ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর সারা দেশে বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, হামলার ও ভাঙচুর করা হয়। রোষানলের শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। লুটে নেওয়া হয় অস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন জিনসিপত্র। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আন্দোলনের সময় সহিংসতায় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

পুলিশের বিভিন্ন থানা ও স্থাপনা থেকে লুটে নেওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের এআইজি ইনামুল হক সাগর এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

বার্তায় বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন থানা/ইউনিট/ডিউটি স্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হল। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ১৮৯০ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, ৯২ হাজার ৯১ রাউন্ড গুলি, ২ হাজার ৮৮০টি টিয়ার গ্যাস সেল এবং ২৯৬টি সাউন্ড গ্রেনেড।