আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:৩১
এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় তিনি সভার সিদ্ধান্তও সাংবাদিকদের জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এডিসি হারুনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে যা করার, সেটি তারা করেছেন। হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশের রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। এখন মামলা-তদন্ত, এগুলো একটি প্রক্রিয়ায় হবে। তবে তার জানামতে ভুক্তভোগীরা এখনো মামলা করেননি। ভুক্তভোগীরা মামলা করলে তার তদন্ত হবে। তবে যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে, তাই বিভাগীয় মামলা হবে।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগের নেতাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক গত শনিবার সন্ধ্যায় তাদের (ছাত্রলীগের তিন নেতা) ডেকে নেন। তিনি বারডেম হাসপাতালে তার স্ত্রীর সঙ্গে এডিসি হারুনকে দেখতে পেয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে এডিসি হারুন পুলিশ ডেকে ছাত্রলীগের নেতাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে বেদম মারধর করেন।

পুলিশের মারধরের শিকার ছাত্রলীগের তিন নেতা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বারডেমের সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বর্ণনা

এদিকে বারডেম হাসপাতালে শুরু হওয়া ‘হারুন কাণ্ডের’ বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী সিকিউরিটি সুপারভাইজার ওয়ারেছ আলী।

ওয়ারেছ বলেন, ‘যেদিন ঘটনাটি ঘটেছে সেদিন জড়িত কাউকে আমি চিনতাম না। পরে টিভি/পত্রিকায় খবর পড়ে আমি তাদের পরিচয় জানতে পারি। সেদিন আমি রাউন্ড ডিউটিতে ছিলাম আর আমার কিছু সিকিউরিটি কর্মী নিচে ছিল। হঠাৎ চিৎকার-চেঁচামেচি, হৈ-হুল্লোড় শুনে আমি যখন চতুর্থ তলায় আসি, তখন দেখি হারুন সাহেব (বরখাস্ত হওয়া রমনা অঞ্চলের এডিসি হারুন অর রশিদ) ইটিটি রুমের সামনে, যেখানে মানুষ ওয়েটিংয়ে থাকে, সেখান থেকে লবি হয়ে লিফটের দিকে দৌড় দিচ্ছিলেন। আর তার পেছন পেছন ছুটছিলেন মামুন সাহেব (রাষ্ট্রপতির একান্ত সহকারী সচিব আজিজুল হক)। তবে সে সময় লিফট বন্ধ থাকায় এবং নিচ থেকে আরও দুইজন চলে আসায় হারুন সাহেব ফের ইটিটি রুমের দিকে দৌড় দেন। এ সময় মামুন সাহেব এবং নতুন আসা বাকি দুইজনও হারুন সাহেবের পিছু নেয়। তারা হারুন সাহেবকে মারতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের ঠেকান।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ এলে হারুন সাহেব যাদের দেখিয়ে দেন, তাদের ধরে নিয়ে গাড়িতে তোলে। তবে হাসপাতালের ভেতর পুলিশ কাউকে মারধর করেনি।