ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর সারা দেশে বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। রোষানলের শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। লুটে নেওয়া হয় অস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। পুলিশের দেওয়া তথ্যানুযায়ী আন্দোলনের সময় সহিংসতায় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এরই মধ্যে ৮২৬টি অস্ত্র ও ২০ হাজার ৭৭৮টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, সারা দেশ থেকে সম্প্রতি লুণ্ঠিত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের মধ্যে ৮২৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০ হাজার ৭৭৮ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার ৪৮২টি টিয়ার গ্যাস সেল এবং ৭১টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পুলিশের বিভিন্ন থানা ও স্থাপনা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার চলছে। কারও কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগে ভেঙে পড়ে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের থানাও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটে।
সরকার পতনের পর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ছাত্র-জনতার রোষের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) পুলিশের অধিকাংশ সুবিধাবাদী কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে যান। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন (রিফর্ম) ও সংস্কার করার কথা বলা হয় সর্বমহল থেকে। পরে পুলিশে ব্যাপক রদবদলসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও পুলিশকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরাতে উদ্যোগ নেন নতুন আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা