রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২

ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২: পেশাদারদের নিত্যদিনের সঙ্গী

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২৪ ১৫:৪৫

ব্যস্ত এই সময়ে সহজে বহনযোগ্য প্রযুক্তি পণ্য এখন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আর কর্মজীবীদের জন্য যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি মাথায় রেখে ইনফিনিক্স নিয়ে এসেছে ইনবুক এক্স২ ল্যাপটপ যা সহজেই বহন করা যায়। সাশ্রয়ী মূল্যের এই ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়।

চমৎকার ডিজাইনের স্লিম ও হালকা ওজনের ইনবুক এক্স২ মাত্র ১৪.৮ মি.মি. পুরু এবং এর ওজন ১.২৪ কেজি। এটি সহজেই ব্যাগে এঁটে যায়, ফলে বহন করা খুবই সহজ। ল্যাপটপটির ৫০ ওয়াট-আওয়ারের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির ফলে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে সারাদিন ধরে কাজ করে যেতে পারেন। ফলে চার্জ দেওয়া নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হয় না। এছাড়া এর ৪৫ ওয়াটের টাইপ-সি চার্জারটি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। এতে প্রয়োজনের সময় দ্রুত ব্যাটারি চার্জ করে নেওয়া যায়।

আকারে খুব বেশি বড় না হলেও ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২ তে আছে ১১তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৫ প্রসেসর। ফলে যেকোনো জায়গায় বসেই অফিসের কাজ অনায়েসেই সেরে নিতে পারবেন। ইনফিনিক্সের নিজস্ব কুলিং সিস্টেম ‘আইস স্টর্ম ১.০’-এর সাহায্যে প্রসেসর দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে ডিভাইসটি কোনো ঝামেলা ছাড়াই কার্যকরভাবে চলতে পারে।

দুর্দান্ত ভিজ্যুয়ালের জন্য ল্যাপটপটিতে যুক্ত করা হয়েছে ১০০% এসআরজিবি প্রফেশনাল ডিসপ্লে। এর ১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেলের রেজোলিউশনের ১৪ ইঞ্চি এফএইচডি আইপিএস স্ক্রিনের সাহায্যে চলতি পথেই ভিডিও কনফারেন্সিং, প্রেজেন্টেশন ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের মতো কাজ করা যায়।

এ ছাড়া, লাইভ মিটিং বা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সময় চেহারাকে স্পষ্ট করে তুলতে ইনবুক এক্স২-এর এইচডি ক্যামেরার সঙ্গে আছে ডুয়েল এলইডি ফিল লাইট। ল্যাপটপটির দুই স্তরের স্টিরিও ডিজাইনের সাহায্যে ঘরের ভেতরে ও বাইরে সুন্দরভাবে মিডিয়া উপভোগ করা যায়।

কানেক্টিভিটির প্রয়োজন মেটাতে ল্যাপটপটিতে বিভিন্ন ধরনের পোর্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে আছে দুটি টাইপ-সি পোর্ট, দুটি ইউএসবি পোর্ট, এইচডিএমআই, একটি কার্ড স্লট এবং একটি হেডফোন জ্যাক। ফলে কর্মজীবীরা সহজেই ল্যাপটপটিকে বিভিন্ন ডিভাইস ও পেরিফেরালের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন প্রয়োজন মতো।

বহনযোগ্য ল্যাপটপ হিসেবে ৬১,৯৯০ টাকা বাজারমূল্যের ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২ বেশ সাশ্রয়ী। তবে ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ইনফিনিক্সের এই ল্যাপটপের দাম আরও কমতে পারে, যা সহজে বহনযোগ্য এই ল্যাপটপটিকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।


৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট

প্রত্যাখান মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের
আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৪:১৫
ইউএনবি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এখন থেকে ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি অডিটোরিয়ামে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘ইন্টারনেট সেবা: সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, গৃহীত সিদ্ধান্ত আজ থেকেই কার্যকর হবে। এখন থেকে ৫০০ টাকায় দ্বিগুণ গতির ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা পেলে আগামীতে ৫০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস ইন্টারনেট দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ব্রডব্যান্ডের স্পিড সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস হওয়া উচিত। যেসব ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্সের (আইএসপি) এই গতির ইন্টারনেট দেওয়ার সক্ষমতা আছে, তাদের লাইসেন্স দ্রুত আপগ্রেড করা উচিত।’

তবে আইএসপিএবির এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। সরকার ইতোমধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। পাঁচ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়া ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে প্রোভাইডাররা ইন্টারনেট কিনছেন মাত্র ৮০ টাকায় ১ জিবিপিএস, অথচ গ্রাহকরা কিনছে লাখ টাকায়। গ্রাহকদের প্রত্যাশা ছিল ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি হবে ২০ এমবিপিএস এবং সর্বোচ্চ হবে ১০০ এমবিপিএস।’

গ্রাহকদের ওপর বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় এবং অযৌক্তিক হবে বলে জানায় সংগঠনটি।


আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা ঘোষণা করল সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত সেবা কর্মীদের জন্য আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫ জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার নববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধান ‍উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই নীতিমালা জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় বস্থাপনা অনুবিভাগ।

এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নীতিমালায় সরকার দৈনন্দিন কাজে গতিশীলতা আনা, স্বল্প সময়ে সেবা গ্রহণ, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা এবং মানসম্পন্ন সেবা ক্রয়ের পাশাপাশি সেবা কর্মীদেরকে কাজে উৎসাহিত করা লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ক্যাটাগরির সেবা ও ৩টি বিশেষ সেবার জনপ্রতি মাসিক সেবামূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, এছাড়া সেবাকর্মীরা দুটি উৎসব প্রণোদনা হিসাবে এক মাসের সমপরিমাণ সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে এবং বৈশাখী প্রণোদনা হিসাবে মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে প্রণোদনা সেবামূল্য পাবেন। একইসঙ্গে সেবা কর্মীদের বার্ষিক ১৫ দিনের ছুটি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ খাত হতে সেবাকর্মীকে প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এতে আরও বলা হয়, সেবাকর্মীরা প্রতি অর্থবছরে দুই সেট ইউনিফর্ম (দায়িত্ব পালনের জন্য পোশাক) পাবেন এবং সেবাকর্মীরা ইউনিফর্ম পরিধানপূর্বক দায়িত্ব পালন করবেন। যেসব কাজ নারী সেবাকর্মী সংশ্লিষ্ট- সেসব কাজে নারী সেবাকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং নারী সেবা কর্মীরা ৪৫ (পয়তাল্লিশ) দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তাদের জন্য পেনশন সুবিধা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় ক্রয় করা সেবামূল্য সেবাকর্মীর নিজ নামীয় ব্যাংক হিসাব/এমএফএস(মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস)-এর মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেওয়া হবে।

সর্বোপরি, সেবা কর্মীরা তার মাসিক সেবামূল্য কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা করা হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত সেবাকর্মীর মাসিক সেবামূল্য ও প্রণোদনা অর্থ বিভাগের বিভিন্ন সময়ে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সেবা ক্রয়কারী কর্তৃক ঘোষিত নির্ধারিত সেবাঘণ্টা সেবাকর্মীর সেবা সময় হিসাবে বিবেচিত হবে। তবে সেবা ক্রয়কারীর চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় সেবাদানে নিয়োজিত থাকার প্রয়োজন হলে অর্থ বিভাগের সম্মতিসাপেক্ষে চুক্তি মোতাবেক অতিরিক্ত সেবামূল্য দেবেন।


দেশে এলো এআই প্রযুক্তির ইনফিনিক্স নোট ৫০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্লোবাল উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করেছে তাদের বহু প্রতীক্ষিত নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজে তিনটি মডেল- নোট ৫০, নোট ৫০ প্রো এবং নোট ৫০ প্রো প্লাস- বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। স্মার্টফোনগুলো আধুনিক মেটাল ফ্রেম, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে।

ক্রেতাদের সুবিধার জন্য ইনফিনিক্স পাম পে-এর সাথে অংশীদারিত্বে ০% ইএমআই সুবিধা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে, মাত্র ২০% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ফোনটি কেনা যাবে এবং পুরো এপ্রিল মাসে চার মাসে কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। এটি তরুণ পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেটের মধ্যে একটি দুর্দান্ত ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা উপভোগের সুযোগ।

ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৫০ সিরিজে যুক্ত হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন এআই প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে এবং ব্যবহারকারীর আচরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেকে নিখুঁতভাবে মানিয়ে নিতে পারে। আরও থাকছে ডিপ সিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা ও স্ক্রিন, এবং এআই নয়েজ মিউট—যার মাধ্যমে ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, কাজের ধরন কিংবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুযায়ী কার্যক্ষমতা সামঞ্জস্য করতে পারে। এছাড়া থাকছে নতুন বায়ো-অ্যাকটিভ হালো এআই লাইট, যা নোটিফিকেশন ও বিভিন্ন কার্যক্রম অনুযায়ী লাইভ লাইটিং ইফেক্ট প্রদর্শন করে।

নোট ৫০ সিরিজে ইনফিনিক্স এনেছে নতুনভাবে ডিজাইন করা আর্মরঅ্যালয়™ নির্মিত একটি উন্নতমানের কাঠামো, যা ড্যামাস্কাস স্টিল এবং এয়ারোস্পেস-গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম এর সমন্বয়ে গঠিত। হাইপারকাস্টিং প্রযুক্তিতে নির্মিত এই মেটাল ইউনিবডি স্মার্টফোনটিকে দিয়েছে হালকা ও স্লিম প্রোফাইল। ডিভাইসের মেটাল কোয়াড-কার্ভড প্রান্ত এবং জিরকোনিয়াম-স্যান্ড পলিশড ফিনিশ ব্যবহারকারীর হাতে এনে দেয় একটি প্রিমিয়াম টাচ অনুভূতি। সেই সঙ্গে, টিইউভি সুড-সার্টিফায়েড ড্রপ রেজিস্ট্যান্স নিশ্চিত করেছে ফোনটির উন্নত নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্ব।

নোট ৫০ এবং নোট ৫০ প্রো মডেলগুলোতে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি১০০ আলটিমেট চিপসেট, আর নোট ৫০ প্রো+ মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে নেক্সট-জেন ৪ ন্যানোমিটার ডাইমেনসিটি ৮৩৫০ আলটিমেট ৫.৫জি চিপসেট, যা স্মুথ মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

ডিসপ্লে বিভাগে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট, যা উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট ভিউ নিশ্চিত করে। ক্যামেরা প্রযুক্তি হিসেবে নোট ৫০ সিরিজে রয়েছে ৫০ মেগা পিক্সেল ওআইএস নাইট মাস্টার ক্যামেরা, ১১২° আল্ট্রা-ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স, এবং উন্নত এআই ফটোগ্রাফি টুলস। নোট ৫০ প্রো+ মডেলে রয়েছে ১০০X পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স এবং সনি আইএমএক্স ৮৯৬ সেন্সর, যা ৪কে ৬০এফপিএস ভিডিও রেকর্ডিং নিশ্চিত করে।

সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ফাস্টচার্জ ৩.০ প্রযুক্তি, যা দ্রুত চার্জিং নিশ্চিত করে। নোট ৫০ প্রো+ মডেলে ১০০ ওয়াট ওয়ায়ার্ড চার্জিং এবং ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ সুবিধা রয়েছে।

এছাড়াও, ইনফিনিক্স প্রথমবারের মতো সেন্সর-ভিত্তিক স্বাস্থ্য ট্র্যাকিং ফিচার এনেছে, যার মাধ্যমে হৃদস্পন্দন এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মনিটরিং করা যাবে।

কার্লকেয়ার, ইনফিনিক্সের অফিসিয়াল সার্ভিস সেন্টার, নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোনের জন্য প্রদান করবে প্রিমিয়াম সার্ভিস। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ দিন স্ক্রীন ড্যামেজ প্রটেকশন, ফ্রি ফার্ম ক্লিনিং, ফাস্ট রিপেয়ার সার্ভিস এবং সার্ভিস ডে অফার, যা এস-ভিআইপি কার্ড সহ প্রদান করা হবে। এই ভিআইপি কার্ড নোট ৫০ সিরিজের ব্যবহারকারীদেরকে প্রাধান্য ভিত্তিক গ্রাহক সেবা প্রদান করবে।

নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোন দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে—টাইটেনিয়াম গ্রে এবং এনচ্যান্টেড পারপল। নোট ৫০ সিরিজের ফোনগুলোর মূল্য যথাক্রমে ৫৪,৯৯৯ টাকা, ৩১,৯৯৯ টাকা, এবং ২৭,৯৯৯ টাকা (নোট ৫০ প্রো+, নোট ৫০ প্রো, এবং নোট ৫০) এবং বর্তমানে এগুলো দেশব্যাপী সকল অনুমোদিত রিটেইলার এবং অনলাইন স্টোরে পাওয়া যাবে।


বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমতি পেল স্টারলিংক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটুসেবা চালুর জন্য স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংককে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। গতকাল রোববার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ এ তথ্য দেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তার পরিপ্রেক্ষিতেই ২৯ মার্চ স্টারলিংককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিডা থেকে নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই নিবন্ধনও স্টারলিংককে দেওয়া হয়েছে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও জানান, পরিচালনার জন্য যে ননজিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) লাইসেন্সের প্রয়োজন, এর জন্য স্টারলিংকের আজ (রোববার) আবেদন করার কথা রয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদন করলে অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা করার জন্য কোনো বাধা থাকবে না।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আগামী ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেটুসেবা ব্যবহার করা হবে। সেখানে উপস্থিত সব অংশগ্রহণকারী সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্কের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়। সেখানে বাংলাদেশের জন্য স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রযুক্তি খাতের ব্যক্তিরা বলছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট-সেবা পাওয়া যাবে। ফলে ইন্টারনেট-সেবার ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচে যাবে। গ্রামে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংসহ ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ করতে পারবেন তরুণেরা।


চ্যাটজিপিটি’র ভাইরাল জিবলি-স্টাইল ব্যবহারে নতুন রেকর্ড

আপডেটেড ২ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:৩৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ এক পোস্টে জানান, মাত্র এক ঘণ্টায় ১০ লাখ নতুন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী যোগ হয়েছেন।গত সপ্তাহে ওপেনএআই-এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে সার্ভারে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় সাময়িকভাবে এই ফিচারের ব্যবহার সীমিত করে ওপেনএআই।

চ্যাটজিপিটির ইমেজ-জেনারেশন টুল ব্যবহার করে জিবলি-স্টাইলের এআই চিত্র থেকেই মূলত এ উন্মাদনা শুরু।

এই ভাইরাল ট্রেন্ডে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারীরা স্টুডিও জিবলির হাতে আঁকা ছবির শৈলীতে প্রভাবিত হয়ে এআই দিয়ে তৈরি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন।

স্টুডিও জিবলি জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও। খ্যাতিমান পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি হলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি 'স্পিরিটেড অ্যাওয়ে' ও 'মাই নেইবার টোটোরো'-এর মতো চলচ্চিত্রের জন্য পরিচিত।

মার্কেট রিসার্চ ফার্ম সিমিলারওয়েবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরই প্রথমবারের মতো সপ্তাহে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর গড় সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়েছে।

ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান সোমবার এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, 'মাত্র এক ঘণ্টায় ১০ লাখ নতুন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী যোগ হয়েছেন।' তিনি জানান, দুই বছর আগে এই সংখ্যক ব্যবহারকারী পেতে পাঁচদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

সেন্সর টাওয়ারের তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে সক্রিয় ব্যবহারকারী, ইন-অ্যাপ সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় এবং অ্যাপ ডাউনলোডের পরিমাণ সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির আপডেটেড মডেল জিপিটি-৪০ চালুর পর থেকেই এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আপডেটেড মডেলটি উন্নত ছবি তৈরি করতে সক্ষম।

আরেক বাজার গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী চ্যাটজিপিটি অ্যাপের ডাউনলোড ১১ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি ইন-অ্যাপ কেনাকাটা থেকে আয়ও ৬ শতাংশ বেড়েছে।

তবে, এআই ইমেজ-জেনারেশন টুলের জনপ্রিয়তার কারণে ব্যবহারকারীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে চ্যাটজিপিটিতে বিভিন্ন কারিগরি সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। কিছু ছোটখাটো বিভ্রাট ও সার্ভার ডাউন হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

মঙ্গলবার ওপেনএআই-এর এক সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানান, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। তবে নতুন আপডেট প্রকাশে দেরি, মাঝে মাঝে কিছু ফিচার কাজ না করাসহ সার্ভিস ধীরগতি পারে বলে জানিয়েছেন। এরজন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন ব্যবহারকারীদের। এরইমধ্যে তারা সার্ভারের ওপর অতিরিক্ত ব্যবহারকারীর কারণে সৃষ্ট চাপ সামলানোর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ শুরু করেছেন।

আইনি অনিশ্চয়তা

জিবলি-স্টাইলের চিত্র তৈরিতে এআই টুলের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে সম্ভাব্য কপিরাইট লঙ্ঘন হচ্ছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আইন বিষয়ক সংস্থা নিল অ্যান্ড ম্যাকডেভিটের অংশীদার ইভান ব্রাউন বলেন, স্টুডিও জিবলির স্বতন্ত্র শৈলী অনুকরণ করে তৈরি এআই-জেনারেটেড ছবির আইনি অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়। কপিরাইট আইন সাধারণত নির্দিষ্ট শিল্পকর্ম বা অভিব্যক্তিকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু কোনো শিল্পশৈলীকে নিজস্বভাবে সংরক্ষণ করে না। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট জিবলি চিত্র হুবহু অনুলিপি করা কপিরাইট লঙ্ঘন হতে পারে, কিন্তু শুধুমাত্র সেই শৈলীতে এআইয়ে তৈরিকৃত ছবি আইনগতভাবে সমস্যাযুক্ত নাও হতে পারে। তবে, এই বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত ও ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল।

তবে এসব বিষয়ে ওপেনএআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

স্টুডিও জিবলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হায়াও মিয়াজাকি ২০১৬ সালে এআই-জেনারেটেড ছবির বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন। গত সপ্তাহে ট্রেন্ডটি জনপ্রিয় হওয়ার পর তার সেই মন্তব্য আবারও আলোচনায় এসেছে।

এআই ব্যবহার করে তৈরি ছবি দেখে মিয়াজাকি বলেছিলেন, "আমি খুবই বিরক্ত। আমি কখনোই এই প্রযুক্তি আমার কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই না।"


এমডব্লিউসি এআই ও ইকো-টেক উদ্ভাবন দেখাল ইনফিনিক্স

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এমডাব্লিউসি ২০২৫-এর শো স্টপার ইভেন্টে উদ্ভাবনী সব প্রযুক্তির প্রদর্শনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি আরও শক্তিশালী করেছে। ‘এআই, ইকো-টেক ও নিজস্ব উদ্ভাবনের মাধ্যমে আগামীর ক্ষমতায়ন’—এই দর্শনকে সামনে রেখে ইনফিনিক্স দুটি নতুন উদ্ভাবন সবার সামনে এনেছে। উদ্ভাবনগুলো হলো- সোলার এনার্জি-রিজার্ভিং টেকনোলজি বা পরিবেশের আলো ব্যবহার করে ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানো ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ফোনের ডিজাইন কাস্টমাইজ করার একটি অত্যাধুনিক ফিচার।

টেকসই শক্তির নতুন দিগন্ত
ইনফিনিক্সের সোলার এনার্জি রিজার্ভিং টেকনোলজি টেকসই ও কার্যকর শক্তি ব্যবস্থাপনায় সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। উন্নত পেরোভস্কাইট ফটোভোলটাইক প্রযুক্তি ও বুদ্ধিমান এআই অ্যালগরিদমের সমন্বয়ে এটি আলোকে শক্তিতে রূপান্তর করে যা চার্জিং পদ্ধতিকে আরও কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব করে তোলে।
এই কনসেপ্ট প্রযুক্তিটি ঘরের ভেতর ও বাহির দুই জায়গার আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে প্রোটটাইপ স্মার্টফোনের ফোন কেসে সংরক্ষণ করে। ফোন কেসটির ভেতরে থাকা সংযোগ পয়েন্টের মাধ্যমে সংরক্ষিত শক্তি স্মার্টফোনে স্থানান্তরিত হয় ফলে চার্জিং প্রক্রিয়া হয় আরও নির্বিঘ্ন।
এছাড়া, এআই-চালিত "সানফ্লাওয়ার" ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি এই উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সূর্যমুখী গাছের মতো এই প্রযুক্তি আলোর প্রতি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে যাতে সর্বোচ্চ পরিমাণে আলো গ্রহণ করা যায়। স্মার্ট আলোকসংবেদী সেন্সর ও এআই-নিয়ন্ত্রিত চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে এটি ৩ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সর্বোত্তম চার্জিং নিশ্চিত করতে পারে। ভবিষ্যতে এটি আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই প্রযুক্তিগুলোর সম্মেলনে ইনফিনিক্স একটি টেকসই, নিরাপদ ও গতিশীল শক্তি ব্যবস্থা তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য দিচ্ছে -
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার - সিস্টেমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনডোর ও আউটডোর আলোর শক্তি সংগ্রহ করে ব্যাটারির ব্যাকআপ ক্ষমতা বাড়ায়।

এআই-চালিত শক্তি ব্যবস্থাপনা - ম্যাক্সিমাম পাওয়ার পয়েন্ট ট্র্যাকিং (এমপিপিটি) প্রযুক্তির মাধ্যমে এআই ভোল্টেজ ও কারেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে ফলে অতিরিক্ত গরম হওয়া বা ব্যাটারির স্থায়িত্ব কমার সম্ভাবনা থাকে না।
জরুরি পাওয়ার ব্যাকআপ - যেকোনো বিপর্যয় বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় ইনফিনিক্স-এর এআই-নিয়ন্ত্রিত ফটোভোলটাইক চার্জিং ব্যবহারকারীদের সংযুক্ত রাখবে।
স্মার্টফোনের গণ্ডি পেরিয়ে টেকসই প্রযুক্তির বিস্তার
এই প্রযুক্তি শুধু স্মার্টফোনের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়। ইনফিনিক্স ভবিষ্যতে ডিজিটাল ডিভাইস ও পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিতে এটির ব্যবহার পরিকল্পনা করছে। এটি পারফর্মেন্স ও সহজলভ্যতাকে ঠিক রেখে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, নতুন কর্মক্ষমতা ও অত্যাধুনিক ফিচারের মিশেলে একটি নতুন ভবিষ্যতের হাতছানি দিচ্ছে।

ই-কালার শিফট ২.০
শক্তি ব্যবস্থাপনার উদ্ভাবনের পাশাপাশি ইনফিনিক্স নিয়ে এসেছে ই-কালার শিফট ২.০ নামের একটি এআই চালিত উন্নত প্রযুক্তি যা স্মার্টফোনের ডিজাইনে নিজের ব্যক্তিত্বের ছাপ আনার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে।এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনের রঙ ও ডিজাইন পছন্দমতো পরিবর্তন করতে পারবেন। এই ফিচারটিতে বিভিন্ন বাইরের পরিবেশ ও ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী ফোনের রঙ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হবে।
কাস্টোমাইজড মডেল- ৬টি ডায়নামিক প্যাটার্ন ও ৬টি উজ্জ্বল রঙের প্যালেট থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ, যা মিলিয়ে ৩০টি ভিন্ন কম্বিনেশন তৈরি করা যাবে।
এআই রেকগনাইজড মডেল- সেন্সরের মাধ্যমে ফোনের ব্যাক কভার পরিবর্তিত হবে আবহাওয়া, ওয়ালপেপার ও চারপাশের পরিবেশ অনুযায়ী, যা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নির্বিঘ্ন রঙ পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা তৈরি করবে।
উন্নত কালার ডেপথ ও সেগমেন্টেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-কালার শিফট ২.০ এআই-চালিত স্মার্টফোন কাস্টমাইজেশনের মূলধারার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

যদিও এই প্রযুক্তিগুলো বর্তমানে কনসেপ্ট পর্যায়ে রয়েছে তবে ইনফিনিক্সের লক্ষ্য একটি বুদ্ধিমান, টেকসই ও নিজের পছন্দমতো স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা তৈরি করা।
সোলার এনার্জি রিজার্ভিং টেকনোলজির মাধ্যমে ইনফিনিক্স মোবাইল চার্জিং-এর ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করছে। এই প্রযুক্তির প্রথম প্রয়োগ হতে যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজে, যা ২০২৫ সালের মার্চের শেষ দিকে বাজারে আসবে। নতুন নোট ৫০-এ থাকবে উন্নত চার্জিং সুবিধা, নেক্সট জেনারেশন ফিচার ও প্রিমিয়াম মেটাল ডিজাইন। শীঘ্রই বাজারে আসতে যাওয়া এই স্মার্টফোনটি হতে যাচ্ছে একটি সত্যিকারের ফ্ল্যাগশিপ ফোন।


ইনফিনিক্স হট ৫০ স্মার্টফোনে বিশেষ অফার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নতুন বছরকে সামনে রেখে প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য বিশেষ অফার দিয়েছে জনপ্রিয় গ্লোবাল টেক ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। নতুন সব উদ্ভাবন এবং স্টাইল যেন সব শ্রেণির গ্রাহকের কাছে সহজলভ্য হয় সেজন্য মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন ইনফিনিক্স হট ৫০ মডেলে ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এক হাজার টাকা ছাড়ে বর্তমানে হট ৫০ স্মার্টফোনটির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকায়। আগে এর দাম ছিল ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা।

শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য হট ৫০ স্মার্টফোনটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একইসঙ্গে মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন বাজারে এটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ইনফিনিক্সের নতুন বছরের অফার গ্রাহকের সেই চাহিদা পূরণ করবে, বিশেষ করে যারা মিড বাজেটের স্মার্টফোনে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা খুঁজছেন। একইসঙ্গে এটি গ্রাহকদের ব্র্যান্ডটির গুণগত মান এবং প্রবেশযোগ্যতার প্রতি প্রতিশ্রুতি গ্রহণে উৎসাহিত করেছে।

উন্নত স্পেসিফিকেশন এবং স্মার্ট ডিজাইনের সমন্বয়ের মাধ্যমে ইনফিনিক্স হট ৫০ নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। এতে আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং এফএইচডি প্লাস রেজ্যুলেশন; যা একইসঙ্গে গেমিং, স্ট্রিমিং এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য চমৎকার ভিউইং অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

হট ৫০ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি ১০০ চিপসেট, যা ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইউএফএস ২.২ স্টোরেজের সাথে মসৃণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাথমিক রিয়ার ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা; যা দিয়ে ফটোগ্রাফি প্রেমী এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সূক্ষ্ম, প্রাণবন্ত ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৮ ওয়াট ফার্স্ট চার্জিং ব্যবস্থা থাকায় ব্যবহারকারীদের চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না। স্লিক ব্যাক, সেজ গ্রিন এবং টাইটানিয়াম গ্রে- এই তিন রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।

বছরের শুরুতে যারা সাশ্রয়ী দামে প্রিমিয়াম বিল্ড, শক্তিশালী পারফরম্যান্সযুক্ত একটি নির্ভরযোগ্য এবং ফিচার-সমৃদ্ধ স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য হট ৫০ হতে পারে একটি আদর্শ পছন্দ।

দেশের সব অনুমোদিত রিটেইলার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইনফিনিক্স হট ৫০ এই বিশেষ মূল্যছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।


নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিতে দেশে ওয়ানপ্লাস আইওটি ইকোসিস্টেম উন্মোচন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২১:৪৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশের বাজারে তাদের ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে। এই ইকোসিস্টেমের অংশ হিসেবে তিনটি অত্যাধুনিক ডিভাইস– ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ ও ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ উন্মোচন করা হয়েছে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ বাজারে পাওয়া গেলেও কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাবে ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩।

এটি বাংলাদেশে চালু হওয়া কোনো স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত আইওটি ইকোসিস্টেমগুলোর একটি, যা ব্যবহারকারীদের উদ্ভাবন ও সংযোগের ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এই ডিভাইসগুলো নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, হাই পারফর্মেন্স, অত্যাধুনিক ডিজাইন ও উন্নত ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও উন্নত করবে।

ওয়ানপ্লাস প্যাড ২: সহজ জীবনযাপনের জন্য
ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ ট্যাবলেট প্রযুক্তিতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এর স্লিক, পাতলা নিম্বাস গ্রে অল-মেটাল ইউনিবডি ডিজাইন অত্যন্ত স্টাইলিশ ও কার্যকর। স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ প্ল্যাটফর্ম চালিত এই ট্যাবলেটটিতে রয়েছে ১২.১-ইঞ্চি থ্রি-কে ডিসপ্লে ও ছয়টি স্টেরিও স্পিকার; যা একটি চমৎকার সামগ্রিক অভিজ্ঞতা দেবে।
প্রোডাকটিভিটি ও ক্রিয়েটিভিটি বাড়াতে এতে রয়েছে ওপেন ক্যানভাস, যার মধ্যে রয়েছে স্প্লিট স্ক্রিন মাল্টিটাস্কিং সেটআপ। এ ছাড়াও এআই টুলবক্সে রয়েছে মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য এআই স্পিক, নোট লেখার জন্য রেকর্ডিং সামারি এবং কনটেন্ট তৈরির জন্য এআই রাইটার ফিচার। ৯৫১০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৬৭ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ দীর্ঘ সময় ব্যবহারের সুবিধা নিশ্চিত করে। ওয়ানপ্লাস স্মার্ট কিবোর্ড ও স্টাইলো ২ এর মতো সহযোগী ডিভাইসগুলো এর কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে তোলে। প্যাডটির দাম ৫৯,৯৯৯ টাকা। আর আলাদাভাবে এই প্যাডের স্মার্ট কিবোর্ডটির দাম ১০,৯৯৯ টাকা।

ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২: সময়ের সঙ্গী

টেকসই ও মার্জিত ডিজাইনের স্মার্টওয়াচ ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ ব্ল্যাক স্টিল রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে । এর মূল্য ২৯,৯৯৯ টাকা। উন্নত হেলথ ট্র্যাকিং ফিচারসহ স্মার্টওয়াচটি ব্যবহারকারীদের সুস্থতার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। এসব ফিচার রিয়েল-টাইম হার্টরেট, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ, ঘুমের ধরন এবং স্ট্রেস লেভেল জানিয়ে দেয়। ব্যহারকারীরা এসব ফিচারের সাহায্যে তাদের সুস্বাস্থ্যের বিষয়গুলো দেখভাল করতে পারেন।

স্ন্যাপড্রাগন ডাব্লিউ৫ জেন ১ চালিত এই ডিভাইসটি স্মার্ট ও উন্নত পার্ফমেন্সের সাথে ৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাহায্যে ১০০ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ দেবে। ১.৪৩-ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ ও ২ জিবি র‍্যামের একটি কার্যকরী পার্ফমেন্সের নিশ্চয়তা পাওয়া যায় ডিভাইসটিতে। গুগলের ওয়্যার ওএস চালিত ডিভাইসটি ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ গঠিয়ে নোটিফিকেশন, মিউজিক কন্ট্রোল এবং জিপিএস নেভিগেশন নিশ্চিত করে।

ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩: নিখুঁত অডিও অভিজ্ঞতা
অডিও অভিজ্ঞতাকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে দ্রুতই বাজারে আসছে ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩। মিডনাইট ওপাস ও লুনার রেডিয়েন্স রঙে বাজারে পাওয়া যাবে ইয়ারবাডটি। এতে রয়েছে স্প্যাশিয়াল অডিও, রিয়েল-টাইম অ্যাডাপটিভ এএনসি, ৪৩ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ ও হেড ট্র্যাকিং এর মতো ফিচার।
১১মিমি উফার এবং ৬মিমি টুইটার এর মাধ্যমে এটি ইমারসিভ সাউন্ড প্রদান করে। গুগল ফাস্ট পেয়ার প্রযুক্তির সাহায্যে এটি নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করে।

সমন্বিত ইকোসিস্টেম: ডিভাইসের মধ্যে সীমাহীন সংযোগ
ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়াচ ২ এবং বাডস প্রো ৩ একসঙ্গে ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সংযুক্ত এবং কার্যকর ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরি করে। সিঙ্কড নোটিফিকেশন, ক্রস-ডিভাইস মিডিয়া কন্ট্রোল ও সহজ ফাইল শেয়ারিং এর মতো ফিচার ব্যবহারকারীদের প্রোডাকটিভিটি বাড়াবে ও বিনোদনের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে।

যেখানে পাওয়া যাচ্ছে
ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ ও ওয়াচ ২ ওয়ানপ্লাস ফ্ল্যাগশিপ ও এক্সক্লুসিভ ব্র্যান্ড স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও অনলাইনে পিকাবু, দারাজ ও গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার থেকেও পণ্যগুলো অর্ডার করা যাবে। বাডস প্রো ৩ এর বাজারে আসার তারিখ ও মূল্য শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। ওয়ানপ্লাস-এর সকল পণ্য ১ বছরের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টিসহ পাওয়া যাবে।


ইলেকটোরাল ভোট কী?

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১৫:৫৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নভেম্বরে। এই নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ‘ইলেকটোরাল ভোট’। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ভর করে এই ইলেকটোরাল ভোটের ওপর। ইলেকটোরাল ভোট পদ্ধতিটি ‘ইলেকটোরাল কলেজ’নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি অঙ্গরাজ্য থেকে ‘ইলেকটর’বা নির্বাচকদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই নির্বাচকরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এই পুরো পদ্ধতিটি নিয়ন্ত্রণ করে মার্কিন আইন পরিষদ-কংগ্রেস।

সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে তাদের মনোনীত ইলেকটোরাল ভোটারের তালিকা জমা দেওয়া হয়, যাকে বলা হয় ‘স্লেট’। আর কোন রাজ্যে কত ইলেকটোরাল ভোট থাকবে, সেটি নির্ধারিত হয় ওই রাজ্যে কতটি কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্ট রয়েছে, তার ওপর। প্রতিটি কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্টের জন্য একটি করে ভোট এবং দুজন সিনেটরের জন্য দুটি ভোট বরাদ্দ থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৩তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ছাড়াও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার জন্য অতিরিক্ত ৩ জন ইলেকটর নিয়োগ করা যাবে। এই পদ্ধতির স্বার্থেই নির্বাচনের সময় ডগ্‌ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াকেও আলাদা রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

নির্বাচনের দিন ভোটাররা মূলত প্রার্থীদের বাছাই করা ইলেকটরদের ভোট দিয়ে থাকেন। দুটি ছাড়া বাকি ৪৮টি অঙ্গরাজ্যে ‘উইনার-টেকস-অল’, অর্থাৎ জয়ী প্রার্থী ওই অঙ্গরাজ্যের জন্য বরাদ্দ সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে থাকেন।

নির্বাচনের দিন সারা দেশে ভোটাররা যে ভোট দেন, সেটিকে বলা হয় ‘পপুলার ভোট’। আর ইলেকটোরাল কলেজের ভোটকে বলা হয় ‘ইলেকটোরাল ভোট’। কোনো একটি অঙ্গরাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন, তার ঝুলিতে ওই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোট যাবে।

জনসংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে। এই অঙ্গরাজ্যে ইলেকটরের সংখ্যা ৫৪টি। নির্বাচনে ট্রাম্প কিংবা কমলা যিনিই এই অঙ্গরাজ্যে সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন, তার ঝুলিতেই যাবে ক্যালিফোর্নিয়ার সব ইলেকটোরাল ভোট।

তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মেইন ও নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্য। এ দুই অঙ্গরাজ্যে আনুপাতিক হারে ইলেকটোরাল ভোটার বণ্টন করা হয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনে মেইন অঙ্গরাজ্যে বিজয়ী হয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু আনুপাতিক হারে নির্ধারিত চারটি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে হিলারি পেয়েছিলেন তিনটি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ৫৩৮টি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য দরকার ২৭০টি। সুতরাং একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মোট কতটি অঙ্গরাজ্যে জয়ী হলেন এবং সেসব অঙ্গরাজ্যের জন্য বরাদ্দ থাকা নির্দিষ্টসংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট মিলিয়ে মোট কতটি ইলেকটোরাল ভোট পেলেন, তার ওপরেই নির্ভর করে কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিটি বহু পুরোনো। আঠারো শতকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পপুলার ভোটেই হতো। ১৭৮৭ সালে সংবিধান রচনার সময় সংবিধান প্রণেতারা কংগ্রেস ও জনগণের সরাসরি ভোট বা পপুলার ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধারণা বাতিল করে দেন।


অক্সিজেন ‘ওএস ১৫’ উন্মুক্ত করছে ওয়ানপ্লাস, থাকছে এআইসহ নতুন ফিচার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ওএসের ওপর ভিত্তি করে আনা প্রথম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ওয়ানপ্লাসের অক্সিজেন ১৫ ওএস। আগামী ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়ানপ্লাস সর্বাধুনিক মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) ‘অক্সিজেন ওএস ১৫’ উন্মুক্ত করবে।

এদিন এক অনলাইন ইভেন্ট আয়োজন করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেটিং সিস্টেমটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। ওয়ানপ্লাসের সকল অফিশিয়াল চ্যানেল থেকে ইভেন্টটি সরাসরি দেখা যাবে।

অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ওএসের ওপর ভিত্তি করে প্রথম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ওয়ানপ্লাসের ১৫ অপারেটিং সিস্টেমটি। নতুন ওএসটিতে ওয়ানপ্লাস তাদের নিরলস গবেষণা ও ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এই অপারেটিং সিস্টেমটিতে ওয়ানপ্লাসের স্পিরিট নেভার সেটেলের প্রতিফলন পাওয়া যাবে।

ওয়ানপ্লাসের আপডেটেড ওএসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, ইন্ডাস্ট্রির সেরা ও দ্রুতগতির ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, নতুন ও কার্যকরী এআই ফিচার এবং বিশেষায়িত ডিজাইন যা ওয়ানপ্লাসের সিগনেচার ডিজাইন ল্যাংগুয়েজের অনুভূতি দেবে। এসব ফিচার নিয়ে বাজারের সবচেয়ে দ্রুতগতির ও ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম হতে যাচ্ছে অক্সিজেন ওএস ১৫।

গতি ও কৃত্রিম প্রযুক্তির মেলবন্ধন

যেকোনো প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ওয়ান প্লাসের মূল দর্শন হলো গ্রাহকদের দ্রুতগতির, মসৃণ ও ঝামেলাবিহীন অভিজ্ঞতা দেওয়া। অক্সিজেন ওএস ১৫ অপারেটিং সিস্টেমটিতে ওয়ানপ্লাস বাজারের সেরা সফটওয়্যার অ্যালগরিদম টেকনোলোজি ও অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের সৃজনশীল নির্মাণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মসৃণ অ্যানিমেশন ইফেক্ট দেবে।

এছাড়াও, অক্সিজেন ওএস ১৫-এর ডিজাইনে একটি সতেজ ও নতুন ভিজুয়াল স্টাইল এনেছে, যা ব্র্যান্ডটির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ব্যবহারকারীদের আনন্দময়য় ও নির্ঝঞ্ঝাট অভিজ্ঞতা দেবে। ব্যবহারকারী কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ ব্র্যান্ডটিকে মাল্টিটাস্কিং সিনারিও ও বেশ কিছু পারসোনালিটি এক্সটেনশন সিনারিও যোগ করতে সহায়তা করেছে।

অক্সিজেন ওএস ১৫-তে ওয়ানপ্লাসের এআই ফিচার যোগ করার মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বাধুনিক এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। ফিচারটি বেশ কিছু কমন সিনারিওতে সংযুক্ত করার মাধ্যমে প্রোডাক্টিভিটি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে ব্যবহারকারীর জীবনকে সহজ করে তুলবে। ফলে নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ হতে যাচ্ছে গতি, পারফরমেন্স ও বুদ্ধিমত্তার এক পারফেক্ট কম্বিনেশন।

অক্সিজেন ওএস ১৫ ওয়ানপ্লাসের উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতির এক বহিঃপ্রকাশ যা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অসাধারণ এক সফটওয়্যার অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ সম্প্রতি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক কমিউনিটি গ্রুপের সূচনা করেছে যেখানে ভক্তরা তাদের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও ইভেন্ট সম্পর্কে তথ্য পাবেন।

গ্রুপটি একটি মানসম্মত যোগাযোগের ঘনিষ্ঠ কমিউনিটি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে গড়া হয়েছে, যেখানে এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও ওয়ানপ্লাস টিমের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে।

তাই ওয়ান প্লাস সম্পর্কে আপডেটেড থাকতে ও সকল তথ্য পেতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ওয়ানপ্লাসের কমিউনিটি গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। গ্রুপের লিংক-www.facebook.com/groups/oneplusbangladeshcommunity


এআই দুর্বলতা মানব জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবে: গবেষণা

আপডেটেড ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় বড় এক নিরাপত্তা দুর্বলতা মানুষের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ, এমনই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। গবেষকরা সতর্ক করেছেন, যেসব রোবটিক সিস্টেমে এআই ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেগুলো ভেঙে পড়তে পারে আর সেগুলো নিরাপদও নয়।

নতুন এই গবেষণায় বিভিন্ন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল অথবা ‘এলএলএম’ খতিয়ে দেখেছেন গবেষকরা। এই এলএলএম প্রযুক্তির সাহায্যেই চ্যাটজিপিটির মতো এআই ব্যবস্থা কাজ করে। এমনকি রোবটিক্সের বেলাতেও একই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা গেছে, যেখানে বাস্তব-জগতে নেওয়া সিদ্ধান্ত মেশিনের মাধ্যমে প্রয়োগ করে এটি।

ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া পরিচালিত নতুন এ গবেষণা অনুসারে, ওই প্রযুক্তিতে এমন নিরাপত্তা ত্রুটি ও দুর্বলতা আছে, যার সুযোগ নিয়ে হ্যাকারদের পক্ষে এসব সিস্টেমে প্রবেশ করা সম্ভব।

ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জর্জ পাপাস বলেন, ‘আমাদের কাজে দেখা গেছে, এ মুহূর্তে বিভিন্ন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল বাস্তব জগতে ব্যবহারের মতো যথেষ্ট নিরাপদ নয়।’

এতে অধ্যাপক পাপাস ও তার সহকর্মীরা পরীক্ষা করে দেখেন, বর্তমানে ব্যবহার করা বেশ কিছু সিস্টেমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে এতে প্রবেশ করা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে ‘সেলফ-ড্রাইভিং’ বা স্বচালিত গাড়ির ব্যবস্থা, যাকে দিয়ে গাড়িকে চৌরাস্তার মধ্য দিয়ে কোনো দিকে ভ্রূক্ষেপ না করেই চালানোর ঝুঁকি রয়েছে।

গবেষকরা এখন এই সিস্টেমগুলোর নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করছেন যাতে সে দুর্বলতাগুলো শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে তারা সতর্ক করেছেন, এতে সুনির্দিষ্ট দুর্বলতার ‘প্যাচ’ তৈরির চেয়ে বরং এসব সিস্টেম কীভাবে তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করা উচিত।

গবেষণার সহ-লেখক বিজয় কুমার বলেন, ‘এ গবেষণাপত্রের ফলাফল থেকে এটা পরিষ্কার যে, এমন গুরুদায়িত্ব পালন করা সিস্টেম চালু করার বেলায় ‘সেইফটি-ফার্স্ট’ পন্থা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এআই-চালিত রোবটকে বাস্তব জগতে ছেড়ে দেওয়ার আগে আমাদের অবশ্যই এসব দুর্বলতা নিয়ে কথা বলা উচিত। আমাদের গবেষণা যাচাইকরণ ও বৈধতা নিয়ে এমন একটি কাঠামো বানাচ্ছে, যা বিভিন্ন রোবটিক সিস্টেম সংশ্লিষ্ট সামাজিক নীতিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’


পৃথিবীতে আছড়ে পড়া উল্কাপিণ্ড আসে কোথা থেকে?

আপডেটেড ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাতের মেঘমুক্ত আকাশে প্রায়ই চোখে পড়ে উজ্জ্বল আলোর এক রেখা, যা মুহূর্তের মধ্যেই আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। এ ঘটনাটিকে উল্কাপাত বা তারার খসে পড়া বলেন অনেকে। রাতের আকাশে উল্কা যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তখন এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

পৃথিবীতে আছড়ে পড়া বেশিরভাগ উল্কাপিণ্ড আসলে কোথা থেকে আসে? সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষণায় উঠে এসেছে, সব ধরনের উল্কাপিণ্ডের প্রায় ৭০ শতাংশই আসে কেবল তিনটি গ্রহাণু পরিবারের কাছ থেকে। গ্রহাণু বেল্টের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে এসব গ্রহাণু পরিবার, যার মধ্যে একটি পরিবার ৫৮ লাখ বছর আগে, দ্বিতীয়টি ৭৫ লাখ বছর আগে ও তৃতীয়টি তৈরি হয়েছে চার কোটি বছর আগে।

বেশিরভাগ গ্রহাণু পরিবারের অবস্থান গ্রহাণু বেল্টে। এই গ্রহাণু বেল্টের অবস্থান মঙ্গল আর বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝখানে। এতে বেশ কিছু অংশে অসংখ্য গ্রহাণু গুচ্ছ আকারে আছে যেগুলোকে গবেষকরা বলছেন গ্রহাণু পরিবার।

এসব গ্রহাণু পরিবারের মধ্যে ‘মাসালিয়া’ নামের গ্রহাণু পরিবারটি নিজেই ৩৭ শতাংশ গ্রহাণু তৈরির জন্য দায়ী বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।

এ তিনটি গ্রহাণু পরিবার এত এত গ্রহাণুর জন্ম দিচ্ছে তার কারণ, তুলনামূলকভাবে এখনো তরুণ বয়সে রয়েছে এরা। মহাকাশের আশপাশে ভাসমান অবস্থায় থাকা ও এদের দ্রুত ঘোরাঘুরির মানে হচ্ছে, এরা সহজেই গ্রহাণু বেল্ট থেকে বেরিয়ে গিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে।

এ ছাড়া উল্কাপিণ্ডের আরও উৎস খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। সবমিলিয়ে ৯০ শতাংশেরও বেশি উল্কাপিণ্ডের উৎপত্তি কোথায়, তা এখন গবেষকরা জানেন। এর মানে হলো, কিলোমিটার আকারের বিভিন্ন গ্রহাণুর উৎস খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর এসব গ্রহাণু হুমকির মুখে ফেলতে পারে পৃথিবীকে এবং সাম্প্রতিক মহাকাশ মিশনে এদের দিকেই বিশেষভাবে নজর দিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব গ্রহাণু নিয়ে তারা আরও গবেষণা চালাবেন এবং মনোযোগ থাকবে বিভিন্ন তরুণ বয়সের গ্রহাণু পরিবারের উপরও। এতে করে তারা আশা করছেন, বাকি ১০ শতাংশের উল্কাপিণ্ডের উৎপত্তি কোথায় সে সম্পর্কে আরও তথ্য মিলবে।

গ্রহাণু বেল্টের মধ্যে থাকা প্রধান উল্কাপিণ্ডের বিভিন্ন পরিবার নিয়ে জরিপ করার পর এসব উল্কাপিণ্ড কোথা থেকে আসে তা খুঁজে বের করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বিভিন্ন গ্রহাণুর মধ্যে কীভাবে সংঘর্ষ হয় ও এগুলো কীভাবে ঘুরে বেড়ায় তা বোঝার জন্য কম্পিউটার সিমুলেশন ব্যবহার করেছেন তারা।

এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্রে যার মধ্যে অন্যতম বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ও ‘নেচার’।


যে ফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সহজেই ছবি সম্পাদনা করা যায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রযুক্তিকথা ডেস্ক

দেশের বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ‘রেনো১২ ৫জি’ মডেলের ফোন আনছে অপো। এআই ক্লিয়ার প্রযুক্তিনির্ভর ফোনটিতে পছন্দের ফ্রেম নির্বাচন করে দ্রুত ভালো মানের ছবি তোলার পাশাপাশি জেনারেটিভ এআইয়ের সাহায্যে ছবিতে থাকা ব্যক্তির চেহারা, চুলসহ বিভিন্ন অংশ দ্রুত সম্পাদনা করা যায়।

শুধু তাই নয়, চাইলে ছবিতে কারও চোখ বন্ধ থাকলে তাও সম্পাদনা করে ঠিক করা যায়। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অপো বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফোনটিতে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির পাশাপাশি ৮০ ওয়াটের সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি থাকায় ৪৭ মিনিটেই শতভাগ চার্জ করা যায়। ফলে ফোনের চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

১২ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৫১২ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাও পাওয়া যাবে। ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ৫৯ হাজার ৯৯০ টাকা। ৬ দশমিক ৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির পেছনে ৫০, ৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।

ফলে সহজেই উন্নত রেজল্যুশনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যায়। পানি ও ধুলা প্রতিরোধক হওয়ায় ফোনটি ভিজলে নষ্ট হয় না, ধুলাও জমে না। ফোনটি কেনার জন্য অগ্রিম ফরমাশ করলে উপহারও পাওয়া যাবে।


banner close