জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আম বাগান থেকে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকুরিয়া গ্রামের বাগানে তার মরদেহটি পাওয়া যায়।
নিহত সিরাজুল ইসলাম উপজেলার দক্ষিণ পাকুরিয়া গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়দের ধারণা, গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার পর তার মরদেহ বাগানে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ আগে সিরাজুল ইসলাম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার তহবিল নিয়ে পরিচালনা কমিটির সভা হয়। ওই সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মধ্যে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে কমিটির অন্য সদস্যদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই দিনের পর থেকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠাতার ঝগড়া-বিবাদ লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে শনিবার রাতের কোনো একসময়ে সিরাজুল ইসলামকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার পর মাঠের মধ্যে একটি আম বাগানে ফেলে যায় কে বা কাহারা। রোববার সকালে প্রতিবেশীরা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সিরাজুল ইসলাম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে মাদ্রাসায় সভা চলাকালীন হাতাহাতির ঘটনা সত্য। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা আমার জানা নেই। নিহত সিরাজুল ইসলাম শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় আমার বাড়িতে এসে কথা বলে নিজের বাড়িতে চলে যান। সকালে শুনতে পাই তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
সিরাজুলের স্ত্রী শেফালী বেগম বলেন, ‘কী অপরাধ করেছে আমার স্বামী? আমাদের কোনো সন্তান নেই, যা কিছু করেছে তা এলাকার মানুষের জন্যই করেছে। তার পরও আমার বৃদ্ধ স্বামীকে নির্মমভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা