আনন্দ বা সুখ পায়, কিন্তু অন্যকে সুখী করার মধ্যে অতিরিক্ত আনন্দ বা সুখ নিহিত রয়েছে।’

সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি আপনি বাংলাদেশে ব্যবসা করেন, তাহলে আপনি সুখ এবং অতিরিক্ত আনন্দ দুটিই পাবেন। কোনো খরচ ছাড়াই এই অতিরিক্ত আনন্দ আপনি লাভ করতে পারেন এবং এটি করে আপনি গর্বিত হবেন।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পুরো এই অঞ্চলকেই দেখেন যেখানে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি একসাথে অর্থ উপার্জন এবং মানুষের জীবন পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এই অতিরিক্ত সুখ বা আনন্দ উপভোগ করতে পারবে, যদি তারা তাদের প্রভাব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্ব বদলে দেওয়ার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার এবং এর মাধ্যমে নতুন সভ্যতা গঠনের ওপর তিনি গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বলছি, আমরা ‘তিন শূন্য’র একটি পৃথিবী তৈরি করতে পারি। এটা সরকার দিয়ে নয়, ব্যবসার মাধ্যমে করা সম্ভব। কারণ এটা সরকারের কাজ নয়, বরং ব্যক্তিমাত্র, মানুষ হিসেবে আমাদের কাজ।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মানুষ। আমরাই বিশ্বকে বদলে দিতে পারি।’

ব্যবসা-বাণিজ্য মানুষের হাতে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার তুলে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন সভ্যতা হবে এমন একটি সভ্যতা যেখানে কার্বন নির্গমন থাকবে না। ‘আমরা তা করতে পারি। এটি হওয়া উচিত ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মাধ্যমে।’

কার্বন নিঃসরণকে আত্মবিধ্বংসী ব্যবস্থা আখ্যা দিয়ে তিনি সম্পদ কেন্দ্রীকরণ না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, অর্থ উপার্জন আনন্দের হলেও, সম্পদের কেন্দ্রীকরণ মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। ‘এটি পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করে ফেলবে।’

তিনি শূন্য বেকারত্বের ধারণার প্রতিও গুরুত্ব দেন এবং বলেন, তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে বিশ্বকে বদলে দিতে সক্ষম।


মুজিববর্ষে শেখ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে ৪ হাজার কোটি টাকা অপচয়ের অভিযোগ

অনুসন্ধানে দুদক  
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২০ সালে সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় মুজিব জন্মশতবর্ষ পালন করে আওয়ামী লীগ সরকার। অফিস-আদালত থেকে শুরু করে দেশে-বিদেশে নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচিতে খরচ করে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা।

মুজিববর্ষ পালনসহ সারা দেশে শেখ মুজিবের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে রাষ্ট্রের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা অপচয় এবং ক্ষতিসাধনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সাত সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

আজ বুধবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত অনুসন্ধানে দুদকের টিম বিভিন্ন দপ্তর থেকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহের জন্য চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি। সেগুলো প্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যালোচনা পূর্বক পরবর্তীতে তারা কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর তা নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দুদক জানায়, অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৭ সদস্যদের টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এস এম রাশেদুল হাসান, এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। এতে খরচ হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। বিপুল এই ব্যয় এখন অপ্রয়োজনীয় ও অপচয় হিসেবেই মূল্যায়িত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০-২১ সালকে (১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত) মুজিববর্ষ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। করোনাভাইরাসের কারণে কর্মসূচিগুলো নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ প্রায় ৯ মাস বাড়িয়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে আগে থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ শুরু করে।

এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ১ হাজার ২২০টি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য বানানো হয়। তবে সরকারি সাতশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জেলা-উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ মিলিয়ে ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার। এতে খরচ হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। সব জেলা পরিষদে ম্যুরাল নির্মাণে খরচ হয় ৮ লাখ থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত। সড়কের শুরুতে, শেষে, চৌরাস্তায়, নদীর তীরে, পুকুরপাড়ে, প্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনায়- এমন কোনো স্থান নেই যেখানে এগুলো বসানো হয়নি।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যুরালের নকশা ও ডিজাইন তৈরিতে খরচ হয় ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া স্থাপনা এবং অন্যান্য বিষয় মিলিয়ে এর মোট ব্যয় হয় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা। রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অর্থায়নে তৈরি করা ম্যুরালটির উচ্চতা ১০ ফুট ও প্রস্থ ৮ ফুট। নির্মাণে সময় লাগে তিন মাস। ব্যয় হয় প্রায় ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়া, বাংলাদেশ বেতার পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় মু্যরাল নির্মাণ করে। এই ভাস্কর্য ও ম্যুরাল বা প্রতিকৃতি নির্মাণে পৃথক কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি। সরকারি অর্থে স্থানীয় প্রশাসন এই ভাস্কর্য ও ম্যুরাল নির্মাণ করেছে।

এর আগেও শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের ‘অর্থ অপচয়’ নিয়ে দুদক অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছেল। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছিলেন। দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর প্রকাশ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তখন তিনি উল্লেখ করেন। দুদক জানায়, রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকা খরচ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফর এবং বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়ার পেছনে ‘অর্থ অপচয়’ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

এর আগে পূর্বাচল নিউটাউনের প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে একাধিক মামলা করেছে দুদক।


এবার ঈদ যাত্রায় সড়কে নিহত ৩২২

আহত ৮২৬
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার ঈদুল ফিতরে সড়ক, রেল এবং নৌপথে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত এবং ৮৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঈদযাত্রার শুরুর দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে দেশের সড়ক মহাসড়কে ৩১৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত ও ৮২৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটি জানায়, ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ, আহত ৪০ দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি জানান, এবারের ঈদযাত্রায় রেলপথে ২১টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত, ৮ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ৪টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ১ জন আহত ও ১ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত ও ৮৩৫ জন আহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৩৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫১ জন নিহত ও ১৫৫ জন আহত হয়েছে। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪২.৮৫ শতাংশ, নিহতের ৪৬.৮৯ শতাংশ এবং আহতের ১৮.৭৬ শতাংশ প্রায়।

এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৭০ জন চালক, ৪৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ জন পথচারী, ৬০ জন নারী, ৪০ জন শিশু, ৩৩ জন শিক্ষার্থী, ২০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৬ জন শিক্ষক, ৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং একজন সাংবাদিকের পরিচয় মিলেছে।

সংগঠিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাস, ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ কার-মাইক্রো, ৭ দশমিক ২১ শতাংশ নছিমন-করিমন ও ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৪১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১ দশমিক ২৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৪ দশমিক ৬০ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০ দশমিক ৬৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত পর্যবেক্ষণ করে আসছে। তবে এবার দীর্ঘ ছুটির কারণে ধাপে ধাপে বাড়ি ফেরার সুযোগে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলে সংগঠনের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায়, সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, হাইওয়ে পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ছিল যাত্রীবান্ধব ও দৃশ্যমান। উল্লেখ্য, যাত্রীসাধারণ অসংগঠিত ও সচেতন না হওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে পৌঁছেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা অবাধে চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা; সড়কে মিডিয়ামে রোড ডিভাইডার না থাকা, অন্ধ বাঁকে গাছপালায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি; মহাসড়কের নির্মাণ ক্রটি, যানবাহনের ক্রটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রীবহন ও বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারি করা হয়েছে-মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান করাসহ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জাকরিয়া, যুগ্ন মহাসচিব তাওহীদুল হক লিটন, অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, মোহাম্মদ আরিফ, মনজুর হোসের ইশা প্রমুখ।


‘অতি গোপনীয়’ অভিযোগ নিয়ে দুদকে হাসনাত-সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে ‘অতি গোপনীয়’ অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে কী নিয়ে বা কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তা প্রকাশ করেননি তারা।

আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের এই বৈঠক হয়েছে। পরে হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কিছু অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে এসেছি। আমাদের অভিযোগগুলো লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

কী ধরনের অভিযোগ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভেরি কনফিডেনসিয়াল (অতি গোপনীয়)।’ কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ– এ প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিয়ে হাসনাত বলেন, ‘এটিও ভেরি কনফিডেনসিয়াল। এখন কনফিডেনসিয়াল বিষয় বলে দিলে তো আর কনফিডেনসিয়াল থাকলো না। তাছাড়া অপরাধীরা তখন সতর্ক হয়ে যাবে।’

এসময় সারজিস সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতীতে দুদককে ব্যবহার করে অনেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অনেক সাধারণ মানুষকে আবার বিনা অপরাধে হয়রানি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই সময়ে এসেও এখন আমরা সেটি প্রত্যাশা করি না। আমাদের কিছু অভিযোগ ছিল, যা আমরা সেগুলো লিখিতভাবে জানিয়েছি। সেজন্যই আমরা এখানে এসেছি। এর বেশি কিছু বলছি না এখন।’


হালাল টাকা খরচ করে হজ করতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হালাল টাকা খরচ করে হজ করতে হবে। হারাম টাকা দিয়ে ইবাদত হয় না।

তিনি আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ, ২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মানুষের মধ্যে সুদ, ঘুস বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আয় করার প্রবণতা আছে। তবে অসৎপথে উপার্জিত অর্থে হজ কবুল হবে না।

হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কোন দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সুদখোর বা ঘুসখোর যখন হারাম শরীফে গিয়ে বলে, আল্লাহ আমি হাজির। তখন ফেরেশতারা সমস্বরে বলতে থাকেন, তোমার হাজিরা কবুল হয়নি।

তিনি সকলকে সৎপথে অর্থ উপার্জনের অনুরোধ জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, হজব্রত পালনে শারীরিক কষ্ট ও অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবহন সেবা নাও পাওয়া যেতে পারে। পায়ে হেঁটে মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় যেতে হতে পারে। হাজিদেরকে কষ্ট বা ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে। সবকিছু সহজে মেনে নিতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করতে হবে।

প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, প্রশিক্ষণ মানুষকে কুশলি করে তোলে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই কর্মে সিদ্ধিলাভ করা যায়। যত বেশি মনোযোগ সহকারে হজ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যাবে, হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন তত বেশি সহজ হবে।

তিনি হজযাত্রীদেরকে মনোনিবেশ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুরোধ জানান।

হজযাত্রীদেরকে ভাগ্যবান অভিহিত করে ড. খালিদ বলেন, হজ ভাগ্যের ব্যাপার। টাকা কিংবা বিত্তবৈভব থাকলেই হজ করা যাবে, একথা ঠিক নয়। অনেকের টাকা থাকা সত্ত্বেও আজ যাবে, কাল যাবে করে যেতে পারে না। মানুষ যখন মায়ের পেটে থাকে, তখনই কে কতদিন দুনিয়ায় থাকবে, কী পরিমাণ রিজিক পাবে, সৎকর্ম করবে কিনা বা হজ করতে পারবে কি না- এ বিষয়গুলো নির্ধারিত হয়ে যায়।

কবুল হজের ফজিলত বর্ণনা করে ড. খালিদ বলেন, কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। হাজিদেরকে আল্লাহ সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ করে দেন।
হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন- ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মঞ্জুরুল হক ও হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।

এ সময় উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও হজ অফিসের পরিচালক মো. লোকমান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রীদের মধ্য হতে আজ দুটি ব্যাচে সাত শতাধিক হজযাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।


ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে সহায়তায় গেল ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের উদ্দেশে ত্রাণ, জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
    ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের উদ্দেশে ত্রাণ, জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে।

সম্প্রতি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের উদ্দেশে ত্রাণ, জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে। ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে জাহাজটি প্রায় ১২০ টন ত্রাণসহ মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করে। ত্রাণবাহী এই জাহাজের যাত্রার প্রাক্কালে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ত্রাণসামগ্রী প্রেরণে গৃহীত কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং গমনকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। আশা করা হচ্ছে, জাহাজটি আগামী ১১ এপ্রিল মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক তত্ত্বাধানে এই সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, সেনা কল্যাণ সংস্থা এবং রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় প্রাপ্ত ১২০ টন ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৭৭ টন শুকনা খাবার, ৯ টনেরও অধিক তাঁবু এবং ব্যবহারযোগ্য বস্ত্রাদি, ২৯ টন বিশুদ্ধ খাবার পানি, ৪ টন হাইজিন কিট এবং প্রায় ১ টন প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী।
এই অত্যাবশ্যকীয় সহায়তা মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের দুর্ভোগ লাঘবে সহায়ক হবে। গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে সংঘটিত ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে দুই ধাপে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানের মাধ্যমে ৩১.৫ টন ত্রাণ সামগ্রী, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল প্রেরণ করেছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের দুর্যোগকালীন সময়ে বাংলাদেশের এই সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসকে আরও বর্ধিত করবে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ২০২৩ সালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কে বিমানযোগে ত্রাণ এবং উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল প্রেরণ এবং ২০২৩ সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’-তে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের জনগণকে জাহাজযোগে ত্রাণ সহায়তা প্রেরণ করেছিল। ভবিষ্যতেও যেকোনো জাতীয় ও বৈদেশিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের নীতিমালার আলোকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এক যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

এরই মধ্যে সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছে কমিটি।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এবারও বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৭ লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।


কিহাক সাং পেলেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সম্মান সূচক নাগরিকত্ব

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের শিল্প খাতের বিকাশ ও বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান এবং বৈদেশিক আয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেডে) পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে দেওয়া হয়েছে সম্মান সূচক নাগরিকত্ব।

চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী দিনে আজ বুধবার তার হাতে এই স্বীকৃতি তুলে দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এর মাধ্যমে একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি পেলেন এই দেশের নাগরিক না হয়েও ‘সম্মানিত নাগরিক’ মর্যাদা।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সিহাক সাংয়ের হাতে নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে কিহাক সাং তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত।’

কিহাক সাং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

কিহাক সাংসহ মোট পাঁচজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

উদ্ভাবনে-ফ্যাব্রিক লাগবে লিমিটেড, বিদেশী বিনিয়োগে-বিকাশ, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস এবং ওয়ালটনকে এক্সেলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।

যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন, ইন্ডিটেক্সের সিইও অস্কার গার্সিয়া মাসেইরাস এবং অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বিনিয়োগ বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

কিহাক সাং বাংলাদেশের শিল্পের সঙ্গে যে তার যাত্রা শুরু করেছিলেন, এখন তা এক শিল্প সামাজ্যে রূপ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, আশির দশকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রধম বিদেশি বিনিয়োগকারী।

ইয়াংওয়ান ১৯৮০ সালের মে মাসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল রপ্তানি খাতে প্রথম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এই শিল্পে নারী কর্মসংস্থানের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।


বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিশ্বকে বদলে দিতে বাংলাদেশে ব্যবসা নিয়ে আসার জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৯ এপ্রিল) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি একথা বলেন।
এ সম্মেলনের সার্বিক আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বকে বদলে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রেজি আইডিয়ার দেশ... বাংলাদেশ তা সম্ভব করেও তুলছে।’
বক্তব্য দেওয়ার সময় অনেকটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এক সময় আমরা একটি ফসল উৎপাদন করতাম। আমাদের নাগরিকরা কৃষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এখানে অন্য কোনো পেশা ছিল না। তিন-চতুর্থাংশ কৃষক ছিলেন ভূমিহীন কৃষক। তাদের কোনো ভূমি ছিল না।’
‘তারা ছোট একটি ভূমি লিজ নিয়ে, একটি ফসল উৎপাদন করতেন জীবিকা নির্বাহের জন্য। এখানকার মানুষকে কঠিন জীবন যাপন করতে হতো। কিন্তু আজ আমরা সব বড় বড় শিল্পগুলো নিয়ে কথা বলছি। বিভিন্ন দেশ থেকে আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি আরও শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করতে। আমরা বড় বড় মার্কেট সম্পর্কে কথা বলছি। মেধাবী তরুণদের নিয়ে কথা বলছি,’ বলেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এটিই বাংলাদেশ। অল্পসময়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমরা এখানে এসেছি।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিহাক বাংলাদেশকে ভালোবাসেন, তিনি বাংলাদেশের জন্য কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রকৃতি ভালোবাসেন। এখন থেকে তিনি বাংলাদেশেরও বাসিন্দা।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন, তারা বাংলাদেশের নায়ক। তাদের সবার জন্য করতালি।’
স্পেন থেকে অস্কার গার্সিয়া, যুক্তরাজ্য থেকে রোজি উইন্টারটন এবং বাংলাদেশ থেকে নাসিম মঞ্জুর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বাংলাদেশে ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
৭ এপ্রিল শুরু হওয়া চার দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে দেশের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের সুযোগ এবং অর্থনৈতিক সংস্কার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা, জুলাই বিপ্লবের পর সংঘটিত অর্থনৈতিক সংস্কারকে তুলে ধরা এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পাইপলাইন তৈরির লক্ষ্যে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিনিয়োগকারী, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নির্বাহী এবং নীতিনির্ধারকরা।


পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা-সংক্রান্ত সভাশেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ সময় সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বলেন, এ বছর ব্যাপকভাবে বাংলা নববর্ষ পালন হবে। এ বিষয়টি সামনে রেখে এবার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য যা করা প্রয়োজন সেসব করা হচ্ছে।

নববর্ষ উদ্‌যাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি আছে কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, কোনো ধরনের সিকিউরিটি থ্রেট (নিরাপত্তা হুমকি) নেই।

অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ মাসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যতটুকু সন্তুষ্ট আমিও ততটুকু সন্তুষ্ট।

বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির শোরুমে ভাঙচুর করা হয়েছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব দোকানের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় পাশে বসা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে কি না, এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। সেখান থেকেই ১০ তারিখে সিদ্ধান্ত হবে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে সেহেতু তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। বিভিন্ন জায়গায় মেলাও হচ্ছে। বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী এতে অংশগ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা।


মিয়ানমার শিগগিরই সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গার নাম যাচাই-বাছাই শুরু করবে: ড. খলিলুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ শিগগিরই সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গার নাম যাচাই-বাছাই শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

ড. খলিলুর রহমান জানান, তিনি ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউ-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রত্যর্পণ উপযুক্ত আড়াই লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার জনকে চিহ্নিত করেছে।

৭০ হাজার রোহিঙ্গার নাম ও ছবির বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৬টি ব্যাচে মোট ৮ লাখ রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারকে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা বাকি সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা যতদ্রুত সম্ভব যাচাই-বাছাই শেষ করবে।

বিমসটেক সম্মেলনের অর্জন সম্পর্কে ড. খলিলুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী দুই বছরের জন্য বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর আঞ্চলিক জোটের (বিমসটেক) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিনি এই সংস্থাকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘বিমসটেকের সদর দপ্তর বর্তমানে ঢাকায় অবস্থিত, আমরা আশাবাদী যে সব দেশ মিলে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারব।’

বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বহুল আলোচিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি উল্লেখ করেন তিনি বলেন, তবে ঢাকা এ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নেবে।

সম্মেলনের সময় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সহযোগিতা-সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে সামুদ্রিক পরিবহন, বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি পাবে।’

ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলন সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়।


ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম এ নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বিবৃতিতে বলেন, সোমবার বেশ কয়েকটি শহরে গাজায় সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংস ও বেআইনি ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের অবমাননা। এখন পর্যন্ত, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দৃঢ় প্রয়াসে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

তদন্তে সহায়তা করতে পারে এমন তথ্য থাকা যে কাউকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, যারা আমাদের সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় তাদের জবাবদিহি করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো আইনসম্মত প্রতিবাদে বাধা দেয় না। তবে প্রতিবাদের নামে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না।

শফিকুল আলম আরও জানান, এ ঘটনায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, যখন আমরা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করতে একটি সামিট আয়োজন করেছি, তখন দেশের অভ্যন্তরে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল স্থানীয় উদ্যোক্তাদের, আবার কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারীর, যারা বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রেখে এখানে বিনিয়োগ করেছিলেন। এসব প্রতিষ্ঠান আমাদের যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। যারা এই বর্বর ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে, তারা প্রকৃতপক্ষে কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার শত্রু।

এদিকে গতকাল সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমকে জানান, গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।


মঙ্গল শোভাযাত্রার নামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ঢাবি: ফারুকী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আসন্ন পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠেয় চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কিনা সে বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সভা হবে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তের কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জানাবে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আজ কোনো আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে সেহেতু তারাই এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, চৈত্র-সংক্রান্তি ও নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা এবং সারা দেশজুড়ে বাঙালি ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কী কী অনুষ্ঠান হচ্ছে এর হাইলাইটগুলো নিয়ে আগামীকাল একটা সংবাদ সম্মেলন হবে। সেখানে আমরা লিখিত আকারে বিস্তারিত দিয়ে দেব কোথায়, কখন কী হবে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা কী নাম দিয়ে পালন করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুকী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করছে। তারাই আলোচনা করে নাম ঠিক করে আপনাদের জানাবেন। নাম পরিবর্তন হবে কী হবে না সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জানাবে। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোভাযাত্রাটা করে। তাই তারাই নির্ধারণ করবেন।

সাংবাদিকরা তাকে আগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এর আগে বলেছেন যে এ বছর শোভাযাত্রা আরও বেশি ইনক্লুসিভ হবে, সেটা কীভাবে করবেন বা কী কী থাকছে?’ এর উত্তরে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকারী নাটক ও ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নির্দেশক কিছুটা নাটকীয়তা রেখে বলেন, এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালিসহ অন্যান্য ২৬টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে। এটা সরকারি উদ্যোগে হবে। এখনই বান্দরবানে নৃ-গোষ্ঠীর আয়োজনে মেলা চলছে। চৈত্র সংক্রান্তিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী উৎসব করতে পারে। এর বাইরে কী কী থাকবে সেটা জানতে হলে অনুষ্ঠানে এসে দেখতে হবে। এখন বলে দিলে তো আর আগ্রহ থাকবে না।

শোভাযাত্রার নাম ইউনেসকো থেকে স্বীকৃত, সেটার নাম পরিবর্তনের বিষয়টা একা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ছেড়ে দিচ্ছেন এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা থাকবে কিনা জানতে চাইলে ফারুকী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে, তারা নেতৃত্বে থাকে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার সারা দেশ নিয়ে ভাবে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। সরকার সবকিছু নিয়ে ভাবে। সরকার নিশ্চয়ই ভাববে।


banner close