সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

পদত্যাগের ঘোষণা ঋষি সুনাকের

ঋষি সুনাক। ফাইল ছবি
আপডেটেড
৫ জুলাই, ২০২৪ ১৭:২১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৫ জুলাই, ২০২৪ ১৭:২০

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে হারের পর নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন ঋষি সুনাক। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাচ্ছেন তিনি।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ঋষি সুনাক। ইতোমধ্যে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করে রাজা চার্লসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, নির্বাচনে লেবার পার্টির কাছে ভরাডুবির মধ্যদিয়ে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির পতন হলো। সুনাকের দল জয় পেয়েছে মাত্র ৭১টি আসনে। নির্বাচনে হার স্বীকার করে ঋষি সুনাক বলেন, দলের এই হারের দায় আমার। আমি দুঃখিত। কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন।

অন্যদিকে, ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের ভোটে ভালো ফলাফল করেছে লেবার পার্টি। দলটি ৪১২টি আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। যুক্তরাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কোনো দলের ৩২৬ আসনের প্রয়োজন।

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কেয়ার স্টারমার বলেন, আপনারা ভোট দিয়ে আমাদের জিতিয়েছেন। এবার আমাদের দায়িত্ব হলো আপনাদের জন্য কাজ করা।

ব্রিটেনের এবারের নির্বাচনে চার বাঙালি কন্যা জয় পেয়েছেন। তারা হলেন টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী, রুপা হক ও আফসানা বেগম। এই চারজনই সদ্য বিজয়ী দল লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।

যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, ৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে নতুন সরকার।


সার্জন থেকে ইরানের প্রেসিডেন্ট কে এই পেজেশকিয়ান

মাসুদ পেজেশকিয়ান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি ছিলেন সংস্কারবাদী আইনপ্রণেতা। হৃদ্‌রোগবিষয়ক সার্জন থেকে এখন তিনি দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট। তার এ জয় সামাজিক স্বাধীনতা ও বাস্তবধর্মী পররাষ্ট্রনীতি প্রত্যাশী ইরানের কোটি কোটি মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।

কট্টরপন্থিদের ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যে নারীর অধিকার, অধিক সামাজিক স্বাধীনতা, পশ্চিমের সঙ্গে বৈরিতায় সতর্কতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন ৬৯ বছর বয়সি মধ্যপন্থি পেজেশকিয়ান। খবর: আল-জাজিরা ও রয়টার্সের।

ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হলে আগাম নির্বাচনের আয়োজন করা হয়।

পেজেশকিয়ানের উত্থান

মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের দেশটির পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের বাসিন্দা। তিনি ১৯৫৪ সালে মাহাবাদ শহরে জন্ম নেন। তার বাবা ইরানি-আজেরি ও মা ইরানি-কুর্দি। পেজেশকিয়ান জেনারেল মেডিসিনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যখন মেডিকেলের তরুণ ছাত্র, তখন পাহলভি শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের দলে ভিড়েছিলেন।

মাসুদ পেজেশকিয়ান আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। তার ওপর দায়িত্ব ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে চিকিৎসাকর্মীদের মোতায়েন করার। ১৯৯৪ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও এক সন্তান হারান তিনি। পরে আর বিয়ে করেননি। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট খাতামির শাসনামলে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন পেজেশকিয়ান। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থি জোট তাকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

পেজেশকিয়ান ২০১৩ ও ২০২১ সালেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি হাসেমি রাফসানজানিকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং ২০২১ সালে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করে।

২০২২ সালে পেজেশকিয়ান মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা দাবি করেন। হিজাব-সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মাশা আমিনি নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে মারা যান। এ ঘটনায় দেশজুড়ে কয়েক মাস ব্যাপক বিক্ষোভ চলে।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি

পেজেশকিয়ান স্থবির হয়ে পড়া দেশের অর্থনীতি চাঙা করা, অব্যবস্থাপনার অবসান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নির্বাচনের আগে এক ভিডিও বার্তায় পেজেশকিয়ান ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘চেষ্টা করেও আমি যদি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হই, তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বিদায় জানাব। তা আর চালিয়ে যাব না। আমাদের জীবনে ও প্রিয় জনগণের সেবা করার ক্ষেত্রে সময় নষ্টের সুযোগ নেই।’

সীমিত শক্তি

পেজেশকিয়ান অব্যবস্থাপনা, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যেহেতু নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খামেনির হাতে সীমাবদ্ধ, তাই অনেক ইরানি স্বদেশে রাজনৈতিক বহুত্ববাদে আগ্রহী। তবে বিদেশে ইরানের বিচ্ছিন্নতার অবসান চায় এমন ইরানিরা মনে করছেন, সংস্কারপন্থি পেজেশকিয়ান চেষ্টা করলেও দেশটির শাসক তাকে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন করতে দেবে না।

ইরানের কিশ দ্বীপের ৪৫ বছর বয়সি ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেইনি বলেন, ‘পেজেশকিয়ান হয়তো কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক স্বাধীনতা আনতে সক্ষম হবেন। তবে তিনি একজন দুর্বল প্রেসিডেন্টই হবেন। কেননা খামেনি ও তার মিত্ররা প্রেসিডেন্টের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী।’

গত ২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হয়। প্রথম দফায় চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে একমাত্র সংস্কারপন্থি প্রার্থী ছিলেন পেজেশকিয়ান। তবে নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম দফায় কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট হয়। প্রথম দফায় প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং অতি রক্ষণশীল সাইদ জালিলির মধ্যে দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দ্বিতীয় দফার ভোটে মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ভোট। বিপরীতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলি পেয়েছেন মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট। অর্থাৎ মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৩৩ লাখ ভোটের ব্যবধানে খামেনি-সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে হারিয়েছেন।

পেজেশকিয়ান জয়ী হওয়ায় তাকে বিশ্বশক্তিগুলোর স্বাগত জানানোর কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে। তেহরানের দ্রুত বিকাশমান পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের তীব্র টানা-পোড়েনে একটা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারেন তিনি। এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের।

তারা বলছেন, পেজেশকিয়ান এমন লোকদের সমর্থন পেয়েছেন, যারা মূলত শহুরে মধ্যবিত্ত ও তরুণ জনগোষ্ঠীর বলে মনে করা হচ্ছে। ইসলামি ভাবধারার বিপরীত কোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো অভিযানে ব্যাপকভাবে আশাহত হয়েছেন এ শ্রেণির ভোটাররা।


ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশিকিয়ান

মাসুদ পেজেশকিয়ান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মাসুদ পেজেশিকিয়ান। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে এই বিজয় অর্জন করেছেন তিনি।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পেজেশকিয়ান।

নিজ মেয়াদের আড়াই বছরের মাথায় গত ২০মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুর পর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশটিতে ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থি সরকার। সেই তারিখ ছিল ২৮ জুন।

ভোটার টার্নআউটের হার নিম্ন হওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট বা রান-অফে গড়ায় নির্বাচন। সেই দ্বিতীয় দফা ভোটের তারিখ ছিল গতকাল ৫ জুলাই।

এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। এরা হলেন মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী, সাঈদ জালিলি, মোহাম্মদ বাকের কলিবফ, আলী রেজা যাকানি, সাইয়্যেদ আমির হোসেন কাজীজাদেহ হাশেমি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান।

নির্বাচনে লড়াই হয়েছে মূলত সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে। ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জালিলি কট্টরপন্থি এবং মাসুদ সংস্কারপন্থি রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তবে উভয়েই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ।

গতকাল ভোটের পর নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা গেছে, মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ১ কোটি ৬৩ লাখ ভোট এবং সাঈদ জলিলি পেয়েছেন ১ কোটি ৩৫ লাখ ভোট। ফলাফল ঘোষণার পরপরই রাজধানী তেহরানসহ অন্যান্য শহরে বিজয় উদযাপন করতে নেমেছেন পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা।

ইরানের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা অন্যান্য দেশের প্রেসিডেন্সিয়াল সরকারের মতো নয়। দেশটির ক্ষমতা কাঠামোর শীর্ষে অবস্থান করেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। প্রেসিডেন্ট মূলত তার প্রধান সহকারী। তবে সর্বোচ্চ নেতার উত্তরাধিকারী বাছাই সম্পর্কিত যে রাষ্ট্রীয় কমিটি রয়েছে, পদাধিকার বলে সেই কমিটির প্রধান সদস্য প্রেসিডেন্ট।


ইউরোপ যেতে নৌকা ডুবে ৮৯ প্রাণহানি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার পথে মৌরিতানিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ৮৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক ডজনের বেশি মানুষ সাগরে নিখোঁজ রয়েছে। মৌরিতানিয়ার স্থানীয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা দেশটির স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়।

সংবাদ সংস্থাটির দেখা তথ্য অনুযায়ী, মৌরিতানিয়ার এনডিয়াগো শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে গত ১ জুলাই মাছ ধরার বড় একটি নৌকা ডুবে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে ওই নৌকায় থাকা ৮৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন দেশটির কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ সময় জীবিত উদ্ধার করা হয় পাঁচ বছরের এক মেয়েসহ ৯ জনকে।

উদ্ধার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনেগাল ও গাম্বিয়া সীমান্ত থেকে ১৭০ যাত্রী নিয়ে নৌকাটি যাত্রা শুরু করে। সে হিসাবে নিখোঁজের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭২ জনে। স্থানীয় সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে একই তথ্য জানিয়েছেন।

শক্তিশালী স্রোতের কারণে আটলান্টিক অনেক বেশি বিপজ্জনক। বেশির ভাগ সময় সাগরে চলাচলের অনুপযোগী নৌকা দিয়ে এই পথ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এসব নৌকায় ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী ওঠানো হয়। থাকে না পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পানিও।

তবে ভূমধ্যসাগরে নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় আটলান্টিক মহাসাগর অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্পেন সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশটির ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে ৩৯ হাজার ৯১০ অভিবাসী পা রাখেন, যা এক বছরের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি। স্পেনের দাতব্য সংস্থা ক্যামিনান্দো ফ্রনটেরাসের তথ্য বলছে, এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সমুদ্রপথে স্পেন পৌঁছাতে গিয়ে পাঁচ হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সে হিসাবে প্রতিদিন গড় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। সংস্থাটি ২০০৭ সাল থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহ ও সমন্বয় করছে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। মৃতদের সিংহভাগই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।

উত্তর আফ্রিকা উপকূলের কাছেই স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ। আফ্রিকার মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপপুঞ্জটির সবচেয়ে কাছের বিন্দুর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। কিন্তু সেখানে যেতে কিছুটা দূরের পথ ব্যবহার করেন অভিবাসীরা। এ ক্ষেত্রে লম্বা কাঠ দিয়ে বানানো পিরগ না পাইরাগ নামের নৌকাবহুল ব্যবহৃত বাহন। অভিবাসীদের নিয়ে মরক্কো, পশ্চিম সাহারা, মৌরিতানিয়া, গাম্বিয়া ও সেনেগাল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এসব নৌকা।


টানা ৪র্থ মেয়াদে ব্রিটিশ এমপি হলেন টিউলিপ সিদ্দিক

পেতে পারেন নতুন কোন বড় দায়িত্ব
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ জুলাই, ২০২৪ ২০:৫৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামসকে প্রায় ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটগ্রহণের পর গভীর রাতে আসা ফলাফলে দেখা যায়, লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপ ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট (৪৮.৩ শতাংশ) ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬২ ভোট (১৭.৪ শতাংশ)। আর গ্রিন দলের লরনা রাসেল পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৩০ ভোট (১৩.৭ শতাংশ)।

২০১৯ সালের নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করে বিবিসি দেখিয়েছে, আসনটিতে লেবার পার্টির ভোট বেড়েছে ০.৭ শতাংশ। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির ভোট কমেছে ৫.৮ শতাংশ ভোট। আগেরবারের তুলনায় আসনটিতে সবচেয়ে বেশি ভোট বেড়েছে গ্রিন দলের, ১০ শতাংশ।

জয়ের প্রতিক্রিয়ায় টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, 'সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের দোয়ায় আমি চতুর্থবার নির্বাচিত হলাম। আমাদের বাংলাদেশি কমিউনিটি আমাকে সবসময় সাপোর্ট করে। আমি খুব গ্রেটফুল, এইবারও ওনারা আমাকে সাপোর্ট করেছেন।'

ভোটে জয়ের পর লেবার নেতা কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

'আমি চাই যে- আমাদের আরও তিনটা বোন যে আছে-রূপা, রুশনারা, আফসানা-সবাই যেন জয়ী হয়, আমরা সবাই যেন লেবার গভমেন্টে সার্ভ করতে পারি।'

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ ২০১৫ সালে লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে জয়ী হন। পরের দফায় ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন।

এরপর নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগেই ২০১৯ সালের শেষে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন হয়। তাতে কনজারভেটিভ পার্টির জনি লুককে ১৪ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারান টিউলিপ।

এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টির বিপুল বিজয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার। নিজের আসন হলবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাসে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যখন সমর্থকদের সামনে হাজির হন, টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপি হিসাবে ছায়া সরকারে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করা টিউলিপ এবার লেবার সরকারের মন্ত্রী হতে পারেন বলেও জোর আলোচনা আছে।

একদিকে পারিবারিক পরিচয়, অন্যদিকে লন্ডনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনে প্রার্থিতার কারণে টিউলিপ সব সময়ই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। ৪১ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিককে পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও শফিক সিদ্দিকীর মেয়ে টিউলিপ লন্ডনের মিচামে জন্মগ্রহণ করেন। টিউলিপের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্মেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গে কাজ করেন টিউলিপ, যিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হন। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট নেতা বারাক ওবামার প্রচারাভিযানেও অংশ নেন।

২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলে প্রথম বাঙালি নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হন টিউলিপ। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে স্থানীয় পার্টির সদস্যদের ভোটে টিউলিপ তৎকালীন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকেট পান।


ইরানে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রান-অফ বা দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ হবে আজ। শুক্রবার (৫ জুলাই) এই নির্বাচনে ইরানের ভেতরে যেমন ভোটকেন্দ্র থাকছে তেমনি বিদেশেও ভোটগ্রহণের সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে করে বিদেশে অবস্থানকারী ইরানিরাও ভোট দিতে পারবেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার ইরানের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। স্বাভাবিক নিয়মে ১০ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে প্রয়োজনে ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো যাবে। বিদেশে যারা ভোট দেবেন তারাও একই নিয়মের মধ্যে পড়বেন।

মূলত গত শুক্রবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় এই নির্বাচন রান-অফ বা দ্বিতীয় পর্বে গড়িয়েছে। এ কারণে ইরানের আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দুই প্রার্থী অর্থাৎ মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সাঈদ জালিলির মধ্যে ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব প্রার্থী অংশ নেবেন তাদের মধ্যে কেউ যদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হবে।

কোনো প্রার্থী এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারলে নির্বাচন গড়াবে রান-অফে। যেখানে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।


যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বড় জয় পেল লেবার পার্টি

কেয়ার স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ জুলাই, ২০২৪ ১৩:৩১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। সব আসনের ফল না আসলেও, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৩২৬ আসনের বাধা পেরিয়ে গেছে দলটি। এর মধ্য দিয়ে পতন হলো ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে ফল ঘোষণা বাকি আছে আর মাত্র ১৩২টির।

দেশটিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো দলের ৩২৬ আসন প্রয়োজন হলেও, লেবার পার্টি এরইমধ্যে ৩৬০টি আসনে জয় নিশ্চিত করেছে। বিপরীতে কনজারভেটিভরা পেয়েছে মাত্র ৮০টি আসন। বাকি আসন জিতেছে অন্যান্য দলগুলো।

এদিকে, ভোট গণনা শেষ না হলেও, এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির জয় স্বীকার করে নিয়ে দলটির নেতা কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নিজ আসন থেকে সদ্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুনাক।

তিনি বলেন, এটি তার দলের জন্য একটি ‘কঠিন রাত’ ছিল। সমর্থন দেয়ার জন্য সুনাক তার ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে আরও বলেন, তিনি জনগণকে সেবাদান অব্যাহত রাখতে উন্মুখ।

এসময়, লেবার জিতেছে বলে জানান ঋষি সুনাক। দলটির নেতা কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানাতে তিনি ফোন করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টি এবার বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হলো। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, লেবার পার্টি ৪১০টি আসনে জয় পেতে পারে। আর কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ১৩১টি আসন।


আগামী সপ্তাহে মোদির রাশিয়া সফর

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (ডানে) ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ৮ ও ৯ জুলাই রাশিয়া সফর করবেন। ক্রেমলিন আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। মস্কো-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ায় এটি মোদির প্রথম সফর।

বিবৃতিতে বলা হয়, মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ রুশ-ভারত সম্পর্কের আরও উন্নয়নের সম্ভাবনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক এজেন্ডায় প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।’

পশ্চিমাবিশ্বে বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে রাশিয়া। এ পরিস্থিতিতে পুতিন মোদিকে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্য কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র হিসেবে বিবেচনা করেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জটিল। পাশাপাশি ভারত রুশ তেলের ক্রয় বাড়িয়েছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে যোগ দেয়নি।

এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে মোদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইউক্রেনে সংঘাত সম্পর্কে মোদির ‘উদ্বেগ’ তিনি বুঝতে পারেন। মোদি চান, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ এ যুদ্ধ শেষ হোক।

এই বছরের শুরুর দিকে ভারত বলেছিল, তারা রাশিয়াকে তাদের কিছু নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে, যারা রুশ সেনাবাহিনীতে সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন।

এর আগে রুশ সীমান্ত শহরে আটকা পড়া কয়েকজন ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। ভারত তার নাগরিকদের এই সংঘাত থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

নয়াদিল্লি কিয়েভের কট্টর সমর্থক না। তবে গত মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি শীর্ষ শান্তি সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে দেশটি। ওই বিবৃতিতে যেকোনো শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

এ ছাড়া ভারত রুশ তেলের প্রধান ক্রেতায় পরিণত হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রাশিয়া সেখানে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি রপ্তানি বাজার পেয়েছে। তবে অর্থপ্রদানের সমস্যা ও রুশ রপ্তানিকারকরা আয় ফিরিয়ে আনতে পারছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে পুনঃনির্বাচিত মোদি শেষবার রাশিয়া সফর করেছিলেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। তিনি দেশটির সুদূর পূর্বের শহর ভ্লাদিভোস্টকে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।


যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ভোট আজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন ভোটাররা। আজ (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হচ্ছে। ১৯৪৫ সালের পর যুক্তরাজ্যে প্রথম বারের মতো জুলাই মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভোট চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। খবর বিবিসির।

স্থানীয় স্কুল এবং কমিউনিটি হলের মতো ভবনগুলোতে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন লাখ লাখ ভোটার। হাউজ অব কমন্সের ৬৫০ জন পার্লামেন্ট সদস্যকে নির্বাচন করবেন প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার। প্রতিটি এলাকা বা নির্বাচনী এলাকার ফলাফল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠনের জন্য অর্ধেকেরও বেশি আসন অর্থাৎ ৩২৬ আসনে জয়ী হতে হবে।

এবার ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন দল থেকে প্রায় ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নির্বাচনের ডাক দেন। নিবন্ধিত ভোটার বা একজন ব্রিটিশ নাগরিক বা কমনওয়েলথ বা রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের যোগ্য নাগরিক যার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি এমন যে কেউ ভোটে অংশ নিতে পারবেন।

২০২২ সালে আইনে পরিবর্তন আনার পর প্রায় ২০ লাখ ব্রিটিশ নাগরিক যারা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে বসবাস করছেন তারা ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে সক্ষম হয়েছেন। এটাই প্রথম সাধারণ নির্বাচন যেখানে ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের ভোটারদের ব্যক্তিগতভাবে ভোট দেওয়ার জন্য ফটো আইডি দেখাতে হবে। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বয়স্ক বা অক্ষম ব্যক্তির বাস পাস এবং ওয়েস্টার ৬০ প্লাস কার্ডসহ ২২টি আইডি কার্ড এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে।

২০০৩ সাল থেকে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ভোট দেওয়ার জন্য ৯টি বৈধ আইডি কার্ড রয়েছে যেগুলো দেখিয়ে ভোটারদের ভোট দিতে হয়। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে যারা আইডি হারিয়েছেন তারা অন্য কোনো নিবন্ধিত ভোটারের মাধ্যমে জরুরি প্রক্সি ভোট দিতে পারবেন।


ভারতে পদদলিত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১১৬

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের হাথরস জেলায় গতকাল মঙ্গলবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিতের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে গত এক দশকের মধ্যে এটি এ ধরনের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা।

পুণ্যার্থীরা রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাথরাস শহরে হিন্দু দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে ওই আয়োজনে সমবেত হয়েছিলেন।

উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আলিগড় শহরের বিভাগীয় কমিশনার চৈত্র ভি বলেছেন, একটি ধূলিঝড়ের কারণে পূর্ণার্থীরা কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। এ সময়ে তাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরিণতিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তার দিকে নজর দিচ্ছি।

হতাহত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রাণহানির সংখ্যা ১১৬ তে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৮ জন। প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা উমেশ কুমার ত্রিপাঠি বলেছেন, যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের অধিকাংশ নারী।

এদিকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। এক এক্স পোস্টে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য ২,৪০০ মার্কিন ডলার এবং আহতদের জন্যে ৬শ’ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। এক্স বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমার সমবেদনা তাদের সাথে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। আমি কামনা করি আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ দুর্ঘটনায় ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়ে একে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় প্রায়ই মন্দিরে এ ধরনের অনাকাঙ্কক্ষিত ঘটনা ঘটে। কেরালায় ২০১৬ সালে একটি মন্দিরে হিন্দুদের নতুন বছর উদযাপনকালে আতশবাজির ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া মধ্যপ্রদেশে ২০১৩ সালে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জন পুণ্যার্থী প্রাণ হারিয়েছিল।


ভারতে বদলে গেল ব্রিটিশ দণ্ডবিধির ধারা ‘৪২০’

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে আর প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় ‘৪২০’ ধারার প্রয়োগ থাকবে না। ব্রিটিশ যুগের পুরোনো দণ্ডবিধির ‘৪২০’ ধারাটি পরিবর্তন করে গত সোমবার থেকে এর বদলে কার্যকর হয়েছে নতুন ‘ন্যায় সংহিতা’ আইন। প্রতারণা ও জালিয়াতির শাস্তি এখন নতুন ধারা ৩১৮ (৪)-এ অন্তর্ভুক্ত।

এ ছাড়া গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগে আমলযোগ্য ৪৯৮ ধারাও বদলানো হয়েছে। এর বদলে আরও আধুনিক বিবেচনা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নতুন আইনে ৮৫ ধারা চালু হয়েছে।

খবর অনুসারে, ১৮৬০ সালে প্রণীত ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ পরিবর্তন করে নতুন এই আইন কার্যকর করা হয়েছে।

ভারতের আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ জুন রাত ১২টার আগে সংগঠিত অপরাধের বিচার হবে পুরোনো দণ্ডবিধি অনুসারে, আর রাত ১২টার পরের অপরাধের বিচার হবে নতুন ন্যায় সংহিতা আইনে।

তবে ইন্ডিয়ান পেনাল কোর্টে পরিবর্তনকে স্বাগত জানাননি আদালতভুক্ত সকল পক্ষ এবং সুশীল সমাজসহ রাজনীতিবিদরা। এ আইনের পরিবর্তন নিয়ে কিছু আইনজীবী আপত্তি তুলেছেন। আলিপুর, কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট এবং শিয়ালদহ আদালতে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে বামফ্রন্ট, এসইউসিআই, ডিএসও, এপিডিআর এবং সিপিআই (এমএল) এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কলকাতায় সভা-সমাবেশ করেছে।

নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে লালবাজারে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তাসহ আইনজীবীরা অংশ নেন এবং নতুন আইন নিয়ে আলোচনা করেন। প্রথম দিনেই কলকাতা পৌর এলাকায় দুই শতাধিক মামলা হয়েছে বলে জানানো হয়।

কিছু আইনজীবী মনে করছেন, নতুন আইন কার্যকর হওয়ায় অনেক আইনজীবী ও মক্কেল সমস্যায় পড়বেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করছেন, নতুন আইনে অনেক অপরাধের শাস্তি আরও কঠোর করা হয়েছে, যেমন গণপিটুনির মতো অপরাধের শাস্তি এখন যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।


উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ৮৭

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাতরাস জেলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিতের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবারের এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮৭ জন নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে নারী ও তিন শিশু রয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

স্থানীয় একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রার্থনা সভা বা ‘সৎসঙ্গ’ চলাকালে কয়েক শ’ মানুষের উপস্থিতিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জেলাশাসক আশীষ কুমার জানিয়েছেন, পদদলিতের ঘটনাটি হাতরাস জেলার সিকান্দ্রা রাও থানার ফুলরাই গ্রামে ঘটেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চিকিৎসকরা আমাকে জানিয়েছেন, ৫০-৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি বেসরকারি আয়োজনের অনুষ্ঠান ছিল এবং সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তবে অন্যান্য ব্যবস্থা আয়োজকদের পক্ষ থেকেই করা হয়েছিল।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার নির্দেশনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য প্রদান করবে।

ইতাহ জেলা কর্মকর্তা ডা. উমেশ কুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ‘আমরা ২৭টি মৃতদেহ পেয়েছি, যার মধ্যে ২৫ জন নারী ও ২ জন পুরুষ। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুনেছি সৎসঙ্গ চলাকালে পদদলনের ঘটনা ঘটেছে।’

ইতাহ জেলার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ রাজেশ কুমার জানান, এখন পর্যন্ত ২৭টি মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে ২৩ জন নারী ও তিন শিশু রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা এক নারী বলেছেন, স্থানীয় ধর্মগুরু ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরির সম্মানে এ আয়োজন ছিল। ভিড় বের হতে শুরু করলে পদদলনের ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

বিষয়:

মিয়ানমারের সেনাদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ

ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারজুড়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ও মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করেছে পিডিএফ, কাচিনসহ একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই অস্ত্রগুলো রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের শ্বাসযন্ত্রে আঘাত করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

আজ মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সংবাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ যে অস্ত্রগুলো বিদ্রোহীদের বিপক্ষে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্যবহার করছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপালম, থার্মাইট বা সাদা ফসফরাস যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়।

কারেননি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্সের (কেএনডিএফ) ডেপুটি কমান্ডার ফো থাইকে মাউই। মাউ নামে তিনি বেশি পরিচিত।

মাউ বলেছেন, এই রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমাগুলো মাঝে মাঝেই লক্ষ্যবস্তু বা ভবনে পড়ে না। তবে যখন পোড়ানোর মতো কিছু পায় না, তখন এরা নিজেরাই পুড়ে ধোঁয়া তৈরি করে। আর এই ধোঁয়া অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স (এফবিআর) একটি অলাভজনক সংস্থা যা মিয়ানমারের ফ্রন্ট লাইনজুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে। এফবিআর জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী যে অগ্নিসংযোগকারী অস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সামরিক বাহিনী ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিল (এসএসি) বিষাক্ত টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে এফবিআর। সাধারণত ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য এই টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে তারা। এটি মানুষের শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। চলাচলের বা কর্মদক্ষতা হারায়।

এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, তা মূল্যায়ন করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে সংস্থাগুলো।


banner close