বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১

সস্তার বিদ্যুৎ এখন গলার কাঁটা

আপডেটেড
২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৫:০৯
আরিফুজ্জামান তুহিন
প্রকাশিত
আরিফুজ্জামান তুহিন
প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:১৪

কয়লার দহন মান বা ক্যালরিফিক মান ৪৬০০ হলে বিশ্ববাজারে প্রতি টনের দাম ১৫০ ডলার। জাহাজ ভাড়া ৫০ ডলার যোগ হলে প্রতি টনের দাম বড়জোর ২০০ ডলার হওয়ার কথা। কিন্তু এই মানের কয়লা আদানি গ্রুপ ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কিনছে ৩৪৭ ডলারে। এতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়ছে ২৪ টাকা ২৮ পয়সা।

অথচ বাংলাদেশের পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫০৪০ ক্যালরিফিক মানের কয়লা কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছাতে খরচ পড়ছে ২৪৭ ডলার এবং কেন্দ্রটির ইউনিটপ্রতি ব্যয় পড়ছে ১৩ টাকার কিছু বেশি।

পায়রা ও গোড্ডার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে এই খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ২৫ বছর আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে বড় অর্থঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

শুধু আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের দামই বেশি পড়বে, এমন নয়। আমদানি করা কয়লাচালিত পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয়ও অনেক বেশি। এর মধ্যে আদানি ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ বা কেন্দ্র ভাড়াও দেয়া হয়েছে বেশি। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রকে দেয়া হয়েছে ৪.২৫ ইউএস সেন্ট যা বর্তমান দেশি মুদ্রায় ৪.৫৪৫৪ টাকা, আর রামপালকে দেয়া হয়েছে ৪.৮৫ ইউএস সেন্ট বা দেশি মুদ্রায় ৫.১৮৭০ টাকা। আদানি ভারতের বৃহৎ গ্রুপ আর রামপালে ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান এনটিপিসির মালিকানা রয়েছে।

পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞদের বিরোধিতার মুখে বাগেরহাটের সুন্দরবনের পাশে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর হলেও এটি কম মূল্যে বিদ্যুৎ দেবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় অনেক চড়া।

এমনকি সৌরবিদ্যুৎ থেকেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি। তা ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট চালু হয় গত ডিসেম্বরে। কিন্তু ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে যেতে পারছে না কারিগরি ত্রুটির কারণে। আদৌ কেন্দ্রটি পূর্ণ সক্ষমতায় চলবে কি না, তা নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশ্ন উঠেছে, পরিবেশের ওপর ঝুঁকি বাড়িয়ে অর্থনীতিতে নাজুক অবস্থায় ফেলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে কতটা লাভবান হবে বাংলাদেশ।

এ রকম পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা আদানি গ্রুপের কর্তাব্যক্তির সঙ্গে কয়লার দাম কমানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। এ ছাড়া রামপাল কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ নতুন করে কীভাবে নির্ধারণ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘কয়লার দাম কেন বেশি পড়ছে সেটি আমরা আলোচনা করেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে ওদের কাছে জানতে চাইব।’ তিনি বলেন, ‘ওরা নিউ ক্যাসেল ইনডেক্সে কয়লা কিনছে। নিউ ক্যাসেল ইনডেক্সে কয়লার দাম একটু বেশি। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক এই ইনডেক্স করা হয়েছে কয়লার বাজারে চীন যেন ঢুকতে না পারে।’

২০১৬ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে পিডিবির বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুসারে আদানি ভারতের ঝাড়খন্ডে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে, সেখানকার বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে। তখন প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছিল ৮.২৫ ইউএস সেন্ট। এই বিদ্যুৎ আগামী ২৫ বছর কিনবে বাংলাদেশ। ৭৫০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটে মোট ১৫০০ মেগাওয়াট স্থাপিত ক্ষমতা হবে কেন্দ্রটির।

কয়লায় কি আদানির কারসাজি?
দেশের যেকোনো বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত জ্বালানির যে আন্তর্জাতিক দাম সেই অর্থ পরিশোধ করে থাকে পিডিবি। বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করার সময় জ্বালানির দাম, কেন্দ্রভাড়া, কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ-সব মিলিয়ে বিল করা হয়। জ্বালানির দাম ছাড়া অন্য অর্থ নির্দিষ্ট থাকে, এটি বাড়ে না। ফলে কোনো বেসরকারি কেন্দ্র যদি জ্বালানির দাম বাড়তি দেখাতে পারে তাহলে ওই কেন্দ্রের বিদ্যুতের দামও বেড়ে যায়।

ভারতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা কমদামে কয়লা কিনে বেশি দাম (ওভার ইনভয়েসিং) দেখায়। বিষয়টি নিয়ে ভারতের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ (ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্ট বা ডিআরআই) ২০১৬-এর জুলাইয়ে ভারত সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে বলা হয়, কয়লা আমদানিকারকরা আমদানির ক্ষেত্রে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ বেশি দাম দেখিয়েছে। এ অর্থ তারা পাচার করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ তালিকায় আদানি ও রিলায়েন্সের নাম রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের দুজন কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে দৈনিক বাংলাকে বলেছেন, ‘আদানি ৪৬০০ ক্যালরিফিক মানের কয়লার দাম দেখাচ্ছে ৩৪৬ ডলার প্রতি টন। অথচ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র ৫০৪০ ক্যালরিফিক মানের কয়লা কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছানোর পর খরচ পড়ছে ২৪৭ ডলার। পায়রা কয়লা কেনে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসেল ইনডেক্স অনুযায়ী, আদানিও কয়লার দাম দেখাচ্ছে নিউ ক্যাসেল ইনডেক্স অনুযায়ী। অথচ টনপ্রতি ১৫০ ডলারের বেশি দাম দেখাচ্ছে আদানি।’

তারা বলেন, ‘সম্প্রতি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও পিডিবির চেয়ারম্যান ভারতে গিয়ে আদানির কর্তাব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কয়লার দাম বেশি পড়ছে সেটি তারা বলে এসেছেন। এখন কীভাবে কয়লার দাম কমানো যায়, সেটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে।’

কয়লা বিদ্যুতের দাম কম পড়ছে না
আদানি গ্রুপের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে পড়বে ২৪ টাকা ২৮ পয়সা। এর মধ্যে কেন্দ্রভাড়া ধরা হয়েছে ৪.২৫ ইউএস সেন্ট যা বর্তমান দেশি মুদ্রায় ৪.৫৪৫৪ টাকা। বছরে কেন্দ্রটির ১৫০০ মেগাওয়াটের স্থাপিত ক্ষমতা বাবদ কেন্দ্রভাড়া দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে ৪.৮৫ ইউএস সেন্ট বা দেশি মুদ্রায় ৫.১৮৭০ টাকা। দেশে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রভাড়া পেয়েছে রামপাল। কেন্দ্রটি বছরে শুধু কেন্দ্রভাড়াই পাবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।

চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে এস আলম গ্রুপের ১২২৪ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে প্রতি ইউনিটে ৪.৪১ ইউএস সেন্টস বা ৪.৭১ টাকা। কেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত করা হবে ৪৬০০ ক্যালরিফিক মানের কয়লা, যার প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ২৫৪.৩৮ ডলার। কেন্দ্রটি বছরে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই পাবে ৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। কেন্দ্রটির প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় ১৮.৩৯ টাকা।

বরগুনায় অবস্থিত বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার লিমিটেডের ৩০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ৪৬০০ ক্যালরিফিক মানের কয়লা। এই মানের কয়লার দাম উদ্যোক্তারা দেখিয়েছেন ২৭০ ডলার। কেন্দ্রটিকে ক্যাপাসিটি চার্জ ইউনিটপ্রতি দেয়া হয়েছে ৩.৩৯ ইউএস সেন্টস আর দেশি মুদ্রায় ৩.৯৪ পয়সা। বছরে কেন্দ্রটি ক্যাপাসিটি চার্জ পাবে ১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। কেন্দ্রটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম পড়ছে ১৮.৮৪ টাকা।

পটুয়াখালীর পায়রায় চীনা সরকারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি ও সরকারের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশনের সমান মালিকানায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয় ইউনিটপ্রতি ২.৬৫ ইউএস সেন্টস বা দেশি মুদ্রায় ২.৮৩ টাকা। ১২৪৪ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি সারা বছরে কেন্দ্রভাড়া পাবে ৩ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এই কেন্দ্রটির বর্তমানে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ১৩.৩৭ টাকা। কেন্দ্রটিতে ৫০৪০ ক্যালরিফিক মানের কয়লার দাম পড়ছে ২৪৫ ডলার।

এই পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় উৎপাদন ব্যয় ১৩.৩৭ থেকে ২৪.২৮ টাকা পড়ছে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে সরকার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে গড়ে ১১ ইউএস সেন্টসে বা ১১.৭৬ টাকা প্রতি ইউনিটের বিদ্যুতের দাম দিয়ে অনুমতি দিয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে না, ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে বিদেশি মুদ্রার রির্জাভের ওপর টান পড়ে না। অন্যদিকে কয়লা, গ্যাস ও তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর জ্বালানি আমদানি করতে হয় ডলার দিয়ে। এতে বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর বড় টান পড়ছে।

রামপাল কি পূর্ণ সক্ষমতায় চলবে?
গত ডিসেম্বর থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ১৩২০ মেগাওয়াটের ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এই কেন্দ্রটির স্থাপিত ক্ষমতা ধরা হয়েছে ৬১৭ মেগাওয়াট। এর মধ্যে কেন্দ্রটি একাধিকবার যান্ত্রিক কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।

নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পিডিবির এক কর্মকর্তা দৈনিক বাংলাকে বলেছেন, ‘কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর কখনোই ৬১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতায় চালু করতে পারেনি। কেন্দ্রটি ৫৪০ মেগাওয়াটের ওপর উৎপাদন করতে গেলেই বয়লারের মধ্যে থাকা টিউব ফেটে যায়। এই কেন্দ্রটির উৎপাদনে থাকা প্রথম ইউনিটটি তার পূর্ণসক্ষমতা বা কেন্দ্রভাড়া পাবে যে স্থাপিত ক্ষমতার ভিত্তিতে, সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে না। রামপালের ক্যাপাসিটি ৬১৭ মেগাওয়াট ধরা হয়েছে, আর উৎপাদন করতে পারে সর্বোচ্চ ৫৪০। কেন্দ্রটি ঘোষিত স্থাপিত ক্ষমতার অন্তত ৭০ মেগাওয়াট কম করে থাকে। এই ৭০ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটি চার্জ তৃতীয় পক্ষ দিয়ে নিরীক্ষা না হলে রামপাল বছরে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা বেশি নেবে।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগ এখন কেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি চার্জ নতুন করে নির্ধারণ করতে চায়। বিদ্যুৎ বিভাগ বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে কেন্দ্রটির স্থাপিত ক্ষমতা নিরীক্ষা করবে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অধ্যাপক এম শামসুল আলম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো আমাদের ডলারের মজুতের ওপর টান বসিয়েছে, আগামীতে আরও বসাবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভে বড় সংকট তৈরি করবে। আর কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ, কয়লার দাম অনেক বেশি। আদানির কেন্দ্রতো রীতিমতো ভয়াবহ। এ রকম পরিস্থিতিতে এসব কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ ও জ্বালানির দামের বিষয়ে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তৃতীয় পক্ষকে যুক্ত করে বোঝা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘কয়লা সস্তা বলে সরকার ব্যাপক আকারে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করল। এখন দেখা যাচ্ছে কয়লার চেয়ে সৌরবিদ্যুতের দাম কম। আমাদের কম দামে দেশীয় জ্বালানির ওপর নির্ভর করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সৌরবিদ্যুৎ বড় সহায় হতে পারে।’


ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের একটা শিডিউল চাওয়া হয়েছে এবং বৈঠকটি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনার আশা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান‌ তিনি।‌
ড. খলিলুর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে থাইল্যান্ডে বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ব্যাংককে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্মেলনে অংশ নিতে ৩-৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অবস্থান করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সফরে তার সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন থেকেই বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ দায়িত্ব গ্রহণ করবে প্রধান উপদেষ্টা। থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও এ সংগঠনের অন্য সদস্য দেশ হচ্ছে মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান।
ব্রিফিংয় প্রেস সচিব শফিকুল আলম‌, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।


চরমপন্থার সুযোগ কাউকে নিতে দেওয়া হবে না: তথ্য উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে চরমপন্থার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাউকে নিতে দেওয়া হবে না।’

বুধবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামে মাসুম মিয়ার কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উগ্রপন্থা যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে। নির্বাচনের মাধ্যমে যেন গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভূমিকা রাখতে পারি।’

যদি আলোচনা-সতর্কতায় কাজ না হয়, যদি দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হয়, সরকার অবশ্যই হার্ডলাইনে যাবে বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদের চেতনা যেন বাংলাদেশের জনগণ ধারণ করে। আমরা চেষ্টা করবো—গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের বিচার কাজ শেষ করে যেতে পারি। শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ সরকারের চেষ্টা আছে। জনগণ এটার সঙ্গে আছে। আমরা বিশ্বাস করি এ চেতনার সাথে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করবো।

গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতদিন আছি আমরা চাইব গণমাধ্যমের একটি গুণগত সংস্কারের জন্য। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনায় মফস্বল ও কেন্দ্র নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বাযক আবু রায়হান ও সদস্য সচিব রাশেদুল হাসানসহ স্থানীয় নেতারা।


লক্ষ্মীপুরে ১৬ শহীদ পরিবারের হাতে তারেক রহমানের উপহার সামগ্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে লক্ষ্মীপুরের ১৬ শহীদ পরিবারের হাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা এবং উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) মনিটর ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাবেক সদস্য সচিব ডা. খালেদ মাহমুদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী গোলাম রহমান রাজিব, সদস্য কৃষিবিদ ড. মু. আশ্রাফুল আলম, ডা. মেশকাত, প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন রনি প্রমূখ।


সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়নি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের মতো কিছুই হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ বুধবার দুপুরে ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ পুনর্মিলনীর উদ্দেশ্যে রাজধানীর বিভিন্ন থানা পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন পোস্টে কে কী বলল সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলেও জানান উপদেষ্টা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার দায়ে অনেক ক্ষেত্রে নিরীহ মানুষকে মামলা দেওয়া হচ্ছে যাদের নাম এজাহারে নেই— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি সত্য। এমনও অনেকে আছেন যাদের এজাহারে নাম আছে কিন্তু জড়িত নয়। এমন অনেকেই ছিল যারা তখন দেশের বাইরে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, এটা যাতে না হয় তাই সঠিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। শুধু থানার তদন্ত নয় এটার জন্য আলাদা কমিটিও করা হয়েছে। যেন কোনোভাবেই নিরীহ লোকজন সাজা না পায়। কোনোভাবেই কোনো দুষ্কৃতকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না।


সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া প্রস্তুত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় খসড়া প্রস্তুত হয়েছে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নামে অভিহিত হবে।

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সচিব সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হবেন।

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব সরকারের সিনিয়র সচিবের সমমর্যাদা ও সুবিধাদি ভোগ করবেন।

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে একজন সচিব এবং অন্যনা কর্মকর্তা ও কর্মচরীগণের সমন্বয়ে গঠিত হবে। খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ যথাযথরূপে পালনের জন্য একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক এবং এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও কর্মের শর্তসমূহ সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন। সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদে নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগ এর পৃথকীকরণকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই অধ্যাদেশের বিধানাবলি প্রাধান্য পাবে।

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একটি সচিবালয় থাকবে এবং তা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় নামে অভিহিত হবে। এই সচিবালয়ের কার্যাবলী বিষয়ে বলা হয়েছে, দেশের বিচার প্রশাসন পরিচালনায় সুপ্রিম কোর্টকে সহায়তা প্রদান করার নিমিত্ত অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল সাচিবিক দায়িত্ব পালন, সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন সাপেক্ষে রাজস্ব আদালতসমূহ ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রাণাধীন দেশের সকল অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা, এখতিয়ার, ক্ষমতা ও গঠন নির্ধারণ, হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রাণাধীন সকল আদালত বা ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ ও চাকুরির শর্তাবলী নির্ধারণ করবে এই সচিবালয়।

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়, অধস্তন আদালত ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের বাজেট ব্যবস্থাপনা, অধস্তন আদালত এবং বিচারকগণের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণ, অধস্তন আদালতের বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করবে এই সচিবালয়।

বিচার বিভাগের এই স্বতন্ত্র সচিবালয় বিচার সেবার মানোন্নয়ন ও বিচার বিভাগের সংস্কারে প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা, অন্যান্য দেশের বিচার বিভাগীয় সংস্থা, সাংবিধানিক আদালত এবং বিচার বিভাগ ও মানবাধিকার সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সম্মতি স্মারক সম্পাদন ও সহযোগিতা প্রদান করবে। প্রাসঙ্গিক কোন আইনের অধীনে অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবে।

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কার্য পদ্ধতি বিষয়ে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় সরকারের যে কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা অফিসের সঙ্গে অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। কোনো ব্যক্তি বা সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দপ্তর সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সাথে কোনো বিষয়ে যোগাযোগের প্রয়োজনবোধ করলে সরাসরি সচিবের সাথে বা তার দায়িত্ব পালনরত অপর কোনো কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবে। প্রধান বিচারপতি বিধি বা স্থায়ী আদেশ দ্বারা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কার্যাবলী বন্টন ও পরিচালনার ব্যবস্থা করতে পারবেন।

বিচার প্রশাসন সংক্রান্ত কমিটি বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগীয় নীতি নির্ধারণ, কর্মকৌশল উদ্ভাবন এবং দেশের বিচার প্রশাসনকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতির সমন্বয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখপূর্বক বিচার প্রশাসন সংক্রান্ত এক বা একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবেন। কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য কমিটির সভাপতি হবেন।

কমিটি তার নিজস্ব কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবে। কমিটি তার কর্মকান্ড সম্পর্কে সময়ে সময়ে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করবে। সচিবালয়সহ দেশের বিচার প্রশাসনের সকল প্রশাসনিক ব্যয় সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয় হবে। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের অনুকূলে সরকার কর্তৃক বাৎসরিক বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে ব্যয় করার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করা আবশ্যক হবে না। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় অনুমোদনে প্রধান বিচারপতি চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হবেন।

তবে প্রধান বিচারপতি আদেশ দ্বারা আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব বা অন্যান্য কর্মকর্তাগণের নিকট হস্তান্তর করতে পারবেন।


৭১’র জন্ম হয়েছে যে কারণে, ঠিক সে কারণেই জন্ম হয়েছে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, যে কারণে ৭১’র জন্ম হয়েছে, ঠিক সে কারণেই জন্ম হয়েছে ২৪ এর। বৈষম্যহীন এক সমাজের আকাঙ্ক্ষা থেকে বারবার এই জমিনে মুক্তির আন্দোলন হয়েছে। ১৯৪০ এর দশকে পাকিস্তান আন্দলনের মধ্য দিয়ে যেভাবে ১৯০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শোষনের বিরুদ্ধে আজাদীর লড়াই হয়েছিল, জমিদারী প্রথার বিলোপ হয়েছিল, রাজনৈতিক মুক্তি না অর্জিত হবার কারণে ৭১ সালে আবারো মুক্তির লড়াই এ ঝাপিয়ে পড়তে হয়েছিল এই জাতিকে। বাংলাদেশে ৫৩ বছরে বহু রাজনৈতিক নেতা ও দল খোলস পাল্টেছে। কিন্তু দেশের কোন উন্নয়ন হয়নি, তাই অধিকার আদায়ে ২০২৪ এ আবারো ছাত্র-জনতা-সিপাহীর সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঈদ উপলক্ষে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কর্মরত সাংবাদিক ও সুধীজনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল রহিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রকৌশলী কল্লোল চৌধুরী, সদস্যসচিব জিএম রাব্বি, যুগ্ন আহ্বায়ক জনাব হারুন, প্রকৌশলী মো. সুজন, যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক আহমেদ, ছায়া সরকার বিষয়ক সম্পাদক ডা. তানভীর।


‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে ১৪তম দূষিত শহর ঢাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টার ৩৫ মিনিটে ১১৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (বুধবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু এবং ইরাকের বাগদাদ শহরগুলি যথাক্রমে ৩৯৮, ২৩৮ এবং ১৯২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটির তথ্য খণ্ডন করেছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ বলেছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করছে, ইসলামী কট্টরপন্থীরা একটি উন্মোচন দেখছে’ শীর্ষক নিবন্ধটি বিভ্রান্তিকর।

প্রেস উইং তার যাচাইকৃত ফেসবুক পেজ-সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি বাংলাদেশের একটি বিভ্রান্তিকর ও একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে দেশটি ধর্মীয় চরমপন্থীদের নিয়ন্ত্রণের দ্বারপ্রান্তে’।

এই বয়ান কেবল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিশীলতাকে অতিরঞ্জিত করে না বরং ১৮ কোটি মানুষের একটি সমগ্র জাতিকে অন্যায়ভাবে কলঙ্কিত করার ঝুঁকির মুখেও ফেলে দেয়।

বিবৃতি বলা হয়, একটি বিভ্রান্তিকর চিত্র তুলে ধরার মতো বেছে বেছে উস্কানিমূলক উদাহরণের উপর নির্ভর করার পরিবর্তে বিগত বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও পরিস্থিতির জটিলতা স্বীকার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিবৃতিটি নিম্নরূপ :

১. বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করা :

নিবন্ধটিতে ধর্মীয় উত্তেজনা ও রক্ষণশীল আন্দোলনের কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলেও অগ্রগতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ নারীদের অবস্থার উন্নতিতে উলে¬খযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণের জন্য বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এটি এমন একটি সরকার যা নারীর অধিকার ও সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা নিবন্ধে তুলে ধরা আবছা চিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত।

এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল ‘যুব উৎসব ২০২৫’, যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৭ লক্ষ মেয়ে ৩,০০০ খেলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিল।

বিভিন্ন অঞ্চল, প্রান্তিক সম্প্রদায় এবং আদিবাসী যুবসমাজের ব্যাপক অংশগ্রহণ বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে নারী ও মেয়েদের স্বতঃস্ফূর্ত ও গতিশীল সম্পৃক্ততার প্রতিফলন।

একটি ফুটবল খেলা বিরোধিতার মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি অন্যান্য ২,৯৯৯টি ইভেন্টের সাফল্যকে মুছে ফেলে না, যা অসংখ্য অংশগ্রহণকারী ও সম্প্রদায় উদযাপন করেছিল।

একটি অনুষ্ঠানে একটি মাত্র বাধার বিষয়ে আলোকপাত করার মাধ্যমে দেশের যুবসমাজের, বিশেষ করে নারীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহন ও দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘চরমপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ট কঠোরভাবে প্রতিরোধ করেননি’ এই দাবি কেবল মিথ্যাই নয়, বরং এটি নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি তার আজীবন প্রতিশ্রুতিকেও উপেক্ষা করে।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস নারীর অধিকারের পক্ষে তার অবস্থানে অটল রয়েছেন। দুই কন্যার পিতা, ইউনূস তার সমগ্র কর্মজীবন এবং গ্রামীণ ব্যাংককে নারীর শক্তিতে তার গভীর বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছেন, যা শেষ পর্যন্ত তাকে নোবেল পুরষ্কার এনে দিয়েছে।

নারীর অধিকার এগিয়ে নেওয়া এবং তাদের স্বাধীনতা রক্ষায় তার নিষ্ঠা ও কাজ তার খ্যাতির ভিত্তি।

২. ধর্মীয় সহিংসতা সম্পর্কে ভুল ধারণা সংশোধন :

বাংলাদেশের মতো দেশে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ধর্মীয় সহিংসতার মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘটিত অনেক সংঘর্ষকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যদিও বাস্তবে, সেগুলো মূলত রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল।

রাজনৈতিক বিভিন্ন দল অনেক সময় সমর্থন লাভের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে, যা বিষয়টিকে জটিল করে তোলে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সাথে ধর্মীয় নিপীড়নের মিশ্রণের ঝুঁকি তৈরি করে। পুরো পরিস্থিতিকে একটি সাম্প্রদায়িক সংঘাত হিসাবে উপস্থাপন করা বিভ্রান্তিকর, কারণ এটি প্রকৃত রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক কারণগুলোকে উপেক্ষা করে।

অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তার প্রতিশ্রুতি সুস্পষ্ট করেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চলমান কাজ এবং সন্ত্রাসবাদ দমন প্রচেষ্টা এই প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে।

সামাজিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ভুল তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে ম্লান হওয়া উচিত নয়।

৩. বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের ভূমিকা :

বাংলাদেশ নীরবে এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটিতে রূপান্তরিত হচ্ছে, একটি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় যা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রচুর সুযোগের প্রতিশ্রুতি দেয়।

সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে যা উল্লেখযোগ্য স্থিতিস্থাপকতার প্রতিফলন।

গত সাত মাসে, রপ্তানি প্রায় ১২% বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার পরেও ব্যাংকিং খাত গতিশীল রয়েছে এবং স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।

সামনের দিকে তাকালে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৮৪ বছর বয়সী মুহাম্মদ ইউনূস গত আট মাস ধরে যেসব অবিশ্বাস্য কাজ সম্পন্ন করেছেন তার স্বীকৃতি কোথায়? বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য তিনি সারা বিশ্বজুড়ে সফর করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।

গত সপ্তাহে চীন সফরের সময় চীন সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ, বিনিয়োগ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ঢাকা আগামী সপ্তাহে, বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন আয়োজন করবে, যেখানে ৫০টি দেশের ২,৩০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করবেন, যার মধ্যে মেটা, উবার ও স্যামসাংয়ের মতো বৈশ্বিক কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারাও থাকবেন।

বিশ্ব ক্রমবর্ধমানভাবে বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এটি হচ্ছে আশা, শক্তি ও অভূতপূর্ব সুযোগের গল্প - যা সম্মান ও যথাযথ বিবেচনার দাবি রাখে।

৪. অতি সরলীকরণ এড়িয়ে চলা এবং একটি জাতিকে অপবাদ দেয়া :

নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে কয়েকটি ঘটনার উলে¬খ রয়েছে, যেমন একজন মহিলার উপর নির্যাতনকারী একজন ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, যা একটি দেশের চরমপন্থায় পতিত হওয়ার চিত্র তুলে ধরে।

এটি কেবল বিভ্রান্তিকরই নয় বরং ক্ষতিকারক। ১৮ কোটি জনসংখ্যার একটি দেশে, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দ্বারা সমগ্র দেশকে সংজ্ঞায়িত করা অযৌক্তিক।

বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় ও গতিশীল সমাজ যেখানে সহনশীলতা, সংস্কৃতি এবং প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।

ধর্মীয় উগ্রবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ একা নয়; এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা যা অনেক দেশ বিভিন্ন রূপে মোকাবেলা করে।

তবে, আইন প্রয়োগ, সামাজিক সংস্কার ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য ক্রমাগত কাজ করে আসছে।

মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান বা অন্য যে কোনও সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যাকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিভিন্ন সমাবেশে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানোর জন্য সবসময়ই কট্টরপন্থীরা সক্রিয় থাকলেও তাদের ক্ষোভে ঘৃতাহুতি না দেয়া আমাদের দায়িত্ব।

এছাড়া, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে চরমপন্থার উত্থান অনিবার্য এমন চিন্তা অত্যন্ত পূর্বধারণাপ্রসূত।

দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজ এমন শক্তিশালী যা চরমপন্থী মতাদর্শের উত্থানকে প্রতিহত করে চলেছে।

চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী গতিধারা কেবল চরমপন্থীদের কর্মকাণ্ড দ্বারা নির্ধারিত হবে না।

বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে এর যুবসমাজ ও মহিলারা একটি ন্যায়সঙ্গত, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

পরিশেষে, বাংলাদেশের সহনশীলতার ইতিহাস, গণতন্ত্রের প্রতি তার অঙ্গীকার এবং নারীর ক্ষমতায়নের উপর তার মনোযোগ এই সত্যের প্রমাণ যে, দেশটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এগিয়ে যাবে।

কয়েকটি নেতিবাচক উদাহরণের উপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে, আমাদের আজকের বাংলাদেশকে সংজ্ঞায়িত করে এমন অগ্রগতি, সহনশীলতা ও দৃঢ় অঙ্গীকারের ব্যাপকতর চিত্রটির স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।


অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : তথ্য উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গুম-খুন করে তার বাবা-মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মানুষ যখন ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন, তখনই সবচেয়ে বেশি গুম করা হয়েছিল। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করা।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন মায়ের ডাক-এর উদ্যোগে গুমের শিকার মানুষের স্বজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তথ্য উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে এদেশে আর রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিলেই আবার দেশে গুম-খুনের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা মানুষের সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। এখনো ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, যা খুবই দুঃখজনক। বর্তমান সরকার হারানো মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে।

মাহফুজ আলম বলেন, সরকার ইতোমধ্যে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী গুমের সঙ্গে জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।

বিগত সরকারের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, যারা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করেছেন, তাদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে গুম করা হয়েছে এবং তাদের স্বজনদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। গুমের কাজে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও ব্যবহার করা হয়েছিল। মতবিনিময় সভায় গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন এবং গুম হওয়া স্বজনদের সন্ধান চান।


মিয়ানমারে দ্বিতীয় দফায় পাঠানো হলো ত্রাণসহ উদ্ধারকারী দল

ত্রাণসামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল নিয়ে বিমানগুলো যাত্রা করার আগে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে ব্রিফিং করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দ্বিতীয় দফায় জরুরি ওষুধ, চিকিৎসক দল, ত্রাণসামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ও বিমান বাহিনীর দুটিসহ মোট তিনটি পরিবহন বিমান উদ্ধার সরঞ্জামাদিসহ একটি উদ্ধারকারী দল, জরুরি ওষুধ সামগ্রীসহ একটি চিকিৎসক দল এবং ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
৩৪ জন উদ্ধারকারী ও ২১ জন চিকিৎসাকর্মী মিলিয়ে মোট ৫৫ জনের একটি দল এই মিশনে অংশ নিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর কর্নেল মো. শামীম ইফতেখারের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান ও জরুরি চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করবে দলটি।
উদ্ধারকারীদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ২১ জন, নৌবাহিনীর দুজন, বিমানবাহিনীর একজন ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০ সদস্য রয়েছেন। চিকিৎসা সহায়তা দলে রয়েছেন সেনাবাহিনীর ১০ জন, নৌবাহিনীর একজন, বিমানবাহিনীর দুজন ও অসামরিক ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দ্বিতীয় দফায় পাঠানো ১৫ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, তাঁবু, স্বাস্থ্যবিধি পণ্য ও ঔষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী।
এর আগে, গত রোববার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে প্রথম দফায় মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়। সেই মিশনে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার ও একটি মেডিকেল টিম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গত শুক্রবার দিনের মাঝামাঝি সময়ে এশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে মিয়ানমারে। এরপর থেকে সেখানে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে দেশটির সামরিক সরকার। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ হাজার ৯০০ মানুষ। ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও প্রায় ২৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সূত্র: ইউএনবি


ছুটি কাটিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু

চলতে শুরু করেছে আন্তঃনগর ট্রেনও
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঈদের দিন ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে চলাচল করা গণপরিবহন মেট্রোরেল চলতে শুরু করেছে।
ঈদের আগে এক বিশেষ ঘোষণায় মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ উপলক্ষ্যে শুধুমাত্র ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। অন্য দিনগুলোতে যথা নিয়মে মেট্রোরেল চলাচল অব্যাহত থাকবে।
মেট্রোর প্রথম ট্রিপ হিসেবে মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এবং মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়
অন্যদিকে ঈদের আগে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, ঈদের দিন সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে সব ট্রেনের ডে-অফ বাতিল থাকবে এবং ঈদের পর তা আবার কার্যকর হবে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনের প্রথম ট্রেন হিসেবে পর্যটক এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে।


শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটালেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাতে নামাজ শেষে শহীদদের বাসায় যান তিনি।

এদিন নামাজের পর জুলাই আন্দোলনে শহীদ ফারহানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির। তিনি শহীদ ফারহানের মা-বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ ফারহানের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান ও কামাল হোসাইনসহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা।

একই দিন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হামলায় শহীদ হওয়া সাইফুল্লাহ মো. মাসুম ও হাফেজ শিপনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি শহীদ মাসুম ও শিপনের মা, বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন ও পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

এ ছাড়া সোমবার বিকালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দশম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। তিনি শহিদ শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ছয় বছরের শিশু জাবির ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির। তিনি শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনের শহীদ পিকআপ ভ্যানচালক রানা তালুকদারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার মা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের সার্বিক খোঁজখবর নেন তিনি।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আরেক শহীদ জুবায়েরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি জুবায়েরর বাবা এবং দুই সন্তানের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন ও পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন । একই দিন জুলাই আন্দোলনের শহীদ আসাদুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি শহিদ পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন। জামায়াত আমির শহিদ আসাদুল্লাহর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সদ্যজাত সন্তানকে কোলে তুলে নেন ও পরম স্নেহ-মমতায় আদর করেন।

জুলাই আন্দোলনে পানি বিতরণ করার সময় শহীদ মীর মুগ্ধের বাসায়ও যান জামায়াত আমির। তিনি মীর মুগ্ধর বাবা, ছোট ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ মীর মুগ্ধর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

এছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ তামীম ও শহীদ সিফাত-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন ডা. শফিকুর রহমান।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ তিনি মিরপুরে শহীদ তামীম ও শহীদ সিফাত-এর বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত করেন।

এ সময় তার সাথে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসাসহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

আজ রাত ৯টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারর্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল মাহমুদ টুকু, জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস.এম ফজলুল হক, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম ফজলুল হক মিলন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।


banner close