উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা তার দীর্ঘদিনের সংগীত জীবনের পথচলায় এবারই প্রথম বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদ বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দ মেলা’য় গান গাইলেন। পুরোনো নয়, একেবারে নতুন একটি মৌলিক গান গেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটনের লেখা ও আশরাফ বাবুর সুর সঙ্গীতে ‘নতুন পৃথিবী’ শিরোনামের একটি গান গেয়েছেন রুনা লায়লা শুধু ‘আনন্দ মেলা’র জন্যই। আর গানটিতে রুনা লায়লার সঙ্গে সুরে সুরে গানে গানে কণ্ঠ মিলিয়েছেন এই প্রজন্মের চার শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনা, সাব্বির, ইমরান ও ঝিলিক। মনিরুল ইসলাম ও ইয়াসির আরাফাতের প্রযোজনায নির্মিত ‘আনন্দ মেলা’ আগামী ঈদের দিন রাত ১০টার ইংনেজি সংবাদের পর বিটিভিতে প্রচারিত হবে।
‘আনন্দ মেলা’য় গান গাওয়া প্রসঙ্গে দেশবরেণ্য সংগীত তারকা রুনা লায়লা বলেন,‘এর আগে আমাকে আনন্দ মেলায় গান গাওয়ার কথা বিশেষভাবে বলেনি কেউ বা প্রস্তাব আসেনি কারও কাছ থেকে। প্রস্তাব পেলে হয়ত আরও আগেই জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানে আমার গান গাওয়া হয়ে যেত। যাইহোক দেরীতে হলেও আনন্দ মেলার জন্য গান গাইতে পেরে ভালো লাগছে। আনজীর লিটন এই গানটিও খুব চমৎকার লিখেছে, সুর সংগীতেও আশরাফ বাবু ভালো করেছে। আমার সঙ্গে এই প্রজন্মের শিল্পীরাও বেশ আন্তরিকতা নিয়ে গানটি গেয়েছে। বিটিভি কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ। এমনকি আনন্দ মেলা’র শুটিং-এর সময় যে মানুষটি আমার জন্য বার বার চেয়ারটি এনে দিয়েছে তাকেও বিশেষ ধন্যবাদ।’
রুনা লায়লার সঙ্গে আনন্দমেলায় গান গাওয়া প্রসঙ্গে কণা বলেন, ‘এটা এখনো আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয় যে আমাদের পরম শ্রদ্ধার ভালোবাসার রুনা ম্যাম আমার পাশে দাঁড়িয়ে গান গাইছেন, তারসঙ্গে আমি আমরা গাইছি। জীবনে এমন দিন আসবে ভাবিনি কখনো। আল্লাহর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ রুনা ম্যাম’কে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।’ সাব্বির বলেন, ‘রুনা ম্যামের পাশে দাঁড়িয়ে একই গান গাইবো, এমনটা কল্পনাও করিনি কখনো। কিন্তু এমন একটা কিছু হয়েগেছে-বিশ্বাসই হচ্ছে না। তিনি এত বড় একজন শিল্পী; কিন্তু একজন অতি সাধারণ মানুষের মতো আমাদের সঙ্গে মিশেন, আদর করেন।’
সংগীতশিল্পী ইমরান বলেন, ‘এর আগেও শ্রদ্ধেয় রুনা ম্যামের সঙ্গে গান গাইবার সঙ্গে সুযোগ হয়েছে। কিন্তু বিটিভির সিগনেচার অনুষ্ঠান আনন্দ মেলায় ম্যামের সঙ্গে গাইতে পেরেছি-এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ ঝিলিক বলেন, ‘সেরাকণ্ঠের সেই বিজয় মুকুট ম্যামের হাতে থেকে মাথায় পড়ার পর থেকে তার আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে চলেছি। তিনি আমার কণ্ঠের প্রশংসা করেন সবসময়, এটাই আমার ভালো লাগা। আনন্দ মেলায় তার সঙ্গে গাইতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা