আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ২০:২২
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা

ছবি: দৈনিক বাংলা

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছে। দেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত অতুল কেশপ এও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তেল-গ্যাস খাতে এই বিনিয়োগে তাদের বড় আগ্রহ রয়েছে। গতকাল সচিবালয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ১৫ সদস্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে তারা এই আগ্রহ দেখিয়েছেন।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত অতুল কেশপ বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান সম্ভব। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে তেল-গ্যাসের মূল্য উত্তরোত্তর বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়। ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার প্রতিফলন, পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে।

বৈঠকে নসরুল হামিদ বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়ছে। বাংলাদেশের এই খাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর আগ্রহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর সমুদ্রের অনুসন্ধান করতে মার্কিন কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে। পায়রায় গভীর সমুদ্রে আরেকটি ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের টার্মিনাল বা এফএসআরইউ নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গ্যাস অনুসন্ধান-উত্তোলন, জ্বালানি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন, নাবায়ণযোগ্য জ্বালানি, অফশোর ও অনশোর বায়ুবিদ্যুৎ, লিথিয়াম ব্যাটারি কারখানা স্থাপন, সাইবার সিকিউরিটি, বিদ্যুতের সঞ্চালন, স্মার্ট গ্রিড নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তি, অর্থায়ন ও অংশীদারত্ব পেলে বায়ু-ফুয়েল নিয়েও একসঙ্গে দুই দেশ করতে পারে।

তিনি বলেন, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল খাতেও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আসতে পারে। চার্জিং স্টেশন বা চার্জিং নীতিমালা করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার কাজ করছে। আগামী ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

আলোচনাকালে অন্যদের মাঝে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিনা খাতুন, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, এক্সিলারেট এনার্জির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইস্টিভেন কোবস, ব্ল্যাকস্টোনের এমডি আনন্দ ঝা, এক্সোনমোবাইলের নতুন অপরচুনিটি ম্যানেজার জনাথন উইলসন, করটোভার গভ. অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাফেয়ার ডিরেক্টর আনুজা কাদিয়ান, এইএসবিসির হেড অব মাল্টিন্যাশনাল আন্দালিভ মির্জা ও দক্ষিণ এশিয়ার ইউএস গ্রেইন্স কাউন্সিলের পরিচালক রিসি কানাডি উপস্থিত ছিলেন।