আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২৩ ২৩:০৩
আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করবে এসএসপিবি

আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করবে এসএসপিবি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ৮০ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে মানসিক রোগের কারণে। আর তাদের ভেতরে আবার বেশিরভাগ ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডারের কারণে। বাকিদের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়া, পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার আর রয়েছে মাদকাসক্তি। তাই চেষ্টা করলেই আত্মহত্যা ঠেকানো যায় এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। আর এ বিষয়ে এবার কাজ করবে সোসাইটি ফর সুইসাইড প্রিভেনশন বাংলাদেশ (এসএসপিবি)।

সংগঠনটির কার্যনিবার্হী কমিটির প্রথম আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী।

সম্প্রতি অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরীকে সভাপতি এবং ডা. মো. তারিকুল আলকে সাধারণ সম্পাদক করে এসএসপিবির ২০২৩-২৪ সালের কার্যনিবাহী কমিটি গঠন করা হয়। রোববার এই কমিটির প্রথম আলোচনা সভায় এসএসপিবির উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, কর্মপরিকল্পনা এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মানসিক রোগ বিষেশজ্ঞ চিকিৎসকরা।

২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (এআইএসপি)-এর তালিকাভুক্ত হয় এসএসপিবি।

ওয়াজিউল আলম চৌধুরী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমরা মূলত আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করব, কারণ আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। আর প্রতিরোধযোগ্য হওয়ার পরেও যদি আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা না করি, তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য অন্যায় কাজ। আমাদের মোরাল অবলিগেশন এটা।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে যিনি একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে যান, তিনি আর আত্মহত্যা করেন না— এটা একটা মিথ এবং সমাজের অন্যতম একটি ভুল ধারণা। এই ভুল ধারণাও আমাদেরকে দূর করতে হবে। আমরা চেষ্টা করব সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে।’

ডা. ওয়াজিউল বলেন, ‘মানুষ আত্মহত্যা করে মারা যাবে কেন, যেহেতু এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু। এখানেই এই কমিটি কাজ করবে, পুরো দেশজুড়ে। আর এজন্য পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিকসহ যেখানে যেখানে কাজ করা দরকার, আমরা সেখানে সেভাবেই কাজ করব।’

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ওয়াজিউল আরও বলেন, ‘আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে, মানুষকে বলতে হবে, বোঝাতে হবে-তাহলে ধীরে ধীরে আত্মহত্যা প্রতিরোধের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে।’