দেশের প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়া। নন্দিত এ ব্যান্ড তারকার গানের পাশাপাশি অভিনয়েও সুনাম কুড়িয়েছেন অনেকবার। নাটকের পাশাপাশি কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও। আবারও নতুন এক সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন সোলস ব্যান্ডের দলনেতা। সিনেমাটির নাম ‘নীল জোছনা’। সরকারি অনুদানের এ সিনেমাটিতে এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পার্থ। চলতি মাসেই শুটিংয়ে অংশ নেবেন পার্থ বড়ুয়া। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন ফাখরুল আরেফীন খান। এর আগে তিনি ‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’, ‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমাগুলো নির্মাণ করেছেন। ‘নীল জোছনা’ সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজিবিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে। জানা গেছে, এ সিনেমায় পার্থকে ডা. তরফদার চরিত্রে দেখা যাবে।
নতুন সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খানের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। গল্প আর চরিত্র পছন্দ হয়েছে বলেই এবারই প্রথমবারের মতো তার সিনেমায় অভিনয় করছি। আশা করছি ভালো একটি কাজ হবে। সিনেমার গল্পটি দারুণ। দর্শকদেরও ভালো লাগবে।’ ‘নীল জোছনা’ পার্থ বড়ুয়া অভিনীত তৃতীয় সিনেমা। তিনি সর্বপ্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন ২০১৬ সালে অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’ সিনেমায়। সেখানে তার অভিনীত সাংবাদিক চরিত্রটি দর্শক মহলে দারুণ সাড়া ফেলে। এরপর তাকে দেখা গেছে ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মেইড ইন চিটাগাং’ সিনেমায়। নির্মাতা আরেফীন বলেন, ‘ডা. তরফদার চরিত্রের জন্য পার্থ বড়ুয়া মানানসই হবে। সেই জায়গা থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তিনি চিত্রনাট্য দেখে সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রাজি হন। এ ধরনের চরিত্রে পার্থদাকে এর আগে কেউ দেখেননি।’
সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা আরও বলেন, ‘নীল জোছনা সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ৬ বছর আগে। সেই ২০১৮ সালের শেষদিকে। প্যারাসাইকোলজি নিয়ে এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই যখন মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ি, তখনই চিন্তা করি সিনেমা বানানোর। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার ‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল। এরপর আবারও গত বছরের শুরু থেকে কাজটি শুরু করি।’ উল্লেখ্য, গত বছর প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডদল সোলস-এর পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে কনসার্ট করে ব্যান্ডটি। কনসার্টে ব্যস্ততার কারণে অভিনয়ে সময় দেওয়া হয়নি তার। নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুবাদে অভিনয়ের বিরতি ভাঙলেন পার্থ বড়ুয়া।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা