সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

এবছর অস্বাভাবিক গরমে ভুগেছে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ

ফাইল ছবি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২৪ ১১:১৯

চলতি বছর ২০২৪ সালের জুন মাসে ৯ দিনের অস্বাভাবিক গরমে ভুগেছে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এর কয়েকজন বিজ্ঞানীর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এ তথ্য। তাদের বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, এবছর জুনে অস্বাভাবিক গরমে ভুগেছে বাংলাদেশের ১৭ কোটিরও বেশি লোক।

এই অস্বাভাবিক গরমের কারণ হিসেবে ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’ নামের একটি সংস্থার প্রধান অ্যান্ড্রু পার্সিং বলছেন, ‘গত ১০০ বছর ধরে কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর কারণে বিশ্ব এখন আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’

তিনি আরও বলছেন, ‘এ বছরের গ্রীষ্মে যে তাপপ্রবাহ দেখা গেছে এটি অপ্রাকৃতিক বিপর্যয়। আর যতদিন পর্যন্ত কার্বনের দুষণ বন্ধ না করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়ে রূপ নেবে।’

ক্লাইমেট চেঞ্জ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসহনীয় গরম পড়েছে। এই গরমে জুন মাসে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ভারতের ৬১ কোটি ৯০ লাখ, চীনের ৫৭ কোটি ৯০ লাখ, ইন্দোনেশিয়ার ২৩ কোটি ১০ লাখ, নাইজেরিয়ার ২০ কোটি ৬০ লাখ, ব্রাজিলের ১৭ কোটি ৬০ লাখ, বাংলাদেশের ১৭ কোটি ১০ লাখ, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ কোটি ৫০ লাখ, ইউরোপে ১৫ কোটি ২০ লাখ, মেক্সিকোতে ১২ কোটি ৩০ লাখ, ইথিওপিয়ায় ১২ কোটি ১০ লাখ এবং মিসরে ১০ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে অসহনীয় গরমের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ প্রচণ্ড গরমের মুখে পড়েছিল। যেটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ১৬ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আরও অন্তত ৩ বার পরিলক্ষিত হয়েছিল।’

বিষয়:

দ. কোরিয়া-মার্কিন-জাপানের মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উ.কোরিয়া

ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার শেষ হতে না হতেই দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। ডয়েচভেলে এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সিউলের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দ. কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, আজ সোমবার (১ জুলাই) দক্ষিণ হোয়াংহাই প্রদেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৬০০ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয়টি প্রায় ১২০ কিলোমিটার উড়ে যায়।

ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সামরিক মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী একটি শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন যৌথ প্রতিরক্ষা ভঙ্গির অধীনে উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো উসকানিতে অপ্রতিরোধ্যভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে তার ক্ষমতা এবং ভঙ্গি বজায় রাখবে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, ‘সামরিক বাহিনী দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫মিনিটের দিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর প্রায় ১০মিনিট পর দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়।’

তবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় পড়েছে তা জানাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি কিম প্রশাসন। পিয়ংইয়ং-এর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কেচিএনএ (KCNA) সংবাদ সংস্থা একটি ‘নতুন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির’ সফল পরীক্ষার কথা বলেছে।


ফ্রান্সে চলছে জাতীয় নির্বাচনের ভোট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে আজ রোববার ভোট দিচ্ছেন দেশটির জনগণ। ফ্রান্সের নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, আজ প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে ভোট। তবে প্যারিস এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে ভোটকেন্দ্রগুলো রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত ২২ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হচ্ছে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।’

কূটনীতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বিষয়ক সংস্থা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ইউরোপিয়ান পার্সপেক্টিভ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান ইমানুয়েল ডুপুই বলেন, ‘এ নির্বাচন ফ্রান্সের শাসন ব্যবস্থায় একটি নতুন পদ্ধতির সূচনা এবং প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার সমাপ্তি টানবে। ম্যাক্রোনিজম ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে এবং এ নির্বাচন দিয়ে তা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যাবে।’

নিজ দেশে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরও হতবাক করে দেয়। কারণ আগামী ২০২৭ সালের আগে ফ্রান্সে কোনো নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না। ম্যাক্রোঁর ঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার অনুষ্ঠিত হবে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৭ জুলাই।

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭টি আসন আছে। প্রতিটি নির্বাচনি জেলার জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। বিদায়ী সরকারে ম্যাক্রোঁর জোটের আসন ছিল মাত্র ২৫০টি। ফলে আইন পাসের জন্য অন্য দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হতো তাদের।

৫৭৭ আসনের যেকোনো একটিতে নির্বাচিত হতে হলে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমপক্ষে ২৫ শতাংশ হতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে প্রদত্ত ভোটের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। ফ্রান্সের মতো একটি বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায়, কোনো প্রার্থীই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গড়াবে। এক্ষেত্রে আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে৷ প্রথম রাউন্ডে কমপক্ষে সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পাওয়া প্রার্থীরাই কেবল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নিতে পারবেন।


বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নয়াদিল্লি, শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারি বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে জমে থাকা পানিতে ডুবে। মৃতদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। স্থানীয় গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় এবিষয়ে আজ রোববার এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগামী দিনে বৃষ্টি আরও বাড়বে। সতর্কতা জারির পাশাপাশি চার দিন ধরে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া ভবন। রাজধানীর বহু এলাকা এখনো জলমগ্ন। এ ছাড়া রোববার ও সোমবার ভারি বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। আগামী চার দিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও সাত দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া ভবন।

আবহবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মৌসুমে দিল্লিতে ৬৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। কিন্তু শুধু শুক্রবারই গোটা মৌসুমের এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়ে গেছে। এক দিনে ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে গোটা রাজধানী। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত এটি।

শুধু দিল্লিই নয়, উত্তর ও মধ্য ভারতের রাজ্যগুলোতেও আগামী দিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া ভবন। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থানে ৩ জুলাই পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, এই সময়ের মধ্যে উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, পূর্ব রাজস্থান, পশ্চিম মধ্য প্রদেশের কিছু অংশে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ভারী বৃষ্টির জেরে বিপদসীমা ছুঁয়েছে গঙ্গা। সুখী নদী উপচে পড়ায় বহু রাস্তা ও বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।


গাজায় স্কুলে যেতে পারছে না ৬ লাখের বেশি শিশু: জাতিসংঘ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে। গাজাবাসীকে পিষে মারার পরিকল্পনা থেকে বোমা হামলা করে গণহত্যা আর ও ট্যাংক দিয়ে পুরো বসতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করায় উপদ্বীপটি এখন মৃত্যুপরী। যারা বেঁচে আছেন তাদের জন্য আশ্রয়শিবির খুলে ত্রাণ-সহায়তা করছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। এর মধ্যেও আশ্রয়শিবিরগুলোতে শিশুদের জন্য পরিচালনা করা হচ্ছে অস্থায়ী স্কুল। কিন্তু শত্রুরা সেখানেও চালাচ্ছে হামলা। গাজার আল নুসেইরাত আশ্রয়শিবিরে ইউএনআরডব্লিউএ যে ভবনটিতে শিশুদের জন্য স্কুল পরিচালনা করত সেখানেও বোমা হামলা চালিয়ে ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অবস্থা সেখানে প্রায় আশ্রয়শিবিরগুলোতে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই ভয়াবহ যুদ্ধাবস্থায় গাজার নিরপরাধ ৬ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি শিশু গত আট মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছে না। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে হাজার হাজার শিশু। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধ শুরুর আগে এই শিশুদের মধ্যে ৩ লাখ ইউএনআরডিব্লিউএ পরিচালিত স্কুলগুলোতে পড়ালেখা করত।

সংস্থাটি জানায়, ‘ইউএনআরডব্লিউএ সদস্যদের পরিচালিত খেলা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম শিশুদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি ও তাদের শিক্ষার অধিকার ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ১৭০ জন নিহত হন। জিম্মি হন প্রায় ২৫০ জন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তী সময়ে স্থল বাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৭ হাজার ৭৬৫। আহতের সংখ্যা অন্তত ৮৬ হাজার ৪২৯। হতাহতের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু।

জাতিসংঘের শিশু-বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেলের পর্যবেক্ষণ, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় যে পরিমাণ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, বিশ্বের আর কোনো সংঘাতে তেমনটি তারা দেখেননি। আর যারা বেঁচে আছে, তারা ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে কাতর। এই শিশুদের অনেকেরই শরীরে ‘কান্নার মতো পর্যাপ্ত শক্তি’ অবশিষ্ট নেই। পাশাপাশি হামলায় আহত হাজার হাজার শিশুর খবর এখনো অজানা।

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলা শুরুর পর অন্তত ২১ হাজার শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অধিকার সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। শিশুদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থাটি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চালুর এবং নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জেরে এই ২১ হাজার শিশু হারিয়ে গেছে। তাদের অনেকে উধাও হয়েছে, আটক হয়েছে, ভাঙা পাথরের নিচে চাপা পড়েছে অথবা গণকবরে শায়িত রয়েছে।


বাইডেনের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে জয়ী ট্রাম্প

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন। অধিকাংশ দর্শক এই মত দিয়েছেন বলে সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপে উঠে এসেছে।

আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন লড়বেন ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে। আর রিপাবলিকান পার্টির হয়ে লড়বেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে (বাংলাদেশ সময় গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টায়) সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বিতর্কে অংশ নেন বাইডেন ও ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে তারা প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিলেন।

সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপ অনুযায়ী, বিতর্ক দেখেছেন এমন নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ বলেছেন, ট্রাম্প ভালো করেছেন। আর মাত্র ৩৩ শতাংশ বাইডেনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

বিতর্ক শুরুর আগে একই ভোটারদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বলেছিলেন, বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প ভালো করবেন বলে তারা ধারণা করছেন। আর বাইডেনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন ৪৫ শতাংশ ভোটার।

তবে সিএনএন বলছে, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দেশটির সব ভোটারদের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করেন না। যারা বিতর্কটি দেখেছেন, আর এই জরিপে অংশ নিয়েছেন, শুধু তাদের মতামতই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ভোটারদের মধ্যে রিপাবলিকপন্থিদের সংখ্যা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

বিতর্কটি যারা দেখেছেন, জরিপে অংশ নেওয়া এমন ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতার প্রশ্নে বাইডেনের ওপর তাদের আস্থা নেই।

বিতর্কে বাইডেন ভালো করতে পারেননি বলে তার নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেই আলোচনা চলছে। এ নিয়ে দলটির অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

প্রথম বিতর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জো বাইডেনকে ‘খুব খারাপ ফিলিস্তিনি’ আখ্যা দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি এটা (ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণ) করতে চান না। তিনি ফিলিস্তিনিদের মতো হয়ে গেছেন, তবে তারা তাকে পছন্দ করে না। কারণ তিনি খুব বাজে ফিলিস্তিনি; তিনি দুর্বল।’

বিতর্কে ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে ‘মারাত্মক বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন ‘আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি সংস্থার পরিচালক আয়াহ জিয়াদেহ। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি শব্দটাকে গালি হিসেবে ব্যবহার এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) বর্ণবাদের গভীরতাকে তুলে ধরেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বিতর্কের সময় অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ করেন।

এদিকে বিতর্কের সময় অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের আমলের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের আমলে এমন একটি পরিস্থিতি দেখা যায়, যেখানে তিনি অভিবাসনপ্রত্যাশী মায়েদের কাছ থেকে তাদের শিশুদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। শিশুদের আলাদা করছিলেন। শিশুদের খাঁচায় রাখছিলেন। পরিবারগুলোর পৃথক্‌করণ নিশ্চিত করেছিলেন। এটা সঠিক উপায় নয়।

বিতর্কে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত-সংকটে কেন ভোটাররা তার ওপর আস্থা রাখবেন। জবাবে বাইডেন বলেন, মার্কিন কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় সীমান্ত বিল পাস করার জন্য তার প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে।


এমপি আনার হত্যা নিয়ে যা বললেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বৈঠকে এবার উঠে এসেছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এমপি আনায়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের খবরটি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) হকার সমস্যা নিরসনে রাজ্যের সচিবালয়ে নবান্ন ভবনে মমতার ডাকা একটি বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের সেফটি ও সিকিউরিটি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি আনারের প্রসঙ্গটি আনেন।

তার দাবি, বাইরের লোক অর্থ দিয়ে কলকাতাসহ রাজ্যের যত্রতত্র বসে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন গাড়ি চলাচল করতে পারছে না, দুর্ঘটনা ঘটছে, শহরের গতি কমছে, সেই সাথে রাজ্যের আইডেন্টিটিও নষ্ট হচ্ছে। ফলে কে জেনুইন লোক সেটা ধরা যাচ্ছে না। তার ফলে রাজ্যের সেফটি এবং সিকিউরিটিও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

এ সময় তিনি বলেন, ‘এই তো দেখলেন কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন এমপি, কীভাবে তাকে নিয়ে এসে প্ল্যান করে খুন করল।’ এদিন রাজ্যের সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করাকে রাজ্যের প্রশাসনিকপ্রধান হিসেবে তার একমাত্র লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠক এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমসহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, নিউমার্কেট সহ কলকাতার বিভিন্ন হকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাজার কমিটির কর্মকর্তারা।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামের একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন।


ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ জুন, ২০২৪ ১৫:৩৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; যা চলবে সন্ধ্যা ৬টায় অবধি। তবে ভোটারের উপস্থিতি থাকলে ভোটদানের সময় মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলেও জানা গেছে।

এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। তাদের সবাই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রতি অনুগত।

নির্বাচনের ফলাফলে ইরানের নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের ভোটের ফল দেশটির সাড়ে তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতা খামেনির উত্তরাধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে। দেশটির ‘সর্বোচ্চ সংখ্যক’ ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খামেনি। গত চার বছরে দেশটিতে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কমে গেছে।

ভোটহগ্রহণ শেষে চূড়ান্ত ফলাফল আগামী দুই দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে বলে জানা যায়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর যদি দেখা যায়, কোনও প্রার্থীই শূন্য ভোটসহ কমপক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিততে পারেনি, তবে ফল ঘোষণার প্রথম শুক্রবার শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে রান-অফ রাউন্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

গত মাসে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাই নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নতুন প্রেসিডেন্ট খুঁজে নেবে ইরান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।


ধসে পড়ল দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ, নিহত ১

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ জুন, ২০২৪ ১২:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের ছাদ ধসে পড়ে একজন নিহতসহ কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রবল বর্ষণের কারণে ছাদটি ধসে পড়ে বলে এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, শুক্রবার সকালে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে দিল্লি বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদের একটি অংশ গাড়ির ওপর ভেঙে পড়ার পরে কমপক্ষে একজন নিহত ও আরও আটজন আহত হয়েছেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দিল্লি ফায়ার সার্ভিসেসকে (ডিএফএস) এই ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় ক্যাবসহ অনেক যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে দিল্লি বিমানবন্দরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এক নম্বর টার্মিনাল থেকে সমস্ত প্রস্থান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থার’ অংশ হিসাবে চেক-ইন কাউন্টারগুলোও বন্ধ করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহতদের ইতোমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ধসে পড়া ছাদের ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনার কারণে এক নম্বর টার্মিনাল থেকে সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তার কারণে ‘চেক-ইন’ কাউন্টারগুলোও বন্ধ থাকছে।

এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে দিল্লি বিমানবন্দর বলেছে, বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের পুরোনো প্রস্থান ফোরকোর্টের ছাউনিটির একটি অংশ ‘আজ সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে’ ভেঙে পড়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ঘটনায় কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এবং জরুরি কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের সকল ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ করছেন। এই ঘটনার ফলে, ১ নম্বর টার্মিনাল থেকে সমস্ত প্রস্থান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসাবে চেক-ইন কাউন্টারগুলোও বন্ধ করা হয়েছে। পরিষেবার এই ব্যাঘাতের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং যেকোনো অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’

ভারতের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিঞ্জরাপু বলেছেন, তিনি দিল্লি বিমানবন্দরে ছাদ ধসের ঘটনাটি ‘ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছেন এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লিতে। তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার পেলেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের এই রাজধানী শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় পানি জমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি মিন্টো রোড-সহ দিল্লির বেশ কয়েকটি রাস্তায় কোমর সমান পানি জমে গেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের একটি ভিডিওতে মিন্টো রোডে পানিতে গাড়ি ভেসে যেতেও দেখা গেছে।

মূলত গত কয়েক দিনে দিল্লির তাপমাত্রা ৪০-৪৫ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা একধাক্কায় ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দিল্লিতে ৫.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে কালো জাদু করার অভিযোগ

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালদ্বীপের গণতন্ত্রপন্থি নেতা প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর ওপর কালো জাদু করার অভিযোগে ওই দেশের পরিবেশবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মালদ্বীপের গণমাধ্যমগুলোও এমনটাই জানিয়েছে বলে দাবি করছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফাথিমাথ শামনাজ আলী সেলিমসহ আরও দুজনকে গত রোববার রাজধানী মালে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক সপ্তাহের জন্য হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর ওপর কালো জাদু করার অভিযোগে শামনাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।’

তবে পুলিশ বিষয়টি স্বীকারও করেনি আবারও অস্বীকারও করছে না। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী, জাদুটোনা করা ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে না। তবে ইসলামিক আইনের অধীনে এই মন্ত্রীর ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।

এই দ্বীপপুঞ্জের লোকেরা ব্যাপকভাবে ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান পালন করে। তারা বিশ্বাস করে যে, তারা নানা ধরনের জাদুবিদ্যার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পারে।

মিহারু নামের একটি নিউজ সাইট গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, মানাধুতে ৬২ বছর বয়সী এক নারীর বিরুদ্ধে কালো যাদু করার অভিযোগ আনার পর ২০২৩ সালের এপ্রিলে তিন প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে তিনি নিহত হন। পুলিশের দীর্ঘ তদন্তের পর এই তথ্য সামনে আসে।


লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দীর্ঘ ১০ বছর পর প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা পেল ভারতের লোকসভা। আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে রাহুল গান্ধীর নাম। খবর এনডিটিভির।

এর আগে গেল শনিবার দল থেকে রাহুল গান্ধীকে সর্বসম্মতভাবে এই পদে মনোনয়ন দেয়া হয়। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে আলোচনার পর এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে এ ঘোষণা দেয় কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল এমন কথাই জানিয়েছেন। একই দিন রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১৮তম লোকসভায় রাহুল গান্ধী প্রধান বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন বলে মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল।’ তিনি বলেছেন, ‘সিপিপি চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মাহতাবকে চিঠি লিখে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাহুল গান্ধীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।’ এ ছাড়া অন্যান্য পদাধিকারীদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার আগে দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে ইনডিয়া জোটের লোকসভার নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাহুল। সেই বৈঠকেই তাকে লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অবশ্য গত ৯ জুন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছিল। তারপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাহুলের ওপরই দেওয়া হয়েছিল। রাহুল গান্ধী সেসময় জানিয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই বিষয়ে ভেবে দেখার জন্য তার কিছুটা সময় দরকার।

উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী বিরোধী দলনেতার পদে যাওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশক পর লোকসভার প্রধান বিরোধী দলের নেতা পদটি ফিরে পেল কংগ্রেস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসন জিতেছিল। আর ২০১৯ সালে জিতেছিল ৫২টি আসন।

দুইবারই বিজেপির পর সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সংসদে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি দলটি। নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভায় ১০ শতাংশের কম আসন পেলে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা বা প্রধান বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়া যায় না। অবশ্য এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে।

বিষয়:

গাজায় অন্তত ২১ হাজার শিশু নিখোঁজ: সেভ দ্য চিলড্রেন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:১১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলা শুরুর পর অন্তত ২১ হাজার শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অধিকার সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। গতকাল সোমবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। শিশুদের অধিকারবিষয়ক সংস্থাটি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চালুর এবং নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জের ধরে এই ২১ হাজার শিশু হারিয়ে গেছে, উধাও হয়েছে, আটক হয়েছে, ভাঙা পাথরের নিচে চাপা পড়েছে অথবা গণকবরে শায়িত রয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের এই দাবির সূত্রে শিশু অধিকার সংস্থা ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল প্যালেস্টাইনের মহাপরিচালক খালেদ কুজমার আল জাজিরাকে জানান, ‘গাজায় শিশুদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন সহিংসতা দেখানো হয়েছে।’ এটা শিশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার চরম মূল্য দিতে হয়েছে গাজার শিশুদের’- যোগ করেন তিনি।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহর থেকে তিনি আল জাজিরাকে আরও বলেন, ‘শিশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।’ ‘গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিশুদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে এবং করেই যাচ্ছে’- যোগ করেন তিনি।

বিষয়:

হজে মৃতের সংখ্যা ১৩শ ছাড়াল

মিনায় তীব্র গরমে এই হজযাত্রী অসুস্থ পড়েন। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে এ বছর মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩০১ জন নাগরিক। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন অননুমোদিত হজযাত্রী যারা প্রচণ্ড গরমে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে এসেছিলেন। খবর বিবিসি।

সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, যারা মারা গেছেন তাদের অনেকেই পর্যাপ্ত আশ্রয় ছাড়াই সরাসরি সূর্যের আলোতে দীর্ঘ পথ হেঁটেছেন।

সৌদি বার্তাসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, যারা মারা গেছে তাদের চার ভাগের তিন ভাগের সেখানে থাকার অনুমতি ছিল না। এ ছাড়া যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন বয়স্ক ছিলেন।

সৌদি আরবে তাপমাত্রা এবার ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। এ পরিস্থিতিকেই একটা বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উচ্চতাপ ও পানিশূন্যতা এড়াতে সতর্কতা জারি করলেও অনেক হাজি তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা এবং হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন। ১০টি দেশ থেকে হজ পালন করতে আসা মানুষের মধ্যে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে মিসরীয়দের।

প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই হাজিরা প্রায়ই দীর্ঘ পথ হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। এ জন্য অনেকে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা আটকে দেওয়া এবং খারাপ পরিবহন ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন।

এ ছাড়া অনেক হাজিই পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাননি বলে জানা গেছে। অনেকে বলছেন, যারা তীব্র গরমে ক্লান্তি বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেছেন, তাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বা প্রাথমিক চিকিৎসা সহজে পাওয়ার উপায় ছিল না।

এদিকে হজ করতে একজন হাজিকে একটি বিশেষ হজ ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। কিন্তু কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে সৌদিতে প্রবেশ করেন। এই ‘অনুমোদনহীন হজ’ সমস্যা অতিরিক্ত মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া অনেক হাজি জীবনের শেষের দিকে হজে যান। তারা আশা করেন যে, হজে গেলে সেখানেই যেন তার মৃত্যু হয়। কারণ হজ পালনের সময় মৃত্যু সৌভাগ্যের বিষয় মনে করেন তারা।


banner close