আপডেট : ৯ জুলাই, ২০২৩ ২১:৫৪
দুর্নীতির ৫ মামলায় সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিনকে অব্যাহতি

দুর্নীতির ৫ মামলায় সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিনকে অব্যাহতি

জমিরউদ্দিন সরকার। সংগৃহীত ছবি

ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন করিয়েছিলেন’- এমন অভিযোগে দুদকের করা পাঁচটি মামলা থেকে এই সাবেক স্পিকারকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় তাকে অব্যাহতি দেন।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গত ৬ মার্চ ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়। এই টাকা জমা দিলে তাকে পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন। এরপর ১৪ মার্চ জমিরউদ্দিন সরকার আদালতের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জমা দেন। এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপসহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন।

এতে জমিরউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ করেছেন।

গত বছরের ২৫ আগস্ট জমিরউদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।

পরে এই পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগ আমলে নেন আদালত। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে জমিরউদ্দিন সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়েছিলেন।

পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গঠিত একক বেঞ্চ। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন আদালত।