জিতলেই সেমিফাইনাল, হারলেও থাকবে সম্ভাবনা – এমন একটা সমীকরণ নিয়েই ব্রিসবেনে খেলতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ছিল চাপে থাকা ইংল্যান্ড; সেমির সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে যাদের জিততেই হতো। কিন্তু ম্যাচের আগে দুই দলের চাপের পার্থক্যটা পারফরম্যান্সে ফুটে উঠল না। চাপে থাকা ইংল্যান্ডই ২০ রানে হারিয়ে দিল নিউজিল্যান্ডকে।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে নিউজিল্যান্ড ২০ ওভার খেললেও ৬ উইকেটে ১৬৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য কিউইদের দরকার ছিল ২৬ রান। মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি নিতে পারলেন মাত্র ৫। অবশ্য শেষ ওভারের আগেই কার্যত হেরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ১৮০-এর মতো বড় রান তাড়া করতে দরকার ছিল ভালো একটা ওপেনিং জুটি কিংবা টপ অর্ডারের কারও বিস্ফোরক ইনিংস, কিউই ইনিংসে সেটা হয়নি। দলীয় ৮ রানে ফিরে গেছেন কনওয়ে। ২৮ রানে আরেক ওপেনার অ্যালেনও গেলেন। এরপর অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গে আগের ম্যাচের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিয়ান গ্লেন ফিলিপসের ৫৯ বলে ৯১ রানের জুটি।
শুরুর জোড়া ধাক্কা কাটিয়ে এই জুটি দলকে জয়ের কক্ষপথেই রেখেছিলেন। কিন্তু ৪০ বলে ৪০ রান করার পর বেন স্টোকসের শিকার হয়ে উইলিয়ামস ফিরলে ছোটখাটো মোড়ক লাগে কিউই ইনিংসে। ২ উইকেটে ১১৯ থেকে এক পর্যায়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৩১! ১৪ বলের মধ্যে ফিরেছেন উইলিয়ামসন, জিমি নিশাম ও ড্যারিল মিচেল।
অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মধ্যেও এক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে গেছেন ফিলিপস। আগের ম্যাচে ৬১ বলে সেঞ্চুরি করা কিউই এই ব্যাটার আজও চড়াও হয়ে খেলেছেন ইংলিশ বোলারদের ওপর। ৩৬ বলে ১৭২.২২ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৬২ রান, চার ৪টি, ছক্কা ৩টি। ইংল্যান্ডের জয়ের পথে বড় কাটা হয়ে থাকা কিউই এই ব্যাটসম্যান ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে বিদায় নিলে জয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। নিউজিল্যান্ডের তখনো ৪৫ রান দরকার।
এর আগে ইংল্যান্ডের ইনিংসটি ছিল মূলত জস বাটলার আর অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটিং প্রদর্শনী। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ছিল বাটলারের ১০০তম ম্যাচ। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচটিকে দারুণ ইনিংসের পাশাপাশি একটা রেকর্ড দিয়েও রাঙিয়েছেন বাটলার। ৪৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ রানের দারুণ ইনিংসের পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি (২৪৬৮) রানের রেকর্ড গড়েছেন।
হেলসের সঙ্গে বাটলারের ৬২ বলে ৮১ রানের জুটিই ভালো একটা স্কোর পাইয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। ফিফটি করেছেন হেলসও (৪০ বলে ৫২)। ১১তম ওভারে হেলস ফিরে গেলেও বাটলারের প্রদর্শনী চলেছে ১৯তম ওভারের চতুর্থ বল পর্যন্ত। ম্যাচসেরা আর কে হতে পারেন এমন দিনে!
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা