দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বেড়ে গেছে সব ধরনের পণ্যের দাম। সরকারি হিসাবেই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। দিন যত যাচ্ছে, সংকট ততই বাড়ছে। যুদ্ধ কমে থামবে, পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, সংকট কবে কাটবে-নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু যুদ্ধ থামাতে কেউ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। জাতিসংঘ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। রাশিয়া তার অবস্থান থেকে একচুল নড়ছে না। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধকে আরও উসকে দিচ্ছে। যার মাশুল দিতে হচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে। জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম বাড়ছে। বেড়ে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর মুদ্রা আমেরিকান ডলারের দর। এসবের প্রভাবে মূল্যস্ফীতির পারদ চড়ছে দেশে দেশে।
যে দুটি দেশ যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ না নিয়ে বরং ইউক্রেনের পক্ষে কোটি কোটি ডলার ঢালছে, সেই দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ৪০ বছরের মধ্যে এ দুই দেশেই মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তার পরও হুঁশ হচ্ছে না এই দুই দেশের সরকারপ্রধানদের। দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিশ্বকে; অর্থনীতিকে পাঠাচ্ছে মহামন্দার দিকে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানালেও কেউ কোনো কর্ণপাত করছেন না। গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আসুন, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা একটি উত্তম ভবিষ্যৎ তৈরির পথে এগিয়ে যাই।’
বিশ্ব যখন সংকটে, পারস্পরিক সংহতি যখন সবচেয়ে বেশি জরুরি, তখন যুদ্ধ আর ক্ষমতাধরদের পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার চক্করে বিশ্বে মানুষের জীবন-জীবিকা যে মহাসংকটে পড়ছে, জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে সেই বাস্তবতা বিশ্ব মোড়লদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের নেতা হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরীপন্থা কখনো কোনো জাতির মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। আলাপ-আলোচনাই সংকট ও বিরোধ নিষ্পত্তির সর্বোত্তম উপায়। আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতের অবসান চাই’।
কিন্তু হায়…! কে শোনে কার কথা। যারা উঠতে-বসতে মানবাধিকারের ছবক দেয়, মানবতার কথা বলে, তাদের কর্মকাণ্ডেই আজ বিশ্ব তলিয়ে যাচ্ছে এক অনিশ্চিত অতল অন্ধকারে। যে যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো পরিচালিত হয় বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল দুই সংস্থা বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ, সেই দুই সংস্থার বার্ষিক সম্মেলন হয়ে গেল ১০ থেকে ১৬ অক্টোবর। বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা অংশ নিয়েছিলেন তাতে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই সম্মেলনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের কর্তারা বলেছেন, যুদ্ধের ধাক্কায় এবার (২০২২ সাল) বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ২ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অর্থাৎ যুদ্ধ দ্রুত না থামলে ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভয়াবহ মন্দা দেখা দিতে পারে। দুর্ভিক্ষও দেখা দিতে পারে ছোট-বড় অনেক দেশে।
বিশ্বের মানুষ ২০২০ সাল শুরু করেছিল ভয়াল এক মহামারির দুঃস্বপ্ন নিয়ে। এরপর আড়াই বছরে চোখে না দেখা এক ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ৬৫ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ। যারা বেঁচে গেছেন, তাদের জীবন-জীবিকাকে করেছে বিপর্যস্ত ও দুর্বিষহ, অর্থনীতিকে করেছে স্থবির। টিকা উদ্ভাবনের কল্যাণে সেই বিপদ কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন যখন মানুষ দেখতে শুরু করল, তখনই ইউক্রেনে যুদ্ধ বাধিয়ে বসল জাতিসংঘের ভেটো ক্ষমতাধারী দেশ রাশিয়া। অন্য পরাশক্তিরাও বসে থাকল না, যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের তরফ থেকে একের পর এক অবরোধ আর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এল, রাশিয়াও দিল পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। তার ফল হলো ভয়ংকর।
ভালো নেই আমরাও
করোনার ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠছিল বাংলাদেশ। মহামারির মধ্যেও অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই ছিল ভালো। যে সূচকটি নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেই বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি প্রবৃদ্ধি) অর্জিত হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে। রপ্তানি আয়েও হয়েছিল রেকর্ড, ৫২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি মুদ্রা এসেছিল দেশে, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ শতাংশের নিচে। ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি ঋণ-সহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমলেও চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেশ বাড়ছিল। তবে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলা ডলারের দামে আমদানি ব্যয় অস্বাবিক বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগও ছিল। তার পরও দীর্ঘদিনের ইতিবাচক ধারা বজায় ছিল।
কিন্তু সেই স্বস্তি আর নেই। দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। সাত মাস পর সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে গত সেপ্টেম্বরে। ১৩ মাস পর রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে লেগেছে হোঁচট। গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। তবে সেপ্টেম্বরে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সর্বশেষ যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে চলতি অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কম আসবে। আর এই দুই সূচকে নেতিবাচক ধারার কারণে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ নেমেছে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন আমদানি বিল পরিশোধের পর ৩৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে।
তবে রিজার্ভের এই হিসাব নিয়েও প্রশ্ন আছে। বেশ কিছুদিন ধরেই আইএমএফ বলে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের যে তথ্য প্রকাশ করছে, তা থেকে প্রকৃত রিজার্ভ ৮ বিলিয়ন ডলার কম। সংকট মোকাবিলায় সরকার আইএমএফের কাছে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের যে ঋণ চেয়েছিল, তা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল এখন ঢাকায় অবস্থান করছে। ইতিমধ্যে ব্যাংকের গভর্নরসহ বাংলাদেশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৈঠকে রিজার্ভের হিসাবায়নে মোট রিজার্ভ ও প্রকৃত রিজার্ভকে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করার কথা বলা হয়। রিজার্ভ থেকে কোন কোন বিনিয়োগকে বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভ হিসাব করতে হবে, তাও আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফলে এখন থেকে আইএমএফের কাছে তথ্য পাঠানোর সময় প্রকৃত রিজার্ভের তথ্য পাঠানো হবে। এক বছর আগেও দেশে রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। আমদানি খরচ বাড়ায় যা এখন কমে হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার। এ রিজার্ভ থেকে ৭০০ কোটি ডলার (৭ বিলিয়ন) দিয়ে গঠন করা হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল। আবার রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠন করা হয়েছে লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ), গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ)। বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে ও সোনালী ব্যাংককে অর্থ দেয়া হয়েছে। আবার পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতেও রিজার্ভ থেকে অর্থ দেয়া হয়েছে। এসব খাতে সব মিলিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার বা ৮ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ বলছে, এসব বিনিয়োগকে বাদ দিয়ে রিজার্ভের প্রকৃত হিসাব করতে হবে। কারণ রিজার্ভের এসব অর্থ চাইলেই ফেরত পাওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে না। আইএমএফের শর্ত মানলে বর্তমানে রিজার্ভ কমে হয় ২৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। আর আকুর ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর তা নেমে আসবে ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। সেপ্টেম্বরে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। সেই হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকতে হয়। সে বিবেচনায় বেশ অস্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ। তবে আশার কথা হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যে আইএমএফের ঋণের সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির দেড় বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ঋণটা পাওয়া গেলে সংকট কিছুটা হলেও কেটে যাবে। কেননা আইএমএফের মূল কাজ হচ্ছে ক্রাইসিস ঠেকানো। আইএমএফের এই ঋণ একটি আস্থার সৃষ্টি করবে। বিশ্বব্যাংক তখন পাশে থাকবে। তারা ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার কম সুদের যে ঋণ দিতে চাচ্ছে, সেটা দ্রুত দিয়ে দেবে। এডিবি এগিয়ে আসবে। জাইকা আসবে। সবাই এগিয়ে আসবে। তখন তারা সবাই তাদের সাপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসবে। রিজার্ভ বাড়বে; সরকার সাহস পাবে। আর সেই সাহসের ওপর ভর করে করোনা মহামারির মতো এই সংকটও মোকাবিলা করতে পারবে।
সরকার যুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং, আমদানি ব্যয় হ্রাসসহ ব্যয় সংকোচনের নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার দেশবাসীকে বিশ্ব প্রেক্ষাপট তুলে ধরে খরচ কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলছেন, সামনে কঠিন সময়, ২০২৩ সালটি খুবই কঠিন যাবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের ভালোর জন্যই এসব কথা বলছেন। যাতে মানুষ সতর্ক হয়। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খরচ না করে।
তবে ভয় আরেকটি উঁকি দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। রাজনীতির উত্তপ্ত মাঠ কি অর্থনীতিতে আরেকটি সংকট নিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি কি খারাপের দিকে যাবে, ২০২৩ সাল কি সংঘাতের মধ্যে দিয়ে যাবে? এ প্রশ্ন এখন সবার মধ্যে। দীর্ঘদিন দেশে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল। তার সুফলও পেয়েছে দেশবাসী। আবার কি মারামারি পর্যায়ে চলে যাবে। ফের কি রাস্তা গরম হবে, মাঠ গরম হবে? হরতাল-অবরোধ হবে, বাস পুড়বে, মানুষ মরবে! আবারও সেই আগের মতো রাজনীতির চাপে পৃষ্ঠ হবে দেশের অর্থনীতি। তাহলে কী হবে আমাদের? চলমান সংকটের মধ্যে নতুন সংকট যোগ হয়ে বাংলাদেশ কি উল্টোপথে হাঁটবে, পেছনের দিকে যাবে? নাকি শুভবুদ্ধির উদয় হবে সরকার-বিরোধী দলসহ সব রাজনীতিকের মধ্যে। সবাই মিলে যুদ্ধের ধাক্কা সামলে একটি অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকারের চলার পথ মসৃণ করে দিয়ে যাবে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে আরও গতিতে- সেটিই চায় এবং খুব করে চায় দেশের প্রতিটি মানুষ।
লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা