শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

বিচারিক আদালতকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আপডেটেড
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:২৯
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:২৭

বিচারিক আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

বিচারিক আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আইনসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্টের ১০ আইনজীবী।

নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়। তা না হলে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলে ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল।

নোটিশের জবাব না পেয়ে ১০ আইনজীবী আজ হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনকারী ১০ জন আইনজীবী হলেন, জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।

রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান, যার সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত। এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অথচ, এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, নির্যাতন বিরোধী আন্তর্জাতিক সনদসহ অন্যান্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দলিল এই ধরনের আচরণ অনুমোদন করে না। অন্ধকার যুগে মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে রাখা হতো। এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো। বর্তমানে নিম্ন আদালতে এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে মূলত নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার জন্যও এই খাঁচা ব্যবহার করা হয়। তাদের এই খাঁচায় ঢোকানো হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময়ও জামিনে থাকা আসামিদের খাঁচায় ঢুকিয়ে রাখা হয়। রিটে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এরই মধ্যে স্থাপিত লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক কেন প্রতিস্থাপন করা হবে না-এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। যেসব আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে, তার একটি তালিকা হাইকোর্টে দাখিলেও অন্তর্বতীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে।’

বিষয়:

হাইকোর্টের ৪৮টি বেঞ্চে কাল থেকে বিচারকাজ শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঈদুল ফিতরের ছুটি, সরকারি ও অবকাশকালীন ছুটি শেষে কাল রোববার ২০ এপ্রিল থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ৪৮টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর মধ্যে রয়েছে ৩০টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ১৮টি একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

প্রধান বিচারপতি নির্দেশিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ২০২৫ সালের ৯৪ নং বেঞ্চ গঠন বিধিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল রোববার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট হতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য নিম্নে উল্লেখিত বেঞ্চসমূহ গঠন করা হইল।

দুজন করে বিচারপতির সমন্বয়ে যে ৩০টি (ডিভিশন) দ্বৈত বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে সেগুলো হলো: বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. মনসুর আলমের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি মোঃ তৌফিক ইনামের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এ, কে, এম, জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি এ, এস, এম, আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজা'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম ও বিচারপতি কে, এম, ইমরুল কায়েশের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি কে, এম, হাফিজুল আলম ও বিচারপতি মো. আব্দুল মান্নানের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা'র ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের ডিভিশন বেঞ্চ।

১৮টি একক হাইকোর্ট বেঞ্চে যারা বিচারকাজ পরিচালনা করবেন তারা হলেন: বিচারপতি আবদুর রব, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বিচারপতি ফরিদ আহমেদ, বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের, বিচারপতি মাহমুদুল হক, বিচারপতি জাফর আহমেদ, বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি মো. সেলিম, বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বিচারপতি মো. খায়রুল আলম, বিচারপতি আহমেদ সোহেল, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি মোঃ আতাবুল্লাহ, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি এ, কে, এম রবিউল হাসান।

এসব বেঞ্চ সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। গত ২০ মার্চ থেকে ছুটি ও অবকাশের কারণে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে, এ সময়ে জরুরি মামলা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিষ্পত্তি হয় অবকাশকালীন বেঞ্চ ও আপিল বিভাগে চেম্বার কোর্টে।


অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারে কমিটি গঠন হচ্ছে: রিজওয়ানা হাসান

আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:০৪
ইউএনবি

অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে ও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এরআগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রিজওয়ানা বলেন, বৈঠকে ব্যাংকিং খাতের কিছু বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছে, সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ, ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ। এছাড়া রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশে এবং গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশেও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশগুলো নিয়ে আলোচনার সময় আমাদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে অর্থনৈতিক অপরাধ যে গোষ্ঠীগুলো করেছে, তাদের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ জন্য প্রাথমিক কাজগুলো হয়েছে। এখন অর্থনৈতিক অপরাধে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করার জন্য আলাদা একটি কমিটি গঠন করেছি।’

জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সইয়ের সিদ্ধান্ত

পানিসম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মধ্যে আমরাই প্রথম এই কনভেনশনে সই করতে যাচ্ছি।

‘আর আমাদের অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা সবসময় বলি, আমরা আন্তর্জাতিক আইনগুলোতে কেন সই করছি না। এই অভিন্ন জলরাশির পানির ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুটো আইন আছে জাতিসংঘে। একটি হচ্ছে জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭, আরেকটি হচ্ছে ১৯৯২ কনভেনশন,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ কনভেনশন কার্যকর হয় ১৯১৪ সালে। অর্থাৎ উজানের দেশগুলোর অনীহার কারণে মাত্র ৩৬টি দেশের সই লাগত। সেই সই পেতে ১৭ বছরেরও বেশি লেগে যায়। আরেকটি আইন হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টার্গেট করে ১৯৯২ সালে আরেকটি আইন করা হয়েছিল। এটি ২০১৬ সালে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।

‘এ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের প্রায় ১১টি দেশ আইনটিতে সই করেছে। তারমধ্যে বেশিরভাগ দেশ আফ্রিকান। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই কনভেনশনে আমরা অনুস্বাক্ষর করবো,’ বলেন এই উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, ‘এরআগে যত প্রক্রিয়া ছিল, সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা, আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা করা, ওই কনভেনশনের সেক্রেটারিয়েট থেকে লোক আসা—সবই আমাদের হয়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কনভেনশন অব দ্য প্রটেকশন এন্ড ইউজ অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটারকোর্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল লেক ১৯৯২-এ সই করবো। বাংলাদেশকে দিয়েই এশিয়ার দেশগুলোর স্বাক্ষর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।’


সাবেক এমপি বাহাউদ্দিনের জমি-বাড়ি জব্দের আদেশ

আদেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধেরও
সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন ও মেয়ে সাবেক মেয়র সূচনা। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:৩৬
বাসস

কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম. বাহাউদ্দিনের কুমিল্লার মনোহরপুরে ১৫ শতক জমি ও একটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

এ ছাড়া বাহার ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আবেদনে জব্দ হওয়া বাড়ি নির্মাণে বিনিয়োগ ১৬ কোটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া জমির মূল্য ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন পলাতক অবস্থায় স্থাবর সম্পদ বিক্রয় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত্রের স্বার্থে সম্পত্তিগুলো ক্রোক এবং অবরুদ্ধকরণ করা প্রয়োজন।


পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা: আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন 

পুলিশ পরিদর্শক মামুন, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন-সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিনদিন পরে তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।


‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১৩ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল)। তাকে ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষা যেন শেষই হচ্ছে না পরিবারের। এমনকি তিনি জীবিত, না মৃত– সে রহস্যও কাটেনি। তাকে অক্ষতভাবে ফিরে পাওয়ার আশায় এখনও অপেক্ষার প্রহর গুনছে তার পরিবার ও নেতাকর্মীরা।

২০১২ সালের এই দিনে ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন তিনি। এর পর তাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। হরতাল, মিছিল-মিটিং চলে বছরের পর বছর। প্রিয় নেতাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে নিজ এলাকা বিশ্বনাথে গুলিতে প্রাণ দেন তিন নেতাকর্মী।

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য নিশ্চিত না করায় এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মাঝেমধ্যে ইলিয়াস আলীর সন্ধান পাওয়া গেছে– এমন খবরে নতুন করে আশায় বুক বাঁধলেও পরক্ষণে তা ম্লান হয়ে যায়।

সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। ‘আয়নাঘরে’ তাকে পাওয়া গেছে— এমন খবরও প্রচার করা হয়।

এমনকি গত বছরের ১৯ আগস্ট সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর মাদ্রাসায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন এবং বিদেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দাবি করে বক্তব্য দেন বিএনপির এক নেতা।পরে ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা সেটিকে গুজব বলে মন্তব্য করেন।

৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর স্বামীকে ফিরে পেতে গুম কমিশনে আবেদন করেন লুনা। কিন্তু সেই আবেদনেরও কোনো অগ্রগতি নেই দাবি করে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ইলিয়াস আলীকে অক্ষতভাবে ফেরতের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার রামধানায় পারিবারিকভাবে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা বিএনপি আজ (বুহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন ও দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। এ ছাড়া সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল।

তিনি জানান, ‘১৩ বছর ধরে প্রিয় নেতাকে ফিরে পাওয়ার দাবি করা হচ্ছে। অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকার তাঁকে গুম করে রাখে। কিন্তু আজও তার সন্ধান মেলেনি।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখনও আশা ছাড়িনি। ইলিয়াস আলীর প্রতীক্ষায় আছি। তিনি এমন এক নেতা, যার জন্য প্রাণ দিয়েছেন কর্মীরা।’


রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিল ১৮ মে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।


প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মডেল মেঘনা আলমকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে গ্রেফতার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। গ্রেফতার দেখানোর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।


এস আলম-ঘনিষ্ঠদের ১৩৭৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৬৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে এক হাজার ৩৭৪ কোটি ৬১ লাখ ৭ হাজার ২২১ টাকা রয়েছে।

বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের করা আবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সাবেক ডিএমডি মো. আকিজ উদ্দিন (এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব) ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মর্জিনা আক্তার ও মো. সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এস আলম গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনামে ভুয়া ঋণ ও বিনিয়োগ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। তারা মানি লন্ডারিং অপরাধ সংগঠন করে বিদেশে টাকা পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বর্ণিত ব্যক্তিরা ও তার পরিবারের সদস্যরা ব্যাংক হিসাবের অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে ওই টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পরবে। তাই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ১০ ও ১৪ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭-এর ১৮ ধারার বিধান মতে ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।


সাইফুজ্জামান শেখর, মোল্যা নজরুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ফ্ল্যাট-জমি জব্দসহ শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ
সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর ও পুলিশ ডিআইজি মোল্যা নজরুল। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর, তার স্ত্রী সিমা রহমান ও কারাগারে আটক থাকা পুলিশের ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন, ফরিদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত) সুভাষ চন্দ্র সাহা ও বিবিএসের প্রশ্নফাঁসের হোতা সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী। একই সঙ্গে মোল্যা নজরুল ইসলামের নামে ঢাকার দুটি ফ্ল্যাটসহ চারটি পৃথক দলিলে থাকা ১৬ দশমিক ৫৩ কাঠা জমি জব্দের আদেশের পাশাপাশি তার নামে থাকা ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৬ টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশও দিয়েছেন একই আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক চারটি আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এদিন পৃথক চারটি আবেদনে অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ও তদন্তকাজ চলমান থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। অন্য আরেকটি আবেদনে মোল্যা নজরুলের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, শেয়ার অবরুদ্ধের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় সারদার পুলিশ একাডেমি থেকে মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে। গত ৭ জানুয়ারি সাইফুজ্জামান শিখর এবং তার স্ত্রী সীমা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি মামলা করে দুদক। সাইফুজ্জামান শেখর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন। তিনি মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তবে সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামের নামে মামলা করেছে দুদক।

অন্যদিকে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদপুরের সাবেক এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, সুভাষ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৭ টাকা এবং তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৯ কোটি ১৪ লাখ ৯ হাজার ৩১৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।


মেহের আফরোজ চুমকির ব্যাংক হিসাবসহ ফ্ল্যাট অবরুদ্ধের আদেশ

সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির পাঁচটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ২ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ টাকা জমা রয়েছে। এছাড়া রাজধানীতে তার নামে থাকা ৩১১৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ক্রোকেরও আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বনানীতে থাকা ফ্ল্যাটটির মূল্য ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি মেহের আফরোজ ওরফে মেহের আফরোজ চুমকি নামে স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধকরণ/ক্রোক করা আবশ্যক।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মেহের আফরোজের (চুমকি) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এজহারে বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৯টি ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ১৭৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।


আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় ছয়টি লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, একটি মামলার (আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর) তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে চলে এসেছে। এছাড়া বাকি তিন থেকে চারটি মামলার তদন্ত ফিনিশিং টাচ চলছে। আশা করি ঈদের পর-পরই এই রিপোর্টগুলো আমাদের হাতে চলে আসবে। রিপোর্টগুলো আসার সাথে সাথেই আমরা পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে ফেলবো। চার্জ গঠনের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।

লাশ পোড়ানোর নৃশংস ঘটনার বিষয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।

এদিকে, লাশ পোড়ানোর ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। দুটি অভিযোগই অভিন্ন হওয়ায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় সাইফুল ইসলাম পলাতক থাকলেও ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের এক রায়কে কেন্দ্র করে ফুসে উঠে ছাত্র জনতা। এ আন্দোলন নির্মূলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে হত্যা গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। টানা ৩৬ দিনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়। আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।


সব মামলায় খালাস তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হত্যা মামলা থেকে দায়মুক্তির উদ্দেশ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে করা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৮ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহা. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

এর ফলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে আর কোনো মামলা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

আইনজীবী বোরহান উদ্দিন জানান, আসামিদের বিপক্ষে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি দুদক। তাই তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ফলে বিচারিক আদালতে তারেক রহমান ও বাবরের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। এতে তারেক রহমানের দেশে ফিরে রাজনীতি করতে আর কোনো বাধা নেই।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, একটি শিল্পগোষ্ঠীর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যা মামলার আসামি সাফিয়াত সোবহান সানভীরকে দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করা হয়। এতে এক-এগারোর সময় বাদী হয়ে মামলা করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।


হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ছয় দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাকে অপসারণ করেছেন।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা ছয় (৬) মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে বিচারক পদ থেকে ১৮ মার্চ তারিখে অপসারণ করেছেন।
১৯৬৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্ম নেয়া খিজির হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। পরে ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট ঢাকা জেলা জজ কোর্টে এবং ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি।
দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়।ওই ১২ বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতও ছিলেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন।


banner close