ফরিদপুরে ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ডে আটজনের প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বিপুল চন্দ্র দেকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটিকে তদন্ত শেষে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানিয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা করে দেবে জেলা প্রশাসন।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রাম এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লেগে সাতজনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ অবস্থায় চালককে ভর্তি করা হয় ঢাকার হাসপাতালে। সেখানে মারা যান তিনি।
নিহতদের পরিচয় মিলেছে
দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছেন, তাদের সবার পরিচয় মিলেছে। এরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের প্রবাসী আজিজার রহমানের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৫৫), তার মেয়ে কমলা পারভিন (২৬), বিউটি বেগম (২৪), নাতি হাসিব (৮), হাফসা (২), আরিফ (১২) ও মেহেদি (১২) এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক মিতুল (২৫)। এর মধ্যে কমলা বেগম ঢাকায় থাকতেন। বিউটি বেগম উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমরা গ্রামের মাহমুদ ইসলাম রনির স্ত্রী। আর মিতুল ফরিদপুর শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার তকি মোল্যা সড়কের সুভাষ চন্দ্র মালোর সন্তান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তাছলিমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক মাস আগে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেন। রাজধানীতে বড় মেয়ে কমলা বেগমের বাসায় ছিলেন তিনি। সকালে তারা ঢাকা থেকে বোয়ালমারী গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যেই পড়েন দুর্ঘটনার কবলে। ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
বোয়ালমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারেফ হোসাইন বলেন, ‘খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেয়া হয়। শোকাহত পরিবারে শোকের মাতম চলছে। খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা