বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

চলতি জুলাই হতে পারে ইতিহাসে উষ্ণতম মাস

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২৩ ১৮:৪৮

চলতি জুলাই মাস হতে পারে বিশ্বে কয়েক শ বছর কিংবা হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক বিশেষজ্ঞ এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

আল-জাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বয়ে যাওয়া তীব্র দাবদাহ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন নাসার শীর্ষ জলবায়ুবিদ গ্যাভিন শ্মিট। তিনি জানান, গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা একাধিকবার রেকর্ড ভেঙেছে। এই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার প্রবণতা সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং মার্কিন আবহাওয়া-সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদনে তাপমাত্রার এমন রূপ আরও গভীরভাবে প্রতিফলিত হবে।

গ্যাভিন বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়েই জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন সব দেশেই তীব্র দাবদাহ আগের সব রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল দেশগুলো। তবে গরম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে শুধু এল নিনোকে দায়ী করলে চলবে না। মূলত এটি সবেমাত্র শুরু হয়েছে।’

নাসার বিজ্ঞানী আরও বলেন, বতর্মানে বিশ্বে বিশেষ করে মহাসাগরের তাপমাত্রা খুব বেশি মাত্রায় বেড়ে গেছে। তার ফলেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে এমন দাবদাহ চলতেই থাকবে, কারণ আমরা লাগাতারভাবে গ্রিন হাউস গ্যাসের উৎপাদন করে চলেছি। তার ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ছে আর প্রচণ্ড দাবদাহে ভুগছে মানুষ।’’

বিষয়:

ভারতে পদদলিত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১১৬

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের হাথরস জেলায় গতকাল মঙ্গলবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিতের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে গত এক দশকের মধ্যে এটি এ ধরনের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা।

পুণ্যার্থীরা রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাথরাস শহরে হিন্দু দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে ওই আয়োজনে সমবেত হয়েছিলেন।

উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আলিগড় শহরের বিভাগীয় কমিশনার চৈত্র ভি বলেছেন, একটি ধূলিঝড়ের কারণে পূর্ণার্থীরা কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। এ সময়ে তাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরিণতিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তার দিকে নজর দিচ্ছি।

হতাহত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রাণহানির সংখ্যা ১১৬ তে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৮ জন। প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা উমেশ কুমার ত্রিপাঠি বলেছেন, যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের অধিকাংশ নারী।

এদিকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। এক এক্স পোস্টে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য ২,৪০০ মার্কিন ডলার এবং আহতদের জন্যে ৬শ’ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। এক্স বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমার সমবেদনা তাদের সাথে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। আমি কামনা করি আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ দুর্ঘটনায় ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়ে একে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় প্রায়ই মন্দিরে এ ধরনের অনাকাঙ্কক্ষিত ঘটনা ঘটে। কেরালায় ২০১৬ সালে একটি মন্দিরে হিন্দুদের নতুন বছর উদযাপনকালে আতশবাজির ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া মধ্যপ্রদেশে ২০১৩ সালে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জন পুণ্যার্থী প্রাণ হারিয়েছিল।


ভারতে বদলে গেল ব্রিটিশ দণ্ডবিধির ধারা ‘৪২০’

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে আর প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় ‘৪২০’ ধারার প্রয়োগ থাকবে না। ব্রিটিশ যুগের পুরোনো দণ্ডবিধির ‘৪২০’ ধারাটি পরিবর্তন করে গত সোমবার থেকে এর বদলে কার্যকর হয়েছে নতুন ‘ন্যায় সংহিতা’ আইন। প্রতারণা ও জালিয়াতির শাস্তি এখন নতুন ধারা ৩১৮ (৪)-এ অন্তর্ভুক্ত।

এ ছাড়া গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগে আমলযোগ্য ৪৯৮ ধারাও বদলানো হয়েছে। এর বদলে আরও আধুনিক বিবেচনা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নতুন আইনে ৮৫ ধারা চালু হয়েছে।

খবর অনুসারে, ১৮৬০ সালে প্রণীত ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ পরিবর্তন করে নতুন এই আইন কার্যকর করা হয়েছে।

ভারতের আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ জুন রাত ১২টার আগে সংগঠিত অপরাধের বিচার হবে পুরোনো দণ্ডবিধি অনুসারে, আর রাত ১২টার পরের অপরাধের বিচার হবে নতুন ন্যায় সংহিতা আইনে।

তবে ইন্ডিয়ান পেনাল কোর্টে পরিবর্তনকে স্বাগত জানাননি আদালতভুক্ত সকল পক্ষ এবং সুশীল সমাজসহ রাজনীতিবিদরা। এ আইনের পরিবর্তন নিয়ে কিছু আইনজীবী আপত্তি তুলেছেন। আলিপুর, কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট এবং শিয়ালদহ আদালতে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে বামফ্রন্ট, এসইউসিআই, ডিএসও, এপিডিআর এবং সিপিআই (এমএল) এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কলকাতায় সভা-সমাবেশ করেছে।

নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে লালবাজারে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তাসহ আইনজীবীরা অংশ নেন এবং নতুন আইন নিয়ে আলোচনা করেন। প্রথম দিনেই কলকাতা পৌর এলাকায় দুই শতাধিক মামলা হয়েছে বলে জানানো হয়।

কিছু আইনজীবী মনে করছেন, নতুন আইন কার্যকর হওয়ায় অনেক আইনজীবী ও মক্কেল সমস্যায় পড়বেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করছেন, নতুন আইনে অনেক অপরাধের শাস্তি আরও কঠোর করা হয়েছে, যেমন গণপিটুনির মতো অপরাধের শাস্তি এখন যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।


উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ৮৭

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাতরাস জেলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিতের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবারের এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮৭ জন নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে নারী ও তিন শিশু রয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

স্থানীয় একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রার্থনা সভা বা ‘সৎসঙ্গ’ চলাকালে কয়েক শ’ মানুষের উপস্থিতিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জেলাশাসক আশীষ কুমার জানিয়েছেন, পদদলিতের ঘটনাটি হাতরাস জেলার সিকান্দ্রা রাও থানার ফুলরাই গ্রামে ঘটেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চিকিৎসকরা আমাকে জানিয়েছেন, ৫০-৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি বেসরকারি আয়োজনের অনুষ্ঠান ছিল এবং সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তবে অন্যান্য ব্যবস্থা আয়োজকদের পক্ষ থেকেই করা হয়েছিল।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার নির্দেশনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য প্রদান করবে।

ইতাহ জেলা কর্মকর্তা ডা. উমেশ কুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ‘আমরা ২৭টি মৃতদেহ পেয়েছি, যার মধ্যে ২৫ জন নারী ও ২ জন পুরুষ। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুনেছি সৎসঙ্গ চলাকালে পদদলনের ঘটনা ঘটেছে।’

ইতাহ জেলার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ রাজেশ কুমার জানান, এখন পর্যন্ত ২৭টি মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে ২৩ জন নারী ও তিন শিশু রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা এক নারী বলেছেন, স্থানীয় ধর্মগুরু ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরির সম্মানে এ আয়োজন ছিল। ভিড় বের হতে শুরু করলে পদদলনের ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

বিষয়:

মিয়ানমারের সেনাদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ

ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারজুড়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ও মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করেছে পিডিএফ, কাচিনসহ একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই অস্ত্রগুলো রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের শ্বাসযন্ত্রে আঘাত করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

আজ মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সংবাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ যে অস্ত্রগুলো বিদ্রোহীদের বিপক্ষে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্যবহার করছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপালম, থার্মাইট বা সাদা ফসফরাস যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়।

কারেননি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্সের (কেএনডিএফ) ডেপুটি কমান্ডার ফো থাইকে মাউই। মাউ নামে তিনি বেশি পরিচিত।

মাউ বলেছেন, এই রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমাগুলো মাঝে মাঝেই লক্ষ্যবস্তু বা ভবনে পড়ে না। তবে যখন পোড়ানোর মতো কিছু পায় না, তখন এরা নিজেরাই পুড়ে ধোঁয়া তৈরি করে। আর এই ধোঁয়া অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স (এফবিআর) একটি অলাভজনক সংস্থা যা মিয়ানমারের ফ্রন্ট লাইনজুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে। এফবিআর জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী যে অগ্নিসংযোগকারী অস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সামরিক বাহিনী ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিল (এসএসি) বিষাক্ত টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে এফবিআর। সাধারণত ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য এই টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে তারা। এটি মানুষের শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। চলাচলের বা কর্মদক্ষতা হারায়।

এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, তা মূল্যায়ন করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে সংস্থাগুলো।


ইমরান খানকে কারাবন্দি রাখা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়মবহির্ভূতভাবে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থা। জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করে এই ওয়ার্কিং গ্রুপটি। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইমরান খানকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।

ওয়ার্কিং গ্রুপটি আরও জানিয়েছে, তাকে আটক করে রাখার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এসব করা হয়েছে বলেও মতামতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২৫ মার্চ এই মতামত জারি করেছিল জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ। তবে সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় সোমবার তা প্রকাশ করা হয়।

পাঁচজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত ওই গ্রুপটি। যদিও তাদের জারি করা মতামত বাধ্যতামূলক নয়। তারপরও তাদের মতামত গুরুত্ব বহন করে। ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামতে আরও বলা হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের আগে ইমরান খানের দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছে। তাদেরকে সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগও করেন তারা।

পাকিস্তান সরকার অবশ্য এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। আর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ৭১ বছর বয়সি ইমরান খানের বিরুদ্ধে ২০০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। গত আগস্ট থেকেই কারাবন্দি রয়েছেন তিনি।


দ. কোরিয়া-মার্কিন-জাপানের মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উ.কোরিয়া

ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার শেষ হতে না হতেই দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। ডয়েচভেলে এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সিউলের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দ. কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, আজ সোমবার (১ জুলাই) দক্ষিণ হোয়াংহাই প্রদেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৬০০ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয়টি প্রায় ১২০ কিলোমিটার উড়ে যায়।

ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সামরিক মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী একটি শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন যৌথ প্রতিরক্ষা ভঙ্গির অধীনে উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো উসকানিতে অপ্রতিরোধ্যভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে তার ক্ষমতা এবং ভঙ্গি বজায় রাখবে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, ‘সামরিক বাহিনী দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫মিনিটের দিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর প্রায় ১০মিনিট পর দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়।’

তবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় পড়েছে তা জানাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি কিম প্রশাসন। পিয়ংইয়ং-এর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কেচিএনএ (KCNA) সংবাদ সংস্থা একটি ‘নতুন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির’ সফল পরীক্ষার কথা বলেছে।


ফ্রান্সে চলছে জাতীয় নির্বাচনের ভোট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে আজ রোববার ভোট দিচ্ছেন দেশটির জনগণ। ফ্রান্সের নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, আজ প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে ভোট। তবে প্যারিস এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে ভোটকেন্দ্রগুলো রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত ২২ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হচ্ছে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।’

কূটনীতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বিষয়ক সংস্থা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ইউরোপিয়ান পার্সপেক্টিভ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান ইমানুয়েল ডুপুই বলেন, ‘এ নির্বাচন ফ্রান্সের শাসন ব্যবস্থায় একটি নতুন পদ্ধতির সূচনা এবং প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার সমাপ্তি টানবে। ম্যাক্রোনিজম ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে এবং এ নির্বাচন দিয়ে তা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যাবে।’

নিজ দেশে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরও হতবাক করে দেয়। কারণ আগামী ২০২৭ সালের আগে ফ্রান্সে কোনো নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না। ম্যাক্রোঁর ঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার অনুষ্ঠিত হবে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৭ জুলাই।

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭টি আসন আছে। প্রতিটি নির্বাচনি জেলার জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। বিদায়ী সরকারে ম্যাক্রোঁর জোটের আসন ছিল মাত্র ২৫০টি। ফলে আইন পাসের জন্য অন্য দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হতো তাদের।

৫৭৭ আসনের যেকোনো একটিতে নির্বাচিত হতে হলে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমপক্ষে ২৫ শতাংশ হতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে প্রদত্ত ভোটের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। ফ্রান্সের মতো একটি বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায়, কোনো প্রার্থীই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গড়াবে। এক্ষেত্রে আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে৷ প্রথম রাউন্ডে কমপক্ষে সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পাওয়া প্রার্থীরাই কেবল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নিতে পারবেন।


বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নয়াদিল্লি, শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারি বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে জমে থাকা পানিতে ডুবে। মৃতদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। স্থানীয় গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় এবিষয়ে আজ রোববার এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগামী দিনে বৃষ্টি আরও বাড়বে। সতর্কতা জারির পাশাপাশি চার দিন ধরে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া ভবন। রাজধানীর বহু এলাকা এখনো জলমগ্ন। এ ছাড়া রোববার ও সোমবার ভারি বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। আগামী চার দিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও সাত দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া ভবন।

আবহবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মৌসুমে দিল্লিতে ৬৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। কিন্তু শুধু শুক্রবারই গোটা মৌসুমের এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়ে গেছে। এক দিনে ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে গোটা রাজধানী। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত এটি।

শুধু দিল্লিই নয়, উত্তর ও মধ্য ভারতের রাজ্যগুলোতেও আগামী দিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া ভবন। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থানে ৩ জুলাই পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, এই সময়ের মধ্যে উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, পূর্ব রাজস্থান, পশ্চিম মধ্য প্রদেশের কিছু অংশে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ভারী বৃষ্টির জেরে বিপদসীমা ছুঁয়েছে গঙ্গা। সুখী নদী উপচে পড়ায় বহু রাস্তা ও বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।


এবছর অস্বাভাবিক গরমে ভুগেছে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি বছর ২০২৪ সালের জুন মাসে ৯ দিনের অস্বাভাবিক গরমে ভুগেছে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এর কয়েকজন বিজ্ঞানীর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এ তথ্য। তাদের বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, এবছর জুনে অস্বাভাবিক গরমে ভুগেছে বাংলাদেশের ১৭ কোটিরও বেশি লোক।

এই অস্বাভাবিক গরমের কারণ হিসেবে ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’ নামের একটি সংস্থার প্রধান অ্যান্ড্রু পার্সিং বলছেন, ‘গত ১০০ বছর ধরে কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর কারণে বিশ্ব এখন আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’

তিনি আরও বলছেন, ‘এ বছরের গ্রীষ্মে যে তাপপ্রবাহ দেখা গেছে এটি অপ্রাকৃতিক বিপর্যয়। আর যতদিন পর্যন্ত কার্বনের দুষণ বন্ধ না করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়ে রূপ নেবে।’

ক্লাইমেট চেঞ্জ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসহনীয় গরম পড়েছে। এই গরমে জুন মাসে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ভারতের ৬১ কোটি ৯০ লাখ, চীনের ৫৭ কোটি ৯০ লাখ, ইন্দোনেশিয়ার ২৩ কোটি ১০ লাখ, নাইজেরিয়ার ২০ কোটি ৬০ লাখ, ব্রাজিলের ১৭ কোটি ৬০ লাখ, বাংলাদেশের ১৭ কোটি ১০ লাখ, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ কোটি ৫০ লাখ, ইউরোপে ১৫ কোটি ২০ লাখ, মেক্সিকোতে ১২ কোটি ৩০ লাখ, ইথিওপিয়ায় ১২ কোটি ১০ লাখ এবং মিসরে ১০ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে অসহনীয় গরমের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ প্রচণ্ড গরমের মুখে পড়েছিল। যেটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ১৬ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আরও অন্তত ৩ বার পরিলক্ষিত হয়েছিল।’

বিষয়:

গাজায় স্কুলে যেতে পারছে না ৬ লাখের বেশি শিশু: জাতিসংঘ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে। গাজাবাসীকে পিষে মারার পরিকল্পনা থেকে বোমা হামলা করে গণহত্যা আর ও ট্যাংক দিয়ে পুরো বসতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করায় উপদ্বীপটি এখন মৃত্যুপরী। যারা বেঁচে আছেন তাদের জন্য আশ্রয়শিবির খুলে ত্রাণ-সহায়তা করছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। এর মধ্যেও আশ্রয়শিবিরগুলোতে শিশুদের জন্য পরিচালনা করা হচ্ছে অস্থায়ী স্কুল। কিন্তু শত্রুরা সেখানেও চালাচ্ছে হামলা। গাজার আল নুসেইরাত আশ্রয়শিবিরে ইউএনআরডব্লিউএ যে ভবনটিতে শিশুদের জন্য স্কুল পরিচালনা করত সেখানেও বোমা হামলা চালিয়ে ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অবস্থা সেখানে প্রায় আশ্রয়শিবিরগুলোতে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই ভয়াবহ যুদ্ধাবস্থায় গাজার নিরপরাধ ৬ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি শিশু গত আট মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছে না। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে হাজার হাজার শিশু। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধ শুরুর আগে এই শিশুদের মধ্যে ৩ লাখ ইউএনআরডিব্লিউএ পরিচালিত স্কুলগুলোতে পড়ালেখা করত।

সংস্থাটি জানায়, ‘ইউএনআরডব্লিউএ সদস্যদের পরিচালিত খেলা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম শিশুদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি ও তাদের শিক্ষার অধিকার ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ১৭০ জন নিহত হন। জিম্মি হন প্রায় ২৫০ জন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তী সময়ে স্থল বাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৭ হাজার ৭৬৫। আহতের সংখ্যা অন্তত ৮৬ হাজার ৪২৯। হতাহতের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু।

জাতিসংঘের শিশু-বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেলের পর্যবেক্ষণ, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় যে পরিমাণ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, বিশ্বের আর কোনো সংঘাতে তেমনটি তারা দেখেননি। আর যারা বেঁচে আছে, তারা ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে কাতর। এই শিশুদের অনেকেরই শরীরে ‘কান্নার মতো পর্যাপ্ত শক্তি’ অবশিষ্ট নেই। পাশাপাশি হামলায় আহত হাজার হাজার শিশুর খবর এখনো অজানা।

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলা শুরুর পর অন্তত ২১ হাজার শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অধিকার সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। শিশুদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থাটি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চালুর এবং নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জেরে এই ২১ হাজার শিশু হারিয়ে গেছে। তাদের অনেকে উধাও হয়েছে, আটক হয়েছে, ভাঙা পাথরের নিচে চাপা পড়েছে অথবা গণকবরে শায়িত রয়েছে।


বাইডেনের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে জয়ী ট্রাম্প

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন। অধিকাংশ দর্শক এই মত দিয়েছেন বলে সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপে উঠে এসেছে।

আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন লড়বেন ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে। আর রিপাবলিকান পার্টির হয়ে লড়বেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে (বাংলাদেশ সময় গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টায়) সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বিতর্কে অংশ নেন বাইডেন ও ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে তারা প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিলেন।

সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপ অনুযায়ী, বিতর্ক দেখেছেন এমন নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ বলেছেন, ট্রাম্প ভালো করেছেন। আর মাত্র ৩৩ শতাংশ বাইডেনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

বিতর্ক শুরুর আগে একই ভোটারদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বলেছিলেন, বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প ভালো করবেন বলে তারা ধারণা করছেন। আর বাইডেনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন ৪৫ শতাংশ ভোটার।

তবে সিএনএন বলছে, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দেশটির সব ভোটারদের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করেন না। যারা বিতর্কটি দেখেছেন, আর এই জরিপে অংশ নিয়েছেন, শুধু তাদের মতামতই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ভোটারদের মধ্যে রিপাবলিকপন্থিদের সংখ্যা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

বিতর্কটি যারা দেখেছেন, জরিপে অংশ নেওয়া এমন ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতার প্রশ্নে বাইডেনের ওপর তাদের আস্থা নেই।

বিতর্কে বাইডেন ভালো করতে পারেননি বলে তার নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেই আলোচনা চলছে। এ নিয়ে দলটির অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

প্রথম বিতর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জো বাইডেনকে ‘খুব খারাপ ফিলিস্তিনি’ আখ্যা দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি এটা (ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণ) করতে চান না। তিনি ফিলিস্তিনিদের মতো হয়ে গেছেন, তবে তারা তাকে পছন্দ করে না। কারণ তিনি খুব বাজে ফিলিস্তিনি; তিনি দুর্বল।’

বিতর্কে ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে ‘মারাত্মক বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন ‘আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি সংস্থার পরিচালক আয়াহ জিয়াদেহ। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি শব্দটাকে গালি হিসেবে ব্যবহার এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) বর্ণবাদের গভীরতাকে তুলে ধরেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বিতর্কের সময় অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ করেন।

এদিকে বিতর্কের সময় অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের আমলের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের আমলে এমন একটি পরিস্থিতি দেখা যায়, যেখানে তিনি অভিবাসনপ্রত্যাশী মায়েদের কাছ থেকে তাদের শিশুদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। শিশুদের আলাদা করছিলেন। শিশুদের খাঁচায় রাখছিলেন। পরিবারগুলোর পৃথক্‌করণ নিশ্চিত করেছিলেন। এটা সঠিক উপায় নয়।

বিতর্কে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত-সংকটে কেন ভোটাররা তার ওপর আস্থা রাখবেন। জবাবে বাইডেন বলেন, মার্কিন কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় সীমান্ত বিল পাস করার জন্য তার প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে।


এমপি আনার হত্যা নিয়ে যা বললেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বৈঠকে এবার উঠে এসেছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এমপি আনায়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের খবরটি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) হকার সমস্যা নিরসনে রাজ্যের সচিবালয়ে নবান্ন ভবনে মমতার ডাকা একটি বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের সেফটি ও সিকিউরিটি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি আনারের প্রসঙ্গটি আনেন।

তার দাবি, বাইরের লোক অর্থ দিয়ে কলকাতাসহ রাজ্যের যত্রতত্র বসে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন গাড়ি চলাচল করতে পারছে না, দুর্ঘটনা ঘটছে, শহরের গতি কমছে, সেই সাথে রাজ্যের আইডেন্টিটিও নষ্ট হচ্ছে। ফলে কে জেনুইন লোক সেটা ধরা যাচ্ছে না। তার ফলে রাজ্যের সেফটি এবং সিকিউরিটিও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

এ সময় তিনি বলেন, ‘এই তো দেখলেন কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন এমপি, কীভাবে তাকে নিয়ে এসে প্ল্যান করে খুন করল।’ এদিন রাজ্যের সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করাকে রাজ্যের প্রশাসনিকপ্রধান হিসেবে তার একমাত্র লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠক এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমসহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, নিউমার্কেট সহ কলকাতার বিভিন্ন হকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাজার কমিটির কর্মকর্তারা।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামের একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন।


ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ জুন, ২০২৪ ১৫:৩৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; যা চলবে সন্ধ্যা ৬টায় অবধি। তবে ভোটারের উপস্থিতি থাকলে ভোটদানের সময় মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলেও জানা গেছে।

এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। তাদের সবাই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রতি অনুগত।

নির্বাচনের ফলাফলে ইরানের নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের ভোটের ফল দেশটির সাড়ে তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতা খামেনির উত্তরাধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে। দেশটির ‘সর্বোচ্চ সংখ্যক’ ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খামেনি। গত চার বছরে দেশটিতে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কমে গেছে।

ভোটহগ্রহণ শেষে চূড়ান্ত ফলাফল আগামী দুই দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে বলে জানা যায়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর যদি দেখা যায়, কোনও প্রার্থীই শূন্য ভোটসহ কমপক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিততে পারেনি, তবে ফল ঘোষণার প্রথম শুক্রবার শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে রান-অফ রাউন্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

গত মাসে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাই নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নতুন প্রেসিডেন্ট খুঁজে নেবে ইরান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।


banner close